সে আমার মায়াবতী পর্ব -৩+৪

#সে_আমার_মায়াবতী
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_৩
—চোখ খুলতেই নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করলাম.. পিটপিট করে তাকিয়ে দেখি মায়া, তুবা হা করে তাকিয়ে আছে,তুহিন ভাইয়া ও দেখি তাকিয়ে আছে,হটাৎ করেই মনে হলো আমার কাপড় ঠিক আছে তো?
নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সব ঠিকঠাক আছে, তাহলে গাধি গুলো এমন করে তাকিয়ে আছে কেন?

— এই ইশু ঠিক আছিস তুই?
— হ্যা তুমি ঠিক আছো, হটাৎ করে ঘুরে পরে গেলে কিভাবে? ভাগ্যিস বড় ভাইয়া ধরে ফেলেছে??
— ইশা করেই বলছি কারন তুমি ছোট, ডা. বলল কিছু না খাওয়ার কারনে আর তুমি নাকি অনেক স্ট্রেস এ ছিলে, কি নিয়ে এত ভা
—- কোন প্রেমিক পুরুষ আছে হয়তো, তাই দেখ গিয়ে তার কথা ভেবে অস্থির, হয়ত প্রেমিক বলেছে খাবে না তাই দেখ গিয়ে না খেয়ে ছিলো!

—- আচমকা আমরা ছাড়া অন্য কোন পুরুষ এর ভরাট কন্ঠ শুনে চমকে উঠলাম ? চোখে পানি আসার সাথে সাথে রাগ হলো প্রচুর, তাই ক্রোধিত কন্ঠে কিছু বলবো তাই পিছন ফিরে তাকে দেখেই হটাৎ করেই আমার বুক ধক করে উঠলো, শুভ্র পাঞ্জাবি, সেট করা চুল কিছু চুল কপালে গড়িয়ে পরেছে,হালকা চাপ দাড়ি, স্টাইল নিয়ে বসে আছে ” আমার ধ্যেন ভাংলো তার কন্ঠে,…

— কি মিস কি ভাবছো?
— মায়া তোর ফ্রেন্ড বোবা নাকি? তাকে বলে দে এই আরাভ এক কথা বার বার বলে না, যাই হোক বাড়ি চল
—- বড় ভাইয়া ও আসলে তেমন মে
— আহহ আমি তোর থেকে কিছু শুনতে চেয়েছি কি??
— এই যে শুনুন সেই কখন থেকে আমাকে যা নয় তা বলছেন তার সাথে আপনি আমার সামনে আমার ফ্রেন্ড কে ধমকাচ্ছেন আপনার সাহস তো কম না, আপনাকে চাইলে এক্ষুনি আমি হেরেসমেন্ট এর দায়ে পুলিশ এ দিতে পারি, আপনি আ

— সাট আপপপ ( চিৎকার করে)তোমার সাহস কি করে হয় আমার সাথে এভাবে কথা বলার, ইফ ইউ নো হু আই এম?

