#অনুভূতির_সুপ্ত_কোণে🍂
#কায়ানাত_আফরিন (মাইশা)
পর্ব: ১৭
.
সময়টা এখন সন্ধ্যা। আদ্রাফের কোলে বসে তার বুকে মাথা রেখে মেহের গুটিশুটি মেরে বসে আছে। শার্টের উপরের দুটি বোতাম খুলে বুকে আকিবুকি করতে মগ্ন। আর আদ্রাফ? বরাবরের মতোই উপভোগ করে যাচ্ছে প্রকৃতি তার মেহুর সাথে। যদিও মেহের দৃষ্টিপাত এখন সেদিকে নেই। সে তো আনমনে নিজের আঙ্গুল দিয়ে আদ্রাফের বুকে আকিবুকি করতে মগ্ন।
.
—-আদ্রাফ ? Next time থেকে তোমার জন্য গ্রে শার্ট পড়া নিষিদ্ধ। আর যেকোনো শার্টই পড়ো না কেন ; ভুলেও হাতা গুটিয়ে রাখবে না।
.
—-কেন?
.
—–উহ ! এমন ভাব করছে যেন কিছুই বুঝে না। এই ? তুমি জানোনা তোমাকে গ্রে শার্ট পড়লে একেবারে চার্মিং বয় মনে হয় ? আর হাতা গুটিয়ে রাখলে তো উফফফ! এ ব্যাপারে আর নাহয় নাই বললাম। আর ওই শয়তান বদমাইশ অসভ্য মেয়েগুলার কত্ত বড় সাহস ! এই মেহেরের জামাইয়ের দিকে নজর দেয়?
.
আদ্রাফ নির্বিকার। মেহেরের কথা শুনে মিটমিটিয়ে হেসে ওঠে সে। মেহের এবার ক্রুব্ধ হয়ে বলে ওঠে……….
.
——আমার কথা শুনে তোমার হাসি পাচ্ছে তাই না?তার মানে ওই শয়তান বদমাইশ অসভ্য মেয়েগুলা তোমায় চোখ দিয়ে গিলে ফেলেছিলো ওইটা ভালোলেগেছে? তাহলে থাকো তোমার হাসি নিয়ে। আমি গেলাম।
.
একথা বলে মেহের রেগে গজগজ করে উঠতে নিলে আদ্রাফ খুব কৌশলের সাথে মেহেরের কোমড় পেচিয়ে নিজর সাথে মিশিয়ে নেয়। মেহের সাথে সাথেই যেন ফ্রীজড হয়ে গিয়েছে। কেননা আদ্রাফ খুব গভীরভাবেই মেহেরের গলায় ডুবিয়ে রেখেছে নিজের ওষ্ঠ্যদ্বয়। মেহের এবার যেন হ্যাং হয়ে আছে। তার এতক্ষণের পুষিয়ে রাখা তেজ নিমিষেই পানি হয়ে গেল তাও আবার লাজরাঙা রঙে। আবেশে নিজের চোখ বুজে ফেলে খুব জোড়ালোভাবে আকড়ে ধরে নিজের পরনে কূর্তিটি। আদ্রাফের সেদিকে ধ্যান নেই। তার একহাত মেহেরের কোমড়ে আর আরেক হাত বিচরণ করে চলছে মেহেরের পেটের কাছে। মেহেরের তেজি কন্ঠ অনেকটাই এতে নুইয়ে পড়ে। মিহি কন্ঠে আদ্রাফের টিশার্ট খামচে ধরে বলে ওঠে…………
.
——-আ……আদ্রঅফ ? কককি করছো?
.
আদ্রাফ যেন মেহেরের প্রশ্নটি খেয়াল করেনি। মেহেরের গলায় নিজের স্পর্শ দিতে দিতে ধীরে ধীরে উপরে উঠে এগিয়ে আসে ওর অধরের কাছে। মেহেরের নিঃশ্বাস এবার ভারী হয়ে এসেছে। বুকে চলছে উথাল-পাতাল ঝড়। আদ্রাফের প্রতিটা মূভমেন্টই তাকে দুর্বল করে দেয় সেদিকে আদ্রাফের হুট করে কাছে আসাটাই যেন মেহেরের মাথা ঘুরপাক বাধিয়ে দিতে। তারও মন চাচ্ছে আদ্রাফকে নিজের সবটা উজাড় করে ভালোবাসতে।
.
