#i_m_mafia_lover
#part_22
#sabiha_kh
ইমা- কিছু মনে না করলে রাতের ডিনার করে যেতে বলবো।।।
ইসান- ওকে ওকে আমার সমস্যা নেই।। (খুশি হয়ে)
”
”
”
”
ঘন্টা খানিক পর,,,,
ইমা- ডিনার রেডি৷। চলে আসো টেবিলে। (একটু জোরে)
ইসান- ইসমা!! আম্মু ডাকছে চলো যাই।।।( মুচকি হেসে)
ইসমা- চলো।।
ইসান ইসমাকে নিয়ে খাবার টেবিলে এসে বসে।।
ইমা খাবার পরিবেশন করে দেয়।।
ইসান ইমার দিকে তাকিয়ে বলে- তুমিও বসো ইমা।।
ইমা- হমম বসছি।
ইমা বসলো।।। সবাই খেতে শুরু করে।।। ইসান খাবার মুখে নিতেই খাবার স্বাদ লাগে।। হঠাৎ তখন ইসানের ৬ বছর আগের একটা কথা মনে পরে যাই।।
অতীত,,,,
ইমা- ইসান আজ আমি তোমার জন্য কিছু বানিয়ে নিয়ে এসেছি।।। (কিউট একটা হাসি দিয়ে বললো)
ইসান- আহা আমার সুইটহার্ট আমার জন্য কিছু বানিয়ে নিয়ে এসেছে।। (একটু ঢং করে)
ইমা- মুখ ভেঙাচ্ছ??? ( একটু রেগে)
ইসান- আরে না মুখ ভেঙাইনি। আচ্ছা দাও কি এনেছো দেখি??
ইমা- নুডলস।।। এই নাও।। (ব্যাগ থেকে বক্স বের করে ইসানের হাতে দিয়ে বললো)
ইসান- অন্য কিছু আনতে পারলে না।। আমার নুডলস খেতে ভালো লাগে না।।। (মুখ ভার করে)
ইমা মন খারাপ করে বলে- কি করবো বলো আমি নুডলস ছাড়া কিছুই রান্না করতে পারিনা।।।
ইসান- ওকে ওকে মন খারাপ করো না তুমি যাই খাওয়াবে তাই আমার কাছে অমরিত।। (হেসে)
ইসান এক চামচ নুডলস তুলে মুখে নিতেই তার বমি আসতে লাগে।।।ইসান মুখে আসতে হাত দিতেই ইমা বলে-
ইমা- কেমন হয়েছে??? (এক্সাইটেড সুরে)
ইসান মাথা ঝুকিয়ে হাত দিয়ে👌 গুড দেখালো।।।
ইমা- তাই তাহলে তো একটু খেয়ে দেখতে হয়।। (হেসে)
ইমা নুডলস তুলে মুখে নিতেই উগলে সব ফেলে দেয়।। এবং রাগান্বিত সুরে বলে- এই ছেলে ভালো হয়েছে বলে!!! লবণই তো হয় নি ঝালো হয়নি।।।
ইসান- হমম কি বলবো বলো তুৃমি যদি আবার রাগ করো।।
ইমা- যা শয়তান তোর সাথে কথা নাই।।। ( বলে ইমা রাগ হয়ে ঘুরে বসে)
ইসান মুচকি হেসে ইমার দিকে ঘুরে বসে বললো- ওকে ওকে রাগ করো না।। আরে আজ ভালোহয়নি অন্য দিন ভালো হবে।। আর শুনো অল্প অল্প রান্না শিখে ফেলো।। বিয়ের পরে আমাকে রান্না করে খাওয়াবে না!!!
ইমা- পারবো না।। আমার রান্না ভালো লাগেনা।।( মুখ বেকিয়ে)
ইসান- সময় হলেই দেখবো ভালো লাগে কিনা আমার জানটা।।। (ইমার গাল ধরে টেনে বললো)
বর্তমান,,,,,,
ইসান মনের অজান্তেই হেসে উঠে। ইমা ইসানের হাসি দেখে একটু অবাক হয়।।
ইমা- কি হয়েছে??
ইসান চমকে ইমার দিকে তাকিয়ে বলে- কিছু না।।
ইমা- বুঝেছি ভালো লাগেনি খাবার তাই না!!!
