# Love_warning
# your_love_is_my_drug_addiction
# Part_25
# ফারজানা
অর্ণব আর তিতি গানটি একে অপরের দিকে তাকিয়ে বললো…..
“বাহ অর্ণব তুই তো দেখছি এখন ভালো গায়োক হয়ে গেছিস।”
“কি যে বলিস শুভ্র”
“হুম সত্যিই বলছি খুব ভালো গাইছিস আমি তো জাস্ট স্পিচলেস হয়ে গেছি।”
“আমার তিতির পাখি আমার সাথে থাকলে আমি বিশ্বজয় করে ফেলতে পারি এইগুলো কোনো ব্যাপার না”
“ওই স্যার দেখুন আপনার বন্ধুর কাছ থেকে কিছু শিখুন । এই জীবনে তো ওই লেকচার ছাড়া কিছুই পারেন না। কিভাবে প্রেম করতে হয় কিভাবে রোমান্টিক কথা বলতে হয় কিভাবে রোমাঞ্চ করতে হয় একটু শিখুন। আগে কেনো অর্ণব ভাইয়াকে দেখলাম না তাহলে কি আপনার মতো আনরোমান্টিক স্যারের প্রেমে পড়তাম”
“ওই আমার আগে তোমার অর্ণবের সাথে দেখা হয়েছে এখন এইসব ফালতু কথা বলছো কেনো?”
“দেখা হয়েছে তো তিতির সাথে প্রেম করার পর আগে তো হয় নাই”
“ওই তোরা ঝগড়া থামাবি সারাদিন দুইজন লেগেই থাকিস আল্লাহ জানে বিয়ের পর কি হয় এদের”
তিতি ধমক দিয়ে শিশিরের মুখ বন্ধ করলো……
ওরা সবাই গল্প করতেই করতেই সময় পার হয়ে গেলো। ওরা ছয় জন ট্রেন থেকে নামলো। তখন সামু জিজ্ঞাসা করলো….
“তিতি আর কত দূর। ট্রেনে বসে থাকতে থাকতে আমার কোমর ব্যাথা করছে”
তিতি বলার আগেই শিশির বললো…..
“এখনও তো কিছুই হলো না সামু আপু। এখন একটা গাড়ি নিয়ে যেতে হবে জাহাজ বন্দরে। ওইখানে লঞ্চে করে যেতে হবে”
শিশিরের কথা শুনে অর্ণব বললো…..
“তিতির পাখি তোমার দাদু বাড়ি যেনো কোথায়?”
“রাঙামাটি”
প্রবণ মাথায় হাত দিয়ে বললো…..
“ওহহ নো। ভাবী তাহলে আপনি এই ট্রেনে কেনো নিয়ে আসলেন। আমরা তো শর্ট কাটে আরো আগে যেতে পারতাম”
তিতি আমতা আমতা করে বললো…..
“আমার জার্নি করতে খুব ভালো লাগে। তাই আমি প্রথম ট্রেন পরে কোনো প্রাইভেট কার অ্যান্ড পরে লঞ্চে করে যাবো বলে প্ল্যান করেছে”
“তিতির পাখি বিশ্বাস করো আগে জানলে তোমার এই প্ল্যানে কোনোদিন পা রাখতাম না। সরাসরি বিমান নিয়েই চলে যেতাম”
“সরি আর হবে না। আমি বুঝতে পারি নাই আমার যেটা ভালো লাগবে অন্যদের তো সেটা ভালো নাও লাগতে পারে আমার ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা চাচ্ছি”
“আরেহ ভাবী প্লিজ রাগ করবেন না অর্ণব সেই ভাবে বলতে চাইনি। আর একদিক থেকে ভালোই হয়েছে আমি আর সামু তো এইসব আগে থেকে এঞ্জয় করতে পারি নাই তাই এইবারে সব আশা পূরণ হবে তাই না রে সামু”
সামু কে চোখে ইশারা দিয়ে বললো শুভ্র যেনো সামু সম্মতি জানায়….
