#হাতটা_রেখো_বাড়িয়ে
#পর্ব-৯
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি
ধারার এহেম আতঙ্কিত রূপ দেখে শুদ্ধ হেসে ফেললো। শুদ্ধকে জব্দ করতে গিয়ে যে ধারা নিজেই জব্দ হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরেই গোমড়ামুখে চলে যেতে নিল ধারা। পেছন থেকে ‘ধারা’ বলে ডেকে খপ করে তার হাত ধরে ফেলল শুদ্ধ। ধারা ফিরে তাকাতেই স্মিত হেসে শুদ্ধ বলল,
‘সরি!’
ধারা অবাক মুখে শুদ্ধ’র দিকে তাকিয়ে রইলো। শুদ্ধ বলতে লাগলো,
‘আই অ্যাম সরি ধারা! এতক্ষণের সবকিছুর জন্য।’
ধারা নরম হয়ে গেলো। ধারার হাত থেকে গামছাটা নিয়ে শুদ্ধ বলল,
‘আপনার মাথা মোছা হয়নি। চুল থেকে পানি পড়ছে। ধরতে গেলে এই নিয়ে তিনবার আপনার মাথা ভেজানো হয়ে গেলো। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। দিন, আমি আপনার মাথা মুছে দিচ্ছি।’
এই বলে শুদ্ধ’ই ধারার মাথা মুছে দিতে লাগলো। ধারার খানিক লজ্জা অনুভুত হলো তবুও কিছু বলতে পারলো না। কিছুক্ষণ পর কিছু বলতে গিয়েও শুদ্ধ থেমে গিয়ে বলল, ‘এক সেকেন্ড!’
তারপর ধারাকে কিছু বলতে না দিয়েই কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেলো। ক্ষণকাল পরে ফিরে এলো দু কাপ রং চা নিয়ে। ধারা তখন কাঠের বারান্দায় নিচে হেলান দিয়ে বসে আছে। শুদ্ধ তার পাশে বসে ধারার দিকে এক কাপ চা এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘নিন, গরম গরম রং চা। যদিও এই পরিবেশে দুধ চা টাই হতো বেটার। কিন্তু বাসায় দুধ ছিল না।’
ধারা মৃদু হেসে চায়ের কাপ হাতে নিল। কাপে একবার চুমুক দিতে না দিতেই শুদ্ধ বলল,
‘আপনিও যে এতো ঝগড়ুটে হতে পারেন সেটা আজ দেখলাম।’
শুদ্ধ মনের সুখে চায়ের কাপে একের পর এর চুমুক দিচ্ছে। থেমে গেছে শুধু ধারা। লাজুক মুখে মাথা নিচু করে ধারা ভাবতে লাগলো, সত্যিই তো আজকের মতো এমনটা তো ধারা কখনোই করেনি! আজ হঠাৎ কি হয়ে গিয়েছিল তার? এই প্রথম নিজেকে কিছুটা খোলামেলা লাগলো ধারার। মনে হচ্ছে কোন একজন বিশেষ কারো কাছে তার নিজস্ব সব জড়তা, রাখ ঢাক কেটে গেছে। ধারার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে শুদ্ধ বলে উঠলো,
‘আরে! খাচ্ছেন না কেন? চা তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।’
শুদ্ধ’র কথা শেষ হতে না হতেই আকাশে মৃদু আলোর ঝলক উঠে গর্জে উঠলো। শুদ্ধ সেদিকে তাকিয়ে আশাবাদী মুখে বলল,
‘বৃষ্টি টা নামলে ফসলের জন্য ভীষণ ভালো হতো। দোয়া করুন ধারা যাতে বৃষ্টি হয়।’
ধারা বলল, ‘আচ্ছা, আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি?’
‘করুন।’
‘শহরে এতো বছর পড়ালেখা করে আপনি গ্রামে এসে এসব করছেন কেন?’