— আরাভ শান্ত হয়ে বস, ও তোকে চিনতে পারে নি তুবার ফ্রেন্ড তাই পরে বুঝিয়ে বলব তুই মাথা গরম করিস না, মেয়েটা বুঝতে পারে নি
—- নিজে মনে হয় কত বুঝে ( বিরবির করে)
— কি বললে তুমি তুবা?
— কি কিছু বলি নি তো, বিশ্বাস করুন কিছু বলি নি
— কেমন আছো মামনি?
— আমাদের কথার মাঝখানেই ডা. আংকেল কেবিনে প্রবেশ করলেন
— জ্বি আংকেল এখন অনেক বেটার কিন্তু আমার হাতের সুই টা খুলে দিন প্লিজ ( কাঁদো কাঁদো গলায়)
তখন নার্স এসে আমার হাত ধরতেই আমার ভয় ঢুকে গেলো, এখন তো এটা খুললে ব্যথা পাবো, রক্ত বের হবে, এসব ভাবনার মাঝেই কেউ টান দিয়ে আমাকে তার মাঝে জড়িয়ে নিলো আমিও তাকে জরিয়ে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম,
—- আহহ
— নার্স আস্তে খুলুন
— হ্য হ্যাঁ স্যার হয়ে গিয়েছে
এদিকে মায়া তুবা আর তুহিন হা করে তাকিয়ে আছে, কারন তাদের জানা মতে দ্যা গ্রেট এটিটিউড বয় একজন নেতা, আর হাজারও মেয়ের ক্রাস কিনা নিজে থেকেই একটা অজানা অচেনা মেয়েকে জরিয়ে ধরেছে,
— এই মেয়ে, উফফ এই মেয়ে ছাড়ো আমাকে কি হলো
— হটাৎ করেই আমার হুশ এলো এ আমি কি করছিলাম, লজ্জা,রাগ আমার গাল গরম করে দিয়েছে,
— নিজেকে এত ইমপোটেন্স দেয়ার কিছুই হয়নি ওকে, আমি যাস্ট ফেবার করলাম কারন তুমি আমার কলিজা আমার বোন এর বিপদে হেল্প করেছো।
— তার কথায় যতটা অবাক হয়েছি তার থেকেও বেশি খারাপ লাগছে নিজের উপর সত্যি কি আমি সবার দয়ার পাত্র?
— মায়া চল এখানে কাজ শেষ, আমার কাজ আছে আর তুহিন বিকালে অডিটরিয়ামে চলে আসিস প্লেনিং আছে,
— হ্যা তুই যা আমি যাবো বিকাল এ, ইশা চলো তোমাকে ড্রাইভ করে দেই, তুবা চল
— তোরা যা আমি যেতে পারবো
— হ্যা আবার ঘুরে পরো এতে অবশ্য তোমার লাভ, কারো কোলে তো চড়তে পারবে
— মি. আপনি আমার বিষয় না জেনেই তখন থেকেই বাজে কথা বলে যাচ্ছেন, আমি কি বলেছিলাম আমাকে কোলে নিন বলেছি? কেন কেন এভাবে অপমান করছেন?
—- এই আরাভ আয়ান চৌধুরির সাথে গলা তুলে কথা বলার শাস্তি তুমি পাবে মেয়ে, রেডি থেকো
— বলেই হনহন করে চলে গেলো
— ঈশা তুমি বড় ভাইয়ার কথায় কিছু মনে করো না প্লিজ আমার ভাইয়া খুব ভালো, সারাদিন পলেটিক্স নিয়ে থাকতে থাকতে খুব রাগি হয়ে গিয়েছে প্লিজ কিছু মনে করো না,,,,
—- আমি মায়ার হাত দুটো ধরে বললাম মায়া তুমি অনেক ভালো, আমি ওনার কথায় কিছুই মনে করি নি, যাও হ্যা আর কাল সুন্দর করে সেজে আসবে,
— আচ্ছা ইশা বলেই জরিয়ে ধরলো।
—- তারপর এক এক করে আমি তুবা আর তুহিন ভাইয়া চলে এলাম, অনেক বারন করার পরেও আমার বাড়িতে পৌছে দিয়ে গিয়েছে
