শালিক পাখির অভিমান পর্ব -১৮

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_১৮
#অধির_রায়

চোখ মেলে তাকাতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম বিছানায়৷ সামনে বিচলিত চোখে দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছেন ইহান ভাইয়া৷ চোখে মুখে প্রশ্নের আভাস হানা দিচ্ছে৷ সমস্ত দেহ কম্পন শুরু হলো৷ আমার কাছে রুমটা অচেনা অচেনা লাগছে৷ কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,

“আপনাদের বাড়ি টিনের বাড়িতে পরিণত কিভাবে হলো? আমি তো বাসে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম৷ আমি কিভাবে রুমে আসলাম?”

আমার কথা ইহান ভাইয়ার চোখ সরু হয়ে যায়৷ তিনি ভু*ত দেখার মতো আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন৷ সরু কন্ঠে বলল,

“আমরা আনন্দপুরে আছি৷ তোমাকে অনেকক্ষণ থেকে ডেকে যাচ্ছি৷ তুমি কোন সাড়া দিলে না৷ আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম৷ পা’গ’লের মতো কি যেন বলছিলে? তুমি কোনদিন নামাজ কাযা করো না৷ সবার আগে উঠে সালাত আদায় করো৷ মধুর কন্ঠে কুরআন শরীফ তেলওয়াত করো৷ আজ এতো বেলা হয়ে গেলে তুমি ঘুম থেকে উঠ নি। তোমার কি শরীর খারাপ?”

ইহান ভাইয়ার কথা শুনে আমি চমকে উঠি৷ আমরা তো ঢাকা ফিরে গেছিলাম৷ আমি বাসে ইহান ভাইয়ার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি৷ রাতের ঘটনা মনে পড়ল। আমি বড় খালাকে কু*পি*য়ে হত্যা করছি৷ বড় খালার বুক ফা’টা’নো চিৎকার কানে আসতেই ইহান ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরি৷ উত্তেজিত কন্ঠে বললাম,

“আমি এখানে এক মুহুর্তও থাকব না৷ আমি ঢাকায় যাবো। এখানে থাকলে আমাকে ওঁরা মেরে ফেলবে৷”

ইহান ভাইয়াও আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল৷ কোমল গলায় বলল,

“আমি থাকতে কোন বিপদ তোমার ধারের কাছেও আসতে দিব না৷ আমি বেঁচে থাকতে তোমার গায় ফুলের টুকাও দিতে পারবে না৷ কে তোমাকে মা’র’তে চায়?”

আমি হাউমাউ করে কান্না করতে থাকলাম৷ ভেজা গলায় বললাম,

“আমি কাউকে খু’ন করিনি৷ আমাকে পুলিশ দিবেন না৷”

মনের মাঝে অস্থিরতা কাজ করছে৷ কম্পন কিছুতেই কমছে না৷ আমি গুটিশুটি হয়ে ইহান ভাইয়ার বুকে মুখ লুকিয়ে বসে আছি৷ ইহান ভাইয়া শান্ত গলায় বলল,

“তুমি খারাপ স্বপ্ন দেখছো! দুই রাকাত সালাত আদায় করে নাও। মাথা থেকে সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে৷ আল্লাহর এবাদতের মাধ্যমে নিজেকে শান্ত করতে পারবে৷ তুমি নিজেকে শক্ত করো৷ আমি তোমার এমন দুর্বল চেহারা দেখতে পাব না৷”

ইহান ভাইয়া আমার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিল৷ স্বপ্ন ভেবে নিজেকে একটু শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম৷ কিন্তু মাথায় খু’ন করার ভাবনা চেপে বসে আছে৷ সালাত শেষ হতেই ছুঁটে গেলাম শাকিলার কাছে৷ হন্তদন্ত হয়ে রাগী স্বরে বললাম,

“সাদাফ ভাইয়া তোকে যৌতুকের জন্য প্রতিদিন মা’রে। যৌতুক দেওয়া নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তুই পুলিশকে জানাতে পারিস না৷ আমি বড় খালাকে কিছুতেই ছাড়ব না৷ আমার আদরের বোনের গায়ে হাত তুলার সাহস কোথা থেকে পেল? আমি বড় খালার হাত কে*টে নিব৷”

শাকিলা আমার কথা শুনে রেগে যায়৷ চোখে মুখে নেমে আসে এক আকাশ বিরক্তি৷ অসহায় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়৷ বিচলিত কন্ঠে বলল,

