রোদ্দুরে মেঘের বর্ষন পর্ব -৩১+৩২

#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ৩১

“রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ,উদ্দেশ্য হচ্ছে তানজুর জন্য লেবুর শরবত তৈরি করা!’রিয়াদ ছোট্ট শ্বাস ফেলে চলে যায় ফ্রিজের কাছে!’তারপর দুটো লেবু বের করে চাকু দিয়ে কেটে তৈরি করতে থাকে লেবুর শরবত!’সবকিছু কেমন যেন এলেমেলো হয়ে গেল আজ এমনটা হোক এটা রিয়াদ চায় নি,রিয়াদ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না কাজটা করলো কে?মাথার মধ্যে প্রশ্নটা বার বার এসে আঁটকে যাচ্ছে তার!’….

“কিছুক্ষনের মধ্যে লেবুর শরবত তৈরি করে চললো রিয়াদ তানজুর রুমের দিকে!’লাইফে ফাস্ট-টাইম কারো জন্য লেবুর শরবত তৈরি করলো রিয়াদ,না জানি কেমন হয়েছে?’রিয়াদ একপলক লেবুর শরবতের দিকে তাকিয়ে চললো তানজুর রুমের ভিতরে!’

___

“হুট করেই তানজু চোখ খুলে তাকায়,আশেপাশের সবকিছু কেমন যেন ঘুরছে তাঁর!’তানজু তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে বসলো এমন সময় রিয়াদ এসে লেবুর শরবত টেবিলের রেখে বলে উঠলঃ

—“তুমি ঠিক আছো তানজু?’

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু শান্ত কন্ঠে বলে উঠলঃ

—“জ্বী স্যার…

“হঠাৎই তানজুর মাথায় আসলো তখন রিয়াদের বলা কথাগুলো!’তানজু কিছু বলবে তার আগেই রিয়াদ তার দিকে লেবুর শরবত এগিয়ে দিয়ে বললোঃ

—“আমি জানি তানজু,তুমি এখন কি বলবে তবে কথা বলার আগে এই লেবুর শরবতটা খেয়ে নেও…

“উওরে তানজু আর কিছু বলতে পারলো না!’রিয়াদের হাত থেকে লেবুর শরবতটা নিলো সে কারন এই মুহূর্তে এটা তার খুব প্রয়োজন!’তানজু আস্তে আস্তে লেবুর শরবতের গ্লাসে চুমুক দিতে লাগলো আর রিয়াদ কিছুটা নার্ভাস ফিল করে তাকিয়ে রইলো তানজুর দিকে না জানি শরবত খেয়ে কি বলে?’তানজু শরবতে এক চুমুক দিতেই রিয়াদ বলে উঠলঃ

—“কেমন হয়েছে তানজু?’ফাস্ট টাইম ট্রাই করলাম ভালো না হলে বলার দরকার নেই..

“তানজু রিয়াদের কথা শুনে অবাক হয়ে বললোঃ

—“এটা আপনি তৈরি করছেন স্যার…?’

“উওরে রিয়াদ মাথা নাড়িয়ে বলে উঠলঃ

—“হুম ভালো হয় নি…

—“না তেমন নয়,খুব ভালো হয়েছে কিন্তু আপনি আমার জন্য…

“এতক্ষণ পর রিয়াদ যেন শান্তি পেল,খুশি হয়ে বসলো রিয়াদ তানজুর পাশ দিয়ে তারপর বললোঃ

—“প্রথমবার বানালাম তো তাই একটু টেনশনে ছিলাম…

—“খুব ভালো হয়েছে স্যার…

—“ওকে এখন তাড়াতাড়ি পুরোটা শেষ করো তোমার সাথে আমার জরুরি কথা আছে..

“তানজু বুঝতে পেরেছে রিয়াদ কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবে তাই তাড়াতাড়ি লেবুর শরবত শেষ করলো তানজু!’তানজুর খাওয়া শেষ হতেই বলে উঠল রিয়াদঃ

—“আমি জানি তানজু, আমার হুট করে বিয়ের ডিসিশন নেওয়া ঠিক হয়নি,কিন্তু ওই মুহূর্তে এটা ছাড়া আর কোনো উপায়ও পায় নি,,আমি সত্যি ভাবিনি এমন কিছু হবে,এই মুহূর্তে সবাইকে সত্যিটা বলে দিলে অনেকেই অনেক বাজে মন্তব্য করতো তানজু,তারপর যদি শুনতো টাকার জন্য তুমি রাজি হয়েছো তাহলে সমাজ তোমায় খুব বাজে ভাবে দেখতো যেটা আমি মেনে নিতে পারতাম না তাই এমনটা করা লাগলো,আশা করি বুঝবে তুমি….

