#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব__১৪
#লেখিকাঃফাতেমা_জোহরা_নাভিলা
৩০.
নাম বিহীন এক পাহাড়ি এলাকার পাহাড়ের উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছি এইখান থেকে নিচের মানুষগুলোর সাইজ এক একটা পিঁপড়া মতো লাগছে আমার কাছে। চ্রটগ্রাম এসেছি আজ দুইদিন হবে এই দুইদিনে কোথাও বের হওয়া হয়ে উঠেনি। তার অভস্য এক বিশেষ কারন ও আছে বটে, তা হলো আমার অতি ভোলাভালা অনিক ভাইয়া বিয়ে আসর থেকে কন্যকে তুলে এনেছে এই ঘটনায় পুরো থানচি টু নারায়ণগঞ্জ ইতিমধ্যে ভাগ মিরকা ভাগ টাইপ রটে গেছে অলরেডি।।। আমরা এখানে আসার পর ও ভাবির বাসার লোকেরা এসে অনেক ঝামেলা করেছেন। কাল দুপুরে পরে দুই পরিবার একসাথে বসে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনিক ভাইয়া আর ভাবি মানে রুপা যেহেতু তারা পালিয়ে দুই পরিবার এর সম্মান অলরেডি ধুলোতে মিশে দিয়েছে তাই আর বাকি সম্মান না মিশিয়ে এক্সট্রা সমস্যা না বারিয়ে দুই পরিবার মিলে তাদের চার হাতকে এক করে দেওয়া ভালো হবে এতে আশেপাশে কানাকানি ও কম হয়ে যাবে আর সম্মান ও কম নষ্ট হবে।।।।।
.
.
দুপুর দুইটায় শপিং থেকে এসে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে এক ঘুম দিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি পুরো বাড়ি ফাকা আম্মু খালামনিরা আশেপাশের কিছু কাছের আত্নীয়-স্বজনদের দাওয়াত করতে বের হয়েছেন।আব্বু আর খালুজান মেন্ডেইল এর কাজ গুলো দেখছে আপাতত আর আমার কাজিনরা ব্যাচেলার পার্টি থিম এর জন্য জিনিসপাতি আর খাবার দাবাড় আনতে বের হয়েছে। পুরো বাসাতে আমি দিপ্ত ভাইয়া আর ফারদিন অনিক ভাইয়ার ছোট ভাই আছি। তাই আমরা ঠিক করলাম বাসায় এভাবে বসে না থেকে আশেপাশে থেকে একটু হেটে আসি এতে মন ও ফুরফুরে হবে।
.
.
ফারদিনঃএইইই অনিক ভাইয়া মেসেজ দিয়েছে বাসায় সবায় এসে পরেছে,এখন চল আমরাও বাসায় যাই । এখন বাসায় না গেলে পরে সন্ধায় পাহাড় দিয়ে হেটে যেতে সমস্যা হবে অনেক, কাল আবার সবায় মিলে একসাথে আসা যাবে এখন চল বইন। আল্লা ওয়াস্তে এই পাহাড়ি সাথে প্রেম স্রেম ভাব পরে এসে করিস।।
.
দিপ্তঃ হ্যা বইন চল, এমনেই আমি এক রক্ত শূন্যতা রোগী এর মধ্যে ফ্রিতে একঝাক রক্তদান আর করতে পারছিনা এইভাবে দাঁড়িয়ে,আর পা দুইটো ও চলতে চাইছেনা আমার।।। করুনা কর ভাইয়ের উপর একটু।।।অসহায় ভাবে।।।।
.
নূরঃ তোমরা কতো খারাপ আল্লা,,, এই নিরহ সিংগার প্রানীদের একটু মিস্টি রক্তদান করে পূন অর্জন করছো তা আর হজম হইলো না তোমাদের এই বদ পেটে,,,,ধরো এই মশাটা আজ জন্ম নিসে, মশা হায়াত মাএরো দুইদিনের জানো তো!!!! দুইদিন বাদে যখন মরে যাবে তখন বলতে তো পারতো ঢাকা থেকে সেই এক দিপ্ত দ্যা বডি বিল্ডা এসেছিলো সে আমাকে পরোম আদরে তার রক্ত শোষণ করতে দিয়েছিলো আহা কই মজা ছিলো ,,,,,,, জীবনটাই তোমাগো বেদনা দ্যা মশা কোম্পানি থেকেও নাম কামাইতে আর পারলানা,,,,,,চলো।মুখ ভেংচি দিয়ে সামনে হাটতে হাটতে।।।।
৩১.
