#i_m_mafia_lover
#part_8
#sabiha_kh
ইসান জনি, আকাশ হসপিটালে আসে।। মিনহাজের ক্যাবিনের সামনে আসতেই দেখে দুইজন ডাক্তার মিলে মিনহাজকে দেখছে।।।। মিনহাজ এর স্ত্রী ইসান আকাশ কে দেখে কান্নায় ভেঙে পরে।। আকাশ মিনহাজের স্ত্রী কে শান্ত হতে বলে। ইসান মিনহাজের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো-
ইসান- এভাবে কাদবেন না। কি হয়েছিলো বলুন তো??
স্ত্রী – আমি জানি না স্যার।। আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম হঠাৎ কানে শব্দ আসলো কিছু পরে যাওয়ার।। চোখ খুলতেই দেখি উনি বেড এর উপর দাফাদাফি করছে।। আমি খুব ভয় পেয়ে যাই এবং জোরে চিৎকার দিয়।। তারপর নার্স ডাক্তার রা আসে।।।। উনাকে দেখতে লাগে।। স্যার আমার স্বামী বাচবে তো ??? (কান্নার সুরে বললো)
ইসান- অবশ্যই।। চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে।।।
দুই ডাক্তার মিনহাজের ক্যাবিন থেকে বের হয়ে আসলে তারা ইসানকে দেখে একটু অবাক হয়।। এবং বলে
– হ্যালো স্যার আমি ডাক্তার মাহিম। (ইসানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে।।
ইসান- হ্যালো৷।। ( হাত মিলিয়ে)
– হ্যালো স্যার আমি সামিম জুনিয়র ডাক্তার৷। ( বলে ইসানের সাথে হাত মিলালো)
ইসান- কি হয়েছিলো মিঃ মিনহাজের??
মাহিম সামিমের দুইজন দুইজনার দিকে তাকাতাকি করতে লাগে।।। ইসান বিষয়টা খেয়াল করলো।।।
সামিম একটু সংকোচ নিয়ে বললো- আ,,, আসলে স্যার,,, মিঃ মিনহাজের অক্সিজেন এর পাইপ,,,,,,,, বলতেই মাহিম সামিমকে থামিয়ে দিয়ে বললো-
মাহিম- তেমন কিছু না স্যার মিঃ মিনহাজের অক্সিজেনের পাইপটা ঢিলে হয়ে গিয়েছিলো অক্সিজেন সব বের হয়ে যাচ্ছিলো।।। যাই হোক আমরা সব ঠিক করে দিয়েছি।।।
ইসানের ওদের কথায় একটু সন্দেহ হলেও ওদের বুঝতে দিলো না৷ নর্মাল ভাবে জিজ্ঞেস করলো।
ইসান- এখন মিঃ মিনহাজ ঠিকাছে তো!!!
মাহিম- জি স্যার।। চিন্তা করবেন না আপনি এখন নিশ্চিন্তে বাড়ি যান।। আমরা খেয়াল রাখবো।।। (হেসে)
ইসান আর কনো কথা বললো না। হসপিটাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।। এদিকে মাহিম সামিম কে ডেকে একটু সাইডে নিয়ে এসে বললো-
মাহিম- এখুনি কি বলতে যাচ্ছিলে তুমি জানো?? উনি হচ্ছেন ইসান চৌধুরী DW কম্পানির সিও। সত্যি কথাটা যদি বলে দিতে উনি আমাদের হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল করার ব্যাবস্থা করতো।। আর এটা উনার কাছে খুব বড় একটা বিষয় না।।। আমাদের হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল হলে আমাদের কি হতো আর স্যার তোমাকে কি করতো ভেবে দেখেছো?? সব সময় সব সত্যি বলতে হবে এমন তো কনো কথা নাই।।
সামিম- কিন্তু স্যার মিঃ মিনহাজের অক্সিজেন পাইপ টা কাটলো কে?? পাইপটা ধরালো কিছু,,,,,,
বলতেই মাহিম সামিমের মুখ চেপে ধরে ফিস ফিস করে বললো-
মাহিম- আসতে বলো। কেও শুনে ফেলবে?? দেওয়ালের ও কান আছে বুঝেছো।৷ শুনো আমরা এই বিষয়ে আমাদের সিও মিঃ আবরার স্যারের সাথে কাল কথ বলবো।। দেখি উনি কি বলে।।। এই বিষয়ে আর কারো সাথে আলোচনা করার দরকার নেই। (বলে সামিমের মুখ থেকে হাত সরালো মাহিম )
সামিম ভীত সুরে বললো- ওকে স্যার।।।
এদিকে জনি ইসানকে জিজ্ঞেস করলো- হটেলে ফিরবে নাকি।। ইসান আনমনে ছিলো তাই জনির কথার কনো জবাব দিলো না।। জনি খেয়াল করলো ইসান গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে।।।
জনি- স্যার,,,, স্যার,,
ইসান চমকে জনির দিকে তাকায় এবং বললো-
ইসান- হমম বলো।।।
জনি- হটেলে ফিরবো???
ইসান- না যে খানে বসে ছিলাম সেখানেই চলো।।।
জনি- ওকে স্যার।। স্যার,,,,,, আপনাকে একটু চিন্তিত দেখাচ্ছে।।সব ঠিকাছে তো??
ইসান- সব ঠিক নেই জনি।। ডাক্তার মাহিম, ডাক্তার সামিম এরা কিছু একটা লুকাচ্ছে আমার মনে হয়।।( চিন্তিত সুরে)
জনি- জি স্যার কেমন যেন সংকোচ নিয়ে কথা বলছিলো ওরা।।। আর ডাক্তার মাহিম তো ডাক্তার সামিমের কথার মাঝেই হুট করে কথা বলেছে।।। মনে হলো উনি ডাক্তার সামিম কে কথা বলতে দিলো না।।।।
ইসান- আমার বিষয় গুলো ভালো ঠেকছে না।। জনি আকাশকে বলো ও যেন দুইটা বডিগার্ড হসপিটালে পাঠিয়ে দেয় মিঃ মিনহাজের সুরক্ষার জন্য।।।
জনি- ওকে স্যার।।।
জনি সেই জাগায় নিয়ে এসে গাড়ি থামালো।। ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে সমুদ্রের দিকে মুখ করে পা ঝুলিয়ে বসলো।। আকাশ গাড়ি নিয়ে আসলে জনিকে ইসান যা বলেছে জনি আকাশকে সেটা বললো।। আকাশ সাথে সাথে ফোন দিয়ে দুইজন বডিগার্ড কে হসপিটালে যেতে বলে।।
আকাশ জনি ইসানের কাছে এসে দাড়ালো।।
ইসান আকাশ জনির দিকে তাকিয়ে বললো- দাড়িয়ে আছো কেন বসো।।৷ (আকাশ জনি বসলো।।)
ইসান কিছু খন চুপ করে থেকে বললো- এই জায়গাটা কেন জানি খুব ভালোলাগতে লেগেছে।। ঠান্ডা ঠান্ডা প্রকৃতির হাওয়া সমুদ্রের পানির শব্দ বেশ লাগছে কি বলো।। ( মুচকি হেসে)
জনি আকাশ- ঠিক বলেছেন স্যার।। (হেসে)
আকাশ – স্যার দুইজন বডিগার্ড কে পাঠিয়ে দিয়েছি।।।
ইসান- গুড।।। কাল বিষয়টা একটু খুঁটিয়ে দেখতে হবে।।।
আকাশ জনির দিকে তাকালো।। জনি ইসারা করে বললো পর বলবে।।।
আকাশ ধীর গলাই আসতে বললো- স্যার গল্প তো শেষ হলো না এখন কি বলবেন???
