সিক্রেট_গ্যাংস্টার পর্ব ৯+১০

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৯(wedding special ০২🥳)
সকালে সূর্য উদায় হবার সাথে সাথে একটা নতুন দিন আর নতুন জীবনের শুরু হলো।
আমি নমাজ পড়ে উঠতে দেখি আমান এখনো ঘুম।
ডাকবো নাকি না।
না ডাকা উচিৎ।
উনি কি নামাজ পড়েন না।
আমি গিয়ে হালকা হাতে তার পিঠে হাত দিলাম।
সে উবু হয়ে শুয়ে আছে।
–স্যার।
–হু(ঘুমের ঘোরে)
–বলছি নামাজ পড়বেন? না নামাজ পড়েন না?
আমার এমন প্রশ্ন শুনে সে আমার দিকে ঘুরে পিটপিট করে তাকালো।
তার চাহনি দেখে আমি অবাক।
কি মায়া আর মিষ্টি একটা মুখ।
আর এভাবে তাকানো যেন এক রাস মায়া।
–নামাজ!
–হ্যা নামাজ উঠুন নামাজ পড়ুন।
সে চোখ ঢলতে ঢলতে উঠলো।
তার পর সোজা বাথরুমে।
আমার কিছুটা হাসি পেল কিন্তু কারোর উপর হাসতে নেই বাবা বলে।
হি হি।
কিছু সময় পর তিনি বাইরে আসলেন,
–নামাজ অনেক দিন পড়া হয় না বদ অভ্যাস হয়ে গেছে
–এ মা সে কি কথা আজ থেকে রোজ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে
কোন কথা নাই।
সে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল,
–যথা আগ্গা মহারানী।
উনি নামাজ পড়ে নিলেন।
–আচ্ছা আমার কিছু কাজ আছে আমি বাইরে যাচ্ছি তুমি বসো বাবা আসবেন একটু পরে।
কথাটা বলে উনি বেরিয়ে গেলেন,
,
,
,
এদিকে,
হাঁটতে বার হয়ে মেঘকে খুব মিস করছে ঋতু।
কিরনকে নিয়ে একটা গাছের তলে বসে তার কাঁধে নিজের মাথাটা দিয়েছে।
পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে শান্তির যায়গা কিরনের কাঁধ।
মাথা দিলে মনে হয় যেন সব কষ্ট ভুলে যাচ্ছে ঋতু।
–ঋতু।
–হুম।
–মেঘ কে মিস করছো না।
–হুম অনেক।
–তোমরা আসলে দুই বান্ধবী খুব বেশি একটা অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকো।
এটা ভালো লাগে।
–হুম মেয়েটার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এক প্রকার বিয়েটা হয়েছে।
–কি আর করার বলো,
ওদের কথার মাঝে ঋতুর ফোন বেজে ওঠে,
–কিরন দেখো মেঘ ফোন করেছে,
–ফোন ধরো
ঋতু ফোন রিসিভ করে,
–হ্যালো দোস্ত। (ঋতু)
–কেমন আছিস? (মেঘ)
–এই ত ভালো তোকে খুব মিস করছি রে। (ঋতু)
–আমিও এখন আমাদের হাঁটতে বার হবার কথা ছিল না?
–হুম আমি তোর ভাইয়ার সাথে বার হইছি কিন্তু বসে আছি এক জায়গায় ইচ্ছে হচ্ছে না কিছু।
সব ঠিক আছে তো মেঘ?
–হুম সব ঠিক আছে কাল রাতে ভাবছিলাম সব ভুলে যাওয়া ভালো।
–হুম এটাই তো বলছি সেই কতো বার।
–এবার বল ভাইয়ার তো চাকরি হয়ে যাচ্ছে তোদের বিয়ে টা কবে হচ্ছে।
–আরে হবে হবে একটু সময় নিতে চাচ্ছি আমি।
–আচ্ছা তাই ভালো নেও নেও সময় নেও আজ আসবি ত?
