#আগুনের_তৃষ্ণা
#Maishara_Jahan
Part………..8
এক জন ফোনে বলছে,,,, আজকেই যেনো মারু নামের মেয়ে এই দুনিয়া থেকে সরে যায়,আজ যেনো বাঁচতে না পারে, যতো টাকা লাগে আমি দিবো, আর হ্যাঁ শুধু যার ছবি পাঠিয়েছি তাকেই শেষ করবে, অন্য কারো ক্ষতি করলে তোদের ঐখানেই শেষ করে দিবো।আর মারুকে বেশি কষ্ট দিয়ে মারলেও তোদের খবর আছে।
ফোনের ওপাশ থেকে একজন বলছে,,,, ওকে স্যার,,,(সাইকো মনে হয়)
মারু সেই কখন ধরে অয়নের অপেক্ষা করছে। বিকেলে গাড়ির আওয়াজ পেয়েই আমি এক দৌড় দিয়ে দরজার সামনে। বেলের আওয়াজ দেওয়ার সাথে সাথে দরজা খুলে ফেলি।
অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলে,,,,, কি ব্যাপার আজকে বেল বাঝার সাথে সাথে তুমি দরজা খুললে যে, আমার অপেক্ষা করছিলে বুঝি।
আমি সাইড হয়ে বলি,,, হুম আর কার জন্য করবো।
অয়ন ভিতরে আসে, অয়নের হাত খালি দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। অয়ন সোফায় বসে বলে,, নীর আমার জন্য একটু পানি এনে দিবে।
আমি একটা সার্ভেন্টকে বললাম পানি এনে দিতে, অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বললো না। মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, অয়ন আমাকে জিজ্ঞেস করে,,, কি হলো মন খারাপ নাকি, আমি কি কিছু করেছি নাকি নীর।
আমি একটু রাগ আর একটু অভিমানী হয়ে বললাম,,,, না না, আপনি কি কিছু করতে পারেন নাকি, আপনি তো কিছুই করেন না।
অয়ন পানির গ্লাসটা টেবিলে রেখে দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,,, তুমি চাইলে অনেক কিছু করতে পারি, শুধু তুমি অনুমতি দিয়ে তো দেখো।
আমি রাগী ভাবে বললাম,,,, কথায় বলবো না আপনার সাথে, আমি রুমে চলে গেলাম থাকেন আপনি এখানে।
অয়ন দাঁড়িয়ে বলে,,,,, আমি কি সারা দিন এখানেই থাকবো নাকি, আমিও তো রুমে যাবো, মিস ঐটা কিন্তু আমারো রুম।
,,হ্যাঁ তো আসেন, জুরুরি নাকি যে এক রুমে থাকলে কথা বলতে হবে। বলবো না কথা আপনার সাথে।
তখন প্রহর এসে বলে,,,,, কে কার সাথে কথা বলবে না।
অয়ন,,, নীর আমার সাথে কথা বলবে না বলছে।
প্রহর,,,,,, কেনো নীর কি হয়েছে, একটু আগেই তো দেখলাম দৌড়ে লাফিয়ে নিচে আসলে, আমি ভাবলাম কি না কি হয়ে গেছে।
অয়ন হেঁসে বলে,,,আচ্ছা আমাকে দেখার জন্য এতো মরিয়া হয়ে ছিলে।
আমি একটু রাগে বললাম,,,, জ্বী না, আপনাকে দেখতে আমার বয়েই গেছে হুহহ।
প্রহর,,, হুমম এবার বুঝতে পেরেছি, অয়ন তুই মারুর জন্য কোনো ড্রেস আনিস নি।
অয়ন,,, না সাথে করে আনিনি,,
মারু,,, সেটা মনে থাকবে কেনো, হসপিটালে এতো সুন্দর সুন্দর চেহেরা দেখে সব ভুলে গেছে আপনার বন্ধু।
অয়ন,,,,, ওহহ তাহলে এই জন্য মেম এর রাগ হয়েছে।
প্রহর,,,,,, আমি আগেই বলেছিলাম যে, আমি নিয়ে যায়, তোর এতো কাজের মধ্যে কি মনে থাকবে নাকি। আচ্ছা এখনো বেশি লেইট হয়নি তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়েনে আমি মারুকে নিয়ে যাচ্ছি।
আমি একটু অভিমানী কন্ঠে বললাম,,,, কোনো দরকার নেয়, আমার যা আছে তাই পড়ে নিবো।
অয়ন মুশকি হেঁসে বলে,,,সবার বলা হয়ে থাকলে আমি বলি, তুমি ভাবলে কি করে যে আমি তোমার ড্রেস আনবো না, শতো ব্যস্থতার মধ্যেও তোমার কথা আমি কোনো দিন ভুলবো না।
