ভয়ংকর প্রণয় পর্ব ২+৩

#ভয়ংকর_প্রণয়
Part_2 + 3
লেখনীতে_#Nusrat_Hossain

নাফিয়া মনে একদফা ভয় নিয়ে গুটিগুটি পায়ে তাদের তিনতলা বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল ।সে যে-ই না বাড়ির ভেতরে ঢুকতে যাবে অমনি তার বাবা আজম খাঁন দরজার সামনে এসে দাঁড়াল ।
নাফিয়া মিনমিনে গলায় বলল

কোনো রিকশা পাইনি তাই দেরি হয়ে গেছে ।

আজম খাঁন নাফিয়ার দিকে ক্রুব্ধ চোখে তাকিয়ে থেকে দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিলেন ।দরজা লাগানোর শব্দে নাফিয়া একটু কেঁপে উঠল ।
নাফিয়া মাথা নিঁচু করে বাড়ির বড় উঠোনটায় দাঁড়িয়ে আছে ।সত্যি সত্যি কি তাহলে বাবা তাকে ভেতরে ঢুকতে দিবেনা ? সারা-রাত কি তাকে বাহিরেই দাঁড় করিয়ে রাখবে ? নাফিয়া চোখ ঘুরিয়ে উঠোনের চারপাশে তাকাল ।বাডির উঠোনের একদিকে ফলমূলের গাছ দিয়ে ভরা ।তাদের বাড়িতে কোনো ফুলগাছ নেই কারন তার বাবা ফুল পছন্দ করেনা ।হঠাৎ তার একটা ঘটনার কথা মনে পরে গেল ।যখন সে নাইনে ছিল স্কুল থেকে ফেরার সময় রাস্তার একপাশে অনেকগুলো জবা ফুল পরে ছিল ।তার আবার লাল টকটকে জবা ফুল খুব পছন্দ ।তাই সে একটা জবা ফুল কুড়িয়ে হাতে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিল ।কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত জবা ফুলটা তার বাবার চোখে পরে যায় ।কি মারটা যে দিয়েছিল ভাবলে এখনো নাফিয়ার শরীরের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে ।বাবার ধারনা ছিল ফুলটা তাকে কোনো ছেলে দিয়েছে তাই কোনো কিছু বলার সুযোগটাও দেয়নি তাকে ইচ্ছামত মেরেছিল সেদিন ।ঐদিনের কথা ভাবতেই নাফিয়া আঁতকে উঠল ।হ্ঠাৎ কেউ দরজা খুলে বের হল ।মানুষটাকে দেখতেই নাফিয়ার ঠোটের কোণে হাঁসি ফুঁটে উঠল ।মানুষটা আর কেউ না তার মা ফাতেমা আরা ।
তার মা তার সামনে এসে উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করল

ভয় পেয়েছিস ?

নাফিয়া ঠোটের কোণে হাঁসিটা রেখেই জবাব দিল ভয় পায়নি কারন আমি জানতাম আর কেউ না আসলেও তুমি আসবে মা ।

ফাতেমা আরা এবার মুখটা মলিন করে বলল বাবার অমান্যসত্ত্বেও বিয়েতে কেন যেতে গেলি ? তোর বাপ পছন্দ করে না এসব তুই তো জানিস ?কি প্রয়োজন ছিল বিয়েতে যাওয়ার ?

নাফিয়া চোখমুখ কুঁচকে বলে কি প্রয়োজন ছিল মানে ? একজন মানুষ যদি এত অনুরোধ করে বলে বিয়েতে যেতে ।আমি কি দাম দেখিয়ে না করে দিব ?এত দিনের বন্ধুত্বের কি কোনো দাম নেই ?

ফাতেমা আরা মেয়ের কথায় এবার দমে গেলেন ।তিনি তড়িগড়ি করে বলে উঠল

এবার ভেতরে চল ।কেউ দেখে ফেলার আগে নিজের রুমে চলে যা ।
ফাতেমা আরা আর সময় বিলম্ব না করে নিজেই মেয়ের হাত ধরে টেনে বাড়ির ভেতরে নিয়ে এলেন ।ভেতরে ঢুকতেই তাদের দুইজোড়া পা থমকে দাঁড়াল ।আজম খান সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে ।তার সাথে তার বড় ভাই আরিফ খান আর তার দুই ছেলে তনয় , নিলয় বসে আছে আর নাফিয়ার বড় বোনের হাসবেন্ড তোফায়েল বসে আছে ।তিনি হলেন এইবাড়ির ঘরজামাই ।

ফাতেমা আরা তাদেরকে অগ্রাহ্য করে মেয়েকে নিয়ে উপরে যেতে নিলেই আজম খান শান্ত গলায় বলে উঠে

কার অনুমতি নিয়া ওরে ভেতরে ঢুকাইলা ?