আদ্রাফ এবার ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে………..
.
——আমার থেকে দূরে যাওয়ার কথা বললে একেবারে বেধে রাখবো নিজের সাথে। আর আমার সবটাজুড়েই শুধুমাত্র তুমি। তাহলে অন্যমেয়ে যদি আমায় চোখ দিয়ে গিলেও ফেলে তাহলে কি তোমার জায়গা নিতে পারবে?আর তোমার মনে আমার পার্মানেন্ট জায়গা করার জন্য এতটুকু আদরের তো প্রয়োজনই ছিলো। আদ্রাফ শুধু মেহেরের আর মেহের শুধু আদ্রাফের। বুঝেছো?
.
আদ্রাফের ফিসফিসিয়ে বলে ওঠা শেষের কথাটুকু যেন মেহেরের বুকে একেবারেই গেঁথে গিয়েছে। এই ছেলেটার কথায় অন্যরকম একটা নেশা বা মাদকতা আছে যা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায় না। মেহেরও তা পারছে না।
——এখন নিচে চলো মেহু। তোমাকে এখন হালকা কিছু খেয়ে ওষুধ খেতে হবে।
.
——না খেলে হবে না?
.
আদ্রাফের বুকে আবার মাথা রেখে আদুরে গলায় মেহের আদ্রাফকে প্রশ্ন করে।
.
—– উহু ! মোটেও কিন্ত না । ভুলে গিয়েছো তুমি আমার শর্ত?
.
আদ্রাফ চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই মেহের চোখ ছোট ছোট করে নেয়। এখন যতই আদুরে গলায় কথা বলুক না কেন ; এই ছেলে সহজে গলবে না।
.
.
.
.
—————
মোটামোটি সন্ধ্যা পার হয়ে এখন চারিদিকে অন্ধকারের লীলাখেলা। তবে নিশা সেসব কিছুকে পাত্তা না দিয়ে নেটফ্লিক্সে একটা হলিউড মুভি দেখতে ব্যস্ত। একপাশে ধুলোবালিতে আচ্ছন্ন বই খাতা , খাটের পাশের ছোট্ট টেবিলে মোবাইল , ল্যাপটপ আর চার্জার অগোছালো করে রাখা আর ওয়াড্রবের দিকে তো তাকানোই যাচ্ছে না। হঠাৎ ফোনের রিং বেজে উঠতেই নিশা দেখে স্ক্রিনে দেখে শাওনের নাম্বার ভেসে উঠছে। একটু বললে ভুল হবে নিশা এতে অনেকটাই অবাক। তড়িঘড়ি করে ফোন রিসিভ করে ।
.
—–হ্যালো শাওন?
.
—–ফটাফট রেডি হয়ে বাইরে আয়। আমি নিচে দাঁড়িয়ে আছি।
.
একথা বলেই শাওন ফোন কেটে দেয়। তবে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছে নিশা। এখন হুট করে শাওন কোথাই বা ওকে বাইরে আসতে বলছে এটা ভেবে সে কূল পাচ্ছে না। ব্যাচেলর থাকে বলে রাত বিরাতে বের হওয়া নিয়ে নিশার মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে চলে যায় সে।
.
শাওন বাইকে বসে অপেক্ষা করছে নিশার জন্য। নিশাকে দেখেই সে বাইকে বসে। ইশারায় নিশাকে বলে পেছনের সিটে বসতে। অপ্রস্তুত হয়ে যায় নিশা। কারন শাওন এই প্রথম তাকে এভাবে অফার করলো। বিব্রত হয়ে সে শাওনকে প্রশ্ন করে……….
.
—-রাতুল, রাহাত, শোভাও কি আসবে?
.
—-না।
.
—-কেন?
.
—আমরা দুজন কি কোথাও একা যেতে পারি না?
.
