রোদ্দুরে মেঘের বর্ষন পর্ব -১৩+১৪

#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ১৩

“সোফার উপর চুপচাপ বসে আছে রিয়াদ!’একটু আনিজি ফিল হচ্ছে তার কারন আশেপাশের লোকজন চোখ দিয়ে পুরো গিলে ফেলছে তাঁকে!’এমনটা নয় রিয়াদ কখনো একসাথে এত মানুষ দেখে নি, এর থেকেও বেশি মানুষের মাঝ দিয়ে গিয়েছে রিয়াদ কিন্তু তখন তার গার্ডরা ছিল যারা তাকে প্রোটেক করতো!’কিন্তু এখানে, না রিয়াদ কিছু বলতে পারছে আর না উঠে কোথাও যেতে পারছে,তাই নিরুপায় হয়ে বসে আছে সে….

__

“রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে তানজু আর তানজুর মা!’কিছুক্ষন আগেই সোফা থেকে উঠে এখানে এসেছে তানজু!’তানজু তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললোঃ

—“তাড়াতাড়ি বলো মা রিয়াদ স্যারের থাকার ব্যবস্থা কোথায় করেছো….

—“উপরে…

—“ঠিক আছে…

“এতটুকু বলেই দৌড়ে তানজু রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেল!’তানজুর মা শুধু তাকিয়ে রইলো তানজুর যাওয়ার পানে!’

“তানজু দৌড়ে সোজা চলে আসে রিয়াদের সামনে!’তারপর রিয়াদকে উদ্দেশ্য করে বলে সেঃ

—“চলুন স্যার আপনাকে আপনার রুমটা দেখিয়ে দেই…

“তানজুর কথা শুনে সস্থির নিশ্বাস ফেললো রিয়াদ!’তারপর কুইকলি উঠে দাঁড়ালো সে!’রিয়াদ দাঁড়াতেই তানজু সবার উদ্দেশ্যে একটু সরার জন্য বললো!’সবাই সরতেই তানজু রিয়াদকে নিয়ে চলে গেল উপরে!’

“দুতলার চার নাম্বার রুমে রিয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে!’রুমের দরজা খুলতেই রিয়াদের সবার আগে চোখে যেটা পরলো কাঠের তৈরি খাট, সাদা বেড কাভার, খাটের পাশেই একটা জানালা,জানালার বাহিরে মস্ত বড় গাছ,গাছের ডাল জানালার ছুঁই ছুঁই!’জানালার কাছেই খাটের পাশ দিয়ে কাঠের তৈরি ছোট্ট টেবিল!’সেখানে কিছু বই আছে!’টেবিলের পাশ দিয়েই কাঠের তৈরি আলমারি!’আলমারির উল্টোদিকেই ছোট্ট ড্রেসিং টেবিল!’রুমটার তিনদিকে তিনটে জানালা!’জানালাগুলো খোলা থাকায় প্রকৃতির আলোতে রুমটা পুরো ভরে গেছে!’রিয়াদের ভাবনার মাঝখানে বলে উঠল তানজুঃ

—“কি হলো স্যার দাঁড়িয়ে পরলেন যে,আমি জানি আপনার এখানে থাকতে একটু অসুবিধা হবে…

“তানজু আর কিছু বলবে তার আগেই রিয়াদ বলে উঠলঃ

—“বার বার এক কথা বলবে না তানজু,আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না…

—“তারপরও স্যার আপনি এত বড় একজন সেলিব্রেটি…

—“সেলিব্রেটি তো কি হয়েছে সত্যি বলতে আমার বেশ লাগছে এখানে…

“রিয়াদের কথা শুনে হাল্কা হাসলো তানজু তারপর বললোঃ

—“আমি জানতাম স্যার আপনার ভালো লাগবে,ঠিক আছে স্যার আপনি এখন একটু রেস্ট করুন আমি যাই..

—“হুম…

—“আর একটা কথা বলি স্যার…

—“হুম বলো…

—“স্যার আপনার গোসলের জন্য নিচে আমাদের ওয়াশরুম আছে,অথবা আমাদের বাড়ির পিছনে বড় পুকুর আছে আপনি চাইলে সেখানেও গোসল করতে পারবেন,আপনি যখন গোসল করবেন আমায় বলবেন আমি আপনার জন্য গরম পানির ব্যবস্থা করে দিবো…

—“ঠিক আছে…

—“ওকে স্যার কোনো প্রয়োজন হলে আমায় মেসেজ দিয়েন,এখানে নেট ওয়ার্ক খুব কম পাওয়া যায় তবে যতটুকু পাওয়া যায় তাতে আপনার চলে যাবে….