ইসান মোবাইলের স্ক্রিন লাইট অন করে বললো- রাত ২ বাজে।। ওকে চলো শেষ করি গল্পটা।। ( মুচকি হেসে)
জনি আকাশ খুশি হলো এবং মনোযোগ দিয়ে ইসানের কথা শুনতে লাগলো।।।
ইসান- তারপর আমি ইমার কথায় রাজি হলাম।। আসতে আসতে সময় পার হতে লাগে ওর আর আমার সম্পর্ক টা বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হলেও পরে ভালোবাসাই পরিনত হয়ে যাই।৷ আমি অনার্স সেকেন্ড এয়ার পরিক্ষাই অনেক ভালো রেজাল্ট করি।। এবং মারামারি, অন্যদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা এগুলোও ছেড়ে দিয়।৷ আমি তখন সারা দিন ইমাকে নিয়ে থাকতাম।।ওর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম ফোনে। কথা বলার কনো টপিক না থাকলেও কানে ফোন ধরে দুজনায় চুপচাপ থাকতাম।। ইমা মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতো।।বেশি বিরক্ত হতো ওর পড়ার টাইমে ফোন দিলে।।৷ ও অনেক রাত জেগে পড়তো।।।। মাঝে মাঝে রাগ হয়ে বলতো – আমার কাছে এতো কথা নেই আমি পড়াশুনা করি তুমি শুনো।। আমি তাই শুনতাম।। রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানায় শুয়ে ফোন লাউডে দিয়ে মাথার কাছে রাখতাম।। এবং ওর পড়া শুনতাম।। অনেক সময় ওর পড়া শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পরতাম।।।। আমরা দুইজন কলেজ ফাঁকি দিয়ে অনেক ঘুরেছি।৷ তারপর ইমা যখন মেডিকেল কলেজে চান্স পাই। তখন আমাদের কলেজ আলাদা হয়ে যাই।।। আমি কলেজে আসলে ইমা কে মিস করতাম তখন আর কিছু ভাবতাম না।। চলে যেতাম ইমার কলেজে।। ইমার সাথে দেখা করতে। ইমার কলেজের অনেকে জানতো ইমার সাথে আমার রিলেশন এর কথা।। এভাবে আমাদের সম্পর্ক প্রায় দুই বছর কেটে যাই।।।
আকাশ- আপনাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হয়নি???
ইসান- হ্যা হয়েছে৷ তবে সেটা আমার কারণেই।। আমি ইমার সাথে রিলেশনের মাঝ খানে আবার একটু চেঞ্জ হয়ে যাই। আমি চেঞ্জ হয়েছিলাম কিন্তু ছয় বছর আগে সেটা বুঝতে পরিনি৷ ইমা বলতো তুমি বদলে যেওনা ইসাম।৷ আমি চায়না তুমি বদলে যাও।
আমি বলতাম- আমি কিছুই বদলাইনি। সব সময় এক কথা কানের কাছে বলবে নাতো।
তখন ও আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতো৷৷ সেই ভুল সত্যি হলেও আমি অশিকার করতাম।। কারণ ওই যে আমার বদঅভ্যাস কারো কাছে ছটো হবো না।।। এই নিয়ে ওর সাথে অনেক বার কথা কাটা কাটি হয়েছে আমার।। কিন্তু কেও কখনো কাওকে ছাড়ার কথা বলিনি।। তবে আমি বেশির ভাগ ওর কাছে গিয়ে ক্ষমা চায়তাম।। কারণ আমি ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারতাম না।। ও যদি আমার সাথে কথা না বলতো আমার মনে হতো আমি যেন আমার দুনিয়া হারিয়ে ফেলেছি।। তাই যতই যাই হোক ওর সাথে আমি কথা বলতাম৷।। কথা বন্ধ রাখতাম না।।।
জনি- তারপর কি হলো স্যার???
ইসান- আ,,, আমার যতো দুর মনে আছে আমি অনার্স ফাইনাল এয়ার পরিক্ষা দিয়েছিলাম।।। হ্যা পরিক্ষা শেষ হয়েছিলো তখন।।। একদিন আমি আর ইমা একটা রেষ্টুরেন্টে যাই। তো ইমা আমাকে বলে-
অতীত,,,,,,,,,
ইমা- ইসান অমার্স শেষ হলে।। কি প্ল্যান আছে তোমার???
ইসান- বাবার সাথে বিজনেস জয়েন্ট করবো।। বাবাই বলেছে।।।
ইমা- কেন তুমি তো বাইরে দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে পরো???
ইসান- কি দরকার আমি বাইরে গেলে তোমার সাথে দেখা হবে না। কথা হবে না ঠিক মতো।। আমার অবস্থাটা কি হবে একবার ভেবেছো??
ইমা একটু রাগ করে বললো- এটা কেমন কথা আমি কি আর উরে যাবো নাকি?? আমিও পড়াশোনা করবো।। আমার সপ্ন আমি বড় ডাক্তার হবো। এবং আমি সেই লক্ষের উপর আছি।।
ইসান- আচ্ছা শুনো না। চলো আমরা কথাও দুরে গিয়ে ঘুরে আসি।।। (মুচকি হেসে)
ইমা- কথায়???( কপাল কুচকে)
ইসান- শহরের বাইরে।। আমার একটা বাগান বাড়ি আছে। বাবা বাগান বাড়িটা আমার নামে লিখে দিয়েছে।। আমি ছুটি কাটাতে ওখানেই যেতাম।। কিন্তু আমার জীবনে তুমি আসার পর থেকে আমি আর যায়নি সেখানে।। কারণ তোমাকে না দেখে যে থাকতে পারবো না।। তাই।।।( কিউট একটা হাসি দিয়ে)
ইমা মুখ ভেংচিয়ে বললো- ঢং কতো দেখো!!! শোনো এতো ভাব নিয়ো না বুঝেছো। তুমি আমাকে কতো ভালোবাসো আমি জানি।।
ইসান- জানো না ইমা তুমি জানো না।।। এখন বলো যাবে নাকি???
