আমি নাকি তোর বয়ফ্রেন্ড!?তা গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক কেমন ইউ নো না হূর বেইবি । সো আই নিড এ কিস। কথাটা বলেই রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় এরিশ।
মাত্রই শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়েছিল হূর , চুল গুলো দিয়ে তখনো টুপ টুপ করে পানি পরছে। এরিশকে দেখে মনে হচ্ছিল এখন বেশ রেগে আছে। হূর কিছু বলতে যাবে তখনই এরিশ গিয়ে হূরের দুইহাত নিজের এক হাত দিয়ে চেপেঁ ধরে, সোজা দেওয়ালের সাথে।।
এরিশের প্রতিটি নিশ্বাস উপলব্ধি করতে পারছিল সেদিন হূর। হূর নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে
” কি করছ এরিশ ভাইয়া, ছাড়ো আমাকে। এরিশ হূরকে আরেকটু নিজের সাথে চেপে ধরে বলে
” কেন আমি না তোর বয়ফ্রেন্ড, তো টেক ইট ইজি বেইবি। বলেই হূরের ভিজা চুলে মুখ ডুবায়। হূর নিজের হাত কোনো রকম ভাবে ছাড়িয়ে এরিশকে একটা ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়। ভয়ে ঘেমে একাকার।
এরিশ উঠে সোজা হূরের কাছে গিয়ে দুইগাল চেপে ধরে বলে
” এখন এতো সমস্যা কেন? বয়ফ্রেন্ড না আমি তোর? তো এখন সমস্যা হচ্ছে কেন?? তোর এই গুজব রটিয়ে সমস্যা না হলে আমার সমস্যা হয়েছে। বন্ধু মহলে বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দু হয়েছিলি তুই। আজকের পর যদি এমন কিছু করিস তাহলে খবর আছে। তোর মতো মেয়ে আমার জিএফ ভাবলি কি করে।
হূর কান্না করে দিয়েছে, হূর বলে
” আমি কিছু বলিনি, আমিতো শুধু, এরিশ আফিয়াকে ধমক দিয়ে বলেছিল
” তোর মতো মিথ্যাবাদী আর কেউ হবে বলেতো মনে হয় না। মুখের উপর মিথ্যা। তাহলে কি আদিব আমাকে মিথ্যা কথা বলবে! তোকে আমার কিছু বলার নেই….।
বলেই এরিশ চলে যায়। হূর কান্নায় ভেঙে পরে।
_____________
হূরের চাচাতো ভাই হচ্ছে এরিশ। আপন চাচা না আসলে হূরের আম্মুর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। যখন হূরের পাঁচ বছর বয়স তখন তার বাবা কেন্সার রুগে মারা জান। পরে তার মার বিয়ে হয় এরিশের ছোট চাচ্চুর সাথে। হূর ছোট বেলায় নিজের নানাবাড়িতে বড় হয়েছে তার নানু আর মামা-মামীর কাছে, কিন্তু শেষে মামারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যায়। আর হূর এখানে পড়ালেখা করাতেই এখানেই থেকে যেতে হয়। তার নানুও মারা গিয়েছেন বছর তিনেক ।
শেষে হূরের বাবা মি.সাহাদ তাকে বাসায় নিয়ে আসে। এই বাড়িতে সাবই হূরকে বেশ অবহেলার চোখেই দেখে শুধু তার কাকিমা আর কাকাই, বাবাই ছাড়া। নিজের মার কাছেও তেমন একটা ভালোবাসা পায়নি হূর। নয়তো তাছাড়া চাচাতো বোন, নিজের বোন, দাদিমা এরিশ সবাই অবহেলার চোখেই দেখে তাকে। আর হূর খুজে পাচ্ছে না এরিশের এমন ব্যবহার করার রিজন!!!
আজ সকালেই তো আদিব তাকে প্রপোজ করে তখন হূর সরাসরি নিষেধ করে দেয়। তার প্রতিশোধই কি আদিব নিয়েছে! হয়তো। আদিব হচ্ছে এরিশের একটা ক্লাসমেট। হূর কান্না বাদ দিয়ে উঠে বসে। হালকা ফ্রেশ হয়ে এসে নামাজ আদায় করে নেয়। তারপর পড়তে বসে
_______________
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নাশতা করতে নামে হূর হূরকে দেখা মাত্রই হূরের চাচাতো বোন মৃধা বলে
” সকাল সকাল মুডটাই খারাপ। না জানি আবার কি হয়।
হূরের ছোট ভাই বলে
” আমি খাবো না আমার খাওয়া হয়েগিয়েছে। আর এরিশতো হূরকে দেখেই বেড়িয়ে যায়। হূর বলে
” আচ্ছা তোমরা নাশতা খাও আমি আসি। হূরের দিদিমা বলে
” কেনরে মুখপুরি এখন খা খেয়েনে। নিজের বাপের মতো আমার সংসারটাও খেয়েনে। মিস.সাহাদ বলে
” মা চুপ করো, ও আমার মেয়ে, আর আমার মেয়েকে এইসব বাজে নামে ডাকবে না। হূর মা খেয়ে তারওর যাবি।
এরিশের বাবা এরিশের মাকে বলে
“হূরকে খেতে দাও। আর হূর মামুনি ড্রাইভার চাচ্চু তোমাকে ভার্সিটি দিয়ে যাবো। হূরের মা এইসব দেখে নাশতার টেবিল থেকে সরে যায়। হূর তার মার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি এমন হবে একটু মেয়ের মতো আদর করলে?! হূর কোনো রকম খেয়ে বেড়িয়ে পরে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। হূরের মা চলে যায় হূরের ছোট বোনকে ডাকতে।
____________
অহি আর অনিক সেই কখন থেকে দাড়িয়ে আছে হূরের জন্য। হূর গাড়ি থেকে নেমে তার ড্রাইভার চাচ্চু কে বিদায় দিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করে। অনিক আর অহিকে দেখে দৌড়ে তাদের কাছে আসতে গেলে কারো সাথে ধাক্কা লাগে। আর নিচে পরে যায় হূর। সামনে তাকাতেই দেখে আবিদ দাড়িয়ে। আদিব হাত বড়িয়ে দিয়ে বলে
” লেট মি হেল্প ইউ বেইবি। হূর আবিদের হাত না ধরেই উঠে দাড়ায়। অহি আর অনিকও চলে আসে হূরকে পরে যেতে দেখে। হূর আবিদ কে বলে
” সমস্যা কি আপনার!!? আপনাকে আমি না করতে এরিশ ভাইয়াকে কি বলেছেন? আবিদ ভাব নিয়ে বলে
” আমি কিছু বলেছি!? হূর বলে
” এক্টিং করবেন না। আপনাকে ভালো ভাবতাম কিন্তু আপনি আপনিতো একটা। তখনই আবিদ বলে
” ডেবিল তাই তো?