“হ্যাঁ ভালোই হয়েছে তিতি। এখন চলো আমরা কোনো গাড়ি খুঁজি”
অর্ণব কিছুক্ষণ তিতির দিকে তাকিয়ে পরে সোজা হাঁটা শুরু করলো। গাড়ি ভাড়া নিয়ে জাহাজ বন্দরে চলে গেলো……
জাহাজে ছয় জনের টিকেট কাটলো। ওরা জাহাজের ভিতর প্রবেশ করলো। জাহাজের ভিতর একদম অন্য রকম। মানুষের দরকারি জিনিস সবেই আছে। পানির উপরে ভর দিয়ে চলছে জাহাজ। প্রথম প্রথম শিশির আর সামু ভয় পেলো কিন্তু কিছুক্ষণ যাবার পর ওদের খুব ভালো লাগছে। একদম অন্য রকম পরিবেশ। বাহিরে তাকালে শুধু পানি আর পানি। জাহাজের ফাস্ট ক্লাস কেবিন বুক করে অর্ণব।
জাহাজে চড়ার আনন্দটা সবাই উপভোগ করতে লাগলো…..
“সরি তিতির পাখি আমি বুঝতে পারি নাই। তোমাকে ঐভাবে বলা ঠিক হয় নি”
তিতি অর্ণবের কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয়। প্রবণ বললো…..
“সত্যিই ভাবী এইরকম উপলব্ধি আমি এই ফাস্ট ইঞ্জোয় করছি। আজকের দিনটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে”
শুভ্র বললো…..
“রাঙামাটি নাম অনেক শুনেছি। এইটার বিস্তারিত কেউ বলতে পারবে”
শিশির উৎসুক হয়ে বললো…..
“আমি বলি”
“হুম বলেন ভাবী”
“রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। এটি বাংলাদেশের বৃৃৃহত্তম জেলা।রাঙামাটি পার্বত্যর আয়তন মোট৬,১১৬.১৩ বর্গকিমি (২,৩৬১.৪৫ বর্গমাইল)।
প্রকৃতির নিবিড় আলিঙ্গনে বাঁধা রূপের রানী রাঙামাটির পরতে পরতে রয়েছে সৌন্দর্যের বৈচিত্র্যতা। রাঙামাটির গহীন অরণ্য,পাহাড়ি প্রকৃতির অমোঘ রূপের আকর্ষণ তাই পর্যটকদের কাছে অফুরন্ত। যেখানে আছে সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়, কাপ্তাই হ্রদের বয়ে চলা স্রোতধারা, প্রকৃতির আদি সৌন্দর্য। রাঙামাটির আরো গহীনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য রূপের পসরা। তেমনি অনন্য এক সৌন্দর্যের নাম ফুরোমন পাহাড়। অপার্থিব সৌন্দর্যের এই পাহাড় সবাইকে বিস্মিত করবেই।
রাঙামাটি শহরের অদূরে ফুরোমোন পাহাড় এর অবস্থান। চাকমা ভাষায় ফুরোমন এর অর্থ ফুরফুরে মন। এই পাহাড়ের চূড়ায় মন ফুরফুরে হয়ে যায় বলে এই পাহাড়ের নাম ফুরোমন। এই পাহাড় এক হাজার ৫১৮ ফুট উঁচু। এর চূড়ায় দেখা মেলে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। পুরো রাস্তাটা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি বাঁক, খাড়া পাহাড়। সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে আনুমানিক ২/৩ হাজার ফিট উঁচুতে, প্রায় ৪০০ ধাপ খাড়া সিঁড়ি বেয়ে আপনি পেয়ে যাবেন এক সমুদ্র নির্জনতা এই পাহাড়ের চূড়ায়। নির্জন পরিবেশ আর কাপ্তাই হ্রদের বিশাল জলরাশির দেখা মেলে এ পাহাড় থেকে। এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। এই পাহাড়ের পূর্বে কাপ্তাই হ্রদের বিশাল নীল জলরাশি। ফুরোমনের চূড়া থেকে পাখির চোখে দেখা যায় এই লেকের বিস্তৃত জলরাশি। নীল জলরাশির কাপ্তাই লেক, স্বচ্ছ নীলাভ জল আর বিস্তৃত আকাশ দেখে আপনার মনে হতে পারে পাহাড়ের মধ্যে সমুদ্রের তীরে পৌঁছে গেছেন। শীতল বাতাস ছুঁয়ে থাকে লেকের নীল জল, পাহাড় পেরিয়ে কাছে-দূরে কেবল নীল জলরাশি। জলরাশির মধ্যভাগে জেগে থাকে ছোট ছোট সবুজ দ্বীপ। ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ছুটে চলছে জলের বুকে। আর দূরে যাত্রী বোঝাই করা দোতলা কাঠের লঞ্চ। এই পুরো সৌন্দর্যটাই এক লহমায় দেখে নিতে পারবেন ফুরোমন এর চূড়া থেকে।”
“সত্যিই খুব আকর্ষনীয় দেখছি। তিতির পাখি আমরা কিন্তু তোমার দাদু বাড়ির সব জায়গায় ঘুরবো”
“ওকে। আমাদের বাংলাদেশেই কিন্তু রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা। বিদেশি অনেক পর্যটকরা আসে আমাদের বাংলাদেশ ঘুরতে কিন্তু আমরা নিজেরাই আমাদের দেশের এই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করি না। অনেক অনেক টাকা খরচ করে বিদেশ ঘুরে আসি।”
তখন আবারো শিশির বললো….
