মাঝ রাস্তায় হন্তদন্ত হয়ে ছুটে চলেছে একটি মেয়ে। দ্বিগবিদিক শূন্য হয়ে এলোমেলো পা ফেলে দৌড়াচ্ছে।
বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ উল্টে রক্ত পরছে।তবুও থামার নাম নেই তার।নিজের সম্মান হারানোর যন্ত্রণার কাছে এই যন্ত্রনা যেন একেবারেই তুচ্ছ।
হঠাৎ পায়ের তলায় কাঁচ বিঁধে যাওয়ায় হাঁটুতে ভর দিয়ে পড়ে গেল মেয়েটা।সাথেসাথেই “আআহ্”বলে আর্তনাদ করে উঠল।একহাঁটুতে কাঁচ বিঁধে গেছে।ঘাড় ঘুড়িয়ে একবার পেছনে তাকায়।নরপশু গুলা বেশি দূরে না,যেকোন সময় ধরে ফেলবে।সেই অবস্থাই উঠে ছুট লাগায় মেয়েটা।একটু সামনে একজনকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।এটাই শেষ ভরসা,আর বেশিক্ষণ দৌড়াতে পারবেনা সে….
ধ্যানমগ্ন হয়ে ফোনে বেশ জরুরি কথা বলছিল আরিয়ান।হঠাৎই কেউ বুকের উপর ঝাপটে পরায় সামনের মানুষটাকে সহই বেশামালভাবে কয়েককদম পিছিয়ে গেল সে।মেয়েটাকে ধরতে গিয়ে হাতের ফোনটা মাটিতে ছিঁটকে পড়ে গিয়েছে।মেজাজ তখন তুঙ্গে।রাগী কন্ঠে ধমকে বলে উঠলো,
—“এই মেয়ে,কে আপনি?এসব কেমন অসভ্যতা!
জবাবে মেয়েটা তাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাতর কন্ঠে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
—“আমা..আমাকে..বাঁচান…বাঁচান প্লিজ..
মেয়েটার এভাবে জড়িয়ে ধরায় আরিয়ান বিরক্ত হয়।বুকে মাথা গুঁজে রেখেছে তাই চেহারাটাও দেখতে পারছেনা সে।রাগ হলেও যথাসম্ভব শান্ত গলায় বলার চেষ্টা করলো,
—“কার থেকে বাঁচাব?…আর একটা অচেনা পুরুষকে এভাবে জড়িয়ে ধরাটা নিশ্চয় কোন ভালো ঘরের মেয়ের কাজ নয়?
—“ও…ওরা..ওরা…
বলতে বলতেই নিস্তেজ হয়ে গেলো মেয়েটা।হাতের বাঁধন আলগা হয়ে এলো তার।তখনই পাশ থেকে কয়েকজনের দৌড়ে আসার শব্দে চকিতে সেদিকে তাকায় আরিয়ান।তিনজন গুন্ডা টাইপের লোক দেখে মূহুর্তেই বিষয়টা মাথায় খেলে যায় আরিয়ানের।মেয়েটা পরে যেতে নিলেই একহাতে আগলে ধরে আরেকহাতে পকেট থেকে দ্রুত নিজের রিভলবারটা বের করে সে।ওর চেহারা দেখে লোকগুলো পালিয়ে যেতে নিলেই তিনজনের পায়ে পরপর মোট ছয়টা গুলি চালায় সে।একটা গুলিও মিস হয়না।নিমিষেই লোকগুলো লুটিয়ে পরে।রক্তে মাখামাখি হয়ে কাতরাতে থাকে।আরিয়ান তোয়াক্কা করেনা,এসব তার জন্য স্বাভাবিক।রিভলবারটা পকেটে ঢুকিয়ে মেয়েটার দিকে তাকায় ।মেয়েটা সম্পূর্ণ অচেতন।তাকে কোলে তুলে গাড়িতে বসিয়ে বারদুয়েক গালে হাল্কা করে থাপ্পর মারে।কাজ হয়না।মেয়েটার সিটবেল্ট বেঁধে দিয়ে গাড়ির দরজা আটকে রাসতা থেকে ফোনটা তুলে ।ডিসপ্লে ফেটে বন্ধ হয়ে গেছে।