বাসায় এসে দেখি বাগানের মাঝে মেন্ডেইল এর টেবিলে বসানো হয়েছে তার মধ্যে সবায় গোল হয়ে বসে আড্ডাবাজি দিচ্ছে আর টেবিলের মাঝে বরাবর গরম গরম ধোয়া উঠা চা আর সবজির পাকোড়া রাখা আছে অইখান থেকে নিয়ে সবায় খাচ্ছে আর গল্প করছে।। আমি ও আর দাঁড়িয়ে না থেকে জলদি করে গেলাম যদি পাকোড়া শেষ হয়ে যায়। টেবিল সামনে গিয়ে উক্কি ঝুক্কি দিয়ে চার পাচটে পাকোড়া আগেভাগে নিয়ে সুয়েটার এর পকেটে পুরে নিলাম। আর একটা নিয়ে মুখে দিতেই পিছ থেকে আম্মু বলে উঠল,,,
.
আম্মুঃ আস্তে নূর পাকোড়া খুব গরম মুখ পুড়ে যাবে তো।।।
.
.
” আমি আম্মুর বিবরীতে শুধু অহুহু অহু করলাম কারন ইতিমধ্যে আমার ঘটনা ঘটে গেছে আমার মুখ পুরো পুড়ে গেছে।।বহুত কষ্টে মুখের পাকোড়াটা চাবিয়ে শেষ করে পানি খাচ্ছি একেতো অতি গরম ছিলো দ্বিতীয় অনেক ঝাল ছিলো আমার চোখ ঝালে লাল হয়ে আছে আর গরমে কান দিয়ে ট্রেন এর ধুয়া বের হচ্ছে।।। বাগান থেকে বড় বড় ধাপে দোতালা রুমে আসলাম যে রুমটা আমাকে আর অনিক ভাইয়ার দুইটো কাজিনকে এক সাথে থাকতে দেওয়া হয়েছে। রুমে এসে আমি পুরো থ আপি খাটের উপরে ল্যাকেজ রেখে জামা বের করছেন।
.
.
নূরঃ আপি তুমি,,,কখন আসলে আমাকে তো কেউ বললো ও না।।।। তুমি আসছো।। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে।।।।
.
.
“নূরের কথায় ইশারার কানে যেতেই হাত থেকে শাড়ি খাটে রেখে নূরের সামনে আসলো।এসেই ধমক এর শুরে বলে উঠল,,,,,
.
.
ইশারাঃ ঔই বদ এর হাড্ডি তোর ফোন কইরে, ফোন দিলে পাইনা কে চান্দে দেশে থাকস।।।। আর আমাকে না জামিয়ে উড়ো চান্ডিকার মতো এখানে উড়ে আসলি কেন।তুই জানিস তোকে কতো শত শত ফোন দিয়েছি আমি ।।। প্রথমে তো আমার একটাও ফোন পিক করিস নাই তার উপর পরে আবার ফোন দিয়ে দেখি ফোন বন্ধ করে রেখেছিস।।।রাগিতো সুরে।।।
.
.
নূরঃ অহহ রিলাক্স আপি এতো চিল্লাও কিল্লাই জিজু শুনলে তো ভেগে টেগে যাবে কানে হাত দিয়ে।।ফোনের সাথে এখানে এসে ইতিমধ্যে আমার সম্পর্ক খুব খারাপ হয়ে গেছে, ফোন ড্রয়ারে ঘুমায় চার্জার আনতে ভুলে গেছি তাই আপাতত বন্ধ হয়ে পরে আছে।।।।আর তার থেকে বড় কথা সবাইতো এইখানে আমাকে ফোন দিবে আর কে তাই ফোন আর চার্জ দেওয়া দরকার মনে করিনি।।।তাই দেইনি।।।।
.
.
