“শালিকা_যখন_বউ #part_11+12

0
373

#শালিকা_যখন_বউ
#part_11+12
#Written_by_Adnan_Sami_Raj

সেঃ আপনি এখানে??

আমিঃ হুম আমি। অন্য কারো থাকার কথা ছিলো বুঝি মিস নিশি(আপনাদের তো বলাই হয় নি আমার পিএ হল নিশি)।

নিশিঃ এটা তো আপনার অফিস না তাহলে এখানে কেমন করে আসলেন।

আমিঃ আপনার বোধ হয় কোথাও ভুল হচ্ছে কারন এই অফিস এর ওনার আমি।

নিশিঃ হইতো বা হতে পারেন। তবে আমি এই অফিস এ জব করতে পারবো না।


কথা গুলো বলেই নিশি চলে যাচ্ছিল। তাই আমি ওকে থামিয়ে বলি।

আমিঃ Excuseme miss Nisi with out my permission apni jata parban na..

নিশিঃ what the hell are you talking…

আমিঃ হুম আমি ঠিক কথাই বলছি। আর এইটা দেখুন। ২ বছর এর আগে আপনি এই কম্পানি ছাড়তে পারবেন না। আর যদিও ছাড়তে চান তাহলে আমার পারমিশন নিতে হবে। কিন্তু আমি এই মুহুর্তে আপনাকে পারমিশন দিচ্ছি না। সো আপনি এখন যেতে পারেন প্রয়োজন পরলে আমি আপনাকে ডেকে নিবো।

নিশিঃ ওকে স্যার ( অনেক রেগেই কথাটি বলল)


তারপর নিশি ওর কেবিনে চলে যাই। আমার আর ওর কেবিন প্রায় পাশাপাশি তাই আমি ওকে দেখতে পারছিলাম।

অন্য দিকে নিশি নিজের কেবিনে এসে ভাবে। কেন যে সেদিন সাইন করার আগে কন্টাক্ট পেপার টা ভালো ভাবে পড়ে নিলাম না। আর উনি কেন আবার আমার সামনে আসলেন ভালোই তো ছিলাম এই ১ বছর উনাকে ছাড়া। এমন সময় নিশির ফোনে কল আসে আর ফোন টা ধরা মাত্র নিশি কিছুটা বিচলিত হয়ে যাই। ফোনের অপাশ থেকে কেউ কিছু হইতো বলল।


আমি বসে আমার কাজ করছিলাম এমন সময় নিশি আমার কেবিনে আসে। আর বলে।

নিশিঃ স্যার একটা কথা বলার ছিলো( নিশির মুখে স্যার ডাক শুনে বুকের মধ্যে কেমন মোচর দিয়ে উঠলো)

আমিঃ হুম বলেন।

নিশিঃ আসলে স্যার আজকে আমায় একটু তারাতারি ছুটি দিবেন প্লিজ।

আমিঃ কেন ছুটি কি করবেন।

নিশিঃ আসলে বাসায় একটু প্রয়োজনীয় কাজ আছে তাই।

আমিঃ কি প্রয়োজনীয় কাজ শুনি।

নিশিঃ আসলে স্যার।

নিশি কিছু লুকাতো চাইছিলো আমার কারনে সে বলে উঠলো।

নিশিঃ স্যার বাসায় আমার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে গেছে তাই আমার ছুটি প্রয়োজন। এখন ছুটি দেওয়া না দেওয়া সেটা আপনার ব্যাপার কারন আপনি এখান কার বস আপনি চাইলেই সব করতে পারেন ( একদমে কথা গুলো সে বলল)


নিশি মুখে বাচ্চার কথা শুনে আমার চারপাশ টা কেমন যেন অন্ধকার হয়ে আসছিলো। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম।

আমিঃ ওকে আপনি যেতে পারেন তবে কাল থেকে সময় মতো অফিস এ আসবেন( যদিও কথা গুলো বলতে কষ্ট হচ্ছিল)

তারপর নিশি চলে গেল। আর আমি চেয়ার এর সাথে হেলান দিয়ে ভাবতে লাগলাম। যে নিশি একসময় আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতো না। সে এখন নিজের বাচ্চা নিয়ে ব্যাস্ত। তবে আমি কেন একা কষ্ট পাবো নিশি যখন পেরেছে আমাকে ছেড়ে থাকতে….