—“আই এক্সট্রিমলি সরি স্যার, আমার জন্য এমন একটা বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো…

—“তুমি সরি বলো না তানজু,কারন কোথাও না কোথাও এই পরিস্থিতির জন্য আমি দায়ই,সেদিন যদি মিথ্যে কথা না বলতাম তাহলে হয়তো এমনটা কিছু হতো না,সেদিনই পরিস্থিতির চাপে পড়ে ডিসিশন নিয়েছি আর আজও তবে…

“আর কিছু বলবে রিয়াদ তার আগেই তানজু মাথায় হাত দিলো কিছুটা খারাপ লাগছে তার!’তানজুর অবস্থা বুঝতে পেরে রিয়াদ তানজুকে ধরে বলে উঠলঃ

—“তুমি ঠিক আছে তানজু?’

—“আমার শরীরটা ভালো লাগছে না স্যার?’মাথা যন্ত্রনা করছে…

—“আচ্ছা আমরা এটা নিয়ে পড়ে কথা বলবো,তুমি এখন শুয়ে থাকো আর বেশি হলে আমি ডক্টরকে কল করছি…

—“না স্যার তার দরকার নেই,এইমাত্র তো লেবুর শরবত খেলাম,আর হাল্কা রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবো,আপনি টেনশন নিবেন না…

“রিয়াদ কিছুক্ষন ভেবে বললোঃ

—“ঠিক আছে তানজু,তুমি রেস্ট করো…

“এতটুকু বলে তানজুকে শুয়িয়ে দেয় রিয়াদ!’তানজুও চুপটি করে শুয়ে পড়ে বিছানায়!’রিয়াদ তানজুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললোঃ

—”টেনশন নিও না তানজু আমি তো আছি…

”উওরে হাল্কা হাসলো তানজু!’

—”আচ্ছা তুমি ঘুমাও আমি আসছি….

“এতটুকু বলে তানজুর গায়ে সুন্দর মতো কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে চলে যায় রিয়াদ!তানজু কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো রিয়াদের যাওয়ার পানে,সে বুঝতে পারছে না এই মুহূর্তে তার ঠিক কি করা উচিত?’নীরবে চোখ বুঁজিয়ে ফেললো তানজু?’

_____

“বিকেল_৪ঃ০০টা….

“নিজের রুমের বিছানায় শুয়ে আছে রিয়াদ!’নানান ভাবনায় মগ্ন সে,রিয়াদ এখনও বুঝে উঠতে পারছে না কি থেকে কি করবে?’তার কি উচিত তানজুকে তার মনের কথা বলে দেওয়া,কিন্তু রিয়াদ এভাবে বলতে চায় নি,,উফ সবকিছু ঘোলাটে আর এলেমেলো লাগছে তার!'”এমন সময় রিয়াদের দরজায় নক করলো তানজু বললো সেঃ

—“আসবো স্যার…

“দরজায় নক করার শব্দ শুনে রিয়াদ তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো!’তানজুর ভয়েস শুনে বললো সেঃ

—“হুম আসো…

“রিয়াদের কথা শুনে তানজুও দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো!’রিয়াদ তানজুকে দেখে বললোঃ

—“তুমি ঠিক আছো তানজু,

—-“জ্বী স্যার,আমার আপনার সাথে জরুরি কথা আছে…?’

“রিয়াদ তানজুর কথা শুনে শোয়া থেকে উঠে বসলো তারপর বললোঃ

—“হুম বলো…

—“আমি আপনার কথাগুলো ভেবে দেখলাম স্যার…?’

—“ওহ…

—“জ্বী স্যার,আর এরজন্য আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে…

—“কিসের আইডিয়া…?

—“বিয়ের…

—“মানে..

—“মানেটা হলো চুক্তির বিয়ে…

—“কিসের চুক্তি..