ইসান মজা করে খেতে খেতে বললো- না ভালো হয়েছে।। তুমি যেটাই খাওয়াবে সেটাই আমার কাছে অমরি,,,,,,, বলতে গিয়ে আর বলে না থেমে যাই। ইমা বুঝতে পারে কিন্তু কিছু বলে না মাথা নিচু করে নিজের মনে খাবার খায়।।।
Time skip
ইসান – thank you ।। খাবার টা ভালোছিলো।।
ইমা- ইসান কালকে পুলিশস্টেশন যেতে হবে৷
ইসান- কেন?? (বিস্মিত চোখে)
ইমা- পুলিশ অভির আইডি কার্ড এবং একটা মোবাইল পেয়েছে। সেটাই দেখার জন্য যেতে বলেছে৷।। তুমি কি যাবে আমার সাথে?
ইসান- যাবো।। কখন যাবে বলো??
ইমা- ১১ টার দিকে যাই।। রোকসানা কাল সকালে এখানে এসে পৌছাবে।। তারপর ১১ টার দিকে আসতে ধীরে যাবো।।
ইসান- ওকে।।। তাহলে আমি এখন উঠি রাত ও হয়ে যাচ্ছে।।
ইমা- ওকে এতো সুন্দর বাড়ির জন্য thank you…
ইসান- আরে thank you বলতে হবে না। বাই। (মুচকি হেসে)
ইমা- বাই।।
Time skip
রাত ১ টা,,,,,
ইসান তার রুমের বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশের ছোট ছোট তারার মেলার দেখছে এবং ভাবছে-
ইসান- আমি ভুল করছি নাতো?? আমি ইমা ইসমাকে ভালো রাখতে চায়।। তাই আমি ওদের পাশে থাকতে চাচ্ছি।।। কিন্তু,,,,,, (গভীর শ্বাস ছেড়ে মাথা নিচু করলো)
পরের দিন সকালে,,,,,
ইমা রোকসানাকে নতুন বাসায় নিয়ে আসে।।রোকসানা অবাক চোখে চার দিক ঘুরে ঘুরে দেখে সব কিছু।।
রোকসানা- ম্যাডাম খুব সুন্দর হয়েছে বাড়িটা।।। (আনন্দিত সুরে)
ইমা- হমম ঠিক বলেছো। (মুচকি হেসে)আচ্ছা শুনো আমি একটু পুলিশ স্টেশন ইসমা এখনো ঘুমিয়েই আছে। ওর খেয়াল রেখো কেমন??
রোকসানা- ঠিকাছে ম্যাডাম চিন্তা করবেনা।।।
এদিকে ইসান চলে আসে।। সাথে জনি, আকাশ ও আসে।।
ইসান- জনি আকাশ সব সময় দুজন এ্যালার্ট থাকবে ওকে!!!
জনি, আকাশ- ওকে স্যার।।।
ইসান- আকাশ তুমি আমার সাথে যাবে।।। জনি তুমি এখানেই থাকবে৷।।
জনি- ওকে স্যার।।
এমন সময় ইসানের ফোন বেজে উঠে।। ইসান দেখে ইমা কল করেছে।।। ইসান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।
ইসান- হ্যালো!!!
ইমা- কথায় তুমি??
ইসান- আমি নিচে গাড়িতে আছি আসো তুমি।।
ইমা- ওকে আসছি।।
ইমা চলে আসে নিচে।। ইমা আকাশ জনি কে দেখে খুশি হয়।।
জনি- ভালো আছেন ম্যাডাম??( হেসে)
ইমা- হমম তোমরা ভালো আছো??
আকাশ, জনি- জি ভালো আছি।।( হেসে)
জনি গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে বলে ইমাকে বসতে।।
ইমা গাড়িতে উঠে বসতেই ইসানের দিকে তাকায়।
ইসান- রোকসানা এসেছে??
ইমা- হমম।। (মাথা ঝুকিয়ে)
ইসান- ইমা জনি এখানে থাকলে তোমার কনো সমস্যা নাই তো???
ইমা- না।।
ইমা গাড়ির জানালা দিয়ে মুখ বের করে বলে- জনি তুমি চায়লে উপরে যেতে পারো রোকসানা আছে। ( মুচকি হেসে)
জনি একটা লাজুক হাসি দিয়ে বললো- thank you ম্যাডাম।।
ইমা ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান একটু আনমনে।।
ইমা- ইসান!!!। (ইসান ইমার দিকে তাকায়।।) কি হয়েছে??
