#আমার_মেয়ে
#Khadija_Akter
#পর্ব_০৬
এদিকে শাশুড়ীর কথা শুনে আমার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে!কি বলছেন এটা আমার শাশুড়ী! শেষমেষ উনি তালাকের কথা চিন্তা করলেন!
আমি উত্তেজিত হয়ে বললাম,
–আম্মা আপনি এটা কি বললেন?কি দোষ আমার?কি এমন করেছি যে আমাকে তালাকই দিতে হবে।
আমার শাশুড়ী মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে বললেন,
–ময় মুরব্বীদের কথা যেসব মেয়েছেলে শুনেনা তাদের কপালে এমনই লেখা থাকে।
এহনো সময় আছে আমার কথা মাইনা যাও।বাচ্চাটা পয়দা কইরা হাবুল্লার বউরে দিয়া দেও।তারপর সুখে স্বামী সংসার কইরো।
পরের বার যাতে পোলা হয় তার লাইগা আমি কিছু আমল শিখায় দিমু,অইগুলা করলেই হইবো।
আর যদি কথা না মানো তাইলে তুমি তোমার পথ দেহো,এই বাড়িত্তে কোনো বেদ্দপ মাইয়ার জাইগা নাই।
শাশুড়ী চুপ করতেই পাশ থেকে সেজো জা আমার হাতে শক্ত করে একটা চাপ দেয়।
তারপর কানের কাছে ফিসফিস করে বলতে থাকে,”বইন আম্মার কথা মাইন্না লও,হুদাই সংসারটা খারাপ কইরো না।সারাডাজীবন তোমার পইড়া রইছে সামনে।মাইয়া মাইনষে ডাইভোর্স নিয়া বাপের বাড়িত্তে পইড়া থাকলে সমাজ সেইডা ভালো চোখে দেহে না।সময় থাকতে নিজের ভালাডা বুইজ্জা নেও।”
আমি এক মুহুর্ত চিন্তা করলাম আমার জা এর কথাগুলো,উনার কথায় যুক্তি আছে।
কিন্তু যখনই আবার আমার গর্ভে বেড়ে উঠা বাচ্চাটার কথা চিন্তা করলাম,;জন্ম দিয়েই ওকে অন্য কারো কোলে দিয়ে দিতে হবে,এটা ভাবতেই আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো কষ্টে।
নাহ্,এই রাজকন্যা পুতুলটা,যার সাথে আমি গত ৮টা মাস কল্পনায় হেসেছি,খেলেছি,কথা বলেছি তাকে ছাড়া থাকা আমার অসম্ভব।
আমি ভাতের থালাটা একটু দূরের ঠেলে দিয়ে উঠে গেলাম।
শাশুড়ীর চোখে চোখ রেখে বললাম,
–আমার বাচ্চা আমারই থাকবে।এতে যদি আপনার ছেলে আমাকে তালাক দেয় তাহলে দিক।
আমার কথা শোনা মাত্রই রাশেল ভীমরি খেল,সাথে সাথে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিল।সে হয়তো ভাবতেও পারেনি আমি যে আমার সন্তানের ব্যাপারে এতোটাই অনঢ় যে সন্তানের জন্য তাকেও ছাড়তে পারবো।
শাশুড়ী তেজের সাথে বললেন,
–তইলে রেডী থাইকো,কাইলকেই তালাকের লাইগা যা যা কাগজপত্র লাগবো সব রেডি হইবো।
আমি কোনো জবাব না দিয়ে চলে আসলাম সেখান থেকে।
রাশেলও একটু পর হন্তদন্ত হয়ে ঘরে এসে ঢুকলো।সে যে অর্ধেক খাবার ফেলে রেখেই চলে এসেছে হাত ধুয়ে সেটা বেশ বুঝতে পারলাম।
রাশেল পা ঝুলিয়ে চকির উপর বসে বসে শুধু পা নাড়াচ্ছে।
সে যখন খুব অস্থির হয়ে যায় তখনি এই কাজটা করে।ইচ্ছেমতো পা নাড়ায় কিংবা দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট চেপে ধরে রাখে।
আমি বুঝতে পারছি আমার সিদ্ধান্ত শুনে রাশেল বেশ অস্থির হয়ে গেছে কিন্তু নিজের থেকে আমার সাথে কথা বলতেও নারাজ।তাই রাশেলের পাশে বসে আগে আমিই শুরু করলাম।কন্ঠে একরাশ অভিমান নিয়ে প্রশ্ন করলাম,
–তুমি কি সত্যিই আমাকে তালাক দিবা?