আমি খুশি হয়ে বলি,,,, এনেছেন, কোথাই দেখি।
অয়ন,,,,, সবার আগে গিয়েই আমি তোমার জন্য ড্রেস সিলেক্ট করি, আর সেটা সময় মতো পার্সেল করে দিতে বলে দিয়েছি,একটু পরেই হয়তো দিয়ে যাবে।
আমি খুশি হয়ে লাফ দিয়ে বললাম,,,, সত্যি,, ধন্যবাদ,, আমি জানতাম আপনি ভুলবেন না।
অয়ন,,,,তুমি যে কতোটা জানতে সেটা আমার বুঝা হয়ে গেছে। আচ্ছা এখন চলো পিল্জ ফ্রেশ হতে হবে।
আমি অয়নের এক হাতে বাহু জরিয়ে ধরে বললাম,, চলো।
অয়ন,,,,, আচ্ছা প্রহর তুই থাক আমি আসছি।
প্রহর মুশকি হেঁসে শুধু মাথা নাড়ায়, সে দাঁড়িয়ে তাদের যাওয়া দেখে।
অয়ন রুমে গিয়ে সোজা ওয়াশ রুমে যায়, গিয়ে সাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখে পার্সেল এসে গেছে আর সেই শাড়ীটা আমি আমার উপরে রেখে দেখছি কেমন লাগছে। হঠাৎ করে অয়ন বলে উঠে,,, চিন্তা করো না খারাপ লাগবে না, আজ আমি ঠিক নিহতো হবো।
আমি পিছনে তাকিয়ে অয়নের দিকে তাকিয়ে বলি,,,,, আপনি তো আমার জন্য ড্রেস আনতে গিয়েছিলেন তাহলে শাড়ী নিয়ে আসলেন যে।
অয়ন মাথা মুছতে মুছতে বললো,,,,, একজন আমাকে বলেছিলো যে সে আমাদের বিয়ের পরে যে অনুষ্ঠান হবে সেখানে কালো শাড়ী পড়বে, তার খুব ইচ্ছে তাই নিয়ে আসলাম।
আমি শাড়ীটা বিছানায় ফেলে দিয়ে বললাম,,,, কে বলেছিলো।
অয়ন হেঁসে বলে,,স্বপ্নে বলেছিলো, আর স্বপ্নের মেয়েটাও তুমি, এখন বলো পছন্দ হয়েছে নাকি তোমার জন্য ড্রেস নিয়ে আসতে হবে।
আমি শাড়ীটা নিয়ে বললাম,,,থাক থাক লাগবে না, আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
অয়ন,,,,, তাহলে তো ভালোই, আচ্ছা আরেকটা কথা।
,,কি
,,,শাড়ী পড়ে সবার আগে আমাকে দেখাবে, আমার আগে যেনো অন্য কেও তোমাকে না দেখে।
,,,,, আপনিই আগে দেখবেন কারন আপনি তো রুমে থাকবেন তাই না।
অয়ন দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,,,, আমাকে রুমে রেখে শাড়ী পড়বে, তাহলে আমার কোনো প্রবলেম নেয়।
আমি শাড়ীটা রেখে ওয়াশ রুমে যেতে যেতে বললাম,, আপনি বসে বসে এটার স্বপ্নই দেখতে থাকুন, এটা আর পূরণ হবে না।
,,,কিছু স্বপ্ন পূরণ ও হয় বুঝলা।
,,,,কচু।
সন্ধ্যায় অয়ন কালো কোর্ট, প্যান্ট আর সাদা শার্ট পড়ে নিচে বসে সবার সাথে কথা বলছে। আমি এখানে রেডি হয়ে নিজেকে আয়নায় দেখছি আর লজ্জা পাচ্ছি। অয়ন আমাকে দেখে কি বলবে সেটা ভেবেই আমি লজ্জা পাচ্ছি।
আমি অয়নের মোবাইল এ একটা মেসেজ পাঠায় যে,,, পিল্জ তাড়াতাড়ি আসুন, জরুরি দরকার।
পাঠিয়ে আমি অপেক্ষা করতে থাকি, কিছু ক্ষন পরে দরজা খুলার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকায়, সামনে তাকিয়ে দেখি প্রহর দাঁড়িয়ে আছে। আমি বেশ অনেকটা অভাক হয়।
প্রহর আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে, কোনো এক গভীর ভাবনায় লিপ্ত সে। সে মনে মনে ভাবছে,,,তোমাকে দেখে মনে থাকা সমস্ত অনুভব যেনো ছুটোছুটি করছে, যে কোনো সময় বেরিয়ে আসতে পারে। এক প্রেমঘোর আমাকে আবদ্ধ করছে বার বার, ছুটানোর চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে। তুমি আমার মনের সেই লুকান্ত ভালোবাসা যেটাকে আমি কোনো দিন ও বের করতে পারিনি।