শুদ্ধ মৃদু হেসে বলল, ‘স্বপ্ন বুঝেন ধারা? স্বপ্ন! আমার একটা স্বপ্নই ছিল এটা। ইচ্ছে ছিল ব্যতিক্রম কিছু একটা করার। বাবা ছিল না। অনেক ছোট থেকেই আমাকে আমাদের জমিগুলো দেখাশোনার কাজে নামতে হয়েছে। অনেক কাছ থেকে কৃষকদের ফসলের প্রতি মায়া, টান, যত্নগুলো দেখেছি। মাঝে মাঝে ফসল নষ্টে তাদের আহাজারিও দেখেছি। কৃষক আর ফসলের মধ্যে একটা অন্যরকমই সম্পর্ক থাকে। ভালোবাসা, বিরহ এই সম্পর্কের মধ্যেও বিদ্যমান। ইচ্ছে ছিল তাদের নিয়ে কিছু করার। এই সম্পর্কটা অটুট থাকুক। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় মানুষ কৃষি বিমুখী না হয়ে উঠুক। ফসলের উপর যদি পরিশ্রম দেওয়া যায় তাহলে খুব কমই নিরাশ হতে হয়। প্রয়োজন শুধু কিছু সঠিক পন্থা অবলম্বনের। যদি আধুনিক কিছু যন্ত্রপাতি আর ব্যবস্থার প্রয়োগ করা হয় তাহলে কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আসবেই। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকেরা বেশিরভাগই হয় মূর্খ। তারা অধিক উৎপাদনের উপায়, সারের সঠিক ব্যবহার, ফসল রক্ষা করা, যোগান দেওয়া এগুলো সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করে অনেক ছাত্রকেই দেখেছি সরকারি চাকুরীর পেছনে ছুটতে। আমি ভাবলাম এতদিন কৃষি নিয়ে এতো কিছু শিখলাম আমার জ্ঞানটাকে আমি কৃষির পেছনেই লাগাই। ঐ যে বললাম না, ব্যতিক্রম কিছু করার ইচ্ছা ছিল! যেমনটা ভেবে রেখেছে সেটাই যদি হয় তাহলে খারাপ হবে না।’
‘আচ্ছা, কৃষি উদ্যেক্তা ব্যাপারটা না আমি ঠিকমতো বুঝতে পারলাম না। আপনার কাজের ধরণটা কি?’
‘আমি কৃষি ব্যাংক থেকে একটা বড় অঙ্কের লোন নিয়ে বিশাল পরিমাণের জমি লিসে নিয়েছি। সেখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাল্টা, কমলা, লেবু, টমেটো, ড্রাগন ফল, বারোমাসি আমের চাষাবাদ করছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিপ ইরিগেশনের ব্যবস্থা করে পানি সেচের ঝামেলা দূর করেছি। এতে আমার পানিও সাশ্রয় হচ্ছে। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে এক ধরণের জৈবসার নিজেরাই প্রস্তুত করে ফসলে ব্যবহার করি। এতে করে আমার খরচ কম, প্রোফিট বেশি হচ্ছে। এখন সামনে গ্রিন হাউজের মাধ্যমে চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে চাইছি। এতে করে খুব অল্প জমিতেই আমি অধিক পরিমাণে ফসল উৎপাদন করতে পারবো। এতক্ষণ যেটা বললাম, এটা আসলে আমার ব্যকআপ। আমার মূল চেষ্টা আরেকদিকে। এই যে বললাম আমি জমি লিসে নিয়েছি। কিছুটা আমাদের নিজেদেরও আছে। এই জমিগুলোকে আমি দুইভাবে ভাগ করেছি। একভাগে এতক্ষণ যেগুলো বললাম সেগুলো হচ্ছে। আরেকভাগে ধান চাষ করবো। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে একদম কম খরচে একধরনের নতুন প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল ধান উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি আমি। এই ধানটা উদ্ভাবনে যদি সাকসেস হই না আমার সব কষ্ট সার্থক। এই সব কাজের জন্য আমি বেশিরভাগ বেকার ছেলেদেরই ঠিক করেছি। তাদেরকে এসব শিখিয়ে কৃষির প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। এতে করে আমাদের রূপনগরের বেকারত্বের সংখ্যাও হ্রাস পাবে। যেমনটা ভেবে রেখেছি তেমনটাই যদি করতে পারি তাহলে শুধু রূপনগরের না আমাদের দেশের কৃষকরাও ধান চাষে অনেক লাভবান হবেন।’
ধারা এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে সবটা শুনে বলল,
‘আপনি যেটা করতে চাইছেন তা হলে আসলেই খুব ভালো হবে। কিন্তু সফলতা প্রসঙ্গে ব্যাপারটা বোধহয় আসলেই একটু রিস্কি হয়ে যায়।’