—“ঠিক আছে!’

—“ওকে আমি যাচ্ছি তবে…

—“হুম…

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু আর না দাঁড়িয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে!’তানজু বের হতেই রিয়াদ আস্তে রুমের দরজা বন্ধ করে ফেলে!’তারপর জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলে সে!’এতক্ষণ পর যেন তার আনিজি ফিলটা গেল!’রিয়াদ আস্তে গিয়ে বিছানার উপর বসে পড়ে!’বিছানায় বসতেই চারদিকের বাতাস এসে লাগছে তার গায়ে!’বেশ লাগছে রিয়াদের,এসির চেয়ে শতগুণে ভালো লাগছে এটা,জানালা থেকে বাহিরে তাকাতেই গাছদের ভিড়ে পাখির ডাক আর কাঠবিড়ালি দেখলো রিয়াদ,সবকিছুতেই বেশ মুগ্ধ রিয়াদ,
এতটুকু তো পরিষ্কার রিয়াদের কাছে…

“আজ প্রকৃতির প্রেমে গভীরভাবে পড়েছে সে!’

____

“রিয়াদের রুম টপকে দুই রুম পেরিয়ে যেতেই আচমকা তানজুর হাত ধরে টেনে একটা রুমের ভিতর নিয়ে গেল কেউ!’ঘটনাচক্রে তানজু ভিষন ঘাবড়ে যায়!’চোখ বড় বড় করে সামনে তাকায় সে!’সামনে হিয়ামিনিকে দেখে ঘাবড়ানো ফেস নিয়েই বলে সেঃ

—“এভাবে কেউ হাত ধরে টান দেয় এক্ষুনি তো ভয়ে জানটা বেরিয়ে আসতো আমার….

—“হি হি…😁

—“একদম হাসবি না…

—“বিশ্বাস কর তানজু আমার না এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না…

—“কি বিশ্বাস হচ্ছে না…

—“এই যে আমার ক্রাশ বিখ্যাত সেলিব্রেটি আদ্রিয়ান মাহামুদ রিয়াদকে চোখের সামনে দেখলাম…

—“বিশ্বাস না হলে পুকুরে গিয়ে একটা ডুব দিয়ে আয় বিশ্বাস হয়ে যাবে…

—“শোননা (তানজুর হাত টেনে)

—“হুম বল শুনছি তো…

—“আমি আর আমার কিছু বান্ধবীরা রিয়াদের সাথে ছবি তুুলবো সাথে অটোগ্রাফ নিবো…

—“কি…

—“হুম প্লিজ তুই একটু বলবি রিয়াদকে…

—“আমি পারুম না…

—“প্লিজ প্লিজ বল না,তুই বললেই উনি রাজি হয়ে যাবে…

—“আমি বললেই রাজি হয়ে যাবে কেন..

—“কেন আবার তুই ওনার গার্লফ্রেন্ড আর তুই বললে শুনবে না….

“হিয়ামিনির কথা শুনে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম তানজুর!’চোখ বড় বড় করে বললো সেঃ

—“তুই কি করে জানলি…

—“এখানে না জানার কি আছে মেবাইলে দেখেছি তো,রিয়াদ নিজে বলেছে তুই ওনার গার্লফ্রেন্ড…

—“গ্রামের সবাই জানে…(ঘাবড়ে গিয়ে)

—-“আরে না ইংরেজিতে বলেছে সবাই থোড়াই বুঝেছে, আর তার থেকেও মোবাইল কয়জনে চালায় বলতো, আমিও তো কাল দেখলাম…

—“মা বাবাকে বলেছিস নাকি আবার আর আপু…

—“না কেউ জানে না কিন্তু এখন জেনে যাবে…

—“কিভাবে..

—“কেন আমি বলবো…

—“প্লিজ বোন এমন করিস না…

—“তা নয় করবো না আগে বল কেসটা কি তুই সত্যি সত্যি রিয়াদের গার্লফ্রেন্ড নাকি…

“হিয়ামিনির কথা শুনে তানজু ভাবতে লাগলো এখনি কি হিয়ামিনিকে সব বলে দিবে সে!’নাকি বলবে না!’তানজুর ভাবনার মাঝে বলে উঠল হিয়ামিনিঃ

—“কি হলো চুপ হয়ে গেলি কেন?’