ইসান- কই কিছু নাতো।। আকাশ চলো।।
আকাশ গাড়ি টান দিয়ে চলে গেলো পুলিশ স্টেশন।।
এদিকে জনি উপরে ইমার বাড়িতে গিয়ে কলিংবেল বাজালো।। রোকসানা এসে দরজা খুললে দেখে জনি।।
রেকসানা- জনি তুমি?? (একটু অবাক হয়ে)
জনি কনো কথা না বলে সরাসরি গিয়ে রোকসানাকে জোরিয়ে ধরে।। রোকসানা একদম অবাক হয়ে যাই।।।
জনি- তুমি কি মানুষ রোকাসানা!! যানো কত ভয় পেয়ে ছিলাম আমি।। (আবেগি সুরে)
রোকসানা- ছাড়ো ছাড়ো জনি ছাড়ো আমাকে।। (জনি রোকসানা কে ছেড়ে দেয়)
জনি রোকসানার হাতে বাজু ধরে বলে- রোকসানা তোমরা এখানে আসবে এই কথা কি বলা যেতো না!!!
রোকসানা মাথা নিচু করে ধীর সুরে বলে- আসলে ম্যাডাম আমাকে মানা করেছিলো।। আর আমি ম্যাডামের কথা কি করে ফেলি দিয় বলো!!
জনি- আর আমার কথা!!! আমার কথা একবারো ভাবলে না!!! রোকসানা I love you।। আমি তোমাকে চায় রোকসানা।। প্লিজ একটু বুঝার চেষ্টা করো আমাকে!!!
রোকসানা- হয়েছে চুপ করো।। বুঝেছি তোমাকে।। একন যাও ড্রইং রুমে বসো।। আমি তোমার জন্য চা নিয়ে আসছি।। (বলে রোকসানা জনির হাত সরিয়ে দিয়ে চলে গেলো কিচেন রুমে)
Time skip
পুলিশ- ম্যাডাম এই আইডি কার্ড এবং ফোন আমরা অন্য জায়গা থেকে পেয়েছি।। আপনি ভালো করে দেখুন।।
ইমা- অফিসার এটা অভির ফোন৷ আর আইডি কার্ড টাও ওর।।
পুলিশ- ওকে আপনি চায়লে এগুলো নিয়ে যেতে পারেন।
ইমা- ঠিকাছে।। কিন্তু আপনারা কবে খুনিকে খুজে বের করবেন??
পুলিশ- ম্যাডাম আমরা চেষ্টা,করছি একটু ভরসা রাখুন।।
ইমা- ওকে আসি অফিসার।
ইসান ইমাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।।
ইসান- চলো আকাশ।।
আকাশ গাড়ি স্টার্ট দিলো।। ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা,ফোন আর আইডি কার্ড এর দিকে তাকিয়ে আছে।।
ইসান- ইমা মন খারাপ করো না।।
ইমা- জানো ইসান অভির বাবা আমাকে পছন্দ করে না।।
ইসান- কেন??
ইমা- না এমনি বাদ দাও।।।
ইসান- আমাকে বলতে পারো ইমা।
ইমা- থাক এগুলো বিষয়ে কথা না বলি।। (ইসান আর কনো কথা বললো না)
তারা চলে আসলো বাসায়।।
ইমা- ইসান বাসায় আসো!!
ইসান- না আজ না অন্য একদিন।।
ইমা- ওকে।। বলে গাড়ি থেকে বের হতেই দেখে জনি আসছে জনির খুব উৎফুল্ল মনে আছে।।
ইমা- কথা হলো??
