#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন
পর্ব— ২
হা-স-না-ত ভাইয়া….আমি তোতলাতে তোতলাতে বললাম… কারন সামনে আমার জম দাড়িয়ে আছে.. ব্লেক পান্জাবীতে কতো সুন্দর লাগতেছে তাকে.. কিন্তু গন্ধ আসতেছে তার থেকে.. আজব সবসময় তো পারফিউমের ভিতর গোসল করে সে যার কারনে আমরা কাজিনরা তাকে পার্রফিউম কুমার বলি.. আমি আনমনে বলে ওঠলাম— পার্রফিউম কুমার কি পার্রফিউম লাগানো ভূলে গেছে.. এই বলে যেই তার দিকে তাকালাম কলিজার ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠলো… আজব এইভাবে তাকানোর কি মানে.. মনে হচ্ছে আমি এখন চেতনা হারালেই বোধহয় ভালো হয়… সে দাত কটমটিয়ে বলল– বমি করছিস যে… সেইগুলোর গন্ধ আসতেছে আর কি আমার থেকে… পাশে দেখলাম বেয়াদব দুই মেয়ে যারা দুনিয়ায় আমার বোন হিসেবে আসছে তারা তাদের গা জ্বালানো হাসি হাসছে… ফাজিল মেয়ে দেখবি তোদের জামাইয়ের দাত ফোকলা হবে আর তোদের ফোকলার বৌ বলে ডাকবে সবাই..তখন দেখবো কিভাবে তোদের মুখে এতো হাসি আসে…. এইসব ভাবতে ভাবতে “” রোদেলা আপু”” বলে ডাক শুনলাম কারোর!! যা আমার কাছে এখন অতিব প্রিয় মনে হচ্ছে!!! সে দিকে তাকিয়ে— ইফ্ফাত. বলে যেই আমি দৌড়ে যাব.. দাড়া.. বলে কেউ আমাকে থামিয়ে দিল..
আমি মুখ গোমড়াকরে সেইদিকে তাকালাম.. হাসনাত ভাইয়া হেসে বিজ্ঞ লুক দিয়ে বলল– আমার পান্জাবী টা কে ধোবে?? তারপর পকেটে হাত পুরে বলল– ফুফি,, ও যেহেতু চ্যালেঞ্জ এ হারছে.. আর আমার গায়েই ওর এই অকাজ গুলো করছে.. তাহলে এই সাতদিন আমি যা যা কাজ করতে বলবো যেইভাবে চলতে বলব সেইভাবে চলতে হবে ওর… তুৃমি কি রাজি…
আমি অসহায় দৃষ্টিতে আমার আম্মুর দিকে তাকালাম.. আজ যদি সে মানা করে দেয় তাকে নিয়ে আজ অমর সংগীত রচনা করবো আমি…কিন্তু আমার সব আশায় গুড়েবালি দিয়ে আমার আম্মা আরো নরম হয়ে বলল– রাজি না হওয়ার কি আছে… সবার থেকে ভালো তুই.. তোকে ও ভয়ও পায়.. আমাকে তো পায়ও না.. কোন কাজ শিখে নাই কি হবে ওর… আমার ইচ্ছে হচ্ছে মাটি ফাক করে ডুকে পড়ি.. ইয়া আল্লাহ,, এইকানে মোজাইক করে রাখছে কে… মাটি রাখলে নির্ঘাত ডুকে পড়তাম… তখনই ইফ্ফাত এসে আমারে বাচায় তোলল.. আমার আম্মুর দিকে মিষ্টি হেসে বলল– ফুফি এইভাবে বলতেছ কেন.. আপু তো পড়াশোনা করে আর কাজ শিখার জন্য তো পুরো জিবন আছে.. থাক এইসব বাদ দাও.. তখনই হাসনাত ভাই ভেঙ্গচি কেটে বলল– হু,, যে পড়ালেখার নমুনা… তারপর বুক ফুলিয়ে বলল– ফুফি আমি ব্যাংকে জব পেয়েছি অফিসার পদে..