–হুম আসবো পাগলি আমি না আসলে রিসিপশন হবে নাকি।
–তাই তো আই মিস উ।
–মি টু বেবু।
আচ্ছা নতুন সংসার যা গিয়ে আঙ্কেল কে চা করে দে।
–হ্যাঁ ভালো বুদ্ধি দিছিস।
–হুম যা রাখি।
–আল্লাহ হাফেজ।
ঋতু ফোনটা কেটে আবার কিরনের কাঁধে মাথা দেয়।
সারা দুনিয়ার শান্তি এক গুচ্ছ পদ্ধতিতে তার মনে নেমে আসে এই সময় টায়।
,
,
,
ঋতু বলল বাবা কে চা খাওয়াতে।
ভালোই বুদ্ধি।
যে ভাবা সে কাজ।
ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা রান্না ঘরে চলে এলাম।
খুঁজতে দেরি হলো না।
এসে সুন্দর করে এক কাপ চা বানিয়ে বাবার রুমের বাইরে চলে এলাম।
–বাবা।
বলে দরজায় টুকা দিলাম।
হ্যাঁ মা ভেতরে আয়।
আমি চায়ের কাপ নিয়ে ভেতরে গেলাম
বাবা কাজ করছিলেন,
–কাজ করছিলেন বাবা?
–হুম একটু আসলে তোদের বিয়ের ঝামেলায় কিছুই করা হয়ে ওঠে নি।
–ওহ চা নিয়ে এসেছি।
আমার হাতে চা দেখে বাবার চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো,
যেন বহু বছর তিনি এই রকম কাজের সাথে মেলামেশা বন্ধ করেছেন।
–তুই চা করেছিস আমার জন্য?
–হ্যাঁ বাবা।
–মেঘ তুই জানিস মা আজ ২০ বছর পর কেউ আমাকে এই সকালে চা করে দিলো।
তোর মায়ের কথা মনে পরে গেল।
ও সকালে আমাকে চা করে দিতো।
বাবার কথা শুনে খারাপ লাগলো।
ওনার পাশে বসে বললাম,
–এখন তোমার মেয়ে চলে এসেছে চিন্তা করো নারোজ চা করে দিবো।
বাবা খুব খুশি হয়ে গেলেন।
খুব আনন্দের সাথে চা টা খেলেন।
,তার পর আমি আমার রুমে চলে এলাম

বিছনায় বসে বসে পুরো বিয়েটার কথা ভাবছি।
হুট করে সব হয়ে গেল।
সব কিছু!
আমার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে হটাৎ আমান ঘরে এলো,
আমি তার দিকে তাকিয়ে হটাৎ থমকে গেলাম।
আমান মাক্স পরে আছে।
তার চোখ দুটো আমার যেন তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আমি তো কখনো এভাবে আমান কে খেয়াল করি নি।।
আমি অবাকের চরম পর্যায়ে আছি
আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে তরিঘরি করে মাক্স খুলে ফেলল,
–কি বলব বলো করোনা বেড়েছে মাক্স ছাড়া চলা সম্ভব না।
আমি উঠে ওনার দিকে এগোতে হাত বাড়িয়ে দিলে,
–না থামো ওখানে থামো আমি বাইরে থেকে আসছি গোসল না করা পর্যন্ত তোমার কাছে আসবো না।
সরে থাকো।
–করোনা নিয়ে এতো ভয়ের কি আছে বুঝলাম না।
–আমার আছে আমি গোসল করে আসছি আমার কিছু ধরবা না জুতাটা বাইরে আছে ওটা একটু পর সার্ভেন্ট এসে নিয়ে যাবে।
আমান জীবাণু নিয়ে খুব সেনসিটিভ।
সে সোজা বাধরুমে চলে গেল।
আমি বুঝলাম না সে এতো ভয় কেন পেলো।
আমি বসে পরলাম আবার।
কিছু সময় পর আমান বেরিয়ে এলো।
ভেজা চুল নিয়ে টাওয়াল কাঁধে।
এসে সোজা আমাকে জড়িয়ে ধরলেন,
–তুমি আসতে চেয়েছিলে আমি বাঁধা দিয়েছি তার জন্য সরি।
আমি পুরাই থ হয়ে গেছি।
হুট করে এভবে জড়িয়ে ধরেছে তিনি আমাকে।
বুকের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আমি এতেটাও কাছে যেতে চাইনি 😑।
–কি ভাবছো।
আমানের কথায় ধ্যান ফিরল।
–কিছু না।
–সন্ধ্যায় একটা ব্লাক শাড়ি পরবে।
–রিসিপশনে কেউ ব্লাক পরে।
–হুম পরে আমান খানের স্ত্রী। unique যে তুমি তাই।
কথাটা বলে সে আমার থেকে সরে আসলেন।
আসলে তিনি অদ্ভুত।।
দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হলো,
