dangerous love পর্ব -১৬+১৭

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_16,17
আনুশকা কিছুই বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে,,,
আগুন কি করতে চাইছে সেটাও বুঝতে পারছেনা ।
_
_আগুন : Hi dear,,
প্রিপ্রারেশনটা কেমন নিচ্ছি দেখো বলতো???
_
_আনুশকা বেড থেকে উঠে দাড়ালো,,,
জিজ্ঞাসা চোখে আগুনের দিকে তাকালো সে ।

_আগুন : কি বুঝতে পারছোনা কিছু তাইতো???
_
_আনুশকা : ???
_
আগুন আবার বলতে লাগলো
_আগুন : আজকে আমাদের এখানে অথিতি আসবে,, আমাদের দোয়া করবে,,,
সেজন্য তাদের অথিতি সেবা করার ব্যবস্থা করেছি ।
_
_আনুশকা : অথিতি মানে???
কারা আসবে?????

_আগুন : সেটা এলেই বুঝতে পারবে ।
_হাতে ইশারা দিয়ে সার্ভেন্টদের চলে যেতে বললো,,,

_সার্ভেন্টরা যেতেই আনুশকাকে খাবার খাওয়ার জন্য বললো ।
_
_আনুশকা বিরক্তি নিয়ে খাবেনা বললো ।

_তখনি আগুন নিজের শার্টের দুইটা বোতাম খুলললো ।

_আর শয়তানি একটা হাসি দিয়ে বললো,,
_
_কিভাবে খাবে সেটার ঔষধ আমার কাছে আছে,,,
।।
আনুশকার কাছাকাছি আসতেই আনুশকা বললো,,
_
_খাবো আমি,, আমার ক্ষিধে লেগেছে অনেক,,
দয়া করে আমাকে খেতে দিন
আর এই শার্টের বোতাম গুলো লাগিয়ে নিন ।
_
_আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো,,
_আপনার খাবার সার্ভ করবো,,
আপনার কাপড় ধোব,, আপনার জন্য রান্না করবো,, ঘর ঝাড়ু দিবো, ঘর ওয়াস করবো,,,
আপনার সব কাজ করবো,,
আমি আপনার সারাজীবনের দাসি, বাদি হয়ে থাকবো ।
_
_আনুশকা ভয়ে আচল দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না করতে করতে এক ধমে কথা গুলি বললো ।

_আগুন তো অবাক,, এইটুকু ডোজে তার ডিয়ার সঠিক লাইনে এসেছে,,
_
এই ডোজটা মাঝে মাঝে দিতে হবে তাহলে,,
,,,
আনুশকা আবার বেডে বসে পড়লো ।

_আগুনও আনুশকার পাশে গিয়ে বসলো,,
তারপর সার্ভেন্টদের রেখে যাওয়া প্লেটের খাবার খাইয়ে
দিতে লাগলো আনুশকাকে ।

_আনুশকা ভয়ে চুপচাপ খাচ্ছে ।
খেতে খেতে আগুনের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এলো ।

_সে ইচ্ছে করে আনুশকার মুখে আর ঠোটেঁ কিছুটা খাবার লাগিয়ে দিলো ।
_
_আনুশকা সেটা বুঝতে পারেনি ।


আগুন : ডিয়ার তোমাকে তো বলেছি এমন কাজ করবেনা,, তারপরও এমন কাজ কেনো করলে ।

_আনুশকা ভয় পেয়ে ভাবতে লাগলো সে আবার কি কাজ করলো,,,

_কাদো কাদো গলায় আনুশকা বললো,,,
আনুশকা : আমি আবার কি করলাম,, আমি কিছু করিনি ভিলিব করুন প্লিজজজজজজ ।

_আগুন মুচকি হেসে বললো
,,
_আগুন : অনেক বড় কাজ করেছো তুমি,, এটার শাস্তি পেতে হবে তোমায় ।
দাড়াও শাস্তি দিচ্ছি তোমায় ।
_
বলেই আগুন আনুশকা মুখে লেগে থাকা খাবারে নিজের ঠোট লাগালো ।

