—-তোমার মতো একটা লো ক্লাস ও চিফ মাইন্ডের মেয়ে আকশি চৌধুরীর ওয়াইফ।হাউ ফানি।তোমাদের মতো মেয়েদের আমি ভালো করে চিনি।টাকাওয়ালা ছেলে দেখলেই তার গলায় ঝুলে পরো।কি ভাবো নিজেকে?রূপের মায়া দিয়ে বড়লোক ছেলেকে ফাঁসিয়ে সব কেড়ে নিয়ে অন্য ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাবে।এই রিয়ানা বেঁচে থাকতে তার আকশিকে কখনো অন্য কারো হতে দিবে না।তোমার মতো থার্ড ক্লাস মেয়ের হাতে তো জীবনেও না।
অফিসে নিজের কেবিনে দাঁড়িয়ে ফাইল চেক করছিলো ফিহা।মন মানসিকতা এমনি ভালো নেই। হঠাৎ একটা মেয়ের কন্ঠ পেল।এতক্ষণ পিছনে ঘুরে থাকলেও এখন সামনে তাকালো।ফাইলের থেকে চোখ উঠিয়ে শান্ত ভঙ্গিতে রিয়ানার দিকে তাকালো।মেয়েটার পরনে পোশাক দেখে মনে হবে না বাঙালি। কারণ সে পশ্চিমা দেশগুলোর পোশাক অনুসরণ করেছে।শর্ট স্কার্ট,চুলগুলো কাঁধ পর্যন্ত কার্ট দেয়া,ভ্রুর মধ্যে রিং বসানো,ভারী মেকআপ,পায়ে হায় হিল।এক কথায় বাঙালি কালচারের কোন ছিটেফোঁটাও নেই।রিয়ানার মুখে হাজারো বিরক্ত প্রকাশ পাচ্ছে।
ফিহাঃ কারো রুমে আসার সময় পারমিশন নিয়ে আসতে হয়।সেটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন মিস রিয়ানা।আপনার তো নূন্যতম ম্যানারটাও নেই। আর আপনি আমাকে লো ক্লাস মেয়ে বলাছেন।দেখে তো মনে হচ্ছে খুব স্মার্ট। কিন্তু আচার-আচরণে কোন স্মার্টনেস খুঁজে পাচ্ছি না কেন?
রিয়ানাঃ তুমি আমাকে ম্যানার শেখাবে?হাউ ডেয়ার ইউ। কি ভাবো তুমি নিজেকে?আমি জানি তুমি পুরো কোম্পানিটাকে নিজের নামে করে নিয়েছো।
ফিহাঃ আমি বর্তমানে চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ওনার।তাই ভদ্র ভাবে কথা বলেন।আপনাকে গলা ধাক্কা মেরে বের করতে আমি ২য় বার ভাববো না।
(ফাইলে চোখ বুলাতে বুলাতে কথাটা বললো ফিহা।)
রিয়ানাঃ তোমার এতো বড় সাহস।তুমি আমায় এসব বলো।তুমি জানো আমি কে?আমার এক চুটকিতে তুমি ধূলোয় মিশিয়ে যাবে।(চিৎকার +রেগে)
ফিহাঃ ডোন্ট সাউট মিস রিয়ানা। এটা আমার অফিস।আপনার নয়।আমার বাচ্চা ঘুমিয়েছে।ও যদি আপনার চিৎকারে ভয় পেয়ে উঠে যায় তাহলে আমি আপনাকে ছেড়ে কথা বলবো না।
রিয়ানাঃ তুমি আমায় হুমকি দিচ্ছো।রিয়ানাকে হুমকি দিচ্ছো।এর ফল মোটেও ভালো হবে না।
ফিহাঃ আপনাকে ভদ্র ভাবে বলছিলাম কিন্তু আপনি মানেন নি।তাই আমাকে পরবর্তী স্টেপ নিতেই হবে।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফিহা ম্যানেজার আবদুল আজিজ সাহেবকে কল করলো।কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তিনি ফিহার রুমে চলে এলেন।
আবদুলঃ আমায় ডেকেছো ছোট বউ মা।
ফিহাঃ এই ময়লা আবর্জনা টাকে ড্রেনে ফেলে দিন।ড্রেনের জিনিস এখানে কি করছে? আমার মেয়ে ঘুমিয়েছে।এই সময়ে আমি কোন ঝামেলা করতে চাই না।উনাকে বাইরে রেখে আসেন।
আবদুলঃ রিয়ানা মা মণি বাইরে চলো।
রিয়ানাঃ হেউ ইউ তুমি নিজেকে কি মনে করো?আমাকে ময়লা আবর্জনা বলছো।আমি তোমাকে ছারবো না।একে তো আমার আকশিকে নিয়ে গেছো।তার মধ্যে আবার বড় বড় ডায়লগ দিচ্ছো।আই উইল কিল ইউ।যাস্ট কিল ইউ।
