মেঘের আড়ালে বৃষ্টি পর্ব -৩১

#মেঘের_আড়ালে_বৃষ্টি
#একত্রিশ

#প্রজ্ঞা_জামান_দৃঢ়তা

রোদ, সুচি, সনি বসে আছে প্লেনে। আজ তারা মাুতৃভুমিতে ফিরছে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো মানুষ যেখানে অতিবাহিত করে সেটা হচ্ছে মাতৃভুমি।
রোদ আনমনে ভাবছে সেইসব দিনগুলোর কথা যেদিনগুলোতে তার জীবনের সুন্দর বলে মনে করে।
ছোট বেলায় মানুষ ভালো থাকে বড় হয়ে গেলে কেমন যেন হয়ে যায়। আগের মত সামান্য কিছুতে সুখ পায় না।

সুচি জিজ্ঞেস করে, “কি ভাবছিস রোদ?”

“কেউ যদি বলে আমি কি চাই।
বলবো আমি আমার ছেলেবেলা ফিরে পেতে চাই”

রোদের মুখে এই কথাটি মুগ্ধ করে সনি, সুচিকে। আসলেই ছেলেবেলার মত কিছুই হয় না।

রোদ বলে, “আমি পনেরো দিনের বেশী থাকতে পারবো না। তোরা কেউ আমাকে জোর করবি না।”

সনি, সুচি ডানে বাঁয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দেয়।

সুচি বলে, “আমাদের পরিবারের সবাই খুব খুশী হবে তাই না? এভাবে না বলে যাওয়াটা আসলেই আনন্দের!”

রোদ ও হাসে।

“সত্যি সবাইকে দেখতে পাবো। খুব ভালো লাগছে রে।”

সনি বলে, “রহিম আর রাহাতের সাথে কিভাবে মিট করবো আমরা খুব লজ্জা করছে।”

সুচি ও মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। তারা দুজন হাসে সুখের হাসি।

অন্যদিকে একজনের মনে যে অন্ধকার নেমে এসেছে তারা খেয়ালই করলো না।

রোদ ভাবে হয়তো এমনি ভাবে প্রয়াস ও আমার জন্য অপেক্ষা করতো। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস।

সনি,সুচি তাকাতেই রোদের দিকে বুঝে যায় রোদের মনে কি চলছে।

সুচি বলে, “যদি প্রয়াস ভাইয়ার সাথে দেখা হয়ে যায় তাহলে তুই কি করবি রোদ?”

কথাটা শুনতেই রোদ চমকায়। আর বুকের ভেতর ধুকপুকানি শব্দটা বেড়ে যায় কয়েকগুনে।

“সত্যি কি করবো আমি। আমি পারবো তো নিজেকে সামলাতে! নিজেকে শক্তিশালি করতে?”

“কিরে রোদ চুপ করে আছিস কেন?”

“কিছু বল?”

রোদ বলে, “অন্যান্য মানুষদের দেখলে যেমন সাধারণ আচরণ করি তাই করবো। উনি তেমন কেউ নন যে স্পেশাল ট্রিট করতে হবে।”

সনি, সুচি জানে রোদের মনে কি দুর্যোগ চলছে তাই আর ঘাটায়নি রোদকে।

অনেকটা সময় পর..

রোদ, সনি, সুচি চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে নেমেছে। রোদ সুটকেস নিয়ে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেলে। দুহাত উপরে উঠিয়ে ঘুরতে থাকে আনন্দে। নিজের দেশের মাটির ঘ্রাণ পাচ্ছে সে। সেই ঘ্রানে মন প্রাণ সতেজ হয়ে ওঠে।

কিছুক্ষণ এভাবে তিন বান্ধবী জড়াজড়ি করে ঘুরে।

তারপর সুচি বলে, “চল খেয়ে নিবি?”

রোদ বলে, “উঁহু বাসায় গিয়ে খাবো। সবার সাথে। মায়ের হাতের রান্না দিয়ে।
তোরাও নিশ্চয়ই একই কাজ করবি?”

