ফোসকা পরা হাত নিয়ে মেহেভীন এক লোকমা ভাত মুখে দিতেই, কেউ খাবারের প্লেট ছুড়ে ফেলে দিয়ে মেহেভীনকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। মেহেভীন তাঁকিয়ে দেখে অভ্র। যে এখন মেহেভীনের প্রাক্তন। কাল অভ্রের বিয়ে। অভ্রের গাঁয়ে এখনো সেই গাঁয়ে হলুদের পাঞ্জাবি। অভ্র রাগে চিৎকার করে বলে,
‘তুই এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গিলছিস মেহেভীন? ওইদিকে আমার মা কত খেটে যাচ্ছে। যা আমার মায়ের কাছে গিয়ে দেখ কিছু লাগবে কিনা। ‘
অভ্র মেহেভীনের ফোসকা পরা হাত এমনভাবে চেপে ধরেছে যে,মেহেভীনের হাতে খুব ব্যাথা করছে। ব্যাথায় মেহেভীনের জল চলে এসেছে।
সারাদিন খাটুনি করে, রাতের দিকে এক লোকমা খাবার মুখে দিতে যাচ্ছিলো মেহেভীন,কিন্তু অভ্রের এরুপ অপমানের বিপরীতে, সে খাবারটুকু রেখেই
তার খালামণির ঘরের দিকে ছুটলো। মেহেভীন যেতেই, অভ্র রাগান্বিত চোখে আশিকের দিকে তাকালো। অভ্রের চাহনী দেখে আশিক তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো। আশিক অভ্রের বন্ধু হয় সম্পর্কে। সবসময়ই আশিকের মেহেভীনের প্রতি কুনজর ছিলো। হলুদের অনুষ্ঠানে সকলে ব্যস্ত ছিলো, এই সুযোগে আশিক রান্নাঘরে মেহেভীনকে একা পেয়ে তার সুযোগ নিতে এসেছিলো। অভ্র সঠিক সময়ে, তা দেখতে পেয়ে মেহেভীনকে রাগ দেখিয়ে রান্নাঘর থেকে যেতে বলে। কেন যেন আশিক মেহেভীনের দিকে কুনজর দেওয়ায় বড্ড রাগ লাগছে অভ্রের,কিন্তু কেন এতো রাগ হচ্ছে তা অভ্র নিজেও জানে না।
অভ্র জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিয়ে,নিজের রাগটুকু সামলিয়ে গাঁয়ে হলুদের স্টেজের দিকে রওনা দিলো।
মেহেভীন দৌড়ে কোনরকম তার খালামনির ঘরের সামনে এসে দাঁড়ায়। অভ্র নামক মানুষটি তাকে সবসময় কষ্ট দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত থাকে। অভ্র মেহেভীনের সম্পর্কে খালাতো ভাই হলেও, সে এখন মেহেভীনের প্রাক্তন। মেহেভীন একসময় অভ্র নামক মানুষটি খুব ভালোবাসতো। হয়তো এখনো বাসে।
মেহেভীন খুব ছোটবেলায় নিজের বাবাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে গিয়েছিলো। মেহেভীনের বাবা মারা যাওয়ার পরে, মেহেভীনের মা হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে যায়। ছোট মেহেভীনকে মেহেভীনের খালামনি ইশরা বেগম নিজের সাথে করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ইশরা বেগমের স্বামীও মেহেভীন ছোট থাকতে মারা গিয়েছিলো। খুব ছোট থাকতেই অভ্রকে ইশরা বেগম পড়াশোনার জন্যে লন্ডন পাঠিয়ে দিয়েছিলো।মেহেভীনের মনে পড়ে যায় একবছর আগের কথা,যখন অভ্র দেশে ফিরে এসেছিলো। তখন মেহেভীন অনার্সে ১ম বর্ষের ছাত্রী।
১বছর আগে,