হঠাৎ করেই অয়ন এসে প্রহরের কাঁধে হাত রেখে বলে,,,কিরে তুই এখানে।
প্রহর তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি অয়ন মারুর দিকে তাকায়, মারু তাড়াতাড়ি বলে,,,আমি আপনাকে মেসেজ দিয়ে ছিলাম আসার জন্য, আপনি আগে আসেননি এতে আমার কি দোষ।
প্রহর,,,,, সরি,, আসলে অয়নের ফোন আমার কাছে ছিলো, তুমি মেসেজ দিয়ে যে জরুরি দরকার তাই ভাবলাম কিছু হলো নাকি, আবার অয়নকেও পাচ্ছিলাম না, তাই নিজেই চেক করতে চলে এলাম।
অয়ন,,,,, আমি সায়ন এর রুমে ছিলাম, ওর দরকার ছিলো,, আর এতো বুঝিয়ে বলতে হবে না আমাকে, আমি বুঝেছি।
আমি মন খারাপ করে বলি,,,কিন্তু আপনি তো বলেছেন
আমাকে আগে দেখবেন।
অয়ন,,,,,, হুমম বলেছিলাম, এটা হয়নি তো কি হয়েছে তুমি তো আমারি, যতো খুশি দেখে নিবো কি বলো।
প্রহর মন খারাপ করে বলে,,,,, আমি আসি তোরা কথা বল।
বলে প্রহর চলে যায়, অয়ন আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে,,, চলো না আমরা আরেক বার বিয়ে করি৷
,,মানে
অয়ন আমার আরেকটু কাছে এসে তার দু হাত আমার কাঁধে রেখে বলে,,, মানে হলো যে, তোমাকে এভাবে দেখে আমার আবার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে। চলো না পালিয়ে যায়।
,,পাগল আপনি, পালিয়ে গিয়ে কি করবো, এখানে সবাই আমাদের বিয়েতে রাজি।
,,, ওহহ আচ্ছা, তার মানে আমাকে বিয়ে করার মত আছে আপনার।
,,,বিয়ে তো হয়েই গেলো।
,,,, হুমম শুধু বাসর রাতটা বাদে সব হয়ে গেলো।
আমি অয়নের হাত ছাড়িয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলি,,,, সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, আমাদের এখন যাওয়া উচিত।
,,হুমম এখন তো কথা ঘুড়াবেই, সবি কপাল, ঠিক আছে চলো।
দুজনে এক সাথে যায়৷ সায়ন সেখানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে,,, এক্সকিউজ মি গাইজ,,এরা হলো নতুন দম্পতি, আমার ভাই আর ভাবি। কিছু দিন আগেই তাদের বিয়ে হয়েছে, একটা বিষেশ কারনে আপনাদের বিয়েতে আমন্ত্রণ করতে পারি নি, তাই এই ব্যবস্থা, আশা করি সবাই এই নতুন দম্পতিকে দোয়া দিবেন, যাতে সারা জীবন সুখি থাকতে পারে আর কারো নজর না লাগে ধন্যবাদ।
সবাই হাত তালি দেয়। অয়ন মারু সবার সাথে কথা বলছে, হঠাৎ করেই সায়ন আমাদের দুজনের হাত ধরে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়,একটা রোমান্টিক গান বাজানো হয়, আমি আর অয়ন ডান্স করছি সাথে অন্যরাও কাপাল ডান্স করছে।
প্রহর দাঁড়িয়ে বিয়ারের গ্লাস শেষ করছে। অয়ন আর মারুর দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়। একটু পর অয়ন একটা মেয়েকে আসতে দেখে অয়ন ইশারা করে প্রহরকে দেখায়। মেয়েটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর।
মেয়েটা প্রহরের কাছে গিয়ে বলে,,,, হায় প্রহর।
প্রহর তাকিয়ে বলে,,,, কে আপনি।
মেয়েটা মুশকি হেঁসে বলে,,,,আমি আপনার অনেক বড় পাখা।
,,পাখা মানে।
,,,মানে ফেন, আপনার সব বই, কবিতা আমি পড়ি, আর আপনার ছবি আঁকার প্রশংসা না করে তো থাকাই যাবে না।
,,হুমম সো আমার এই পাখার নামটা কি।
হাত বাড়িয়ে বলে,,,আমার নাম স্নেহা।