সনি,সুচি,রোদকে জড়িয়ে ধরে বলে, “এই কথা আমাদের মনে তো আসেনি! তুই আসলেই জিনিয়াস।” আবেগে আবার দুজন দুগালে চুমু খায় রোদের।

রোদ আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অনেক উৎসুক জনতা তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।

রোদ মুচকি হেসে বলে, “দেখো বান্ধবীরা সবাই কেমন তাকিয়ে আছে। গে ভাবছে তোদের বুঝলি? আমরা বাঙালী ভুলে যেও না।” বলেই ঠোঁট টিপে হাসে রোদ।

দুই বান্ধবীকে দুই গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে,রোদ নিজের ভাড়া করা গাড়িতে উঠে।
হৃদপিন্ডের গতি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ভালো লাগছে এতোদিন পর সবার সাথে মিলনের সুখে। আবার মাঝে মাঝে মন বিদ্রোহ করে উঠে। কোন এক অজানা বিরহে। যা কাঁটার মত বিঁধছে রোদের বুকে।

“বলা হয়ে থাকে এক হাড়ি দুধে এক ফোঁটা লেবুর রস দিলে সবটা দুধ নষ্ট হয়ে যায়। তেমনই এক চিলতে কষ্ট এক বুক সুখকে বিলিন করে দেয়”

রোদেরও এখন তাই মনে হচ্ছে।

বাসার সামনে দারোয়ান চাচাকে দেখে জড়িয়ে ধরে রোদ।

“ভালো আছো চাচা?”

“ভালো আছি আম্মা।”

চশমাটা একটু নেড়ে বলে, “রোদেলা আম্মা আপনি আইছেন? কই কেউ আমারে কইলো না?”

“চাচা কেউ জানে না। সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছি।”

চাচার চোখে আনন্দের অশ্রু।

রোদ চাচার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে, “আমি আইছি আর তুমি কাঁনতাছো চাচা? তুমি বুঝি খুশী হওনি?”

চাচা রোদের মাথায় ঘাট্টা মেরে বলে, “আমার আম্মায় দেহি আগের মতন আছে! কত দেখছি জীবনে বিদেশ গেলে পোলা পাইন বিদেশী হইয়া যায়। আমার আম্মায় ঠিক আগের মতন আছে। সাজ পোশাক ও আগের মতন।

রোদের পরনে সেলোয়ার কামিজ সেই আগেকার মত। সিম্পল জামা গর্জিয়াস ওড়না। পুরো বুক কাভার করে দু পাশে দুটো সেফটিফিন লাগানো। এক পাশ হাতে বাজ করে নেয়া। একেবারে বাঙালি মেয়ে।

রোদ বলে, “দেখতে হইবো না আম্মাটা কার?”

চাচা বলেন, “আম্মা তুমি পইলার মতন কথা কইতে পারো এখনো? আমারে নকল করবার পারো?”

রোদ বলে, “সব পারি। চাচা উপরে যাই? ড্রাইভারকে দিয়ে সুটকেস পাঠিয়ে দাও।”

রোদ বাসার কলিংবেল চেপেই সাথে সাথে দরজা থেকে সরে যায়।যাতে ভেতর থেকে তাকে কেউ না দেখতে পায়।

কেউ দরজা খুলছে না। হয়তো কাউকে না দেখে খুলছে না। এবার রোদ অনেকবার চাপে, দরজা খুলে দেয় রোদের ভাবী। খুলেই হা হয়ে থাকে।রোদকে আগে না দেখলেও ছবি দেখেছেন তিনি। রোদ তার বিয়ের সময় ছিলো না।

“আরে ভাবী মুখ বন্ধ করো। মশা মাছি সব ঢুকে যাবে। পরে তো সব আমার ভাইয়ের মুখে যাবে।” বলেই চোখ মেরে হাসে রোদ।

রোদের ভাবীর নাম ইরা।ইরা রোদকে জড়িয়ে ধরে।

তারপর বলে, “আম্মাকে ডাকি আমি।”

রোদ বাধা দিয়ে বলে, “না ভাবী তুমি ডেকো না। আমি যাচ্ছি। আব্বু আম্মু তাদের ঘরে?”

“আব্বু বাইরে এখনই চলে আসবে আম্মা ঘরে।”

রোদ ধীর পায়ে মায়ের রুমের দিকে এগিয়ে যায়। মিনু বেগম বসে বই পড়ছেন উল্টো দিকে ফিরে।

রোদ আস্তে করে উনার চোখ ধরে ফেলে।
মিনু বেগমের পুরো শরীর কাঁপতে শুরু করে। অস্পষ্ট সুরে বলে,রো_রো_রোদ্দুর!

