#আমারে_দিলোনা_ভুলিতে।
#পর্ব_১১।
#লেখা_আরজুমান_তাশা।
“একটা মানুষ নিজেকে যতই স্ট্রং পার্সোনালিটির দাবি করুক না কেন, তার কোন না কোন দূর্বলতা থেকেই যায়৷আর সে দূর্বলতা যখন আমাদের মুখোমুখি হয় তখন আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি৷ আমরা ভুলে যায় আমাদের দিকদিশা। দূর্বলতা ছাড়া মানুষ আসলে বিরল। যদি কোন ব্যক্তি বলে তার কোন দূর্বলতা নেই তবে সেটা অনেক হাস্যকর। প্রতিটা মানুষের কোন না কোন দূর্বলতা থেকেই থাকে। যতক্ষণ সে দূর্বল জায়গা কেউ খুঁজে বের করতে পারেনা ততক্ষণে অবধি সে দাপটের সাথে চলতে পারবে। উল্লাস আজ নিজের দূর্বলতার মুখোমুখি হয়েছে। আর সেটা নিবেদিতা।সাথে নিবেদিতা’র ও একই অবস্থা। উল্লাস-নিবেদিতা আজ নিজের দূর্বলতার মুখোমুখি হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে তাদের ভিতরটা। কিছু জিনিস আমাদের প্রিয় হয়। আর কিছু জিনিস মাত্রাদিক প্রিয় যা ছাড়া মনে হয় আমাদের জীবন পরিপূর্ণ নয়৷ কারো টাকা পছন্দ, কারো গাড়ি,কারো বাড়ি, আর কারোর বা প্রিয়তম একজন! ”
“উল্লাস নিবেদিতার একটা হাত আকড়ে ধরে ব্যান্ডেজ করা হাত দিয়ে নিবেদিতার মাথায় বিলি কেটে দেয়। অশ্রুসিক্ত নয়নে নিবেদিতার ঘুমন্ত মুখে দিকে তাকিয়ে থাকে একদৃষ্টিতে। আর সে দৃশ্যটা দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে উশান আর চন্দ্রা দেখতে থাকে। চন্দ্রা ব্যথিত গলায় আশা নিয়ে উশানকে বলে,
” যদি এবার দুজন এক হয়। ”
চন্দ্রার কথায় উশান চন্দ্রার কাঁধে হাত রেখে আশ্বস্ত স্বরে বলে,
“চিন্তা করোনা৷ ”
উশান চন্দ্রাকে দরজার সামনে থেকে চলে যায়৷ নিবেদিতা আর উল্লাসকে একান্তে রেখে৷
“সুন্দর একটা মুহূর্তের সাথে যখন মানুষ পরিচিত হয় তখন একমুহূর্তে সে তার শত দুঃখ ভুলে গিয়ে হাসে৷ একটা সুন্দর মুহূর্ত মানুষকে বেঁচে থাকার তাগিদ জোগায়। অন্ধকার গুছে আলোর রশ্মি উল্লাসের মাথার উপর পড়ে। নিবেদিতা মাত্র চোখ খুলেছে। চোখ খুলে নিবেদিতা তার পাশে উল্লাসকে দেখতে পায়।উল্লাস নিবেদিতার হাত আকড়ে ধরে তার তার পাশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে৷ নিবেদিতা চোখ খুলে এমন দৃশ্যে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে তাকে উল্লাসের মুখের দিকে। ক্যানোল লাগানো হাত নিবেদিতা খুব সাবধানে উল্লাসের মাথার উপর রাখে৷ নিবেদিতা গলায় কাঁন্না ঢলাবেঁধে আছে৷ ছলছল চোখে উল্লাসের মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে দিয়ে নিবেদিতা মনে মনে ধরা গলায় বলে,
” মুহূর্তটা যদি এখানে থমকে যেতো….! ”
উল্লাস নড়ে উঠতে নিবেদিতা জলদি হাত সরিয়ে চোখের কোণায় আসা জলের কণা মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে চোখ বুজে ফেলে।ঘাড়ে রোদের তাপ অনুভব হতে উল্লাস অস্বস্তিতে উল্লাস মাথা নাড়াচাড়া করে। ঘুম ভেঙে যেতে উল্লাস তার অবস্থান বুঝার পারতে উল্লাসের টনক নড়ে উঠে৷চটজলদি উল্লাস সোজা হয়ে বসে পরে। নিবেদিতাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে একহাত দিয়ে মুখ ঘষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে৷ নিবেদিতার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কবে ঘুমিয়ে পরেছে উল্লাস নিজেও জানেনা।