ফাতেমা আরা ঢোক গিললেন ।তিনি জানেন স্বামীর রাগ সম্পর্কে ।কিন্তু এখন যেভাবেই হোক মেয়েটাকে স্বামীর ক্রোধের হাত থেকে বাঁচাতে হবে ।তিনি জিহ্বা দিয়ে নিচের ঠোটটা ভিজিয়ে নিয়ে আকুতিস্বরে বললেন

ও আর কোনোদিন আপনার কথা অমান্য করবে না ।এই শেষবারের মত মেয়েটাকে মাফ করে দিন ।

আজম খান ক্রোধে টেবিলে একটা লাথি দিয়ে চিৎকার করে বললেন আমার মান সম্মান যে পর্যন্ত তোরা মা মেয়ে নষ্ট না করবি ঐ পর্যন্ত শান্তি হবি না তোরা তাই না ? প্রতিশোধ নিতে চাস মা মেয়ে ? এক্ষুণি বের হ আমার বাড়ি থেকে ।সোফায় বসে থাকা সবাই উঠে দাঁড়াল কিন্তু একটুও চমকাল না যেন এটাই হওয়ার ছিল ।
নাফিয়া ফুঁপিয়ে উঠল বাবার চিৎকার চেচামেচিতে ।ফাতেমা আরা মেয়ের হাত শক্ত করে ধরলেন ।মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে মেয়েকে এটাই বোঝালেন কিছু হবে না তোর মা ।আমি তোর পাশে আছি তো !

আজম খান যে-ই না ফাতেমা আরা আর নাফিয়ার দিকে আগাতে যাবে অমনি আজম খানের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ফোনটা বেজে উঠল ।তিনি স্ত্রী আর মেয়ের দিকে একবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফোনটা রিসিভ করে কথা বলতে বলতে চলে গেলেন ।

ফাতেমা আরা এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে মেয়েকে নিয়ে সিড়িবেয়ে উপরে উঠে এলেন ।নাফিয়াকে রুমে এনে জাহান আরা সাবধানী গলায় বললেন

ঘর থেকে বের হোসনা খবরদার ।ঘরে দরজা লাগিয়ে চুপচাপ বসে থাকবি ।

নাফিয়া মায়ের কথা শুনল কিনা মনে হয়না ।সে একটা ঘোরে আছে ।ঘোরলাগা অবস্থাতে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠল

ব্ বাবা একটা খ্ খুনী ।

আচমকা মেয়ের এহেন কথায় ফাতেমা আরা হতভম্ব হয়ে গেলেন ।তিনি মেয়ের দিকে কিছুক্ষণ হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে মেয়েকে ধমকে বললেন

চুপ…. ।কি যা তা বলছিস ? মাথাটা কি নষ্ট হয়ে গেছে তোর ? উল্টাপাল্টা কথা বলবিনা একদম ।
পরোক্ষণে ফাতেমা আরা বিরবির করে বললেন কেউ যদি শুনে ফেলে কি হবে ?
মেয়ের আলগোছে তিনি চোখটা মুছে বললেন

আমায় যেতে হবে এখন ।রাতের জন্য রান্না করতে হবে ।তুই কিন্তু বের হোস না খবরদার ।আমি যাওয়ার পর ঘরে দরজা লাগিয়ে বসে থাকবি ।

ফাতেমা আরা মেয়ের কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে মেয়ের দিকে তাকালেন ।নাফিয়ার দৃষ্টি নিচের দিকে ।তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পরছে ।
তিনি মেয়ের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রুমের দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন রুম থেকে ।

মা যাওয়ার পর নাফিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল ।সে কান্নারত গলায় বলে উঠল

কি হত আল্লাহ , যদি সেটা শুধু খারাপ একটা স্বপ্ন হত ।কিন্তু তুমি সত্যি সত্যি কেড়ে নিলা আল্লাহ আমার বোনকে ।
নাফিয়া ডান হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখটা মুছে বলল বাবা আমি তোমায় কোনোদিন-ও মাফ করবো না ।কোনোদিনও না ।তুমি একটা খুনী ।আমার বোনের খুনী ।একদিন না একদিন আল্লাহ তোমার বিচার করবে দেখে নিও তুমি ।ঐদিন তোমার এই দাপট টা থাকবেনা ।নাফিয়া বিরবির করে বলছিল আর অমনি ঠাস করে দরজা খোলার শব্দ হল ।নাফিয়া চমকে তাকাল সেদিকে ।মানুষটাকে দেখে সে চোখ মুখ কুঁচকে আবার ফ্লোরে দৃষ্টি দিল ।
আতিফা তেড়ে এসে নাফিয়ার বাহুটা চেঁপে ধরল আর কঠিন গলায় বলল

বাবার কথা অমান্য করে কেন বিয়েতে গেলি ?শুধু তোর কারনে বাবা কতটা রেগে গেল ।বল কেন গেলি ?