বাড়িতে ঢোকার পরে দাদি আমার হাত ধরে নিয়ে সোফায় ধাক্কা দিয়ে বলে
— নবাবজাদি কই ছিলি হ্যা
সারাদিন কোন নাগরের সাথে ছিলি, পাখা বড় হয়ে গিয়েছে তাই না, কই নাবিলা দেখে যাও এই মেয়ে আমাদের মুখে চুনকালি দিবে দেইখো,
— মা বাদ দিন না মেয়েটা সারাদিন পরে বাড়িতে এসেছে ইসা মা আয় ঘরে আয়
–না ও ঘরে যাবে না, আজ ওর একটা হেস্তনেস্ত হবেই
— মা আমি রাস্তায় ঘুরে পরে গিয়েছিলাম তাই হসপি
— থাম তুই দোস করে আবার মিথ্যা বানিয়ে বলছিস
— মা বিশ্বাস করো আমি মিথ্যা বলি নি, তুমি একটু শুনো
— শুনো নাবিলা একটা পোলা দেইখা ওরে বিয়ে দিয়ে দেও আমরাও শান্তি তে থাকতে পারমু
— দাদি কি বলছো এসব, আমি এখন বিয়ে করবো না, না মানে না
বলেই ঘরে দৌরে চলে আসলাম,
— আমি পারছি না আমার কি এই কস্ট শেষ হবে না, ঠিক আছে তুমি চাও তো মা আমি চলে যাই, যাবো মা যাবো অনেক দুরে চলে যাবো আর খুজলেও পাবে না দেখো
— মা, ভাবি আপনারা এমন না করলেও পারতেন মেয়েটা সারাদিন এ বাড়িতে এসেছে কিছু সকালে খেয়ে যায় নি এখন তো শান্তি তে খেতে দিন,
— নিপা তোমাকে আমি যথেস্ট ভালোবাসি আশা করছি বড় ভাবি হিসাবে আসা করি আমাকে কিছুতে বাধা দিবে না আর ভুলে যাবে না ইশা আমার মেয়ে
— সত্যি কি তাই ভাবি, তাহলে রাইসা আর ইশার মধ্যে এত পার্থক্য কেন ভাবি,
আমি তোমাকে ভাবি না নিজের বড় বোনের মতো সম্মান করি ভালোবাসি তাই তুমি অন্তত্য ভেবে দেখবে ভাবি! এমন না হয় সব হারিয়ে শেষ এ বুঝবে
—এটা বলেই চাচিমা চলে গেলো দাদি বলে
— শোন বউমা পরের ঘরের মেয়েরে প্রতি এত দরদ না দেখিয়ে যা বলেছি তাই করো আপদ বিদায় করো..
— ঘুম থেকে উঠতেই দেখি সামিয়া আপু আর চাচিমা খাবার নিয়ে এসেছে আর অনেক গুলো শাড়ি
— আয় তো মা তোকে খাইয়ে দেই
বলেই খাওয়াতে শুরু করলো, আর সামিয়া আপু শাড়ি দেখাতে শুরু করেছে
— কালকে তে তোর নবিন বরন এর অনুস্টান আছে তাই তুই এই নিল শাড়ি টাই পরবি, দেখ
— বাহ খুব সুন্দর লাগছে তো তোকে
— আমিও আপুর কথা শুনে মুচকি হাসলাম
—- সেই গারো চোখ, কথার তেজ, টোল পরা গালে লজ্জার আভা কেন কেন বার বার এই মেয়ের মুখ ভেসে উঠছে, নো আরাভ কোন মেয়েকে নিয়ে এতটা ডেসপারেট, বাট আই লাইক হার এটেটিউড!!#সে_আমার_মায়াবতী
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_৪
–আজকের দিনটা যে তিনটি রমনির মনে ভালোবাসার রঙ বয়ে আনবে এমন একটা ইংগিত দিচ্ছে।! সত্যি কি এমন হবে নাকি ভাগ্য বদলাতে চলেছে,আমাদের ভাগ্য কখন কোথায় নিয়ে যায় আমরা কেউই জানি না,আচ্ছা আমার ভাগ্যে কি ভালোবাসা আসবে না,??