রাশেলে পা নাড়ানোর গতি আরও বেড়ে গেল,তার দৃষ্টি মেঝের দিকে।একটু পর আচমকাই আমার দিকে ঘুরে তাকালো,তার চোখ ছলছল করছে।
রাশেল উঠে আমার আমার সামনে এসে মেঝেতে হাঁটু গেড়ে দাঁড়িয়ে আমার কোলে মুখ গুজেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেললো।
রাশেলের এহেন কান্ডে আমি একদম থতমত খেয়ে গেলাম।
তবে ওর কান্না থামানোর কোনো চেষ্টাই করলাম না আমি।মাঝে মাঝে মানুষকে কাঁদতে দিতে হয়,কাঁদলে বুকে জমে থাকা কষ্ট অনেকটা হালকা হয়।
আমি ওর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম।
একটু পর রাশেল কিছুটা শান্ত হয়ে মুখ তুলে তাকালো আমার দিকে।গায়ের রঙ ফর্সা হওয়াতে অল্প কান্নাতেই ওর চোখ নাক একদম লাল হন হন করছে।
ওর দিকে তাকিয়ে ওর জন্য আমার এতো মায়া লাগলো যে,আরেকটু কাছে এগিয়ে কিছুটা ঝুঁকে রাশেলের মাথাটা আমার বুকের সাথে চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে রইলাম।
আহ্,প্রিয় মানুষটার সংস্পর্শে এসে এই মুহুর্তে আমি স্বর্গীয় সুখ অনুভব করতে লাগলাম।
এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর রাশেল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এলো।আমার দুই হাত ওর হাতের মুঠোয় নিয়ে মিনতি করে বললো,
–রাকা,প্লিজ তুমি মা’র কথাটা মেনে নাও।আমাদের মেয়ের তো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আর আমরা ওকে মেরেও ফেলছি না।
হাবুলের বউয়ের কাছে যদি তুমি দাও,তাহলে তো আমাদের চোখের সামনেই তো বড় হবে ও।
তোমার যখন ইচ্ছে তুমি ওকে দেখে আসবে।বাবুকে ভালো ভাবে লালন-পালনের জন্য,এক্সট্রা খরচাও না হয় তুমি মাকে লুকিয়ে দিয়ে আসবা হাবুলের বউয়ের হাতে।দেখবা আমাদের বাচ্চার এতটুকুও অবহেলা হবে না।
তুমি মা’র কথাটা শুধু মেনে নাও একবার রাকা।আমাদের সংসারটা বেঁচে যাবে।
রাশেলের কথা শুনতে শুনতে আমার মনটা বেশ উদাস হয়ে গেল।তবুও মুখে জোর করে হাসি টেনে বললাম,
–ধুরর তুমি এতো চিন্তা করো না,আমরা ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে।আম্মা বলছে দেখেই কি ডিভোর্স করিয়ে দিবে নাকি বোকা।ঐটা তো আমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছে।
–রাকা,তুমি আমার মাকে চেনো না,উনি যা বলেন তাই করেন।আমার ভয়টা এখানেই রাকা,উনি কোনো আদেশ করলে আমি ফেলতে পারবো না….
রাকা প্লিজ তুমি মা’র কথাটা মেনে নাও না।
আমি এবার বেশ বিরক্তও হলাম আবার একই সাথে নিজেকে খুব অসহায়ও লাগতে লাগলো।আর কত বুঝাবো আমি এদের,আর কত!
–রাশেল,তুমি তো বাবা কিংবা তোমার মা তো দাদী তাই হয়তো এই বাচ্চার প্রতি টানটা তোমাদের মধ্যে অতটা নাই যতটা আমার মধ্যে আছে।
আমি তো মা,ওকে আমি প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহুর্তে আমার নিজের মধ্যে অনুভব করেছি,এখনো করি।ওর তিলে তিলে বেড়ে উঠা ,ওর নড়াচড়া, ওর অস্তিত্ব আমি অনুভব করি।
আমি কি করে পারি আমার শরীরের মধ্যে বেড়ে উঠা এই ছোট্ট দেহটাকে নিজের থেকে আলাদা রাখতে বলো?
দু’চোখ ভর্তি অভিমান নিয়ে রাশেল আমার থেকে সরে গিয়ে উঠে দাঁড়ালো। দেখতে দেখতে ওর অভিমান ক্রমশ রাগে পরিণত হচ্ছে।একসময় তারস্বরে চেচিয়ে উঠলো,
–তাহলে তুমি শুনবা না?শোনবা না আমার কথা?তোমার কথাই কথা,তোমার জেদই জেদ?
তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে রাজী আছো তাইনা?
আচ্ছা,আচ্ছা ঠিক আছে তবে তাই হবে।তাই হবে…
বলতে বলতে ঘর ছেড়ে বের হয়ে যায় রাশেল।আমি রাশেলের যাওয়ার পানে চেয়ে চুপ করে বসেই রইলাম।আমার পিছুটান আমার সন্তান,রাশেলের পিছুটান রাশেলের মা।
আর এই বিপরীত পিছুটানই আমাদের আলাদা করে দিচ্ছে!