মেহেভীন ব্রেকফাস্ট করে ভার্সিটির জন্যে রেডি হচ্ছিলো। তখনি কলিং বেলটা বেজে উঠে। মেহেভীন তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে, একপ্রকার হা হয়ে থাকে। তার সামনে স্বয়ং তার ক্রাশবয় অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। মেহেভীন প্রায় অভ্রের ফেসবুক স্ক্রল করতে। কত সুন্দর সুন্দর পিক ফেসবুকে দিতো অভ্র। তা দেখে প্রায় মেহেভীন শুধু ক্রাশ খেতো।
সাদা শার্ট পড়ে সানগ্লাস চোখে নিয়ে, তাকিয়ে আছে মেহেভীন নামক রমনীর দিকে। শ্যামবর্ণ রং-এ সাদা শার্টটা বড্ড মানিয়েছে অভ্রকে। মেহেভীন এক প্রকার ঘোরের মধ্যে চলে গেছে। অভ্র মেহেভীনের দিকে তাঁকিয়ে, হাত দিয়ে ইশারা করে বলে,
‘কিরে মেহু? তুই এইভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন হা করে? এইভাবে হা করে থাকলে কিন্তু মাছি ঢুকে যাবে মুখে।’
অভ্রের এমন কথায় মুখ চুপশে যায় মেহেভীনের। খানিকটা লজ্জা তার মুখে স্পষ্ট। অভ্র মেহেভীনের লজ্জামাখা মুখের দিকে তাঁকিয়ে ছিলো,হয়তো কিছুটা মুগ্ধতা নিয়ে। মেহেভীন দৌঁড়ে ছুটে যায় নিজের ঘরের দিকে। মেহেভীনকে দৌড়াতে দেখে, আনমনে মুচকি হাসে অভ্র। মেহেভীনের খালা ইশরা বেগম ছেলেকে দেখে খুশিতে কেঁদেই ফেলে একপ্রকার।
অভ্র দেশ থেকে এসেছে প্রায় এক সপ্তাহ হয়েছে। এর মধ্যে অভ্র ও মেহেভীন কিছুটা ফ্রেন্ডলি হয়ে গেছে। মেহেভীন হাতের ব্যাগটা নিয়ে ভার্সিটি থেকে সন্ধ্যায় বের হয়।আজ মেহেভীনের এক্সট্রা ক্লাস থাকায় মেহেভীনের ক্লাস শেষ হয়েছে সন্ধ্যার দিকে।
সন্ধ্যার দিকে মেহেভীন তেমন একটা বাইরে থাকে না। রাস্তায় মেহেভীন তেমন লোকও দেখতে পাচ্ছে না। পাশেই কিছুটা বখাটে ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দেখেই মনে হচ্ছে তারা নেশা করে আছে। মেহেভীন তাদের দেখে ভয়ে শুকনো ঢুগ গিলল। দ্রুততার সাথে মেহেভীন তাদের পাশ কাটাতে নিলে, একজন বখাটে উঠে দাঁড়িয়ে মেহেভীনের দিকে এগোতে থাকে। মেহেভীন ভয়ে দৌড় দিয়ে সামনে থাকা কারো সাথে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে পড়ে যায় মাটিতে। মেহেভীন সামনে তাঁকিয়ে দেখে অভ্র। অভ্র কোমরে হাত দিয়ে বলে,
‘মেহু তুই এখানে কি করছিস? ‘
মেহেভীনে ভয়ে অভ্রকে জড়িয়ে ধরে বলে,
‘ভাইয়া গো আমার পিছনে ওরা আসছে। আমাকে বাঁচাও। ‘
‘কারা? ‘
‘পিছনে কিছু বখাটে ছেলে আসছে আমার পিছনে। ‘
অভ্র বুঝতে পারলো পাড়ার কিছুটা বখাটে ছেলে মেহেভীনের পিছু নিয়েছে। অভ্র মেহেভীনের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
‘কই কেউ তো নেই। তুই শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিস। ‘
মেহেভীন অভ্রের শার্ট আরেকটু খামচে ধরে বললো,
‘ওরা আসছে। ‘
