#A_Destination_Wedding
#Part_4
#Writer_Airin_Boshunia(Rose Queen)
সেদিনের পর কেটে গেছে আরো ৫দিন।এরমধ্যেই আমার সাথে আদিয়াতের বেশ ভালো ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেছে।আয়াজের সাথেও আমাদের সবার নিয়মিত কথা হয় আমাদের এফবি গ্রুপে।এছাড়া এই কয়েকদিনে আমরা সবাই ঐশির সাথে দেখা করেছি,খেয়াল রেখেছি।এরপর আজ ৫দিন পর আমরা সবাই মিলে ভার্সিটিতে এসে ক্যান্টিনে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছি।একটুপরই আমাদের ক্লাসে যেতে হবে।আজ নাকি নিউ প্রফেসর আসবে।
ঐশি:এই চল চল,,,ক্লাসে যাই আমরা।ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে তো।
সাদাফ:হুম,,,চল আমরা এইবার ক্লাসে যাই।
আমরা সবাই উঠে ক্লাসরুমের সামনে এসেই আমরা সবাই হা হয়ে গেলাম।কারণ,,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ক্লাসে ঐ মি.অন্ধ দাড়িয়ে আছে।প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের দেখেই ক্লাসে আসতে বললেন।আমরা সবাই ক্লাসে যেতেই স্যার আমাদের সবার উদ্দেশ্যে বলা শুরু করলেন,,,,,,
স্যার:ডিয়ার স্টুডেন্টস,,,,ইনি হচ্ছে মি.নিহান আহমেদ আরুশ।তোমাদের ম্যাথ টিচারের ফ্রেন্ডের ছেলে আরুশ।উনি কিছুদিন যাবত অসুস্থ থাকায় তোমাদের ম্যাথ ক্লাস নিবে আরুশ।এইবার তোমরা সবাই বসতে পারো।
এই কথা বলেই প্রিন্সিপাল স্যার চলে গেলেন।তারপর মি.অন্ধ মানে ঐ আরুশ স্যার বলতে লাগলেন,,,,,,,,
আরুশ: হেই স্টুডেন্টস,,,তোমরা তো শুনলেই যে আমি তোমাদের ম্যাথ টিচারের পরিবর্তে এসেছি।আমি মুলত একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং আমার নিজস্ব একটি কোম্পানি রয়েছে।যার নাম “আরুশা’স ওয়ার্ল্ড”। আশা করি তোমরা সবাই এই নামটার সাথে পরিচিত।তো এইবার তোমরা সবাই নিজেদের পরিচয় দাও,,,,,
এরপর একে একে সবাই নিজেদের পরিচয় দিতে লাগলো।এক সময় আমার পরিচয় দেওয়ার সময় আসলে স্যার আমাকে দাড়াতে বললেন।আমিও দাড়িয়ে নিজের নাম বলে দিলাম।কিন্তু কথা হচ্ছে স্যার আমার দিকে কেমন জানি বাঁকা হেসে তাকালেন।এর মানেটা আমি বুঝলাম নাহ।আচ্ছা সে যাইহোক,,,এটা নিয়ে এতো না ভেবে আমি ক্লাস করায় মনোযোগ দিলাম।
ক্লাস শেষে আমরা সবাই মাঠে গিয়ে বসলাম।এর মধ্যেই আমাদের আরেকটা ফ্রেন্ড আহিয়া এসে হাজির।ওর ডিপার্টমেন্ট আলাদা হওয়ায় ওর সাথে আমাদের দেখা একটু কমই হয়।তবে এই কয়েকদিন ওও ওর নানু বাড়িতে ছিল।তাই ঐশির অ্যাকসিডেন্টের ব্যাপারে ওকে আমরা কিছু বলিনি।কারণ অযথায় টেনশন করতো।
