শালিক পাখির অভিমান পর্ব -২৪

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_২৪
#অধির_রায়

ছোঁয়াকে বিদায় দিয়ে আনমনে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছি। মনটা ভীষণ খারাপ লাগছে৷ ফুপি, দাদীর কথা খুব মনে পড়ছে৷ আমার জন্য তাঁরা পরকালে গমন করেছেন৷ কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না৷ চোখ দু’টো ঝাপসা হয়ে আসে৷ সামনে কি হচ্ছে দেখার কোন ইচ্ছায় নেই? হুট করেই সামনে তাকাতেই নেত্রদ্বয় আটকে যায়৷ ইমন ভাইয়া আরও অন্য একটা মেয়ের হাত ধরে হেঁটে হেঁটে পার্কে যাচ্ছেন৷ পড়ন্ত দুপুরে এমন দৃশ্য দেখে মাথায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে৷ ইমন ভাইয়া এতোগুলো মেয়ের সাথে চলাফেরা করেন৷ এখন তো ইমন ভাইয়া অফিসে থাকার কথা৷ অফিস ফাঁকি দিয়ে গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে আসছেন৷ আমি কাউকে কিছু বললে কেউ বিশ্বাস করবে না৷ আজ আমি তাদের কার্যকলাপ ভিডিও করে রাখব৷ আজই আমি ইমন ভাইয়ার মুখোশ টে’নে হিঁ*জ*ড়ে খুলব৷

চুপি চুপি ভাইয়ার পিছন পিছন পার্কে যায়৷ ভালোভাবে চোখ মুখ ওড়না দিয়ে ডেকে নিয়েছি৷ কিছুতেই যেন ইমন ভাইয়া আমাকে চিনতে না পারে৷ ইমন ভাইয়া দেখতে দেখতে রমনা পার্কে ঢুকে গেল। আমি পিছন থেকে তাদের কার্যকলাপ ফোন বন্ধি করতে ব্যস্ত৷ এখানে শুধু ইমন ভাইয়া নয়৷ তার মতো হাজারও ছেলেমেয়ে এসেছেন৷ ছি! পরিবার পরিজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব কাজ করছে৷ এখানে দাঁড়িয়ে থাকতেই ঘৃণা হচ্ছে৷ যতটুকু করতে পেরেছি ততটুকুই যথেষ্ট। আজ ডিনারে নীলার মাকে ইনভাইট করব। শ্রুতি ভাবী, নীলা এদের ঠকিয়ে আরও একজনকে ঠকাতে আসছেন৷

পুরো দমে কাজ করে যাচ্ছি। তবুও ইমন ভাইয়ার কার্যকলাপ চোখে ভাসছে৷ রান্না ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রুতি ভাবী চোখের জল ফেলছেন৷ আমি কলেজ থেকে ফেয়ার পরই শ্রুতি ভাবীকে এই ভিডিও দেখায়৷ মায়া ফুপি উত্তেজিত কন্ঠে বলল,

“শ্রুতি তুমি কান্না করছো কেন? তোমার কি মন খারাপ?”

শ্রুতি ভাবী অনবরত কান্না করে যাচ্ছে। মায়া ফুপিকে কোন উত্তর দিলেন না৷ আমি চূলার আঁচ কমিয়ে বললাম,

“ফুপি শ্রুতি ভাবী মিথ্যা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন৷ উনার অনুভূতি গলা টি*পে মা*রা হয়েছে৷”

আমার কথায় মায়া ফুপি আকাশ থেকে পড়লেন৷ বিচলিত কন্ঠে বলল,

“শালিক তুই কি বলতে চাইছিস? আমি তোর কথা কিছুই বুঝতে পারছি না৷ তুই আবারও শ্রুতির গায়ে হাত তুলছিস৷ আমার তো তোকে সন্দেহ হচ্ছে৷”

“ফুপি ধৈর্য ধারণ করেন৷ ডিনারের সময় সব দেখতে পাবেন৷ আমি যতটুকু জানি নীলার বাবা পুলিশ কমিশনার। তিনি কাউকে ছাড়বেন না৷ অন্যায় কাছে কিছুতেই মাথা নত করেন না৷ ভাবী চোখের পানি মুছে ফেলেন৷ ম*রি*চী*কা*র পিছনে এতোদিন ছু*টে চলেছেন৷ আজ ম*রি*চী*কা ভেঙে ফেলার দিন।”