প্রহর ও হাত মিলায়।
স্নেহা এখনে হাত বাড়িয়ে রেখেছে, প্রহর এটা দেখে স্নেহার দিকে তাকায়৷ আমি বলি,,পিল্জ ডান্স উইথ মি
,,,আমি ডান্স করতে পারি না সরি।
,,আরে এটা পাড়া লাগে না, আমার সাথে সাথে তাল মিলাবেন তাহলেই হবে।
,,,সরি।
স্নেহা এখনো হাত বাড়িয়ে রেখেছে, প্রহর কিছু ক্ষন এদিক সেদিক তাকিয়ে না পেরে হাত ধরে বলে,,,,আপনি অনেক জেদি দেখা যায়।
,,,হুমম একটু বলতে পারেন।
দুজন ডান্স করতে যায়, মারু আর অয়নকে দেখে মন খারাপ করে ডান্স করছে, স্নেহা বলে,,,,, আপনি এতো কম হাসেন কেনো, হাসলে শরীর সাস্থ ভালো থাকে।
,,,হুমম
,,,আমি আপনার সাথে দেখা করার জন্য কতো চেষ্টা করেছি কিন্তু আপনার তো টাইময়ি হচ্ছিল না। তাই এখানে চলে এলাম।
,,,, কিভাবে।
,,,, আরে আপনার প্রতি বই বা কবিতা প্রমোট হওয়ার পরেই আমি আপনাকে একটা চিঠি আর গিফট পাঠায়, আপনি হয়তো দেখতেনি না, এবার অয়ন স্যার আমাকে ফোন করে আসতে বলে। তাই চলে আসলাম।
প্রহর রাগী চোখে অয়নের দিকে তাকায়, অয়ন প্রহরকে দেখে একটা হাসি দেয়।
কিছু ক্ষন পর ডান্স শেষ হয়। সবাই আবার নিজের মতো কথা বলতে থাকে। প্রহর স্নেহাকে ইগনোর করার চেষ্টা করতে থাকে যা সম্ভব হচ্ছে না।
একটু পর আমার মাথা ঘুরতে থাকে, হাতে থাকা গ্লাসটা পড়ে যায়, আমি ওয়াশ রুমের দিকে যেতে নিয় দুটো ওয়েটার আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কোনো একটা ইনজেকশন সবার আড়ালে নিয়ে আসছে। আমি দেখে উল্টো দিকে হাঁটতে থাকি, মাথা ঘুড়াচ্ছে তাই ঠিক ভাবে হাঁটতে পারছি না।
কাওকে ডাক দেওয়ার মতো শক্তিও পাচ্ছি না। দুটো ওয়েটার আমাকে ধরে ফেলে, আর ইনজেকশনটা পুশ করে দেয়। আমি নিচে বসে পড়ি। দুজন যেতে নেয় আর কেও একজন মনে হয় দেখে ফেলে, আর কিছু বুঝার আগেই আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।
সায়ন ওদের দেখে বলে,,,কে তোমরা, কি করেছো ভাবীর সাথে, ভাবী নিচে পড়ে আছে কেনো, আর তোমাদের হাতে এটা কি।
বলে জোরে জোরে সবাইকে ডাকা শুরু করে দেয়।দুজন পালাতে যায়, সায়ন কোনো রকমে আটকাচ্ছে।
প্রহর আর অয়ন ও চলে আসে। তাদের ধরে ফেলে, অয়ন তাড়াতাড়ি মারুকে চেক করে, মারুর শরীরে কোনো ঘুমের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে।
অয়ন,,,, নীরকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিতে হবে, এদের ব্যবস্থা তো পড়ে করছি।
বলে মারুকে কোলে করে নিয়ে যেতে নেয়, আরেকজন এসে অয়নের উপর গুলি চালাতে নেয় প্রহর অয়নকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়, আরেকটুর জন্য প্রহরের গায়ে লাগেনি।
আরো কয়েক জন এসে পড়ে, অয়ন সায়ন আর প্রহর তাদের সাথে মারামারি করতে থাকে, একটু পরে গার্ডরা চলে আসে, একজন মারুর দিকে গুলি করে মারু নিচে পড়ে ছিলো,,,
#আগুনের_তৃষ্ণা
#Maishara_Jahan
Part………..9
আরো কয়েক জন এসে পড়ে, অয়ন সায়ন আর প্রহর তাদের সাথে মারামারি করতে থাকে, একটু পরে গার্ডরা চলে আসে, একজন মারুর দিকে গুলি করে মারু নিচে পড়ে ছিলো,,,