— মুসিবত কি কম ছিল যে জব পেয়ে নতুন আর একটা মুচিবত হয়ছে.. অহংকারী পোলা…
যদিও মনে মনে বলতে চায়ছিলাম কিন্তু জোরে হয়ে গেল.. মেঘলা আপু ঠিক ই বলে ফাটাবাশ গলা আমারটা.. ইফ্ফাত তাড়াতাড়ি — ভাইয়া বমিগুলো ধুইয়ে আস বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো.. আর হাসনাত ভাই বেকুপের মতো তাকিয়ে রইল আমার দিকে.. আমি সিড়ি দিয়ে ওঠতে ওঠতে ইফ্ফাতের দিকে ভাবলাম… মেয়েটা সত্যি লক্ষি.. ঐ খাটাশ দুইটারে না দিয়ে ওরে আমার বোন বানায় দিত কতো ভাল হয়তো..
ইফ্ফাত আমার বড় মামার মেজ মেয়ে।। ওরাও গ্রামের বিয়ের জন্যই এসেছে.. এখানে শুধু মেঝ মামা আর ছোট মামাই থাকে
.. ইফ্ফাত মাত্র পাচ মাসের ছোট আমার থেকে তবে ইন্টার ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ে ও.. কিন্তু কতো সুন্দর করে আমার কেয়ার নেয়.. আপু বলে সম্মান ও দেয়.. আমি আবেগপ্লুত হয়ে বললাম— ইফ্ফাত তুই কতো ভালো কতো গালি থেকে বাচায় দিলি.. তোরে আমি একটা এক টাকার মিল্ক ক্যান্ডি খাওয়াব…
সে মাথা হালকা ধুলিয়ে বলল– ঐটাও নিজে খেয়ে নিয়ো কিপ্টানি.. কমছে কম একটা ড্যারিমিল্ক তো খাওয়াতেই পারো… আমি মুচকি হেসে ওয়াসরুমে ডুকতে ডুকতে বললাম— ঐসব খাস না দাতে পোকা হবে.. এইবলতে বলতে দৌড়ে ডুকে গেলাম.. যদিও জানা কথা রেগে তাকিয়ে আছে সে আমার দিকে…
ল্যামন কালারের চুড়িদারের সাথে সাদা একটা ত্রিপিস পড়ে নিলাম.. কানে ছোট টপ আর হাতে ঝুমকো চুড়ি.. চুড়িগুলো নাড়তে নাড়তে পুরো নানুর বাড়িটা দেখছি!!
অনেক বড় আমার নানুর বাড়ি তবে অনেক পুরোনো.. বিন্ডিংটা স্কুলের বিল্ডিং এর মতো… তবে আমার নানা নাকি কোন একসময় এক ইস্টিমারের নকশা দেখে এইটা বানিয়েছে.. তখন এলাকায় কোন বিল্ডিই ছিলনা কারো.. কার্নিশগুলোও অনেকবড়।। এতোটা বড় যে আমরা জানালা দিয়ে নিজেদের গলিয়ে লুকোচুরি খেলতে পারতাম.. পুরো বাড়িটা তিনতলা.. লম্বা একটা বাড়ি সামনে পিছনে খোলা বারান্দা.. এতো বড় বারান্দা বোধহয় আর দেখাও যায় না.. স্কুলে ক্লাসের সামনে যেমন গলি থাকে. ঠিক তেমনটা..