—“ছয় মাস পর বলবো…

—“ছয় মাস পর কেন…

—“রিয়াদ বলেছে তাই…

—“ওহ বাবা, সবার সামনে রিয়াদ স্যার আর আমার সামনে রিয়াদ,তবে তুই যদি চাস আমি খালামনি আর খালুকে তোর আর রিয়াদ স্যারের কথা না বলি তাহলে তুইও আমার কাজটা করে দিবে ওরা কাল বিকেলে আসবে…

—“কিন্তু হিয়ামিনি….

“উওরে আর কিছু না বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায় হিয়ামিনি!’এদিকে তানজু পরলো বিপদে এখন কি করবে সে….

___

“দুপুর_দু’টো…

“বাড়ির পিছনে পাশাপাশি হাঁটছে রিয়াদ তানজু!’উদ্দেশ্য হচ্ছে রিয়াদকে পুকুর দেখিয়ে দেওয়া!’সাধারণত এই টাইমে এদিকে কেউ একটা আসে না তাই রিয়াদকে এখানে নিয়ে আসা অবশ্য তানজু বলেছিল রিয়াদকে তাদের বাড়ির ভিতরের থাকা ওয়াশরুম ইউস করতে কিন্তু রিয়াদ রাজি হয়নি!’রিয়াদের রুম থেকে বাড়ির পিছনের এই পুকুরটা দেখেছে রিয়াদ আর দূর থেকেই পুকুরের পানি পরিষ্কার দেখে রিয়াদ এখানে গোসল করার লোভ সামলাতে পারে নি,এমনিতে সুইমিংপুলে গোসল করার অভ্যাস তো আছে রিয়াদের,কিন্তু পুকুরে ফাস্ট টাইম হাল্কা…

“রিয়াদ তানজু হাঁটতে হাঁটতে চলে পুকুরের সিঁড়ি কাছে,সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো পুকুরের সিঁড়ি, সামনে বসার সিস্টেমও আছে…

“বিশাল বড় পুকুর, গোলাকার পুকুরের চারদিকে রয়েছে বড় বড় গাছ,বিভিন্ন রকমেরই গাছ রয়েছে এখানে,একটা গাছ তো ঝুলে রয়েছে পুকুরের দিকে!’সূর্যের স্পষ্ট আলো এসে পরছে পুকুরের মাঝখানে!’যাতে পুকুরের পানি পুরো চিকচিক করছে!’

“সিঁড়ি ওপরের দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ তানজু!’তানজু পুকুরের দিকে তাকিয়ে বললোঃ

—“আপনি শিওর স্যার এখানে গোসল করবেন…

—“হুম!’

—“ঠিক আছে স্যার আপনি এখানে গোসল করুন আমি দূরে দাঁড়িয়ে আছি…

—“ঠিক আছে!’

“রিয়াদের কথা শুনে তানজুও রিয়াদের কাছ থেকে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো কারন আর যাইহোক রিয়াদের গোসল করার দৃশ্য দেখার তার কোনো ইচ্ছে নেই!’

.
.

“পানির কাছ থেকে এক সিঁড়ি ওপরে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ!’চোখ বন্ধ করে জোরে এক নিশ্বাস ফেললো সে!’তারপর চোখ খুলে বসে পরলো নিচে,এই খোলামেলা গাছের নিচে কখনো গোসল করে নি রিয়াদ এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে তার ভিতর,পুকুরের পানিতে হাত ছোয়াতেই শিরশিরিরে উঠলো রিয়াদের শরীর সাথে ভালো লাগা তো আছেই!’রিয়াদ একবার তানজুর দিকে পিছন ফিরে তাকালো, তানজু উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে বিষয়টা রিয়াদের কাছে বেশ লেগেছে!’অবশ্য এ দু’বছরে রিয়াদ তো তানজুকে এতটুকু বুঝেছে’ ছেলেদের প্রতি তানজুর তেমন কোনো ইন্টারেস্ট নেই,আর এই কারনেই তো রিয়াদের বেশ লাগে তানজুকে….

“দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রিয়াদ গোসল করতে শুরু করলো!’

___

“আচমকা তানজুর ফোনটা বেজে উঠল উপরে মায়ের নাম্বার দেখে বলে উঠল সেঃ

—“হুম বলো…

—“হোলো তোদের…

—“হুম হয়ে এসেছে রান্না সব তৈরি তো মা,..

—“হুম তৈরি…

—“ঠিক আছে তুমি টেবিলে খাবার সাজাও আর দেখো পিছনে যেন কেউ না আসে,রিয়াদ স্যারের হয়ে গেলেই আসছি…

—“ঠিক আছে…

“তক্ষনাৎ ফোনটা কেটে দেয় তানজু!’তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইলে গেম খেলতে শুরু করে দেয় সে!’