“পা*গ*ল হয়ে গেছিস শালিক৷ আমাকে বড় খালাকে কখনও মা’রে’ন না৷ আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন৷ আমাকে কোন কাজই করতে দেন না৷ বড় খালা শুধু তোকেই দেখতে পারে না৷ উপর থেকে শক্ত মনের মানুষ কিন্তু ভিতর থেকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী।”

উঁচু গলায় বললাম,

“আমি বড় খালার কুটনীতি বুদ্ধির সাথে জড়িত৷ সিরাজের বড় খালা যেমন ঘষেটি বেগম ঠিক আমাদের বড় খালা৷ সিরাজ মা*রার জন্য দিনরাত এক করেছিল বড় খালাও আমাদের ক্ষতি করার জন্য দিনরাত এক করেছে৷ আমার সাথে যেসব অন্যায় করেছে তার শাস্তি উনাকে পেতেই হবে৷ আমি উনাকে পুলিশে দিব৷”

কথা না বাড়িয়ে হনহন করে বেরিয়ে আসি৷ নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না৷ বড় খালাকে আমি শাস্তি না দিলে আমার দাদী আর ফুপির আত্মা শান্তি হবে না৷ আমি আরাফ ভাইয়াকে নিয়ে থানায় চলে আসলাম৷ তারপর পুলিশকে সকল ঘটনা খুলে বললাম৷ খালার জন্য সু’ই’সা’ই’ড করতে বাধ্য হয়েছে আমার ফুপি আর দাদী৷ গ্রামের সবাই সাক্ষী দিবে বড় খালা আমাদের ফাঁসিয়ে আমার জীবন নষ্ট করেছেন। আমি উনার শাস্তি চাই৷ দুপুরের দিকে পুলিশ সাথে নিয়ে বাড়িতে আসি৷ সোজা বড় খালাদের বাসায় চলে যায়৷ বড় খালা আমাকে দেখে কাঁপতে থাকে৷ বিনয় স্বরে বলল,

“শালিক আমার কোন ক্ষতি করিস না৷ আমি বুঝতে পারিনি তোর ফুপি আর দাদী মা*রা যাবেন৷ আমি শুধু তোদের বাড়ি থেকে বের করতে চেয়েছিলাম।”

হুংকার দিয়ে বললাম,

“ক্ষমা করা মহৎ গুণ৷ আপনাকে ক্ষমা করলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না৷ আমার ফুপি, আমার দাদী কবরে অনেক কষ্টে আছেন৷ আ*ত্ন*হ*ত্যা মহাপাপ জেনেও উনারা আ’ত্ম’হ’ত্যা করেছেন৷ এজন্য আপনি দায়ী৷ আপনার মতো কিছু মানুষ আছে বলেই আজ আমরা এতো অবহেলিত। আমার সাথে পুলিশ এসেছে৷ আজ আপনার পাপ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে কেউ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না৷”

খালা আমার সামনে হাত জোর করে বলল,

“শালিক আমাকে এতো বড় শাস্তি দিবি না৷ আমার উপর একটু দয়া কর৷ আমি আর কোনদিন খারাপ কাজ করব না৷ আমি কাউকে কোনদিন অপমান করব না৷”

ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললাম,

“ভাইয়া বড় খালাকে নিয়ে যেতে বল৷ আমি উদার মনের মানুষ নয়৷ কেউ দোষ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে৷”

চোখে আগুন মনে কষ্টের পাহাড় জমে আছে৷ নিজের সিদ্ধান্ত থেকে আমি ইঞ্চিও ছাড় দিলাম না৷ নিজের সিদ্ধান্তে অটুট থাকলাম৷ পুলিশ বড় খালাকে ধরে নিয়ে গেলেন৷ আমি বাড়িতে চলে আসলাম৷ আমি আর আনন্দপুরে এক সেকেন্ডও থাকব না৷

ইহান ভাইয়া নদীর তীরে বসে ছিপ ফেলে মাছ ধরছেন৷ খুব আনন্দের সাথে কাজ করছেন৷ উনাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি গ্রামে এসে খুব খুশি৷ আমি উনার পাশে বসলাম৷ মুচকি হেঁসে বললাম,

” আপনি সকালে খাবার খাননি কেন?”