ইশারাঃ বাহহহ সেই ভালো,, একজন ফোন ধরবে না বন্ধ করে নাকে তেল দিয়ে রাখবে আর একজন বাসায় এসে জিনিসপত্র ভাংচুর করবে তাকে বাড়িতে ফোনে কোথায় খুঁজে না পেয়ে। আর এইসব ঠ্যালা সামলাতে হবে কা কে আমাকে।।।।।রেগে কথা গুলো বললো।।
.
.
মানে!!!! কি বলতে চাও তুমি।আমি সামান্য ফোন না ধরায় কার তুলকালাম হলো।।।। মোবাইল কোম্পানি বাদে আমারে আবার কেঠাই তার সুখেদুঃখে এতো মনে করল।।।অবাক হয়ে।।। একটু রচনাটা বলবা।।।
.
.
এরপর আমি যা শুনলাম আপির থেকে তা শুনে আমার কান পুরো শুদ্ধ,,,,,,,, উনি কোথায় আপি?? তোমাদের সাথে কি এসেছেন।ভাবুক হয়ে।।।।
.
.
নিচে ভাইয়া, ইরফান অনিক ভাইয়া আর আব্বুর সাথে কথা বলছে,,,, তুইতো বাসায় ছিলিস না তাইতো অনিক ভাইয়াকে দিয়ে ফারদিনকে মেসেজিং করে তোদের তারাতারি আসতে বললাম।।। এভার সামলা কেমনে কি করবি।।।
৩১.
আমি আপুর কথা শুনে কথা বলার ব্যাকরুদ্ধ হারিয়ে ফেললাম ইতিমধ্যে , কি বলবো আপুর বিবরীতে, আপুকে কিছু না বলে বড় সড় এক ঢোক গিলে ব্যালকনিতে আসলাম। নিচে উক্কি ঝুক্কি দিতেই বেশী কষ্ট আর করতে হলো না,,, লাল প্যান্ডেল এর পাশে সাদা শার্ট এক যুবোক দিকে চোখ গিয়ে থোমকে গেলো আমার।শাটের উপরে দুই তিনটে বোতাম খোলা তার মধ্যে সানগ্লাস ঝুলানো , চুলগুলো উল্কোসুল্কো হয়ে আছে এলোমেলো হয়ে কপালে উড়ে পরছে,,মুখটা চুপসে আছে চোখ দুইটো অসম্ভব লাল হয়ে আছে। এই উল্কোসুল্কো তেও বেটা সাইকো কে নোট ব্যেড।।। এভার চোখ গেলো তার বাম হাতের দিকে হাতে ব্যান্ডেজ করা তাহলে আপিকি সত্যি বললো,,,,ইয়াদ নাকি সেদিন বাসায় আসেনি পরেদিন বিকালে এসেছেন এসেই ছাদে চলে যায় কাউকে কিছু না বলে আর ছাদে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা লক করে রাখে, রাত দশটায় ছাদ থেকে এসে যখন বাড়িতে রুমে আমাকে কোথায় ও খুঁজে পাইনি তখন বলে আমার উপর চিল্লানো শুরু করেছে। মামনি ইরার সাথে দেখা করতে হোস্টেল গিয়েছিলো তাই সে বলতে পারিনি আমি কোথায় আছি। সেইদিন রাত দশটায় রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ইয়াদ গাড়ি নিয়ে আমাদের বাসায় উদ্দেশ্য রওনা দেয় বাসায় এসে দেখে বাহিরে তালা দেওয়া। তালা দেখে উনার রাগ আরো সপ্তম আসমানে চলে যায়। আমাকে নাকি ফোন দিয়েছে আমার ফোন বন্ধ ছিলো রাগে বাসায় এসে রুমের সব জিনিস হাতের সামনে যাই পেয়েছেন তা এক প্রকার নিয়ে ভাংচুর করা স্ট্রাট করে দেয়। আপু ভয়ে আব্বু আম্মুকে অনেক ফোন দেয় কিন্তু কেউই ফোন পিক করে না। করবে কি করে এইখানেতো কম ঝামেলা চলছিলো না তখন,ফোন তুললেও কোন ঝড় রেখে কোন ঝড়কে আগে থামাতেন।।।রাতে যখন মামনি বাসায় ফিরে তখন এই ইয়াদ এর এইসব পাগলামো শুনে রুমে আসে। তখন ইয়াদ মামনির কথা শুনে শান্ত হয়। নূরের বাবা নূরকে নিয়ে চ্রটগ্রাম যাওয়ার আগে তাকে ফোনে দিয়ে জানিয়ে দিয়ে ছিলো।।।
“এতো পাগলামির মানে কি যাকে তিল পরিমান সহ্য করতে পারেনা সেই আমার জন্য এতো পাগলামো করেছে আদৌ ভাবা যায়।।।।হোয়াট এ ইতিহাস নূর।।।। এইটুকু জীবনে কপালে আর কি কি শুনা বাকি রাখছে আল্লামালুম কে জানে।।।
.
