আমি কাউকে বলিনি সে নাম
তামান্না জেনিফার
পর্ব ৯
__________________________
সুফিয়া বেগমের হাত থেকে বটি অবশেষে উদ্ধার করা গেছে ৷ নাদের মিয়া অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মায়ের হাত থেকে বটি উদ্ধারের কাজটা করেছে ৷ তবে তার আগেই নিজের হাত পায়ের আঙ্গুলগুলো ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছেন তিনি … নাদের মিয়া পরম যত্নে মায়ের হাত পায়ের আঙ্গুলে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে ৷
লাকী খুব ভয় পেয়েছিল , তবে নাদের মিয়া লাকীর ব্যাপারে কাউকে কিছু বলেনি ৷ স্বামী তার সম্মান রক্ষা করতে পুরো ব্যাপারটা চেপে গেছে , এই বোধটা লাকীর হৃদয় ছুঁয়ে গেছে …. বিয়ের এত বছর পর তার মনে হচ্ছে হয়তো চেষ্টা করলে স্বামীর মনে জায়গা করে নেওয়াটা সম্ভব হবে ৷
বিকেলের দিকে বাড়ি এসে পৌছালো নাসির মিয়া , সঙ্গে তার বউ জহুরা আর চার বছরের ছোট্ট মেয়ে জুনি ৷ নাসির মিয়া তার পরিবার নিয়ে থাকে ঢাকা শহরে ৷ সেখানে একটা কোম্পানীতে ছোটখাট চাকরি করে ৷ গাজী মিয়ার খুব অমত ছিল , ছেলে ঢাকায় গিয়ে অন্যের কাজ করবে … কিন্তু নাসির মিয়াকে আটকে রাখতে পারেননি তিনি ৷ বাপ ছেলেতে এজন্য কথা বার্তা বন্ধর মত ৷ ভাব বাচ্যে একে অন্যের সাথে কথা বলেন তারা যদি প্রয়োজন হয় ৷ এজন্য নাসির মিয়া বাড়িতে আসে খুবই কম ৷ কিন্তু একমাত্র বোনের বিয়েতে তো আর না এসে থাকা যায় না !
নাসির মিয়া অবশ্য শহুরে জীবনে ভালোই আছে ৷ একরুমের বাসা , ছোট্ট সংসার , হিসেব করা চলা জীবন ৷ তারপরও সেখানে অহেতুক কোন ঝামেলা নেই ৷ জুনিকে স্কুলে দিবে , ভালোভাবে লেখাপড়া করিয়ে মানুষ বানাবে এই এখন নাসির মিয়ার চিন্তা ৷ অসুস্থ পাগল মাটার জন্য খারাপ লাগে না , তা নয় … কিন্তু সেই খারাপ লাগাটাও সাময়িক ৷ জহুরা আর জুনি ছাড়া কেউ তার চিন্তার জগতে বেশিক্ষন থাকতে পারে না ৷
বউ মেয়েকে বাড়ি রেখেই গ্রামের বন্ধুদের সাথে দেখা করতে বেড়িয়ে পড়ে নাসির ৷ জহুরা বিয়ের পর এই দ্বিতীয়বার আসলো শ্বশুরবাড়ি ৷ এ বাড়ির কাউকেই সে ভালোভাবে চেনে না , মুখ চেনে সবার এই পর্যন্তই ৷ উঠান পেরিয়ে বারান্দায় বাচ্চা আর ব্যাগ নিয়ে অনেকক্ষন বসে আছে জহুরা ৷ অনেকদিন আগে এসেছিল এই বাড়িতে , এরপর বাড়ির কিছু পরিবর্তনও হয়েছে ৷ এখন কোথায় যাবে বুঝে উঠতে পারছে না সে ৷ শ্বশুরের সাথে দেখা হয়েছিল , সালাম বিনিময়ের পরই উনি বাড়ির বাইরে চলে গেছেন ৷ আচ্ছা , এ বাড়ির মেয়ে মানুষেরা কী তাকে দেখেনি ! কেউ একজন তো এসে তাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাক …
নিপা আজকে দেরী করে গোসল করতে গিয়েছিল ৷ মাথায় গামছা পেঁচিয়ে উঠানের দিকে আসতেই জহুরার সাথে দেখা হয়ে গেল তার ৷ “ভাবী আইছো !” বলেই জহুরা জড়িয়ে ধরে নিপা ৷ জহুরাও যেন এই বন্ধনটাই খুঁজছিল … এরপর নিপা টান দিয়ে জুনিকে কোলে নিয়ে জহুরার হাত ধরে ভিতরের দিকে নিয়ে যায় ৷ জহুরা একবার তার ব্যাগটা নিতে যায় , ভারী ব্যাগ তুলেতে হিমসিম খায় সে ৷ নিপা তখন রতনকে ডাক দিয়ে বলে “রতন ভাই , ভাবীর ব্যাগখান লইয়া আসেন …”
জানালা দিয়ে সবটাই দেখে লাকী ৷ হঠাৎ লাকীর পাশে নিঃশব্দে এসে দাঁড়ায় নাদের মিয়া ৷ ওর কাঁধে হাত রেখে বলে
—নাসিরের বউ আইলো , তুমি দেইখ্যাও গেলা না ক্যান …ওরে ঘরে দিয়া আসবা না তুমি !
—ক্যান ! ওয় কি নয়া বউ ? পয়লা আইছে ? যে ওরে শরবত খাওয়াইয়া ঘরে তোলন লাগবো ?
—পয়লা আর দোসরা বইলা কথা না ৷ হ্যারা তো দ্যাশগেরামে থাকে না ৷ তাছাড়া তুমি এই বাড়ির বড় বউ ৷ সগলের দিকে নজর দেওয়া উচিত তোমার ৷
—অতশত হিসাবের মারপ্যাচ বুঝি না আমি ৷ হাতে কাম আছিল , ভাবছি জিড়াইতাছে জিড়াক ৷
—এইসবের দিকে একটু খেয়াল রাইখো বউ ৷ নিপা চইলা যাওনের পর এই সংসারখানের জিম্মা তোমার একলার কান্ধে পড়বো ….
লাকী আর উত্তর দেয় না ৷ মানুষটা কী নরম গলায় তাকে বউ ডাকলো ! বিয়ের পর কী কখনও এভাবে বউ বলে ডেকেছে তাকে … লাকী সব কাজ ফেলে জহুরার সাথে দেখা করতে যায় ৷ আসলেই এই সংসারকে কোনদিনও আপন করেনি সে … দোষ কিছুটা বোধহয় তারও আছে !
রাতের বেলা ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো ৷ এ বাড়িতে যা কখনই দেখেনি কেউ ৷ জুনিকে কোলে বসিয়ে গল্প বলে বলে ভাত খাওয়াচ্ছে লাকী আর লাকীর দুই ছেলে জহুরার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে শহরের গল্প শুনছে …. নাদের মিয়ার চোখে পানি এসে যায় ! কী সুন্দর ভরা সুখের সংসার .. আজ যদি হনুফা থাকতো ! এই এক দোষ নাদের মিয়ার .. সুখে হোক বা দুঃখে , সবার প্রথমে হনুফার কথাই তার মনে পড়ে !
নাসির বাড়ি ফেরে বেশ রাত করে ৷ বাবার মুখোমুখি হতে চায় না সে , রাত করে ফিরলে বাবার সাথে দেখা হবে না ভেবেই দেরী করা ৷
উঠানে পা দিতেই নাসির দেখে তার বাবা বারান্দায় চেয়ারে বসে আছে ৷ মাথা নিচু করে চুপচাপ চলে যেতে চেষ্টা করে সে ৷ কিন্তু গাজী মিয়া আদ্র কণ্ঠে বলে উঠেন “বাবা নাসির , আইছো !”