আমাকে তার কথা মতো একটা ব্লাক শাড়ি পরিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হলো।
আমান রুমে এসে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো,
–তুমি দেখছি আজ মেরেই ফেলবা।
কথাটা শুনে লজ্জা পেলাম।
উনি আমার হাত ধরে নিচে সবার মধ্যে নিয়ে এলো।। অনেক মেহমান।
কিছু সময় পর আমার মা বাবা আর ঋতু চলে এলো।
ঋতু এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো,
–কুইন তোমায় অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে বেব।
–তোমাকেও বেব।
–স্যার অবশেষে আপনি দুলাভাই হয়ে গেলেন এবার আর বকা ঝকা শুনবো না।
–নাহ বকা ঝকা কমি দিবো এবার থেকে যতোই হোক শালি তো অর্ধেক ঘর ওয়ালি তাই না।
–হুম সেটাই তো।
সবার মুখেই মিষ্টি একটা হাসি।
ঋতুর ফোন বেজে উঠতে সে একটু আড়ালে গেল।
–আচ্ছা শুনেন। (মেঘ)
–জি বলেন,(আমান)
–মিহা আপুকে কিন্তু কাল আইসক্রিম দেওয়া হয় নি।
–তুমি তো মনে করো নি। ওনার জন্য তো আইসক্রিম আমি স্পেশালি অডার করেছি।
–হ্যাঁ আজ যদি না দিন তবে আপনার নামে মামলা হবে কিন্তু।
–এই যাহ ভুলে গেলে তুমি মামলা হবে আমার নামে এটা কেমন কথা।
–এটাই কথা আপনি আমার স্বামী না আমি ভুলে গেলে তো আপনি মনে করবেন।
–আচ্ছা জো আগ্গা মহারানী ওনাকে ওনার আইসক্রিম আমি দিবো।
চলবে,
#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_১০
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
সব কিছু খুব সুন্দর করে কাটছে।
মা বাবা খুব খুশি।
সবার আনন্দ আর হাসি খুশি মুখটা দেখে আমিও খুব বেশি খুশি হয়ে গেলাম।
ওদের আনন্দ আর খুশিতেই আমার শান্তি।
আমানও সবার সাথে মিশে গেছে।
ওকে দেখে বার বার মনে হচ্ছে এমন এক জন কেই তো প্রয়োজন ছিল যে কিনা আমার সব আপন মানুষ দের আপন করে নিবে।
আমার ভালোবাসা নয় এক পাশে থাক।
আমি আমানের সাথে সবাইকে হাসতে দেখছিলম তখন হটাৎ করে লাইট অফ হয়ে গেল।
তার পর একটা আলো আমার উপর এসে পরলো,
আমি অবাক হয়ে গেলাম কিছুটা।
–আমার জীবনে আমার ঘরে আমার অস্তিত্বে তোমায় সাগতম জানাচ্ছি মিসেস.আমান খান

আমান কথাগুলো বলে আমার দিকে এগিয়ে এলেন,
–আমার বৃদ্ধ বয়সে আমার পাশে থেকে পাকা চুল গুনে দিও।
আমার বাচ্চা গুলোকে মায়ের স্নেহ দিও।
আমার বাবাকে তার প্রাপ্য ভালোবাসা টুকু দিও।
আর আমাকে তোমার মনের ওই গভীরের সব টুকু জায়গা দিও।
ব্যাস আর কিচ্ছু চাই না তোমার থেকে।
আমার সব থেকে বড়ো প্রাপ্তি তুমি।
আমার ঘরের আলো।
আমান হাঁটু গেড়ে একটা আংটি পরিয়ে দিলো।
–তুমি আমার তুমি নামক প্রাপ্তি❤️আমার এই ছোট্ট ঘরে তোমায় সাগতম জানাচ্ছি ছোট্ট এলটা উপহার দিয়ে। ❤️
আমি মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
যে লোকটা সব সময় নিজের চেহারাটাকে শক্ত করে রাখতো।
সেই ছেলেটা আমাকে এতো ভালোবাসা দিচ্ছে।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
আশে পাশে সবাই হাতে তালি দিচ্ছে।
আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না তাকে উত্তর দিলাম,
–ধন্যবাদ মি.খান আপনার সব প্রাপ্তির কারন আমি হবো ইনশাআল্লাহ।
যদি ওয়াদা করেন এক সাথে চুল পাকা পর্যন্ত থাকবেন তাহলে।
আমান এক আকাশ সমান হাসি মুখে নিয়ে আমার হাতে চুমু খেলেন।
আর তখনি লাইট জ্বলে উঠলো।
সবার মুখে হাসি।
এই আনন্দে মধ্যে দিয়ে কাটলো সন্ধ্যা।