—“এক বছরের বিয়ের এগ্রিমেন্ট স্যার,দেখুন আপনি তো আমায় ভালোবেসে বিয়ে করছেন না আর আমিও আপনাকে ভালোবেসে বিয়ে করছি না,একদমই পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ে করতে হচ্ছে,তাই চাপ নিবেন না স্যার একবছর পর আপনি আমায় ডিভোর্স দিয়ে দিয়েন,বলবেন আপনার সাথে আমার মিলে না,,আমি ভালো না এন তেন চারশো বিশ,আর এমনিতেও সেলিব্রেটিদের মধ্যে এটা এবেল এবেল তাই এটা নিয়ে আর কারো কোনো প্রবলেম থাকবে না,আমি চাই না স্যার আমার জন্য আপনার লাইফে কোনো প্রবলেম আসুক,আপনার সাথে আমার কখনই যায় না কোথায় আপনি আর কোথায় আমি,,নিতান্তই আপনি পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ে করতে চাইছেন,আর তার চেয়েও বড় কথা আপনি আমার সম্মানের কথা ভেবে এত কিছু করলেন এটাই আমার জন্য অনেক!’তাই আমিও এভাবে ভেবেছি স্যার,আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি আমার জন্য আপনার লাইফে কখনো কোনো প্রবলেম সৃষ্টি হবে না,

“পুরো একশ্বাসে কথাগুলো বলে থেমে গেল তানজু!’আর রিয়াদ নীরব দর্শকের মতো শুনে গেল সবটা!’যেন সবটা তার মাথার উপর দিয়ে গেল?’রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে বললো তানজুঃ

—“কি হলো স্যার কথা বলছেন না কেন?,কেমন লাগলো আমার আইডিয়াটা…

“রিয়াদ কিছুটা বিষন্ন ভরা কন্ঠে বললোঃ

—“খুব ভালো তানজু,এর জন্য তোমায় নোবেল দেওয়া উচিত…

—“থ্যাংক ইউ স্যার…

“তানজুর কথা শুনে রাগ হয় রিয়াদের কিন্তু নিজের রাগকে যথাসম্ভব কন্ট্রোলে রাখলো!’

_____

“দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো দশদিন….

“এই দশদিনে অনেক ব্যস্ত ছিল রিয়াদ তানজু!’সারাদিন শপিং বিয়ের এরেঞ্জমেন্ট নিয়েই ব্যস্ত ছিল দুজন!’আজ রিয়াদ তানজুর বিয়ে একটা বড় ফাইভ স্টার হোটেল বুক করা হয়েছে রিয়াদ তানজুর বিয়ের জন্য!’বড় বড় সব নামি দামি সেলিব্রেটিরা আসছে ওদের বিয়েতে,কেউ কেউ খুশি আবার কেউ কেউ অখুশি!’কারন অনেকেই মনে করে রিয়াদের সাথে তানজুর যায় না আবার অনেকেই মনে করেন ভালোবাসা থাকলে ডিসটেন্ট ডাজ নট মেটার!’তবে রিয়াদ এই মুহূর্তে কারো কথাই কানে নিচ্ছে না,সে তার মতো বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত,কোথাও তার খুশি খুুশি লাগছে শুধু ওই এগ্রিমেন্ট বাদে,রিয়াদ এই মুহূর্তে ওটা নিয়ে ভাবছে না কারন সে ভেবে রেখেছে এই ঝামেলা মিটে গেলেই তানজুকে সবটা বলে দিবে তবে তার আগে তাকে কিছু কাজ করতে হবে!’

.
.
.

“একটা সুন্দর রুমের মাঝখানে আয়নার সামনে বসে আছে তানজু পাশেই তাকে বড় বড় বিউটিশিয়ানরা সাজাতে ব্যস্ত!’

“তানজুর পড়নে রেড কালার গর্জিয়াস ভাড়ি লেহেঙ্গা,দু’হাত ভর্তি ভাড়ি ভাড়ি গর্জিয়াস চুড়ি,হাত ভর্তি করে মেহেন্দি দেওয়া,গলায় ভাড়ি নেকলেস, কানে ভাড়ি দুল,চুলগুলো সামনে দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে খোলা,কপালে টিকলি,মুখে ভাড়ি মেকাপ,ঠোঁটে গাঁড়ো করে লাল লিপস্টিক,আর মাথায় বড় করে ঘোমটা দিয়ে তৈরি সে,এই মুহূর্তে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তানজুকে,বিউটিশিয়ানরা তো বলেই উঠল তানজুকেঃ

—“ইউ লুকিং সো জর্জিয়াস ম্যাম…

“উওরে হাল্কা হাসলো তানজু,যদিও এগুলো মিথ্যে তারপরও তানজুর কাছে সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে,,আয়নায় নিজেই নিজেকে দেখে মুগ্ধ তানজু…

“কিন্তু এসবের মাঝখানে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে তাঁর!’কারন এখানে তার পরিবার নেই,অবশ্য রিয়াদ বলেছিল তানজুকে তার ফেমেলিকে আনতে কিন্তু তানজু বারন করে দেয়!’এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে রিয়াদের কথায় রাজি হলেই ভালো হতো,,ছোট্ট শ্বাস ফেললো তানজু….