শ্রুতি ভাবী চোখের জল মুছে বলল,

“শালিক আমাকে একা থাকতে দাও৷ আমার কিছু ভালো লাগছে না৷ আমার পায়ের নিচে মাটি সরে গেছে৷ নিজেকে পা*গ*ল পা*গ*ল লাগছে৷ আমি কোনদিন পারব না ক্ষমা করতে৷”

শ্রুতি ভাবী কথা না বাড়িয়ে নিষ্পলক দৃষ্টি মেলে নিজের রুমে চলে যান৷ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কাজ মন বসানোর চেষ্টা করলাম। ডিনারের পর সবাই বসে খুশগল্পে মুগ্ধ। সবাইকে উপেক্ষা করে বললাম,

“ইমন ভাইয়া নীলাকে মনে আছে৷ ওই যে বৃষ্টির দিকে তাদের বাড়িতে আটকে যান৷”

আমার কথা শুনে ইমন ভাইয়ার গলা শুকিয়ে যায়৷ টেবিল থেকে পানি নিয়ে এক নিঃশ্বাসে পান করেন৷ শরীফ চৌধুরী তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন আমার দিকে৷ বিচলিত কন্ঠ বলল,

“নীলা কোথা থেকে আসল? বৃষ্টির মাঝে ইমন নীলাদের বাসায় যাবে কেন? বৃষ্টি বাদলের দিনে ইমন তো বাড়িতেই থাকে৷”

আমি উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বললাম,

“স্যার আপনার ছেলের অন্যরুপ দেখতে পাবেন৷ ইমন ভাইয়ার প্রথম বউ হলো নীলা আপু৷ উনার মা বাবা এসেছেন এখানে। উনাদের সাথে কথা বলেন৷”

ইমন ভাইয়া চিৎকার করে বলল,

“বাবা শালিক সব মিথ্যা কথা বলছে৷ আমি নীলা নামে কাউকে চিনি না৷”

ইমনের কথা শেষ হওয়ার আগে শ্রুতি ভাবী নীলা আপু আর উনার মা বাবাকে নিয়ে আসেন৷ তাদের দেখে ইমন ভাইয়া বসা থেকে দাঁড়িয়ে যান৷ শ্রুতি ভাবী ক্ষোভ নিয়ে বলল,

“ইমন তোমার নাটক শেষ করো৷ আর কিছুই লুকাতে পারবে না৷ আমরা সব জেনে গেছি৷ নীলা আপু তুমি তোমার স্বামীকে যা ইচ্ছা শাস্তি দিতে পারো৷ আমি ইমনের সাথে সংসার করতে পারব না৷”

নীলা আপু ধীর পায়ে ইমন ভাইয়ার সামনে দাঁড়ান৷ দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে কষিয়ে থা’প্প’ড় মা’রে’ন৷ ঘৃণার সাথে বলে উঠল,

“তুমি এতোটা খারাপ জানা ছিল না৷ তুমি আমার বিশ্বাস নিয়ে খেলছো৷ তোমাকে বিশ্বাস করে বাবার অনুমতি না থাকাও সত্ত্বেও তোমাকে বিয়ে করেছি৷ তোমার নামে অলরেডি থানায় ডায়েরি করে এসেছি৷ তোমার শাস্তি আইন দিবে৷ আমি এমন ব্যবস্থা করব তোমার অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকানোর সাহস পাবে না৷”

ইমন ভাইয়া চোখ পাকিয়ে বলল,

“তোর কাছে কি প্রমাণ আছে? তোকে হাত তোলার সাহস কে দিয়েছে? আমি তোকে খু’ন করে ফেলব৷”

নীলা আপু তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

“তোমার আর তোমার মায়ের অপকর্মের প্রমাণ আমাদের কাছে আছে৷ আজ প্রমাণ নিয়েই তোমার মুখোশ খুলতে এসেছি৷”

নীলা আপু ভিডিওটা শরীফ চৌধুরীকে দেখান৷ তিনি কিছুতেই পরকীয়া মেনে নিলেন না৷ তিনিও ইমনের গালে ক*ষি*য়ে থা*প্প*ড় বসিয়ে দেন৷ ক্ষোভ নিয়ে আফসানা চৌধুরীকে বলল,