চলবে……

#শালিকা_যখন_বউ
#part_12
#Written_by_Adnan_Sami_Raj

নিশি যদি আমাকে ছাড়া থাকতে পারে তবে আমি কেন পারবো না। এসব ছাই পাশ ভাবতে ভাবতেই বিলেল হয়ে যাই তাই আমি আর বেশি না ভেবে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ি আর সোজা বাসাই চলে আসি।


আমাকে এত তারতারি বাসাই ফিরতে দেখে আম্মু আমার কাছে আসে আর বলে।

আম্মুঃ কীরে বাবা আজ এত তারতারি বাসাই আসলি যে, শরীল ঠিক আছে তো( বেশ বিচলিত হয়ে কারন নিশি যাওয়ার পর থেকেই আমি অনেক রাত করে বাসাই ফিরি)

আমিঃ হুম আম্মু আমার কিছুই হয় নি। অফিসে মন বসছিলো না তাই তারতারি চলে আসলাম।

আম্মুঃ ওহ,, আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আই আমি তোর খাওয়ার রেডি করছি।

আমিঃ আম্মু আমার তোমাকে কিছু বলার আছে।

আম্মুঃ বলবি তো আগে ফ্রেশ হয়ে আই তারপর।


তাই আমি আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হতে নিজের রুমে চিলে যাই। তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখি আম্মু খাওয়ার নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে তাই আমি গিয়ে বসে পড়ি আর আম্মু কে বলি।

আমিঃ আম্মু তুমি পরশুদিন বিয়ের কথা বলছিলে না। আমি রাজি তবে বিয়েটা এক সপ্তাহের মধ্যে হওয়া চাই।

আম্মুঃ এটা তো খুশির খবর তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়েটা কি ভাবে দিবো বল।

আমিঃ আমি এত কিছু শুনতে চাই না। আমি যেটা বলেছি সেটাই হবে।

আম্মুঃ আচ্ছা তুই যখন চাচ্ছিস তখন তাই হবে।

তারপর আমি খাওয়া দাওয়া করে নিজের রুমে চলে আসি। আর আজ কেন যানি কষ্টটা একটু বেশিই হচ্ছে হইতো এই কষ্টটা নিশির জন্যই হচ্ছে। কিন্তু এখন আর কিছুই করার নেই কারন নিশি তার পরিবার নিয়ে ব্যাস্ত আছে। নাহ আর কষ্ট পেলে চলবে না।

তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারি নাই।


পরের দিন সকালে রেডি হয়ে খাবার টেবিলে বসে ছিলাম এমন সময় আম্মু এসে বলল।

আম্মুঃ আমি মেয়ের বাবার সাথে কথা বলেছি তারা বলল যে তাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে তুই যদি একবার মেয়ের সাথে দেখা করে নিতি তাহলে..

আমিঃ দেখ আম্মু আমি তোমায় আগেও বলেছি যে এই বিয়েটা আমি শুধু তোমার কথাই করছি তাই আমাকে আর এর মধ্যে জড়িও না।

আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আজ থেকেই বিয়ের এরেজমেন্ট শুরু করতে হবে কারন হাতে তোর বেশি সময় নেই।

আমিঃ তোমরা যা বুঝো তাই কর আমি এখন অফিস এ গেলাম।

তারপর আমি অফিস এ চলে আসি।


অফিস এ আসা মাত্র সবাই আমাকে Congress জানাতে থাকে মনে হয় আম্মুই বিয়ের ব্যাপের সবাই কে জানিয়েছে তাই আমি আর কিছু না ভেবে নিজের কেবিনে চলে আসি।।আর এদিকে অফিস এর সবাই মিষ্টি খাচ্ছে আমার বিয়ে উপলক্ষে এমন সময় নিশি অফিস এ আসে আর আমার এক স্টাফ নিশিকে মিষ্টি খাওয়াই দেই তাই নিশি বলে।

নিশিঃ আরে আগে বলবে তো এটা কিসের মিষ্টি।

একজন স্টাফঃ আমাদের স্যারের বিয়ে ঠিক হয়েছে তাই আর বিয়ে টা সমনের সপ্তাহেই হবে।

আমার বিয়ের কথা শুনে নিশির পুরো পৃথিবীটাই যেন উল্টে যাই। তার ইচ্ছা করছিলো কান্না করতে কিন্তু সবার সামনে সে কান্না করতে পারছিলো না।তাই সে বলল,,

নিশিঃ ওহ এতো অনেক খুশির খবর (কান্না জড়িত কন্ঠে)

স্টাফঃ একি নিশি তুমি কান্না করছো নাকি। তোমার চোখে পানি কেন।

নিশিঃ কই কান্না করবো কেন আসলে চোখে কি যেন একটা পরেছে ( চোখ মুছতে মুছতে কথাটি নিশি বলল)…

চলবে…..!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here