“এমন সময় হন হন করে তার রুমে ঢুকলো হিয়ামিনি!’পিছন থেকে তানজুকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ

—“কেমন আছিস তুই?’

“হুট করে এমন এটাকে কিছুটা চমকে উঠলো তানজু,তারপর আয়নায় হিয়ামিনিকে দেখে অবাক হয়ে বললোঃ

—“তুই…

—“হুম আমি কি ভেবেছিলি তোর বিয়েতে আমরা আসবো না…

“এরই মাঝে বলতে না বলতে একে সবাই ঢুকলো তানজুর রুমে তানজুর মা,তানজুর বাবা, বোন,দুলাভাই, আদিসহ আরো অনেকেই!’তানজু সবাইকে দেখে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরল তাদের!’তানজুর মা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ

—“বিয়ে করছিস আর আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করিস না তুই…

—“সরি মা আসলে..

—“হইছে তোকে আর কিছু বলতে হবে না রিয়াদ আমাদের সব বলেছে,,

—“তার মানে তোমরা সব জানো মা…

—“হুম,রিয়াদই তো আমাদের ফোন করে সব বলেছে সাথে আমাদের সবাইকে এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে….

—“তোমরা খুশি তো মা…

—“খুশি না হওয়ার কি আছে,,রিয়াদ কত ভালো ছেলে সাথে তোর কতো কেয়ার করে….

“উওরে তানজু শুধু জড়িয়ে ধরে তার মাকে!’তারপর বলেঃ

—“তোমরা এসেছো এতেই আমি খুশি হয়েছি…

“এমন সময় কিছু মেয়েরা এসে বললো তানজুকেঃ

—“চলুন ম্যাম এখন আপনাকে যেতে হবে..

“মেয়েটির কথা শুনে তানজুও বলে উঠলঃ

—“হুম…

“এমন সময় তানজুর ফোনটা টুং করে উঠলো, মোবাইলটা দেখতেই রিয়াদ মেসেজ করেছে তাকে লিখেছেঃ

—“বিয়ের দিন বিয়ের কনেকে মন খারাপ দেখতে ভালো না কিন্তু,তার থেকেও বড় কথা রিয়াদের বউকে মন খারাপ দেখলে লোকে কি বলবে,টেনশন নিও না তানজু আমি তো আছি,,সারপ্রাইজ পছন্দ হয়েছে তো,এখন তবে মুচকি হাসো সাথে কুইকলি সবাইকে নিয়ে নিচে চলে আসো..

“i waiting for you my fake wife….❤️

“রিয়াদের মেসেজ দেখে আনমনেই মুচকি হাসলো তানজু!’হোক পুরোটা মাত্র এক বছরের তারপরও ভালো লাগছে তার….
!
!#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ৩২

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে তানজু সবার দৃষ্টি তার দিকে ভাড়ি লেহেঙ্গা সাথে ভাড়ি সাজে সবাই মুগ্ধ প্রায় তাকে দেখে!’

“সিঁড়ির নিচেই লাল গোল্ডেন মিশ্রিত গর্জিয়াস পাঞ্জাবি – পাজামা পড়ে,চুলগুলো রোজকারের মতো সুন্দর করে সাজিয়ে দাড়িয়ে আছে রিয়াদ!’অল্প সাজেই অসম্ভব সুন্দর লাগছে রিয়াদকে!’রিয়াদ-তানজুর দিকে আর তানজু রিয়াদের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ নয়নে!’রিয়াদ আনমনেই তানজুকে দেখে মুচকি হাসলো!’এক পা এক পা করে নিচে নামছে তানজু,আর তার পিছনেই তার ফেমেলির মেম্বার সহ আরো অনেকেই!’তানজু শেষ নিচের সিঁড়ি পর্যন্ত নামতেই রিয়াদ তার হাত এগিয়ে দিল তানজুর দিকে!’তানজুও বেশি কিছু না ভেবে নিজের হাত এগিয়ে দিল রিয়াদের দিকে!’তারপর রিয়াদ তানজু একসাথে এগিয়ে গেল সামনে!’