আবদুলঃ চলো মা মণি।ছোট বউ মার সাথে আর ভেজাল করো না।অনি দিদিভাই উঠে যাবে।
রিয়ানাঃ ছারুন আমায়। একদম টার্চ করবেন না।আপনাদের মতো ছোট লোক আমার জুতা ধরারও স্পর্ধা নেই। আর আপনি আমার হাত ধরছেন।
ফিহাঃ যাস্ট শেট আপ মিস রিয়ানা।আপনার সাহস কি করে হয় চাচাকে এসব বলার।
(রেগে+চিৎকার করে)
আবদুলঃ ছোট বউ মা তুমি শান্ত হও। এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। চলো রিয়ানা মা-মণি।
রিয়ানাঃ ডোন্ট টার্চ মি।(ফিহার দিকে তাকিয়ে) আমি তোমায় দেখে নিবো।কাজটা তুমি ঠিক করলে না।
রাগে গজগজ করতে করতে হাই হিলে খটখট করে রিয়ানা চলে গেল।আবদুল আজিজ সাহেব নিষ্পলক চাহনিতে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।
আবদুলঃ ছোট বউ মা ওর সাথে লাগতে যাওয়া তোমার ঠিক হয়নি।মেয়েটা বড্ড উচ্ছৃঙ্খল। ওদের ব্যবহারি এরকম।বড়লোক বাপের আদুরের দুলালি হলে যা হয় আরকি।অনিল বাবা,আকশি বাবা আমাদের মাঝে নেই। বড় সাহেবেরও শরীর ভালো না।এখন যদি তোমার ও অনিয়া দিদিভাই এর কিছু হয়ে যায় তাহলে আমরা কি করবো?
কথাগুলো বলে চোখের পানি মুছলেন আবদুল সাহেব।ফিহা সামনে এসে তাকে টিস্যু এগিয়ে দিলেন।
ফিহাঃ চিন্তা করবেন না চাচা।আল্লাহ আছে আমাদের সাথে। কিছু হবে না।আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে সব ঠিক হয়ে যাবে।টেবলেটকে যে দেখছি না।কোথায় ও?
আবদুলঃ টেবলেট বাগানে বসে আছে।
ফিহাঃ ওকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন।টেবলেট থাকলে নিজেকে অনেকটা হালকা লাগে।মনে হয় নিজের কোন আপনজন সাথে আছে।
আবদুলঃ আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি ছোট বউ মা।
বেশ কিছু সময় পর একটা বাদামী বর্ণের কুকুর দৌড়ে কেবিনে ঢুকলো।এই বাদামী বর্ণের কুকুরটার নাম টেবলেট। আকশির পোষা কুকুর। ফিহাও ওকে ভীষণ পছন্দ করে। টেবলেট সবসময় অনিয়াকে দেখে রাখে।টেবলেট কাছে আসতেই ফিহা ওর মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
ফিহাঃ টেবলেট কেমন আছিস তুই? এখন থেকে আমাদের সাথেই থাকবি।সবসময় আমার মেয়ে অনিয়াকে দেখে রাখবি।যা চুপটি করে অনির দোলনার কাছে বসে থাক।
টেবলেট ফিহার কথা শুনে অনিয়ার দোলনার কাছে বসে রইলো।পুরো কেবিনটা খুব সুন্দর করে সাজানো।এক পাশে একটা টেবিল, তিনটা চেয়ার। অন্যপাশে একটা বড় ডেভিন।দক্ষিণ পাশে পুরোটা আবছা সবুজ রঙের কাচ লাগানো।তার পাশেই একটা বেবি দোলনা ও বেড।দোলনায় ঘুমিয়ে আছে ৬ মাসের একটা বাচ্চা মেয়ে।নাম অনিয়া চৌধুরী।ভবিষ্যতের চৌধূরী পরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকারী।বর্তমানে চৌধুরী পরিবারের মাত্র তিনজন সদস্য বেঁচে আছে। ফিহা ওর মেয়ে অনিয়া,ওর শ্বশুর আনিস চৌধুরী। একটা কার এক্সিডেন্টে আনিস চৌধুরীর বড় ছেলে অনিল চৌধুরী ও তার বউ লিয়া চৌধুরী মারা যায়।আনিস চৌধূরীও গুরুতর আঘাত পায়।সেদিন তাদের সাথে ফিহা ছিলো না।কিন্তু অনিয়া ও টেবলেট ছিলো।ভাগ্যক্রমে সেদিন টেবলেটের কারণে অনিয়া বেঁচে যায়।এটা জানতে পেরে টেবলেটের প্রতি মায়াটা আরো বেশি বেড়ে যায় ফিহার।আকশি নিখোঁজ আছে ৩ মাস যাবত।এক্সিডেন্টের দুই মাস আগের থেকে সে নিখোঁজ ।আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তাও কেউ জানে না। ফিহার বিশ্বাস একদিন আকশি ঠিক ফিরে আসবে।