“আধ ঘন্টা পর….

“ব্লাক জিন্স আর রেড টিশার্ট পড়ে মাথায় টাওয়াল নিয়ে চুল মুছতে মুছতে এগিয়ে আসে রিয়াদ তানজুর কাছে!’তানজুর কাছে আসতেই পিছন থেকেই বলে উঠল রিয়াদঃ

—“হয়ে গেছে আমার এখন এদিকে ঘুরতে পারো…

“আচমকা রিয়াদের কন্ঠ শুনতেই চমকে উঠলো তানজু!’তারপর মোবাইলে গেম খেলা অফ করে পিছন ঘুরে তাকায় সে!’তারপর রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলে সেঃ

—“হয়ে গেছে স্যার…

—“হুম…

—“চলুন তাহলে মা আপনার জন্য খাবার বেড়ে রেখেছে…

“উওরে রিয়াদ আর কিছু বললো না হাঁটতে শুরু করলো তানজুর সাথে সাথে!’একদম ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে রিয়াদের কাছে নিজেকে!’স্বচ্ছ প্রকৃতির পানিতে গোসল করলে যেমনটা লাগে আর কি,শুরুতে একটু শীত শীত করলেও পানিতে নামতেই নিমিষেই সব শীত চলে যায় রিয়াদের!’একদম অন্যরকম কিছু ফিলিংস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ!’হঠাৎই তানজু বলে উঠলঃ

—“একটা কথা বলবো স্যার…

—“হুম বলো…

—“আপনার কিছু মেয়ে ফ্যান আছে স্যার আমাদের গ্রামে আর ওরা আপনার সাথে ছবি তুলতে আর আপনার অটোগ্রাফ নিতে চায় আপনি কি দিবেন স্যার প্লিজ…

“তানজুর কথা শুনে হেঁসে ফেলে রিয়াদ!’তারপর বললোঃ

—“হুম দিবো,,,

—“আপনি হাসলেন কেনো…

—“না কিছু না কখন আসবে ওঁরা…

—“কালকে বিকেলে স্যার…

—ওকে!’

“তানজু বুঝলো না রিয়াদ কেন হাসলো!’পাল্টা আর জিজ্ঞেসও করলো না সে,…

___

“ডাইনিং টেবিলে সামনে চেয়ারে বসে আছে রিয়াদ!’আর ওর সামনেই টেবিলের উপর রয়েছে নানান পদের খাবার সবই তানজুর মায়ের হাতের তৈরি রান্না!’রিয়াদ সব খাবারের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে বলে উঠল তানজুর মায়ের উদ্দেশ্যেঃ

—“এত কিছু আমার জন্য তৈরি করেছেন আন্টি…

—“হুম বাবা খাও এগুলো সব তোমার জন্য…

—“আপনারা কি খেয়েছেন সবাই..?’

“রিয়াদের কথা তানজুর বাবা বলে উঠলঃ

—“আমরা খাবো পড়ে আগে তুমি খাও…

—“এভাবে বলছেন কেন আপনিও বসুন আঙ্কেল সবাই মিলে একসাথে খাই!…

—“না মানে তোমার সাথে আমি..(তানজুর বাবা)

—“এভাবে বলবেন না আপনি আমার থেকে অনেক বড় আর তাছাড়া আমি একা খাবো আপনারা দাঁড়িয়ে থাকবেন এটা কেমন দেখায় তার চেয়ে আপনারাও বসুন সবাই মিলে একসাথে খাই….

“রিয়াদের কথা শুনে তানজুও তার বাবাকে বসিয়ে দেয় চেয়ারে!’তারপর রিয়াদ আর তানজুর বাবা একসাথে খেতে শুরু করলো!’তানজু,তাসলিমা আর তানজুর মা পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ওদের!’…

“খাবার মুখে দিতেই রিয়াদের তার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল!’রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠল তানজুর মাঃ

—“কি হলো বাবা খাচ্ছো না কেন?খাবার ভালো লাগে নি?’

—“না না খাবার খুব ভালো হয়েছে…

“বলেই খেতে শুরু করলো রিয়াদ!’রিয়াদ সবার সাথেই মিশে গেছে একদিনেই!’রিয়াদের ব্যবহার কথা বলার ধরন আর আচরণ দেখে মুগ্ধ সবাই!’রিয়াদ যে বড় একজন সেলিব্রেটি এমনটা মনেই হচ্ছে না কারোই?’

“খাবার খেয়ে তানজুর মাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিয়াদ চলে যায় উপরে….