ইমা- না অতদুর যাবো না।। কাছে ধারে কথাও যাওয়া গেলে বলো।। যেন দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যাই।।
ইসান- আ,,,, ওকে খুজে দেখি।।।
ইমা- ওকে।।।।
বর্তমান,,,,,,,,,,
ইসান- আমি খুজে খুজে একটা জায়গা বের করলাম সেটা ছিলো একটু দুরেই। তবে আমার ওই বাগান বাড়ির থেকে কাছে সেই জায়গা।।।।। আমি ইমা কে ফোন দিয়ে জায়গাটার কথা বললাম। ও রাজি হলো। এবং বললো – সে কনো ভাবে ম্যানেজ করে বাড়িথেকে বের হবে।।।
অতীত,,,,,
ইমা তার তার বান্ধবীর বাড়িতে স্টাডি করতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হলো।। এবং ইসানকে ফোন করে বললো মার্কেটের কাছা কাছি আসতে।।। ইসান ইমার কথা মতো গেলো।। ইমা আসলে ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে দাড়ায়।। ইমা ইসানকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি দেয়৷ এবং তারাতারি আসে ইসান গাড়ির দরজা,খুলে দিলে ইমা গাড়িতে উঠে বসে। ইসানো উঠে বসে।।
ইমা- আজো মিথ্যা বলেছি।। শুনো বিকালেই ফিরে আসবো। সন্ধ্যা করা যাবে না।।
ইসান- ওকে যথা আদেশ মহারাণি।।( হেসে)
ইসান গাড়ি টান দিয়ে চলে যাই।। প্রায় ২ ঘন্টার পথ পারি দিয়ে চলে আসলো তাদের গন্তব্যে।। ইমা গাড়ি থেকে নেমে অবাক চোখে চারদিক দেখতে লাগে প্রকৃতির মনমুগ্ধ কর সুন্দর্য।। যেন চোখ সরাতে ইচ্ছা করছিলো না তার।।। ইসান ইমাকে এমন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে সেও ইমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো।।।।।
ইমা- খুব সুন্দর জায়গা ইসান।। (আনন্দিত সুরে)
ইসান- এর থেকেও সুন্দর জায়গা আছে দেখবে??
ইমা- হম হুম
ইসান হেসে বললো -আসো আমার সাথে। (ইসান ইমার হাত ধরে দৌড়ে নিয়ে যেতে লাগে। কিছুদুর এসে ইসান ইমার হাত ছেড়ে দিলো।। ইমা অবাক চোখে তাকিয়ে রায়লো।।। দেখলো খুব সুন্দর একটা ঝর্ণা। পাথরের গা ঘেসে পানিগুলো নিচে রাখা পাথরের উপর আছড়ে পরছে।। খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো চারপাশটা।। পানি ছিলো একদম কাচের মতো সচ্ছ।।। ইমা এতো খুশি হলো যে খুশি তে ইমা ইসানকে জোরিয়ে ধরে এক্সাইটেড সুরে বললো-
ইমা- thank you,, tkhank you,,, thank you so much অসম্ভব সুন্দর জায়গা উফফ।।। আমি পাগল হয়ে যাবো।।।
ইসান- পানিতে নামবে??? (হেসে)
ইমা- এখানে নিশ্চয় কোমর খানি পানি তাইনা!!!
ইসান- হুম হুম ।।
ইমা- কিন্তু আমিতো কনো পোশাক নিয়ে আসিনি।। (মুখ ভার করে)
ইসান- তাতে কি আমি নিয়ে এসেছি। তুমি আমার পোশাক পরো চলতো।।। (হেসে)
বলে ইসান ইমার হাত ধরে দৌড়ে পানিতে নিয়ে গেলো।। দুজন খুব মজা করতে লাগে।।
বর্তমান,,,,,,
ইসান- একটা মজার ব্যাপার কি জানো আমি আগের দিন সে জাগায় গিয়ে পানির স্রোতের অপজিট দিকে একটা বক্স রেখে এসেছিলাম।।৷ সেটাও আবার পানির নিচে।। (মুচকি হেসে)
আকাশ- বক্সে কি ছিলো স্যার??? (একটু কৌতুহল নিয়ে বললো)
ইসান- ছিলো একটা সারপ্রাইজ।।।
জনি- স্যার আপনি কিন্তু সত্যি অনেক রোমান্টিক ছিলেন।।। ( মুচকি হেসে)
ইসান জনির কথা শুনে হেসে উঠে বললো-
ইসান- তা অবশ্য ঠিক।। কারণ সে সময় আমার মাথায় সারাদিন এগুলোই ঘুরতো।।।
আকাশ- তার পর কি হলো স্যার।।
ইসান- আমি ইমার হাত ধরে সেদিকটাতে নিয়ে আসলাম।। ইমা নিজের মন মতোই পানি নিয়ে খেলছিলো।। আমি সেই সুযোগে পানির নিচ থেকে বক্স তুলে ইমাকে ডাকলাম,,,,,,,,,!!
অতীত,,,,,,,,
ইমা ইসানের দিকে ঘুরলে দেখে ইসানের হাতে একটা বক্স।। ইমা বিস্মিত চোখে তাকিয়ে বললো- এটা কি???
ইসান- তুমি নাও খুলে দেখো।।
ইমা ইসানের হাত থেকে বক্স নিয়ে খুলে দেখে একটা ছোট ঝিনুকের বক্স।।।
ইমা- ওয়াও ঝিনুকের বক্স টা কি সুন্দর!!! (মুচকি হেসে)
ইসান- বক্সটা খুলো!!!
ইমা- কি আছে এতে।। দেখো আমাকে ভয় দেখায়ো না কিন্তু!!
ইসান- আরে ভয় দেখাবো কেন।। খুলে দেখো না!!!
ইমা ঝিনুকের বক্সটা আসতে করে খুলে দেখে অবাক চোখে ইসানের দিকে তাকালো৷৷
ইসান- will you marry me???
ইমা- ইসান!!! (একটি ভারী কন্ঠে)
ইসান ইমার গালে আলতে ভাবে হাত রেখে বললো- তোমাকে খুব ভালোবাসি ইমা।। তুমি আমার জীবনে আছো। কিন্তু আমি তোমাকে সারা জীবনের জন্য আমার করে পেতে চায়।। ইমা তোমার যদি এখনো মনে হয় ইসান বদলায়নি। তাহলে তুমি ইসানের জীবনটা বদলে দিয়ো।।। ইমা,,, তোমার এই পাগল প্রেমিকটার বউ হবে?? এই পাগল টা তোমাকে অনেক ভালো বাসবে।।। তোমাকে বুকের সাথে আগলে রাখবে।।।
আমি কথা দিচ্ছি ইমা,,,, ইসানের জীবনে তুমি প্রথম তুমিই শেষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ইসান তোমাকে একি রকম ভালোবাসবে।।। কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবে না।।।
ইমা ইসানের হাতের উপর হাত রেখে বললো- ইসান আমি তোমাকে ভালোবাসি। অবশ্যই আমি চায়বো আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমি আমার জীবনে পাই। কিন্তু আমি আগে আমার বাবা মার সাথে তোমার বিষয়ে কথা বলবো।। তুমিও তোমার বাবাকে বলো।। তারা মত দিলেই আমাদের বিয়ে হবে।।।
ইসান- আমি আমার বাবা কে চিনি।। আমি কিছু চায়লে বাবা আমাকে কখনো না বলেনি।আর তোমাকে চায়লে বাবা এটা তেও দ্বিমত করবে না।। কিন্তু তোমার বাবা মা যদি রাজি না হয়!!!