নাফিয়া অস্ফুটস্বরে আহ বলে চিৎকার দিয়ে বলল লাগছে আপু ছাড়ো ।

আতিফা নাফিয়ার কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে আরো রেগে গেল ।সে নাফিয়ার বাহুটা আরো শক্ত করে চেঁপে ধরে বলল

জবাব দে আমায় কেন গিয়েছিলি ?

নাফিয়া এবার রাগী গলায় বলল
তোমায় জবাব দিতে বাধ্য নই আমি ।

আতিফা নাফিয়াকে আলতো ধাক্কা দিয়ে তাচ্ছল্য স্বরে বলল
আগেরজনের মত তুই-ও বাবার মান সম্মান নষ্ট না করে শান্তি হবিনা ।আগেরজন যেমন বিয়ে বাড়ি গিয়ে ন** ধরেছিল তুই-ও তাই করবি ।

আমি একটা কথা সাফ সাফ বলে দিচ্ছি তোর কারনে এবার যদি বাবার মান সম্মান আবার নষ্ট হয় না তাহলে তোকে আমি নিজ হাতে খুন করবো আতিফা কাঠ কাঠ গলায় বলল ।

নাফিয়া তাচ্ছল্য স্বরে বলল
নতুন করে আর কি খুন করবে ? তোমরা তো খুনী-ই ।

কথাটা শোনা মাত্রই আতিফা নাফিয়ার গালে ঠাস করে থাপ্পড় মেরে চোখ পাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলল আরেকটা আওয়াজ যদি বের হয় না একদম গলা চেঁপে মেরে ফেলব তোকে ।
নাফিয়া গালে হাত দিয়ে ছলছল চোখ নিয়ে বোনের দিকে তাকাল ।

আতিফা নাফিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছুড়ে ঘর থেকে বের হতে নিলেই নাফিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলল

এতোটা নিষ্ঠুর কিভাবে হও আপু ? ও আমাদের মায়ের পেটের বোন ছিল ।একটুও কি মায়া হয়না তোমার ?

আতিফা নাফিয়ার কথা শুনে ঘাড় গুরিয়ে কাঠ কাঠ গলায় বলল বিশ্বাস কর একটুও মায়া হয়না ওর জন্য ।আর কি বললি মায়ের পেটের বোন , ও ছিল এখন আর নেই বলেই গটগট করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল আতিফা ।

নাফিয়া তীক্ষ্ণ চোখে বোনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল জগন্য মেয়েলোক ।
_______________

গভীর রাতে নাফিয়া টের পাচ্ছে তার খুব কাছে কেউ বসে আছে ।মাত্রই তার চোখটা লেগেছিল ।তার মনে হল ব্যক্তিটা তার দিকে ঘোরলাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।একটা ঢোক গিলে চোখবোঝা অবস্থাতে যখনি সে সামনে বসা অবয়বটাকে হাত দিয়ে ধরতে যাবে আর অমনি কেউ মুখ চেঁপে ধরল ।

মুখ এতই শক্ত করে ধরেছে যে নাফিয়ার দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে ।অবয়বটি তাকে ফিঁসফিঁস করে বলে উঠল
চুপ চিৎকার করিস না আমি ।

নাফিয়া কন্ঠস্বর শুনেই বুজতে পারল অবয়বটা আর কেউ না তার তনয় ভাই ।

সে মোচরামুচরি শুরু করে দিল ।তাও তনয় তার মুখ ছাড়ছেনা ।নাফিয়া না পেরে তনয়ের হাতের তালুতে কামড় দিয়ে উঠল ।তনয় অস্ফুটস্বরে আহ বলে হাত নাফিয়ার মুখ থেকে সরিয়ে নিল ।তনয় হাতের তালুটা দেখতে দেখতে নাফিয়াকে অস্ফুট স্বরে ধমকে বলে উঠল

ইডিয়ট এইভাবে কেউ কামড় দেয় ।আরেকটু হলেই তো মাংস উঠিয়ে নিতি ।

নাফিয়া তনয়ের কথা অগ্রাহ করে বলে উঠল তুমি এত রাতে আমার রুমে কি করছো ?