পুরো কোম্পানি ও সংসার এখন ফিহাকে চালাতে হয়।যে কিনা এসবের কিছুই বুঝতো না।আজ ১০ দিনের হলো কোম্পানিতে যোগ দিয়েছে। একদিকে দেশের নামকরা বিজনেস কোম্পানি, অন্য দিকে ছোট বাচ্চা,বাড়িতে অসুস্থ শ্বশুর, স্বামী নিখোঁজ। সবকিছু সামলাতে ফিহা হিমশিম খাচ্ছে। ওর সাথে যদি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড ও আবদুল আজিজ সাহেব আজ না থাকতো তাহলে তাকে আজ রাস্তায় বসতে হতো।
কাচের সামনে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলো ফিহা।পাশে তাকিয়ে দেখলো অনি এখনো ঘুমাচ্ছে। এই মেয়েটার প্রতি অসম্ভব মায়া কাজ করে তার।নিজের কলিজার টুকরোর থেকে কম নয়।কি মায়াবী চেহারা! এই চেহারার দিকে তাকালে সব কষ্ট ভুলে যায় ফিহা।কারণ তার মাঝেও তো মাতৃত্ব নামক বস্তুটা আছে।
—মে আই কাম ইন??
ফিহাঃ ইয়েস কাম ইন।
কেবিনে ঢুকলো মাঝ বয়সী এক ভদ্রলোক। নাম আদনান আহমেদ।আহমেদ কোম্পানির ওনার। এবং চৌধূরী কোম্পানির ডিল পার্টনার।মাথায় খানিকটা টাক।মুখে গম্ভীরতা আছে।
—–আমি আদনান আহমেদ।আহমেদ গ্রুপ অব কোম্পানির ওনার।(হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
ফিহাঃ আসালামু আলাইকুম। আমি মিসেস চৌধুরী।
ফিহা হেন্ডশেক না করায় আদনান আহমেদ মনে মনে বেশ অপমানিত হলেন।তবে মুখে কিছু বললেন না।ফিহা কখনও কারো সাথে হেন্ডসেক করে না।সালাম দিয়ে কথা শুরু করে।
আদনানঃ আপনার নামটা কি জানতে পারি?আসলে কোথাও আপনার নাম দেখতে পেলাম না।এমনকি কাগজেও লেখা নেই।
ফিহাঃ আমি মিসেস চৌধুরী।
আদনানঃ এটা তো আপনার পদবী।
ফিহাঃ নো মি.আহমেদ।বর্তমানে এটাই আমার পরিচয়।আমি মিসেস চৌধুরী। বিয়ের পর স্বামীর পরিচয়ে নারীর পরিচয়।আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন।নতুন করে কিছু বোঝাতে হবে না।ওতটা অবুঝ আপনি নন।
ফিহা তাকে সামনের চেয়ারে বসতে বলে নিজে চেয়ারে বসলো।ফিহা যে কোম্পানির ওনারের চেয়ারে বসলো সেটা মনে হয় ভদ্রলোকের পছন্দ হলো না। এমনটা মনে হলো ফিহার।আদনান আহমেদ খুব মনোযোগ সহকারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ফিহাকে দেখতে লাগলো। মেয়েটার বয়স তো কম করে হলে ২৩-২৪ এর বেশি হবে না।পরনে কালো পারের গোলাপি শাড়ি।মুখে কোন মেকআপ নেই। মুখটা যথেষ্ট মায়াবী। চোখ দুটো ডাগর ডাগর।মাথায় কালো হিজাব বাঁধা। গায়ের রং হলদে ফর্সা।
ফিহাঃ মিঃ আহমেদ আমাদের পরবর্তী ডিলের কি খবর?সবকিছু ঠিক আছে তো।
আদনানঃ হাতে সরু চুড়ি,নাকে নাকফুল,গায়ে গাঢ় রংয়ের শাড়িতে আপনাকে কি মানায় মিসেস চৌধুরী ?
