দুষ্টু_বউয়ের_ডেবিল_বর part:17
writer: #Nurzahan_akter_allo
.
রাত দুইটাই ঘুম ভেঙে যাই নুরের, আর সাদনানকে ডাক দেই,সাদনান ঘুম ঘুম চোখে নুরের দিকে তাকাই,নুর সাদনানের আরো কাছে এসে বলে,,
নুরঃআমার খুব খুদা লাগছে,আমাকে কিছু খেতে দিন,,,,
সাদনানঃহুমম দাড়াও বাট খাবার তো ঠান্ডা হয়ে গেছে,আমি আবার কিছু অডার্র করি,,
নুরঃনা এত রাতে আর আর কাউকে জাগানোর দরকার নাই,যা আছে তাই দিন, তারাতারি দিন আমাকে খেতে আর আমার মাথা এরকম ঘুরিং ঘুরিং করছে কেন?
সাদনানঃএকটু তো মাথা ভারী হবেই,আচ্ছা আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছে কেমন,তুমি গুড গার্লের মত খেয়ে আবার শুয়ে পড়ো কেমন,,,
নুরঃহুমম
–
সাদনান উঠে ঢেকে রাখা খাবার আনে,আর নুর সাদনানের বুকের সাথে হেলান দিয়ে বসে,সাদনান খাবারটা বিচানার উপর রেখে নুরকে জড়িয়ে ধরে,নুরের কানে কানে বলে,,,
সাদনানঃআরে বোকা মেয়ে এভাবে বসলে তোমাকে আমি খাওয়াবো কি করে?এভাবে তো উল্টো হচ্ছে আমার,আমি তোমার মুখে ভাত না দিয়ে,নাকে দিবো তখন পুরো মুখে মেখে একাকার হবে,আগে খেয়ে নাও তারপর না হয় তুমি সারারাত এভাবে থেকো,,
নুরঃনা আমি এভাবেই খাবো,কোন কথা হবে না,,।
সাদনানঃ খাওয়ার সময় একটু শান্ত হয়ে থাকতে হয়,আগে খেয়ে নাও না,,
নুরঃযা আমি আর খাবোই না,
সাদনানঃওকে ওকে নাও এভাবেই খাও, আমি আর কিছু বলছি না কেমন,,নাও হা করো,,
–
সাদনান নুরকে ওভাবেই খাওয়াতে থাকে,আর নুর খেতে থাকে,খেতে খেতে সাদনানের দিকে ঘুরে তাকিয়ে সাদনানের মুখে খাবার তুলে দেই,সাদনানে নুরের দিকে তাকাই আর মুছকি হেসে খেতে থাকে,,,,,
এভাবে দুজন দুজনাকে খাওয়াতে থাকে।সাদনান উঠে নুরকে পানি খাইয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে দেই আর নিজেই হাত ধুয়ে আসে,নুরের কথা জড়িয়ে যাচ্ছে এখনো,সাদনান নুরের পাশে শুয়ে পড়ে,সাদনান শুতেই নুর গুটিশুটি হয়ে সাদনানের বুকের মাঝে ঢুকে পড়ে,আর সাদনান নুরের কপালে ভালবাসার পরশ একে দেই,আর নুরকে জড়িয়ে ধরে নিজের বুকের সাথে,,,একটা সময় আবার দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে,,
–“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
সকালবেলা নুরের ঘুম ভেঙে যাই,নুর উঠে বসে মাথা চেপে ধরে।তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে ও একটা শাড়ি পেচিয়ে পড়ে আছে,তারপর কোন কিছু না বলে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য নিচে নামতেই দেখে,কয়েকটা শপিং ব্যাগ পড়ে আছে,একটা হাতে নিয়ে দেখে একটা ছেলের ড্রেস আর একটাতে মেয়েদের ড্রেস,নুর মেয়েদের ড্রেস টা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যাই,ফ্রেস হয়ে এসে দেখে সাদনান উপুর হয়ে শুয়ে আছে,,,।
নুর সাদনানের কাছে গিয়ে চুলে হাত বুলিয়ে দেই,সাদনানের কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দেই,আর নুর গিয়ে বারান্দায় এসে দাড়াই,,,
আজকের সকালটা খুব সুন্দর, আকাশটা মনে হচ্ছে, রং তুলি দিয়ে আকা,ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে, সাদনান এসে নুরকে জড়িয়ে ধরলো পেছন থেকে,নুর কিছু বললো না সেইরকম ভাবে দাড়িয়ে থাকলো,আকাশের দিকে তাকিয়ে। সাদনান নুরের কাধে মুখ রেখে বললো,,
–
সাদনানঃএখন কেমন লাগছে তোমার,,শরীর ঠিক আছে তো?