বাবাকে সারাজীবন রাগী রুক্ষ একজন মানুষ হিসেবেই জানে নাসির ৷ আজ বৃদ্ধ বাবার দরদমাখা ডাক শুনে তার গলার কাছে কান্না জমে যায় ৷ গাজী মিয়ার পায়ের কাছে গিয়ে বসে সে নিঃশব্দে ৷ চাঁদের আলো লুটোপুটি খাচ্ছে নিপার বাড়ির উঠানে ৷ সেই আলোতেই একজন বৃদ্ধ বাবা তার অভিমানী সন্তানের মাথায় হাত রেখে নিঃশব্দে কাঁদছেন ৷ সন্তানটিও কাঁদছে ৷ অথচ দুজনেরই ইচ্ছে করলেও দুজন দুজনকে বুকে টেনে নিচ্ছে না …. কোথায় যেন একটা বাঁধা , হয়তো সেটা সম্মানের হয়তো বা অনভ্যস্ততার …
*********
বাড়িটা এতদিনে যেন সত্যিকারের বিয়ে বাড়িতে পরিনত হয়েছে ৷ গাজী মিয়া বলে দিয়েছেন ছোট ভাইকে যেন বিয়ের এ কদিন তারা সবাই এ বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া করে ৷ আলেয়া বেগম এসেই এ বাড়ির রান্নাবান্নার কাজে লেগে পড়েছেন ৷ সাথে দুই বউও আছে ৷
আলেয়া বেগম রাঁধতে রাঁধতে গীতও গান ৷ বউদুটাও গলা মেলায় ৷ রূপা দেখে অবাক হয়ে ভাবে তার চাচী গীতও জানে !
নিপা রান্নাঘরের দিকে আসতেই রূপা তার হাত ধরে বলে “বুবু , তুমার বিয়া না হইলে জানতামই না যে চাচীও গীত জানে …”
নিপাও অবাক হয়ে শোনে রান্নাঘর থেকে গীত ভেসে আসছে
“আগা নদীর উনুর ঝুনুর মাঝি ভাই
পাইছা নদীর পানি….
আস্তে ধীরে চালাও বৈঠা মাঝি ভাই
মায়ের কান্দন শুনি …
মাও কান্দে হায়রে হায়রে
আমার ঘরের শোভা গেলো …
মাও কান্দে হায়রে হায়রে
আমার কইলজার বোটা গেলো …”
নিপার চোখে পানি এসে যায় ! এই যে এত আয়োজন , সবার এত আনন্দ … সব ঠিকঠাক হবে তো ! বিয়েটা কী আসলেই হবে ?
আমি কাউকে বলিনি সে নাম
তামান্না জেনিফার
পর্ব ১০
__________________________
নিপার গায়ে হলুদ পর্ব হয়ে গেলো বেশ ঘটা করে ৷ একমাত্র মেয়ের বিয়েতে কোন কমতি রাখতে চান না গাজী মিয়া ৷ গ্রামের সব বউজিরা মিলে গীত গাইতে গাইতে হলুদ বাটাবাটি করে ফেললো ৷
“বালার কাই আছে দরদী
তায় বাটিবে হলদি
বালার ভাওজি আছে দরদী
তায় বাটিবে হলদী
বালার বোনজি আছে দরদী
তায় বাটিবে হলদী ”
সেই হলুদ ডলে ডলে লাগিয়ে দিলো সব ভাবীরা মিলে নিপার গায়ে ৷ বিকেলে হলো কাদা খেলা ৷ উঠানে পানি ঢেলে কাদা করে সেই কাদার মধ্যে বউজিরা একে অপরকে মাখিয়ে পুরো ভূত বানিয়ে দিলো ৷ রূপা পড়েছে বিপদে , ছোটদের সাথে সে মিশে মজা পায় না আবার বড়রা তাকে দলে নেয় না ৷ আবার নয়নের কাছ থেকে খবর এসেছে , আলেয়া চাচী যখন লতাভাবীকে বলছিল তখন সে শুনেছে ৷ নয়নের কোন একটা পরীক্ষা হবে , এজন্য বিয়েতে সে আসতে পারবে না ৷ রূপা কত আগ্রহ নিয়ে বসে ছিল অপেক্ষায় …. নয়ন আসবে না শুনে পুকুর পাড়ে বসে