নদীর স্রোতের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,

“তুমি সকাল বেলা কোথায় চলে গেলে? তুমি বাড়িতে নেই সেজন্য খাইনি৷ তোমাকে রেখে আমি খেতে পারব না৷”

“আপনাকে শাকিলা অনেকবার খাবার খেতে ডেকেছে৷ আপনি খাননি কেন? আপনি খাননি বলে সবাই ভাবছে আপনি তাদের অপমান করছেন৷ এখানে এসে অনেক কষ্ট করছেন৷ আপনাকে এখানে থাকতে হবে না৷ আজ রাতেই আমরা ঢাকা চলে যাব৷”

শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আমার দিকে তাকায়৷ আমি গরম চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি৷ চোখের দৃষ্টি নিচে রেখে অসহায় কন্ঠে বলল,

“তোমাদের গ্রাম দেখাবে না আমায়৷ আমি কোনদিন গ্রাম দেখিনি৷ প্রথমবার গ্রামে আসলাম৷ ছোট থেকে বেড়ে উঠা ঢাকা শহরে৷ খোলা আকাশের নিচে সবুজে ঘেরা গ্রামটা দেখে খুব ভালো লেগেছে৷”

বিচলিত মায়া কন্ঠে বললাম,

“আমরা আজ রাতেই ঢাকা ফিরব৷ পরের বার আপনাকে নিয়ে এসে গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখাব৷”

আমার কথায় উনার মুখ কালো হয়ে গেল৷ মলিন হাসার চেষ্টা করল৷ আমার মন কিছুতেই এখানে টিকছে না৷ উনাকে খুশীকে প্রাধান্য দিতে পারলাম না৷ যে মানুষটা আমার জন্য সবার সাথে যুদ্ধ করছেন তাকে একটু সময় দিতে পারলাম না৷ হাত কাচুমাচু করে বললাম,

“এখনও উদরে কিছু পড়েনি৷ আমার উদরে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করছে৷ চলেন একসাথে খাব৷ আর মাছ ধরতে হবে না৷”
_____
চলে যাওয়ার কথা শুনে সকলের মুখ কালো হয়ে গেল৷ আরাফ ভাই অপরাধীর মতো বলল,

“শালিক আর একটা রাত থেকে যাহ৷ আমাদের জন্য হলেও আর একটা রাত থেকে যাহ৷ সকালে ভোরের আলো ফুটতেই চলে যাবি৷ কেউ তোদের বাঁধা দিবে না৷”

আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম,

“সকালে যাওয়া যাবে না৷ কলেজে অনেক কাজ আছে৷ সকালে বাস ধরলে জ্যামে পড়তে হবে৷ রাতের বাসে কোন জ্যাম পুহাতে হবে না৷”

সকলের কথা উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম৷ মা রান্নার ঘরের কপাট ধরে শাড়ির আঁচল টেনে কান্না করছেন৷ আমার মা লাজুক স্বভাবের৷ উনার কাছে পুরুষ জাতিই সব৷ পুরুষেরা সত্য বললে সত্য, মিথ্যা বললে মিথ্যা৷ নিজের বুদ্ধি খাঁটিয়ে কোন কিছু করতে পারেন না৷ আমাদের পিছন পিছন আসল আরাফ ভাই, আমার বাবা সাদমান আহমেদ৷ বাসে উঠার আগে আমার বাবার ইহান ভাইয়ার হাত ধরে বলল,

“বাবা আমাকে দেখে রেখো৷ আমার মেয়েকে কোন কষ্ট দিও না৷ ছোট থেকে অবহেলায় বড় হয়েছে৷ মানুষ বুঝতে চাইনা কালো না থাকলে সাদার কোন মূল্য নেই। আজ অন্ধকার আছে বলেই দিনের এতো কদর৷ মানুষের সাথে সাথে আমিও অনেক ভুল করেছি৷”

ইহান ভাইয়া বাবার হাতের উপর হাত রেখে আশ্বাস দিয়ে বলল,

“কোন চিন্তা করবেন না৷ সকল বিপদ থেকে রক্ষা করব৷ তার কাছে কোন বিপদ আসার আগে আমি তার সাথে মো’কা’বে’লা করব৷ আমি আমার স্ত্রীর মাথা কখনও নিচু হতে দিব না৷ তাকে এমনভাবে গড়ে তুলব সবাই তাকে দেখে সালাম দিবে৷ আমাদের জন্য দোয়া করবেন৷”

বাবা, আরাফ ভাই আমাদের বিদায় দিলেন৷ আজ তাদের ছেড়ে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে৷ উনাদের সাথে অভিমান করেই কতো কষ্ট দিয়েছি৷ আজ নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে৷ আজও চোখের সামনে ভেসে উঠে সে ভ*য়া*ব*হ সময়। বড় খালার সেই অগ্নিমূর্তির ন্যায় রুপ৷