আমরা কতো বৌচি আর রশি বেধে দোল খেয়েছি.. ঐ গলি দিয়ে দু পাশে যারযার দরজা.. কারো নিজস্ব কোন ওয়াসরুম নেয়.. আর বারান্দাও.. তবে একেক বৌ দুইটা করে রুম পেয়েছে.. আর নানা আর নানার ভাইরা একই বাড়িতে মোট চৌদ্দটা রুম.. দুইতলা মিলিয়ে.. এর ওপর ছাদ. . নিচের তলাই কিচেন.. আর দুইটা ওয়াসরুম.. ওপরের তলায় দুইটা.. আর নানুদের জন্য এটাচ রুমে ওয়াসরুম।। বাড়ির দুপাশে দুইটা সিড়ি… সবার বাচ্চা অনেক বেশি হওয়ায় মেজ নানুরা আবার আট রুমের একটা বাড়ি বানিয়েছে কারন ওনাদের ছেলে পাচটা।। মেয়ে দুটি.. আর আমার আম্মুরা পাচ বোন.. তিন ভাই.. নানি বোধহয় এইজন্যই এতো তাড়াতাড়ি চলে গেছে.. এইটা ভাবতেই ফিক করে হেসে দিলাম আমি… প্রচন্ড সুন্দরী ছিলেন তিনি.. তাই আমার আম্মুরা সব ভাইবোন অতিরিক্ত সুন্দর.. তবে আমার আব্বু শ্যামলা তাই বলে আমরা মিক্স কালার হয়ে গিয়েছি..যদিও আমার অন্যকাজিনগুলো অতিরিক্ত সুন্দর।। আবার ইফ্ফাত আমাদের মতোই.. এইজন্যই বলি ওরে আমাদের বাসায় দেওয়া উচিত ছিল… এইসব ভাবতে ভাবতে আমি মেজনানুর রুমে উকি দিলাম.. ঐ বেয়ারা কোম্পানির মালিক হাসনাত আরিয়ান এইখানেই থাকবে।। আমরা সব কাজিনরা ঠিক করছি সব ছেলে একরুমে আর সব মেয়ে একরুমে থাকবো.. সেইখানে এই মহাশয়ের আলাদা রুম লাগবে।। আর নানু তাই তাদের একটা রুমে একা একেই দিয়ে দিয়েছে..
আমি রুমে ডুকতে গিয়ে সানিয়ার খিলখিলিয়ে হাসি শুনতে পেলাম..আমি দরজায় আড়ি পাতলাম।। দেখা দরকার!!
হঠাৎ হাসনাত ভাই বলে ওঠলো— সানিয়া তোমাকে আজকে অনেক কিউট লাগছে.. মাঝেমাঝেমাঝে ভাবি তুমি এতো সুন্দর মেয়ে কিন্তু আমার থেকে বয়সে এতো ছোট কেন?? সানিয়ে হিহি করে দাত দেখিয়ে হেসে হাসনাত ভাইয়ের গায়ে পড়তে গেল..
আমার আর সহ্য হল না.. আমি গিয়ে ডাক দিয়ে বললাম— এই,, এইখানে কি তুই… একটা ছেলের রুমে.. এতো হাসি কিসের..
সানিয়া মুখ ভেঙ্গচিয়ে বলল– নিজে কেন এসেছ আগে সেইটা বল..
আমি থমথমিয়ে বললাম— পান্জাবী ধুতে এসেছি..
সে দাত দেখিয়ে বলল– ভাল করে ধৌত করিও.. ওনি আবার ময়লা পছন্দ করেন না..এইবলে সে হেসে বেরিয়ে গেল.. আর হাসনাত ভাই বলে ওঠলো— এজন্যত এতো ভালো লাগে তোমাকে আমার সানিয়া…
আমি কটমটিয়ে তার সামনে কোমরে হাত গুজে দাড়িয়ে বললাম— আপনি কি জানেন,, ছোটদের কোমল মনে ভালোবাসার অঙ্কুর গুঁজানো কবিরা গোনাহ…
সে ব্রু উঁচিয়ে বলল– নামাজ কয় রাকাত পড়ছিস সকাল থেকে সেইটা বল… যা গিয়ে তারাতারি কাপড় ধুয়ে দে তুই..
আমি গোমড়ামুখ করে বললাম— আপনি রুম থেকে বের হোন আমি ওড়না রাখবো ওড়না পড়ে কাপড় ধোতে অসুবিধা..