ইমা- রাজি হবে আমি রাজি করাবো।। ( ইসানের গালে হাত দিয়ে মচকি হেসে বললো)
ইসান- ওকে ওকে এখন আমার ভালোবাসা তো গ্রহন করো।।। ( হেসে)
ইমা আংটি বক্স করে ইসানের হাতে দিয়ে মুচকি হেসে বললো- তুমি পরিয়ে দাও।।
ইসান ইমার হাতে আংটি পরিয়ে দেয়। এবং ইমা ইসানের হাতে আংটি পরিয়ে দেয়।। ইসান ইমাকে শক্ত করে বুকের সাথে জোরিয়ে ধরে বললো-
ইসান- I love you.. ইমা।।
ইমা – I love you too ইসান।।।
বর্তমান,,,,,
আকাশ- স্যার,, স্যার,,,
ইসান চমকে উঠে বললো- হমম!!
আকাশ- তারপর কি হলো স্যার??
ইসান- ইমা আমাকে আংটি পরিয়ে দিলো।। তোমরা জানো সেই আংটি আমি আজো নিজের সাথে রেখেছি।। এই দেখো।। (বলে ইসান গলার থেকে চেন বের করে চেনের সাথে আংটি দেখালো)
আকাশ জনি অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়লো।।
ইসান- এই আংটি আমি আমার গলার চেনে কেন রেখেছি জানো। আমি মনে করি আমার ইমার হাত আমার বুকে স্পর্শ করে আছে।।। আর এটাই আমার জন্য অনেক।।
আকাশ- এতো ভালোবাসেন!!!
ইসান- হমম এতো ভালোবাসি।।। (মুচকি হেসে)
জনি- তারপর কি হলো স্যার!!!
ইসান- তারপর ওখান থেকে আসার পর। প্রায় সাত দিন ইমা আমার সাথে ঠিক মতো যোগাযোগ করলো না।। আমি খুব চিন্তায় পরে যাই। কি হলো কেন যোগাযোগ করছে না ও আমার সাথে। আমি ইমাকে এমএমএস করে বললাম দেখা করতে।।। ইমা দেখা করতে আসলো আমার সাথে।। ওর মুখটা খুব শুকনো দেখাচ্ছিলো,,,,,
অতীত,,,,,
ইসান ইমাকে দেখে সস্থির একটা শ্বাস ছারলো এবং দৌড়ে গিয়ে ইমাকে জোরিয়ে ধরলো।।।
ইসান- ইমা কি হয়েছে কেন আমার ফোন ধরছিলে না।। জানো কতো চিন্তায় করছিলাম।। উফফ ইমা।।
I love you… (বলতেই ইমা বললো)
ইমা- বাবা আমার বিয়ে ঠিক করছে।।।
ইসান ইমাকে ছেড়ে দিয়ে হতবাক চোখে ইমার দিকে তাকালো।।৷ ইমার চোখে জল কনো কথা বললো না ইমা।।
ইসান রেগে ইমার হাতের বাজু শক্ত করে ধরে বললো- তুই আমার,,, আমার।। (জোরে) আমাকে ছেড়ে অন্য কারো হওয়ার যদি চিন্তাও করিস ইমা তাহলে প্রথমে তোকে মারবো তারপর নিজে মরবো।। বুঝেছিস।।( রেগে জোরে বললো)
ইমা দেখলো রাগে ইসানে চেহারা এবং চোখ লাল বর্ণ হয়ে গেছে।। ইমা হাতে ব্যাথা পাচ্ছিলো।।
ইমা – ইসান আমার লাগছে।।
ইসান- লাগুক।। তুই আমার বুঝেছিস!! বুঝেছিস??? (জোরে)
ইমা- ইসান শান্ত হও আমার কথাটা শুনো।।।৷ (কান্না করে)
ইসান- কি শুনবো।। তুই চল আমার সাথে।। তোর আর বাড়ি যেতে হবে না।। তুই আমার সাথে যাবি আমার বাড়িতে। তোকে রাণি বানিয়ে রাখবো।। আমরা রানি হবি তুই চল।। (উত্তেজিত সুরে)
বলে ইসান ইমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগে।।
ইমা- ইসান আমার হাত ছাড়ো। আমার কথা শুনো।। (উত্তেজিত সুরে)
ইসান ইমার কনো কথা শুনছিলো না। ইসান যেন পাগল হয়ে গিয়েছিলো।। ইমাকে টানতে টানতে জোর করে নিয়ে যাচ্ছিলো গাড়ির কাছে।। ইসান ইমাকে গাড়ির কাছে আনতেই ইমা হাত ঝাটকা মেরে ইসানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়ায়।। ইসান আবার হাত ধরতে গেলে ইমা ইসানকে থাপ্পড় মেরে বলে –
ইমা- পাগল হয়ে গেছো? কি করছো?? (রেগে জোরে বললো)
ইসান – হ্যা পাগল হয়ে গেছি হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি।। আমি তোমাকে ভালোবাসি ইমা।। খুব ভালোবাসি। (কান্নার সুরে)
বলে ইমার সামনে হাটু ভেঙে বসে কান্নায় ভেঙে পরে ইসান।।।
ইসান হাত জোর করে ইমার দিকে কান্না ভড়া চোখে তাকিয়ে বললো- আমি তেমাকে খুব ভালোবাসি ইমা।। আমি তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারবো না।। প্লিজ এতো বড় অন্যায় করো না আমার সাথে।।। প্লিজ।।।।
ইমা ইসানে সামনে হাটু ভেঙে বসে ইসানকে জোরিয়ে ধরে কান্নার সুরে বললো- এমন কিছু হবে না ইসান আমি এমন কিছু হতেই দিবো না।।। তুমি শান্ত হও।।।
ইসান ইমাকে শক্ত করে জোরিয়ে ধরলো।।।এবং বললো-
ইসান- আমি জানি আমার ইমা আমাকে ছেড়ে কথাও যাবে না।।। আমি জানি।।।
ইসান একটু শান্ত হলে ইমা ইসানের গালে আলতো ভাবে হাত রেখে বললো-
ইমা – এখন আমার কথা শুনো।।। কাল বাবাকে তোমার সাথে দেখা করাবো। তুমি সুন্দর একটা কিউট লুক দিয়ে আসবে বুঝেছো। এবং বাবার সাথে এমন করে কথা বলবে যেন বাবা তোমার কথায় গলে যাই।।
ইসান- তোমার বাবাকে মাকে আমাদের কথা বলেছো???
ইমা- হমম বলেছি জন্যই তো বাবা বিয়ে ঠিক করছে।। যাই হোক।। বাবাকে বলেছি তোমার সাথে তাকে দেখা করার কথা। বাবা রাজি হচ্ছিলো না অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছি।।।
ইসান- ঠিকাছে আমি কাল আসবো তুমি যেমন ভাবে বলেছো তেমনি করবো।।। আমি শুধু তোমাকে চায় ইমা।। (দুই হাত দিয়ে ইমার গাল আলতো ভাবে ধরে বললো)
বর্তমান,,,,,,,
ইসান- তারপর আমি পরের দিনে ইমার বাবার সামনে জন্য নিজেকে তৈরি করছিলাম।। তবে সেই দিন এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে আমি বুঝিনি।
,,,,,,,,,,,,,,,, continue,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।#i_m_mafia_lover
#part_8
#sabiha_kh
ইসান জনি, আকাশ হসপিটালে আসে।। মিনহাজের ক্যাবিনের সামনে আসতেই দেখে দুইজন ডাক্তার মিলে মিনহাজকে দেখছে।।।। মিনহাজ এর স্ত্রী ইসান আকাশ কে দেখে কান্নায় ভেঙে পরে।। আকাশ মিনহাজের স্ত্রী কে শান্ত হতে বলে। ইসান মিনহাজের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো-
ইসান- এভাবে কাদবেন না। কি হয়েছিলো বলুন তো??