শুকনো হেসে উল্লাস নিবেদিতার মাথায় হাত রাখে৷ হঠাৎ ঘাড়ে চিনচিনিয়ে ব্যথা হতে শুরু করলে উল্লাস দাঁতে দাঁত চেপে হাত দিয়ে ঘাড় চেপে ধরে রাখে৷ঘাটে টান অনুভব করছে৷ নিবেদিতার পাশ থেকে উঠে উল্লাস বাথরুমে গিয়ে জলদি মুখে আর ঘাড় পানি ছিটিয়ে দেয়৷ চোখবুঁজে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাথরুম থেকে বের হয়ে এসে দেখে নিবেদিতা উঠে বসে আছে৷ পাশের চেয়ারে চন্দ্রা বসে আছে৷চন্দ্রার পাশে উশান দাঁড়ানো।নিবেদিতা উশানের সাথে কথা বলছে হেসে।হঠাৎ নিবেদিতার চোখ আটকে যায় উল্লাসের উপর৷ মুহূর্তে মুখের হাসি উবে গিয়ে একদৃষ্টিতে উল্লাসের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ আর উল্লাসও নিবেদিতার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে৷ নিবেদিতা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যাওয়াতে উশান আর চন্দ্রা নিবেদিতার দৃষ্টি অনুসরণ করে পিছনে তাকায়। উল্লাসকে দেখে চন্দ্রা উঠে দাঁড়িয়ে উল্লাসের কাছে গিয়ে বিনয়ী গলায় বলে,
“নিবেদিতা ঠিক আছে৷ আপনি বাসায় চলে যেতে পারবেন৷ ”
উল্লাস চন্দ্রার কথায় মাথা নাড়িয়ে সাই দিয়ে নিবেদিতার দিকে তাকিয়ে বলে,
“টেক কেয়ার ইউর সেল্ফ৷ ”
কথাটা বলে উল্লাস চলে যেতে নিলে উশান বলে,
” তোর সাথে আমিও যাচ্ছি৷ ”
উল্লাস কিছু না বলে চুপচাপ বের হয়ে যায়৷ উল্লাস আর উশান চলে যেতে নিবেদিতা উদাস গলায় বলে,
” উনি কি কাল রাত থেকে এখানে? ”
চন্দ্রা আস্তে করে জবাব দিলো,
“হু”
চন্দ্রার জবাবে নিবেদিতা ক্ষীপ্ত চোখে চন্দ্রার দিকে চেয়ে বলে,
“এটা কেন করেছিস? ”
চন্দ্রা আমতা,আমতা করে সাফাই দিয়ে বলে,
” আমি উনাকে বলিনি৷ তোর অবস্থা বেগতিক দেখে আমি উশানকে কল করেছিলাম। আমার ওই মুহূর্তে যা ঠিক মনে হলো তাই করেছিলাম৷ ওই সময় উশানের সাথে উল্লাস স্যারও ছিলো৷উশানের কাছ থেকে জেনে উল্লাসও এসেছে৷ এখানে আমার কোন দোষ নেয়৷ ”
নিবেদিতা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“বিয়ে কবে করছিস তুই?
নিবেদিতার কথায় চন্দ্রা হকচকিয়ে বলে,
” এখানে আমার বিয়ের কথা কই থেকে আসলো? ”
নিবেদিতা চন্দ্রার হাতের দিকে ইশারা করে বলে,
“তোর হাত থেকে।উশান তাহলে তোকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছে। ”
চন্দ্রা তার হাতের দিকে তাকিয়ে বোকা হয়ে হাসে। হেসে বলে,
“হুম। অনেকটা ড্রামাটিক ভাবে৷ আমি কল্পনাও করিনি কখনো উশান এভাবে আমায় জনসম্মুখে প্রপোজ করতে পারে৷”
কথাটা বলার সময় আনন্দে চন্দ্রার মুখ উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে৷ নিবেদিতা চন্দ্রাকে অনেক হ্যাপি দেখাচ্ছে৷ আর তার প্রমাণ হচ্ছে চন্দ্রার লাল হয়ে যাওয়া মুখ৷ চন্দ্রাকে দেখে নিবেদিতা আনমনে হাসলো৷ এরপর স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলে বাইরের দিকে তাকিয়ে। ”