সায়ন এসে মারুকে সরাতে নেয় আর গুলি সায়নের বাহু ছুঁয়ে যায়। সায়ন ব্যাথায় মাটিতে পড়ে যায়। হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে। গার্ডরা ঐ লোকটিকে ধরে। অয়ন আর প্রহর দৌড়ে যায়। অয়ন সায়নের হাত ধরে বলে,,, ঠিক আছিস তো।
সায়ন,,,,,ভাই আমি ঠিক আছি, তুমি আগে ভাবীকে দেখো।
প্রহর সায়নকে ধরে বলে,,,,তুই মারুকে নিয়ে আয় আমি সায়নকে ধরছি।
অয়ন মারুকে কোলে করে গাড়িয়ে উঠায় আর প্রহর সায়নকে ধরে গাড়িতে বসে। অয়ন তাড়াতাড়ি গাড়ি চালিয়ে হসপিটালে যায়। মারুকে বেডে শুয়িয়ে ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে আর সায়নকে অন্য রুমে একজন মেয়ে ডক্টর ব্যান্ডেস করে দিচ্ছে।
ড.একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছেন, আরেকটু হলেই গুলি ভিতরে ডুকে যেতো, আচ্ছা আপনি কি পুলিশ।
সায়ন,,,,, না
মেয়েটা মন খারাপ করে বলে,,,তাহলে কি গুন্ডা।
সায়ন ব্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে বলে,,,মানে।
,,, না মানে গুলি লেগেছে আর গুলি কাদের লাগে হয়তো পুলিশ না হলে গুন্ডাদের।
,,,, কোথায় লেখা আছে যে গুলি শুধু পুলিশ আর গুন্ডাদের লাগে। আর আমাদের বাসায় কিছু ডাকাত ডুকে গেছিলো,বাকিটা আপনাদের যে ড.অয়ন আছে তার কাছ থেকে জেনে নিবেন আমি তার ছোট ভাই।
মেয়েটা খুশি হয়ে বলে,,, ওহহ তাহলে তো মনে হয় ভালোই হবেন আপনি, যাক ভালোই হয়েছে।
সায়ন,,,,, মানে
,,,মানেটা হলে কিছু না,, আমি আলো, কিছুদিন আগেই ডক্টর হয়েছি।
সায়ন,,,,,,হুমম কংগ্রাচুলেশনস।
,, ধন্যবাদ, আচ্ছা আরেকটা কথা।
,,,আর কোনো কথা বলার কোনো দরকার নেয় ব্যান্ডেস করা হয়ে গেছে সো এখন আমাকে যেতে দিন, মেডিসিন সব ভাইয়া দিয়ে দিবে, সো থ্যাংস মিস্ আলো।
বলে উঠে চলে যায়, আলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুশকি হেঁসে বলে,,,,,রাগ ও আছে দেখা যায়,আলো জীবনের প্রথম কাওকে তোর ভালো লেগেছে এতো সহজে কিভাবে ছাড়বি। মিঃ সায়ন খান তোমার লাইফে আমি এন্ট্রি নিয়েছি, দেখবো কিভাবে পালাও আমার থেকে।
সায়ন প্রহরের কাছে যায়, গিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,, ভাবীর কি অবস্থা।
প্রহর চিন্তিত হয়ে বলে,,,,,যানি না, অয়ন এখনো তো এসে কিছু বলেনি।
একটু পর অয়ন আসে, অয়ন আসতেই সায়ন আর প্রহর অয়নের কাছে দৌড়ে যায়, গিয়ে বলে,,, মারুর কি অবস্থারে।
অয়ন,,,,,, এখন ঠিক আছে,, ঘুমাচ্ছে। কাল সকালে একদম ঠিক হয়ে যাবে। সায়ন তুই ঠিক আছিস তো।
সায়ন,,,, আরে ভাই আমার কিছুই হয়নি। আমি একদম ঠিক আছি।
সামনে থেকে আলো আসে। সায়ন আলোকে দেখে জিজ্ঞেস করে,,, আপনি এখানে কেনো এসেছেন।
আলো মুশকি হেঁসে বলে,,,, আপনার ব্যাথা কমানোর জন্য।
অয়ন আর প্রহর আলো আর সায়নের দিকে সন্দেহর নজরে তাকায়। সায়ন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,,,,,,, মানেহহ।
আলো তাড়াহুড়ো করে বলে,,,,,, আরে মানে আপনি তো পেইন কিলার না নিয়েই চলে এসেছেন, তাহলে ব্যাথা কমবে কিভাবে, এই দেখেন আমি আপনার জন্য ইনজেকশন সাথে করে নিয়ে এসেছি।
সায়ন,,,, না আমি কোনো ইনজেকশন টিনজেকশন দিতে পারবো না।
অয়ন,,,,,, পারবি না, মানে কি দিতে হবে।
আলো চাপা হাসি দিয়ে বলে,,,,আপনি ইনজেকশন এ ভয় পান।