“শুরুতেই এনগেজমেন্ট হবে রিয়াদ তানজুর তারপর বিয়ে!’ফুল দিয়ে সাজানো স্টেজের ওপর দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ তানজু!’পুরো স্টেজটাই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যার চারদিকেই লাইটিং করা,,তানজু পুরো জায়গাটা দেখেই মুগ্ধ!’এরই মাঝে দুটো মেয়ে আসলো ওদের সামনে তাদের দুজনের হাতেই রয়েছে এনগেজমেন্টের দুটো আংটি!’রিয়াদ তানজু দুজনেই তাকালো ওদের দিকে!’রিয়াদ একটা মেয়ের কাছ থেকে তানজুর জন্য আনা আংটিটা হাতে নিয়ে তাকালো তানজুর দিকে তারপর মুচকি হেঁসে পড়িয়ে দিল তানজুর হাতে!’এরপর তানজুও তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার কাছ থেকে রিয়াদের জন্য আনা আংটিটা হাতে পড়িয়ে দিল রিয়াদের!’ওদের কাজ সম্পন্ন হতেই আশে পাশের সবাই কড়ো তালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানালো ওদের!’ওরাও মুচকি হাসলো দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে….

..

“এরপর স্টেজের মাঝখানেই সামনাসামনি বসে আছে রিয়াদ তানজু,তাদের সামনেই টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বড় সাদা পর্দা!’আবছা আবছা পর্দার ভিতর দিয়েই দেখা যাচ্ছে তানজুকে!’মাথা নিচু করে রয়েছে তানজু,,রিয়াদ তানজুর দিকে একপলক তাকালো!’ভিতর থেকে তার খুশি খুুশি অনুভব হচ্ছে তার সাথে মনে হচ্ছে আজ যেন সে তার আপন কাউকে পাচ্ছে নিজের জন্য!”যদিও সামনে কি ঘটবে জানে না রিয়াদ তবে এই মুহূর্তে হয়তো তার থেকে বেশি খুশি কেউ নয়,মুচকি হাসলো রিয়াদ…

“আশেপাশে প্রেস মিডিয়ার লোকেরা তাদের বিয়ের ভিডিও শুট সহ হাজার হাজার ফটো তুলতে ব্যস্ত!’এরই মাঝে কাজী সাহেব এসে বিয়ে পড়াতে শুরু করলো রিয়াদ তানজুর!’হাল্কা হতাশা আর অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে তানজুর!’তবে সেটা ভালো লাগা নাকি খারাপ লাগা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না তানজু…

“এরই মধ্যে কাজী সাহেব কবুল বলতে বললো রিয়াদকে!’রিয়াদ একবার তানজুর দিকে তাকিয়ে সাথে তানজুর সাথে কাটানো মুহুর্তগুলোর কথা মনে করে বলে উঠল ‘কবুল’ রিয়াদের কথা শুনে কাজীসহ সবাই খুশি হলেন,এরপর কাজী চলে যায় তানজুর কাছে,কাজীকে সামনে বসতে দেখে তানজুর অস্থিরতা আরো বেড়ে গেল, সাথে বুকের ভিতর ধক ধক করছে,,এরই মধ্যে কাজী সাহেব তানজুকে কবুল বলতে বললো!’কবুলের কথা শুনে তানজুর ধুকপুকানি আরো বেড়ে গেল মুখ থেকে যেন তার কথাই বের হচ্ছে না,,

“এভাবে এক মিনিট যাওয়ার পর তানজু জোরে শ্বাস ফেলে বলে উঠল “কবুল”…

“তানজুর কবুল বলা শুনে রিয়াদ মনে মনে বললোঃ

—“আজ থেকে তুমি শুধু আমার প্রিয়সী,কখনো ছাড়ছি না তোমায়,,

.

“অবশেষে কবুল বলার মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল রিয়াদ তানজুর!’সবাই কংগ্রেজ জানালো রিয়াদ তানজুকে!’মোটামুটি সবাই খুশি বিষয়টায় তানজুর মা বাবা হিয়ামিনি আদিসহ আরো অনেকেই….

____

“নিজের রুমের সবকিছু লন্ডফন্ড করে ফেলেছে অনন্যা!’প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে তার সাথে রাগও হচ্ছে!’কিছুতেই সে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারছে না!’রুমের মাঝখানে বসে জোরে চেঁচিয়ে উঠলো সে….