————————–
মনের কোণে কোথাও একটা আশা ছিল,হয়তো শাশুড়ী আমার ঘরটা ভাঙবেন না।
কিন্তু সেই আশার প্রদীপও দপ করে নিভে গেল রাতের বেলায় শুয়ে শুয়ে যখন শাশুড়ী মাকে উঠানে দাঁড়িয়ে ফোনে জোরে জোরে উকিল সাহেবের সাথে কথা বলতে শুনছিলাম।।শাশুড়ী উকিলকে কালই একবার চক্কর লাগাতে বলছে আমাদের বাড়িতে!
মেঝেতেই রাশেল শুয়ে আছে,সেও নিশ্চয়ই শুনছে মায়ের এসব কথা!কিন্তু তার কোনো প্রকার ভাবাবেগে প্রকাশ পেলো না।
আমার হাতে এখন ২টা পথ খোলা,
১.আমাকে আমার সন্তানের খাতিরে এই সংসার ত্যাগ করতে হবে।
২.আমার শাশুড়ীর কথা মেনে নিয়ে এই সংসারের মায়ায় পড়ে আমার সন্তানকে ত্যাগ করতে হবে।
আমি চাইলেই আমার সংসার বাঁচাতে পারি।কিন্তু এভাবে আর কতদিন?শাশুড়ীর এই অন্যায় আর কতকাল কে সহ্য করবে?একে একে আমার ৪জন জা’ই মুখ বুঝে সহ্য করে গেছে,আমিও কি তাই করবো?
পরের বার যে আমার গর্ভে ছেলেই আসবে এমনও তো গ্যারান্টি নেই।কেন আমি আমার শাশুড়ীর এই অন্ধ গোঁড়ামি কে প্রশয় দিব!
নাহ্,আমি হার মানবো না।যা হবার হোক,আমার মনে আরও বেশি করে জেদ চেপে বসলো….।
চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি।হঠাৎ আমার মাথায় একটা একটা চিন্তা খেলে গেল।
একটু পরেই খুশিতে মনটা ভরে উঠলো।যাক আপাততঃ আমি মনে হয় তালাকটা আটকাতে পারবো।
———————–
পরদিন সকাল হতেই রাশেল নাস্তা না করেই দোকানে চলে গেল।আমি বেশ বুঝতে পারি,আমার মুখোমুখি খুব একটা হতে চায়না বলেই রাশেল আজকাল বেশিরভাগ সময় দোকানেই কাটিয়ে দেয়।
এদিকে আমি উঠে স্বাভাবিক ভাবে ঘরের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে লাগলাম।
আমার জা’য়েরা আমার দিকে একটু পরপর আড়চোখে তাকাচ্ছে আর যে যার মতো কাজ করছে।
তাদের মুখভঙ্গি দেখে বুঝতে পারলাম,তারা হয়তো আশা করেনি যে মেয়ের কপালে দুইদিন পরেই তালাকনামার কাগজ ছুড়ে মারা হবে,সেই মেয়ে শোক পালন করা বাদ দিয়ে সকাল সকাল সংসারে নিত্যদিনের কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে যাবে।যাইহোক,আমি এদিক সেদিক মনোযোগ না দিয়ে ভাবলেশহীনভাবে রুটি বেলে যাচ্ছিলাম।
একটু পরেই রান্নাঘরে আসলেন আমার শাশুড়ী। রান্নাঘরে আমাকে দেখে যেনো তিনিও একটু থমকে গেলেন।নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,
–এই মাইয়া,তুমি এহানে কি করো?যাও ঘরে যাইয়া নিজের মালছাপানা গুছাও।একটু পরে উকিল আইবো তোমার ভাগ্যের চাক্কা বদলাইতে।
শাশুড়ীর কথা শুনে আমি হাত ঝাড়তে ঝাড়তে উঠে দাঁড়ালাম।তারপর স্থির চোখে শাশুড়ীর দিকে তাকিয়ে বেশ শান্ত গলায় বললাম,
–ঠিক আছে আম্মা।আমি মালছাপানা নিয়ে রেডি হচ্ছি।আপনিও নগদ বিশ লাখ নিয়ে রেডি থাকেন।
ঐ যে মোহরানার টাকা আর কি….!
–কত্ত?কত বললা তুমি ছোড বউমা!
