দুষ্টু_মিষ্টি_প্রেমকথণ পর্ব শেষ

#দুষ্টু_মিষ্টি_প্রেমকথণ
#পর্বঃ১৭
#লেখিকাঃফারজানা_তাবাসসুম

!!

একের পর এক চোখের পানি আমার টপ টপ করে পরেই চলছে। থামার নাম নেই। ঘরের এককোনায় বসে হাটু ভাজ করে ধরে মুখ চেপে কান্না করেই চলছি। রোদ্দুরও কোথায় বেরিয়ে গেলেন তখম।কি শুনলাম আমি আমার রোদ্দুর অন্যকারো হয়ে যাবে!!! নাহ্ কিছুতেই আমি এইটা হতে দিবো না। আমার আর রোদ্দুরের বিয়ে হয়ে গেছে!! হুম আমার আর রোদ্দুরের বিয়ে হয়ে গেছে এখন একজন স্ত্রী থাকতে দিদুন রোদ্দুরকে অন্যকাওকে বিয়ে করার কথা বলতে পারেন না। হাতের উলটো পিঠ দিয়ে চোখের বিন্দু পানি কনাগুলো মুছে নিলাম। ছুটে চলে গেলাম দিদুনের কাছে। দিদুনের ঘরে ঢুকে দেখি সে,,তার হুইল চেয়ারটায় হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে আছেন। উদ্বিগ্ন হয়ে দিদুনের কাছে গিয়ে বললামঃ

দিদুন রোদ্দুরের স্ত্রী থাকা সত্যেও তুমি রোদ্দুরকে অন্যকাওকে বিয়ে করার কথা বলতে পারো না। এটা কেমন সিধান্ত তোমার। আমাদের কথাটাও একবার শুনতে পারতে। ঐ নীরা যতোটা ভালো সাজার অভিনয় করে ও ততোটা ভালো না। এ একটা জঘন্য…… আমাকে থামিয়ে দিদুন মুখে গম্ভীর্য ভাব এনে বললোঃ

হয়েছে!!!!অনেক বলেছো কায়নাত। এখন আমার কথা শুনো। প্রথমতঃ নীরাকে আমি ছোট থেকে চিনি। রোদ্দুরকে যতোটা বিশ্বাস করি নীরাকে ঠিক ততোটাই করি। আর তুমি বলো নীরা এবং রোদ্দুরের ঐসব ছবিগুলো কি মিথ্যা??

আমি তৎক্ষনাৎ উত্তর দিলামঃ

মিথ্যা নয় কিন্তু তা সত্যিও নয় দিদুন। রোদ্দুরকে অচেতন করে নীরা ঐসব…..

দিদুন আবারও আমাকে থামিয়ে দিলেন।

দেখো কায়নাত আমি জানি তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। রোদ্দুর তোমার স্বামী কিন্তু যে স্বামী অন্য একটা মেয়ের সাথে এইরকম কাজ করতে পারে তাকে তুমি কিভাবে সায় দাও?? আমি এখন রোদ্দুরকে আমার নাতীর চোখে না বরং একজন দোষীর চোখে দেখছি। আর তার এই ভুল শোধরানোর জন্য নীরাকে বিয়ে করেতেই হবে।

কিন্তু দিদুন!!!!!

আমার কথা শুনো আগে কায়নাত। তুমি যদি চাও তাহলে রোদ্দুরকে ছেড়ে দিতে পারো আমি এতে তোমার সাথেই আছি। আর তুমি যদি নীরার সাথে থেকে সংসার করতে পারো তাহলে সেটা তোমার ইচ্ছা।

কি বলছো তুমি দিদুন?? আমি রোদ্দুরকে ছেড়ে দিবো। তাও ঐ জঘন্য মেয়েটার জন্য?? কখনোই না। আচ্ছা দিদুন আমি আসি। আমি বুঝে গেছি তুমি কিছুতেই আমাদের কথা মানবে না। যেতে যেতে আবার পিছন ফিরে দিদুনকে উদ্দেশ্য করে বললামঃ

আমি এই বিয়ে আটাকাবো দিদুন দেখে নিও। আর ঐ নীরকে আমি তার উপযুক্ত শাস্তিও দিবো,,,চলে আসলাম দিদুনের ঘর থেকে। যে করেই হোক এখন নীরাকে আমার ভুল প্রমানিত করতেই হবে। ঐ ডাইনিটাকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো😤। এইসব ভাবতে ভাবতে যাচ্ছি তখনি কারো সাথে হাল্কা ধাক্কা খেলাম।