তো আমরা সবাই আড্ডা দিয়ে উঠে পরলাম বাসায় যাওয়ার জন্য।কিন্তু আমার কপাল এতোটায় খারাপ যে আমি পা স্লিপ করে পরলাম তো পরলাম ডিরেক্ট আরুশ স্যারের উপর।ব্যাপারটা এতো দ্রুত ঘটেছে যে আমি লজ্জায় যেন একদম মাটির সাথে মিশে যাচ্ছি।আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে স্যারকে স্যরি বলে দিলাম এক দৌড়।এক দৌড়ে পার্কিং লটে এসে হাপাচ্ছি আমি।ইসসসসসসসস,,,কি লজ্জা কি লজ্জা।কয়েকদিনের জন্য হলেও তো উনি আমাদের স্যার।বাট এইভাবে যে একটা ব্লান্ডার হবে তা কি আর আমি জানতাম।
ইভা:আরে তুই এভাবে দৌড়ে আসলি কেন।এইটা তো মিসটেক।এতে তো তোর কোনো দোষ নেই।
ঝিনুক:হুম,,,তাই তো।তুই এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেন,,,আজব।
সাদাফ:দেখ,,,,আর এতো লজ্জা পাস নাহ তো,,,তার থেকে বরং চল আজকে আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চ করে আসি।
আয়মান:হ্যা চল চল।
ওদের সবার কথায় সাই দিয়ে আমিও হ্যা বলে দিলাম।
আমরা “গ্রিন ক্যাফে” তে গেলাম।কারণ,এইটা আমাদের খুব ফেবারিট একটা আড্ডা দেওয়ার জায়গা।আর এখানকার খাবার,সার্ভিস সবই অনেক উন্নত মানের।যার জন্য আমরা প্রায়ই এখানে আসি।
সাদাফ:এই তোরা এখানেই বসে আড্ডে দে।আর আমি সবার জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে আসি।
আমি:আচ্ছা যা।আর আজ আমার জন্য বিরিয়ানি আনবি কেমন।
ঐশি:আজ সবার জন্যই বিরিয়ানি অর্ডার কর যা।
আমি:এই তোরা কথা বল,,,আমি একটু ওয়াসরুম থেকে আসছি।
এই বলে আমি ওয়াসরুমে গিয়ে হাতে-মুখে পানি দিয়ে নিলাম।আজ কেমন জানি লাগছে যেন আমার সাথে আজ কিছু একটা হবে।কিন্তু কি হবে??আমার জন্য কোনো খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে নাহ তো?
এইসব ভাবতে ভাবতেই আমি ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে ওদের সবার সাথে যোগ দিলাম।খাওয়া-দাওয়ার এক পর্যায়ে আরিয়ান বলে উঠলো যে ওর তো আর কিছু পর জন্মদিন।তাই ওও আমাদের সবাইকে নিয়ে ওদের ফার্ম হাউজে যাবে।সেখানে নাকি কি এক সারপ্রাইজ আছে আমাদের জন্য।
আমি:কিরে,,,জন্মদিন তোর আর সারপ্রাইজ আমাদের জন্য?ব্যাপার কি?
আরিয়ান:সেটা তো সেদিনই বুঝতে পারবি।এখন আর এই বিষয়ে কিছু ভাবিস নাহ,,,,ওকেই
আমি:হুম।
আমাদের কথা বলার মাঝেই আদিয়াত আমাকে কল দিল।হঠাৎ এই সময় কল কেন দিলো?
সাদাফ:কে কল দিছে?রিসিভ কর।
আমি:আদিয়াত কল দিয়েছে।(ওরা সবাই যানে আমার আর আদিয়াতের ফ্রেন্ডশিপের ব্যাপারে)
আয়মান:হ্যা তো কলটা রিসিভ কর।
আমি:হুম।এই বলে আমি কল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে আদিয়াত আমাকে বললো যে আমি এখন কোথায় আছি।
তো আমিও বলে দিলাম যে আমি এখন কোথায়।আদিয়াত বললো ওও নিজেও নাকি এইদিকেই আছে।তাই আমার সাথে মিট করতে চায়।আমিও বললাম যে তাহলে চলে এসো।
আমি:আজ হঠাৎ কি হলো যে মিট করতে চাচ্ছে?
