#ডেবিল_লাভার (অন্তিম পর্ব ১৩)
#Labiba_Islam_Roja
·
·
·
আমাকে করবে এরেস্ট কার এত ক্ষমতা রে ভাই….?
.
অফিসারঃকেন আমরা আছি কি করতে…?
.
তাই নাকি তাহলে করেন এরেস্ট দেখি কত ক্ষমতা আপনাদের।বলেই আমার মাথায় গান তাক করে দাঁড়ালো ভাইয়া।কেউ যদি একপা এগোয় তাহলে নাদিয়াকে এখানে ঠুস করে হাওয়া করে দেব আমি।অফিসার আপনার টিমকে বলেন পিস্তল ফেলে দিতে নইলে এক্ষুণি ওকে শেষ করে দেবো।
.
আম্মুঃনা না নাহিদ তুমি নাদিয়াকে ছেড়ে দাও।ওর জন্যই মরতে মরতে বেঁচে উঠেছি আমি।এখন ওর কিছু হলে আর বাঁচবো না আমি।
.
তাহলে সবাইকে বলো আমাকে যেতে দিতে।তবেই তোমার মেয়ে প্রাণে বাঁচবে নইলে নয়।
.
সকলে পিস্তল মাটিতে রেখে দাঁড়িয়ে আছে।এখন কি হবে আমার।কে বাঁচাবে আমায়।আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন নাদিম ভাইয়া।উনাকে দেখে উওেজিত হয়ে বলে উঠলেন উনি….
.
নাদিম যেখানে আছিস সেখানে থাক নইলে নাদিয়াকে মেরে দেব কিন্তু।
.
কে না করেছে তোমায়।মেরে দাও ওকে।ও মরে গেলে কিচ্ছু যায় আসে না আমার তাই তুমি ওকে কি করলে না করলে সেটা দেখার বিষয় আমার নয়।
.
নাদিম তুই কিন্তু বাড়াবাড়ি করছিস…?
.
বাড়াবাড়ির দেখেছো কি বলেই একটা লাথি দিলেন উনার হাতে।বন্দুক টা হাত ফসকে বেরিয়ে গেলো উনার হাত থেকে।সেই সুযোগে বন্দুক আর আমাকে নিজের আয়ওে নিয়ে নিলেন উনি।দেখলে তো ভাইয়া কে ধরে তোমায়।মূহুর্তেই নাহিদ ভাইয়াকে ঘিরে ধরলো পুলিশ।নাদিয়া শুধু আমার আর কারোর না।আর আগে কি যেন বলেছিলে তুমি ওর ডেবিল লাভার।কথাটা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে কারণ কি জানো….কারণ হলো তুমি কখনও ওকে ভালোই বাসো নি যদি ভালোবাসতে তাহলে ওর ক্ষতি করার কথা চিন্তাও করতে পারতে না।ও তোমার ভালোবাসা আর সেই ভালোবাসাকে কি দিয়েছো তুমি কিছুই না।উল্টে ওর চাচা চাচীকে নিজের দলে টেনে মাথার উপরের ছাদ কেড়ে নিয়েছো বাড়ি ছাড়া করে এ বাড়িতে সকলের অত্যাচার সহ্য করে বাবার রাজকুমারীকে চাকরানীর মতো থাকতে বাধ্য করেছে এগুলো তোমার ভালোবাসা ছিলো তাই না।ভালোবাসা কাকে বলে তুমি জানোই না….নাদিয়া কেন কোনো মেয়েকেই ভালোবাসার কোনো যোগ্যতা নেই তোমার।অফিসার উনাকে নিয়ে যান…
.
তুই আমার ভাই হয়ে এমন করলি কাজটা ভালো করলি না ভাই।অফিসার চলুন….উনাকে নিয়ে চলে গেলো অফিসার।মামি কিছুতেই এটা মানতে পারছেন না।উনার বড় ছেলে এমন মামুও ভেঙ্গে পরেছেন।ভাইয়া এমন কিছু করতে পারেন এটা কেউ ভাবতেই পারেনি।উনার জন্যই আমাকে বাড়ি ছাড়াও হতে হয়েছে।কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা সবকিছু কেমন যেন অবাস্তব মনে হচ্ছে আমার কাছে…।সকলের মধ্যে নীরবতা বিরাজমান।সেই নীরবতা ভেঙ্গে নাদিম ভাইয়া বললেন….
.
ফুপি আমি একটা কথা বলতে চাই…আমি জানি তুমি আমায় ফিরাবে না।আমি নাদিয়াকে বিয়ে করতে চাই।হয়তো তোমাদের মতো এত আদর যত্ন দিয়ে রাখতে পারবো না কিন্তু বিশ্বাস করো ওকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো।বিলাসিতার অভাব হতে পারে কিন্তু ভালোবাসার অভাব হবে না।
.