ডোন্টকেয়ার ভাব নিয়ে সে বিছানায় শোতে শোতে বলল– আমার খুব ঘুৃম পাচ্ছে.. আমি ঘুমাব.. তুই তোর কাজ কর…
আমি ভেঙ্গচি কেটে ওয়াসরুমের দরজা বন্ধ করতে গেলাম তখন সে চেঁচিয়ে বলল– বন্ধ করবি না.. আবার শুধু পানিতে ভিজিয়ে তুলে দিবি আর আমি দেখবই না… তাহবে না। তুইতো আবার কামচোর…
আমার মেজাজ গরম হয়ে গেল ইচ্ছে হচ্ছে ড্রেসের জায়গায় তাকে সাবানপানি দিয়ে ধৌয়.. তাহলে সে আর জ্বালাতে পারবে না আমাকে…
মনের ইচ্ছে মনে রেখে পরম দুঃখে কাপড় ধৌতে লাগলাম… সে চিল্লিয়ে বলল– পান্জাবীর সাথে আরো যা যা আছে তা ও ধৌয়ে দিবি.. আমি নাড়াচাড়া করে দেখলাম.. লুঙ্গী, গেন্জি, পায়জামা আর… কিরে এই ছোট জিনিস ও কি আমাকেই ধোতে হবে.. আমি যখন অবাক চোখে দেখেছিলাম তখন সে আবার বলল– কিরে,, ঐটা প্যান্টের ভিতরে পড়ি আমি..বমি এইটাতেও পড়ছে..তো তুই না ধৌয়ে কে ধোবে….
আমি নাক ফুলিয়ে বললাম– আপনি কি জানেন আপনি কত বড় নির্লজ্জ…
সে মুখে দুষ্টু হাসি ঝুলিয়ে বলল– তো আমি কি নারী নাকি যে লজ্জা আমার ভোষন হবে.. আর তুই বকবক কমিয়ে তাড়াতাড়ি হাত চালা.. অলসে কুড়ে একটা.. অভ্যাস কর.. জামাই এরটা ধৌতে হবে…
আমি কাপড় জোরে বাড়ি দিতে দিতে বললাম— তো আমার জামাইয়ের টা আমি ধৌব.. তোমার টা কেন ধৌব???
এইবলে ওড়না ঠিক করতে লাগলাম…
সে হাকিয়ে বলল– সেইটা পরে দেখাযাবে.. এখন আপাতত সুন্দর করে ধৌ… আর এতো জুড়ে বারি দিবি না.. কাপড় নষ্ট হয়. আর তোকে এইখানে ওড়নার ডিজাইন দেখাতে বলি নাই কাজ শেষ কর…
আমি বিরবির করে তাকে বকতে বকতে বাকিটুকু ধৌতে লাগলাম.. আড়চোখে দেখছি তাকে!!! এতোটা সুন্দর না হলেই কি নয়।। কালো গেন্জি আর সাদা ট্রাওজারে তাকে কতোটা মায়াবী লাগছে সে কি তা জানে.. এইযে সে হাতে হেলান দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সেইটা যে আমার ধুকপুকানি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট এইটা তাকে কে বোঝাবে.. সে কি কাপড় ধৌয়া দেখছে নাকি আমাকে দেখছে!! কেন মনে হচ্ছে সে কাপড় না শুধুই আমাকেই দেখছে.. তার ঐ খয়েরী চোখে ভালোবাসার সমুদ্র দেখছি কেন আমি!!! এ কি শুধুই কল্পনা.. সে হঠাৎ ধমকিয়ে বলল– এতো কি দেখিস?? কাজ কর.. আমার মনে হলো আমি লজ্জায় এইখানেই সাবান পানি খেয়ে সুইসাইড করি.. কিন্তু ভাববার বিষয় হলো এই… যদি আমি সুইসাইড করে ফেলি.. ইষা আপুর বিয়ের জন্য যে” সাকি সাকি” গানের নাচ রেডি করছি সেইটা কে নাচবে.. পরম দুঃখে সুইসাইডের প্লেন বাতিল করে দিলাম.. না হয় বিয়ের পর কচু গাছের সাথে সুইসাইড করে নিব… কাপড় ধৌয়া শেষ করে সেইগুলো ছাদে মেলে দিতে গেলাম. কাপড় মেলতেই পাশের ছাদের ইফতি হাই দিল আমাকে…