“মেয়ের চিল্লানী শুনে দৌড়ে আসলেন অনন্যার বাবা কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারলেন না উনি,দরজার বাহিরে দাঁড়িয়েই দীর্ঘ শ্বাস ফেললেন অনন্যার বাবা!’মেয়ের কষ্ট দেখে তারও কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কি করার?’যেটা হওয়ার সেটা তো হবেই,

“সেটা আপনি চান বা না চান!’তবে এক দিক দিয়ে ভালো হয়েছে একপক্ষ তো তাদের ভালোবাসার মানুষকে পেয়েছে!’রিয়াদ এসেছিল অনন্যা আর অনন্যার বাবাকে ইনভাইট করতে, অনন্যা বাবা চেয়েও যেতে পারেন নি রিয়াদের বিয়েতে যার একমাত্র কারণ হলো অনন্যা…

.
.
.

“রাত_১২ঃ০০টা বেজে ১২ মিনিট….

“ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে আছে তানজু,,চোখে মুখে সাজ বিদ্যমান!’তানজু এখানে আসতে চায় নি কিন্তু না চাইতেও তাকে আসতে হয়েছে এখানে!’কারন রিয়াদের বন্ধুবান্ধবরা তাকে এখানে বসিয়ে রেখে চলে গেছে!’আর তানজু চেয়েও কিছু বলতে পারে নি তাদের!’তানজুর বাবা মা আত্মীয় স্বজনরা চলে গেছে অনেক আগেই,,রিয়াদ অবশ্য বলেছিল ওনাদের থাকতে কিন্তু ওনারা রাজি হয় নি আর যাই হোক এভাবে হুট করে মেয়ের শশুড় বাড়ি থাকা যায় নাকি…তাই ওনারা চলে গেল তানজুও আটকাই নি তাদের ওরা চলে যেতে কষ্ট পেয়েছে তানজু…

“সবকিছুই কেমন যেন ঘোলাটে আর খাপছাড়া লাগছে তানজুর!’হুট করে কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতেই পারলো না,,তানজুর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তার বেস্টফ্রেন্ড তার সাথে এমন করলো,তানিশার খোঁজ করেছিল তানজু কিন্তু পায় নি হয়তো অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে পালিয়ে গেছে,ছোট্ট একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো তানজু…

“এত সাজে এখন বিরক্ত লাগছে তার,সাথে রিয়াদের রুমের জন্য আরো অসস্তি হচ্ছে !’মাথায় বার বার ঘুরছে তানজুর আজকে রাতটা কি করে কাটাবে সে রিয়াদের রুমে!’অবশ্য তানজু ভেবে রেখেছে রিয়াদ রুমে আসলেই চলে যাবে সে তার রুমে…

“নানান ভাবনা এসে ভর করেছে তানজুর মাথায়!’এমন সময় দরজায় নক করার শব্দ পেয়ে নিজের ভাবনা থেকে বের হলো তানজু,সাথে এক অজানা ভয় এসে গ্রাস করলো তাকে…কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না তানজু,হুট করেই বিছানা ছেড়ে উঠে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়লো সে..

“অন্যদিকে….

“রিয়াদ দরজা খুলে বিছানার উপর তানজুকে না দেখে কিছুটা অবাক হয়!’কারন তার বন্ধুবান্ধব বলেছিল তারা তানজুকে সেজেগুজিয়ে তার রুমে বসিয়ে রেখেছে আর দরজাও বাহির থেকে অফ ছিল তাহলে তানজু গেল কোথায়?আশেপাশে তাকাতেও কোথাও তানজুকে না দেখে কিছুটা বিব্রত হয় রিয়াদ ,রিয়াদ বেশি কিছু না ভেবে চলে যায় ওয়াশরুমের দিকে কিন্তু না সেখানেও নেই তানজু!’এবার একটু চিন্তিত হয় রিয়াদ,রিয়াদ আশেপাশে আরেকবার তাকিয়ে ডাকলো তানজুকে!’প্রথম ডাকে তানজু সাড়া না দিলেও দ্বিতীয় ডাকে খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে হাত উপরে করে বললো সেঃ

—“এই তো স্যার আমি এখানে…

“এতক্ষণ পর তানজুর ভয়েস শুনে পিছন ফিরে তাকালো রিয়াদ!’তানজুকে খাটের নিচ থেকে বের হতে দেখে অবাক হয়ে বললো রিয়াদঃ

—“তুমি ওখানে কি করছো তানজু..?’