আয়মান:সেটা তো আদিয়াত ভাইয়া আসলেই বোঝা যাবে।
আমি:হুম
কিছুক্ষণ পর আদিয়াত আসলো।ওর চোখ মুখ কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে আছে।আগে তো কখনো ওকে এতোটা বিষন্ন হতে দেখিনি তাহলে আজ কি এমন হয়েছে যে ওকে এতোটা বিষন্ন মনে হচ্ছে?(মনে মনে ভাবছি)
আমি:কি হয়েছে আদিয়াত ব্রো?তোমাকে এমন বিষন্ন কেন লাগছে?কি হয়েছে তোমার?
আদিয়াত:আয়রা,,,তোমাকে আমি কতোবার বারণ করেছি যে আমাকে ভাই বলে ডাকবে নাহ(রেগে)
আমি:আরে আজব,,,তুমি তো আমার সিনিয়র।তো ভাই বললে সমস্যা কোথায়?
আদিয়াত:সমস্যা আছে।আর আজ আমি তোমাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলতে চাই।
আমি:হ্যা,,,তো বলো।
আমাদের দুইজনের কথোপকথন খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে সবাই।আর আমি শিওর যে ওরাও আমার মতোই কৌতুহলি হয়ে আছে যে আদিয়াত আমাকে কি এমন বলতে চাই,,,,,,
তো আদিয়াত এরপর যা বললো তার জন্য আমি বা আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম নাহ…….
#A_Destination_Wedding
#Part_5
#Writer_Airin_Boshunia(Rose Queen)
আদিয়াত সবার সামনে আমার হাত ধরে বলতে শুরু করলো,,,,,,,
আদিয়াত:আমি এখন যা বলবো সব আমার মনের কথা।আমি জানিনা তুমি আমার কথাগুলো আদৌ বিশ্বাস করবে কিনা তবে এই কথাগুলো সবই সত্যি।
আমি আজ থেকে তিন মাস আগে এই “গ্রিন ক্যাফে” তেই প্রথম দেখি তোমাকে।সেদিন তোমার ঐ মায়াবী চোখ আর ঠোঁটের কোণের মিষ্টি হাসিটাই আমাকে মুহূর্তের মধ্যে ঘায়েল করে নিয়েছিলো।আমি সেদিন এখান থেকে যাওয়ার পর থেকেই শুধু তোমার ভাবনাতেই বিভোর ছিলাম।এরপর থেকে আমি প্রায়ই আসতাম এইখানে শুধুমাত্র তোমাকে যদি দেখতে পাই এই আশায়।আর আমার ইচ্ছা পূরণও হয়েছিলো।কিন্তু তুমি সবসময় মুখে হয় মাস্ক নয়তো হিজাব বেধে থাকতে।তাই তোমাকে আমি পুরোপুরি কখনোই দেখিনি।এরপর একদিন হঠাৎই আমি যখন আমার আইডি স্ক্রোল করছিলাম তখন তোমার আইডি পাই।তোমার আইডি চিনতে আমার সমস্যা হয়নি।কারণ,,,তোমার প্রোফাইল পিকচার এ তোমার চোখের পিক দেওয়া ছিলো।এরপর থেকেই শুরু হয় তোমার সাথে আমার কথা বলা।বাকি টুকু তো তুমি সম্পূর্ণটাই যানো।
আর আমার এই বিষন্ন মনের একমাত্র কারণ আমার বিয়ে।হ্যা,,,আমার বিয়ে আমার ফ্যামিলি আমার চাচাতো বোন জেসির সাথে ঠিক করে রেখেছে।আর আগামী মাসের ২৪ তারিখ ওর সাথে আমার এনগেজমেন্ট।কিন্তু আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি আয়রা।প্লিজ তুমি শুধু একবার হ্যা বলো।তারপর আমার ফ্যামিলিকে যে করেই হোক মানানোর দায়িত্ব আমার।কিন্তু তোমাকে ছাড়া অন্য কাওকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আর যদিও আমি জেসিকে বিয়ে করেও নিই,,,আমি ওকে ভালোবাসতে পারবো না।আমার সবটুকু ভালোবাসা শুধুই তোমার জন্য।এখন তুমিই বলো,,,কি করবে তুমি???