মৃদু হেসে কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে শুদ্ধ বলল, ‘আমি জানি সেটা। এতো বড় লোন, তারপর এতোগুলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে! তবে আমার নিজের উপর বিশ্বাস আছে। আমার মনে হয় আমি পারবো। বলতে পারেন প্রথম থেকেই আমার নিয়তই ছিল এই লাইনে আসার। একটা কৌতূহল কাজ করতো। একারণেই আমি অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাই না করে এডমিশনের সময় শুধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ই বেছে নিয়েছিলাম। জানেন ধারা, তখন আমার শিক্ষক, বন্ধু থেকে শুরু করে অনেকেই অনেক ভাবে আমাকে পরামর্শ দিয়েছিল মেডিকেলে, বুয়েটে ট্রাই করার। বলতো, আমি ভালো ছাত্র ছিলাম চেষ্টা করলেই পারবো। তারপর যখন গ্রাজুয়েট হয়ে বেরোলাম তখনও সবাই বলেছে চাকুরীর জন্য ট্রাই করতে, এসবের কোন ভবিষ্যত নেই। আমি জানি মুখ ফুটে না বললেও আম্মাও আমার কাজটা নিয়ে খুব একটা প্রসন্ন নন। সবার মতো তিনিও আশা করেন আমি একটা সিকিউর বড় চাকরি করি। কিন্তু আমি আমার স্বপ্নটাকে উপেক্ষা করতে পারবো না। আমি সবসময় আমার ইচ্ছাশক্তিটাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। কারণটা কি জানেন, আপনার যেটা স্বপ্ন, যেটা ইচ্ছা, সেই রাস্তায় গিয়ে যদি আপনি হেরেও যান তবুও মনে কোন আফসোস থাকবে না। আর যদি অন্যের কথা শুনে নিজের পছন্দের রাস্তা ত্যাগ করেন তাহলে সারাজীবন একটা আফসোসের সাথে কাটাতে হবে। সবসময় শুধু মনে হবে, হয়তো আমি আরেকটু চেষ্টা করলেই পারতাম! হয়তো আমি সফল হতাম! আমি কেন ছেড়ে দিলাম! আফসোস জিনিসটা খুব খারাপ ধারা। এটা মানুষের জীবনের সমস্ত আনন্দটাকে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। আমি আমার নিজের ইচ্ছেটাকেই প্রাধান্য দিয়ে চলেছি। আমার পরিপূর্ণ চেষ্টা আমি করবো। তারপরও যদি অসফল হই। তাহলে খারাপ লাগবে, খুব কষ্ট হবে। কিন্তু আফসোস থাকবে না। কারণ আমি আমার মনেরটা শুনেছি। যেখানে আমার আনন্দ লাগে সেখানে আমি আমার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এখন বাকিটা আল্লাহ ভরসা! আমার কোন আফসোস নেই।’
ধারা মুগ্ধ হয়ে শুদ্ধ’র সবটুকু কথা শ্রবণেন্দ্রিয় করে মিষ্টি করে হেসে বলল, ‘একটা কথা বলবো? আমার মনে হয়, আপনি পারবেন।’
শুদ্ধ হেসে ফেলে বলল, ‘ধন্যবাদ, এই অধমের উপর এতো বিশ্বাস রাখার জন্য। আমার কথা বাদ দিন। আপনার কথা বলুন। আপনি সামনে কি করবেন? কোথায় ভর্তি হবেন?’
নিজের পড়ালেখা বিষয়ক কথা উঠতেই ধারার মুখটা মলিন হয়ে যায়। শুদ্ধ’র তা দৃষ্টিগোচর হওয়ার আগেই হঠাৎ বৃষ্টি নেমে সেখানে লোডশেডিং হবার জন্য সেই আলাপটা সেখানেই থেমে যায়।
__________________________________________
শাহেদ এসেছে বাড়িতে। দেশে অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে ধারার বিয়েতে সে আসতে পারেনি। এখন অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চলে এসেছে। শাহেদ এসেছে সকালে। চট্রগ্রাম থেকে গতকাল রওনা করেছিল। আপনার পছন্দের গল্প পড়তে ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন। আসা পর থেকেই বাড়িতে একপ্রকার গমগমে অবস্থার সৃষ্টি করে ফেলেছে সে। তার মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। প্রসঙ্গ ধারার বিয়ে। প্রকৃতপক্ষে ধারাকে শাহেদ অত্যন্ত ভালো জানে। ধারার নাম রাখা থেকে শুরু করে সাবজেক্ট চয়েজ পর্যন্ত সবকিছু শাহেদেরই করা। ধারার বিয়ে ভাইজান রাগ করে এরকম একটা ঘরে দিয়ে দিয়েছে এটা সে একদমই মানতে পারছে না। তার নিজস্ব রেপুটেশনেও ব্যাপারটা অত্যন্ত বাঁধছে। সে চতুর প্রকৃতির লোক। মানুষকে তার কথার আয়ত্তে এনে ফেলতে পারে। সে যদি সেসময় উপস্থিত থাকতো তাহলেও একটা কিছু করতে পারতো। কিন্তু তা তো আর সম্ভব হয়ে উঠতে পারেনি। বাড়ি এসেই কতক্ষণ জমিরন বিবির সাথে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি করেছেন। আজিজ তালুকদার বাড়িতে ছিলেন না। কিছুক্ষণ আগেই ফিরে এসেছেন। বড় ভাইজানকে শাহেদ সম্মান করে। একারণেই তার সামনে হৈ চৈ না করে থম মেরে বসে আছে। আজিজ সাহেবের মুখের অবস্থাও খানিক গুরুগম্ভীর। শাহেদ আর থাকতে না পেরে বলল,
‘ভাইজান, আপনি এইটা কি কাজ করলেন? আমি এখনও ভাবতে পারছি না। ধারার বিয়েটা আপনি কিভাবে এমন করে দিতে পারলেন!’