একটা দীর্ঘ:শ্বাস ফেলে আরেকটা ফোন বের করে কাকে যেন কল করে বলে,
—“চার রাস্তার মোড়ে তিনজন আছে।তুই কয়েকজনকে পাঠায় দে।কন্ডিশন বেশি ভালোনা।”
বলেই ফোনটা কেটে দেয় সে।ড্রাইভিং সিটে বসে মেয়েটার দিকে দৃষ্টি দেয়।
অল্পবয়সী মেয়ে,গায়ের রং অতিরিক্ত সাদা,গালে থাপ্পরের লাল দাগ স্পষ্ট,ঠোঁটের কোণায়ও জমাট বাঁধা রক্ত,চুলগুলো এলোমেলো,পরণের কামিজের কাঁধের দিকে বেশ অনেকটা অংশ ছেঁড়া,গলায় আঁচর সাথে হাল্কা একটু রক্তও সেখানে।বোঝাই যাচ্ছে আচরটা বেশ জোরেই দেয়া হয়েছে,মেয়েটার গায়ে ওড়না নেই”।
দৃষ্টি সরিয়ে নিলো আরিয়ান।গলার আঁচরের কারণটাও স্পষ্ট হয়ে উঠলো।নিশচয়ই ওড়না টানাটানির সময় ধসতাধসতির সময়ই সেটা হয়েছে।প্রচন্ড রাগ উঠলো আরিয়ান।চেহারা লাল হয়ে উঠলো।তীব্র বেগে গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো।এটাই তার রাগের বহি:প্রকাশ।হঠাৎ চোখ যায় মেয়েটার পায়ের দিকে।হাঁটুর দিকে সাদা পায়জামা রকতে ভিজে গেছে।হুট করে ব্রেক কষে সে।ছোট একটা শ্বাস নিয়ে আলতো হাতে পায়জামাটা হাঁটুর কিছুটা উপর অবধি উঠিয়ে নেয়।একটা বড় কাঁচের টুকরা বিঁধে আছে।সেখান থেকেই রক্ত গড়াচ্ছে।আরিয়ান চমকে উঠে।এই ক্ষত নিয়ে মেয়েটা দৌড়াচ্ছিল কেমনে?একটানে কাঁচটা বের করে আরিয়ান।মেয়েটার শরীরটা হাল্কা কেঁপে উঠে।গড়গড় করে বেরিয়ে আসে রক্ত।দ্রুত নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে বেঁধে দেয় জায়গাটায়।
চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন ভাবে,একে তো এখন হসপিটালে নেয়া সম্ভব না।ও একটা মেয়েকে নিয়ে হসপিটালে গেঁছে তাও এই অবস্থায়,সাংবাদিকরা নিউজ বানাতে একমিনিটও দেরি করবেনা।কোন নারী জড়িত ঘটনায় সে একদমই জড়াতে চায়না।দীর্ঘ শ্বাস ফেলে গাড়ি স্টার্ট দেয় আরিয়ান।
গাড়ি নিয়ে সোজা নিজের বাংলোতে ঢুকে যায় আরিয়ান।বের হয়ে মেয়েটাকে পাঁজাকোলা করে কোলে তুলে নেয়।সে ভিতরে ঢুকতেই সব সার্ভেনটরা মাথা নিচু করে দাঁড়ায়।কেউ কেউ কৌতুহল দমাতে না পেরে বিস্ফোরিত নয়নে চেয়ে থাকে।আরিয়ানের কোলে মেয়ে!তাদের যেনো বিশ্বাসই হচ্ছেনা।
আরিয়ান গটগট করে নিজের রুমে চলে যায়।বিছানায় মেয়েটাকে শুইয়ে দিচ্ছিলো তখনই তাড়াহুড়ো করে রুমে ঢোকে তন্ময়।চিৎকার করে বলে,
—“ভাই আপনি নাকি কোন মেয়েকে নিয়ে আসছেন?”