স্ত্রী – আমি জানি না স্যার।। আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম হঠাৎ কানে শব্দ আসলো কিছু পরে যাওয়ার।। চোখ খুলতেই দেখি উনি বেড এর উপর দাফাদাফি করছে।। আমি খুব ভয় পেয়ে যাই এবং জোরে চিৎকার দিয়।। তারপর নার্স ডাক্তার রা আসে।।।। উনাকে দেখতে লাগে।। স্যার আমার স্বামী বাচবে তো ??? (কান্নার সুরে বললো)
ইসান- অবশ্যই।। চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে।।।
দুই ডাক্তার মিনহাজের ক্যাবিন থেকে বের হয়ে আসলে তারা ইসানকে দেখে একটু অবাক হয়।। এবং বলে
– হ্যালো স্যার আমি ডাক্তার মাহিম। (ইসানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে।।
ইসান- হ্যালো৷।। ( হাত মিলিয়ে)
– হ্যালো স্যার আমি সামিম জুনিয়র ডাক্তার৷। ( বলে ইসানের সাথে হাত মিলালো)
ইসান- কি হয়েছিলো মিঃ মিনহাজের??
মাহিম সামিমের দুইজন দুইজনার দিকে তাকাতাকি করতে লাগে।।। ইসান বিষয়টা খেয়াল করলো।।।
সামিম একটু সংকোচ নিয়ে বললো- আ,,, আসলে স্যার,,, মিঃ মিনহাজের অক্সিজেন এর পাইপ,,,,,,,, বলতেই মাহিম সামিমকে থামিয়ে দিয়ে বললো-
মাহিম- তেমন কিছু না স্যার মিঃ মিনহাজের অক্সিজেনের পাইপটা ঢিলে হয়ে গিয়েছিলো অক্সিজেন সব বের হয়ে যাচ্ছিলো।।। যাই হোক আমরা সব ঠিক করে দিয়েছি।।।
ইসানের ওদের কথায় একটু সন্দেহ হলেও ওদের বুঝতে দিলো না৷ নর্মাল ভাবে জিজ্ঞেস করলো।
ইসান- এখন মিঃ মিনহাজ ঠিকাছে তো!!!
মাহিম- জি স্যার।। চিন্তা করবেন না আপনি এখন নিশ্চিন্তে বাড়ি যান।। আমরা খেয়াল রাখবো।।। (হেসে)
ইসান আর কনো কথা বললো না। হসপিটাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।। এদিকে মাহিম সামিম কে ডেকে একটু সাইডে নিয়ে এসে বললো-
মাহিম- এখুনি কি বলতে যাচ্ছিলে তুমি জানো?? উনি হচ্ছেন ইসান চৌধুরী DW কম্পানির সিও। সত্যি কথাটা যদি বলে দিতে উনি আমাদের হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল করার ব্যাবস্থা করতো।। আর এটা উনার কাছে খুব বড় একটা বিষয় না।।। আমাদের হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল হলে আমাদের কি হতো আর স্যার তোমাকে কি করতো ভেবে দেখেছো?? সব সময় সব সত্যি বলতে হবে এমন তো কনো কথা নাই।।
সামিম- কিন্তু স্যার মিঃ মিনহাজের অক্সিজেন পাইপ টা কাটলো কে?? পাইপটা ধরালো কিছু,,,,,,
বলতেই মাহিম সামিমের মুখ চেপে ধরে ফিস ফিস করে বললো-
মাহিম- আসতে বলো। কেও শুনে ফেলবে?? দেওয়ালের ও কান আছে বুঝেছো।৷ শুনো আমরা এই বিষয়ে আমাদের সিও মিঃ আবরার স্যারের সাথে কাল কথ বলবো।। দেখি উনি কি বলে।।। এই বিষয়ে আর কারো সাথে আলোচনা করার দরকার নেই। (বলে সামিমের মুখ থেকে হাত সরালো মাহিম )
সামিম ভীত সুরে বললো- ওকে স্যার।।।
এদিকে জনি ইসানকে জিজ্ঞেস করলো- হটেলে ফিরবে নাকি।। ইসান আনমনে ছিলো তাই জনির কথার কনো জবাব দিলো না।। জনি খেয়াল করলো ইসান গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে।।।
জনি- স্যার,,,, স্যার,,
ইসান চমকে জনির দিকে তাকায় এবং বললো-
ইসান- হমম বলো।।।
জনি- হটেলে ফিরবো???
ইসান- না যে খানে বসে ছিলাম সেখানেই চলো।।।
জনি- ওকে স্যার।। স্যার,,,,,, আপনাকে একটু চিন্তিত দেখাচ্ছে।।সব ঠিকাছে তো??
ইসান- সব ঠিক নেই জনি।। ডাক্তার মাহিম, ডাক্তার সামিম এরা কিছু একটা লুকাচ্ছে আমার মনে হয়।।( চিন্তিত সুরে)
জনি- জি স্যার কেমন যেন সংকোচ নিয়ে কথা বলছিলো ওরা।।। আর ডাক্তার মাহিম তো ডাক্তার সামিমের কথার মাঝেই হুট করে কথা বলেছে।।। মনে হলো উনি ডাক্তার সামিম কে কথা বলতে দিলো না।।।।
ইসান- আমার বিষয় গুলো ভালো ঠেকছে না।। জনি আকাশকে বলো ও যেন দুইটা বডিগার্ড হসপিটালে পাঠিয়ে দেয় মিঃ মিনহাজের সুরক্ষার জন্য।।।
জনি- ওকে স্যার।।।
জনি সেই জাগায় নিয়ে এসে গাড়ি থামালো।। ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে সমুদ্রের দিকে মুখ করে পা ঝুলিয়ে বসলো।। আকাশ গাড়ি নিয়ে আসলে জনিকে ইসান যা বলেছে জনি আকাশকে সেটা বললো।। আকাশ সাথে সাথে ফোন দিয়ে দুইজন বডিগার্ড কে হসপিটালে যেতে বলে।।
আকাশ জনি ইসানের কাছে এসে দাড়ালো।।
ইসান আকাশ জনির দিকে তাকিয়ে বললো- দাড়িয়ে আছো কেন বসো।।৷ (আকাশ জনি বসলো।।)
ইসান কিছু খন চুপ করে থেকে বললো- এই জায়গাটা কেন জানি খুব ভালোলাগতে লেগেছে।। ঠান্ডা ঠান্ডা প্রকৃতির হাওয়া সমুদ্রের পানির শব্দ বেশ লাগছে কি বলো।। ( মুচকি হেসে)
জনি আকাশ- ঠিক বলেছেন স্যার।। (হেসে)
আকাশ – স্যার দুইজন বডিগার্ড কে পাঠিয়ে দিয়েছি।।।
ইসান- গুড।।। কাল বিষয়টা একটু খুঁটিয়ে দেখতে হবে।।।
আকাশ জনির দিকে তাকালো।। জনি ইসারা করে বললো পর বলবে।।।
আকাশ ধীর গলাই আসতে বললো- স্যার গল্প তো শেষ হলো না এখন কি বলবেন???