“এখন কি বলবে তানজু,নিজের মাথাটা একটু চুলকিয়ে বললো তানজুঃ

—“ইয়ে না মানে কিছু করছিলাম না স্যার আমার ফোনটা নিচে পড়ে গিয়েছিল তাই ওটা আনতে ছিলাম…

“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললোঃ

—“সত্যি বলছো,

—“জ্বী স্যার…

—“কিন্তু তোমার ফোন তো ওই টেবিলের উপরই আছে…

“সাথে সাথে ঠোঁটে কামড় দিল তানজু তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললোঃ

—“কি স্যার আপনি এই সামান্য বিষয় নিয়ে গোয়েন্দা গিরি শুরু করে দিলেন…

—“না তেমন কোনো ব্যাপার না…

—“কি না স্যার কখন থেকে রুমে ঢুকে প্রশ্ন করে চলেছেন..

—“আরে তুমি রেগে যাচ্ছো কেন?’

—“রাগছি না স্যার জাস্ট বলছি..

—“আচ্ছা ঠিক আছে তোমায় আর কিছু বলতে হবে না….

“এরপর নেমে আসলো দুজনের মধ্যে কিছুক্ষনের নীরবতা!’নীরবতার দড়ি ছিন্ন করে বলে উঠল রিয়াদঃ

—“তুমি কি এই সাজেই থাকবে তানজু…

—“না স্যার,খুলবো তো একটা কথা বলি…

—“হুম বলো…

—“বলছিলাম কি আমি আমার রুমে চলে যাই,এমনিতেও এখন এখানে কেউ নেই…

“তানজুর কথা শুনে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে লাগলো রিয়াদ তানজুর দিকে!’কিছুটা রাগ হচ্ছে তার,এই তানজু কি বুঝতে পারে না সে সত্যি সত্যি ভালোবাসে ওকে.,কিছুটা রাগী মুড নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো রিয়াদ তানজুর দিকে!’

“অন্যদিকে তানজু হুট করে রিয়াদকে তার দিকে এগোতে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেল!’হাল্কা পিছনে এগোতে এগোতে বললো সেঃ

—“কি হলো স্যার আমি কি ভুল কিছু বলে ফেললাম…

“উওরে রিয়াদ চুপ!’রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে তানজু কাঁপা কাঁপা গলায় বললোঃ

—“আপনি এগোচ্ছেন কেন স্যার?’

—“কেন তোমার ভয় হচ্ছে বুুঝি,

—“ভ.. য়…কে…ন… হবে…

—ভয় হচ্ছে না…

“মাথায় নাড়ায় তানজু,তানজুকে মাথা নাড়াতে দেখে রিয়াদ রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বললোঃ

—“তুমি ভুলে যাচ্ছো কেন আজ আমাদের..

—“কি আমাদের..(কাঁপতে কাঁপতে)

—“আরে কাঁপছো কেন..?’

—“ক…ই…কাঁপছি না তো…

“বলতে বলতে দেয়ালের সাথে লেগে গেছে তানজু!’তানজুকে দেয়ালের সাথে লেগে যেতে দেখে রিয়াদ দেয়ালের দু’দিকে হাত দিল বর্তমানে রিয়াদের দু’হাতের মাঝখানে বন্দী তানজু!’রিয়াদের কাজে কিছুটা ঘাবড়ে গেল তানজু কিন্তু বাহিরে তা প্রকাশ করলো না!’রিয়াদ তানজুর চোখের দিকে তাকিয়ে কিছুটা রাগী কন্ঠে বললোঃ

—“আমার কিন্তু তোমার ওপর খুব রাগ আছি তানজু…?

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু চোখ বড় বড় করে মিন মিন কন্ঠে বললোঃ

—“কেন স্যার,,আমি আবার কি করলাম?’

—“কি করলে মানে তোমার জন্যই তো আমার সব প্লানের মাঝখানে পানি পড়ে গেল কতকিছু ভেবে রেখেছিলাম সবকিছু লন্ডফন্ড করে দিলে তুমি,সেদিন রাতে যদি ওই পাগলামিগুলো না করতে তাহলে আজ এমনটা কিছুই হতো না…

“এতক্ষণ পর তানজু বুঝতে পারলো রিয়াদ কিসের কথা বলছে!’তানজু মাথা নিচু করে বললোঃ

—“সরি স্যার…

—“ইট’স ওকে তবে এইবার যদি কোনো গন্ডগোল করো আমি কিন্তু তোমায় ছাড়বো না তানজু,, আমাদের যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে তাই আজ থেকে তুমি আমার সাথে আমার রুমে থাকবে বুঝতে পারছো,,না জানি কখন কোথা থেকে কে কি দেখে বসবে তারপর তার ফটো তুলে নেটে ছেড়ে দিবে তারপর আবার আরেক ঝামেলা,,তাই এইবার কোনো গন্ডগোল হলে তোমার একদিন কি আমার একদিন তানজু…(চেঁচিয়ে)

“রিয়াদের চেঁচানো শুনে তানজু বুঝতে পেরেছে রিয়াদ অসম্ভবভাবে রেগে গেছে!’তানজু মিন মিন করে বললোঃ

—“ঠিক আছে স্যার কিন্তু….