আরিয়ানের কানে তালা লেগে যায়।রাগী গলায় বলে,
—“এতো জোরে চিল্লানোর কি আছে?”
তন্ময় নিজেকে সামলে নেয়।একটু এগিয়ে এসে মেয়েটাকে একনজর দেখে বলে,
—“কি হয়েছে উনার?মরে গেছে?”
আরিয়ান মেয়েটার গলা অবধি চাদর টেনে দেয়।তন্ময়কে পাশ কাটিয়ে আয়নার সামনে যেয়ে হাতঘড়িটা খুলতে খুলতে বলে,
—“গাধাদের মতো কথা বলিস কেনো?ম…
আরিয়ানকে থামিয়ে দিয়ে তন্ময় বলে,
—“গাধাতো কথা বলতে পারে না “।
—“তন্ময়!!”শাট আপ…মেয়েটা মরে গেলে কি আমি নিয়ে আসতাম?অজ্ঞান হয়ে গেছে।তুই কোন ফিমেল ডক্টরের ব্যবস্থা কর।সি নিড ট্রি টমেন্ট।
তন্ময় বুঝে ব্যাপারটা গম্ভীর।তাই নিজেও সিরিয়াস হয়ে বলে,
—“আচ্ছা আমি দেখি “।
—“শোন?”
তন্ময় থেমে যায়।ঘুরে বলে,
-“জি বলেন।”
আরিয়ান একটু ইতস্তত করে বলে,
—“মার্কেট থেকে মেয়েদের একটা জুতা আর..একটা ওড়না নিয়ে আসিসতো।”
—“আচ্ছা ভাই”।
তন্ময় বেরিয়ে গেলে আরিয়ান দরজা আটকে দেয়।তার বাসায় কোন ফিমেল সার্ভেনট নেই।পাশের টেবিল থেকে পানি নিয়ে মেয়েটার মুখে ছিঁটায়।কোন হেলদোল নেই।গায়ের চাদরটা সরিয়ে তার পায়ের কাছে বসে আরিয়ান।উদ্দেশ্য হাঁটুর রুমালটা খুলে দেয়া।তখনই নজরে আসে মেয়েটার পায়ের নখ উল্টে গেছে,তলায় কাঁচও বিঁধেছে।কিছুক্ষন সেদিকে তাকিয়ে পা টা নিজের কোলের উপর তুলে আরিয়ান।কাঁচটা বের করে রক্তগুলো হাত দিয়ে মুছে দেয়।
যতক্ষন জ্ঞান না ফিরছে ততক্ষন মেয়েটার ঠি কানাও জানা যাবেনা যে বাসায় পৌছে দিবে।জামাকাপড় দেখে বোঝা যাচ্ছে সে কোন সম্রান্ত পরিবারের মেয়ে।দরজায় টোঁকা পরতেই যেয়ে দরজাটা খুলে দেয় ।একজন মহিলা ডক্টর দাড়িয়ে আছে সাথে তন্ময়।
—“আসুন,ভেতরে আসুন”।
মহিলা ভেতরে যায়।বোঝাই যাচ্ছে সে খুব ভয়ে আছে।আরিয়ান শান্ত কন্ঠে বলে,
—“মেয়েটার জ্ঞান ফিরছেনা।শরীরে ক্ষতও আছে।”
উনি পালস্ চেক করে ভীত কন্ঠে বলে,
—“আপনি যদি একটু বাহিরে যেতেন..”
—“ইয়াহ্ শিওর”।
রুম থেকে বেরিয়ে আসে আরিয়ান।তন্ময় তার হাতে দুটো প্যাকেট ধরিয়ে দেয়।একবার দেখে হাতে নেয় সেগুলো।
—“রাশেদের ওই লোকের কি খবর?বের করতে পারলি কিছু?”