ইসান মোবাইলের স্ক্রিন লাইট অন করে বললো- রাত ২ বাজে।। ওকে চলো শেষ করি গল্পটা।। ( মুচকি হেসে)
জনি আকাশ খুশি হলো এবং মনোযোগ দিয়ে ইসানের কথা শুনতে লাগলো।।।
ইসান- তারপর আমি ইমার কথায় রাজি হলাম।। আসতে আসতে সময় পার হতে লাগে ওর আর আমার সম্পর্ক টা বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হলেও পরে ভালোবাসাই পরিনত হয়ে যাই।৷ আমি অনার্স সেকেন্ড এয়ার পরিক্ষাই অনেক ভালো রেজাল্ট করি।। এবং মারামারি, অন্যদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা এগুলোও ছেড়ে দিয়।৷ আমি তখন সারা দিন ইমাকে নিয়ে থাকতাম।।ওর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম ফোনে। কথা বলার কনো টপিক না থাকলেও কানে ফোন ধরে দুজনায় চুপচাপ থাকতাম।। ইমা মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতো।।বেশি বিরক্ত হতো ওর পড়ার টাইমে ফোন দিলে।।৷ ও অনেক রাত জেগে পড়তো।।।। মাঝে মাঝে রাগ হয়ে বলতো – আমার কাছে এতো কথা নেই আমি পড়াশুনা করি তুমি শুনো।। আমি তাই শুনতাম।। রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানায় শুয়ে ফোন লাউডে দিয়ে মাথার কাছে রাখতাম।। এবং ওর পড়া শুনতাম।। অনেক সময় ওর পড়া শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পরতাম।।।। আমরা দুইজন কলেজ ফাঁকি দিয়ে অনেক ঘুরেছি।৷ তারপর ইমা যখন মেডিকেল কলেজে চান্স পাই। তখন আমাদের কলেজ আলাদা হয়ে যাই।।। আমি কলেজে আসলে ইমা কে মিস করতাম তখন আর কিছু ভাবতাম না।। চলে যেতাম ইমার কলেজে।। ইমার সাথে দেখা করতে। ইমার কলেজের অনেকে জানতো ইমার সাথে আমার রিলেশন এর কথা।। এভাবে আমাদের সম্পর্ক প্রায় দুই বছর কেটে যাই।।।
আকাশ- আপনাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হয়নি???
ইসান- হ্যা হয়েছে৷ তবে সেটা আমার কারণেই।। আমি ইমার সাথে রিলেশনের মাঝ খানে আবার একটু চেঞ্জ হয়ে যাই। আমি চেঞ্জ হয়েছিলাম কিন্তু ছয় বছর আগে সেটা বুঝতে পরিনি৷ ইমা বলতো তুমি বদলে যেওনা ইসাম।৷ আমি চায়না তুমি বদলে যাও।
আমি বলতাম- আমি কিছুই বদলাইনি। সব সময় এক কথা কানের কাছে বলবে নাতো।
তখন ও আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতো৷৷ সেই ভুল সত্যি হলেও আমি অশিকার করতাম।। কারণ ওই যে আমার বদঅভ্যাস কারো কাছে ছটো হবো না।।। এই নিয়ে ওর সাথে অনেক বার কথা কাটা কাটি হয়েছে আমার।। কিন্তু কেও কখনো কাওকে ছাড়ার কথা বলিনি।। তবে আমি বেশির ভাগ ওর কাছে গিয়ে ক্ষমা চায়তাম।। কারণ আমি ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারতাম না।। ও যদি আমার সাথে কথা না বলতো আমার মনে হতো আমি যেন আমার দুনিয়া হারিয়ে ফেলেছি।। তাই যতই যাই হোক ওর সাথে আমি কথা বলতাম৷।। কথা বন্ধ রাখতাম না।।।
জনি- তারপর কি হলো স্যার???
ইসান- আ,,, আমার যতো দুর মনে আছে আমি অনার্স ফাইনাল এয়ার পরিক্ষা দিয়েছিলাম।।। হ্যা পরিক্ষা শেষ হয়েছিলো তখন।।। একদিন আমি আর ইমা একটা রেষ্টুরেন্টে যাই। তো ইমা আমাকে বলে-
অতীত,,,,,,,,,
ইমা- ইসান অমার্স শেষ হলে।। কি প্ল্যান আছে তোমার???
ইসান- বাবার সাথে বিজনেস জয়েন্ট করবো।। বাবাই বলেছে।।।
ইমা- কেন তুমি তো বাইরে দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে পরো???
ইসান- কি দরকার আমি বাইরে গেলে তোমার সাথে দেখা হবে না। কথা হবে না ঠিক মতো।। আমার অবস্থাটা কি হবে একবার ভেবেছো??
ইমা একটু রাগ করে বললো- এটা কেমন কথা আমি কি আর উরে যাবো নাকি?? আমিও পড়াশোনা করবো।। আমার সপ্ন আমি বড় ডাক্তার হবো। এবং আমি সেই লক্ষের উপর আছি।।
ইসান- আচ্ছা শুনো না। চলো আমরা কথাও দুরে গিয়ে ঘুরে আসি।।। (মুচকি হেসে)
ইমা- কথায়???( কপাল কুচকে)
ইসান- শহরের বাইরে।। আমার একটা বাগান বাড়ি আছে। বাবা বাগান বাড়িটা আমার নামে লিখে দিয়েছে।। আমি ছুটি কাটাতে ওখানেই যেতাম।। কিন্তু আমার জীবনে তুমি আসার পর থেকে আমি আর যায়নি সেখানে।। কারণ তোমাকে না দেখে যে থাকতে পারবো না।। তাই।।।( কিউট একটা হাসি দিয়ে)
ইমা মুখ ভেংচিয়ে বললো- ঢং কতো দেখো!!! শোনো এতো ভাব নিয়ো না বুঝেছো। তুমি আমাকে কতো ভালোবাসো আমি জানি।।
ইসান- জানো না ইমা তুমি জানো না।।। এখন বলো যাবে নাকি???
