#প্রেমের_বর্ষন
#পর্ব_০৪
#লেখনীতে_আয়ানা_আরা (ছদ্মনাম)
বাসায় এসেছি অনেকক্ষন হয়েছে ফারিশ ভাইয়া আমাকে দিয়ে চলে গিয়েছে। আমি কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছি না ভাইয়া আরুশ স্যারকে কিভাবে চিনে!তাদের দেখেও পূর্ব পরিচিত মনে হয় না আমার।
এদিকে
একটা লোক অন্ধকার রুমে বসে এক এক গ্লাস ড্রিংক করেই যাচ্ছে। যার জন্য গার্ডরা ভয়ে চুপসে গিয়েছে। লোকটা গ্লাস চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলে,’ফারিশ তুই আজকে কাজটা ঠিক করিস নি এর প্রতিশোধ আমি নিবোই।’
এই বলে অট্টহাসিতে ফেটে পরে লোকটা। একটা গার্ড লোকটার কাছে এসে বলে,’বস কেউ একজন গোডাউনের বাহিরে এই ক্যাসেটটা রেখে গেছে।’
লোকটা ইশারা করে বলে ক্যাসেটটা প্লে করতে। ক্যাসেট প্লে করেই এক লোকের আওয়াজ শোনা যায়। ক্যাসেটে ভিতরে থাকা লোকটা বলে,’খুবই খারাপ কাজ করেছিস তুই আরুশ!তোর জন্য তো অনেক আফসোস হচ্ছে আমার। তোর অন্তিম ঘনিয়ে এসেছে।’
এই বলে লোকটা অট্টহাসি দিলো। আরুশ নিজের হাতের থাকা গ্লাসটা ছুড়ে মেরে চিৎকার করে বলল,’ফারিশ!!’
|৭|
চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে ফারিশ। সামনেই একজন মহিলা গুটিসুটি মেরে বসে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে মহিলাটা ভয় পাচ্ছে ফারিশকে। ফারিশ মহিলাটার উদ্দেশ্যে বলে,’আপনি নিশ্চয়ই জানেন ওর দিত্বীয় প্ল্যান কি!!’
মহিলাটার ফারিশের জবাব না দিয়ে চুপচাপ থাকে। তা দেখে ফারিশ বাকা হেসে বলে,’এখনো কিছু বলছেন না কেনো?যে ছেলে নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে দুইবারো ভাবে না তার জন্য তাহলে এতো দরদ কেনো আপনার।’
মহিলাটা গর্জে বলে উঠে,’৯ মাস গর্ভে রেখেছি ওকে আমি। আমার সাথে যাই করুক সন্তান ও আমার ওকে লালন পালন করে বড় করেছি আমি। নিজেই নিজের আদরের ছেলেকে বলি কেনো দিতে যাবো আমি?আর তোমার মা আমার সাথে যা করেছে তা কখনোই ভুলবো না আমি।’
‘আচ্ছা বুঝলাম আপনাদের শত্রুতা আমাদের সাথে তাহলে তাতে অনামিকাকে টানছেন কেনো?যা করার আমাদের সাথে করুন।’
মহিলাটা পাগলের মতো হেসে বলেন,’অনামিকাই তো আসল গুটি আর তুমি এতো ওকে নিয়ে চিন্তা করছো কেনো?যেখানে তুমি নিজেই ওকে গুটি বানিয়েছো।’
ফারিশ ভ্রুকুচকে বলে,’হাহ, হাসালেন ফারিশ চৌধুরী পিছন থেকে ছুড়ি চালাতে পছন্দ করে না যা করার সে সামনের দিক থেকেই করে।’
এই বলে একটা গার্ডকে ডেকে ইশারা করে বলল,’উনি যতক্ষন না কিছু বলছে উনাকে বের হতে দিবে না। ওর নামে যত প্রুভ আছে উনি ছাড়া আর কেউ দিতে পারবে না।’
এই বলে ফারিশ হনহন করে বেরিয়ে পড়ে।
ফারিশ বাসায় এসে সোজা অনামিকার রুমে চলে যায়।
|৮|
অনামিকা এলোমেলো হয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। ওকে যে আড়ালে কেউ একজন দেখছে তা ও টেরই পেলো না।
ফারিশ এসে অনামিকার মুখে থাকা চুল গুলো সরিয়ে কপালে আলতো করে ঠোঁট ছোয়ালো। তাতে অনামিকা কেঁপে উঠলো।
ফারিশ দ্রুত উঠে নিজের রুমে চলে আসে। ফ্রেশ হয়ে সে ল্যাপটপে একটা পিনড্রপ ( এরকম কিছু একটা হয়ত। আপাতত নামটা মনে পড়ছে না। ভুল হলে বুঝে নিবেন দয়া করে)
একটা ভিডিও অন করে খুব মনোযোগ সহকারে দেখলো ভিডিওটা পরে আবার পিনড্রপটা খুলে রেখে দিলো। এর মাঝেই ওর সবচেয়ে এসিস্ট্যান্ট রবিনের ফোন আসলো। কল রিসিভ করতে সেই মহিলাটার হাসি শুনতে পেলো। মহিলাটা হেসে বলতে থাকে,’তোর এসিসট্যান্ট রবিনকে আমি খুন করেছে পারলে ধরে দেখা আমাকে ফারিশ।’
ফারিশ কিছু না বলে ফোন কেটে একটা জ্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। মিসেস ফাহিমা ছেলেকে এতো তাড়া দেখে বললেন,’কোথায় যাচ্ছিস ফারিশ?’