“বিকেলে….
!
!
!#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ১৪

“জানালার দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ!’বাহিরে রোদ্দুরে চিক চিক করছে একটা পাশ!’হঠাৎই রোদ্দুরের মাঝেই মেঘ ডেকে বর্ষন শুরু হয়ে গেল!’হুট করে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনওতা ঠিক বুঝতে পারলো না রিয়াদ!’ মুহুর্তের মধ্যে আকাশ বেয়ে ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল,বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে সব!’

“এরই মাঝে রিয়াদের চোখ যায় নিচের দিকে,বৃষ্টির ভিতর লাফালাফি করছে তানজু,কিছুক্ষন আগেই দৌড়ে আসলো সে বৃষ্টির মাঝে!’ না চাইতেও বার বার চোখ যাচ্ছে রিয়াদের সেদিকে,আকাশ ফেটে বৃষ্টি পড়ছে খুব,বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে তানজু,ভিজে যাচ্ছে তানজুর আশেপাশে থাকা সব গাছের পাতাগুলো,ভিজে যাচ্ছে গাছের ডালের ওপর থাকা পাখিরাসহ সবকিছু!”বৃষ্টির পানিতে শুকনো মাটি ভিজে ভেজালো কাঁদায় পরিনত হচ্ছে,পুকুরের পানির উপরেও টপ টপ করে পড়ছে বৃষ্টির পানি!’রিয়াদ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে সেসবের দিকে, এসবের মাঝেই বাচ্চাদের মতো বৃষ্টিতে লাফালাফি করছে তানজু বিষয়টা রিয়াদের বেশ লেগেছে আনমনেই মুচকি হাসলো রিয়াদ!’খোলা চুল,ব্লাক থ্রি-পিচ,হাতে ব্লাক চুড়ি ব্যস এতটুকুতেই যেন অন্যরকম লাগছে তানজুকে…

— “রোদ্দুরে মেঘের বর্ষন” হচ্ছে আজ
সেজেছে প্রকৃতি যেন এক নতুুন সাজে!’পাখিরা সব গাইছে গান, নদীরা দিচ্ছে সুর..

— “যেন নতুন কিছুর আভাস পেয়েছে তাঁরা!’
ছন্দে ছন্দে গান মিলিয়ে যেন মেতেছে তাঁরা!’

— “ইচ্ছেরা সব, উঁকি দিচ্ছে মনে
না চাইতেও মনের গহীনে!’

“কথাগুলো আপনাআপনি ভাবনায় চলে আসলো রিয়াদের!’রিয়াদ দু’পলক তানজুর দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলো!’কারন এভাবে কারো দিকে তাকানোটা অন্যায়,কিন্তু তারপরও বেহায়া চোখ সেদিকে তাকাবেই!’

“এমন সময় ছাতি মাথায় তানজুর মা গেল তানজুর কাছে,তানজুর কান ধরে টেনে ভিতরে নিয়ে গেলেন উনি!’উপর থেকে জানালা দিয়ে এসব দেখে হেঁসে উঠলো রিয়াদ সে বুঝতে পেরেছে অসময়ে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য বকা খেতে হবে তানজুকে!’আবারো হাসলো রিয়াদ তারপর জানালা থেকে সরে বিছানায় বসলো সে,বাহিরে ঝমঝম বৃষ্টি পড়ছে,হয়তো এই বৃষ্টিতেই নতুন অনুভূতিরা উঁকি দিচ্ছে রিয়াদের….

____

—“উফ!’ মা লাগছে তো…

—“লাগে লাগুক কে বলেছে তোকে এই অসময়ে বৃষ্টিতে ভিজতে এরপর ঠান্ডা লেগে গেলে কি হবে?'(টাওয়াল দিয়ে তানজুর চুল মুছতে মুছতে)

—“আরে মা কিছু হবে না…

—“তুই জানিস কিছু হবে না এমনিতেও এতদিন এক আবহাওয়ায় ছিলি এখন অন্য আবহাওয়ায় এসেছিস…

—“তাতে কি হইছে..?’

—“কি হইছে মানে জ্বর টর উঠলে তখন কি হবে?

—“কিচ্ছু হবে না মা টেনশন নিও না আর এমনিতেও ভিজতে পারলাম কই তার আগেই তো তুমি নিয়ে আসলে…

—“হইছে এখন আর বকবক না করে তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে আয়?’

—“হুম..

“এতটুকু বলে তানজু গায়ে সাদা টাওয়াল পেঁচিয়ে চলে গেল উপরে!’

“সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে আস্তে আস্তে হেঁটে নিজের রুমে যাচ্ছে তানজু!’শীতে কাঁপাকাঁপির অবস্থা তার!’ রিয়াদের রুমের পাশেই তানজুর রুম!’তাই এগিয়ে যাচ্ছে সে,হঠাৎই পা পিছলে সামনের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যেত নিলো তানজু…

“এদিকে…

– সেই সময় রুম থেকে বের হলো রিয়াদ!’একা একা রুমে আর ভালো লাগছিল না তাঁর!’তানজুকে পড়ে য়েতে দেখে রিয়াদ তানজুর হাত ধরে নিজের দিকে টেনে ধরে ফেললো!’ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে তানজু পুরো চমকে উঠলো!’দু’মিনিটের জন্য হলেও তানজু রিয়াদ দু’জনেই অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো দুজনের দিকে!’

“এক ঘোর লাগানো মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে গেছে দুজন!’যেন চোখেরা কিছু বলছে!’

“বৃষ্টিতে ভিজার জন্য তানজুর চোখে মুখে এখনও পানি রয়েছে,রিয়াদ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তানজুর চোখের দিকে!’হঠাৎই মেঘের ডাক শুনতেই রিয়াদ তানজু দুজনেই তাদের ঘোর লাগানো মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসলো!’রিয়াদ তাড়াতাড়ি তানজুকে ছেড়ে দেয়!’তানজু রিয়াদের কাছ থেকে ছাড়া পেতেই “সরি” বলে দৌড়ে চলে গেল নিজের রুমে!’

“রিয়াদ কিছুক্ষন তানজুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে নিজের টিশার্টের দিকে তাকালো সে!’তানজুর ভেজালো শরীর তার গায়ে লাগায় তার টিশার্টও ভিজে গেছে!’রিয়াদ নিজের দিকে তাকিয়ে আবার চলে যায় নিজের রুমের দিকে….

___

“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা….

“তানজু আর হিয়ামিনি ক্রাম খেলছে!’ওদের পাশেই রয়েছে আরো চারটা পাঁচটা ছেলে-মেয়ে!’
এমন সময় হাতে কিছু খাবার নিয়ে ওদের সামনে আসলো তাসলিমা!’তানজু তাসলিমাকে দেখে বলে উঠলঃ

—“আসো আপু একসাথে ক্রামবোর্ড খেলি..

“তানজুর কথা শুনে তাসলিমাও খুশি মনে বলে উঠলঃ

—“ঠিক আছে…

“তারপর তাসলিমাও বসে পরলো এক কোটের সামনে!’খেলা শুরু করতে করতে বলে হিয়ামিনিঃ

—“আর একজন হলেই হতো, আচ্ছা রিয়াদ ভাইয়াকে বললে কেমন হবে?’

—“তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে হিয়ামিনি ওতো বড় সেলিব্রেটি এসে আমাদের সাথে ক্রামবোর্ড খেলবে (তাসলিমা)

—“হুম খেলবে,এমনিতেও একা একা রুমে বসে কি করবে শুনি,তানজু তুই গিয়ে বল রিয়াদ ভাইয়াকে…

“তানজু কিছু বলবে তার আগেই সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে বলে উঠল রিয়াদঃ

—“কি বলবে আমায় তানজু….?’

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু, তাসলিমা, হিয়ামিনি তিনজনেই পিছন ঘুরে তাকালো রিয়াদের দিকে!’ওয়াইট জিন্স আর ব্লাক ফুল হাতার টিশার্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ,রিয়াদকে দেখেই হিয়ামিনি আরেকদফা ক্রাশ খেয়েছে!’হিয়ামিনি বসা থেকে উঠে চলে যায় রিয়াদের সামনে তারপর খুশি মনে বললো সেঃ

—“না মানে বলছিলাম কি আপনি কি আমাদের সাথে ক্রাম খেলবেন ভাইয়া…

“হিয়ামিনির কথা শুনে রিয়াদও সামনের দিকে তাকালো,সোফার সামনেই টি টেবিলের উপর রয়েছে ক্রাম বোর্ড!’রিয়াদ কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো সে বুঝতে পারছে না কি বলা উচিত তার!’রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল হিয়ামিনিঃ

—“কি হলো সেলিব্রেটি ভাইয়া খেলবেন…

“উওরে রিয়াদও হাল্কা হেঁসে মাথা নাড়ালো!’রিয়াদের উওর পেতেই খুশি হয়ে যায় হিয়ামিনি!’তারপর খুশি হয়ে বললো সেঃ

—“তাহলে চলুন ভাইয়া…

—“হুম…

“তারপর হিয়ামিনি আর রিয়াদ একসাথে চললো সোফার কাছে!’হাতের বামদিকে রিয়াদ,রিয়াদের সোজাসুজি তানজু,তানজুর হাতের ডানদিকে হিয়ামিনি আর বাম দিকে তাসলিমা!’তাসলিমা তো ভাবতেই পারে নি রিয়াদ খেলবে তাদের সাথে!’