ইমা- না অতদুর যাবো না।। কাছে ধারে কথাও যাওয়া গেলে বলো।। যেন দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যাই।।
ইসান- আ,,,, ওকে খুজে দেখি।।।
ইমা- ওকে।।।।
বর্তমান,,,,,,,,,,
ইসান- আমি খুজে খুজে একটা জায়গা বের করলাম সেটা ছিলো একটু দুরেই। তবে আমার ওই বাগান বাড়ির থেকে কাছে সেই জায়গা।।।।। আমি ইমা কে ফোন দিয়ে জায়গাটার কথা বললাম। ও রাজি হলো। এবং বললো – সে কনো ভাবে ম্যানেজ করে বাড়িথেকে বের হবে।।।
অতীত,,,,,
ইমা তার তার বান্ধবীর বাড়িতে স্টাডি করতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হলো।। এবং ইসানকে ফোন করে বললো মার্কেটের কাছা কাছি আসতে।।। ইসান ইমার কথা মতো গেলো।। ইমা আসলে ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে দাড়ায়।। ইমা ইসানকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি দেয়৷ এবং তারাতারি আসে ইসান গাড়ির দরজা,খুলে দিলে ইমা গাড়িতে উঠে বসে। ইসানো উঠে বসে।।
ইমা- আজো মিথ্যা বলেছি।। শুনো বিকালেই ফিরে আসবো। সন্ধ্যা করা যাবে না।।
ইসান- ওকে যথা আদেশ মহারাণি।।( হেসে)
ইসান গাড়ি টান দিয়ে চলে যাই।। প্রায় ২ ঘন্টার পথ পারি দিয়ে চলে আসলো তাদের গন্তব্যে।। ইমা গাড়ি থেকে নেমে অবাক চোখে চারদিক দেখতে লাগে প্রকৃতির মনমুগ্ধ কর সুন্দর্য।। যেন চোখ সরাতে ইচ্ছা করছিলো না তার।।। ইসান ইমাকে এমন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে সেও ইমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো।।।।।
ইমা- খুব সুন্দর জায়গা ইসান।। (আনন্দিত সুরে)
ইসান- এর থেকেও সুন্দর জায়গা আছে দেখবে??
ইমা- হম হুম
ইসান হেসে বললো -আসো আমার সাথে। (ইসান ইমার হাত ধরে দৌড়ে নিয়ে যেতে লাগে। কিছুদুর এসে ইসান ইমার হাত ছেড়ে দিলো।। ইমা অবাক চোখে তাকিয়ে রায়লো।।। দেখলো খুব সুন্দর একটা ঝর্ণা। পাথরের গা ঘেসে পানিগুলো নিচে রাখা পাথরের উপর আছড়ে পরছে।। খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো চারপাশটা।। পানি ছিলো একদম কাচের মতো সচ্ছ।।। ইমা এতো খুশি হলো যে খুশি তে ইমা ইসানকে জোরিয়ে ধরে এক্সাইটেড সুরে বললো-
ইমা- thank you,, tkhank you,,, thank you so much অসম্ভব সুন্দর জায়গা উফফ।।। আমি পাগল হয়ে যাবো।।।
ইসান- পানিতে নামবে??? (হেসে)
ইমা- এখানে নিশ্চয় কোমর খানি পানি তাইনা!!!
ইসান- হুম হুম ।।
ইমা- কিন্তু আমিতো কনো পোশাক নিয়ে আসিনি।। (মুখ ভার করে)
ইসান- তাতে কি আমি নিয়ে এসেছি। তুমি আমার পোশাক পরো চলতো।।। (হেসে)
বলে ইসান ইমার হাত ধরে দৌড়ে পানিতে নিয়ে গেলো।। দুজন খুব মজা করতে লাগে।।
বর্তমান,,,,,,
ইসান- একটা মজার ব্যাপার কি জানো আমি আগের দিন সে জাগায় গিয়ে পানির স্রোতের অপজিট দিকে একটা বক্স রেখে এসেছিলাম।।৷ সেটাও আবার পানির নিচে।। (মুচকি হেসে)
আকাশ- বক্সে কি ছিলো স্যার??? (একটু কৌতুহল নিয়ে বললো)
ইসান- ছিলো একটা সারপ্রাইজ।।।
জনি- স্যার আপনি কিন্তু সত্যি অনেক রোমান্টিক ছিলেন।।। ( মুচকি হেসে)
ইসান জনির কথা শুনে হেসে উঠে বললো-
ইসান- তা অবশ্য ঠিক।। কারণ সে সময় আমার মাথায় সারাদিন এগুলোই ঘুরতো।।।
আকাশ- তার পর কি হলো স্যার।।
ইসান- আমি ইমার হাত ধরে সেদিকটাতে নিয়ে আসলাম।। ইমা নিজের মন মতোই পানি নিয়ে খেলছিলো।। আমি সেই সুযোগে পানির নিচ থেকে বক্স তুলে ইমাকে ডাকলাম,,,,,,,,,!!
অতীত,,,,,,,,
ইমা ইসানের দিকে ঘুরলে দেখে ইসানের হাতে একটা বক্স।। ইমা বিস্মিত চোখে তাকিয়ে বললো- এটা কি???
ইসান- তুমি নাও খুলে দেখো।।
ইমা ইসানের হাত থেকে বক্স নিয়ে খুলে দেখে একটা ছোট ঝিনুকের বক্স।।।
ইমা- ওয়াও ঝিনুকের বক্স টা কি সুন্দর!!! (মুচকি হেসে)
ইসান- বক্সটা খুলো!!!
ইমা- কি আছে এতে।। দেখো আমাকে ভয় দেখায়ো না কিন্তু!!
ইসান- আরে ভয় দেখাবো কেন।। খুলে দেখো না!!!
ইমা ঝিনুকের বক্সটা আসতে করে খুলে দেখে অবাক চোখে ইসানের দিকে তাকালো৷৷
ইসান- will you marry me???
ইমা- ইসান!!! (একটি ভারী কন্ঠে)
ইসান ইমার গালে আলতে ভাবে হাত রেখে বললো- তোমাকে খুব ভালোবাসি ইমা।। তুমি আমার জীবনে আছো। কিন্তু আমি তোমাকে সারা জীবনের জন্য আমার করে পেতে চায়।। ইমা তোমার যদি এখনো মনে হয় ইসান বদলায়নি। তাহলে তুমি ইসানের জীবনটা বদলে দিয়ো।।। ইমা,,, তোমার এই পাগল প্রেমিকটার বউ হবে?? এই পাগল টা তোমাকে অনেক ভালো বাসবে।।। তোমাকে বুকের সাথে আগলে রাখবে।।।
আমি কথা দিচ্ছি ইমা,,,, ইসানের জীবনে তুমি প্রথম তুমিই শেষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ইসান তোমাকে একি রকম ভালোবাসবে।।। কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবে না।।।
ইমা ইসানের হাতের উপর হাত রেখে বললো- ইসান আমি তোমাকে ভালোবাসি। অবশ্যই আমি চায়বো আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমি আমার জীবনে পাই। কিন্তু আমি আগে আমার বাবা মার সাথে তোমার বিষয়ে কথা বলবো।। তুমিও তোমার বাবাকে বলো।। তারা মত দিলেই আমাদের বিয়ে হবে।।।
ইসান- আমি আমার বাবা কে চিনি।। আমি কিছু চায়লে বাবা আমাকে কখনো না বলেনি।আর তোমাকে চায়লে বাবা এটা তেও দ্বিমত করবে না।। কিন্তু তোমার বাবা মা যদি রাজি না হয়!!!