বলা হয়ে থাকে মা সব বুঝে যায়। সেটা হোক সন্তানের স্পর্শ কিংবা গায়ের গন্ধ।
তাই মিনু বেগম বুঝে গেলেন তার অপেক্ষার দিন শেষ। চোখ ধরা অবস্থায় অনবরত পানি পড়তে থাকে।

রোদ সামনের দিকে ঝুকে মাকে জড়িয়ে ধরে নিজের চোখের জল লুকানোর চেষ্টা করে।

অনেকক্ষণ ধরে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে রাখেন মিনু বেগম। মায়ের বুকে রোদও পরম শান্তি অনুভব করে। মনে কোন চাপ থাকে না। নিরাপদ ভাবে নিজেকে। একজন মা আর সন্তানের সম্পর্ক আসলেই নাড়ির থেকে হয়ে থাকে। নয়তো হাজারটা কষ্ট মুহূর্তে উধাও কি করে হয়ে যায় মায়ের বুকে আসলে! মায়ের জঠোর সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

একটুপর কলিংবেল বেজে ওঠে।

ইরা এসে রোদকে বলে, “রোদেলা আব্বু আর মেঘলা এসেছে।”

রোদ মাকে বলে, আসছি আম্মু।”

মিনু বেগম, ইরাও রোদের পিছু পিছু যায়।

রোদ দরজা খুলে সরে যায় দরজা থেকে ঠেলে ঢুকতেই আল মাহমুদ সাহেব চমকে যান। উনার শরীর ও কাঁপছে। উনি রোদের চোখ মুখ ছুঁয়ে দেখেন।

আব্বু বলে ডাকতেই মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন।

মেঘলা বসে কান্না করছে সোফায়। আজ এই বাসার সবাই কান্না করছে। কিন্তু সেই কান্না কোন কষ্টের না। সুখের!

ইরাও কাঁদছে। ইরা মেয়েটা খুব ভালো। এতোদিনে সে বুঝতে পেরেছে কতখানি সবাই রোদকে ভালবাসে। এই বাসায় সবাই রোদকে কতটা মিস করেছে প্রতিটি দিন তা দেখেছে ইরা। অনেক পরিবার দেখেছে ইরা কিন্তু এই পরিবারটা সবচেয়ে আলাদা,একটু বেশীই আলাদা। তাই এই পরিবারের বউ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করে ইরা।

রিফাত আসলে আজকে কি করবে কে জানে। বোনকে যে সে চোখে হারায়। কত শুনেছে রোদের গল্প রিফাতের মুখে।

মাঝে মাঝে ইরা ভাবে এতোটা দূরে থেকেও কেউ কিভাবে মানুষের মনে এতোটা কাছে থাকে। সেই মানুষটা নিশ্চয়ই সবার থেকে আলাদা। আজ রোদকে চোখে দেখে বুঝে গেলো ইরা।

মেঘলার কাছে গিয়ে রোদ ফ্লোরে বসে মেঘলার মুখ তুলে বলে, “আমাকে না তোর দেখতে ইচ্ছে করে? এই তোর ইচ্ছে? আমি আসলাম আর তুই মরা কান্না শুরু করেছিস। যেন আমি মরে গেছি!”

মেঘলা রোদকে ঝাপটে ধরে বলে, “একদম বাজে কথা বলবে না। এতোদিন কেনো আসলে না? আমি তোমাকে কত মিস করেছি জানো?”

“আমি ভেবেছি তুই বড় হয়েছিস। কিন্তু দেখছি তুই আগের মত বাচ্চা আছিস।বুড়ি বাচ্চা!”

সবাই হো হো করে হাসে।

ইরা রান্না করতে যায়। রিফাতকে কল দেয় বাসায় আসার জন্য। আব্বু অসুস্থ বলেছে। যেন তাড়াতাড়ি আসে।

সবাই রোদের আসার কথা শুনছে ড্রয়িং রুমে বসে। এমন সময় রিফাত ভেতরে ঢুকে। দরজা ফাঁক করাই ছিলো।

রিফাত এসে রোদকে দেখে চমকায়। এই চমকানোর মাঝে ভালো লাগা আছে।
রোদ ভাইয়ের কাছে আসে। রিফাত অবাক হয়ে জায়গা থেকে সরছেই না। মনে হচ্ছে এটা এক মিলনের সন্ধিক্ষণ।

রোদ বলে, “আমাকে দেখে তুমি খুশী হওনি তাইনা ভাইয়া?”

রিপাতের চোখ দিয়ে দুফোঁটা আনন্দ অশ্রু ঝরে পড়ে!

রোদ বলে, “ধুর কেনো যে এলাম! সবাই আমাকে দেখে কান্না করছে! কোথায় ভাবলাম সবাই হাসবে তা না!