চৌধুরী ভিলাই পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল হয়ে যায়৷ মায়া ফুপি সদর দরজা খুলে দেন৷ আমাকে দেখে মায়া ফুপির মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে৷ আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেন৷ উনার ভালোবাসায় কোন খাঁচ নেই৷ একদম খাঁটি ভালোবাসা। আমার চোখ থেকেও দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন শরীফ চৌধুরী। উনার প্রতিদিনের কাজ সকাল বেলা দিশ মিনিটের মতো হাঁটা। এক পলক আমার দিকে তাকিয়ে অসন্তুষ্ট হলেন৷ তিনি ভাবতে পারেননি আমাকে সকাল সকাল দেখবেন৷ মানুষটা তেমন কথা বলেন না৷ প্রয়োজন ছাড়া একটা বাড়তি কথা বলতে শুনি নি৷ মায়া ফুপি বলল,

“অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছিস৷ রুমে গিয়ে রেস্ট কর৷”

আমার সাথে ইহান ভাইয়াও দাঁড়িয়ে ছিল৷ ধীর পায়ে ইহান ভাইয়ার রুমে প্রবেশ করে৷ রুমে শ্রুতি এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে৷ মুখটা একদম মলিন হয়ে আছে৷ ইহান ভাইয়া, শ্রুতি ভাবীকে দেখেই রেগে যান৷ চিৎকার করে ডাকতে গেলে মানা করলাম৷ উনার হাত ধরে বেলকনিতে নিয়ে গেলাম। রাগী গলায় বলল,

“শ্রুতি ভাবীর সাহস কি করে হয় আমাদের রুমে আসার? শ্রুতি ভাবীর একদিন কি আমার একদিন! আজ অপমানের সকল বদলা নিব৷”

আমি ইহান ভাইয়ার হাত ধরে আটকালাম৷ আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। উনার অগ্নি দৃষ্টিতে আমাকে জ্বালিয়ে দিবেন মনে হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে উনার চোখে চোখ রাখলাম৷

“দয়া করে ভাইয়া এমন করবেন না। শ্রুতি ভাবী আমার বলা কথা নিয়ে খুব চিন্তিত৷ শ্রুতি ভাবী আমাকে সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু আমার কথা ফেলতে পারেনি৷ আমরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইমন ভাইয়াকে শাস্তি দিব৷ ইমন ভাইয়ার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। শ্রুতি ভাবীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিব৷”

ইহান ভাইয়া চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন। পিনপিন আঁখি মেলে আমার দিকে তাকান৷ অসহায় কন্ঠে বলল,

“বউয়ের মুখ থেকে ভাইয়া ডাক শুনতে ভালোই লাগে৷ লোকে মুখে শুনতে ভালোই লাগবে ‘কেমন ভাইয়া যার সাথে বাসর করা যায়?’ ঠিক আছে আপু৷ আমি আপনার কথা মেনে নিচ্ছি৷”

লজ্জায় মুখ নিচু করে ফেললাম৷ ইহান ভাইয়ার মুখে আপু ডাক শুনে লজ্জার সীমা থাকল না৷ ইচ্ছে হচ্ছে মাটি ফাঁক করে পাতালে চলে যেতে৷ মানুষটা আমাকে সব সময় লজ্জা দিতে জানেন৷ কিছু হলো না বাসর অব্দি টেনে এনেছেন৷ আমতা আমতা করে বললাম,

“আপনাকে আগে থেকে ভাইয়া বলে ডাকতাম৷ এখনও ভাইয়া ডাকটা মুখে রয়ে গেছে৷ আমি অন্যদের মতো ওগো, শুনছো, এসব ডাকতে পারব না৷”

“আমার একটা নাম আছে৷ আমার নাম ধরে ডাকবে৷ ইহান বলে ডাকবে৷ এরপর এমন ভুল হলে আমি তোমার মুখ থেকে স্বামী ডাক বের করব৷ কাউকে ভাইয়া ডাকতেও দুইবার ভাববে৷”

কোন কথা না বাড়িয়ে হনহন করে ওয়াসরুমে চলে যান৷ আমি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ভোরের আলো দেখছি৷ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে শ্রুতি ভাবীর কথা৷ শ্রুতি ভাবী কিছু জানতে পারেননি তো৷

চলবে….

আমি ভালো মানুষ। আমি নিজেও খু’ন করব না। অন্য কেউ দিয়ে খু’ন করাব না৷ বানানা ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here