_আর ধীরে ধীরে তা চেটে খেতে শুরু করলো ।

আনুশকা তার চোখ বন্ধ করে রেখেছে ।
আর আগুন তার নিজের কাজ করতে থাকলো ।

_আগুন এক পর্যায়ে থামলো ।
_
তারপর আনুশকার ফেস তোয়ালে দিয়ে মুছে দিলো ।

_নিজের হাতও ওয়াস করলো বাট নিজের ঠোঁট মুছলোনা ।
কি করে মুছবে এখানে যে
তার জিবন তার ডিয়ারে মিষ্টি ছোয়া লেগে আছে ।

খাওয়া শেষ হলে আগুন বললো
,,,,আগুন : ডিয়ার তোমাকে আমার দাসি বাদি বানানোর জন্য বিয়ে করিনি ।
এগুলোর আলাদা লোকজন আছে আমার ।
_
তোমাকে আমি আমার রানি বানানোর জন্য বিয়ে করেছি ।
আর তুমি সর্বদা আমার হ্রদয়ের রানি থাকবে ।

তুমি আরেকটা কথা নিজের মাথায় ঢুকিয়ে নাও,,,
তুমি শুধু আমার, তোমাকে নিজের করে রাখার জন্য এতো কিছু করেছি আমি ।

দরকার পড়লে আরো অনেক কিছু করবো তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য ।

এজন্য যত দূর যাওয়ার প্রয়োজন যাবো ।
যত বাজে হওয়ার দরকার হবো তুবও তোমাকে ছাড়বোনা ।
তোমাকে আমার হতেই হবে
At any cost. Do you understand???

_কথা গুলো বলার সময় আগুনের চোখ ফেস লাল হয়ে গিয়েছিলো ।

_আনুশকা চুপচাপ কথা গুলি শুনছে, কিছু বলছেনা ।

সে ভাবছে,, গত জন্মে কিছু এমন করেছিলো যে জন্য এমন #Dangeous_lover sry # Dangerous _বর কপালে জুটেছে ।
_আমার আর নিস্তার নেই এই হায়েনার কাছ থেকে ।
যেখানেই লুকাবো ধরে ফেলবে আমাকে আর নিজের কাছে বন্দি বানিয়ে রেখে দিবে ।
_
_আগুন আনুশকার মাথায় হাত বুলিয়ে ঠোটেঁ ঠোঁট ছোয়েঁ
রুম থেকে চলে এলো ।

_চলে আসার সময় I love you sweet heart বলে চলে এলো ।

_ আনুশকা বেচারি আচল দিয়ে নিজের ঠোঁট মুছে মুছে ইচ্ছে মতো বকতে থাকলো,,,,
_
প্রায় এক ঘণ্টা পর বাংলোতো বুলেটের আওয়াজ হলো,,,
আনুশকা তো বেড থেকে এক লাফে উঠে বসলো ।
_সার্ভেন্টারা সব একসঙ্গে জড়ো হলো,,,
_হঠাৎই আরমান সাহেব আর কমিশনার বাংলোর ড্রয়িং রুমে মধ্যে ঢুকলো ।

_
আগুন সোফায় পায়ের উপর পা তুলে পেপার পড়ছিলো ,,

_এমন একটা এটিটিউট করছে যেনো কিছুই হয়নি ।সে কিছুই জানেনা এমন ।
_
_কমিশনার : এই সেই ক্রিমিনাল ( আগুনকে দেখে উদ্দেশে করে বললো কথাটা)
_
_আরমান সাহেব : Who the hell are you ???