জনি- জি ম্যাডাম।।( মুচকি হেসে)
ইমা- ওকে।। ওকে ইসান আসি।।
ইসান- ওকে বাই।।( ইমা চলে যাই।। )
জনি গাড়িতে উঠে বসে।। এবং ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান আনমনে কিছু একটা ভাবছে। জনি আর কনো কথা বলেনা।। তারা চলে যাই সেখান থেকে।।।
৩ দিন পর,,,,,,
ইসমা ঘুমিয়ে আছে।। ইমা রোকসানা সকাল সকাল কেক বানিয়ে ইসমার রুমে নিয়ে আসে।। কারণ আজ ইসমার জন্মদিন।। ইমা ইসমাকে আসতে আসতে ডাকলে ইসমা গা আরি মুরি দিয়ে চোখ খুলতেই ইমা রোকসানা ইসমাকে happy birthday বলে wish করে।।। ইসমা খিল খিল করে হেসে উঠে।। এবং তার মাকে জেরিয়ে ধরে।।
ইমা- আমার সোনা মেয়েটা বড়ই হয়ে গেলো ৭ বছরে পরলো আজকে।।আমার কলিজা।। ( বলে ইসমা গালে চুমু দিলে) মামুনি আজকে তোমার ফেবারিট খাবার রান্না করেছি।। তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাও।
ইসমা আনন্দিত সুরে বলে – ঠিকাছে আমি তারাতারি ফ্রেস হয়ে নিচ্ছি আম্মু।। (বলে উঠে চলে গেলো।।)
Time skip
ইমা- আসো মামুনি৷ খেতে বসো।।
ইসমা খাবার টেবিলে বসবে এমন সময় দরজায় কলিং বেল বেজে উঠে।।।
ইমা- এই সময় কে আসলো.? দেখতো রোকসানা কে এসেছে!!( রোকসানা গেলো দরজা খুলতে।। )
ইসমা- আম্মু বন্ধু এসেছে মনে হয় দারাও আমি দেখছি।।
ইমা- ইসমা,,,,, বলার আগেই ইসমা উঠে চলে গেলো। ইমাও ইসমার পিছে পিছে গেলো।।
ইমা ইসমা দেখে তিনজন লোক।। দুইজন লোক মুখের সামনে গিফ্টের প্যাকেট ধরে আছে আর একজন মুখের সামনে বড় টেডিবিয়ার ধরে আছে।। ইমা রোকসানার দিকে তাকায় দেখে রোকসানা মুচকি মুচকি হাসছে।। ইমা বুঝতে পারলো ওরা কেও না। ইসান, জনি, আকাশ।।
জনি, আকাশ, ইসান এক সাথে বলতে লাগে- happy birthday to you,, Happy birthday to you,,,, ( ইসান, জনি, আকাশ একসাথে মুখ বের করে আনন্দিত সুরে বলে Happy birthday to you ইসমা ।।। Happy birthday to you..
ইসমা ইসানকে দেখে খুব খুশি হয় ইসান টেডিবিয়ার রেখে ইসমাকে কোলে তুলে নেই এবং ইসমার গালে চুমু দিয়ে বলে- happy birthday মামুনি।।( মুচকি হেসে)
ইসমা- thank you বন্ধু।।
ইসান টেডিবিয়ার ইসমার হাতে দিয়ে হেসে বলে- এটা তোমার আরেক টা বন্ধু।। পছন্দ হয়েছে??
ইসমা – খুব পছন্দ হয়েছে।। (খিল খিল করে হেসে বলে)
ইসান জনির হাতে গিফ্টের প্যাকেটের উপর হাত দিয়ে বলে- এগুলো সব চকলেট। এগুলো সব তোমার।।।
ইসমা- চকলেট আমার খুব পছন্দ।।
ইমা- ইসান,,,,,
ইসান ইমাকে নামিয়ে দিয়ে ইমার সামনে এসে বললো-
ইসান- রাগ করো না।। শুনো ইসমার জন্মদিন তাই আমরা সবাই মিলে বাড়ি সাজাবো।।
ইসান ইসমার কাছে এসে বললো- তারপর সন্ধ্যা বেলা আমরা সবাই আমাদের প্রিন্সেস এর birthday সেলিব্রেট করবো।।।
ইসমা- খুব মজা হবে বন্ধু।।। (আনন্দিত সুরে)
ইসান- হমম।। আমার সোনা মামুনি।। চলো চলো সবাই কাজ শুরু করি।।
ইমা- ওকে আগে নাস্তা কিছু খেয়ে নাও চলো সবাই।।
ইসমা- আসো বন্ধু৷ আজ আম্মু আমার পছন্দের খাবার রান্না করেছে। (হেসে) ইসমা ইসানের হাত ধরে নিয়ে গেলো।।
তারপর সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই মিলে বাড়ি সাজাতে শুরু করে।। ইসান ইমা একসাথে কাজ করছে এবং জনি রোজসানা আকাশ একসাথে।। আর ইসমা বসে ওদের কাজ দেখছে।।