ইমা- রাজি হবে আমি রাজি করাবো।। ( ইসানের গালে হাত দিয়ে মচকি হেসে বললো)
ইসান- ওকে ওকে এখন আমার ভালোবাসা তো গ্রহন করো।।। ( হেসে)
ইমা আংটি বক্স করে ইসানের হাতে দিয়ে মুচকি হেসে বললো- তুমি পরিয়ে দাও।।
ইসান ইমার হাতে আংটি পরিয়ে দেয়। এবং ইমা ইসানের হাতে আংটি পরিয়ে দেয়।। ইসান ইমাকে শক্ত করে বুকের সাথে জোরিয়ে ধরে বললো-
ইসান- I love you.. ইমা।।
ইমা – I love you too ইসান।।।
বর্তমান,,,,,
আকাশ- স্যার,, স্যার,,,
ইসান চমকে উঠে বললো- হমম!!
আকাশ- তারপর কি হলো স্যার??
ইসান- ইমা আমাকে আংটি পরিয়ে দিলো।। তোমরা জানো সেই আংটি আমি আজো নিজের সাথে রেখেছি।। এই দেখো।। (বলে ইসান গলার থেকে চেন বের করে চেনের সাথে আংটি দেখালো)
আকাশ জনি অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়লো।।
ইসান- এই আংটি আমি আমার গলার চেনে কেন রেখেছি জানো। আমি মনে করি আমার ইমার হাত আমার বুকে স্পর্শ করে আছে।।। আর এটাই আমার জন্য অনেক।।
আকাশ- এতো ভালোবাসেন!!!
ইসান- হমম এতো ভালোবাসি।।। (মুচকি হেসে)
জনি- তারপর কি হলো স্যার!!!
ইসান- তারপর ওখান থেকে আসার পর। প্রায় সাত দিন ইমা আমার সাথে ঠিক মতো যোগাযোগ করলো না।। আমি খুব চিন্তায় পরে যাই। কি হলো কেন যোগাযোগ করছে না ও আমার সাথে। আমি ইমাকে এমএমএস করে বললাম দেখা করতে।।। ইমা দেখা করতে আসলো আমার সাথে।। ওর মুখটা খুব শুকনো দেখাচ্ছিলো,,,,,
অতীত,,,,,
ইসান ইমাকে দেখে সস্থির একটা শ্বাস ছারলো এবং দৌড়ে গিয়ে ইমাকে জোরিয়ে ধরলো।।।
ইসান- ইমা কি হয়েছে কেন আমার ফোন ধরছিলে না।। জানো কতো চিন্তায় করছিলাম।। উফফ ইমা।।
I love you… (বলতেই ইমা বললো)
ইমা- বাবা আমার বিয়ে ঠিক করছে।।।
ইসান ইমাকে ছেড়ে দিয়ে হতবাক চোখে ইমার দিকে তাকালো।।৷ ইমার চোখে জল কনো কথা বললো না ইমা।।
ইসান রেগে ইমার হাতের বাজু শক্ত করে ধরে বললো- তুই আমার,,, আমার।। (জোরে) আমাকে ছেড়ে অন্য কারো হওয়ার যদি চিন্তাও করিস ইমা তাহলে প্রথমে তোকে মারবো তারপর নিজে মরবো।। বুঝেছিস।।( রেগে জোরে বললো)
ইমা দেখলো রাগে ইসানে চেহারা এবং চোখ লাল বর্ণ হয়ে গেছে।। ইমা হাতে ব্যাথা পাচ্ছিলো।।
ইমা – ইসান আমার লাগছে।।
ইসান- লাগুক।। তুই আমার বুঝেছিস!! বুঝেছিস??? (জোরে)
ইমা- ইসান শান্ত হও আমার কথাটা শুনো।।।৷ (কান্না করে)
ইসান- কি শুনবো।। তুই চল আমার সাথে।। তোর আর বাড়ি যেতে হবে না।। তুই আমার সাথে যাবি আমার বাড়িতে। তোকে রাণি বানিয়ে রাখবো।। আমরা রানি হবি তুই চল।। (উত্তেজিত সুরে)
বলে ইসান ইমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগে।।
ইমা- ইসান আমার হাত ছাড়ো। আমার কথা শুনো।। (উত্তেজিত সুরে)
ইসান ইমার কনো কথা শুনছিলো না। ইসান যেন পাগল হয়ে গিয়েছিলো।। ইমাকে টানতে টানতে জোর করে নিয়ে যাচ্ছিলো গাড়ির কাছে।। ইসান ইমাকে গাড়ির কাছে আনতেই ইমা হাত ঝাটকা মেরে ইসানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়ায়।। ইসান আবার হাত ধরতে গেলে ইমা ইসানকে থাপ্পড় মেরে বলে –
ইমা- পাগল হয়ে গেছো? কি করছো?? (রেগে জোরে বললো)
ইসান – হ্যা পাগল হয়ে গেছি হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি।। আমি তোমাকে ভালোবাসি ইমা।। খুব ভালোবাসি। (কান্নার সুরে)
বলে ইমার সামনে হাটু ভেঙে বসে কান্নায় ভেঙে পরে ইসান।।।
ইসান হাত জোর করে ইমার দিকে কান্না ভড়া চোখে তাকিয়ে বললো- আমি তেমাকে খুব ভালোবাসি ইমা।। আমি তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারবো না।। প্লিজ এতো বড় অন্যায় করো না আমার সাথে।।। প্লিজ।।।।
ইমা ইসানে সামনে হাটু ভেঙে বসে ইসানকে জোরিয়ে ধরে কান্নার সুরে বললো- এমন কিছু হবে না ইসান আমি এমন কিছু হতেই দিবো না।।। তুমি শান্ত হও।।।
ইসান ইমাকে শক্ত করে জোরিয়ে ধরলো।।।এবং বললো-
ইসান- আমি জানি আমার ইমা আমাকে ছেড়ে কথাও যাবে না।।। আমি জানি।।।
ইসান একটু শান্ত হলে ইমা ইসানের গালে আলতো ভাবে হাত রেখে বললো-
ইমা – এখন আমার কথা শুনো।।। কাল বাবাকে তোমার সাথে দেখা করাবো। তুমি সুন্দর একটা কিউট লুক দিয়ে আসবে বুঝেছো। এবং বাবার সাথে এমন করে কথা বলবে যেন বাবা তোমার কথায় গলে যাই।।
ইসান- তোমার বাবাকে মাকে আমাদের কথা বলেছো???
ইমা- হমম বলেছি জন্যই তো বাবা বিয়ে ঠিক করছে।। যাই হোক।। বাবাকে বলেছি তোমার সাথে তাকে দেখা করার কথা। বাবা রাজি হচ্ছিলো না অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছি।।।
ইসান- ঠিকাছে আমি কাল আসবো তুমি যেমন ভাবে বলেছো তেমনি করবো।।। আমি শুধু তোমাকে চায় ইমা।। (দুই হাত দিয়ে ইমার গাল আলতো ভাবে ধরে বললো)
বর্তমান,,,,,,,
ইসান- তারপর আমি পরের দিনে ইমার বাবার সামনে জন্য নিজেকে তৈরি করছিলাম।। তবে সেই দিন এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে আমি বুঝিনি।
,,,,,,,,,,,,,,,, continue,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।