অভ্র মেহেভীনকে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
‘ দূর পাগলি এতো ভয় পাচ্ছিস কেন? আমি আছি তো। আমি থাকতে কেউ তোর ক্ষতি করতে পারবে না। তুই শুধু আমার উপর একটু ভরসা কর লক্ষ্মীটি। ‘
অভ্রের কথায় এমন কিছু ছিলো, যা শুনে মেহেভীনের কান্না তৎক্ষনাক থেমে যায়। সে যেন অভ্র নামক মানুষটিকে আস্তে আস্তে করে ভরসা করতে শুরু করে।
এইভাবেই আরো কয়েকটা দিন চলতে লাগলো। অভ্রের মেহেভীনের প্রতি করা কেয়ার, ছোট ছোট বিষয়ে মেহেভীনকে হেল্প করা যেনো মেহেভীনকে অভ্রের প্রতি দূর্বল করে তুলছিলো। মেহেভীন খুব দেরী করে হলেও বুঝতে পারলো, সে ভালোবাসে অভ্রকে। আস্তে আস্তে অভ্র ও মেহেভীনের মাঝে তাদের অজান্তেই প্রেমের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়।
রিলেশনের ১১মাস খুবই ভালো যাচ্ছিলো অভ্র ও মেহেভীনের। কিন্তু হঠাৎ ‘মায়রা ‘নামক এক অজানা ঝড় অভ্র ও মেহেভীনের জীবনে চলে আসে।
মেহেভীন ভার্সিটি থেকে ফিরে এসে দেখে অভ্র এক মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছে। মেয়েটির গাঁয়ে মডার্ন ড্রেস।
বাড়িতে আজ মেহেভীনের খালা ও নেই। অভ্রকে অন্য একটি মেয়ের সাথে দেখে, মেহেভীনের হাত থেকে ব্যাগটি পড়ে গেলো। মেহেভীন কোনরকম কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
‘অভ্র তুমি কি করছো? ‘
অভ্র নিজের থেকে মেয়েটাকে ছাড়িয়ে, মেয়েটার হাত ধরে মেহেভীনের সামনে হাঁসিমুখে দাঁড়িয়ে বললো,
‘মেহু তুই এসেছিস? মিট মাই ফিয়ন্সি মায়রা। ‘
মেহেভীন যেন এক পলকের যেন থমকে যায়। এই মেয়েটা অভ্রের ফিয়ন্সি মানে? এইসব কি বলছে অভ্র,? মেহেভীনকে থম মেরে যেতে দেখে,মায়রা মুচকি হেঁসে বললো,
‘মেহেভীন তুমি হঠাৎ এইভাবে থম মেরে গেলে কেন? আ ইউ ওকে? ‘
মেহেভীন এইবার অভ্রের শার্টের কলার চেপে ধরে বলে,
‘এই মেয়েটা তোমার হবু বউ মানে? এইসব কি উল্টা-পাল্টা বলছো তুমি? ‘
‘আমি একদম ঠিক বলছি। লন্ডনে থাকতে মায়রার সাথে আমার রিলেশন হয়। আমি ও একে-অপরকে ভালোবাসি। কিন্তু মায়রার সাথে সামান্য কারণে ঝগড়া হয়। যার ফলে আমাদের ব্রেকাপ হয়। আমি জাস্ট দেশে এসে তোর সাথে প্রেমের একটা ছোট্ট নাটক করি। শুধুমাত্র মায়রাকে জেলাস ফিল করানোর জন্যে। মায়রা এখন তার ভূলটা বুঝতে পেরেছে। তাই আমার কাছে ফিরে এসেছি। এখন আমরা দুজন সামনের মাসে বিয়ে করবো। দ্যাটস ইট। ‘
অভ্রের প্রতিটা কথা শুধুই শুনেই গেলো মেহেভীন। কোনরকম প্রতিক্রিয়া করলো না। শুধুমাত্র আনমনে সিড়ি বেয়ে উঠে চলে গেলো। মেহেভীনের যাওয়ার পানে তাঁকিয়ে অভ্র তাঁকিয়ে রইলো কিছুক্ষন। মায়রা মৃদ্যু ধাক্কা দিয়ে অভ্রকে বললো,
‘কি দেখছো তুমি এতো অভ্র? আমি এতোদিন পর এলার্ম। তুমি আমায় শপিং এ নিয়ে যাবেনা?’