ফিহাঃ আপনি কি বলতে চাইছেন?
(চোখ দুঃখ ছোট ছোট করে)
আদনানঃ আমি কি বোঝাতে চাইছি সেটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন। আকশি চৌধুরী মারা গেছে তিন মাস ধরে।আর আপনি চুড়ি,নাকফুল,শাড়ি পড়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন।ব্যাপারটা কি ভালো দেখাচ্ছে?
ফিহাঃ আমার পার্সোনাল ব্যাপারে আপনি নাক না গলালে আমি খুশি হই।আর হ্যাঁ,আমার স্বামী এখনো মারা যায় নি।সে এখনো নিখোঁজ। মারা গেলে লাশটা তো পাওয়া যেতো।শুধুমাত্র নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে সে মারা গেছে সেটা তো ঠিক নয়।আমিও সেটা বিশ্বাস করে সাদা বিধবার কাপড় পড়ে বসে থাকবো।এটা নিত্যান্ত বোকামী ছারা কিছু নয় আমার কাছে।
আদনানঃ উনি যে বেঁচে আছে তার গ্যারান্টি কি?
ফিহাঃ দেখুন মি.আহমেদ আপনি যদি আমার পার্সোনালি ব্যাপারে নাক গোলান আমি কিন্তু পরবর্তী বিল পাস করাবো না।আর আমার সই ছাড়া এখন কোন বিল পাস হবে না।কারণ আমার শ্বশুর মশাই নিজ হাতে আমাকে পুরো কোম্পানির দায়িত্ব কাগজ-কলমে তুলে দিয়েছে।সেটা নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়।আমি চাই না আপনি আপনার এতো বড় ডিলটা হারান।এতটা নির্বোধ নিশ্চয়ই আপনি নন।
তারপর তাদের মধ্যে বিজনেসের কথা ছাড়া অন্য কোন কথা হলো না। পুরো সময়টা আদনান আহমেদ চুপ করেই ছিলেন।ফিহার কথায় যে তার আত্মসম্মান বোধে লেগেছে।তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই। আদনান আহমেদ চলে যেতেই অনি ঘুমের থেকে উঠে গেল। উঠেই নিয়ম মোতাবেক তার মাকে না দেখে চিৎকার করে কান্না শুরু করলো। ফিহা জলদী করে গিয়ে অনিয়া কে কোলে তুলে নিলো।
ফিহাঃ ওরে আমার সোনা মণিটা।কি হয়েছে তোমার?এই তো তোমার মাম্মাম এখানে।কিছু হয়নি তো।তোমার মাম্মাম থাকতে কি তোমার কিছু হতে পারে।কে বকেছে তোমায়।আমার লক্ষ্মীটাকে কে বকেছে?তোমার বাপি আসলে তার নামে বিচার দিবো আমরা ওকে।তুমি কান্না করো না প্লিজ।আমার মানিক চাঁদ।তুমি এভাবে কান্না করলে মাম্মামের তো ভালো লাগবে না।আমার পাখিটার কি খিদে পেয়েছে? একটু ওয়েট করো মামণি।আমি তোমার জন্য ফিটার বানাচ্ছি।
পরিচিত সুরটা পেয়ে অনিয়া চুপ হয়ে গেল।কারণ এই কয়েক দিনে সে বুঝে গেছে এই কোলটাই তার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। যে তাকে খুব ভালোবাসে।অনিয়া দুই হাত দিয়ে তার মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে রেখেছে। যেনো ছেড়ে দিলেই তার মা চলে যাবে।ফিহা ফিটার তৈরি করে অনিয়ার মুখে দিলো।আর অনিয়াও লক্ষ্মী মেয়ের মতো করে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে খুশি মনে ফিটার খেতে লাগলো।খাওয়া শেষ হতেই ফিহা অনিকে জরিয়ে ধরে গালে চুমু খেলো।মায়ের আদরের পরশ পেয়ে অনিয়াও চোখ বন্ধ করে নিলো।পাশে চকচক চোখে তাকিয়ে আছে টেবলেট।বুঝা যাচ্ছে টেবলেটও ওদের দুজনকে এভাবে দেখে খুব খুশি হয়েছে।
#চলবে
#মিসেস_চৌধুরী
#Part_01
#Writer_NOVA
নতুন গল্প নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে।এই গল্পটা বেশি বড় করবো না।আপনাদের রেসপন্সের ওপর ভিত্তি করছে পরবর্তী পর্ব দিবো কি না।