—“কালকে বেদম মাইর খাইছে ভাই।তবুও মুখ থেকে কিছু বের করতে পারিনাই…আপনাকে ছাড়া সম্ভব না”
আরিয়ান চুলে হাত চালাতে চালাতে বলে,
—“বলতে তো ওকে হবেই।আরিয়ান খানের কাছে গুপ্তচর হিসেবে এসেছে ওর সাহসটা দেখতে হবেনা”।
—“এই রাশেদ চৌধুরি অনেক ত্যাড়া মাল ভাই”।
আরিয়ান কিছু বলেনা।হিংস্রভাব ফুটে উঠছে তার চোখে মুখে।প্রতিশোধ নেয়ার ভয়াবহ হিংস্রতা।
কিছুক্ষন পর ডকটর বেরিয়ে আসে।আরিয়ানকে উদ্দেশ্য করে রোবটের মতো বলে,
—“প্যানিক আ্যটাক সাথে ব্যাথায় জ্ঞান হারিয়েছে উনি।হার্ট রেট খুব ফাস্ট চলছে।কোনকারণে হয়তো প্রচন্ড ভয় পেয়েছেন।ব্যাথার ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।ড্রেসিংও করে দিয়েছি।তিন-চার ঘন্টার মধ্য জ্ঞান ফিরবে।এখন রেস্ট নিক।শরীর খুব দূর্বল।কিছু হেলদি ফুড খাইয়ে দিয়েন।আর হ্যাঁ,উনার হাঁটুর ইনজুরিটা বেশ গভীর।সেরে ওঠা পর্যন্ত না হাঁটানোই ভালো।
আরিয়ান একসাথে এতগুলা কথা শুনে হচকচিয়ে যায়।পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
—“এতরাতে কষ্ট করে এসেছেন।আপনাকে নিরাপদভাবে বাড়িতে পৌছে দেয়া হবে।তবে হ্যাঁ,এসব কথা এখানেই ভুলে যান আপনি।”
—“জি জি আমি জানি”।
তন্ময়কে ইশারা করে রুমে ঢুকে যায় আরিয়ান।মেয়েটার বালিশের পাশে ওড়না আর জুতার প্যাকেটটা রেখে দেয়।
শার্টে এখনো রক্ত লেগে আছে।কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় সে।একঘন্টার মতো শাওয়ার নিয়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বেরিয়ে আসে।বিছানায় একবার চোখ বুলিয়ে নেয়।মেয়েটা কি একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে আজকে!!রক্তের খেলার সেরা খেলোয়ার সে তবুও আজ মেয়েটার রক্ত দেখে একটু হলেও ঘাবড়ে গিয়েছিলো।
রুমের লাইটটা অফ করে দিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়ায় আরিয়ান।হাতে জলন্ত সিগারেট।আকাশের দিকে তাকিয়ে একরাশ ধোঁয়া উড়িয়ে রুমে ঢুকে।সাধারণত এইসময় সে ড্রিংক করে তারপর কোন একসময় নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুমিয়ে যায়।ঘুমের ওষুধে কাজ হয়না তার।শেষ কবে সাধারন ভাবে সে ঘুমিয়েছিল মনে পরে না।
ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসে আরিয়ান।অন করে কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে।আজ ড্রিংক করবেনা।রুমে যথেষ্ট সুন্দরী,আবেদনময়ী একটা মেয়ে আছে।নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ভুল কিছু হয়ে যাওয়া খুবই জেনারেল ব্যাপার।তবে নরমালি তার নিজের উপর যথেষ্ট কনট্রোল আছে।অন্তত এই ব্যাপারে তো অবশ্যই।
রাত প্রায় সাড়ে তিনটা…
আধো আধোভাবে চোখ মেললো মায়া।আশেপাশে তাকিয়ে কিছুই বুঝলোনা।সব অন্ধকার।তাহলে কি ওই লোকটা তাকে বাঁচায়নি?গায়ের চাদর সরিয়ে উঠে বসছিলো তখনই রুমের আলো জ্বলে উঠলো।চমকে গেল ও।আলোটা চোখে সয়ে আসতেই পিটপিট করে তাকালো।
আরিয়ান দ্রুত এগিয়ে আসে।মায়া ভয়ে সিটিয়ে যায়।আরিয়ান মায়ার ভীত চেহারার দিকে তাকিয়ে বিচলিত হয়ে পড়ে।কি দিয়ে কথা শুরু করবে ভেবে পায়না।এতটা সময় সে মানুষ মারার আগেও নেয়না।
মায়া মাথা নিচু করে আছে।আরিয়ান নরম গলায় বলে,
—‘ভয় পেয়ো না।ইউ আর সেইফ নাও।’
মায়া একনজর আরিয়ানের দিকে তাকায়।আবারো মাথা নিচু করে ফেলে।লোকটার কন্ঠটাই কেমন যেন গম্ভীর।সে কাঁপা গলায় বলে,
—‘আ..আমি..এখন..কোথায়?