_ আগুন : Hello শুশুর মশাই ,What’s up ???
( সোফা থেকে উঠে হাসি দিয়ে কথা গুলো বললো)
_চলবে ,,,,
.
#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_17
আরমান সাহেব : What nonsense,,
আগুন : .শশুর মশাই আমি আপনার জামাতা,, আপনার একমাত্র মেয়ের বর আমি,, তাহলে আমি আপনার জামাতা হলাম তাইনা??


আরমান সাহেব : কি যাতা বলছেন???, আমার মেয়ের বিয়ে হয়নি ।
কোথায় আমার মেয়ে???
কমিশনার এই ক্রিমিনালটাকে এরেস্ট করুন আর আমার মেয়েকে খুজে বের করুন ।

_কমিশনার : . তা অবশ্যই করবো ।
এই ক্রিমিনালটাকে জেলে ঢুকালে দুচারটি দিলেই গড় গড় করে সব বেড়িয়ে আসবে ।
শহরের নামী দামি বিসনেজ ম্যানের মেয়েকে কিডনাপ করার মজাটা বের করবো ।

আগুন চুপচাপ শুনছে,,,
আর হাসছে,,,

আরমান সাহেব আগুনে হাসি দেখে রেগে গিয়ে বললো ।
_
আরমান সাহেব : .কি হলো কমিশনার এখনো এই ক্রিমিনাল এখানৈ দাড়িয়ে আছে কেনো??

একে এখনি এরেস্ট করুন আর আমার মেয়ে কোথায় তা জিজ্ঞেস করুন ।

_কমিশনার : Your under arrest Mr Agun mirja.

আগুন সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বললো,,,

আগুন : আমার অপরাধ???
আমি কি করেছি,, বেশ শান্ত গলায় বললো কথাটা,,

।আরমান সাহেব : শয়তান তুই আমার মেয়েকে কিডনাপ করেছিস,,,
আবার বলছিস কি করেছিস,,,
তোকে এবার উচিত শিক্ষা দিবো জেলে নিয়ে গিয়ে ।

_আগুন : কি প্রমাণ আছে আমি আপনার মেয়েকে কিডনাপ করেছি ।
প্রমাণ আসুন তারপর কথা বলুন ।

কমিশনার কিছু বলছোনা কেনো??? আরমান সাহেব রেগে কথটা বললো ।

আগুন : কমিশনার আমার কথায় একমত দিবে ।
উনিও জানেন প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছু হয়না ।

আরমান সাহেব : পুরো মিডিয়া চ্যানেল জানৈ তুই আমার মেয়েকে কিডনাপ করেছিস আবার তুই বলছিস কোনো প্রমাণ নেই ।

আগুন : শশুর মশাই ভুল বললেন আমি কাউকে কিডনাপ করিনি ।
মিডিয়া জানে আমি বিয়ে করেছি,,, আমার ওয়াইফকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি মাত্র ।
পকেট থেকে একটা পেপার বের করে দেখালো আগুন ।
আনুশকা আর আগুনে ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখালো আগুন ।

আরমান সাহেব আর কমিশনার অবাক,,

অরমান সাহেব : এটা হতে পারেনা ।এই ক্রিমিনাল মিথ্যা বলছে ।
কমিশনার একে এরেস্ট করুন ।

কমিশনার : সরি স্যার, প্রমান ছাড়া কিছু করতে পারবোনা ।
আনুশকা ম্যাডামই পারে এসবের সমাধান করতে ।
উনি যা বলবেন তার উপর ভিত্তি করে আমরা স্টেপ নিবো ।

আগুন : এইতো কমিশনার সাহেব সব বুঝেছে ।শশুর মশাইয়ের তো বয়স হয়েছে তাই বিষয়টি বুঝতে পারছেনা ।শয়তানি একটা হাসি দিলো আগুন ।

আরমান সাহেব রেগে একাকার হয়ে বললো,,

আরমান সাহেব : ঠিক আছে তাই হোক, ডাক আমার মেয়েকে ।তারপর তোকে জেলে দিবো,,

।আগুন : আপনার মেয়ে নয় বলুন আমার বউ ।
হাসতে হাসতে সোফা থেকে উঠে আনুশকাকে ডাক দিলো আগুন ।

আগুন : আনুশকা ডিয়ার একটু নিচে এসোতো,,
তোমার সাথে কে দেখা করতে এসেছে দেখে যাও,,,
আর কত রুমে বসে থাকবে গো
,,,
এবার নিচে এসোতো,,,

।আনুশকা ডিয়ার কোথায় তুমি???

