#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_০৭
–কোথায় আজব। (আমান)
–ত ফ্রেশ হয়ে আসুন খাবার খান। (মেঘ)
–তুমি যা রান্না করেছো তা কি বাংলাদেশি খাবার। (আমান)
–অবশ্যই। (মেঘ)
–তাহলে চলো। (আমান)
–এক মিনিট!
–কি?
–আপনি অফিস থেকে এসে হাত মুখ না ধুয়ে কি করছেন বলেন?
–ও তাই ত।
–হ্যাঁ তাই ত চুপচাপ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন।
আমান ওয়াসরুমে চলে যায়
–(আরে আমি ত বউ বউ আচরণ করছি।
মেঘ মনে মনে)
মেঘ নিচে চলে আসে,
–ম্যাম।
–হ্যাঁ।
–can you speak in Korean?
–no.
–o actually If you could speak Korean, it would be easier to communicate with you.
–i will try.
মেঘ আর মেয়েটার কথার মাঝে আমান চলে আসে,
তারা দু’জন খেয়ে নেয়,
মেঘ উপরে এসে দেয়ালের কাছে বসে পরেছে,
সামনের দৃশ্য টা সত্যি অপূর্ব।
,
আমান রুমে আসে,
মেয়েটাকে সে যখন দেখে তখনি মেয়েটা এভাবে বাইরের দিকে মুখ করে বসে থাকে,
এটা সে প্রথম দিন থেকে দেখে আসছে,
আমানের কিছুটা কষ্ট হয় এটা দেখে
আজ ত তার বিকালে কোন কাজ নেই।
ওকে নিয়ে বের হলে হয়।
যেই ভাবা সেই কাজ।
–মেঘ।
–জি!
–কি করছো?
–কিছু না ঘুমোবো।
–না।
–কি।
–ঘুমোবে না।
–কেন?
— seoul দেখতে।
–মানে?
–মানে ঘুরতে চলো।
–কিন্তু।
–কি কিন্তু?
–কোথায় যাবো?
–চলো দেখাচ্ছি।
মেঘ একটা সর্ট গেঞ্জি আর একটা হালকা ডিলা প্যান্ট পরে উপরে বড়ো একটা কোর্ট পরে নেয়,
আর হালকা একটু সাজুগুজু।
আমান মেঘকে নিয়ে বেরিয়ে পরে,
আমানের গাড়ির আগে দুইটা গাড়ি পেছনে দুইটা গাড়ি।
আমানের গাড়ি আজ সে নিজে চালাচ্ছে।
মেঘের সাথে এই জন্য।
বেশ অনেকটা রাস্তা ড্রাইভ করার পরে আমান আর মেঘ পৌছালো।
seoul tower এ,
এটা আমানের বাসার কিছুটা নিকট বর্তি জায়গা।
মেঘ চারিদিকে দেখছে।
দুর দুরন্ত পর্যন্ত কারোর অস্তিত্ব নেই। কিন্তু চারিদিকে হাজার আলোর সমাহার। পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা নেমেছে আকাশে
আমান মাস্ক পরে আছে।
আমনের আশে পাশে কিছু জায়গায় জুড়ে শুধু গার্ড রা আর আমান নিজে।
আমি বুঝতে পারছি না এখানে রোড আছে দোকান আছে তবে মানুষ নেই কেন।
–আমান।। –
–হুম।
–এখানে কেউ নেই কেন?
–তোমার জন্য।
–মানে?
–মানে হচ্ছে তোমার জন্য এই রোড টা আপাতত বন্ধ।
কিছুক্ষণ পরেই আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে।
–আচ্ছা।
–এটা দেখছো এটা হচ্ছে seoul tower।
এটাই একটু নিকটবর্তী ছিল তাই তোমায় এখানে নিয়ে এলাম।
–হ্যাঁ এটা সুন্দর।
সত্যি অপূর্ব.
–ওদিকে দেখো মেঘ।
মেঘ পাশে তাকায়।
কিছু ছেলের হাতে ফুল
মেঘের সামনে হাটু গেঁড়ে বসে আছে তারা।
মেঘ অবাক হয়ে যায়।
আর ফুল গুলোকে নিয়ে নেয়,
পাশে আরও কিছু সারপ্রাইজ।
একটা আইসক্রিম এর দোকান।
মেঘকে তার প্রিয় স্টোভেরি ফ্লেবারের আইসক্রিম নিয়ে দিলো আমান
।
আর সামনের দিকে আতোস বাজি ফোটানো হলো।
এরি মাঝে পেছন থেকে এলটা গার্ড আমানকে কোরিয়ান ভাষায় কিছু একটা বলতে।
আমান মেঘের হাত ধরে গাড়িতে উঠায়।,
আর সেখান থেকে চলে আসে,
মেঘ দেখতে পায় তাদের প্রায় ঘিরে ধরতে গেছিল হাজার লোকের সমাহার কিন্তু আমান মেঘকে নিয়ে তার আগেই চলে আসে,
মেঘ মৃদু হেসে বাইরের পরিবেশ উপোভগ করছে,
–তোমার মাত্র ৫ টা মিনিট সময় দিতে আমার জান বেরিয়ে গেছে
–কেন?
–তুমি কি জানো কতো ঝামেলা।। এটা ব্যাস্ত রাস্তা ৫ মিনিট আঁটকে রাখা মানে হাজার কাজ বাঁধা পরা।
–ওও কেন কি হতো সবাই রাস্ত ব্যবহার করলে?
আপনাকে তুলে নিয়ে যেত?