হূর কিছু না বলে চোখ পাকিয়ে চলে যায় নিজের জামার ময়লা ঝাড়তে ঝাড়তে। আবিদ বলে
“তোমাকে তো আমি চাই হূর বেইবি।
। ডিপার্টমেন্টের উপর তালায় যেতেই দেখা মিলে এরিশের বারান্দায় দাড়ানো ছিল তার বন্ধুদের সাথে।এর মানে সব দেখেছে এই নিয়ে না কোনো আবার কাহিনী করে। হাতের তালু ছিলে গিয়েছে হূরের জ্বলছে খুব। অহি বলে
” হূর হাত তো অনেকটা ছিলে গিয়েছে। হূর বলে
” অহহহ কিছু না ঠিক হয়ে যাবে। হঠাৎ করে অনিক অবকা করে হূরের হাত ধরে বলে
” ইশশ কতটা ছিলে গিয়েছে। হূর তাড়াতাড়ি করে নিজের হাত সরিয়ে নেয়। আর এইসব নিরব দর্শক হিসাবে দেখছে এরিশ। আর তখনই ক্লাসে ঢুকে যায় হূর।
________________
ক্লাস চলছিল হঠাৎ করেই একটা মেয়ে আসে আর বলে
” হূর তোমাকে নীলা মেম ডাকছে। কালকে নাকি একটা বই দিয়েছিল তোমাকে?? সেটা নিয়ে যেতে বলেছে।
হূর কথা মতো বই নিয়ে নীলা মেমকে দিয়ে আসেছে। সবাই ক্লাসে এই দিকটায় কেউ নেই। তখনই কেউ হেচাকা টান দিয়ে ফাঁকা ক্লাসে নিয়ে আসে। এটা হচ্ছে মিউজিক রুম। কিছু বুঝার আগেই কেউ দরজা বন্ধ করে দেয়। মুখ দেখা না গেলেও শুধু বেক সাইড টা দেখা গিয়েছে। হূর ভয়ে পেয়ে যায় কাঁপা কাঁপা গলায় বলে
” কে কে আপনি??
হূরের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যক্তিটা হূরের হাত ধরে। হূর সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিলে ব্যক্তিটা খুব শক্ত করে হূরের হাত ধরে। ব্যাথায় হূরের মুখ দিয়ে।
” আহহহহহ শব্দ টা বেড়িয়ে আসে।
জানলার ফাক দিয়ে হালকা হালকা সূর্যের কিরণ এসে পরছে আর হালকা হালকা মৃদু আলো। ছেলেটা নিজের পেন্টের পকেটে থেকে একটা মলম জাতীয় কিছু হূরের হাতে লাগাতে লাগাতে গম্ভীর কন্ঠে বলে
” তুমি কি বোকা? আবিদ তোমাকে জেনে শুনে ধাক্কা দিয়েছে আর তুমি কিছু বললে না কেন? হূর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে
” কে আপনি? আর আমমমম,আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?? ছেলেটা নিজের কাজ করে বলে
” আমি,কে না জানলে চলবে।
বলেই চলে যায় দরজা খুলে বেড়িয়ে যায় । হূর এখনো সেখানেই দাড়িয়ে আছে কেমন অদ্ভুত একটা মানুষ। হূর দৌড়ে বাইরে আসে ততক্ষণে ব্যক্তিটা চলে গিয়েছে। হূর সামনের দিকে পা বাড়ায় তখনই নীল মানে নীলা মেম এর ভাই এসে বলে
” কি ব্যাপার হূরপরি তুমি এখন এখানে একা একা? হূর বলে
” না মানে নীলা মেম বইটা দিতে বলেছিল। আপনি এখানে কি করেন? ক্লাস নেই!! নীল বলে
” ছিল কিন্তু করার ইচ্ছে নেই কফি খাবে!? হূর বলে
” না ভাইয়া আমার ক্লাস আছে। নীল কিছু বলতে যাবে তখনই
চলবে
গল্পের নামঃ- #ভালোবাসার_নতুন_প্রনয়ণ
লেখিকাঃ- #konika_islam (sanju)
part:01