“অনিক ভাইয়ার হাতের ট্যাক অনুযায়ী উনি নিচ থেকে উপরে আমার দিকে তাকালেন উনার এই রুক্ষচোখে চোখ পরতেই আমার ভয়ে কলিজা কেপে উঠল আমি রুমে এক প্রকার দৌড় দিলাম।।।।আব্বু বাচাও এই সাইকো বেটা ছোবলা থেকে মনে হয় এই চোখ দিয়েই আমাকে আজ বর্স্য করে ফেলবে,,,
#মেঘের আড়ালে 💞
#পর্ব__১৫
#লেখিকাঃফাতেমা_জোহরা_নাভিলা
৩৩.
চারটে বিয়ারের ক্যান এর সামনে গোল হয়ে বসে আছে দুই জন বালিকা।। ছাদ থেকে বাহুত কষ্টে কাঠখড় পুড়িয়ে এই চারটি ক্যানকে কিডন্যাপ করেছি এক প্রকার সবার চোখ ফাঁকিবাজি দিয়ে সেই চারটে কথা।
ইশারাঃ এইকি তোরা বসে আছিস কেন শুরু কর ওয়াশরুম থেকে বের হতে হতে।।।
নূরঃ তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখন টুপুস করে বসে পরতো,,,, মিশন বিয়ার এর টেস্টিং সেস্টিং শুরো করা যাক। আজ টেস্ট করে জানতে হবে এর মধ্যে কাইশার ভাইয়ের কোন ফর্মুলা মুলার জুস লুকানো আছে । যার কারনে আমার অতি প্রিয় ভাইয়েরা তাদের ব্যাচেলার পার্টিতে এন্টি নিতে দিলো না।এই মালিহা যাতো নিচ থেকে দুইটো গ্লাস নিয়ে আয় চ্রটজলদি করে।।
মালিহাঃ দুইটো কেনো!!! আমরা তো তিন জন আপি।।
নূরঃ এতো কথা কস কিল্লাই যাতো এখন,,, আর শুন নিচে বাবুচি মামা ফ্রাই বাজঁছে অইখান থেকে আমাদের জন্য গরম গরম ছয়টা ফ্রাই নিয়ে আসবি আসার সময় মনে করে আহহহহহা।।।(দুই হাত পিছে ভর দিয়ে কাধ হয়ে আধো শুয়া হয়ে) এভাবে তাকিয়ে আছিস কিল্লাই এলিয়েন দের মতো রসগোল্লার চোখ করে, তোরা টিভিসিভিতে মুভি দেখিস না বিয়ার সাথে যে ফ্রাই ট্রাই খাই নায়িকা নায়করা তাই তো বললাম। জীবনে প্রথম যেহেতু একটু টেস্টিং করছি সেই ভালো করেই করি।।।।৩২ বাতি লাইট দেখিয়ে।।
মালিহাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।।
নূরঃ আর শুন এসে ডাক দিবি আমাদের, তোর আওয়াজ শুনেই দরজা খুলবো এর আগেনা।।।
মালিহাঃ আচ্ছা আপি।।
.
.