— কাল থেকে মায়া আর তুবা ফোন করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে, মেচিং পড়তে হবে, একিরকম সাজতে হবে, উফফ পাগল করে দিচ্ছে মেয়ে দুটো, ওরা তো জানে আমি শাড়ি সামলাতে পাড়ি না তাও আমাকে থ্রেড এর উপর রেখেছে ”
আমাকে আপু সুন্দর করে নিল শাড়ি পরিয়ে হালকা কাজল আর লিপস্টিক দিয়ে দিয়েছে,চুল নরমাল রেখেছে কারন আমার চুল অনেক বড়, জন্মদিনে আপুর গিফট করা ঝুমকা পড়িয়েছে, এই একটা মাত্র মানুষ যে আমার ভালো লাগা খারাপ লাগা, পছন্দ, অপছন্দের খবর রাখে তাই তো দু দিন পর পর এটা সেটা এনে দেয়, ঘুরতে নিয়ে যায়, আমার ভাবনায় ছেদ ঘটে আপুর কথায়

— মাশাল্লাহ কি সুন্দর লাগছে তোকে, আমি তো চোখ সরাতে পারছি না, দেখিস কেউ আবার না তুলে নিয়ে যায় ( হেসে দিয়ে)
— কি যে বলো আপু, কিন্তু আমি তো শাড়ি সামলাতেই পাড়ি না ভয় হচ্ছে যদি পড়ে যাই বা শাড়ি খুলে যায় ( ঠোট উল্টে বললাম)
— আরে পাগলি তোর দুই বেস্টি আছে না দেখবি তোকে সামলে রাখবে,
এবার কিন্তু দেরি হলে ওরা বকবে যা তুই “”
— আচ্ছা আপু ”
— সাবধানে যাবি কিন্তু
–আচ্ছা
বলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে চলে এলাম
— তুববববাা
—গন্ডার টা এভাবে চিৎকার করছে কেন, উফ একটু সাজতেও পারি না, লাজ লজ্জা কিছু নেই ছি কাল বাবা মায়ের সামনে কিভাবে জরিয়ে ধরে বিয়ের কথা বলল, ফুপি টা এত ভালো তার ছেলেটা এমন খাটাস কেন, আসার পর থেকে জালিয়ে মারছে,এটাকে বিয়ে করলে তো আমার জিবন তেজপাতা, না না আমি পালিয়ে যাবো এই খারুস যতই সুন্দর হোক একে বিয়ে করা যাবে না, নাহলে না জানি এমন টর্চার করে আমার নাম ভুলিয়ে দিবে””
— কিরে ছেলেটা কখন থেকে ডাকছে তোর হয় নি?
— হ্যা এই ছেলে নিয়েই থাকো আমাকে কেউ ভালোবাসে না”
— যাবি তুই নাকি আমি
— থাক মাম্মি কস্ট করে কিছুই আনতে হবে না যাচ্ছি আমি
এদিকে তুহিন বিরক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে তুবার ওপর, কখন থেকে বসে আছে আসার নামই নেই, নেহাত ভালোবাসে নইলে দিত মাথায় তুলে আছার, ভাবনার মাঝেই দেখল এক নিল পরি তার সামনে হাজির কি মিস্টি লাগছে, সব রাগ জিদ গলে পানি হয়ে গিয়েছে
— এমন হা করে তাকিয়ে আছেন কেন হ্যা
— এক পরি কে দেখছি,
— সত্যি আমাকে সুন্দর লাগছে?
— না পেত্নি লাগছে এবার চলেন ম্যাম আপনার দেরি হয়ে যাচ্ছে,,
— হ্যা চলুন আপনি নিজেই তো লেট করলেন
— কি আমি,
— না আপনার বউ!
— মাথা চুলকে তুহিন ভাইয়া বলেন
–ঠিকই বলেছিস, তোকে তার ছ্যরা ভেবেছিলাম না দেখি বুদ্ধি আছে ( এক চোখ টিপ দিয়ে)
— যাবেন নাকি রিকশা দিয়ে চলে যাবো,
— তুহিন ভাইয়া কিছু না বলেই গাড়িতে বসে পড়ে
— কি হলো রাগ করলো না কেন? যাই হো আমারই লাভ হ্যা, ( মুখ ভেংচি দিয়ে)
— তুবা গাড়িতে বসার সাথে সাথে তুহিন ভাইয়া হুট করেই তুবার গালে কিস করে বসে,
— বাকিটা বিয়ের পরে করবো জান
— অসভ্য, ইতর , আমি বাড়ির সবাইকে বলবো,
— আচ্ছা নাম যেহুত হবে তাহলে আরও কিছু করি কি বলিস,?
— বলছিযে ভা ভাইয়া আমার লেট হচ্ছে,
— লাইনে এসেছিস, কিন্তু ছেলেদের থেকে দূরে থাকবি, আমি নিতে আসবো, মনে থাকে যেন!
— মনে থাকবে গাড়ি কি চালাবেন,
— যাচ্ছি জান
— অসহ্য একটা
— এটাকেই তোমার সামলাতে হবে সুন্দরি,
বলেই গান ছেড়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়েছে
অন্যদিকে—-
–মাম্মা আমাকে কেমন লাগছে?
— আমার প্রিন্সেস কে সবসময় ভালো লাগে,
— হ্যা পেত্নি তো
— ছোট ভাইয়া ভালো হবে না কিন্তু,
— আচ্ছা মেডাম আপনার দেরি হচ্ছে যান আপনি আর আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে”
— সত্যি?
— তিন সত্যি মহারানি, ভাইয়া চলে গিয়েছে, তোকে পৌছে দিবো চল,
— চলো চলো দেরি হচ্ছে, দেখো আমার বান্ধুবিদের দেখে আবার ক্রাস খেয়ো না,