নিশা নিশ্চুপ। শাওন আবার ইশারা করতেই নিশা উঠে পড়ে শাওনের বাইকে। সরু রাস্তা আর গাড়ি বাস পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাইকটি যা গিয়ে থামে শহরের অনেকটাই দূরে। জায়গাটি বেশ ভূতুড়ে মনে হলেও শাওন আর নিশা দুজনেরই এ বিষয় নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই। দখিনা হাওয়াতে চেয়ে যাচ্ছে দুজনের শরীর। শাওন নিশ্চুপভাবে একটা বিয়ারের বোতল নিয়ে তা উপভোগ করতে মগ্ন।
.
নিশাকে সে এখানে কেন নিয়ে আসলো নিশা তা ভেবে পাচ্ছে না। শাওন ওকে আরেক বোতল এগিয়ে দিতেই নিশা তা গটগট করে খেয়ে নেয়। শাওন উদাষীন গলায় বলে ওঠে………
.
——আমি রাইতাকে খুজে পেয়েছি নিশা?
.
ফ্যালফ্যাল করে নিশা তাকিয়ে আছে শাওনের দিকে। রাইতাকে খুজে পেয়েছে? এ কি করে সম্ভব?বিয়ার খাওয়াতে ভুলভাল শুনলো নাকি সে?
.
—–মমমানে?
.
—–রাইতাকে খুজে পেয়েছি আমি। ওই আদ্রাফ এহসানের ওয়াইফ মেহের এহসানই আমার হারানো বোন রাইতা যাকে সবাই মৃত বলে জানে?
.
নিশা ভাবছে এই শাওন মনে হয় পাগলই হয়ে গিয়েছে তবে এ কথা বললে শাওন যে ওকে জানে মেরে ফেলতে পারে এ ব্যাপারেও কোনো গাফলতি নেই। তাই সাহস করে সে শাওনকে প্রশ্ন করে…….
.
——তুই এত confident কিভাবে?
.
শাওন বিয়ারের বোতলটি ছেড়ে নিশার দিকে তাকায় নির্বিকার ভঙ্গিতে । নিশা অপেক্ষার প্রহর গুনছে উত্তরটি শোনার জন্য। শাওন তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে……..
—-সত্যিই জানতে চাস?
.
—-হ্যাঁ
,
শাওন উদাসীন ভঙ্গিতে ঘাসের গালিচায় বসে পড়ে। নিজের মাথাটি হেলিয়ে দেয় নিশার কাধে। নিশা এখন পাথরের ন্যয় বসে আছে। সে বুঝতে পারছে না এখন কোন দিকে নিজের আকর্ষণ রাখবে মেহেরের ঘটনার দিকে নাকি তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবেগের মালিক শাওনের দিকে?
.
.
.#অনুভূতির_সুপ্ত_কোণে🍂
#কায়ানাত_আফরিন (মাইশা)
পর্ব : ১৮
.
বিদীর্ন এই খোলা প্রান্তরে শাওন নিশার কাধে মাথা দিয়ে রাখাতে নিশার মনে খেলা করছে কিছু চাঞ্চল্যকর অনুভূতি।শাওনের উষ্ণ নিঃশ্বাস আর হৃদয়ের কম্পন স্পষ্টভাবে সে গুণতে পারছে। শাওন নির্বিকার ভঙ্গিমায় নিশার এক বাহু জড়িয়ে কিছু একটা ভাবতে মগ্ন। কিছুটা আশা নিয়ে সে শাওনকে প্রশ্ন করে…..
.
—-শাওন কিছু বলছিস না কেন? মেহের তোর বোন হয় তুই এত নিশ্চিত কিভাবে?
.
—-DNA test করার পর।
ভ্রু কুচকে ফেলে নিশা। শাওনের কথাটা সে বুঝেছে কিন্ত ঠিক মানতে পারছে না। শাওন চোখ বন্ধ করে মাথা এলিয়ে রাখাতে নিশা কিছু বলতেও পারছে না। খানিকাটা বিরক্তি চেপেই সে বলে……..
.
—–এমনি চুপ করে আছিস কেন? আর DNA test মানে? তুই DNA test কবে করলি?
.
