এসো বৃষ্টি হয়ে পর্ব -০৭

#এসো_বৃষ্টি_হয়ে (৭)
#writer_sayuri_dilshad

সুখন মায়মুনাকে প্রায় ধাক্কা দিয়েই নিজের থেকে সরিয়ে দিলো। বিস্ময়ে তার কথা বেজে উঠলো, বললো,
– কিক্ কি বললে?
মায়মুনা বেশ স্বাভাবিকভাবেই জামা ঠিক করতে করতে বললো,
– কেনো শুনোনি কি বলেছি।
সুখনের মুখ থেকে বিরক্তিতে “চ” উচ্চারিত হয়। রেগে গিয়ে বলে,
– আমার সাথে হেঁয়ালি করবে না৷ যা বলার সুন্দর করে বলো।
মায়মুনা খানিকটা বিরক্তি চেপে বললো,
– কেন? তুমি কি আমার শাশুড়ী লাগো, না শ্বশুড় লাগো যে হেঁয়ালি করতে পারবো না।
সুখন বিরক্ত হয়। রাগে হাতের মুঠো শক্ত হয়। রাগ কোনো মতে চেপে বলে,
– মায়মুনা!
মায়মুনা একটু রাগ মিশ্রিত গলায় বলে,
– কি! মায়মুনা মায়মুনা করছো। আরে আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না তোমার অবাক হওয়ার মতো কি বলেছি! কি এমন বলেছি যে তুমি রাগ করছো।
সুখন দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
– বুঝতে পারছো না! তুমি প্রেগনেন্ট মানে কি!
মায়মুনা নির্লিপ্ত চোখে তাকায় সুখনের দিকে, বলে,
– আমি প্রেগনেন্ট মানে প্রেগনেন্ট। সহজ কথা বুঝতে পারছো না। আমাকে বিয়ে করছো, শুয়েছো, থেকেছো এখন বলছো আমি প্রেগনেন্ট মানে কি!
শেষের কথাটা মায়মুনা খানিকটা বিদ্রুপের সঙ্গেই বলে।
সুখন চাপা গর্জন করে বলে,
– বাজে কথা বলবা না, চুপ!
মায়মুনা সুখনের থেকেও তিনগুণ গর্জে উঠে বলে,
– এই খবরদার আমার সাথে একদম এইভাবে কথা বলবে না৷ একদম না। আমাকে কি বেলি পেয়েছো যে সব বুঝে শুনে চোখ মুখ বন্ধ করে পড়ে থাকবো। একদম নারী নির্যাতনের কেস ঠুকে দিবো। একে তো বিয়ে করেছো তুমি বিবাহিত না জানিয়ে। যদি জানতাম তুমি বিবাহিত তাহলে বিয়ে করতাম নাকি! বাটপার।
সুখন একটু দমে গেলো। আসলেই বেলি আর মায়মুনার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। সে মাথা ঠান্ডা করে মায়মুনা কে বুঝানোর স্বরে বলে,
– এটা কয় মাস?
মায়মুনা আবাক হয়ে বলে,
– কিসের কয় মাস?
তারপর প্রশ্নটা বোধগম্য হতেই বললো,
-দুই মাস।
সুখন আমতাআমতা করে বললো,
– দেখো এখনও আমার বেলির সাথে সমস্যাটা মিটে নি। বেলি যেকোনো মুহূর্তেই যেকোনো ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বলছিলাম তুমি যদি এখন অ্যাবোরশন করতে ফেলতে।
মায়মুনা চমকে তাকায় সুখনের দিকে, তারপর বলে,
– কি বলছো? আবার বলো তো
সুখন খানিকক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে বলে,
– অ্যাবরশন করে ফেলতে বলছি..