—“ইউ ডোন্ট নো মি?আমাকে চেনোনা?
মায়া দুইপাশে মাথা নাড়ায়।অর্থ্যাৎ সে চেনেনা।
আরিয়ান অবাক হয়।মেয়েটার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে।মনে হচ্ছেনা,সে মজা করছে বা মিথ্যা বলছে।অবশ্য এইসময় সে এগুলা করবেই বা কেন?পরক্ষনেই ভাবে,হতেই পারে মেয়েটা তাকে চিনেনা।ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বলে,
—‘তুমি এখন আমার বাসায় আছো।এটা আমার বেডরুম।’
মায়া চট করে তাকায়।আরিয়ান দ্রুত বলে,
—‘Don’t take it wrong.আমি সেরকম নই।কাম ডাউন।আই প্রমিস,সকালে তোমাকে সেইফলি বাসায় পৌছে দিব।ডোন্ট ওয়ারি।’
মায়া একটু আশ্বস্ত হয়।ক্ষীন গলায় মিষ্টি স্বরে বলে,
—‘অনেক ধন্যবাদ আপনাকে’।
—‘তুমি অনেকটা দূর্বল।আমি খাবার আনিয়ে দিচ্ছি।’
মায়া মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।আরিয়ান বেরিয়ে যায়।মায়া নিজের অজান্তেই একটু হাসে।মনে মনে বলে,
উনি কত ভালো।অথচ ওই লোকগুলো?ভাবতেই শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে!এই লোকটাকে না পেলে আজকে নির্ঘাত মারা যেতাম আমি’।
তবে চিন্তায় পরে যায়।সে তার বাসার ঠি কানা লোকটাকে কিভাবে বলবে?লোকটা যদি তার পরিচয় শুনে সুযোগের সদব্যবহার করে।যদিও মনে হচ্ছেনা সে ওমন।আপাতত তার খুব খুদা লেগেছে।তাই এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললো।
এতগুলা খাবার খেয়ে এখন বেশ ভালো লাগছে মায়ার।ঘুম ঘুম পাচ্ছে আবারও।
দরজা আটকে তার একদম সামনাসামনি বসে আরিয়ান।আনমনেই তার হাত চলে যায় মেয়েটার ঠোঁটের পাশে।একটা আঙ্গুল দিয়ে লেগে থাকা পানিটা মুছে দেয়।মায়া হকচকিয়ে যায়।কিছু বলতে নিলেই আরিয়ান স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে,
—‘পানি লেগে ছিলো।…তো বলো,নাম কি তোমার?’
মায়া একটু আমতা আমতা করে বলে,
—‘মায়া..মায়া চৌধুরি।’
—‘কোথায় থাকো?আই মিন বাসা কোথায়?মা-বাবার নাম কি?’
মায়া কিছুটা সময় নেয়।তারপর একটু জড়তা নিয়ে বলে,
—‘আমার বাবা রাশেদ চৌধুরি…মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরি।
~চলবে..?
#আঁধার_ভিড়ে_সন্ধ্যাতারা❤️
#লেখিকা-মালিহা_খান❤️
#পর্ব-১