মিনিট পাঁচ না হতে হতেই মালিহা যাওয়া পর পরই দরজায় টোক্কা পরলো। দরজায় টোক্কা হওয়াতে আমার আপির গলা শুখিয়ে কাঠ হয়ে গেলো ইতিমধ্যে একে উপরের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে দরজার দিকে জোরসোড় হয়ে তাকিয়ে আছি ভয়ে,মালিহা আসলে তো ডাক দিবে,,,,,,,, তাহলে,,,,,এরা কি কোন ভাবে টের পেয়ে গেলো আমরা যে চারটে বোতল লুকিয়ে এনেছি। (ঢোক দিয়ে নূর বলল)
ইশারাঃ এইইইই নূর গিয়ে দেখনা কে আসছে।।।কাপা কাপা কণ্ঠে বলল।।।।
নূরঃ চোখের সামনে এতো বড় বইন বসে থাকতে আমি কেন বাচ্চা মানুষ যাবো খুলতে,, তুমি গিয়ে দেখে আসো আমি পারমুনা।।।
ইশারাঃ দেখ বোন তোর মতো কি আর আমার
মনে এতো শতো সাহস সঞ্চয় আছে বল।।।। যেখানে সব ভাইদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদ থেকে তুই অনায়ার বিয়ার এনেছিস ,,,,সেখানে দরজায় খুলা কোন মুলার ক্ষেত তুই দরজা ঠিকই খুলতে পারবি এটা কোন বড় ব্যাপার স্যাপার না তোর কাছে।।।
নূরঃ পাম দিচ্ছো আমাকে,, (অসহায় সুরে)এভাবে আমাকে ঠেলে দিতে পারলা। হেইইইই আল্লা, এইইইই আমি ঘসিটির বেগমের মতো বইন এর কথায় শুনে নাচতে নাচতে শেষ মেস চুরিটা করছিলাম।।।।।। আল্লা (আড়চোখে তাকিয়ে দেখি আপি খাটে কম্বল টেনে বসে আছে আমার বুঝতে আর বাকি রইলনা আমার ডারফক বইন যে ইহা কালে আর উঠবে না)তুমি এতো অকামের ডেহি কেন।।।(অসহায় ফ্রেশ করে জিভ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে),,,,, এক কাজ করো তুমি ঘুমের নাটক করো আর বিয়ার এর বোতল গুলো কম্বল এর নিচে লুকিয়ে রাখো।।।আমি দেখছি।।।
ইশারাঃ আচ্ছা।।।
৩৪.
“আল্লা এভারের যাএরায় মতো বাঁচিয়ে দিও।।।পিছে দিকে তাকিয়ে আমি খুললাম ” (ঢোক গিলে)
দরজায় খুলে আমি যা দেখলাম বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই,,,,, তা দেখে আমার মেজাজ গেলো তিব্বো পরিমান চ্রটে। দরজার ওইপাশে আর কেউনা আমার কাজিন গুনোধর খালাতো বইন মালিহা দাঁড়িয়ে আছে এক হাতে ট্রে যার মধ্যে গ্লাস আর কিছু ফ্রাই নিয়ে আছে,,,আর এক হাতে ফ্রাই যা ও কিছুক্ষন পর পর মুখে পুরচ্ছে আর চোখ বুঝে চিবাচ্ছে।। এমনেই আমি সেই সন্ধায় থেকে ইয়াদ এর ভয়ে রুমে লুকিয়ে আছি এর মধ্যে এই মাইয়া আরো ভয় দিলো এই ছোট মনে। দুই ভয় মিলে মনের মধ্যে যদি ব্লাস্ট ফ্লাস্ট হয়ে যেতো তখন কি হতো আমার ভেবেই মালিহার পিঠে দিলাম এক কিল্লল্ল,,,,,,
মালিহাঃ আহা মারলা কেন!!চিল্লিয়ে।।।।
নূরঃ বদ এর হাড্ডি টোক্কা দিলি কেন।।।।রেগে।।।
মালিহাঃ তাই মারবা আমাকে।।।।
ইশারাঃ তোরে যে অয় এই দোতালা সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দেই নাই এই শুকরিয়া কর আল্লার কাছে ।।।খাট থেকে উক্কি দিয়ে বললো।।।