মামুঃহ্যাঁ রে রেহানা আমি এক ছেলের জন্য ওকে সাজিয়েছিলাম কিন্তু সে যে এতটা খারাপ বুঝতে পারিনি।তাই তোর কাছে নাদিয়াকে আমি নাদিমের জন্য চাই।তুই দিবি না আমায়…?
.
কেন দেবো না ভাইজান!!এটা তো খুশির কথা।নাদিয়া আমার নাদিমের বউ হবে।আমি জানি নাদিম তোমার কাছে নাদিয়া কখনও খারাপ থাকবে না সবসময় ভালো থাকবে।
.
না আম্মু আমি উনাকে বিয়ে করতে পারবো না।তুমি জানো না উনি কি কি করেছেন আমার সাথে তাই এমন বলছো।এই যে আপনি আর নাহিদ ভাইয়ার সাথে কোনো তফাৎ নেই দুজনেই এক।আপনি এতদিন আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছেন কিন্তু কিছু বলতে পারিনি কারণ আমার মাথার উপরের ছাদ ছিলো না তখন এখনও নেই কিন্তু আজ আমি একা নই আমার মা আমার সাথে আছে।
.
কে বলেছে তোর মাথার উপরের ছাদ নেই…?এই তো বলে একটা কাগজ এগিয়ে দিলেন আমার দিকে।কাগজ হাতে নিয়ে রীতিমতো শকড আমি এটা তো আমাদের সকল প্রোপার্টির কাগজ।কিন্তু এটা আমার নামে হলো কি করে এই সব তো ওরা নিজেদের নামে করে নিয়েছিলো।প্রশ্নবিদ্ধ চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি আমি।
.
কি বিশ্বাস হচ্ছে না হওয়ার কথাও না!!এসব ওদের থেকে আবার ফিরিয়ে এনেছি আমি।হ্যাঁ আমি তোর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি যা নয় তাই বলেছি কিন্তু তার পেছনের সব কারণ তো জানিস তুই।বিশ্বাস কর নাদিয়া ওই দিনের ঘটনার আগে তোকে নিয়ে কখনও অন্যকিছু ভাবিনি আমি।কিন্তু ওই দিনের পরে মন আমাকে তোকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে।আর তোর করা অপমান গুলোকে ফেরত দেওয়ার জন্যই নিজের মনের অনিচ্ছা সত্বেও তোকে অপমান করে নিজের অপমানের জ্বালা মিটাতাম।ওইদিন শুধুমাএ তোর বিয়ে ভাঙ্গার জন্য একটা নাটক করেছিলাম আর কিছু নয়।যদি এটা না করতাম তাহলে তোর বিয়ে ওই ছেলেটার সাথে হয়ে যাতো।যেটা মানতে পারতাম না আমি।এই নাদিয়া আমাকে ক্ষমা করে দে না প্লিজ।আমি যা করেছি ভুল করেছি প্লিজ সবকিছু ভুলে আমায় মেনে নে।
.
সরি মিঃ নাদিম সেই দিনগুলো এখনও ভুলিনি সবকিছু মনে আছে আমার।আজ আমার প্রোপার্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে সব ভুলে যাব এমন নয়।
.
আম্মুঃনাদিয়া তুই আমার কথাটা শোন।আমি জানি নাদিম তোর সাথে কি কি করেছে ও সবটা বলেছে আমায়।এখন নিজের করা কাজের জন্য অনুতপ্ত। তাই বলছি আজ নাদিমের জন্যই তোর মা বেঁচে আছে।আগে কি করেছে না করেছে তা নিয়ে ভাবিস না।কারণ তুইও তো জানিস নাহিদের জন্য কতটা কষ্ট সহ্য করেছে ও।সকলের কত কথা কত অপমান সহ্য করেছে।তাই আমার মনে হয় ওকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ।
.
আই এম সরি আম্মু।এটা কোনো খেলা নয় যে আরেকবার সুযোগ দেব।এটা আমার সারাজীবনের ব্যাপার।তাই ভুল মানুষকে ভুল করে সুযোগ দিতে চাই না।
.
নাদিমঃবাদ দাও ফুপি!!তুই ক্ষমা করবি না তো আমায়।বিয়েও করবি না ঠিক আছে থাক তুই তোর জেদ নিয়ে।চলে যাচ্ছি আর কখনো তোকে জ্বালাতন করবো না। আজকের পর তোর সামনে কোনোদিন আসবো না।তুই যখন আমাকে চাস না তখন বেঁচে থেকে কি লাভ আমার বলেই কোথা থেকে যেন একটা চুরি নিয়ে হাতের শিরা বরাবর ধরলেন উনি।
.