আজিজ সাহেব কিছু বললেন না। গম্ভীর হয়ে মুখটা সামনের দিকেই নিবদ্ধ করে রাখলেন। শাহেদ বলতে লাগলো,
‘ভাইজান, আপনি মানেন আর না মানেন, এই কাজটা কিন্তু আপনি একদমই ঠিক করেননি।’
‘আমি কি করবো! এতকিছু করলাম ও’র জন্য। আম্মায় এতো চিল্লাচিল্লি করার পরও কখনো ওরে দিয়ে একটা কাজ করতে দেইনি। যখন যা দরকার সব এনে দিয়েছি। শুধু বলছি, তুমি মন দিয়ে পড়াশোনা করো, একটা ভালো রেজাল্ট করো। কিন্তু শেষমেশ কি করলো? জয়নালের পোলা এ প্লাস পাইলো কিন্তু ও পাইলো না।’
বলতে বলতে আজিজ সাহেব থেমে গেলেন। তার কন্ঠে মেয়ের জন্য একরাশ অভিমান ঝরে পড়লো। শাহেদ বলল,
‘বুঝলাম ধারা এ প্লাস পায়নি, আপনার রাগ উঠেছে। রাগটা তো আমারও উঠেছিল। আরে! এখনকার দিনে এ প্লাস ছাড়া কোন দাম আছে নাকি! আমি নিজেও তো সব পরীক্ষায় সেরাটাই করেছি। কিন্তু তাই বলে আপনি মেয়েটার এভাবে বিয়ে দিয়ে দিবেন। আচ্ছা, বুঝলাম আপনার দিতে ইচ্ছা হয়েছে আপনি দিবেন। একটা ভালো ঘর দেখেই বিয়ে দিতেন। ভালো নাম ডাক আছে, অবস্থা আছে এমন দেখেই দিতেন। তা না! আপনি এই কার সাথে বিয়ে দিলেন বলেন তো! কি আছে ছেলেদের? আমাদের সাথে কি ওরা যায়? একটা ভালো ঘরে দিতেন, গ্রামে আমাদের মান সম্মানটাও আরো বাড়তো। ধারার ভবিষ্যৎটা নিয়েও তো একটু ভাববেন ভাইজান। দেখতে শুনতে সবদিক দিয়ে এই গ্রামের মধ্যে ধারার মতো আরেকটা মেয়ে কেউ খুঁজে পাবে? একটা ভালো পরিবারে বিয়ে দিলে আজকে সবকিছুই কতো সুন্দর হতে পারতো। আমি আরও কত কিছু ভেবে রেখেছিলাম যে আমি দেখে শুনে একটা বড় চাকরিজীবী ছেলের সাথে ধারার বিয়ে দেবো। আমার জন্যও তো একটু অপেক্ষা করতে পারতেন। আমাদের বাড়িতে আর কোন মেয়ে কি আর আছে! একটাই মেয়ে, তার বিয়েটাও কিনা আপনি ভাইজান এইভাবে দিয়ে দিলেন।’
আজিজ সাহেব আর কিছু বললেন না। চুপ করে থেকে শাহেদের কথা শুনতে লাগলেন। এই প্রথম তার মনে হল, কিছু না ভেবেই হুট করে ধারার সেখানে বিয়ে দেওয়া তার আসলেই উচিত হয়নি।
চলবে,