সায়ন বিরক্তি নিয়ে বলে,,,আমাকে দেখে মনে হয় যে, আমি ভয় পায়।
আলো,,,,, হুমম মনে হয়।
প্রহর আর অয়ন হেঁসে দিয়ে আবার থেমে যায়। সায়ন রাগে বলে,,,আমি ভয় পায় না,, ঠিক দিন আপনি।
হাতটা এগিয়ে দিয়ে অন্য দিকে ঘুরে যায়। আলো এখনি দিবো, এখনি দিবো করতে করতে ইনজেকশন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আর সায়ন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আলে হেঁসে দিয়ে বলে,,, হয়েছে আর ভয় পেতে হবে না ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।
সায়ন তাকিয়ে বলে,,,, হয়ে গেছে।
আলো,,,,,হুমম,কাল আবার আসবেন কিন্তু চেকাপ করাতে।
সায়ন,,,,,, কোনো দরকার নেয়, আমার বাড়িতে অলরেডি একটা ডক্টর আছে আর দরকার হবে না।
আলো,,,,, আরে পরিবারে দুইজন ডক্টর থাকলে বেশি ভালো হয়।
সবাই আলোর দিকে এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে আছে। আলো হালকা হেঁসে বলে,,, আমার কাজ আছে আমি এখন যায়, পরে কথা হবে।
বলে তাড়াতাড়ি করে চলে যায়। সায়ন অয়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,তোমাদের এখানে সব পাগল ডক্টর নাকি।
অয়ন,,,,ঐটা পাগল না ঐটা পাগলী। আগে ছিলো না তবে এখনেরটা জানি না। তবে মেয়েটা কিন্তু ভালো আছে। আচ্ছা প্রহর তুই গাড়ি বের কর আমি মারুকে নিয়ে বাসায় যাবো। ও হসপিটালের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
সায়ন,,,কিন্তু ভাবী তো ঘুমাচ্ছে।
অয়ন,,,কিন্তু আমি তো জেগে আছি। প্রহর গাড়ি বের কর।
প্রহর,,,,,হুমম ঠিক আছে।
অয়ন মারুকে ঘরে এনে শুয়িয়ে দেয়। কিছু ক্ষন তাকিয়ে থেকে তারপর কপালে একটা আদরের পরশ দিয়ে রুম থেকে রাগে বেরিয়ে যায়। সোজা প্রহরের রুমে যায়, গিয়ে বলে,,,,,যাদের আটকানো হয়েছে তাড়া কোথায়, ওদের আমি ছাড়বো না।
প্রহর,,,,,, পুলিশ এসে নিয়ে গেছে। তারা জিজ্ঞাসা করছে।
,,,ওদের পুলিশের হাতে কেনো দিলি, ওদের এমন অত্যাচার করতাম যে ওর বসের নাম ঠিকি বলে দিতো।
প্রহর,,,,, ওদের কম অত্যাচার করা হচ্ছে না, কিন্তু ওরা শুধু একটা কথায় বলছে যে ওরা জানে না কে মারতে চাই মারুকে, ওরা শুধু ফোনে কথা বলেছে৷ কোনো প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না।
,,,ওদের আমি ছাড়বো না, চল এখন।
,,, অয়ন রাগ করে লাভ নেয়, ওরা কিছু জানে না, আর রাত অনেক হয়েছে গিয়ে শুয়ে পড়।
,,,,নিজেকে ঠান্ডা করতে পারছি না, রাগ হচ্ছে অনেক।
,,,ঠান্ডা কর,, যে এসব করেছে তাকে খুঁজে বের করে এমন অবস্থা করবো যে কল্পনাও করতে পারবে না। এখন যা গিয়ে শুয়ে পড়।
,,হুমম।
অয়ন বাহিরে চলে যায়, রুমে যেতে নিয়ে সায়নের রুম থেকে কথা বলার শব্দ আসে। অয়ন দেখতে যায়, দরজা একটু ফাঁক করে দেখে সায়ন দাঁড়িয়ে কথা বলছে। সায়ন বলছে,,,আরে আমার তেমন কিছু হয়নি, জান রাগ করো না, আরে বুজার চেষ্টা করো।
এগুলো বলতে নিয়ে পিছনে তাকায়, তাকিয়ে দেখে কাওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সায়ন একটু সামনে এসে বলে,,,,কে।
অয়ন দরজা খুলে ভিতরে আসে, এসে বলে,,,আমি,, তুই একটা একটা বকবক করছিলি।