“তারপর শুরু হলো চার জনের ক্রাম খেলা!’হাসি, ঠাট্টা আর মজার মধ্যে দিয়ে কাটলো পুরো এক ঘন্টা,রিয়াদের বেশ লেগেছে সবাইকে!’হঠাৎই রিয়াদের ফোনটা বেজে উঠল রিয়াদ সবাইকে এক মিনিট বলে ফোন হাতে তার রুমের দিকে যায়!’

“এদিকে হিয়ামিনি ক্রাম বোর্ডের গুটি গোছাতে গোছাতে বলে উঠলঃ

—“উনি কি ভালো তানজু, এতক্ষণ মনেই হচ্ছিল না উনি একজন সেলিব্রেটি….

—“হুম খুব ভালো…

—“সত্যি ওনার ওপর শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল আমার…

“উওরে হাল্কা হাসলো তানজু!’সত্যি বলতে তানজু নিজেও ভাবে নি একদিনেই রিয়াদ সবার সাথে মিশে যাবে!’এমন সময় আকাশে উচ্চ স্বরে মেঘ ডেকে উঠলো হয়তো আবার বৃষ্টি হবে!’আচমকা মেঘের ডাক শুনে হাল্কা কেঁপে উঠল তানজু!’কিন্তু কিছু বললো না সে!’

“আকাশের মেঘ ডাকা দেখে বলে উঠল হিয়ামিনিঃ

—“হায় রে মেঘ ডাকছে মানে বৃষ্টি হবে আর বৃষ্টি হবে মানে কারেন্ট নাই ওহ শিট আমার ফোনে চার্জ নাই…

“বলেই এক দৌড়ে হিয়ামিনি চলে গেল তার রুমের দিকে!’হিয়ামিনির কান্ড দেখে হেঁসে উঠল তাসলিমা!’হাসতে হাসতেই বললো সেঃ

—“ফোনের চার্জের জন্য এত জোরে কেউ দৌড় দেয়….

“অন্যদিকে তানজু পড়ে গেল টেনশনে লোডশেডিং হয়ে গেলে…

—” ওহ নো…

“এতটুকু ভেবে তানজুও দৌড়ে উপরে চলে গেল!’তানজুর এভাবে হুট করে দৌড়ে চলে যাওয়ার কারন না বুঝতে পেরে বলে উঠল তাসলিমাঃ

—“ওর আবার কি হলো?’নিশ্চয়ই এটার ফোনেও চার্জ নেই আসলে সবকয়টায় মোবাইল পাগল….

“এতটুকু ভেবে তাসলিমা ক্রাম বোর্ডটা সরিয়ে ঠিক জায়গায় রেখে দিল!’তারপর চলে যায় সে রান্না ঘরের দিকে!’..

____

“রুমের মধ্যে পায়চারি করছে তানজু বুঝতে পারছে না এখন কি করবে লোডশেডিং হয়ে গেলে তো পুরো বাড়ি অন্ধকারে ভরে যাবে আর রিয়াদ স্যার তো একদমই অন্ধকার সহ্য করতে পারে না!’নানা কিছু ভেবে রুমের এপাশ-ওপাশ পায়চারি করছে তানজু!’হঠাৎই তার মাথায় সুন্দর একটা আইডিয়া আসলো!’তানজু বেশি কিছু না ভেবেই তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে গেল…

“আকাশে বিদ্যুৎ চমৎকাচ্ছে খুব,,

“রিয়াদ তার রুমের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে!’এমন সময় হতভম্ব হয়ে তার রুমে ঢুকে পরলো তানজু!’হুট করে তানজুকে রুমে ঢুকতে দেখে বলে উঠল রিয়াদঃ

—“কি হলো তানজু তোমায় এত হতভম্ব দেখাচ্ছে কেন?’