“তোমাকে একজন আদর্শ মা হিসাবে জানতাম৷ তুমি তোমার ছেলের অপকর্মের সাক্ষী হয়েও তাকে শাসন করো নি৷”
শ্রুতি ভাবীকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“এদের পুলিশের হাতে তুলে দাও৷ আমি এদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আবেদন করব৷”

শরীফ চৌধুরী সোফায় লাথি দিয়ে রুমে চলে যান৷ নীলা আপু আগে থেকেই পুলিশকে বলে রেখেছিল৷ তার উপর নীলা আপুর বাবা পুলিশ কমিশনার। উনাকে বলে সব ঠিক করে রাখেন৷ পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যান৷ শ্রুতি ভাবী এতোক্ষণ নিজের কান্না আটকিয়ে রাখতে পারলেও এখন আর নিজেকে শান্ত রাখতে পারলেন না৷ আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দিল৷ হেঁচকি তুলে বলল,

“আমি কাকে নিয়ে বাঁচব? আমি ইমনকে ছাড়া বাঁচব না৷ আমি তাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি৷ তুমি ইমনকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসো৷”

নীলা আপুর চোখ থেকে টুপটুপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। নিজেকে যথেষ্ট শান্ত রাখার চেষ্টা করছে৷ শ্রুতি ভাবীর কাঁধে হাত রেখে বলল,

“আপু কান্না করো না৷ তোমার ইমন তোমারই থাকবে৷ আমি কোনদিন ইমনের সামনে আসব না৷ আমি অনেক দূরে কোথাও চলে যাব। ইমনের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকব৷ আল্লাহ ইমনকে সংশোধন করে ফিরিয়ে দিবেন৷ তোমার ভালোবাসা মিথ্যা হতে পারে না৷”

শ্রুতি ভাবী ভেজা গলায় বলল,

“না আপু৷ আমি ইমনকে ডিভোর্স দিব৷ তুমি উনার প্রথম ওয়াইফ তুমিই ইমনের সাথে থাকবে৷ আমি তোমাদের ভালোবাসাকে অসম্মান করেছি৷ আমি তোমাদের ভালোবাসার মাঝে চলে এসেছি৷ পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও৷”

আবহমান নদীর মতো সময় চলে যেতে থাকল৷ কেটে গেলে কয়েকটি মাস৷ আজ আফসানা চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন৷ ইমন ভাইয়া এখনও জেলে আছেন৷ উনার জামিন হতে আরও তিনমাস বাকী৷ মাথা নিচু করে শরীফ চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ শরীফ চৌধুরী ক্ষোভ নিয়ে বলল,

“চৌধুরী বাড়িতে তোমার কোন জায়গা হবে না৷ আল্লাহ তোমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিলেও আমি তোমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিতে পারব না৷ আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও৷”

আফসানা চৌধুরী শরীফ চৌধুরীর পায়ে ধরে ভেজা গলায় বলল,

“আমার যাওয়ার কোন জায়গা নেই৷ মেয়েদের কাছে স্বামীর ঘরই আসল ঘর৷ আমি ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তার অন্যায়গুলো মেনে নিয়েছিলাম৷ আমাকে বলেছিল আমি তার অন্যায় আবদার পূরণ না করলে সে মা*রা যাবে৷ মা হয়ে ছেলের মৃত্যু কিভাবে কামনা করি?”

আমি হাত কাচুমাচু করে বললাম,

“বাবা ক্ষমা করা মহৎ গুণ। ম্যাডাম যেহেতু নিজেকে দোষ স্বীকার করেছেন এবার ম্যাডামকে ক্ষমা করে দেন৷ মহানবী (স) উনার চি’র’শ’ত্রু’কেও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও৷ ম্যাডামকে ক্ষমা করে দেন৷ শেষবারের মতো একটা সুযোগ দেন৷”

গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“তুমি চাইলে এ বাড়িতে থাকতে পারো৷ কিন্তু আগের মতো তোমাকে সম্মান, বিশ্বাস করতে পারব না৷ তুমি নিজের জায়গা নিজেই হারিয়ে ফেলেছ। আজ শালিকের কথায় তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম৷”