সায়ন তার কানের দিকে ইশারা করে ইয়ার ফোন দেখিয়ে বলে,,, আমাকে কি পাগল মনে হয়, যে আমি একা একা বকবক করবো।
অয়ন,,,,কার সাথে এতো রাতে কথা বলছিলি, আর জান টান কিছু শুনলাম মনে হলো, কে রাগ করে আছে।
,,আরে ভাই তুমিও না কি থেকে কি শুনো,, আমি বলছিলাম যে, আমি কিছু দিন অফিসে ঠিক করে মন দিতে পারবো না, আর তোরা ঘুরতে যাওয়ার কথা বলিস, আমি যেতে পারবো না তাই রাগ করে লাভ নেয়, আর আপনারা যান আমি অন্য কোনো দিন যাবো।
,,,কোথায় যাওয়ার কথা হচ্ছে।
,,,,ঐ আরকি বন্ধুরা মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছিলো।
,,,ওহহ আচ্ছা,, এই অবস্থায় কোথাও যাওয়ার দরকার নেয়, আর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়।
,,,,জ্বী ভাই। আর ভাই ঐ গুন্ডাদের কি হলো,ওরা কিছু বলেছে।
,,, কিছু বলেনি।
,,আরে দূর ওদের আমার হাতে তুলে দাও, আমি ওদের এমন ডিম থেরাপি দিবো যে না বলে থাকতে পারবে না।
,,,আমি দেখে নিবো, তুই ঘুমিয়ে পড়।
,,,হুমম ওকে।
অয়ন গিয়ে মারুর পাশে মারুকে জরিয়ে ধরে, বেশি শক্ত করে ধরে না, শুধু মারুর গলার কাছে মুখ রেখে এক হাত মারুর উপরে রাখে। কারন মারুর হাতে সেলাইন দেওয়া তাই বেশি নড়াচড়া করা যাবে না।
অয়ন মারুর দিকে তাকিয়ে বলে,,,, সবাই শুধু অগুন থেকে তার তৃষ্ণাকে নিতে চাই কিন্তু কেনো। ওরা কেনো বুঝে না অয়ন নীরকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। যারা আমাদের আলাদা করতে চাই তাদের আমি রাখবো না। বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায়। কালকেই তোমাকে নিয়ে আমি আমাদের স্বপ্নের দেশে যাবো, সেখানে গিয়ে আমি আমাদের কাহিনি শুনাবো তোমাকে,যদি সম্ভব হয়। কারন তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমি আর থাকতে পারছি না নীর। কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি।
সকালে আমি একটু চোখ খুলে আবার বন্ধ করে ফেলি, মনে হচ্ছে ঘুম এখনো ছাড়েনি, কিন্তু জালানার পর্দার ফাঁক দিয়ে আসা আলো আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে না, চোখে লাগছে। অন্য দিক হয়ে ফিরতে নেয়, আর হাতে ব্যাথা অনুভব করে উঠে বসে পড়ি। চোখ খুলে হাতের দিকে তাকিয়ে দিয় জোরে চিৎকার।
আমার চিৎকারের আওয়াজে অয়ন লাফ দিয়ে উঠে বলে,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে।
আমি জোরে চিৎকার দিয়ে কান্না করে বলি,,,, আমার হাতের ভিতরে এতো বড়ো সুচ ঢুকানো কেনো, বের করো, বের করো বলছি, আআআআ।
অয়ন,,,,আরে এতে এতো চিৎকার করার কি আছে, আমি এখনি বের করে দিচ্ছি।আর এতো ছটফট করো না তো।
অয়ন বের করার জন্য হাত বাড়ায় তখন আমি ভয়ে দেয় আরেকটা চিৎকার, নাআআআ বলে। অয়ন ভয়ে বলে,,, কি হলো, এখনো বের করি নাই।
,, না আপনি হাত লাগাবেন না এখানে, আমি ব্যাথা পাবো।
,, আরে হাত না লাগালে বের করবো কিভাবে।
আনি কান্না করে দিয়ে বললাম,,,,,, নাআআ আমি জানি না, আপনি এটাকে বের করুন তাড়াতাড়ি কিন্তু হাত লাগাবেন না।
অয়ন,,, আরে অদ্ভুত জ্বালা,, বের করতে হবে আর হাত ও লাগানো যাবে না৷ এটা কি তুমি কাচঁ পেয়েছো যে, ঢুকে গেছো মুখ লাগিয়ে বের করে দিবো, এটা সুচ হাত দিয়েই বের করতে হবে, আর আমি কোনো জাদুকর না, বের করতে দাও আমাকে।