আসতে চলো কায়নাত। এখনি তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যাচ্ছো। রোদ্দুরকে কেড়ে নিলে তখন কি করবে? এক হাতের উপর আরেক হাত গুজে সামনে দাঁড়িয়ে আছে নীরা, মুখে তার সেই বিজয়ের হাসি।

মনে হচ্ছিলো দেই একটা ঠাটিয়ে চড় কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে দাতে দাত চেপে বললামঃএখনোই এতো উতলা হইয়োনা নীরা। বিয়ে হবে বলেছে হয়ে যায়নি।

হতে কতোক্ষন?? কিছুদিনের মাঝে তাও হয়ে যাবে। আগেভাগেই সরে যাও কায়নাত নাহলে পরে আরো বেশী পস্তাতে হবে।

হাহ্,,কে পস্তাবে দেখা যাবে।নীরাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আমার ঘরে এসে পড়লাম। কান্না পাচ্ছে খুব কিন্তু এখন কাদলে চলবে না।

..………

ভালোই তো উড়ছো নীরা!!!!

মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে হাটছিলো নীরা তখনি এমন কন্ঠ কানে আসতে মুহুর্তেই তার মুখে বিরক্তিরা এসে ভীর জমায়। বিরক্তি নিয়ে পিছনে ঘুরে দাঁড়ায়। জোরপূর্বক মুখে হাসি টেনে এনে বলেঃ

সহ্য হয়না বুঝি? আমার এই হাসি? নেহাল!!!!

নেহাল কিছুটা এগিয়ে এসে বললোঃ

সহ্য কেনো হবে না আমার?

নীরা তার হাতের এক আঙুল তুলে নাচিয়ে বললো,,ঐ যে!!! তুমি তোমার প্রেয়সীকে পেলে না কিন্তু আমি আমার প্রিয়তমকে পেয়ে গেলাম,,,বলেই হাসতে লাগলো নীরা। নেহাল নিজেত হাতের মুঠি শক্ত করে যতোটা সম্ভব নিজেকে সংযত রেখে নীরাকে বললোঃ

″পেয়ে যাওনি নীরা। ঐটা তোমার ভুল ধারণা″,,, এই কথা কানে বাজতেই নীরার মুখের হাসি মুহুর্তেই গায়েব হয়ে গেলো। নেহালের দিকে তাকিয়ে ঝাঝালো কন্ঠে বললোঃ

আজ কি সবার মাথার তার ছিড়ে গেছে নাকি তোমরা প্লেন করে আমাকে এইসব শুনাচ্ছো?? কিছুক্ষন আগে কায়নাতও আমাকে এই একি ভাষন দিয়ে গেলো। যাই হোক তোমাদের সাথে কথা বলে আমি আমার সুখ নষ্ট করতে চাই না। সরো সামনে থেকে,,,দ্রুতোপায়ে স্থান ত্যাগ করলো নীরা।

নেহাল শুধু নীরার যাওয়ার পানে তাকিয়ে বাকা হাসলো।

………

জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছি। কি করবো কিভাবে নীরাকে ভুল প্রমানিত করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। মাঝে মাঝে শুধু চোখ থেকে দু-এক ফোটা নোনা জন গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে কিছুটা চমকে গেলাম,,তৎক্ষনাৎ নিজেকে সামলে নিয়ে পেছনো ঘুরে দেখি রোদ্দুর দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না আমি, ঝাপটে ধরলাম তাকে। বুকে মুখ গুজে হু হু করে কেদে দিলাম। রোদ্দুর আমার মাথায় হাত রেখে বললোঃ ″কেদো না তোতাপাখি,,আমি আছিতো, তোমার রোদ্দুর শুধুই তোমার। কেউ কেরে নিতে পারবে না তাকে তোমার থেকে″

″কেরে নিতে চাইলেও আমি তা হতে দিবো না″ রোদ্দুরের বুক থেকে মাথা উঁচিয়ে তার দিকে চেয়ে বললাম। রোদ্দুর হাল্কা হেসে আমার কপালে তার পরশ ছুইয়ে বললো,,,″হুম তোতাপাখিটা″
*
*
*
*
*
*
*