— হা হা এই সায়ান এর মনে শুধু তার স্নিগ্ধ রানির বসবাস, যতই সুন্দরি থাকুক না কেন ( মনে মনে)
— ভাইয়া চলো, উই আর লেট,
— মা বায়, পাগলিটাকে দিয়ে আসি
— চলুন মহারানি
— হ্যা মন্ত্রি সাহেব
— ওদের কান্ড দেখে বাড়ির সবাই হাসছে
–এদিকে দাঁড়িয়ে আছি, আমাকে তারা দিয়ে নিজেদের নাম নেই,
—হটাৎ করে দুই দিক থেকে আমাকে কেউ জরিয়ে ধরে, আমি বুঝতে পেরেছি এইগুলো আমার পাগলি বেস্টিরা ছাড়া আর কেউ না,,
— কি রে কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি, তোদের খবর নাই,
— ঈশু মাসাল্লাহ তোকে কি সুন্দর লাগছে রে ,,
— হ্যা কারো নজর না লাগুক গো 🤭
— আরে বাহ নিজেদের যে আমার থেকেও বেশি সুন্দর লাগছে, তার বেলায় কি, আর আমাদের জিজু কোথায়?
— 😒😒
— দেখো তুবা আমরা বিয়ের দাওয়াত চাই চাই,
— ঠিকই তো সবার বান্ধুবির বিয়ে হবে আমার বান্ধুবির কি বিয়ে হবে না,
— হ্যা এতই যদি বিয়ের শখ তাহলে নিজেই করে না, ওই ইতর টাকে বিয়ে এমনিতেও আমার পথ ক্লিয়ার হবে
— না জান বিয়ে আমি তোমাকেই করবো,সে তুমি যাই করো না কেন ( বাকা হেসে)
— এখন কি জেগে জেগেও আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি, দূর কেন যে সারাদিন এই ছেলেটাকে দেখি
— জিজুউউ( চিল্লিয়ে)
আমি আর মায়া চিৎকার করে বললাম, কারন ভাবনা কুমারি ভেবেই চলছিলো
—এ এটা সত্যি 😯,
— ইয়েস জান, বাই দা ওয়ে আমাকে এত মিস করো বুঝি
— এ এই আপনি না চলে গিয়েছেন, তাহলে কেন কিভাবে এলেন?
— হটাৎ তুবার হাত টেনে নিয়ে বেলি আর গোলাপের মালা মুড়িয়ে দিল, আর তুবা এটা দেখে মুচকি হাসি দিয়ে খুশিতে এক হাত জরিয়ে বললো
— থ্যাংক ইউউউ
— লাভ ইউ মাই লাভ
— লাভ ই 😐
— আচ্ছা বায় জান
— এদিকে আমি আর মায়া গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি,
— আপনাদের প্রেম কি বাকি আছে, না তাহলে আমরা ভিতরে যেতাম আরকি
— এহহ আমি প্রেম টেম করছিলাম না,
— তা দেখিছি এবার চলুন মহারানি রা, স্পেশাল গেস্ট চলে আসবে
— হ্যা চল চল
আমরা ভার্সিটি ঢুকে পুরাই অবাক বেলুন,ফুল, রঙিন কাপড় দিয়ে কি সুন্দর করে সাজানো, চেনাই যাচ্ছে না,আমরা ঘুরে ঘুরে সব দেখছিলাম তখন শুনি স্পেশাল গেস্ট চলে এসেছে
— ভাইয়া চলে আসছে চলো চলো
— এক মিনিট তোমার ভাই মানে?
— কালকে তো বড় ভাইয়ার জন্য বলতেই পারলাম না, আজকে নিজেই দেখো
— চলো বলেই আমার আর তুবার হাত ধরে হাটার সময় একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলো মায়া,
— এই ফাজিল মেয়ে চখে দেখো না,
— স্যরি আপু আমি আসলে খেয়াল
— হ্যা তা থাকবে কিভাবে শুনেছো তো দ্যা গ্রেট আয়ান আরাভ চৌধুরী এসেছে,তাই সামলাতে পারো নি
— মায়া কিছু বলার আগে আমি জবাব দিলাম
— এক্সকিউজ মি আপু, আমার মনে হয় আপনি আমাদের সিনিয়র, তাই ভুল হয়েছে স্যরি বলেছি,তাই বলে আপনি যা নয় তাই বলতে পারেন না,
— এই মেয়ে তুমি কোথাকার কে হ্যা, আমাকে ভদ্রতা শিখাও,তোমাকে তো আমি দেখে নিবো
— এর মধ্যে তুবা বলল
— আপু এই দিনের মধ্যে যদি না দেখেন তাহলে তো আপনার চোখে সমস্যা, বলছি কি ভালো ডা. দেখান 😉
—এগুলো শুনে সিনিয়র আপু রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেলো,
— আমরা হেসে লুটুপুটি খাচ্চি, এর মাঝেই একটা বাচ্চা মেয়ে একটা আমাকে একটা কাগজ দিয়ে দৌরে চলে গেলো, আমি ভাবছি আমাকে কেন দিবে, আর কি আছে এই কাগজে?! এর মাঝেই মাইকে শুনলাম সেই আয়ান আরাভ চৌধুরী স্টেজ এ চলে ও গিয়েছে, আর আমরা ঝগড়ার তালে এখনো এখানে,!! তুবা আর মায়া নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে করতে সামনে এগিয়ে গেলে আমি কৌতুহল দমাতে না পেরে কাগজ টা খুলে পড়তেই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসলো
— হায় আল্লাহ ছি..,,””

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here