—“আবার কিন্তু তোমায় তো আমি..

বলেই তানজুর দিকে হাল্কা ঝুঁকে গেল রিয়াদ!’রিয়াদ কাজ দেখে সাথে সাথে তানজু ভয় পেয়ে খিঁচে চোখ বন্ধ করে বললোঃ

—“না না স্যার কিছু না,কিছু না আপনি যা বলবেন বলবেন আমি তাই করবো…

.

“চোখ বন্ধ করেই তানজু রিয়াদের নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে, তানজু বেশ বুঝতে পেরেছে রিয়াদ তার অনেকটা কাছে দাঁড়িয়ে আছে,বুকের স্পন্দন কয়েকশো বেগে চলছে তার!’সাথে নার্ভাস ফিল হচ্ছে তানজুর!’

“অন্যদিকে রিয়াদ তানজুর অবস্থা বুঝতে পেরে হাল্কা হাসলো অনেক কিছু বলতে মন চাচ্ছিল তার কিন্তু বললো না!’জোরে নিঃশ্বাস ফেলে সরে যায় তানজুর কাছ থেকে!’তারপর চলে যায় সে ওয়াশরুমের দিকে!’

“হঠাৎই নিঃশ্বাসে শব্দ না পেতেই আস্তে আস্তে চোখ খুললো তানজু!’আশেপাশে কাউকে না দেখে কিছুটা অবাক হয় পরক্ষণেই ওয়াশরুমের ভিতর থেকে পানির শব্দ পেতেই বুঝতে পারলো তানজু রিয়াদ ওয়াশরুমে গেছে!’সাথে সাথে বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ফেললো তানজু!’তারপর বললোঃ

—“বাবা গো আর কিছুক্ষন ওভাবে থাকলে আমার তো দমটাই বেরিয়ে যেত,কিন্তু হুট করে কি হলো রিয়াদ স্যারের এতটা রেগে গেলেন,অবশ্য রাগারি কথা তোকে বিয়ে করেছে কিনা…

”তানজু কিছু্ক্ষন চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে চলে যায় আয়নার সামনে!’মুখে আর চুলে লেপ্টে থাকা গাট্টি বস্তা সব খুলতে হবে তাঁকে!’আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেই নিজেকে বললো তানজুঃ

—“বাহ্ বিয়ের সাজে কিন্তু তোকে খারাপ লাগছে না তানজু তাই না,ইউ ডোন্ট নো বিয়ের মেকাপে তোকে এত সুন্দর লাগবে এটা কিন্তু তুই আগে জানতিস না,অবশ্য জানবি কেমনে মানুষ যে কতকিছু দিয়ে মেকাপ করে সেটাই জানিস না,ওই বিউটিশিয়ান যে কতকিছু মাখলো তোর মুখে,, বাবা গো বাবা বসতে বসতে আমার কোমড় ধরে গিয়েছিল কিন্তু ওই মেকাপ আর্টিস্টের মেকাপ করা শেষ হলো না,কতো কিছু দিল মুখে ফাউন্ডেশন, আইলাইনার,মাসকারা আরো কতো কি নামও জানি না ঠিক মতো, আমার এই মাথায় যে কয়শো কিলিপ মারছে কে জানে এখন এগুলো খুলে দিবে কে?এগুলো খুলতে খুলতেই তো আজকের রাত কাভার হয়ে যাবে তারপর আমি ঘুমাবো কখন?’এতো কিছু দেওয়া লাগে,মানছি বিয়ে বলে কথা কিন্তু তাই বলে এতো কিলিপ কেউ লাগায়..

“এগুলো বলছে আর মাথার ঘোমটা সরিয়ে একটা একটা করে মাথার কিলিপ খুলছে তানজু!’অন্যদিকে আরেকজন ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে তানজুর কাজ আর কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ!’

“হঠাৎই কারো হাসির শব্দ শুনে তাকায় তানজু সামনে……
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here