সুখন পুরো কথাটা শেষ করতে পারলো না তার আগেই মায়মুনা সুখনের গালে চড় বসিয়ে দিলো। বিছানায় বসে ছিলো সে। এবার সে প্রায় লাফ দিয়েই উঠে দাঁড়ালো। বললো,
– বটি চিনস হারামজাদা, বটি দিয়া কুপায়া তোরে পিস পিস করে ফেলবো। তারপর জেলে যাবো। অ্যাহ্ আমার আর বেলির সমস্যাটা মিটে নি( ব্যাঙ্গাত্নক ভঙ্গিতে বলে মায়মুনা)। তোর সমস্যা তুই মিটাতে থাক, আমার কি, হ্যা। আমাকে বিয়ে করেছিলি সময় তুই বলেছিলি যে তুই আগে একটা বিয়ে করছিস, তোর একটা ছেলে আছে।যে এখন আমি ভাববো তোর সমস্যার কথা। তুই বিবাহিত জানলে আমি তোরে বিয়ে করতাম না৷ তোর দিকে ফিরেও তাকাতাম না। হারামি।
মায়মুনা থেমে একটু দম নিলো, তারপর আবার বলতে শুরু করলো,
– বিয়ের তিন মাস পর জানলাম তুই আগে আরেকটা বিয়ে করছোস। তোর ছেলে আছে। অন্যের মুখ থেকে। সবাই বললো তোরে ছেড়ে চলে যেতে। ছাড়বো কেন? তুই আমার জীবনটা নষ্ট করছিস, ছাড়বো কেন? তোরে আমার দেখার আছে না। যদি আমি তোরে ছাইড়াই যাই তাহলে তোরে জেলের ভাত খাওয়ায় তারপর যাবো এর আগে না। আমার তো কোনো দোষ ছিলো না। আমার দোষ একটায় আমি তোরে ভালোবেসে বাড়ি ছেড়ে আসছি। বাজারি মেয়ের ট্যাবু ধারণ করেছি। তখন কত কত ভালোবাসার কথা, আর এখন যখন বাচ্চার কথা আসলো তখন সব শেষ। আসলে তুই কুত্তার থেকেও অধম। জানোয়ার।
সুখন আর নিজের রাগ সামলাতে পারলো না৷ মায়মুনাকে শরীরের সবটা শক্তি একটা চড় বসিয়ে দিলো, তারপর শার্ট হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে।
মায়মুনা আকস্মিক হামলায় বোকা হয়ে গেলো। কথা বলতে ভুলে গেলো। তার গাল জ্বালা করছে তার। তার থেকেও বেশি জ্বালা করছে অন্তর। এই জ্বালা আজ থেকে না বিয়ের তিনমাস পর থেকেই জ্বলছে সে। যখন সে ঠকে গিয়েছিলো তখন থেকেই। কত যে কষ্ট লাগে, কত যে যন্ত্রণা হয় সেটা সে অন্য কাউকে বুঝাবে কি করে। যখন ঐ লোকটির ভুলের কারণে কেউ তাকে বাজারি মেয়ে বলে নামিয়ে আনে নোংরা মেয়েদের কাতারে, বিশ্রী নোংরা ভাষায় গালি দেয়। তখন তার কতটা খারাপ লাগে সেটা কেউ জানে না। কারো সংসার কি সে আদৌও ভাঙতে চেয়েছিলো সে খবর কি কেউ জানতে চেয়েছে। সবাই বেলির দিকে করুণ চোখে তাকায়, স্বান্তনা দেয় যেন বেলিই সব হারিয়ে। সেও তো হারিয়েছে বাবা মা পরিবার পরিজন সব ছেড়ে এসেছিলো সে যে মানুষটার ভরসায় একসময় সে জানতে পারলো সেই মানুষটা তাকে ঠকিয়েছে। তার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই এই মানুষটার জন্য।কই কেউ তো তাকে স্বান্তনা দেয় না। সে সব কিছু জেনেও চুপ থেকেছে, সে তার সংসার ঠিকিয়ে রাখতে চেয়েছে। এটা তার দোষ। কোন মেয়ে চায় তার সংসার ভেঙে যাক। মায়মুনার কান্না পায়। সে কাঁদে চিৎকার করে কাঁদে। তার কান্নার আওয়াজ চার দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আবার তার কানেই ফিরে আসে। সে ঠকেছে, জীবনের যুদ্ধে সে খুব বাজে ভাবেই ঠকে গিয়েছে।তার মনে জেদটা আরও চেপে বসে, সে কিছুতেই সুখনকে ছেড়ে যাবে না। কিছুতেই না৷

ঘড়ির কাটা এখন প্রায় বারোটা ছুঁই ছুঁই করছে। খানিক বাদেই হয়তো বারোটার ঘরে পৌঁছেও যাবে। প্রতীক বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে লাগলো। তার ঘুম আসছে না। পুরোনো স্মৃতি গুলো বড্ড মনে পড়ছে তার। কিশোর মনে জেগে উঠা প্রেমের কথা আজ আবার পড়ছে তার। বিছানা ছেড়ে সে উঠে বসলো। ঘুম আজ আর আসবে না। অন্যদিন সে বিছানায় শরীর দিতেই ঘুমিয়ে পড়ে। উঠে গিয়ে বারান্দায় বসলো। বেলির মুখটা চোখে ভেসে উঠছে বারবার। তার প্রথম ভালোলাগার ভালোবাসার মানুষটা হলো বেলি। কিন্তু আফসোস সেই ভালোবাসা প্রকাশ করার আগেই তার মন ভেঙে গেলো।