–আমাকে না নিলেও তোমায় নিয়ে যেত।
–কেন.!(অবাক হয়ে)
মেঘের কেন শুনে আমান হেঁসে দিলো,
আমানের হাসির দিকে তাকিয়ে আছে মেঘ।
আমান ও মেঘের মতো বড়ো একটা কোর্ট পরেছে।
ভেতরের গেঞ্জি টা গলা আঁটকে দিয়েছে,
ছেলেটার চুল গুলো ছেলেটার হাসি।
এতো সুন্দর কেন বুঝতে ভিশন কষ্ট হয় মেঘের
।
ভালোবাসলে কি তার সবি সুন্দর লাগে?
কিন্তু মেঘকি পাশে থাকা মানুষ টাকে ভালোবাসে?
ছেলেটার হাসি দেখে মেঘের সময় ধির গতিতে অবহিত হতে থাকে।
যেন এটাই সময় এখানেই থমকে যাচ্ছে।
–আমি জানি আমি সুন্দর তাই বলে এভাবে দেখার কিছু নেই।
সারা দিন ত তোমার সাথেই থাকি। কিন্তু এই আইসক্রিম টা কিন্তু আর মাত্র কিছু সময় থাকবে তার পর তোমার কাপর নষ্ট হবে।
আমানের কথায় মেঘের ধ্যান ফিরে।
মেঘ ঠিক হয়ে বসে।
আর আইসক্রিম খাওয়াতে মন দেয়।
–(কে বলেছে আমি ওনাকে দেখছিলাম আমি ত বাইরে দেখছিলাম হুহ মেঘ মনে মনে)
আমান ড্রাইভ করে ব্যাস্ত শহর থেকে বেশ দুরে চলে এসেছে,
এখানে তেমন মানুষ দেখা যাচ্ছে না।
চারিদিকে নিরিবিলি একটা পরিবেশ।
কিছু সময় পর গাড়িটা থেমে যায়,
আমান নেমে মেঘকে নামায়,
–এটা কোথায়?
–এটা আমার জন্য সব থেকে প্রিয় একটা জায়গা।
এখানে তেমন কেউ আসে না।। আর রাতের এই সময় টাতে না।
–এটা ত একটা বাড়ি মনে হচ্ছে।
–হ্যাঁ একটা পরিত্যক্ত বাড়ি।
–কার?
–আমাদের।
–আপনাদের?
–আমরা প্রিয় দাদা দাদি এখানে থাকতেন।
–ওহ আচ্ছা।
–হুম।
-কিন্তু বাবার যখন ৬ বছর বয়স তখন শহরের ভেতরে চলে গেছিল তারা।
কিন্তু এই জায়গা টা আমার দাদির খুব প্রিয় তাই কখনো এটাকে নষ্ট হতে দেয় নি
–এটার দেখাশোনা কে করে?
–ওই যে লোক আছে।
এসো।
আমান মেঘকে নিয়ে ঘরের ভেতরে আসে,
আধুনিকতার কোন ছাপ নেই এখানে।
সবি পুরোনো দিনের।
বা পুরোনো সময়ের ইশারা।
আমান এতো বছর পরে এসেও এই জায়গা টাকে আগের মতো রেখেছে
এর পেছনে কারন হলো আমান তার দাদিকে ভিশন ভালোবাসতো।
দাদির মৃত্যুর পর অনেক দিন সে একা ছিল।
নিজেকে একা একা লাগত।
তরি স্মৃতি রাখতে এখনো এই বাড়িটাকে আগের মতো করে রেখেছে আমান।
মেঘ চারিদিকে ঘুরে দেখছে,
ঘরের ভেতরে বড়ো করে আমানের দাদা দাদির ছবি টানানো আছে।
মেঘ সেখানে গিয়ে আমানের দাদিকে দেখছে,
আমানের দাদিকে ত প্রায় আমানের মতোই দেখতে,
আসলে আমান মানুষ টা অর্ধেক কোরিয়ান আর অর্ধেক বাংলাদেশি হয়ে গেছে তাই হয়েছে বিপত্তি।
ছেলেটা এতো সুন্দর হয়ে গেছে,
মেঘ আমানের দাদির মতো পোস দিতে চেষ্টা করছে।
আমান পেছন থেকে সেটা দেখে মেঘের বেশ কিছু ছবি তুলে নেয়।
মেয়েটা বেশ প্রানবন্ত।
সব সময় হাসিখুশি থাকতে ভালোবাসে যদি তাকে থাকতে দেওয়া হয় তবে।
মেঘ হটাৎ পেছনে ফিরে আমান কে দেখে বেশ লজ্জা পায়।
আমান বুঝতে পেরে সরে আসে,
বেশ অনেকটা সময় সেখানে কাটানোর পর তারা আবার বাসায় চলে আসে,
রাতের খাবার খেয়ে মেঘ নামাজ আদায় করে নেয়,
আমান তার কাজ শেষ করছে,
মেঘ গুট মেরে বিছনার এক কোনে শুয়ে পরে।
কিছু সময় পর কোমড়ে কারোর স্পর্শ টের পায় মেঘ।
কিন্তু কিছুই বলে না।
আমান মেঘকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে যায়,
,
,
,
–রিমি।
–হ্যাঁ মা।
–মেঘ কেমন আছে?
–আলহামদুলিল্লাহ মা খুব ভালো আছে।
–তুই কি জানিস ওরা কোথায় থাকছে এখন।
–কেন মা কোরিয়া।
–না মানে কোরিয়ার কোথায়?
–না গো মা এটা ত শুনি নি।
–আমার মেয়েটা হুট করে কি থেকে কি হয়ে গেল।
–যা হয়েছে ভালো হয়েছে ভাইয়া ভিশন ভালো।
কথাটা বলে রিমি ঘরে চলে যায়।
আর মাহিমা রহমান সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু একটা ভাবতে থাকে,
চলবে,