আমি আদিয়াতের কথা শুনে অবাক হয়নি।বরং চিন্তায় পরে গেলাম।কারণ,,,আমি জানতাম যে আদিয়াত আমার প্রতি উইক।কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি যে ওও আমাকে এমন একটা প্রপোজাল দিবে তা ভাবিনি আমি।এখন আমি কি করবো???
এই ভেবেই আমি ওদের সবার দিকে তাকালাম।ওরা সবাই চোখগুলো রসগোল্লার মতো করে রাখবে এইটা আমি ভাবলেও ওরা সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।ওরা আমাকে চোখের ইশারায় কিছু একটা বললো।আমি সেইটা বুঝতে পেরে আদিয়াতকে বললাম যে আমার আজকের রাতটুকু সময় চাই।তো আদিয়াত নিজেও আমাকে বলে তোমার সময় লাগবে তো লাগুক।কিন্তু আমার উত্তর যেন হ্যা হয়।এই আশাতেই রইলাম।এই বলেই আদিয়াত চলে গেলো।
ঐশি:কিরে আয়রু,,,,আমি যেইটা বলেছিলাম সেইটায় হলো তো,,,এইবার বল আমাকে কি ট্রিট দিবি?
আমি:আরে হারামি,,,রাখ তোর ট্রিট।আমি এখন কি করবো সেইটায় তো বুঝতে পারছি নাহ।কি করবো আমি বলে দে তোরা।
আরিয়ান:কি আর করবি,,,রিজেক্ট করবি।(চোখগুলো লাল হয়ে আছে)
আমরা সবাই আরিয়ানের কথা শুনে হা করে ওর দিকে তাকালাম।কারণ,আরিয়ান বেশ শান্ত স্বভাবের আর মিশুক একটা ছেলে।ওকে আমরা অনেক কিছু বলেও রাগাতে পারি না।সেখানে আজ ওর কি হলো যে ওও এতোটা রেগে আছে যাতে ওর চোখগুলো পর্যন্ত লাল হয়ে আছে।
আমি:এই আরশোলা,,কি হয়ছে তোর?তুই এতো রেগে আছিস কেন?
আরিয়ান আর কোনো কিছু না বলেই হনহন করে চলে গেলো।
সাদাফ:কিরে,,,এর আবার কি হলো।যে ছেলেটা এতো শান্ত হয়ে থাকে সেই ছেলেটায় আজ টর্নেডোর মতো করে চলে গেলো।ব্যাপার কি?
ঝিনুক:আমিও তো সেইটায় ভাবছি।(গালে হাত দিয়ে)
আয়মান:বাই এনি চান্স আরিয়ান আয়রাকে পছন্দ করে না তো?(আমাদের সবার দিকে তাকিয়ে)
আমরা সবাই ওর এই কথাতে চিল্লিয়ে উঠলাম,,,,ওয়াটটটটটটটটটটট
আমি:এই তোর মাথা কি গেছে?ওও আমার খুব ভালো বন্ধু।আর ওও যদি আমাকে পছন্দ করতো তাহলে আমি নিশ্চয় সেইটা বুঝতে পারতাম,,তাইনা?
ইভা:হুম,,সেটায় তো।
আমি:আচ্ছা ওর ব্যাপারে পরে ভাববো।তার আগে তোরা আমাকে এইটা বল যে আমি আদিয়াতকে কি বলবো?
ঐশি:আগে এইটা বল যে তুই কি আদিয়াত ব্রো কে পছন্দ করিস?