আত্নীয় না হলেও পরিচিত সে নানুদের।। তাই আমিও হেসে ওর সাথে কথা বলতেই রেলিয়ের দিকে গেলাম দেখি সে তাড়াহুড়া করে দৌড় দিল যেন কুকুর লেগেছে পিছনে। আমি অবাক হয়ে নিজের দিকে তাকালাম। আমাকে কি কাজের মেয়ে রহিমা ভেবে ভূল করলো নাকি পেত্নীর মতো লাগছে যে সে ভয়ে পালালো।
এইসব ভাবতে ভাবতে যেই পিছনে তাকালাম… ইয়া আল্লাহ বলে পিছনের দিকে লাপ দিলাম আমি. এমনিতে হার্ড নরম আমার।।। ডঃ আন্কেল বলে….. তার ওপর এই বান্দা পেচার মতো চোখ করে পিছনে দাড়িয়ে থেকে ভয় দেখায় কোন দুঃখে। আমি হড়হড়িয়ে —পেচার মতো চোখ ওয়ালা কোন পুরুষ মানুষ গোলাপের পাপড়ির মতো নরম কোন কচি মেয়ের দিকে হায়েনার মতো করে তাকায়। মেয়েটাতো ভয়ে টুপ করে ফিট হয়ে পড়ে যাবে…..এই বলে মুখে হাত দিয়ে যেই পালাতে যাব. আমার সামনে এসে আচমকা দাড়িয়ে গেল আর বলল– তুই কি গরু যে গলার বদলে হাতে ঘন্টা লাগিয়েছিস। নাকি ছোট বাচ্চা যে হারিয়ে যাবি তাই এই ঝুনঝুনি লাগাইছিস যাতে তোরে খুজে নেওয়া য়ায়….
আমি মাথা নিচু করে বললাম,, এইগুলো চুড়ি ভাইয়া.. তখন সে তাচ্ছিল্য ভরা হাসি হেসে বলল– এইগুলো চুড়ি… কোনদিন ও হাতিকে চুড়ি পড়তে দেখেছিস?? এইসব তোকে মানায় না… যাদের হাত চিকন.. সানিয়া, ইফ্ফাত, ইস্পা ওদের মানায়…
আমার কান্না আসতে লাগলো কিন্তু কান্না চেপে বললাম— আমি কই এতো মোটা.. ৬১ কেজি মাত্র.. আর আমার হাইট তো পাচ,ফিট চার…
সে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল– হু.. সে শুটকি… তারপর আমার হাত থেকে চুড়ি গুলো খুলে নিয়ে নিল তারপর তা আন্ঙুলে ঘোরাতে ঘোরাতে বলল….. এইসব যার হাতে মানাবে তাকে গিফট করে দিব। তুই ভূল করে কখনো চুড়ি পড়বি না।। এইবলে হনহনিয়ে সে চলে গেল… আমি অন্য আর একটা সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে নেমে গেলাম…
ইফ্ফাত ওর ড্রেস আর চুড়িগুলো দেখাতে লাগলো.. সে শাড়ি পড়বে বিয়েতে.. সে এক্সাইটেড হয়ে জিঙ্গেস করলো— আপু আমি ব্লেকের ওপর হুয়াট পাড়ের শাড়ি পড়বো।। শাড়িটা আম্মুর.. তুমিও শাড়ি পড়বে??? আমি হেসে যেই মাথা নাড়াবো তখনই হাসনাত ভাই তার ফাটাবাশের আওয়াজে হুংকার দিয়ে বলল– না ও গাউন পড়বে.. লম্বা হাতের পা সমান লম্বা নিচে..
আমি তার দিকে রাগী লুক দিয়ে ইফ্ফাতের হাতে নিজের হাতটা শক্ত করে গুঁজে বললাম— আমি খয়েরি কাতান পড়বো যার আচলটা নেটের..
হাসনাত ভাই দেখলাম চোখ রসগুলার মতো করে তাকিয়ে আছে.. তারপর আবার নিচের দিকে তাকিয়ে বলল– মুটিকে শাড়িতে…
আমি তারদিকে না তাকিয়ে তার কথার মাঝখানে ফুড়ন কেটে বললাম— আটার বস্তা লাগুক আর পচা আলুর বস্তা আমি পড়বো… এই বলে ইফ্ফাতের দিকে তাকিয়ে ওকে নিয়ে নিচে চলে গেলাম… ইফ্ফাত কিছু বলতে চায়লো ওকে থামিয়ে বললাম— চল সুনান ভাই, সিয়াম,আর অন্যভাইরা আসছে.. চল ওদের সাথে গল্প করি গা….
চলবে