“আমার কথা এখনও শেষ হয় নাই। শুনুন সবাই মনযোগী হয়ে। এই পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে চট্টগ্রাম শহর, বন্দরে ভাসমান জাহাজের মাস্তুল। তার সঙ্গে দেখে নিতে পারবেন সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এর অপার্থিব সৌন্দর্য। নৈসর্গিক এই সৌন্দর্যের সবটুকুরই দেখা মিলবে ফুরোমন পাহাড়ের চূড়ায়।
সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশে মেঘের মিতালি ঘটে ফুরোমোন পাহাড়ে। চারিদিকে ঝিঁঝি পোকার ডাক, প্রজাপতির স্বাধীন আস্ফালন, বুনোপোকাদের ব্যস্ততা, হাজার বছরের পাতাঝরা গাছের উত্তলিত আহবান। অপার সৌন্দর্যে হারাতে আর কি লাগে! সামনে পুরো রাঙ্গামাটি জেলা, নানিয়ারচর, লোগাং। এখানে বাতাস আর নীরবতার খেলা চলে সর্বক্ষণ।
এই পাহাড় চূড়ায় আছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। ঠিক যেন মনে হয় এই মেঘের দেশে প্রকৃতির মায়ায় গৌতম বুদ্ধ নীরব হয়ে বসে থাকেন। সম্মোহনী এই সৌন্দর্যের কথা শহরবাসী যেমন জানে না, তেমনি পর্যটকদের কাছেও এখনো অপরিচিতই রয়ে গেছে এই ফুরোমন পাহাড়। যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় শুষ্ক মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে এখানে যাতায়াত করা কষ্টকর। কিন্তু সমস্যা নাই পর্যটক বা এলাকাবাসীরা যেনো ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারে তার জন্যও রয়েছে বিভিন্ন বেবস্থা”
শিশিরের এত এত কথা শুনে তিতি বললো…..
“বোইন তুই প্রমাণ করে দিয়েছিস যে তুই স্যারের বউ”
হাত তালি দিয়ে বললো তিতি। প্রবণ হেসে বললো…..
“স্বামী যেমন বউও তো তেমন হতে হবে তাই না”
“এখনো বউ হই নাই তাই বলছি বউ বউ করবেন না”
শিশিরের কথায় প্রবণ অর্ণবের দিকে তাকালো আর অর্ণব চুল ঠিক করে বললো……
“গার্লফ্রেন্ড আর বউ একই কথা”
শুভ্র গালে হাত দিয়ে বললো……
“আজ কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই বলে বউও ডাকতে পারি না”
“সবাই মজা করছো ভালো কিন্তু আমার ইচ্ছা করছে এই তিতি মেয়েটাকে এখন ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলে দেই তাহলে আমার পথের কাটা শেষ হয়ে যাবে”
তিতির দিকে রাগের চোখে মনে মনে বললো সামু।
“আচ্ছা তোরা বস আমি জাহাজের কেন্টিন থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে আসি”
অর্ণব উঠতে যাবে তখনি সামু বললো…..
“আমিও যাবো তোর সাথে অর্ণব ”
“ওকে আয়”
অর্ণব সামু খাবার অর্ডার করার জন্য চলে গেলো। তখন শুভ্র বললো…..
“আজ মনে হয় সামুদ্রিক খাবার খাবো আহা। এতদিন সব ভেজাল খাবার খাইছি আজ খাঁটি খাবার খাবো”
“ওই এখনি জিবে জল আনিস না দেখ ওরা পায় কি না”
শুভ্র প্রবণের কথায় মুখ ভেংচি দিলো তখন শিশির বললো….