সবাই চলে গেছে প্রায়।
মা বাবা আর ঋতু আছে রওনা দিবে।
বাবা কিছু খাবার পাঠালেন তাদের সাথে।
কিরন ভাইয়া ঋতুকে নিতে এলেন।
তার একটা কজের জন্য সে রিসিপশনে আসতে পারে নি।
কাজ শেষ করে যাবার সময় ঋতুকে নিয়ে গেলো।
ঋতু যাবার সময় আমাকে বলল,
–,দোস্ত আমন ভাইয়া তোকে অনেক ভালোবাসবে।
সব পুরোন কথা ভুলে যাবি কথা দে আমাকে আর ভাইয়াকে তার অধিকার। অধিকার মানে তুই বুঝতে পারছিস আমি বুঝাতে চাইছি?
–হুম।
–সব অধিকার তাকে দিয়ে দিস। এখন তুই তার। অন্য কারোর কথা ভাবিস না সোনা।
–হুম ঠিক আছে
ঋতু আমায় জড়িয়ে ধরল।
–আমার বুঝমান বেবু। টাটা।
–টাটা।
সবাই চলে গেছে
বাবা টায়ার্ড রুমে রেস্ট করছে
আমিও নিজের ভারি কাপড় খুলে কম্ফোর্ট এলটা জামা পরে নিলাম।
অনেক ধকল গেল।
আয়নার সামনে বসে চুল বাধছি।
ঘরটাকে সুন্দর করে সাজানো হইছে
আন্টি (আমানের মামি হন সম্পর্কে) আমাকে আমন না আসা পর্যন্ত সেজে থাকতে বলেছিল কিন্তু আমি তা করি নি।
কেন করি নি তা আমি নিজেও জানি না।
চুল বেঁধে উঠতে যাবো তখন ঘরে আমানের আগমন।
আমাকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
–বাহ বাসর ঘরে বৌ এর এমন ন্যাচারাল সাজ ই ত দরকার।
আমি একটু লজ্জা পাইছি কিন্তু ওনাকে দেখাই নি।
তিনি এসে সোজা বাধরুমে চলে গেলেন।
ফ্রেশ হয়ে বের হলেন,
–নামাজ পড়তে হবে।
–,ওহ হ্যাঁ পড়তে তো হবে চলো এক সাথে পরি।
–হুম চলুন।
তার সাথে এক সাথে নামাজে দাঁড়ালাম
নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম,
–আমাকে সব ভুলিয়ে এই মানুষ টার সাথে জীবন কাটানোর তৈফেত দান করো ।
আমি তাকে ভালোবাসতে চাই।
,
নমাজ শেষ হলে আমান বলল,
–তুমি শুয়ে পরো অনেে টায়ার্ড দেখাচ্ছে তোমায়।
আমার কিছু কাজ আছে।
–আচ্ছা।
সত্যি খুব ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমিয়ে গেলাম শোয়া মাত্র।
মেঘ ঘুমোতে তার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে আমান।
একটা মেয়ে যার মায়াবি চোখের পলক হিন চাহনি গে আটকে যাওয়া যায় ১০০ বার।
একটা মেয়ে যার হাসিতেই হার্ট ১০০০ থেেে বেশি স্পন্দন এর শিকার হয়।
তুমি হলে হৃদয় পুরির রানি।
সত্যি বলতে মায়াবিনী তুমি আমার কল্পনার সে অর্ধাঙ্গিনী❤️।
–আমি জানি না আমাদের সম্পর্কের পরিনতি কি।
আমার ভয় হয় তোমায় নিয়ে কিন্তু আমি এটা জানি আমি তোমায় হৃদয়মাঝে রাখবো সব সময়।
আমি যতোই কনফিডেন্স হই না কেন ভেতরে ভেতরে ভয় টা কেমন আটকে ধরছে চারি পাশ দিয়ে আমাকে।
মেঘ পারব তো সব কিছু সঠিক করে করতে।
কথা গুলো বলে মেঘকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরে আমান।
আমানের ভয়ের কারন টা কিন্তু অজানা কোন রহস্যের মাঝে আছে।
,
,
,
সকালে সূর্য তার কিরন দিলো।
মেঘ উঠে আমানকে নিয়ে নামাজ আদায় করে নেয়।
তার পর সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করতে লাগে।
কেউ তাকে বলে নি সার্জেন্ট রা বার বার বারন করা স্বত্তেও মেঘ বসেছে রান্না করতে।
সুন্দর করে সব রান্না করেছে খুবই আদর আর পরম যত্নে।
রান্না গুলো সাজিয়ে রাখার সময়।
আরিফ খান বাইরে এলেন সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে সরু চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে রইলেন,
–কি ব্যাপার রাজকুমারী তুমি রান্না কেন করেছো?