আমি:আমি এইটা তো বলতে পারবো না যে ওকে আমি ভালোবাসি কিনা।তবে হ্যা,ওকে আমার ভালো লাগে।এই প্রথম কোনো ছেলের কথায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।ওও এতো সুন্দর করে কথা বলে যে ওকে আমার বেশ ভালো লাগে।
সাদাফ:ওরে বাব্বাহ,তুই তো দেখি ডুবে ডুবে অনেকখানি পানি গিলে ফেলেছিস(টিটকারি করে)
আমি একটা চামচ নিয়ে ওর মাথায় বারি দিয়ে বললাম,,,
আমি:শালা শয়তান,একদম ফালতু কথা বলবি নাহ।নয়তো তোকে খুন করে ফেলুম,,,হুহহহহহহ
ঝিনুক:এই না না,,ওর কিছু হলে আমি কি করে থাকবো?
ঝিনুকের কথা শুনে আমরা সবাই ওর দিকে সরু চোখে তাকালাম।আর বেচারা সাদাফ তো বিষম খেয়ে গেছে।
ঝিনুক:এই রেহ,,মুখ ফসকে কি বলে ফেললাম(মনে মনে)
ঝিনুক:না মানে আমাদেররর,মানে আমি বলতে চাইছিলাম যে ওর কিছু হলে আমরা তো একটা অনেক ভালো ফ্রেন্ড হারিয়ে ফেলবো তাইনা।সে,,সেটায় বলছিলাম আরকি(মেকি হাসি ঝুলিয়ে)
আমরা এখনো ওর দিকে সরু চোখে তাকিয়ে আছি।তখনই আমি বলে উঠলাম,,,
আমি:শুধু কি তাই?(ভ্রু নাচিয়ে)
ঝিনুক:হ্যা মানে এছাড়া আর কি হবে?(থতমত খেয়ে)
ইভা:আচ্ছা আমি একটা কথা বলি,,বাকি সব কথা পরে হবে।আগে আমরা আয়রা আর আদিয়াত ভাইয়ার ব্যাপারটা সলভ্ করি।
আয়মান:হ্যা সেইটায় ভালো হবে।
আমি:কি করবো এখন?ফ্যামিলিরও ওও তো একটা ব্যাপার আছে।
সাদাফ:আমি বলি কি তুই যদি ওকে পছন্দ করেই থাকিস তো আমি বলবো হ্যা বলে দে।করণ ভালোবাসা কিন্তু একেবারে নয় বরং ভালোলাগা থেকেই শুরু হয়।আর আদিয়াত ভাইয়াকে বলবি যেন সে তার ফ্যামিলিকে মানিয়ে তোর ফ্যামিলিতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়।
ঐশি:আমি সাদাফের সাথে একমত।
ঝিনুক:আমিও একমত।
আয়মান,ইভা:আমিও(একসাথে)
আমি:তার মানে তোরা সবাই সাদাফের সাথে একমত,তাই তো?
সবাই:হুম
আমি:ওকে,,আমারো মনে হয় সাদাফ ঠিকই বলছে।তাই কালকে ওকে আমি হ্যা বলে দিবো।
আয়মান:তাহলে আমাদের “হিটলার কুইন” এর বিয়ে হচ্ছে এইবার(হেসে)
আমি:ধুররর,,,আগে দেখ তো যে আমাদের দুইজনের ফ্যামিলি মেম্বাররা রাজি হবে কিনা(চিন্তিত স্বরে)
ঐশি:আরে চিল ইয়ারররর,,,কিছুই হবে না।সবাই রাজি হবে দেখে নিস।
ঝিনুক:দরকার হলে আমরা সবাইকে রাজি করাবো।
ইভা:আমরা আছি কি করতে,,,সো চিলললল কর তুই
আমি:হুম,সব যেন ভালোই ভালোই মিটে যায়।
সাদাফ:এখন চল আমরা বাসায় যায়।আজ তো আমরা কাউকে বলে আসিনি।আমাদের আম্মুরা টেনশন করবে বেশি দেরি হলে।
আমি:হুম,চল।
এই বলেই আমরা বের হয়ে আসলাম।তারপর যে যার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।
কিন্তু আমার কেমন জানি ভয় লাগছে।মনে হচ্ছে সামনে আমার জন্য আরো বড় কোনো ধামাকা অপেক্ষা করছে।কিন্তু কি হতে পারে সেই ধামাকা???
চলবে?????
চলবে?????
(