“গ্রীষ্মের লম্বা ছুটি মিলেছে এবার নিবেদিতার। যদিও এর আগে নিবেদিতা কখনো ছুটির নেওয়ার চেষ্টা করেনি৷ এবার ইচ্ছে করে ছুটির জন্য এপ্লাই করেছে। আর সেটা মনজুরও হয়ে গিয়েছে। নিবেদিতার ফ্রেশ হাওয়ার প্রয়োজন৷ নিবেদিতা নিজেই এটা অনুভব করেছে৷ উল্লাস তার আশপাশ থাকায় নিবেদিতা ঠিক করে কোন কিছু ভাবতেও পারছেনা। একাকিত্বে কিছুটা সময় কাটাতে দূরে কোথাও যাওয়ার চিন্তা করছে নিবেদিতা। নিবেদিতা প্যাকিং করছিলো তাতে বেঘাৎ ঘটায় চন্দ্রার ফোন কল। নিবেদিতা কল রিসিভ করে হ্যালো বলতে চন্দ্রা নরমাল ভাবে বলে,
” কি করছিস? ”
নিবেদিতা প্যাকিং করতে করতে জবাব দেয়,
“প্যাকিং করছি৷ ”
চন্দ্রা কিছুটা অবাক হয় নিবেদিতার কথায়।হতবাক কন্ঠে বলে,
” তুই কি কোথাও যাচ্ছিস? ”
নিবেদিতা স্বাভাবিক কণ্ঠে জবাব দেয়,
“ভাবছি কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি৷ অনেক দিন হলো বাড়িতে যায়নি৷ এবার লম্বা ছুটি মিলেছে তাই ভাবলাম ঘুরে আসি৷”
চন্দ্রা চিন্তিত গলায় প্রশ্ন করে,
“কবে যাচ্ছিস? ”
” টিকিট এখনো কনফার্ম করিনি। ”
নিবেদিতার কথায় চন্দ্রার কিছুটা স্বস্তি মিলে৷বুকের উপর হাত রেখে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলে জরুরি গলায় চন্দ্রা বলে,
“যাক, ভালো হয়েছে৷ তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে। ”
নিবেদিতা প্যাকিং করা বন্ধ করে বিছানায় বসে ফ্যাকাসে গলায় প্রশ্ন করে,
” কি গুড নিউজ? ”
চন্দ্রা এক্সাইটেড গলায় বলে,
“আমাদের দুই ফ্যামিলি আমাদের বিয়ের মত দিয়েছে।কাল এনগেজমেন্ট এর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ আমি চাই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কাল আমায় সারাদিন সময় দিক। ”
কথাটা শুনে নিবেদিতা মেঁকি হেসে বলে,
“অবশ্যই। বাই দ্যা ওয়ে কংগ্রেস৷ ”
চন্দ্রা একগাল হেসে বলে,
” থ্যাংক ইউ দোস্ত। কাল দেখা হচ্ছে তাহলে৷”
“হুম। ”
” বাই। ”
চন্দ্রা কল কেটে দিলে নিবেদিতা জোরে নিঃশ্বাস ফেলে বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাপড়ের দিকে কিছুক্ষণ আনমনে চেয়ে থাকে। এরপর চোখ সরি উঠে দাঁড়িয়ে কাপড়গুলো আগের জায়গায় রেখে দিকে থাকে৷
“এনগেজমেন্ট এর অনুষ্ঠান খুব ধুমধাম করে পালন করা হচ্ছে৷ উশান আর চন্দ্রা’র অনেক কলিগ আজ একসাথে হয়েছে। চন্দ্রা আর উশানকে সবাই এক এক করে এনগেজমেন্টের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। নিবেদিতা আজ শাড়ি পরেছে। কালো রঙের শাড়ি৷ তার সাথে ম্যাচিং করে কালো অরনামেনস দিয়েছে৷ কালোতে নিবেদিতাকে মায়াবতী লাগছে ভীষণ৷ নিবেদিতা আজ উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে৷ বিশেষ করে উল্লাসের। উল্লাস অপলক দৃষ্টিতে নিবেদিতার দিকে তাকিয়ে ছিলো। নিবেদিতা’র দিক থেকে দৃষ্টিই ফেরাতে পারছিলোনা সে কোন ভাবে৷ শেষে উশানের কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে উল্লাস নিজেকে সামলায়। তবুও বারবার সে নিবেদিতা’কে দেখে গিয়েছে পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে৷ নিবেদিতার দিকে তাকিয়ে থাকারই কথা। উল্লাস এই প্রথম বার নিবেদিতাকে ভিন্ন লুকে দেখছে৷ সবসময় সিভিল ড্রেসে দেখে এসেছে আজ অন্য রকম দেখে তাকিয়ে থাকারই কথা।যদিও দুজনের মাঝে কোন কথা হয়নি। শুধু কিছুক্ষণ পর পর একে অপরের চোখাচোখি হয়েছিলো। চোখাচোখি হতে দুইজনে দৃষ্টি সরিয়ে ফেলে৷ আজ উল্লাসকেও কম সুদর্শন লাগছেনা৷ মেয়ের মনে এক দেখাতে জায়গা করে নেওয়ার মতন উল্লাসের স্টাইল। উল্লাসকে দেখে উশান মজার ছলে বলেই ফেলে,