মালিহাঃ আমারে কেউ ভালোবাসে না,,,ন্যাকা কান্না করে।।
নূরঃ চুপ কর বজ্জাত বেটি।।।
ইশারাঃ আচ্ছা এখন ভিতরে আয় কেউ দেখলে সমস্যা হবে।।।
“নিচে ফ্লোরে বসে আল্লার নাম নিয়ে বিয়ার এর ক্যান খুলে একে উপরে মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েকটা সেল্ফি তুলে নিলাম।।হায়য়য়য়য় সেই ফিলিংস,,,,,,,,,,,
নূরঃ এভার খাওয়া যাক,,,, বলে মুখে এক সিপ দিতেই নিমিষে করলার মতো মুখ তিতো হয়ে গেলো।।।।ইয়াজ্ঞজ্ঞজ্ঞজ্ঞ ছিয়য়য়য়য় এসব ছাইপাঁশ খাই কেমনে মানুষ,,,,,,,,, নেশা হওয়ার তো দূরের কথা মুখই চিরতা হয়ে গেলো আমার।।। ইয়াজ্ঞজ্ঞ থু থু।।
ইশারাঃ শুন নূর প্রথম সিপে একটু তিতো লাগে পরে আর লাগেনা খেয়ে দেখ আমার তো এর টেস্ট সেই লাগছে।।।
নূরঃ বলছো??? খাবো।।
মালিহাঃ হ্যা,আপি খেয়ে দেখো না অতো ও খারাপ না।
নূরঃ আচ্ছা, বলেই নিজের হাতের ক্যান দিকে তাকিয়ে চোখ নাক কুঁচকে দুই সিপে শেষ করে ফেললাম,, (এক নিশ্বাসে) শেষ করার সাথে সাথেই হৈচঁকি উঠে গেলো।।। রুমে তো পানিও নেই যে পানি খেয়ে এই হৈচকি থেকে রেহাই পাবো কুল কিনারা না পেয়ে পাশে যে আর একটা এক্সট্রা বিয়ার ছিলো তা খেয়ে ফেললাম।।। হৈচকি তো বন্ধ হলো কিন্তু এখন লাগছে অতি গরম কান দিয়ে ট্রেন এর ধোয়া বের হচ্ছে আমার। নিচ থেকে উঠে হুডি খুলে ফেলে দিলাম ফ্লোরে তার পর ও গরম কমছেনা। মাথা ও যেমন চোরকির মতো ঘুরছে।। সব কিছু যেমন ঘোলা ঘোলা লাগছে।।।।অৎতেরিকি এই কি হলো আমার এক সাথে এতো কিছু কেন লাগছে।।।।আল্লাহ,,,, এই মালু ফেন এর সুইচটা দেয় তো।।।।
.
এ এএএএইইইই ক ক কই কি করচ্চছিস কি তোরা।।।।
.
এভাবে কেপে কেপে কথা বলছো কেন? তুমি কি শেষমেস মিরকি টিরকিতে আক্রান্ত হলা আপি।(খাটে আধো শুয়া হয়ে)
.
থাপপ্পড়া চি চিনিসসস(হাত নাড়িয়ে) ফাজিল মাইয়া।।।ফে য়ন কেন ছারচ্ছিস !!(নিচ থেকে উঠতে উঠতে )
.
তো।
.
তো তোর মুন্ডু বদ এর হাড্ডি, (ফেন অফ করে)আজ এমনেই খুব ঠ্যান্ডা পরছে বাহিরে তার উপরে সন্ধায় থেকে একটু পর পর ক্ষনে ক্ষনে বৃষ্টি হচ্ছে তার মধ্যে কোন সুখে এই খাট্রার গাট্রার উড়ো চান্ডিকা ছারচ্ছিস!!!! এমনে তেই তোর ঠ্যান্ডার সমস্যা আছে জানিস না।।রেগে।।।হেলেদুলে।।।।
.
বাহিরে ঠ্যান্ডা, কাল বৈশাখী আদি তুফান বৃষ্টি থাকলে কি হবে আপি!!! মনটা আজ আমার বড্ডো অশান্ত এই অশান্তকে শান্ত করার প্রচেষ্টাই মূলত ফোন অন করেছি। যদি এতে একটু শান্ত হয়।
চলবে,,,,
[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি।অসুস্থ থাকায় লিখতে আর দিতে লেট হলো, আজকের পর্বটা হয়তো খাপ ছাড়া হয়েছে জ্বরের ঘোরে কি লিখেছি নিজেও জানিনা]
চলবে,,,,,,
[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি।এখন নূরের কি হবে আপনাদের কি মনে হয়, অাদৌ বাচঁবে🤔 ]