নুরঃহুমম আমি ঠিক আছি,আমার নাম বুকের বামপাশে ট্যটুটা কবে করছেন?ডিজাইন আর করে নামটা খুব সুন্দর হয়েছে আঁকানো,,,,
–
(মাঝারি আকারের S লিখে তার মাঝে নুর লিখা,,)
–
সাদনানঃতুমি কখন দেখলে ট্যটুটা ,তোমাকে যেদিন মন থেকে ফিল করা শিখছি,সেইদিনই এটা ট্যটু করে ফেলছি,,কারন আমি আমার মনে তোমার নাম লিখছি এটা তো কাউকে দেখাতে পারবো না এজন্য বুকের ট্যটু করে রেখেছি,যাতে কেউ এই বুক দখল করতে না আসে।এটা করার আসল কারণ, আমি তোমাকে বুকের কাছে সবসময় যাতে ফিল করতে পারি এজন্য বুঝলে,,,
নুরঃহুমম বুঝলাম,, আপনি যে বউ পাগল এটা সবাইকে বোঝান তাই তো,,
সাদনানঃসবাইকে বোঝানোর প্রয়োজন পড়বে না,যাকে বোঝাতে চাই সেই বুঝলেই এনাফ,,।আমি তো ভেবেছিলাম সকালে তোমার চিৎকারে ঘুম ভাংবে বাট কোন রিয়েক্ট নেই কেন?আচ্ছা নুর তুমি ঠিক আছো তো,,
নুরঃকেন?আমি বলতে চাইছেন যে সকালে ওইভাবে শাড়ি পড়াতে, আমি রিয়েক্ট করা উচিত ছিল তাই তো,আমার কালকের পুরো ঘটনা মনে নাই তবে কিছু একটা করছি এটা আমি সিওর,,।
সাদনানঃ এভাবে শাড়ি কে পড়িয়ে দিয়েছে,এটাতেই কোন রিয়েক্ট নেই তোমার ,আগে জানলে তো,,
নুরঃআপনি পড়িয়ে দেন নি,এটা সিওর কারন এত নিখুঁত ভাবে কোন মেয়ে ছাড়া,এইভাবে কোন ছেলে পড়িয়ে দিতে পারবে না,আরে বুদ্ধু এসব বোঝার মত কমন সেন্স আমার আছে,আমাকে এতটাই বোকা ভাববেন না।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
সাদনানঃযদি কোন ভুল করে ফেলতাম তখন কি এত শান্ত ভাবে থাকতে পারতে,,??
,উফফ রে তাহলে কি মিস করে ফেললাম(নুরকে রাগানোর জন্য)
নুরঃআপনার উপর বিশ্বাস ছিল,আছে, আর থাকবেও,,।এভাবে আপনি কখনোই আমাকে কাছে টানবেন না,আমার সেন্স না থাকায় অবস্থায়।সত্যি কথা জানেন যার মধ্যে শয়তানি থাকে সে সেন্স থাকার আর না থাকার তার কাছে কিছুই পরোয়া করে না,,
সাদনানঃএত বিশ্বাস তাহলে সেইদিন কেন বললে?,আমি তোমার শরীর চাই,?,,জানো কথাটা আমাকে কত আঘাত করছিলো?আমি নিজের কাছে নিজেকেই কতটা ছোট লাগছিলো তুমি জানো?
,তুমি আমার মন চুরি করছো,,
তুমি আমার হার্টকে ডিসটাব করছো?(ঢং করে)
–
নুরঃওলে বাবা লে,,তাই নাকি?
সবাইকে এক ভাবা ঠিক না,সব ছেলে এক না,এটা আমিও মানি,,,
সমস্যা হচ্ছে কোথায় জানেন?আমরা সব সময় খারাপ কিছু দিয়ে বিচার করতে পছন্দ করি,আমরা যেমন সব মেয়েরা খারাপ না তেমনি আপনারা সব ছেলেরাও খারাপ না,,সব মেয়েরা লোভী না তেমনি সব ছেলেরা মেয়েদের শরীর বোঝেনা,,,,
–
সাদনান নুরকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে, মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,নুর আবার বলতে শুরু করে,,
–
আমার মাঝে মাঝে খুব ঘৃনা লাগে ছেলেদের উপর,মন চাই ওদের ধরে মেরে ফেলি,ছেলেরা খুব খারাপ, আবার পরক্ষনে ভাবি আসলেই কি ছেলেরা খারাপ? আমরা ছোট থেকে এটাই দেখে আসছি ছেলেদের নামে,,, খারাপ,,,, এই পদবী টা, আমরা সব সময় খারাপ কিছু দেখেই তাদের বিচার করে ফেলি,আমরা এটাই মনে করি মেয়ে মানে নির্ভুল আর ছেলে মানে জঘন্য কীট,,,।
পৃথিবীটা ভাল কিছু জন্যই এখনো টিকে আছে,খারাপ বাদ দিয়ে একবার ভাল করে চারপাশটা তাকিয়ে দেখেন,এখনো ভাল ছেলে আছে,তারা মেযেদের শরীর টা না মন চাই,পার্কের চিপায় না তারা প্রিয় মানুষটার হাতটা ধরেই খুশি থাকে।
–