কতক্ষন কান্নাও করেছে সে ৷ এই যে কাদা খেলা হলো , বউজি খেলা শেষে সবাই পুকুরে নেমেছে ৷ এখন কাদায় গড়াগড়ি খাচ্ছে বাচ্চাকাচ্চার দল ৷ অথচ রূপা জুনিকে কোলে নিয়ে বারান্দায় বসে শুধু দেখছে ৷ বাচ্চাদের সাথে কাদায় গড়াগড়ি খাবার কোন ইচ্ছেই তার হচ্ছে না ৷ অবশ্য জুনির বেশ আগ্রহ হচ্ছে , কিন্তু ওর মায়ের কড়া নিষেধ কাদায় নামা যাবে না ৷ অগত্যা জুনি মন খারাপ করে রূপার গলা জড়িয়ে বসে আছে ৷
সন্ধ্যায় ঘটক সাহেব আসলেন ৷ নাদের আর নাসির মিলে বেশ আপ্যায়ন করেই বসালেন ঘটককে ৷ সব খবর জানতে চাইলেন ওদিকের ৷ ঘটক সাহেব শুধু মাথা নাড়িয়ে নিতান্ত অনিচ্ছায় উত্তর দিলেন ৷ গাজী মিয়ার সাথে তার খুব জরুরি কথা আছে জানালেন ৷
গাজী মিয়া গিয়েছিলেন গঞ্জে ৷ বিয়ের যেসব টুকটাক কেনাকাটা বাকী সেসব শেষ করতে গিয়েছেন ৷ নাদের বেশ কবার ঘটককে বললো যা বলার তাকেই যেন বলে , কিন্তু ঘটক সাহেব কথা না বলে চুপ করে বসে রইলেন ৷
রাত বাড়ে , নিঝুম নিকষ গাঢ় রাত ৷ ভেতর বাড়ি থেকে মেয়েদের গুনগুনিয়ে গাওয়া গীত ভেসে আসছে ৷
” খোলার হাটের বালুর চরে সায়মোনা টাঙ্গাইছেরে
লাল ময়না তোর ই কারনে রে
সোন্দর ময়না তোর ই কারনে রে
তোমার বাবা জবান দিছে ভরা সভার মাঝেরে..”
ঘটক সাহেব তাকিয়ে দেখলেন আসলেই উঠানে সামিয়ানা টাঙানো ৷ বর বসার জন্য ছোট করে একটা স্টেজও করা হয়ে গেছে ৷ এ বাড়ির বিয়ের আয়োজন শেষ …. অথচ তিনি একটা খারাপ খবর নিয়ে এসেছেন ৷ তার নিজের ঘরেও তিন তিনটা মেয়ে , মেয়ের বাবার হৃদয়ের অবস্থা তার জানা ৷ তারপরও এই বর্বর নিষ্ঠুর খবরটা তাকে দিতেই হবে ৷ হয়তো আল্লাহ তার কপালে এটাই রেখেছিলেন … পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালটা মুছে নেন তিনি ৷ আজ অকারণেই বড্ড বেশি ঘামছেন তিনি …
গাজী মিয়া এলেন রাত দশটায় ৷ ভেতরবাড়ির গুনগুন ততক্ষনে থেমে গেছে ৷ বাচ্চাগুলো হয়তো ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গেছে , বউজিরাও সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত …
গাজী মিয়া সবটা শুনলেন চুপচাপ ৷ কিছুই বললেন না ৷ ঘটক সাহেব যাবার জন্য উঠে দাঁড়ালে শুধু ক্লান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলেন “খানাদানা করছেন ঘটকসাব ? ” ঘটক সাহেব কিছুই খাননি ৷ বেশ কয়েকজন এসে সাধাসাধি করেছিল , কিন্তু খাবার মত মানসিক অবস্থা তার নাই ৷ বারবার শুধু নিজের মেয়েগুলোর মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠছে ৷ খাননি তবুও মাথা নাড়িয়ে বললেন খেয়েছেন , যদিও গাজী মিয়া এখন কিছুই দেখছেন না …..