তনয় কপট রাগ দেখিয়ে বলল আমি যখন মন চায় তখন আসব এইজন্য কি আমায় তোকে জবাবদিহি করতে হবে ?বলেই হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ।

নাফিয়া চোখমুখ খিঁচে বলে উঠল আশ্চর্য আমার রুমে এসেই আমাকেই বলে তোকে জবাবদিহি করতে হবে ?
নাফিয়া একটা তপ্ত শ্বাস নিয়ে বিছানায় শুয়ে পরল ।
______________________

সকালের সূর্য রাতের আধার কেঁটে চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে ।স্পর্শ পার্সটা হাতে নিয়ে বসে আছে ।গাধা মেয়েটা তার গাড়ীতেই নিজের পার্স ফেলে রেখে গেছে ।পার্সটা তিন্নির কাছে দিতে হবে যাতে ঐ মেয়েটাকে দিয়ে দেয় ।আজকে বৌভাত ।কালকেই তারা এখান থেকে চলে যাবে নিজ নিজ বাসস্থানে ।স্পর্শ পার্সটা হাতে নিয়ে ভাবছিল আর তখনি কেউ স্পর্শের হাত থেকে খপ করে পার্সটা নিয়ে নিল ।

স্পর্শ বলে উঠল হিমি পার্সটা দে এটা আরেকজনের ।

হিমি পার্সটা গুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে স্পর্শের দিকে সন্দেশজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
মেয়েদের পার্স তোর কাছে কি করছে ?

কালকের ঐ মেয়েটা আমার গাড়িতে পার্সটা ফেলে রেখে গেছে ।

হিমি ভ্রু কুঁচকে বলল তুই মিথ্যে বলছিস আমি বিশ্বাস করিনা ।দাঁড়া সবাইকে খবরটা দিয়ে আসছি ।

হিমি চলে যেতে নিলেই স্পর্শ খপ করে হিমির হাত থেকে পার্সটা নিয়ে নিয়ে বলে এখন যাকে ইচ্ছে বল গিয়ে ।

হিমি মুখ ভেঙচি মেরে চলে গেল ।
এই হিমি মেয়েটা অন্যন্ত ঠোটকাটা স্বভাবের ।

স্পর্শ আর দেরি না করে পার্সটা হাতে নিয়ে তিন্নির কাছে গেল ।নাহলে বন্ধুরা এই পার্সটা নিয়ে শুধুশুধু ক্যাচাল করবে ।তাই যার পার্স তাকে ফেরত দেওয়াই উত্তম ।স্পর্শ পুরো বাড়ি খুঁজেও তিন্নির দেখা পেলনা ।আর কাউকে একটু ডেকে জিজ্ঞেস-ও করতে পারছেনা ।ব্যপারটা দৃষ্টিকটু দেখায় ।

আপনে কি কেউরে খুঁজতাসেন স্যার ?

স্পর্শ পেছনে ফিরে দেখল তিন্নিদের বাড়ির মধ্যবয়স্ক একজন কাজের লোক দাঁড়িয়ে আছে ।

সে একটু ইতস্ততবোধ নিয়ে পার্সটা দেখিয়ে বলল এই পার্সটা কালকে একটা মেয়ে আমার গাড়িতে রেখে গেছে ।তাই তিন্নিকে দিতে খুঁজছিলাম ।

কাজের লোকটি বলল তিন্নি আপা তো নাই বাড়িতে । ঐ পার্লার না কই যেন গেছে ।তা ঐ মাইয়ার নাম কি ? আমারে কন দেখি আমি কিসু করতে পারি কিনা !

মেয়েটার নাম জানিনা তবে তিন্নির ফ্রেন্ড ।

কাজের লোকটি বলল কালকে যে মাইয়াটারে আপনি গাড়ি কইরা দিয়া আইলেন ঐ মাইয়াটার কথা কইতাসেন ?

হ্যাঁ ঐ মেয়েটার-ই পার্স এটা ।

নাফিয়া আপারে তো আমি চিনি আপনি আমার কাছে দেন আমি দিয়া আসি ওনার বাড়িতে।

স্পর্শ পার্সটা কাজের লোকের হাতে দিয়ে দিল ।
__________________

নাফিয়া মা , চাচীদের সাথে মিলে রান্নাঘরে রান্না করছে ।বাসার পুরুষরা সবাই ড্রইংরুমে বসে আছে ।ড্রইংরুমটা রান্নাঘরের বরাবর হওয়ায় তনয় নাফিয়ার দিকে একধ্যানে তাকিয়ে আছে ।নাফিয়ার খুব অসস্তি হচ্ছে তনয়ের এভাবে তাকিয়ে থাকাতে ।সে না পারছে রান্নাঘর থেকে বের হতে আর না পারছে রান্নাঘরে থাকতে ।তখনি কলিং বেলের আওয়াজ শোনা গেল ।

তনয় গিয়ে দরজাটা খুলে দিল ।কাজের লোকটি তনয়ের হাতে পার্সটা দিয়ে বলল
নাফিয়া আপামনি কালকে স্পর্শ স্যারের গাড়িতে পার্সটা ভুলে ফালায়া রাইখা গেছিল তাই ফেরত দিতে আইলাম ।

তনয় চোখ মুখ শক্ত করে মাথা নাড়ল ।
কাজের লোকটি চলে গেলে তনয় চোখমুখ শক্ত করে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াল ।

চলবে,
@Nusrat Hossain

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here