উনার এমন কান্ডে উপস্থিত সকলেই অবাক।
আমিও যে কম অবাক হইনি তা নয়।উনি এরকম পাগলামি করবেন ভাবতেই পারিনি আমি এখন কি হবে কি করে উনাকে বাঁচাবো আমি।
.
নাদিয়া তুই যদি আমাকে ক্ষমা না করিস তাহলে এখানেই নিজেকে শেষ করে দেব আমি।নাউ ইউর চয়েজ তুই কি চাস আমার মৃত্যু নাকি আমার ভালোবাসা কোনটা…?
.
আম্মুঃ নাদিয়া এখনও চুপ করে থাকবি তুই।আজ যদি তোর জন্য নাদিম নিজেকে শেষ করে দেয় তাহলে পারবি তো নিজেকে ক্ষমা করতে।
.
মামিঃনাদিয়া তোমার কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাইছি আমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছি জানি তার ক্ষমা হয় না তবুও আমায় ক্ষমা করে দাও।আমার করা ভুলের শাস্তি আমার নাদিমকে দিও না।এক ছেলেকে জেলে পাঠিয়েছো এখন আরেক ছেলোকে আমার কোল থেকে নিয়ে গেলে বাঁচবো না আমি মরে যাবো।তোমার কাছে হাত জোর করে বলছি আমার ছেলেটাকে ক্ষমা করে দাও।আর এই বিয়েতে প্লিজ রাজি হয়ে যাও তুমি।
.
মামু+তিয়া+তিতলি+মাহিঃহ্যাঁ নাদিয়া তুৃমি ওকে ক্ষমা করে দাও।
.
এখনও চুপ করে দাড়িয়ে আছি আমি।আমিও যে চাই না উনার মৃত্যু কারণ বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি যে উনাকে আমি।আর ভালোবাসার মানুষের মৃত্যু কারোরই কাম্য নয়।কিন্তু এভাবে উনাকে ছেড়ে দেওয়াও কি ঠিক হবে আমার।
.
তুই বিয়ে করবি না তো আমায়।ঠিক আছে ভালো থাকিস বলেই হাত কাটতে লাগলেন উনি।নাআআআ আপনি এটা করতে পারেন না ওটা ফেলে দিন বলছি।
.
আগে বল বিয়েতে রাজি আর আমায় ক্ষমা করেছিস তবেই ফেলবো নইলে নয়।
.
হ্যাঁ আমি সবকিছুতেই রাজি!!তবুও এটা ফেলে দিন প্লিজ।
.
নে ফেলে দিলাম বলেই চুরি টা হাত থেকে ফেলে দিয়ে ডেবিল স্মাইল দিলেন উনি।এবার হ্যাপি আর কাঁদিস না।আমার একদম কাছে এসে ফিসফিস করে বলে উঠলেন উনি তোর ডেবিল লাভারের কিচ্ছু হয়নি আর হবেও না।তোকে বিয়েতে রাজি করানোর এটা ছোট একটা নাটক ছিলো আমার।আমি জানতাম আমার মৃত্যু তুই কখনই মানবি না।।বাবা চলো তোমার ছেলের বিয়েটা সেরে ফেলবে।
.
শয়তান তোকে কি আর সাধে ডেবিল বলি আমি।আমাকে বোকা পেয়ে কিভাবে কার্যসিদ্ধি করে নিলো টেরই পেলাম না আমি।
.
কিছুক্ষণের মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেলো আমাদের।আমাকে নিয়ে বাসর ঘরে বসিয়ে দিলো তিতলি আপু আর মাহি।দুজনের করা ভুল গুলোর জন্য অনুতপ্ত তারা।তাই তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি আমি।কারোরই কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার কপালের।
.
বাসর ঘরে বসে উনার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছি আমি।কখন আসবেন উনি।এ ঘরে এর আগেও অনেকবার এসেছি আমি কিন্তু এতটা ভয় লাগেনি।আজই কেন এত ভয় লাগছে জানা নেই আমার।ভয়ে গলা শুকিয়ে যাছে বারবার।।হঠাৎ দরজার আওয়াজ পেয়ে তাকালাম আমি হুম ডেবিল আসছে।উনাকে দেখেই বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরালাম আমি।তখনই বলে উঠলেন উনি….
.
ওই কোথায় যাস…?
.
ওয়াশরুমে…!!
.