আনুশকা ধীরে ধীরে নিচে এলো,,,
সবাই তা দেখলো,
আনুশকার বাবা মেয়েকে এতোদিন পর দেখৈ জড়িয়ে ধরলো আর কান্নাও করে দিলো
আনুশকাও কান্না করতে থাকলো
,,,এতোদিন পর তার বাবাকে দেখে তার কোনো হুস নেই তাদের সাথে আরো অনেকেই আছে বিশেষ করে আগুন ।

আগুন : অনেক হয়েছে, এবার তো আপনারা থামুন ।
আমাকেও লক্ষ্য করুন ।
আমিতো এখানে আছি ।আমাকেও কেউ জড়িয়ে ধরুন ।
শশুর মশাই আপনি শুধু আপনার মেয়েকেই দেখছেন আমিতো আপনার একমাত্র মেয়ের জামাই সেটা ভুলে গেলে চলবে ।
ওগো ডিয়ার কিছু বলো?? একা একা বাবার আদর নিবে ।???

বলেই হাসতে লাগলো আগুন ।
আরমান সাহেব রেগে বললো,
আরমান সাহেব : সেট আপ ইউ রাস্কেল ।
তুই আমার জামাতা না তুই একটা ক্রিমিনাল ।
আনুশকা মা বলোতো কি হয়েছে ।
এই লোক তোমাকে কিভাবে কিডনাপ করেছে?? তোমার কোনো ক্ষতি করেনিতো ।একবার বলো শুধু তারপর দেখো আমি কি করি এই ক্রিমিনালটার ।


আনুশকা : বাবা সব বলছি ,আমাকে কেউ কিডনাপ করেনি ।আমি নিজের ইচ্ছেতে এখানে এসেছি আর এই লোক কে বিয়ে করেছি ।তুমি মেনৈ নিবেনা তাই আমি তোমাকে কিছু না বলে চলে এসেছি ।উনি আমার স্বামী আর তোমার জামাতা
আমি ভুল করেছি আমাকে মাফ করে দাও ।আমার স্বামী আর আমাকে মেনে নাও বাবা

কমিশনার আর আরমান সাহেব অবাক ।

আরমান সাহেব : কি বলছো এসব? তোমার মাথা ঠিক আছে?
বুঝতে পেরেছি এই শয়তান তোমাকে ভয় দেখিয়ে বলাচ্ছে ।তুমি ভয় পেয়োনা ,আমি আছি ,সত্যি টা বলো ।

আগুন : ও সব সত্যি বলছে ।আমি আপনার জামাতা ।আপনার মেয়ের স্বামী ।আমাদের মেনৈ নিন

আমাদের হানিমুনে যেতে হবেতো, আপনাকে গ্র্যান্ড চাইল্ড উপহার দিবো তাইনা ডিয়ার,আনুশকার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো

আরমান সাহেব : এসব মিথ্যে ।তোর কথা এগুলো।
আনুশকা সত্যি বলো

।আগুন : Just wait আপনাদের ভিলিব করাচ্ছি আনুশকা সব সত্যি বলেছে_
একথা বলেই আনুশকার আচল দিয়ে দুজনৈর মুখ ঢেকে ফেললো

আরমান সাহেব আর কমিশনার নিজেদের চোখ বন্ধ করে ফেললো ।

(আশা করি কি হয়েছে বুঝতে পেরেছেন )
_চলবে ,,,_

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here