জনি বেলুন ফুলাচ্চে। রোকসানা শয়তানি করে পিন নিয়ে বেলুন ফাটিয়ে দেয়।। জনি চমকে উঠে এবং ভয় পেয়ে যাই।। ইসমা দেখে জোরে জোরে হাসতে লাগে।। ইসান দেখে ইসমা খুব হাসছে। ইসান পাশে তাকাতেই দেখে ইমাও বলুন ফুলাচ্ছে।। ইসান ও পিন নিয়ে ইমার বেলুন ফাটিয়ে দেয়। ইমা চমকে উঠে ইসানের দিকে তাকায় আর ইসমা জোরে জোরে হাসতে লাগে।।
ইমা- ইসান!!! (একটু জোরে) দাড়াও তোমার খবর আছে ।।
পাশে ছিলো birthday ফোম। ইমা ফোম নিয়ে ইসানের মাথায় স্প্রে করে দেয়।।
ইসমা, ইমা, জনি, আকাশ, রোকসানা সবাই জোরে হাসতে লাগে।। ইসান ইমার দিকে তাকায় ইমাকে এমন মন খুলে হাসতে দেখে ইসান খুব খুশি হয়।।
ইসান- তোমার এই হাসিটা মিস করছিলাম ইমা।। আমি সব সময় তোমার মুখে এই হাসিটা দেখতে চায়।৷ সব সময় চায়।। ( মনে মনে বললো)
ইমা দেখে ইসান তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।। ইমা একটু লজ্জা পাই।। ইমা আসতে করে সরে যাই ইসানের কাছ থেকে।।
ইসান- অনেক হাসা হাসি হয়েছে।। সবাই কাজে মন দাও। ( সবাই হাসি থামিয়ে দেয় এবং কাজ করতে লাগে)
ইসান উঠে ওয়াস রুমের দিকে যেতেই ইমার সাথে ধাক্কা লাগে ইমা পরে যেতে লাগলে ইসান ইনাকে ধরে ফেলে।। ইমা বড় বড় চোখ করে ইসানের দিকে তাকায়।
ইসান- ঠিকাছো!!
ইমা- হমম।। (ইসান ইমার হাত ছেড়ে দিলো)
ইসান- ওয়াস রুমে যাচ্ছিলাম। ফোম দিয়ে তো মাথাটা,,,,
বলতেই ইমা মুখে হাত দিয়ে হাসে এবং বলে- সরি আমি এটা করতে চায়নি।।
ইসান- না ঠিকাছে।। ওকে আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।। (মুচকি হেসে)
ইমা- ওকে। (ইমা চলে গেলো)
Time skip
বিকাল ,,,,,,
ঘর সাজানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে৷।। এমন সময় দরজায় কলিংবেল বেজে উঠে।
ইসান- জনি দেখো তো কে??
জনি উঠে যাই এবং দরজা খুলে দেখে একজন লোক পারসেল নিয়ে এসেছে।। জনি এসে ইসানের কানে এসে বলে পারাসেলের কথা।। ইসান উঠে যাই ইমা একটু অবাক চোখে তাকায়।।।
ইসান- এই নিন টাকা।। (ইমা দেখে ইসান লোকটাকে অনেক গুলো টাকা দিচ্ছে।।। ইসান দরজা বন্ধ করে ঘুরতেই দেখে ইমা দাড়িয়ে আছে।।)
ইমা- এটা কি ইসান??( বিস্মিত চোখে)
ইসান ইমার কাছে এসে পারসেল ইমার দিকে ধরে বললো- এটা ইসমা birthday ড্রেস।। আমি অডার করেছিলাম। ইসমা তো ঘুমিয়ে পরেছে ঘুম থেকে উঠলে এটা ওকে পরিয়ে দিয়ো।।
ইমা- তুমি এগুলো কেন করছো ইসান কেন??
ইসান- রাগ করেনা ইমা।। তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে চায় না।। দেখো আজ যদি আমার জায়গায় অভি হতো তাহলে কি তুমি এই প্রশ্ন করতে পারতে?? ইমা আমি ইসমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসি৷ তোমাকে তো বলেছি ওকে হাসি খুশি দেখলে আমার খুব ভালো লাগে।। আমি এগুলো ওর খুশির জন্যই করছি৷ ও যেন কখনো নিজেকে একা মনে না করে।। ওর এতো বড় দিনে ওর বাবা নেই এটা যেন তার একবারের জন্যও মনে না হয়।। তাই এগুলো করা।
ইমা অবাক চোখে তাকিয়ে ইসানের কথা গুলো শুনলো৷। একটা কথাও বললো না।।
ইসান- যাও এটা নিয়ে গিয়ে রেখে দাও।। (বলে ইসান চলে গেলো)
ইমার চোখে পানি চলে আসে।।
,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।।