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ও এসে পড়লো। আজ কাজী ডেকে রোদ্দুর আর নীরার বিয়ে পড়ানো হবে।রোদ্দুর দরজা বন্ধ করে আমাকে নিয়ে রুমে বসে আছে। বাইরে যাবে না আর নাই নীরাকে বিয়ে করবে। রোদ্দুর আমার দুই গাল ধরে করুন সুরে বললোঃ ″কায়ু,,!!! তুমি জানোত তোমাকে কতোটা ভালোবাসি!! আমি করবো না বিয়ে নীরাকে। আজ দিদুনের কোনো কথাও শুনবো না আমি।″ আমি রোদ্দুরের হাত আমার গাল থেকে নামিয়ে শক্ত করে ধরে বললামঃ″ যাও তুমি নিচে″ রোদ্দুর বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে″কি বলছো কি তুমি কায়নাত? আমি নিচে যাবো?আমি একটু হাল্কা হেসে বললামঃ হুম যাবে,, আর হ্যাঁ !!! বর সেজে নিচে যাবে।

″Whatttt!!!!!!!″ তোমার মাথা পুরো গেছে।আমাকে হারানোর ভয়ে পাগল হয়ে গেলে নাকি?? আমি হেসে দিলাম রোদ্দুরের কথায়। এখন রোদ্দুর ভাবছে আমি মনে হয় পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছি। রোদ্দুর আমাকে তৎক্ষনাৎ তার বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললোঃ″পাগল হও আর যাই হও আমার তোমাকেই লাগবে। তুমি ছাড়া আমি অন্যকারো হতে পারবো না কক্ষনও না″।

″রোদ্দুর,!!″

″হুম″

আমাকে বিশ্বাস করো??

″অবশ্যই তোতাপাখিটা″

তাহলে তৈরী হয়ে নিচে যাও। সবাই ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে।

″আবার সেই একি কথা″ কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললো রোদ্দুর।

আরে তুমি যাও তো আগে তারপর ″দেখো আগে আগে হতা হে কিয়া″!!। রোদ্দুরকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিচে পাঠালাম।

……

নিচে সবাই বসে আছে। আমিও যতোটা সম্ভব নিজেকে স্বাভাবিক রেখে নিচে নামলাম। রিফা আমাকে কিছু কথা বলে স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলো। নীরাকে দেখলাম সেই সাজ সেজে বধু বেসে বসে আছে। দিদুন সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ ″ তাহলে,,বিয়ে পরানো শুরু করা যাক″
নীর আগে রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করো।নীরা হাতে কলম নিয়ে হাসি মুখে সাইন করতে নিবে তখনি এন্ট্রি নিলো নেহাল।

″আরে আরে নীরা দাড়াও এতো তাড়া কিসের??″ নেহালের কথায় সকলের দৃষ্টি গিয়ে পড়লো আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি মানে নেহালের উপর। দিদুন বললোঃ″মানে কি নেহাল?″ নেহালে দিদুনের কাছে গিয়ে তার ফোন থেকে একটা ভিডিও অন করে বললোঃ″এইটা দেখলেই সব বুঝতে পারবে দিদুন″। দিদুন সেই ভিডিওটা দেখেই তৎক্ষনাৎ নীরার কাছে গিয়ে নীরার গালে পর পর দুটি মারলেন।

ছিঃ নীরা,ছিঃ তুমি আমার বিশ্বাস নিয়ে এভাবে খেলবে আমি তা কল্পনাও করতে পারিনি। আর আমি তোমার জন্য কিনা আমার নিজের রক্ত আমার নাতিকে আমি অবিশ্বাস করেছি। কথাগুলো বলে দিদুন জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। আমি আর রোদ্দুর গিয়ে দিদুনকে ধরলাম। দিদুনের বিপি হাই হয়ে হয়ে গেছে। দিদুনকে ঘরে নিয়ে তার ঔষধ খাইয়ে দেওয়া হলো। আরেকটু বিশ্রাম নিলে দিদুন ঠিক হয়ে যাবে।

……

এইদিকে নীরা নিজের পড়নের সব গহনা সাজ টেনে খুলে ফেলছে উন্মাদের মতো করছে সে। তার কিছুতেই এইটা বিশ্বাস হচ্ছে না,,সে রোদ্দুরকে পেয়েও পেলো না।

″কেমন লাগলো নীরা??″

এই কন্ঠ শুনে নীরার রাগ যেনো আরো লক্ষাধিক বেড়ে গেলো। তেরে আসলো আমার দিকে তখনি রোদ্দুর এসে নীরাকে ধরে ফেললো।

″খবরদার নীরা কায়নাতের দিকে চোখ তুলেও তাকাবে না তুমি। আর যদি ওর কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করেছো, তোমাকে ক্ষুন করতে আমার হাত মোটেও কাপবে না″ নীরা ধপ করে নিচে বসে পড়লো। রোদ্দুরের কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো। এই মুহুর্তে ও যেনো পাথর মুর্তি হয়ে গেছে।″

রোদ্দুর আমার দিকে ঘুরে তাকালোঃ″কায়ু তখন নেহাল কি এমন দেখালো যে এইরকম হলো?″ আর নেহাল আগে থেকেই এইসব জানতো?

