#আসক্ত🔥
জান্নাত
পর্ব : ২২
চোখ বন্ধ অবস্থায় জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো টায়রা! আজ পুরো টা দিন তার পালাতে পালাতে কেটে গেলো! অবশেষে নিজের ঘরেও চোরের মত ঢুকতে হচ্ছে!
মুখের উপর কারোর নিশ্বাস পরতেই শরীর লোম দাড়িয়ে গেলো! বুকটা ধকধক করে উঠছে! সামনে কে দাড়িয়ে সেটা জানার জন্য চোখ মেলে তাকাতেই ভয়ে আত্মা শুকিয়ে কাট টায়রার! আজ বোধহয় আর রক্ষে নেই! যার জন্য এতো কিছু সেই সামনে এসে হাজির!
এপাশ ওপাশ তাকিয়ে টায়রা রেডি হয়ে নিলো দৌড় দেওয়ার জন্য! কিন্তু তার সে আশায় বালি দিয়ে পালানোর আগেই লাজুক টুপুত করে ধরে নিলো তাকে!
অসহায় চোখে লাজুকের দিকে তাকালো টায়রা! এক্ষুনি বোধহয় কেদে দিবে সে! আর লাজুক! সে তো মনে হচ্ছে পারলে খেয়ে ফেলে এক্ষুনি ওকে!
বাঘের সামনে পরে যেমন বাচ্চা হরিনের অবস্থা হয়, তার থেকেও করুন অবস্থায় এখন টায়রার নিজেকে মনে হচ্ছে! কখন না বিকট আওয়াজে চিৎকার করে ওর ঘার মোটকে দেয়!
টায়রার দু হাত পিছনে মুরিয়ে কোমড়ের সাথে চেপে ধরে নিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো লাজুক!
এক হাত দিয়ে টায়রার গাল চেপে ধরে মুখ টা উপরে উচু করে তুলে নিলো! টায়রার মনে হচ্ছে তার দাত ঢুকে যাবে গালের ভীতরে!
রক্তচক্ষু লাজুক রেগে চেচিয়ে বলতে লাগলো,
— আমার পার্মিশন ছাড়া এখানে চলে আসার সাহস কিভাবে হলো তোমার?
লাজুকের চিৎকারে আত্মা কেপে উঠলো টায়রার! ভয়ে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরছে তার!
টায়রার মুখটা আরো একটু উচু করে নিজের মুখের সামনে নিয়ে নিলো,
— আমার থেকে দূরে যাওয়ার কথা ভাবলে কি করে তুমি! [ টায়রার মাথায় টোকা মেরে ] তোমার এই স্টুপিড মাথায় এই চিন্তা এলো কি ভাবে? [ ধমকে ] আন্সার মি ইডিয়েট!
কেপে উঠলো টায়রা লাজুকের ধমকে!
— লেটারে যেনো কি লিখে ছিলে? ও হ্যা! তুমি আমার যোগ্য না, আমি ভালো কাউকে ডিজার্ভ করি!
[ চেচিয়ে উঠে ] এসব কথা তোমাকে কেউ ভাবতে বলেছে? এই সব কথা ভেবে চলে এলে এখানে!
[ একটু থেমে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে ] ইডিয়েট ইচ্ছে তো করছে মাথায় তুলে আচাড় মারি একটা!
লাজুকের ধমকে এবার আওয়াজ করেই কেদে উঠলো টায়রা!
রেগে লাজুক টায়রার মুখ চেপে ধরে ধমকে বলল,
— সাট আপ! জাস্ট সাট আপ! একদম কাদবে না! চলে আসার সময় মনে হয়নি, এর ফল কতটা ভয়ংকর হতে পারে? ইডিয়েট! মাথা মোটা একটা! জানো কত টেনশনে ছিলাম? তুমি আর কি পারো তো শুধু ভ্যা ভ্যা করে কাদতে!
টায়রা মুখ থেকে লাজুকের হাত সরিয়ে দিয়ে ফোপাতে ফোপাতে বলল,
— তো আ…আপনি কি কক…করেছেন? শুধু শুধু কিছু না যেয..যেনে শুনে আমাকে সবার সামবে থাপ্পড় মেরেছেন সে বেলা?
টায়রার কথা স্পষ্ট অভিমানের ছাপ দেখতে পেলো লাজুক !
— থাপ্পড় তো তোমায় আরো কয়েকটা মারা উচিৎ ছিলো! কেনো গিয়েছিলে ঐ ছেলেটার সাথে দেখা করতে?
আড় চোখে গাল ফুলিয়ে লাজুকের দিকে তাকিয়ে টায়রা জবাব দিলো,
— তো কি? আ..আমি আমার ফ্রেন্ডদের সাথেও দেখা করতে প..পারবো না!