নিউজ পেপার খুললেই দেখবেন,,মেয়ে হবার অপরাধে বউকে খুন,মেয়েকে গলা টিপে মেরে ফেলছে,রেপ,মেয়েদের টিজ করা,এসব সব যেমন সত্যি এটাও তেমন সত্যি সব ছেলেরা যেমন খারাপ না, তেমনি সব মেয়েরা যে সাধু তা কিন্ত নই,,।
একটা ছেলে পরিবারের জন্য যেমন সারাদিন কত কষ্ট করে, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কতকিছু ত্যাগ করে,এটা তো সংবাদ পএে দেওয়া হয় না,আর এগুলোও তুলে ধরাো হবে না, কারন সবাই হাসবে বলবে এটা সামান্য ব্যাপার,,
–
সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে আছে,নুরের চিন্তা ভাবনা গুলো এত ইউনিক,কতজন পারে এরকম ভাবে ভাবতে,সাদনান নুরের কপালে ঠোঁট ছোয়ালো আর কিছু না বলে,,,
সাদনান রিসিপশনে ফোন দিয়ে ব্রেক ফাস্ট অর্ডার করলো,ওরা ফ্রেস হয়ে ব্রেক ফাস্ট করে ওখান থেকে বেরিয়ে গেল,সাদনান ড্রাইভ করা শুরু করলো।নুর একমনে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে, নুরের হাঁচি দেওয়া শুরু হয়ে গেছে,মুখটা শুকিয়ে গেছে,সাদনান খুব দ্রুত ড্রাইভ করছে,,,
–
ওরা দেড় ঘন্টায় বাসায় পৌঁছে গেল,সাদনান নেমে নুরকে ডাকলো,দেখে নুর সিটের সাথে মাথা হেলান দিয়ে এভাবেই ঘুমিয়ে গেছে।সাদনান নুরকে কোলে করে নিয়ে বাসায় ঢুকতেই, সাদনানের মা দৌড় আসলো কিছু বলার আগেই সাদনান ইশারা করে চুপ করতে বললো,সাদনান নুরকে শুইয়ে দিল,নুরের খুব জর এসেছে।
–
সাদনান ল্যানলাইন থেকে ডাক্তারকে ফোন দিয়ে তারাতারি আসতে বললো,সাদনানের মা এসে নুরের কপালে হাত দিয়ে দেখে খুব জর,সাদনানের মুখটাও শুকিয়ে গেছে,আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে সাদনানের মা রুমাল ভিজিয়ে নুরের কপালে দিয়ে, সাদনানকে টাওয়াল ভিজিয়ে আনতে বললো,সাদনান টাওয়াল ভিজিয়ে আনতেই, সাদনানের মা নুর হাত, পা, মুখ গলা মুছে দিল যাতে জরটা না কমে,,,।
–
ডাক্তার এসে দেখে নুরের শরীরে টেম্পারেচার ১০২ ডিগ্রি জর,ডাক্তার নুরের জন্য কিছু ওষুধ দিয়ে চলে যাই,আর বলে যাই, রাতে জর বাড়তেও পারে।
সাদনান নুরের হাত ধরে বিছানার উপর বসে আছে,সাদনানের মা ওদের জন্য স্যুপ বানিয়ে আনে,সাদনান খেতে চাইছিলো না ওর মায়ের জোরাজুরি খেয়ে নিল,সাদনের মা সাদনানের দিকে তাকিয়ে নুরকে ডেকে খাইয়ে দিতে বলে চলে গেল।সাদনান নুরের কাছে গিয়ে ওকে ডাকছে,নুর টিপটিপ করে চোখ খুলে,ভ্য ভ্য করে কেঁদে দেই,,আর সাদনান ওর দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে যে নুর কাঁদছে কেন?সাদনান নুরকে জিজ্ঞাসা করছে,,
–
সাদনানঃনুর কি হয়েছে?এভাবে কাদছো কেন?কি সমস্যা হচ্ছে বলো আমাকে,, আচ্ছা তুমি সহজে মুখে কিছু বলো না কেন?
নুরঃবাপিপপপপপপপ, আমি বাপির কাছে যাবো,,
সাদনানঃএভাবে না কেঁদে কি সমস্যা বলো?আমাকে কি তুমি পাগল বানিয়ে ছাড়বে নাকি?আর বাচ্চাদের মত করে এভাবে কাঁদছো কেন?
নুরঃআমার মাথা ব্যাথা করছে খুবববববব
সাদনানঃএটা বলতে কি হচ্ছে তোমার?আচ্ছা স্যুপটা খেয়ে মেডিসিন খেয়ে নাও,আর আমি মাথা টিপে দিচ্ছি,,
–
সাদনান নুরকে খাইয়ে দিয়ে,নুরকে শুইয়ে দেই আর মাথা টিপে দিতে থাকে সাদনান।
চলবে,,,
(রেগুলার গল্প পোস্ট করি, তাও বলো লেইট করে দেই,আমিও তো বিজি থাকি তাই না,গল্প লিখতেও তো মুড লাগে,টাইম লাগে তাই না,, এত কষ্ট করে লিখি তাও তোমরা বকা দাও
,বানান ভুল হলে শুধরে নিও,ফোনে লিখি তাই বানান ভুলে হয়েই থাকে,,সময় নিয়ে ইডিট করতেও পারি না)