অভ্র মুচকি হেঁসে বললো,
‘অবশ্যই ম্যাম চলুন। ‘
_______________________
‘কিরে মেহেভীন তুই এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস? ‘
নিজের খালামনির ডাকে মেহেভীন অতীত থেকে বেড়িয়ে আসে। নিজের চোখের জলটুকু দ্রুত মুছে ফেলে। নিজের কষ্টগুলো সে তার খালাকে কিছুতেই দেখা চায়না। মেহেভীনের খালা অভ্র ও মেহেভীনের সম্পর্কের কথা জানেন না।
এই মানুষটি যদি সব জানতো,তাহলে হয়তো খুব কষ্ট পেতো। এই ‘খালা ‘ নামক মানুষটির জন্যেই এতোটা কষ্ট সহ্য করে মেহেভীন এই বাড়িতে আছে। মেহেভীন কীকরে তার খালাকে ছেড়ে যাবে?যেই মানুষটি ছোটবেলা থেকে তাকে সবসময় আগলে রেখেছে ।
তাকে ছেড়ে মেহেভীন কোথাও যেতে পারেনা।
মেহেভীন নিজেকে সামলে বলে,
‘কিছু না খালা। তুমি কিছু বলবে আমায়? ‘
‘বলছিলাম আমি অসুস্হ বলে, তুই তো অভ্রের গাঁয়ে হলুদের সব আয়োজন নিজেই করলি। এখন একটু ঘরে গিয়ে, বিশ্রাম কর যা। ‘
মেহেভীন মাথা নাড়িয়ে নিজের ঘরে যেতে নিলে,
মেহেভীনের খালা পিছন ডেকে বলে,
‘মেহু তোর হাতে কি হয়েছে? ‘
মেহেভীন তার ফেসকা পরা হাতের দিকে তাঁকিয়ে বললো,
‘আসলে তেলে পিয়াজু ভাজতে গিয়ে, তেল ছিটে হাতে চলে এসেছিলো। তুমি চিন্তা করো না খালা।
আমি ঘরে গিয়ে ওষুধ লাগিয়ে নিবো। ‘
‘অবশ্যই লাগিয়ে নিবি কিন্তু। ‘
‘আচ্ছা। ‘
মেহেভীন তার ঘরে ঢুকলো। তখনি বাইরে থেকে কেউ বলে উঠলো,
‘আসবো? ‘
মেহেভীন পিছনে ঘুড়ে দেখে অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। অভ্রকে দেখে মেহেভীন বলে,
‘তুমি এখানে? ‘
অভ্র মেহেভীনের দিকে একটি পেপার এগিয়ে দিয়ে বলে,
‘পেপারটা সাইন করে দিস। পেপারটা রেডি করতে একটু দেরী হয়ে গেছে বটে। ‘
মেহেভীন পেপারটা দিকে তাঁকিয়ে দেখে ডিভোর্স পেপার। । অভ্র তাদের ভালোবাসার প্রমান দেওয়ার জন্যে,সকলের আড়ালে মেহেভীনকে নিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে , তাদের বিয়েটা সেড়ে ফেলেছিলো। অভ্রের ভাষ্যমতে, অভ্রের একটা চাকরী হয়ে গেলে বড় করে আয়োজন করে, মেহেভীনকে নিজের ঘরের বউ আনবে। বর্তমানে অভ্র একটি বড়
কম্পানিতে বড় পদে চাকরী করে। সে চাকরী পেয়ে, বিয়ে করে বউ আনছে ঠিকই, কিন্তু মেহেভীনকে নয় অন্য কাউকে। মেহেভীন ডিভোর্স পেপারটার দিকে তাঁকালে, মেহেভীনের চোখ দিয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়ে।
মেহেভীনকে ব্যবহার করার জন্যে, অভ্রের বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কটা নিয়েও নাটক করতে একটুও বিবেকে বাঁধলো না।
মেহেভীন তাচ্ছিল্যের হাঁসি হেঁসে বললো,
‘বিয়ের আগের রাতে তুমি আমার হাতে ডিভোর্স পেপার তুলে দিচ্ছো? এই ডিভোর্স পেপারের আদোও কোন মূল্য আছে?