“সামুদ্রিক খাবার কি সমুদ্রের তলায় থাকে?”
শিশিরের কথায় শুভ্র প্রবণ আর তিতি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলো। তখন তিতি হাসতে হাসতেই বললো…..
“হাহাহা। ঠিক বলছিস সামুদ্রিক খাবার তো সমুদ্রের থেকে আনা হয়। আর আমার মতে সামুদ্রিক খাবার মানেই রুপচাঁদা কিংবা চিংড়ি। বড়জোর গলদা চিংড়ি বা লবস্টার। আরো আছে যেমন টুনা স্টেক, সি-ফুড প্ল্যাটার, গ্রিলড কালামারির, গ্রিলড স্ন্যাপার ফিশের। সি-ফুড প্ল্যাটারে ক্র্যাব, স্কুইড, টুনা, প্রন, স্যামন সব কিছুর স্বাদ অতুলনীয়। রেড স্ন্যাপার, ভেটকি, সুরমা মাছ, কাটল ফিশ, দেশি স্কুইড, রুপচাঁদা, ম্যাকারেল, টুনা, সামুদ্রিক কাঁকড়া ইত্যাদি খাবারের নাম শুনলেই তো লোভ জন্মে।। এ ছাড়া বিদেশি মাছের মধ্যে ট্রাউট, স্যামন, স্ক্যালপস, বড় স্কুইড এইগুলো আছে। আমি যখন আম্মু আব্বুর সাথে আসতাম আর এইগুলো অর্ডার করতাম”
“তিতি মুরগি তুই একা সব খেতে পারতি এত এত খাবার?”
“গাঁধী একবারে কি সব অর্ডার করেছি নাকি যখন আসতাম তখন কিছু কিছু অর্ডার করতাম”
শুভ্র তখন মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বললো……
“ভাবী জাহাজে কি এখন বিমানের মতো হয়ে গেছে যে সব পাওয়া যায়?”
“হুম। বিমানে যেমন মানুষরা অন্য কোথাও থেকে কিছু কিনতে বা নিতে পারবে না ঠিক জাহাজেও মানুষ অন্য কোথায় থেকে কিছু কিনতে পারে না তাই সব কিছুই এইখানে পাওয়া যায়। আমরা ছোট বেলায় টাইটানিক জাহাজ দেখেছিলাম না ওইখানে তো সব কিছুই পাওয়া যায়। এখন বাংলাদেশ টাইটানিকের মত এত বড় আয়োজন না করতে পারলেও কম আয়োজন করে নাই। আমাদের যাবতীয় দরকারি জিনিস এইখান থেকে আমরা পেয়ে যাবো”
শিশির প্রবণ শুভ্র তিতি ওরা টুকটাক কথা বলছে। অন্যদিকে সামু অর্ণব খাবার অর্ডার দিয়ে জাহাজের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো…..
“সামু তোর কি সত্যিই খুব ভালো লাগছে এই পরিবেশে”
“হুম লাগছে । কিন্তু এইসব ধুলোবালিতে কেমন যেনো কষ্ট হচ্ছে”
“আমাদের কেবিনে ওয়াশরুম আছে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিস।”
“ওকে। এখন চল কিছু পিক তুলি”
“সবাই একসাথে তুলবো এখন চল”
“নাহ এখন তুই আমার সাথে একা তুলবি।”
“ওকে”
অর্ণব সামু কয়েকটা পিক তুলে ওদের কেবিনে চলে গেলো।
সবাই ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। ওদের যেতে সকাল হবে।
মাঝরাতে তিতির ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। ও দেখে সবাই ঘুমিয়ে আছে। ও কেবিনের জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখে পানির কলকল শব্দ হচ্ছে । আকাশে চাঁদ উঠেছে তাই পানিতে চাঁদের রস্নি দেখা যাচ্ছে। তিতি একা একা ওদের কেবিন থেকে বের হয়ে জাহাজের মাথায় রেলিং এ গিয়ে দাঁড়ালো। আজ এই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলো। তখন ও ওর কাঁধে কারো স্পর্শ পায় তাকিয়ে দেখে সামু দাড়িয়ে আছে আর হাসছে…….
“তুমি জেগে আছো। ভালোই হলো আসো দেখো কি সুন্দর লাগছে”
“হাহাহা”
“হাসছো কেন সামু আপু?”
চলবে……