ওয়াশরুমে গিয়ে কতক্ষণ বাঁচবি আমার হাত থেকে।সেই তো এখানেই আসতে হবে আমার কাছে।আমার একদম কাছে এসে নিজের সাথে জরিয়ে নিলেন উনি।এত পালাই পালাই করিস কেন..?জানিস তোর এই আমার থেকে পালানোর ভাবটা টলারেট করতে পারিনা আমি।খুব কষ্ট দেয় আমায়।আয় একটু বসি। আমাকে কোলে তুলে সোফায় বসলেন উনি।এখান থেকে জানালা দিয়ে চাঁদটাকে সরাসরি দেখতে পাওয়া যায়।আমাকে বসিয়ে শক্ত করে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন উনি।সরি রে নাদু না জেনে তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি অনেক কিছু বলে ফেলেছি ক্ষমা করে দে আমায়।চল না অতীত ভুলে দুজনে নতুন করে বাঁচি।চুপচাপ উনার বুকে মাথা রেখে উনার শার্ট খামছে আছি।হঠাৎ গলায় ঠান্ডা কিছুর অনুভব হওয়ায় চোখ খুলে মুখ উপরে তুললাম আমি….আপনি কাঁদছেন!!উনার কান্না দেখে নিজেকে শান্ত রাখতে পারছিনা আমি।আমি জানি আমার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছেন উনি তাই আর শাস্তি প্রাপ্য নয় উনার।আমার জন্য অনেক করেছেন আজ উনার জন্যই আমার মাকে ফিরে পেয়েছি সব সম্পওি পেয়েছি।আমাকে কষ্টের কারণ উনি হলেও আবার হাসির কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছেন উনি।দুহাত দিয়ে উনার চোখ মুছিয়ে প্লিজ কাঁদবেন না।
.
কাঁদতে দে নাদু এগুলো তোকে এত কষ্ট দেওয়ার ফল।আজ একটু কেঁদে হালকা হতে চাই আমি।
.
না আর কাঁদবেন না আপনি।
.
ঠিক আছে কাঁদবো না বল ক্ষমা করেছিস।
.
হুম ক্ষমা করেছি।
.
তাহলে বল ভালোবাসিস…!!
.
এহহ!!শক কত বলবো না।
.
বলবি না তো!!
.
না ঠিক আছে..!!বলেই আমাকে কোলে তুলে নিলেন উনি।এবার বল বলবি নাকি ফেলে দেবো।
.
না বলবো না!!আর আমি জানি আপনার প্রাণ থাকতে আমায় ফেলবেন না ভরসা আছে।
.
এতটা ভরসা করিস আমায়।ঠিক আছে এভাবে নাহলে অন্যভাবে তো হবে।তুই যে এই ডেবিল লাভারকে খেপিয়েছিস নাদু এবার বুঝবি।আমাকে বিছানায় ফেলে আমার দিকে এগিয়ে এলেন উনি।গলায় স্লাইড করতে করতে কামড় বসিয়ে দিলেন উনি।আহহ!! করে উঠতেই বলে উঠলেন বল ভালোবাসি।
.
না বলবো না!!
.
ওকে ক্রমাগত কামড় দিয়ে চলেছেন উনি।আর সহ্য হচ্ছে না আমার তাই মুখ ফসকেই বেরিয়ে এলো ভালোবাসি এটা শুনেই থামলেন উনি কপালে চুমো এঁকে বুকে নিয়ে সটান হয়ে শুয়ে পরলেন।এত দেরি কেন করলি আরো আগে বললে তো কিছুই হতো না।
.
আপনি আপনি মানুষ নন!!আস্ত ডেবিল বলেই উনার বুকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে লাগলাম আমি।
.
মার যত ইচ্ছা মার!!তোর হাতে মরেও যে শান্তি আমার।
.
উনার মুখ চেপে ধরে একদম না বলে কেঁদে উঠলাম আমি।
.
বোকা মেয়ে আবার কাঁদে।তোকে রেখে মরতে চাই না আমি।এবার কান্না থামা না ভাই।রাত তো চলে যাচ্ছে।তোর আর আমার জীবনের এক নতুন ভোর হবে আগামীকাল।সব নতুন করে শুরু করবো আমরা।পেছনের সব খারাপ ভুলে আগামীর পথে পা রাখবো।
.
যেখানে হাঁটবো দুজনে, থাকবো কাছাকাছি
তুই থাকবি তো তোর ডেবিল লাভারের পাশাপাশি…!!
.
হুম আজীবন থাকবো মিঃডেবিল..!!
.
আমাকে জরিয়ে নিয়ে আবারও ঘাড়ে কামড় বসালেন উনি….আহহ!!এটা কি ধরণের অসভ্যতা….?
.
ওরে পাগলী এটা অসভ্যতা নয়!এটা তোর ডেবিল লাভারের ভালোবাসা।এরকম শত অত্যাচার সহ্য করতে হবে তোর।বিকজ…..
.
ইউ আর মাই ডেবিল লাভার❤ বলে হেসে উঠলাম দুজনে..!!
—(সমাপ্ত)—