শাশুড়ীর চোখ যেনো ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
আমি আবারও রিপিট করে উনাকে টাকার অঙ্কটা শুনিয়ে দিলাম।
উনি উত্তেজিত হয়ে,কোমরে গুজা ফোনটা বের করে রাশেলকে কল দিয়ে দ্রুত বাড়িতে আসতে বললেন।
আমার শাশুড়ীর ধারণা আমি মিথ্যা বলছি,তাই নিজের ছেলের কাছ থেকেই উনি নিজ কানে শুনে নিতে চান।
আসলে আমরা যখন কোর্ট ম্যারেজ করি,তখন রাশেলই বুদ্ধি করে বিশ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে।ওর চিন্তা ছিল,যদি মা আমাদের বিয়েটা না মেনে নেন,যদি আলাদা করার কথা চিন্তাও করেন তাহলে যেনো অত্যন্ত টাকার জন্য হলেও তিনি সম্পর্কটা মেনে নেন।
আমরা বিয়ে করে আসার পর,কিছুদিন আমাদের উপর বেশ ঝড়-ঝাপটা গেলেও আমাদেরকে আলাদা করার কথা শাশুড়ী তুলেনি।তাই কাবিনের টাকার পরিমাণও তখন তুলে ধরার প্রয়োজন হয়নি।
কে জানতো রাশেলের সেই বুদ্ধিটাই আজ তিন বছর পর এসে কাজে লেগে যাবে!
বিশ লাখ টাকা দেবার মতো সামর্থ্য আমার শাশুড়ীর এখনো হয়নি,তা আমি জোর দিয়ে বলবো না।
কিন্তু এইটুকু শিউর ছিলাম,আমাকে তার ছেলের থেকে আলাদা করতে অত্যন্ত তিনি এতোগুলা টাকা কিছুতেই খরচা করবেন না।
আল্লাহর রহমতে উনার তো নাতির কোনো অভাব নাই,ত আমার একার জন্য ওদের হক উনি নষ্ট করবেন না যে সেটা জানা ছিল।
আর এতোগুলো টাকা খরচের যন্ত্রণা আমাকে সহ্য করার যন্ত্রণার চেয়ে অনেক অনেক বেশিই হবে উনার কাছে।
সব শুনে চিন্তাভাবনা করে তালাকের ব্যাপারটা তখনকার মতো মাটিচাপা দিয়ে দিলেন শাশুড়ী। উকিলকে ফোন করে আসতে নিষেধ করলেন।বললেন,”বোঝাপড়া হয়ে গেছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ”
———————–
আমার যেনো দুঃখের দিনগুলো শেষই হচ্ছিল না।একের পর এক অঘটন ঘটেই যাচ্ছে আমার সাথে।একটা শেষ হতেই অন্যটা শুরু,
পরদিন দুপুরবেলায় গোসল করে পুকুর থেকে আসার সময় ঘাটেই বেকাঁয়দায় পা পিছলে পড়ে গেলাম।
কোনো রকমে গাছের একটা শিকড় দুহাতে আঁকড়ে ধরে রইলাম।কোনোভাবে আমার হাতটা যদি ছুটে যায় তো নিচেই আছে শ্যাওলা মাখা চোখা চোখা ইট, পাথর, গাছের গুঁড়ি;সেগুলো উপর দিয়ে স্লিপ করতে করতে পুকুরে পড়বো!
বারবার উঠতে চেয়েও পারছিলাম না,পা ফসকে যাচ্ছিল।
আমি চিৎকার করে ডাকতে লাগলাম সবাইকে।কিন্তু একটা মানুষও এলো না।
পুকুরটা ভিতর বাড়ী থেকে একটু দূরেই,কিন্তু এতো জোরে চিৎকার করে ডাকছিলাম যে শুনতে না পাওয়ারও কথা না।বিশেষ করে আমার শাশুড়ীর ঘরটা সবচেয়ে প্রথমে,উনার নিশ্চয়ই শুনতে পাওয়ার কথা আমার চিৎকার।কিন্তু আফসোস, কেউই আসলো না আমাকে বাঁচাতে।
।
এদিকে পেটের মধ্যে চাপ পড়ায় প্রচন্ড ব্যাথাও লাগছিল।গাছের শিকড় ধরে রাখতে রাখতে আমার হাত ব্যাথায় অবশ হয়ে কাঁপতে শুরু করলো।
যেকোনো সময়েই হাতটা ছুটে যেতে পারে।ভয়ে আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম,”আল্লাহ,আমার সন্তানটার যেনো কিছু না হয়!”
আর পারলাম না,একসময় হাতটা ছুটেই গেল আমার।আর সাথে সাথেই অনুভব করলাম একটা পুরুষালি হাত আমার ছুটে যাওয়া হাতটাকে তৎপরতা সাথে শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছে।তারপর টেনে উপরে তুলে আনলো।
আমি বুকভরে বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে তাকালাম।
#চলবে