–বাবা আসলে,
–থাক কোন কথা বলো না একটা কথা মা এখন তোমার পড়ালেখার সময়। তুমি মাত্র ১ম বর্ষে এখনো অনেকদুর যেতে হবে আমি চাই না পড়ালেখা শেষ না হবা পর্যন্ত তুমি এসব গিন্নি দের কাজ করো।
এগুলা করার জন্য সার্ভেন্ট আছে।
বাবার কথায় অফুরান্ত হাসি দিলাম
বাবা খেতে বসে বললেন,
–আমান কই?
–এই যে বাবা আমি।
আমানও শিড়ি বেয়ে নেমে আসলো।
–মেঘ তুমি ফ্রেস হয়ে কাপড় পাল্টে নেও তোমাকে নিয়ে ভার্সিটি যাবো।
–সে কি কাল বাড়িতে অনুষ্ঠান হলো আজই যাবে।
–হ্যাঁ বাবা এই অনুষ্ঠানের জন্য হয় তো ওর মাথায় যা কিছু ছিল তাও ফাকা হয়ে গেছে।
–আপনি এমন কেন বলছেন আমি যথেষ্ট পড়াশোনা করি।
–হ্যাঁ ক্লাসে দেখা যায়।
–বাবা তোমার ছেলে আমাকে অপমান করছে।
–হ্যাঁ আমন তুমি আমার মেয়েকে এমন বলবা না।
–তোমার মেয়েকে একটু পড়ালেখা করতে বলো বলব নানে।
–হুহ যুধিষ্ঠি আমার আমি ভালো করেই পড়ালেখা করবোনি।
–করলেই ভালো আমরা অপেক্ষা করছি যাও রেডি হয়ে এসো।
আমি একটা ভেংচি কেটে চলে এলাম।
সব সময় এমন বলে আমি কি পড়ালেখা এক দম করি না নাকি আজব।
ফ্রেশ হয়ে একটা জাম রঙের থ্রি-পিস আর হাতে ঘড়ি লাগিয়ে চুল গুলে সামনে থেকে বেঁধে নিচে এলাম।
আমি আসায় সবাই খাবার শুরু করলো

বাবা আমার রান্নার প্রশংসা করলেন।
খেয়ে বেরিয়ে গেলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্য
আমান আর আমি গাড়িতে ছিলাম।
আমান চুপচাপ ছিল।
ভার্সিটি তে পৌঁছে ঋতুর সাথে দেখা।
আমান গাড়ি পার্ক করে লাইব্রেরি তে চলে গেল আমি ঋতুর কাছে,
–দোস্ত বাসর রাত কেমন কাটলো (চোখ মেরে)
–মার খাবি?
–ধুর এমন করিস কেন বল না।
–অন্য দের থেকে আলাদা।
–ও আচ্ছা তাই।
–হয় তোমার আর ভাইয়ার বাসর ঘরে আই সিসিটিভি রেখে দিবো হাজার হোক প্রেমের বিয়ে বলে কথা।
–দোস্ত তোর না বিয়ে হয়ে গেছে তাও ফাজলামি কমাবি না।
–না কমাবো না (দাঁত বার করে)
চলবে,

(আমিও অবশেষে vpn use করলাম😑।এখন আমি সিঙ্গাপুর আছি🐸)
(আমান কিন্তু আইসক্রিম দিয়ে দিছে😉)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here