—–সেদিন হসপিটালে। আমার ব্লাড নেওয়ার সময়ই যখন আমার test করানো হলো তখনই আমি জানতে পারি। দুজনের সেম report দেখে ডাক্তারও বেশ অবাক হয়েছিলো।পরে রাহাতকে দিয়ে মেহেরের অতীত সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি অনেক। বাট ফলাফল জিরো। তবে এতটুকু জানতে পেরেছি যে মেহেরকে এতিমখানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে যা ওর বর্মান বাবা-মা ছাড়া কেউই জানে নি।
.
—-তুই জানলি কিভাবে?
.
নিশার প্রশ্ন শুনে শাওন নিশার কাধঁ থেকে মাথা উঠিয়ে সশব্দে হেসে ওঠে। নিশা হৃদকম্পন যেন এবার তড়িৎগতিতে ছুটতে শুরু করলো। নির্জন রাতের খোলা প্রান্তরে চাঁদের মায়াবী আলোতে সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে শাওনের স্ফটিক হাসি। শাওনের বাকা হাসিটা যতটাই না সবার মনে ত্রাসের রাজত্ব করে তেমনি সশব্দে বেরিয়ে আসা এই হাসিটাও যেন ফুটিয়ে তোলে এক অভূতপূর্ব সৌন্দর্য।
.
—–তোর কি মনে হয় নিশা ; শাওন চৌধুরি আমি। আমার ভয়ে সবার কাপাকাপি শুরু হয়ে যায় আর মেহেরের ওই দত্তক বাবা-মা তো আমার কাছে সামান্য কপাটের মতো। আমার Gun বের করতেই গলগল করে সব উপচে দিয়েছে।
.
নিশা নীরব থাকে। শাওনের এসব অভদ্র কাজকর্মগুলো নিশার কাছে অপছন্দ হলেও মুখ ফুটে বলার মতো দুঃসাহস ওর নেই।
.
—–মেহের কি এই সত্যি জানে?
.
—–না । জানে না। আর কখনও জানতেও পারবে না।
.
হাসির তালে কথাটা শাওন উড়িয়ে দিলেও নিশা স্পষ্ট অনুভব করতে পারছে শাওনের মনের চাপা আর্তনাদ।নিশা জানে ; শাওন কখনই ওর কষ্টা মুখ ফুটে কাউকে বলবে না শুধু হিংস্রতার রূপ নিয়ে আড়াল করে রাখবে তার কষ্টগুলো।নিশা আবারও বললো…….
.
—–কেন জানতে পারবে না?
.
—–আমার so called dad হায়াৎ চৌধুরির জন্য।
.
কিঞ্চিত অবাকের রেশ দেখা গিয়েছে নিশার মধ্যে। কেননা শাওনের তাচ্ছিল্যর হাসিটা নিমিষেই যেন রূপ নিয়েছে এক ভয়াবহ রাগে। এই হায়াৎ চৌধুরিকে বরাবরই ঘৃণ্য বস্তু মনে হয় শাওনের কাছে। আজ তার জন্যই তো শাওনের জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেলো।
.
——হায়াৎ চৌধুরি কি করেছে?
.
হাতে থাকা বিয়ারের ক্যানটা পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয় শাওন। দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে…….
.
——রাইতা যে এখনও বেঁচে আছে এটা জানলেই সে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে রাইতা আই মিন মেহেরকে খুন করে……..এই ব্যাপারে I am definitely sure………..সামনে এমনিতেও তার ইলেকশন। এখন মেহেরকে না মারলে তো তার কালোকাজগুলো ফাঁস হয়ে যাবে। আর আমি চাইনা যে রাইতা ফিরে আসুক। ওর পরিচয় এখন মেহের আদ্রাফ এহসান। সেই পরিচয়েই ও আজীবন থাকুক। আমার মতো অনিশ্চিত জীবনের মুখে আমি কখনোই ওকে ফেলতে চাইবো না।
এতটুকু বলেই নিজের কন্ঠস্বর মিলিয়ে ফেলে শাওন। আজও সিগারেটের ধূয়ো উড়োতে মন চাচ্ছে এই নিশিআকাশে। তবে এখন সেই পরিস্থিতিটা আর নেই। এর কারন হয়তো বা নিশা। কেননা নিশার কাছে যেই বিষয়টা দৃষ্টিকটু লাগে শাওন সবসময় চেষ্টা করে তা নিশার সামনে না করতে।
.