“উওরে কিছু না বলেই তানজু একটা ব্যাগের ভেতর থেকে অনেকগুলো ক্যান্ডেল লাইট বের করে রিয়াদের পুরো রুম জুড়ে সাজাতে লাগলো!’রিয়াদ তানজুর কান্ড দেখে ফোনটা কেটে পকেটে রেখে অবাক হয়ে বললোঃ

—“এসব কি করছো তানজু…

—“আপনি টেনশন নিবেন না স্যার আমি তো আছি…

“হুট করে তানজুর এমন কথা শুনে পুরোই অবাক রিয়াদ!’রিয়াদ বিস্ময় নিয়ে বলে উঠলঃ

—-“কিসের টেনশন তানজু…

“উওরে তানজু কিছু বললো না নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো!’রিয়াদ আরো বেশ কয়েকবার প্রশ্ন করলো তানজুকে কিন্তু তানজু উওর দিলো না!’এরই মাঝে আবারো ফোন বাজলো রিয়াদের এখানে নেটের খুব সমস্যা যার কারনে রিয়াদ ঠিক ভাবে কথা বলতেও পারছে না!’তাই তানজুর কাছ থেকে সরে আবারো জানালার দিকে মুখ করে ফোনে কথা বলতে লাগলো রিয়াদ!’

“কিছুক্ষনের মধ্যেই…

“আকাশ ফেটে তুমুল বেগে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল!’তারপর আর কি যার হওয়ার তাই হলো বৃষ্টি পড়ার তিন সেকেন্ডের মধ্যেই কারেন্ট হাওয়া!’গ্রামের এই একটা দোষ বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই কারেন্ট চলে যায়!’অন্ধকার হওয়ার সাথে সাথে তানজু তার মোবাইলের ফ্লাসলাইট অন করে রিয়াদের মুখের দিকে ধরল তারপর রিয়াদের মুখোমুখি হয়ে হতভম্ব হয়ে বললো সেঃ

—“প্লিজ স্যার ভয় পাবেন না…

“এদিকে রিয়াদ ফোনে কথা বলতে বলতে আচমকা মুখের সামনে আলো পরতেই সামনে ফিরে তাকালো সে!’লাইটের আলোতে তানজুর হতভম্ব হওয়া মুখ আরো বেশি চিন্তিত দেখাচ্ছে!’

—“প্লিজ স্যার দেখুন এখানে কোনো অন্ধকার নেই কারেন্ট চলে গেছে ঠিকই কিন্তু আপনার রুম অন্ধকার হয় নি স্যার দেখুন….

“তানজুর কথা শুনে এইবার রিয়াদ পিছন ঘুরে তার রুমটা দেখলো!’পুরো রুম জুড়ে সাদা ক্যান্ডেলে ভরা নিচের চারিদিকেই ক্যান্ডেললাইটের আলোতে চক চক করছে,এক অন্যরকম সৌন্দর্যে ভরে গেছে রিয়াদের রুমটা!’রিয়াদ মুগ্ধ নয়নে পুরো রুমটায় চোখ বুলালো,এক অদ্ভুত ভালো লাগা এসে গ্রাস করলো রিয়াদকে!’পুরো বিষয়টা বুঝতে রিয়াদের দু’মিনিট টাইম লাগলো এতক্ষণ পর রিয়াদ বুঝতে পারলো তানজু হতভম্ব কেন হয়েছিল!’রিয়াদ জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে রইলো পুরো জিনিসটার দিকে…

“হঠাৎই রিয়াদের সামনের জানালা দিয়ে বাতাস আসতে লাগলো সাথে সাথে কিছু ক্যান্ডেল নিভতে শুরু করলো তানজুর তাড়াতাড়ি রিয়াদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে জানালা বন্ধ করে দিলো!সাথে সাথে নিভতে নেওয়া ক্যান্ডেলগুলো আবারো জ্বলে উঠলো!’তানজু রিয়াদের দিকে তাকিয়ে জোরে শ্বাস ফেলে বললোঃ

—“আর কোনো ভয় নেই স্যার….

“তানজু রিয়াদের কথা শুনেই হঠাৎ কি হলো তার হুট করেই শক্ত করে জড়িয়ে ধরল সে তানজুকে!’রিয়াদের কাজে তানজু ঘাবড়ে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল!’এরই ভিতর খুব জোরেই আকাশে মেঘের গর্জন দিয়ে উঠল যার জন্য তানজুও ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরল রিয়াদকে….

.

“পুরো রুমের চারদিক জুড়ে সাদা ক্যান্ডেল লাইট জ্বল জ্বল করছে,পুরো রুম ক্যান্ডেলের আলোতে পুরো টুই-টুম্বুর,বাহিরে আকাশ ফেটে মেঘের বর্ষন হচ্ছে,এরই মাঝে রিয়াদ তানজু একে অপরকে ক্যান্ডেল লাইটদের ভিড়ে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে!’…..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here