ছোটবেলায় প্রতীক বেলিদের বাড়িতে যেত প্রায়ই।তখন তার খেলার সাথী ছিলো বেলি। তার যখন একটু বড় হলো তখন থেকেই পড়ালেখার চাপে কোথাও যেতে পারতো না। তার স্পষ্ট মনে আছে ক্লাস সিক্সে উঠার সে আর কোথাও তেমন বেড়াতে যায় নি। সারাদিন বই নিয়েই বসে থাকতো।কারো সাথেই তার তেমন কথা হতো না৷ তার স্পষ্ট মনে আছে, তখন সে একাদশ শ্রেনীতে পড়ে। সামনেই তার ফাইনাল পরীক্ষা। সে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। হঠাৎ কোথা থেকে মা হন্তদন্ত হয়ে ঢুকে বললেন,
– ও প্রতীক শোন না,তোর ফুপুর বেশি শরীর খারাপ। চল গিয়ে দেখে আসি। আমি যাই রেডি হই।
প্রতীক বিরক্ত হয় তার পড়ার ব্যাঘাত ঘটছে বলে। তারপরও সে উঠে রেডি হয়। মাকে নিয়ে যায় ফুপির বাসায়। তখনেই চোখে পড়ে বেলিকে, স্কুল ড্রেস পড়াছিলো। একটা শান্ত স্নিগ্ধ মুখ। চোখে পানি টলটল করছে যেন কেউ কিছু বললেই কেঁদে দিবে। প্রতীক খানিকক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ঘোর লাগা নেশায়। বেলির সঙ্গে চোখাচোখি হতেই সে চোখ নামিয়ে নেয়। ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় পুকুরপাড়ে। তখনই ঘটে বিপত্তি। কোথা থেকে একটা গরু ছোটে আসে। প্রতীক গরু দেখে পিছাতে গেলেই সে পুকুরে পড়ে যায়। বেলি দূর থেকে ঘটনা দেখে ফেলেছিলো। সে হেসে দেয়। প্রতীক হাসির শব্দে ঘুরে তাকায়৷ বেলিকে দেখে লজ্জা পায়। আবার ওর হাসির দিকে আবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। এরপর সে প্রায়ই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো ওকে। ওর স্কুলের সামনে দাড়িয়ে থাকতো ঘন্টার পর ঘন্টা। আস্তে আস্তে দিন গেলো। বেলির প্রতি তার অপ্রকাশিত ভালোবাসা যেন বাড়তেই থাকলো। হঠাৎ একদিন ভার্সিটি থেকে এসে শুনলো বেলির বিয়ে হয়ে গেছে। এত খারাপ লেগেছিলো। দরজা বন্ধ করে সেদিন খুব কেঁদেছিলো। তারপর তাকে মন থেকে মুছে ফেলার বৃথা চেষ্টা। বৃথা নয় অনেকটা সফল হয়ে গিয়েছিলো সে। কিন্তু আজ বেলিকে হঠাৎ করেই সেই পুরনো আশাটা জেগে উঠেছে। সে কিছুতেই মুছতে পারছে না বেলির মুখখানি তার মন থেকে। আকাশে মেঘ করেছিলো সন্ধ্যার সময়েই। এতক্ষণ রাখডাকের পর বৃষ্টি ফোটা পড়তে শুরু করলো। সাথে বাতাস। চারপাশের পরিবেশ টা শীতল হতে শুরু করলো। প্রতীক দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তার ভেতরটা বহুবছর ধরে পুড়ছে। যদি সে বৃষ্টির মতো এসে তার ভেতরটাও শীতল করে দিতো।

সবাই মিলে সুখনের বিরুদ্ধে মামলা সাজালো। বেশ কঠিন মামলা। ছাড় পাবে না সুখন কিছুতেই এটা ভেবেই বেলির বাড়ির সবাই হাসলো।তারা অপেক্ষার প্রহর গুনে কয়েকটা দিন তারপর থেকেই..
দুপুরে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে ছিলো সুখন। দরজার করাঘাতে ঘুম ভাঙে তার। মায়মুনা হয়তো পাশরে রুমে ঘুমাচ্ছে। আজকাল সে আর তার সাথে ঘুমায় না। ঘুমঘুম চোখে দরজা খোলতেই পুলিশ বললো,
– আপনি সুখন?
পুলিশ দেখে সুখন থতমত খেয়ে যায়। দুই চোখ থেকে তার ঘুম উবে যায়। অবাক হয়েই বলে,
– জ্বি৷ আপনারা..