—–তুই এতো ভালো কেন রে?
.
নিশার স্বতস্ফূর্ত প্রশ্নে শাওন নির্বিকার। তবুও বিবেকের সাথে তালগোল পাকিয়ে কঠোর দৃষ্টিতে তাকায় নিশার দিকে।
,
.
—-কে বলেছে আমি ভালো? আমি খারাপ ! অনেক খারাপ ! চাঁদাবাজি করি , টিজ করি, ragging করি……….মানুষ সমাজ না বুজে যেখানে সেখানে ড্রিংক-পার্টি-ক্লাব-সিগারেট এগুলো তো আছেই।
.
—–এতেই কি মানুষ খারাপ হয়ে যায়?
.
—–শাওন নিশ্চুপ।
.
—–থাক ! এসব কথা আমি আর বলবো না। আমি শুধু একটা কথাই জিজ্ঞেস করবো মেহের কি তবে কখনই ওর সত্যি জানতে পারবে না?
.
—–কখনোই না।
।শাওন আর নিশা দুজনের মধ্যেই এবার পিনপন নীরবতা। একজনের হয়তো চাপা কষ্টের কারনে আর অন্য একজনের হয়তো নিজের আবেগটাকে উজাড় না করে দেওয়ার কারনে। মনেমনে নিশা বলে ওঠে……….
.
—–আমি আজীবন তোর এই কষ্টের ভাগীদার হতে চাই ; শাওন !
.
.
.
.
———————————
.
দেখতে দেখতেই সময় পার হয়ে গিয়েছে। আদ্রাফ আর তনু বেগমের সযত্নে মেহের এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাই বিগত দুদিন ধরেই আদ্রাফ অফিসের চাপে ভালোমতো সময় দিতে পারছে না মেহেরকে। মেহেরের চোখ খোলার আগেই সে চলে যায় ; আর রাতেও ফিরে অত্যন্ত দেরি করে।
মেহের মনেমনে একটু বিরক্ত হলেও তা প্রকাশ করে না। তারও দিন কাটে ভার্সিটি টু বাসা আর টিভি দেখে।
.
এখন রাত প্রায় দেড়টা। মেহের মুখ ফুলিয়ে খাটে বসে ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করছে । আর আদ্রাফ খাটের অন্যপাশে নিজের পা জোড়া ক্রস করে মেলে তার উপর নিজের ট্যাবে বিজনেস গ্রাফ চেক করছে। মেহেরে তো এবার বিরক্তির চরম সীমান্তে। এত সুন্দর একটা বউ পাশে বসে থাকতে আদ্রাফ এমনভাবে ট্যাব দেখছে যেন ওটাই মনে হয় ওর বউ। মেহেরের তো এবার ওই ট্যাবকে দেখে প্রচুর পরিমাণে হিংসে হচ্ছে।
.
রাগের বশে ফেসবুকের একটা নিউজ দেখে জোরে জোরে বলে ওঠে……..
.
” স্বামী স্ত্রীকে সময় দেয় না দেখে স্ত্রীর হাতে স্বামীর নির্মম মৃত্যু😤”
.
আদ্রাফ চোখ বাকিয়ে তাকায় মেহেরে দিকে। মেহের রাগে ফোঁস ফোঁস করে চলছে। আদ্রাফ মনে মনে ভাবে যে……….”এই মেয়ে কি ওর খুনের পরিকল্পনায় মেতে আছে?’😒’
.
.
.
.
~চলবে
.
~চলবে
আগামী সপ্তাহে আমার ক্লাসটেস্ট শুরু। তাই পড়ার ফাঁকে তাড়াতাড়ি করে একটি পর্ব দিয়ে দিলাম। ভুলক্রুটি ক্ষমাসুলভ চোখে দেখবেন।
khub khub khub khub sundor golpota… thanks for beautiful story