বাড়ি ভর্তি মেহমান ৷ যাদের সাথে যুগেও একবার দেখা হয় না , সেই আত্মীয়দেরও তিনি আনিয়েছেন ৷ পুরো গ্রামের মানুষ দাওয়াতী , আশেপাশের গ্রামের গন্যমান্য মানুষেরাও দাওয়াতী ৷ এবার তিনি কী করবেন ! উঠান থেকে উঠে ঘরে যাবেন , এই শক্তিটুকুও যেন তিনি পাচ্ছেন না …
কখন যে তার পাশে নিপা এসে বসেছে তিনি খেয়ালও করেননি ৷ বাবার পাশে বসে গভীর মায়ায় বাবার হাতের উপর হাত রাখে সে ৷ বাবার জন্য বড্ড মায়া হচ্ছে তার ৷ যার কথায় পুরো বাড়ি চলে সেই মানুষটা কেমন বাকশূন্য হয়ে বসে আছে ৷ যাকে দেখে আজীবন সবাই ভয়ই পেয়েছে , আজ তাকে দেখে কেমন যেন মায়া হচ্ছে … মানুষটাকে বড্ড বেশি নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে ৷
—বিয়া ভাইঙা গেছে আব্বা ?
—হুমম
—কী কারণে বিয়া ভাঙলো আব্বা ? আমার কী দোষ ?
—মারে , তোর কোনো দোষ নাই মা ৷ দোষ কপালের ….
—ঘটক চাচায় কী বলছে যে নিপার কপাল ভালা না , ওর বিয়া বন্ধ !
—তা ক্যান কইবো !
—তাইলে কী কইছে এটাই কন ৷
—মা রে ঐ ছেলের হাবভাবেই আমার মনে হইছিল কোন একটা সমস্যা আছে ৷ পোলা আগেও বিয়া করছিল ৷ সেই বউ থাকে গেরামে ৷ হ্যায় বিয়া করতাছে এই খবর ঐ বউ পাইয়া মামলা দিয়া তারে জেলে ঢুকাইছে ৷ আমরার ঘটক এক সপ্তাহ ধইরা তার খোঁজ করতাছিল ৷ না পাইয়া নিজে ঢাকা গিয়া খোঁজ খবর নিয়া আসছে ৷ জেলে গিয়া ঐ হারামজাদার লগে দেখাও কইরা আসছে ৷ হারামজাদা নিজ মুখে স্বীকার করছে হ্যায় আগেরথেই বিয়াইত্যা !
—তাও ভালো ৷ বিয়ার আগেই জানছি ৷ বিয়ার পর জানলে কী হইতো !
—মা রে , তুই গিয়া শুইয়া পর ৷ যা আল্লাহ কপালে লেইখা রাখছে তাই হইবো ৷ তুই ঘুমা ….
নিপা চলে যায় ৷ তার আরও কথা বলার ছিল , কিন্তু তার বাবা যে এখন একটু একা থাকতে চাচ্ছে এটা বুঝেই চলে এসেছে সে ৷
বিছানায় শোয়ামাত্র গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় নিপা ৷ গত এক সপ্তাহ তার ঘুম হয়নি যে দুঃশ্চিন্তায় , সে দুঃশ্চিন্তার আজ অবসান হয়ে গেছে ….
চলবে…
চলবে…