ঘড়ির কাটা আপন গতিতে ঘুরে যাচ্ছে। এখনও ইহান বাড়ি ফিরেনি৷ হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে৷ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে নিস্তব্ধ আকাশের দিকে উদাসীন হয়ে তাকিয়ে আছি৷ চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছি ইহানের৷ কখন উনার মায়ায় এতোটা জড়িয়ে পড়েছি জানা নেই৷ বার বার ফোন দিয়ে যাচ্ছি৷ ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে৷ চিৎকার করে কান্না পাচ্ছে৷ উনার কোন বিপদ হলো না তো৷ ঘড়ির কাটা দু’টোর ঘরে পৌঁছাতেই নিজেকে শান্ত রাখতে পারলাম না৷ শীত চলে গেলেও বাহিরে এখনও অনেক শীত৷ বসন্ত ফুল ফুটেছে চারদিকে। গায়ে চাদর জড়িয়ে বেরিয়ে আসতে নিলেই ক্লান্ত দেহে ফিরে আসেন ইমন৷ হাফ ছেড়ে বাঁচলাম৷ ধম ফিরে পেলাম৷ উনাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম৷ অভিমানী স্বরে বললাম,

“আপনি এতো দেরি করে ফিরলেন কেন? আমার ধম বন্ধ হয়ে আসছিল৷ আপনার ফোন বন্ধ কেন?”

আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,

“সরি! এমন ভুল আর হবে না৷ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও৷”

উনার কাছ থেকে সরে এসে গম্ভীর কন্ঠে বললাম,

“আপনার সাথে কোন কথা নেই৷ আপনার ফোন বন্ধ করে ছিল৷ এখন আহ্লাদ দেখাতে আসলে পা ভেঙে দিব৷ কাছেও আসার চেষ্টা করবেন না৷ আমি বিরক্ত করি বলে ফোন বন্ধ করে রাখছিলেন।”

রাগ দেখিয়ে ফোন বিছানায় ছুঁ’ড়ে বেলকনিতে চলে আসলাম৷ আমার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আলমারি থেকে টাউজার, টি শার্ট নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলেন৷ উনার এমন অবহেলায় চোখে অশ্রু চলে আসল৷ আমার রাগ না ভাঙিয়ে তিনি ওয়াসরুমে চলে গেলেন৷ বেশ কিছুক্ষণ পর শাওয়ার নিয়ে ওয়াসরুম থেকে বের হোন৷ আমি উদাসীন হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি৷ রাগে কষ্টে ম*রে যেতে ইচ্ছা করছে৷ ইহানকে ছাঁদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করছে৷ বেলকনিতে গ্রিল না থাকলে উনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতাম৷ আকাশে চাঁদের ছিঁ’ড়ে ফোটাও নেই৷ আজ আকাশ আমার মতো বিষণ্ণ। না চাওয়া সত্ত্বেও চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে৷ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,

“শালিক পাখি অভিমান করেছে৷ আমাকে কি শালিক পাখি ক্ষমা করবে না? আমি অনেক বিজি ছিলাম৷ তোমার কথা মাথায় ছিল৷ অফিসে অনেক চাপ ছিল।”

গম্ভীর কন্ঠে বললাম,

“আমি কোন কফৈয়ত দিতে বলিনি৷ আপনি আপনার কাজ নিয়ে থাকেন৷ আমাকে টার্চ করার চেষ্টা করবেন না। দূরে যান৷”

আমার এলোমেলো কেশে মুখ লুকিয়ে নেশা ভরা কন্ঠে বলল,

“আমার কিন্তু অনেক ক্ষুধা লাগছে৷ এখন খেতে না পারলে একটু পর আমাকে খুঁজে পাবে না৷ অতলে হারিয়ে যেতে পারি৷”

ধাক্কা দিতেই একটু দূরে সরে গেল। রাগ নিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললাম,

“খাবার নিয়ে খান৷ আমি কাউকে খাবার দিতে পারব না৷ কেউ না খেয়ে আমার কি? আমিও খাবার খাইনি৷”

উনি নিজেই রান্না ঘর থেকে খাবার নিয়ে আসেন৷ আমাকে উনার কোলে বসিয়ে জোর করে খাইয়ে দেন৷ মনে মনে খুশি হলেও মুখে গম্ভীরতা বজায় রাখলাম৷ খাওয়া শেষ করে বেলকনিতে আবার চলে আসলাম৷ উনি আমাকে পাঁজা কোলা করে বিছানায় নিয়ে আসেন৷ চলে আসতে নিলেই জড়িয়ে ধরে আমার ঘাড়ে ভালোবাসার উষ্ণ একে দেন৷ নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিলাম৷

চলবে….

পেইজে রিপোর্ট পড়েছে। লেখার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছি৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here