″হুম রোদ্দুর আমি আগে থেকেই নীরার এইসব কাজ কর্মের বেপারে জানতাম। নীরাকে ওনেকবার সাবধানও করেছিলাম কিন্তু ও শুনেনি। ″ আমাদের কাছে আসতে আসতে বললো নেহাল।আর ঐ ভিডিওটাও দেখালো,,, এইটা সেইদিনের ভিডিও যেদিন নীরা আমার বদলে রোদ্দুরের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো আর আমাকে বলেছিলো″আমি রোদ্দুরকে ভালোবাসি তুমি আসার আগে থেকেই আর তুমি আমার ভালোবাসার মাঝে এসেছো তাই সরতে তোমাকেই হবে!!″ এইটা সহ নেহালের সাথে আরো যেসব কথা নীরা স্বীকার করেছে তা সব রেকর্ড করা আছে নেহালের কাছে আর সেই জিনিসগুলোই দিদুনকে দেখিয়েছে নেহাল। আর আজ নেহালের জন্যই আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে ফিরে পেলাম।

……………

আজ আমাদের বাড়িতে বিশাল বড় পার্টি হয়েছে কারন আজ যে আমার আর রোদ্দুরের বিয়ের এক বছর পুর্ন হলো। ঐদিন নীরাকে আমিও দুটি চড় মেরে অনেক কথা বলেছিলাম।তারপর দিদুন ও ওকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে আর বলেছে ওর ছাঁয়াও যেনো শাহরিয়ার ম্যানশনে না পড়ে।

………

ঘরে এসে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে কানের দুল খুলছি।সারাদিনটা খুব ভালোই কেটেছে। এই দিনটা আমার কাছে খুব্বি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
হঠাৎ পেছন থেকে কেও জড়িয়ে ধরে আমায়। এই স্পর্শ আমি একান্তই চেনা। একটু কেশে বললামঃ″ কি হলো মিঃখাম্বা জামাই এইভাবে জড়িয়ে আছেন কেন?″

কিহহ্ আমি খাম্বা?? এই নিয়ে তুমি আমায় দুইবার খাম্বা বলেছো।

হাত তালি দিয়ে বললাম,,,বাব্বাহ্ তুমি দেখি গুনেও রেখেছো!!! রোদ্দুর একটু পার্ট নিয়ে বললোঃ হুম রাখতেতো হবেই,,, আমার একমাত্র তোতাপাখির দেওয়া নাম,,,মিঃখাম্বা। রোদ্দুরের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলাম।

রোদ্দুর বললো বাগানে যেতে। কিযেনো সারপ্রাইজ আছে আমিও তার কথা পিছু পিছু বাগানে গেলাম। রোদ্দুর বললো চোখ বন্ধ কর‍তে আমিও উৎসাহিত হয়ে চোখ দুটি বন্ধ করলাম। তারপর রোদ্দুর কোথা থেকে এক বালতি রঙের পানি এনে আমার উপর ঢেলে দিলো,,,সাথে সাথে আমি চেচিয়ে উঠলাম।

এ কীইইইই!!!!!!!! এইটা কি করলা তুমি রোদ্দুর্রর!!!! রোদ্দুর ততোক্ষনে হাসতে হাসতে লুটুপুটি খাচ্ছে। আর বললো,, আহা এইবারি তোমাকে লাগছে একদম আমার তোতাপাখি। বলে আবারও হাসতে লাগলো। আমি রাগে, দুক্ষে, ঠেলায় রোদ্দুরকে দিলাম এক ধাক্কা রোদ্দুর গিয়ে পড়লো বাগানের কাদার মাঝে। আমিও হাসা শুরু করলাম । তখনি ঝপঝপ করে বৃষ্টি নামা শুরু হলো, আমরা প্রাণ খুলে ভিজলাম আর বললাম,,

আজ প্রকৃতিও সায় দিয়েছে, আমাদের এই
#দুষ্টু_মিষ্টি_প্রেমকথনে

________________সমাপ্ত_________________

(রিচেক হয়নি। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে। আর তাদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই গল্পের সাথে ছিলেন। আর আমাকে উৎসাহিত করেছেন,🥰🥰)

#_Farju_♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here