,,, নাআআআ নাআআআ।
দরজায় সবাই ডাকাডাকি করছে। অয়ন দরজা খুলতেই প্রহর সায়ন বাবা মা সবাই হাজির। সবাই চিন্তিত হয়ে বলে,,,, কি হয়েছে এতো চিৎকার চেচামেচি কেনো।
অয়ন সবাইকে সবটা বলে, সবাই আমাকে বুঝাতে থাকে, কিন্তু আমি বুঝতে রাজি না। এবার অয়ন ধমক দিয়ে বলে,, চুপচাপ বসে থাকো, আর নড়াচড়া করলে খবর আছি, আমি এটা বের করছি।
আমি কিছু বলতে নিলেই আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়। আমি চুপচাপ বসে আছি আমার পাশে প্রহর বসে আর সামনে সায়ন দাঁড়িয়ে আছে।
অয়ন আমার হাত ধরে সুচ বার করার জন্য, আমি প্রহরের কাঁধ চেপে ধরি, সুচ বার করে আর আমি জোরে চিৎকার দিয়, সাথে সায়ন ও চিৎকার করে উঠে আর আমাদের চিৎকার শুনে প্রহর ও চিৎকার করে উঠে।
অয়ন ধমক দিয়ে বলে,,,, চুপ সবাই,, সুচ বের করে দিয়েছি।
সবাই আমরা চুপ হয়ে যায়, অয়ন সায়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,, তুই কেনে চিৎকার করেছিস।
,,, আরে ভাই এতো বড়ো সুচ ঢুকিয়েছিস। দেখেই কেমন লাগে।
অয়ন এক ব্রু উঠিয়ে প্রহরের দিকে তাকায়,, প্রহর হেঁসে বলে,, ওদের চিৎকার শুনে বেরিয়ে গেছিলো।
অয়ন,,,,,আল্লাহ আমার বাসায় নমুনার অভাব নেয়।
বলে ওয়াশ রুমে যায়। সায়ন বলে,, ও কি আমাদের নমুনা বললো।
প্রহর,,,, আমাদের না তোকে বলেছে।
আমি সায়নের ব্যান্ডেস দেখে বলি,,, তোমার হাতে কি হয়েছে, আর হ্যাঁ কাল রাতে কি হয়েছিলো, আমার তো মনেই নেয়, বলো পিল্জ।
প্রহর আমাকে সব কিছু বলে, আমি সায়নের দিকে তাকিয়ে বলি,,, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে তোমার এই অবস্থা, তোমার এই ঋণ আমি কি,,,
সায়ন,,,ভাবী আর কিছু বলেন না, ভাবী মানে মায়ের মতো, তাহলে আমি আপনাকে কিছু কিভাবে হতে দিতে পারি। আচ্ছা আমি এখন আসি আর প্রহর ভাইয়া তুমিও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।
প্রহর,,,হুমম।
সবাই চলে যায়, সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচে নাস্তা করার জন্য আসে। অয়ন সবাইকে বলে,,, আজ রাতে আমাদের ফ্লাইট আছে, আমরা কিছু দিনের জন্য ঘুরতে যাবো।
মারু,,,, আজ, আমি তো কিছু প্যাকিং করিনি।
অয়ন,,,,, টাইম আছে করে নিয়ো।
মারু,,, কিছু শপিং ও করা লাগতো সমুদ্রে যাবো।
অয়ন,,,, বেশি কিছু নেওয়ার দরকার নেয়, আমরা ওখানে গিয়ে শপিং করে নিবো।
প্রহর,,,,,, কিন্তু এই সময় তোরা ঘুরতে যাবি, যদি কোনো প্রবলেম হয় তাহলে, যাওয়ার দরকার নেয়।
অয়ন,,,, এবার আমি পুরো প্রটেক্ট নিয়ে যাবো সো চিন্তা করিস না।
সায়ন একটু দুঃখী চেহেরা করে বলে,, ভাবী আমাদের একা ফেলে চলে যাবে।
মারু,,,, তোমরাও চলো, সবাই গেলে মজা হবে অনেক।
সায়ন হেঁসে দিয়ে বলে,,,, হানিমুনে দেবরকে নিয়ে গেছে আমাদের জুনিয়র অয়ন আসবে কিভাবে।
লজ্জায় আমি মাথা নিচু করে ফেলি, অয়ন সায়নকে ধমক দিয়ে বলে,,, সবার সামনে কি বলছিস, মার খাওয়ার ইচ্ছে আছে।
সায়ন,,,, না চাচ্চু শুনার ইচ্ছে আছে হিহিহি।
সবাই হাসা হাসি করে প্রহর চুপচাপ মাথা নিচু করে খাবার খাচ্ছে আর কিছু একটা ভাবছে।
চলবে,,,,,,,,,