রিফাত বরাবরের মত রোদের মুখের সামনে পড়ে থাকা। চুলগুলো টেনে বলে, “ওরে দুষ্টু”

ভাইকে জড়িয়ে ধরে রোদ।

এমন সময় পাশের রুম থেকে রোদ শুনতে পায় কেউ কান্না করছে মিষ্টি সুরে।কারো কান্না যে এতো সুন্দর আগে জানতো না রোদ।

ইরা সেই কান্না করা মেয়েটাকে কোলে নিয়ে এগিয়ে আসে রোদের দিকে।রিফাতের দিকে তাকাতেই রিফাত হাতের ইশারায় একবার নিজের দিকে আবার মেয়েটার দিকে ইশারায় বুঝায়। এই মেয়ে তার অংশ।

“রোদ্রময়ী”

রোদ কোলে নেয় রোদ্রময়ীকে।রোদের ভাতিজি। রোদ একদিন দুষ্টুমি করে ভাইকে বলেছিলো। রিফাতের মেয়ের নাম রোদ্রময়ী রাখবে সে তার নামের সাথে মিলিয়ে। আজ নামটা শুনে সেদিনের কথা মনে পড়ে যায় রোদের।

এই জন্য এতোদিন মেয়ের নাম রিফাত বলেনি রোদকে অবাক করে দিবে বলে।

রোদ্রময়ীকে কোলে নিয়ে আদর করে রোদ।

সবাই ঠিক বলে, “রোদ্রময়ী রোদের মত দেখতে হয়েছে।”

আজ রহমান পরিবারে খুশীর বন্যা বইছে

আজ রোদের উপস্থিতি সবার মাঝে পরিপুর্নতা দান করেছে। সবাই খুশী সবাই।

“প্রয়াস সিলেট থেকে ছুটিতে বাসায় এসেছে। প্রয়াসের ট্রান্সফার হয় সিলেট কোন এক ব্যাংকে। তাই সেখানে থাকতে হয় তাকে।

অনেকদিনের ছুটি জমা ছিলো তাই এসেছে নিজের বাসায়। আরিফুর রহমান অসুস্থ তাই ছেলেকে আসতে বলেছেন।

প্রয়াস বারান্দায় বসে গিটারে টুংটাং আওয়াজ করছে। অনেক দিন পর গিটার হাতে নিয়েছে। কাজের জন্য সময়ই হয়না এখন গিটার নিয়ে বসার।

রিমি এক কাপ কফি নিয়ে আসে প্রয়াসের কাছে।
“তোমার কফি।”

“প্রয়াস আলতো হেসে কফির মগ হাতে নেয়।

“তুমি কি কয়দিন থাকবে?”

“হুম থাকবো।”

রিমি আবার কিছু একটা বলতে নিলেই পাশের রুম থেকে বাচ্চার কান্না আসে।

রিমি বলে, “এই মেয়ে হয়েছে এমন। একটু শান্তি মত কথা ও বলতে দিবে না।”

প্রয়াস মুচকি হাসে।

রিমি বলে, “তুমি হেসো না তো। আমি আসছি তুমি বসো।কথা আছে।”

★★★

রিফাত তার চাচ্চু আর বড় আব্বুদের বাসায় কল দিয়ে জানিয়ে দেয় রোদ আসার কথা। আগামীকাল রাতে দুই পরিবারের সবাইকে দাওয়াত দেয়। তাদের বাসায় খাওয়া আর আড্ডা দেয়ার জন্য।

রোদ, মেঘলা এক সাথে শুয়ে আছে।

মেঘলা বলে, “আপু তুমি প্রয়াস ভাইয়াকে মিস করো এখনো তাই না?”

রোদের মনে এতোক্ষন পরিবারের সাথে থেকে যে আনন্দ ছিলো। মুহূর্তেই তা অন্ধকারে ডেকে গেলো। পুরনো অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। যা অত্যন্ত যন্ত্রনার। এই যন্ত্রনা বুকের ভেতরটায় খোছাচ্ছে খুব।

রোদ বলে, “রিমি আপুর কি অবস্থা?”

আসলে রোদ প্রয়াসের কথা জিজ্ঞেস করতে চাইছে। কিন্তু সাহস হলো না। তাই ইন ডিরেক্টলি রিমির কথা জিজ্ঞেস করে। সে জানে রিমির খবর মানেই প্রয়াসের খবর।

মেঘলা বলে, “রিমি আপুর একটা মেয়ে হয়েছে খুব সুন্দর!”

মুহুর্তেই রোদের মুখের আভা পালটে যায়।অসহ্য কষ্ট ভর করে সারা গায়ে।

অথচ সে জানতো এমন কিছু হয়েছে।
তারপর ও কেনো মন মানতে চায় না।

সবাইতো এগিয়ে গেছে, তাদের জীবনে সে কেনো পারছেনা। তাচ্ছিল্যের হাসি আসে তার।

মেঘলা আবার বলে, “আপু তুমি প্রয়াস ভাইয়াকে ঘৃনা করো তাই না? তোমার মন ভাঙার জন্য দায়ী করো তাই না?”

রোদ উত্তরে হাসে আর বলে,

“যার উষ্ণ আঁচে ভালবাসা বাঁচে”
তবু সে হৃদয় ভাঙে তা মানি না ”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here