” দোস্ত তোরে দেখে মনে হচ্ছে তুই আমার না আমি তোর এনগেজমেন্টের দাওয়াতে আসছি৷”
“ওর কথায় উল্লাস হাসে। তখন চন্দ্রাকে সঙ্গে নিয়ে নিবেদিতা আসে৷ আর তাদের দিকে উল্লাস আর উশান মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে থাকে৷ দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকে৷ উশান তখন ফিসফিস করে বলে,
“কাহিনি কি বল তো, তুই আর নিবেদিতা দেখি ম্যাচিং ড্রেস পরে এসেছিস? ”
উশানের কথায় উল্লাস ধমক দিয়ে বলে,
” বাজে বকিস না। এটা কো-ইনসিডেন্স মাত্র৷
উশান হাসলো জবাবে। উশান মজা করেই বলেছে। কিন্তু উল্লাসের সিরিয়াস মুখ দেখে উশানের হাসি পেয়ে যাচ্ছে। নিজের হাসি সংযত করে উশান চন্দ্রার দিকে এগিয়ে যায়। চন্দ্রার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে চন্দ্রাও হাসিমুখে তার হাত এগিয়ে দেয় উশানের দিকে৷ উশান চন্দ্রার হাত ধরে স্টেজে নিয়ে যায়৷ উল্লাস উশানের সামনে রিং ধরলে উশান সেটা নিয়ে চন্দ্রার আঙ্গুলে পরিয়ে দেয়। এরপর চন্দ্রাও উশানের হাতে রিং পরিয়ে দেয়৷ দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি দেয়৷ দুজনের ফটো নেওয়া হয়৷উশান আর চন্দ্রা প্ল্যান করে নিবেদিতা আর উল্লাসকে একপাশে দাড় করিয়া দেয়। তারা দুজন পাশাপাশি হতে দুজনে চরম অস্বস্তিতে পরে যায়৷ অস্বস্তি হচ্ছে ভয়ের জন্য৷ উল্লাস ভয় পাচ্ছে নিবেদিতা না আবার তার মনের অবস্থা বুঝে ফেলে এদিকে নিবেদিতাও একই চিন্তা করছে। দুজনে একই ভাবনার মগ্ন কিন্তু তা দুজনের’ই অজানা৷ দুইজনে ভাবছে আর কিছুটা সময় যদি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকে তবে কোন অঘটন ঘটে যাবে৷ যার জন্য হয়তো কেউ প্রস্তুত না। চটজলদি দুজন দুই দিকে তাড়াতাড়ি চলে যায়৷ তাদের চলে যাওয়া দেখে উশান আর চন্দ্রা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে৷ উশান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“এদের দিয়ে কিছু হবেনা।”
দুজনের ভিতরে ভিতরে উল্লাস আর নিবেদিতার জন্য চিন্তিত হলেও মুখের উপর হাসি ঝুলিয়ে সবার সাথে ফটো তুলছে আর কথা বলছে। নিবেদিতা দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়৷ আর উল্লাস বাইরে চলে এসে গলার ঠাঁই আলগা করে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে৷ নিবেদিতা আয়নার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে জোরে জোরে কয়েকবার নিঃশ্বাস ফেলে৷ আয়নাতে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে নিজে নিজেকে বলে,
“আমার তাকে বলে দেওয়া উচিত আমি তাকে এখনো ভালোবাসি ! ”
উল্লাস ব্লেজারের বোতাম খুলে কোমরে একহাত আর আরেকহাত কপাল চেপে ধরে রাখে কিছুক্ষণ৷এরপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজে নিজেকে বলে,
“নিবেদিতাকে কি এবার বলে দেওয়া উচিত আমি তাকে ভালোবাসি! ”
দুইজন দুইপ্রান্তে দাঁড়িয়ে একই চিন্তা করছে৷ অথচ তা তাদের দুজনের অজানা৷ ভালোবাসা কি নিদারুণ এক যন্ত্রণা৷ কাছেতে সংশয় দূরেতে ভয়। ”
(#চলবে___)