যেখানে বিয়ের কোন মূল্য নেই। যেই বিয়ে শুধুমাত্র আমাকে ব্যবহার করার একটা হাতিয়ার ছিলো, সেই বিয়েটাকে ভেঙ্গে ফেলার জন্যে ডিভোর্সের প্রয়োজন নেই। কেননা আমাদের মধ্যে কখনো তো বিয়ের সম্পর্ক গড়েই উঠেনি অভ্র। আমার কাছে বিয়েটা শুধুমাত্র নাটক একটা। ‘
মেহেভীনের কড়া বাক্যবানী শুনে অভ্রের মুখটা চুপশে গেলো।
এই বিয়ের কোন মূল্য নেই মানে? তাদের মধ্যে বিয়েটা হয়েছে এইটা তো সত্যি কথা। হ্যা একদম চিরন্তর সত্য যাকে বলে। অভ্রের তো ডিভোর্সের কোন তাড়াও ছিলো না, কিন্তু মায়রাই তো তাকে ডিভোর্সটার জন্যে তাড়া দিচ্ছিলো। অভ্রের রাগ হলেও, সে তা দমিয়ে দিয়ে বললো,
‘কাল আমার বিয়ে। বিয়ের আগে ডিভোর্স পেপারটা সাইন করে আমাকে দিবি। পরে তো আবার ডিভোর্স না হলে, আমার স্ত্রীর অধিকার চেয়ে বসবি তখন কি হবে? ‘
মেহেভীন আবারো হাসে। মেহেভীন বলে উঠে,
‘আচ্ছা তুমি তো শুধু মায়রাকে জেলাস ফিল করানোর জন্যে রিলেশনে গিয়েছিলে। তাহলে বিয়ের নাটক টা কেন করলে? ‘
অভ্র কি উত্তর দিবে বুঝতে পারছে না। অভ্রের এই নিরবতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, সে কিছু লুকাতে চাইছে।
‘আমি তোর প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই। ‘
কথাটি বলে অভ্র একপ্রকার তাড়া নিয়েই মেহেভীনের রুম থেকে বেড়িয়ে আসে। মেহেভীন পুনরায় তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। আজকাল তার শুধু অভ্রের কথাতে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতে ইচ্ছে করে।
তখনি মেহেভীনের ফোন বেজে উঠে। মেহেভীন ফোনটা উঠিয়ে দেখে ডক্টরের নাম্বার। আজ-কাল মেহেভীনের শরীর বেশ খারাপ। তাই কয়েকটা টেস্ট করিয়েছিলো মেহেভীন। হয়তো সেগুলোর রিপোর্ট চলে এসেছে। মেহেভীন ফোন রিসিভ করে বলে,
‘হ্যালো ডক্টর বলুন? ‘
‘জ্বী আসলে আপনার রিপোর্ট চলে এসেছে। ‘
‘কি আছে তাতে? ‘
‘ফোনে না বলে, সরাসরি বললে সুবিধা হবে। আপনি বরং কালকে আমার সাথে দেখা করুন। ‘
মেহেভীন সম্মতি জানিয়ে, ফোনটি রেখে দেয়। কি এমন আছে রিপোর্টে? যা ডক্টর ফোনে বলতে পারলো না।
চলবে…
#তুমি_আছো_মনের_গহীনে 💞
#পর্ব- ১
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)