রেগে টায়রার গাল চেপে ধরে,
— না পারবে না! এর পর কথাও গেলে না ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবো বেয়াদপ!
ভয়ে টায়রা লাজুক কে ঢেলে সরিয়ে দু পা পিছিয়ে যেতে নিলেই তৎক্ষণাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাজুক টায়রার ঠোটের মাঝে নিজের ঠোট জোরা চেপে ধরলো!
বা হাতে টায়রার কোমড় চেপে ধরে চেপে নিলো নিজের দিকে! ডান হাত রাখলো ওর চুলের পেছনের দিকে ঘাড়ে!
চোখ গুলো আকারে দীগুন হয়ে গেলো টায়রার! এমন শকড এ আছে যে মনে হচ্ছে হার্ট ফেল করে মরে যাবে!
চোখ গুলো বেশিক্ষন খুলে রাখতেও পারলো না সে! লাজুকের ঠোটের স্পর্শ ক্রমশো প্রবল ভাবে টায়রার ঠোট নিজের মাঝে নিয়ে নিচ্ছে! চোখ গুলো খিচে বন্ধ করে নিয়ে লাজুকের জ্যাকেট খামচে ধরে নিলো টায়রা!
সব অনুভূতি তার গুলিয়ে ধলা পেকে যাচ্ছে! এই মুহূর্তে তার কি রিয়াক্শন দেওয়া উচিৎ মাথায় আসছে না!
ওদেকি শরীর অন্য কথা বলছে! লাজুকের ছোয়ায় এক তীব্র অনুভূতিতে শরীর মন ছুয়ে যাচ্ছে !
যে অনুভূতিতে ধীরে ধীরে বস হয়ে যাচ্ছে সে!
টায়রার কোমড়ে থাকা লাজুকের হাতটা আরো শক্ত করে চেপে নিলো নিজের দিকে!
চুমু খাওয়ার শক্তিটা যেনো আরো বারিয়ে দিলো!লাজুকের ঠোটের স্পর্শে প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব করছে টায়রা!
অস্থির ভাবে টায়রার ঠোট জোরাতে চুমু খেয়ে যাচ্ছে!
আবেশে টায়রা বন্ধ চোখের কোনা থেকে এক ফোটা জল গড়িয়ে পরলো! তার হাত পা কাপছে! শরীর অবশ হয়ে আসছে! হঠাৎ ঠোটে লাজুকের কামর অনুভব হতেই টায়রা লাজুক কে ঠেলে নিজের থেকে সরিয়ে দিতে চাইতে লাগলো!
কিন্তু লাজুক আরো চেপে ধরে চুমু খেতে লাগলো সাথে বেশ কয়েকটা কামড়ও দিলো!
ব্যাথা অনুভব হওয়ায় টায়রা লাজুক কে ছাড়াতে মোচড়াতে লাগলো, কিন্তু লাজুক ছাড়লো না! টায়রা বুঝতে পারছে লাজুক রাগের কারনেই যেনে বুঝে কামড় গুলো দিচ্ছে!
এর খানিক বাদে নিজেই টায়রার থেকে সরে এলো!
লাজুকের থেকে ছাড়া পেতেই ঠোট চেপে ধরে ফোপাতে লাগলো টায়রা! জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে সে! ওদিকে মনে হচ্ছে লাজুক তার ঠোট জোরা ত্যানা ত্যানা করে দিয়েছে! ঠোট আর ঠোট নেই!
হাত পা কাপছে! শরীরে বিন্দু শক্তি পাচ্ছে না এখন!
সামনে লাজুকের দিকে তাকাতেই দেখলো সে কোনো রিয়াক্শন ছাড়াই তাকিয়ে টায়রার দিকে!
চোখ নামিয়ে আবার নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো!
— আমার থেকে দূরে যাওয়ার মত বোকামির শাস্তি এটা! যা ইন ফিউচার এমন কিছু না কর!
লাজুকের কথা শুনে ছোট ছোট চোখে তার দিকে তাকিয়ে, দু পা পিছিয়ে যেতে নিলেই লাজুক আচমকা টায়রাকে টেনে আবার নিজের সাথে ফের মিশিয়ে নিলো!
ভয়ে ভয়ে তাকালো টায়রা লাজুকের দিকে!
লাজুক সেদিকে নজর না দিয়ে টায়রার ঘাড়ে ঠোট ছোয়ালো! কাপতে লাগলো টায়রা লাজুকের স্পর্শে !
তার মাথায় আসছে না লাজুকের হঠাৎ এমন ব্যাবহার!
ঘাড়ে লাজুকের নরম ঠোটের স্পর্শ পেতেই শক্ত হয়ে দাড়িয়ে যায়! জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে টায়রা!