সুখন কথা শেষ করে না, পুলিশ বলে,
-আপনার নামে মামলা হয়েছে ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে। আমাদের সাথে যেতে হবে।
কথা শেষ করে একটা কাগজ এগিয়ে দেয় তারদিকে। মায়মুনাও ঘুম থেকে উঠে আসে। পুলিশ দেখে সে হতবাক। সুখন কাগজটা খোলে দেখে। তারপর একবার বিরবির করে বলে “বেলি”
পুলিশ তাড়া দেয়, বলে,
– চলুন।
বলেই হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয়, তাদের উপর এমনেই আদেশ আছে যেভাবে সে অবস্থায় পাবে সেইভাবেই ধরে নিশে আসতে হবে। ঘটনার আকস্মিকতায় সুখন বোকা বনে যায়। মায়মুনা দৌড়ে এসে বলে,
– এই কি করেন! কই নিয়ে যান।
পুলিশ সুখনকে টানতে টানতে নিয়ে যায়, সুখন দরজার বাইরে গিয়ে বলে,
– নিশ্চয়ই আমি শার্ট ছাড়া যাবো না। দাড়ান শার্ট নিয়ে আসছি।
পুলিশ সুখনকে ভিতরে যেতে দিলো না। মায়মুনা শার্ট এগিয়ে নিয়ে এলো। সুখন বললো,
– হাত খোলেন, শার্ট পড়ব।
একটা পুলিশ বললো, গাড়িতে উঠে পরবেন। বলেই সুখনকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। সুখন যাওয়ার আগে মায়মুনাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– মোবাইলে রফিক নামে একজন আছে৷ তাকে কল দিয়ে বলো সব।
আশে পাশের ফ্ল্যাটের সবাই নিচে এসে জড়ো হলো পুলিশের গাড়ি দেখে। এতো মানুষের সামনে সুখনকে খালি গায়ে অবশ্য খালি গায়ে না একটা পুলিশ তার গায়ের উপর শার্টটা রেখে দিয়েছে সুন্দর করে যাই হোক তাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে সুখনের খারাপ লাগে৷ লজ্জায় মাথ নুইয়ে আসে, চোখ পানিতে পূর্ণ হয়।
সুখন কুলসুম বেগমের দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হয়ে বললেন,
– আপনি বেলির নামে কেন জায়গা লিখে দিয়েছেন?
কুলসুম বেগম হাতের তজবিহ গুনা বন্ধ করে বললেন,
– আমার জায়গা আমি যাকে মন চায় তাকে লিখে দিয়েছি। তাতে তোমার কি?
সুখন রেগে উঠে বললো,
– আপনার জায়গা মানে! এসব আমার জায়গা। আপনি আমার জায়গা অন্য কাউকে লিখে দিয়েছেন। দিয়েছেন দিয়েছেন এমন একজনকে দিয়েছেন যার জন্য আমাকে একরাত জেলের মধ্যে থাকতে হয়েছে।
কুলসুম বেগম অবাক গলায় বললেন,
– মাত্র একরাত!
সুখন একরাশ বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে রইলো মায়ের দিকে। তারপর বললো,
– একরাত না, আরো অনেক রাত থাকতে হতো। কিন্তু আমার চেনাজানা ভালো, বন্ধু বান্ধবদের দ্বারা সুপারিশ করে জামিন নিয়ে বেরিয়েছি। আপনি মনে হয় খুশি হন নি।
কথাটা শুনে কুলসুম বেগমের মন একটু ভার হলো। তিনি আসলেই খুশি হন নি। সুখন উঠে দাঁড়াতেই বললো,
– তোমার বউ এসেছিলো।
সুখন ঘোরে বললো,
– বে..
কথাটা শেষ করার আগেই কুলসুম বেগম বললো,
– মায়মুনা। অবশ্য আমি তাকে বাসার বাইরে থেকেই তাড়িয়ে দিয়েছি। তার মতো মেয়েদের এই বাসায় ঢুকতে দেওয়ার আগেই যেন আমি মরে যায়।
সুখন বিরস মুখে বললো,
– কি বলে সে!
– কি আর বলবে, গুণধর ছেলে পেটে ধরেছি। গুণধর ছেলের গুনকীর্তন করে গিয়েছে। জীবনে একটা মেয়েকে নিয়ে অন্তত সুখী হও।
সুখন কিছু না বলেই বেরিয়ে গেলে বাসা থেকে। তার দিন খারাপ যাচ্ছে পরিস্থিতি অনুকূলে নেই তার৷ কোনদিকে চলছে সে বুঝতে পারছে না।
চলবে,

(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি একটু অসুস্থ, আগামীকাল গল্প দিতে পারবো কিনা জানি না। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here