ফারিশ যেতে যেতে বলে,’পরে এসে সব বলছি এখন যেতে হবে আমার।’
ফারিশ গোডাউনে পৌছে দেখে মহিলাটা চাকু হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পাগলে মতো হাসছে। ফারিশকে দেখে বলেন,’তুই এগোলে তোকে হত্যা করবো ওদের মতো আমি। তোর নিজের জান আগে নাকি গোয়েন্দা গিরি আগে কোনটা?’
‘দেখুন এরকম পাগলামী করবেন না।’
‘এটাকে পাগলামী বলছিস?আমার ছেলেকে যখন বলি দিতে বললি তখন আমার কেমন লেগেছিলো?’
ফারিশ বুঝতে পারে মহিলাটা এখন নিজের মধ্যে নেই। সন্তান হারানোর ভয়ে যা তা বলছে। ফারিশ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। মহিলাটা চাকু ফেলে মাথা চেপে মাটিতে বসে পড়ে। এর মাঝেই কিছু গার্ড এসে মহিলাকে নিয়ে যায়। ফারিশ কয়েকজন র্যাব কে ফোন করে আসতে বলে। র্যাবরা এসে সবার লাশ সহ পুরা গোডাউন তদন্ত করে একটা বোমের মতো জিনিস নিয়ে এসে বলে,’মিস্টার ফারিশ চৌধুরী আমরা আপনার গোডাউনে এই বোম পেয়েছি।’
ফারিশ বোমটা হাতে নিয়ে দেখে টাইমার সেট করা সাথে এইখানে একটা ক্যাসেট ও আছে। বোমের টাইম টিক টিক করে বদলাচ্ছে। ফারিশ তাড়া দিয়ে বলে,’ওহ নো এইটা সেট করা আর এক মিনিটের মধ্যে এইখান থেকে না বেরুলে এইখানে বোম ব্লাস্ট হয়ে যাবে।’
ওদের মাঝেই একটা র্যাব বলে উঠেন,
‘রাস্তায় ফেলে দিন এটা।’
‘না রাস্তায় ফেললে লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হবে কারণ এটা কোনো নর্মাল বোম না জাপানের বিখ্যাত সাইনটিস্ট এই বোম টা বানিয়েছিলেন। এই বোমটা একবার ব্লাস্ট হলে একজনে কানে শোনা বন্ধ হয়ে যাবে। আরেকজন বোবা হয়ে যাবে আরেকজন কানা হয়ে যাবে।’
‘এতো কম সময়ে সব লাশ আর নিয়ে যেতে পারবো না।’
‘আর ৪০ সেকেন্ড আছে যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে ফাস্ট।’
সবাই মিলে লাশ বের করতে থাকে। ফারিশ সবাইকে তাড়া দিয়ে বলে,’আরো দশ সেকেন্ড আছে হয়েছে?।’
‘হ্যা হ্যা হয়েছে।’
শেষ মেষ সবাই লাশ বাহিরে নিতে সক্ষম হয় তখনই বোম ব্লাস্ট হওয়ার আওয়াজ সবার কানে আসে। গোডাউন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। র্যাবদের মধ্যে একটা র্যাব বলেন,’এখন এই লাশ তাড়াতাড়ি না সরালে মিডিয়ার লোকজনরা এসে তুলকালাম কান্ড বাধিয়ে ফেলবে।’
(গত পর্বে আমি ভুল করেছিলাম একটা অনামিকা জানে না যে ফারিশ যে গোয়েন্দা গিরি করে। অনামিকা জানে ফারিশ একজন বিজনেসম্যান এটা হবে।)
ফারিশ কিছু গার্ডদের ফোন দিয়ে বলে আসতে। কিছুক্ষন পর গার্ডরা এসে লাশ সরিয়ে দেয় ততক্ষনে মিডিয়ার লোকজনরাও খবর পেয়ে এসে পড়েছিলো।
ফারিশ আর র্যাবরা দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে।
#চলবে
( আমি জানি না গল্পটা কেমন হচ্ছে। এছাড়া আপনারা নেক্সট/নাইস ছাড়া কোনো কমেন্টই করে না!আজকে যদি গঠনমূল্যক কমেন্ট না করেন তাহলে আমি ডেইলি গল্প দিবো না। আর গল্পটা কি থ্রিলার টাইপ হচ্ছে?রিচেক দেওয়া হয়নি। ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যপি রিডিং)