লাজুক টায়রার ঘাড়ে ঠোট দিয়ে স্লাইড করতে করতে হঠাৎই জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিলো!
ব্যাথা লাগায় চেচিয়ে উঠে টায়রা!
তা দেখে লাজুক টায়রার ঘাড়ে আরো একটা কামড় বসিয়ে দিলো!
— আহহহহ!
আবারও চেচিয়ে উঠলো টায়রা!টায়রার থেকে সরে দাড়িয়ে লাজুক স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার দিকে! টায়রা হাত দিয়ে ঘাড় চেপে ধরে নিচে তাকিয়ে ফুপিয়ে কাদছে!
— এটা হলো এই দু দিন আমাকে টেনশনে রাখার জন্য!
মাথা নিচু করে ফুপিয়ে কেদে যাচ্ছে টায়রা! প্রচন্ড অভিমান হচ্ছে লাজুকের উপর! তাকে কত গুলো কামড় দিলো! আস্ত একটা রাক্ষস! মনে মনে হাজারও গালি দিতে লাগলো লাজুক কে!
ঠোট জোরা ব্যাথায় টনটন করছে! ঠোটে আলতো করে হাত বোলাতেই বুঝতে পারলো এর বেহাল অবস্থা! ফুলে টুলে শেষ!
দাত কিড়মিড়িয়ে লাজুকের দিকে তাকাতেই দেখলো সে বাকা হেসে টায়রার কান্ড দেখে মজা নিচ্ছে!
প্রচন্ড রাগ হতে লাগলো লাজুকের উপর! তার উপর এমন অত্যাচার করে এখন হাসা হচ্ছে!
রেগে টায়রা সেখান থেকে চলে যেতে নিলেই পিছন থেকে হাতে টান অনুভব করলো!
টায়রা পেছন না ফিরেই হাত ছোটানো চেষ্টা লেগে পরেছে!
লাজুক বুঝতে পেরে হেচকা টেনে নিজের বুকের উপর এনে ফেললো টায়রাকে!
লাজুকের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য মোচড়াতে লাগলো টায়রা! তা দেখে লাজুক টায়রার কোমড় শক্ত করে চেপে ধরে বলতে লাগলো,
— কি হলো? অভিমান করেছো আমার উপর?
নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে টায়রা কবাব দিলো,
— ছাড়ুন আমাকে! এতো গুলো অত্যাচার করে এখন আদিক্ষেতা করা লাগবে না!
হেসে উঠলো লাজুক টায়রার কথায়! চোখ গুলো ছোট ছোট করে রাগি লুকে তাকালো টায়রা লাজুকের দিকে!
— আমি অত্যাচার করেছি তোমার উপর?
— নয় তো কি? কামড়ে ঠোট তো শেষ করে দিছেন একদম!
লাজুক টায়রার ফোলা লাল ঠোটের দিকে নেশা ছড়ানো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আলতো করে আঙুল ছুয়ে দিতে লাগলো! কেপে উঠে আড় চোখে তাকালো টায়রা লাজুকের দিকে!
ঠোটের দিকে নজর রেখে ফিসফিস আওয়াজে লাজুক বলল,
— আচ্ছা? আমি যেহেতু জখমি করেছি! মেডেসিনও তাহলে আমাকেই দিতে হচ্ছে !
লাজুকের ফিসফিসানি আওয়াজে কেপে উঠলো টায়রা! ঢোক গিলে কাপা কাপা আওয়াজে বলল,
— লা..লাগবে না আ..আমার মেডিসিন ! ছা..ছাড়ুন!
— উহু! আঘাত যেহেতু করেছি, সেটা দুরও তো আমাকেই করতে হবে! ওতটা তো পাষান আমি না!
কথাটা শেষ করে আলতো করে টায়রার ঠোটের মাঝে ঠোট দিয়ে দিলো! চোখ চেপে বন্ধ করে লাজুকে জ্যাকেটে হাতা খামচে ধরলো টায়রা!
আলতো ঠোটের স্পর্শে টায়রার ঠোট জোরা ক্রমশই নিজের মাঝে নিয়ে নিতে লাগলো লাজুক!
টাইট করে টায়রাকে নিজের সাথে চেপে নিয়ে এমন ভাবে চুমু দিতে লাগলো যেনো কত প্রতিক্ষার পর আজ কাঙ্গক্ষিত কোনো জিনিস হাতে পেয়েছে!
চোখ বন্ধ রেখে স্টেচু হয়ে দাড়িয়ে টায়রা! লাজুকের এই তীব্র আসক্তির মাঝে নিজেকে কেবলই হারিয়ে ফেলছে! আর আজীবনই এমন হারাতে চায়! লাজুকের আসক্তি হয়েই থাকতে চায় সে!
To be continue….
shuchona zannat..