#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪১
.
.
অন্যদিকে ফারিহা তনুর পিছু নিতে নিতে এক সময় সেই ফ্লাটে চলে আসে৷ তনুর অজান্তে ফারিহা তনুর পিছু নিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হলো ফ্লাটের দিকে; তনু ফ্লাটের দরজার লক খুলে ভেতরে প্রবেশ করতে বিশ্রি বিকট গন্ধে তনুর শরীর গুলিয়ে উঠলো৷ ফারিহা খুব সাবধানে ওড়না দিয়ে মুখ পেচিয়ে ফ্লাটে প্রবেশ করে৷ পাশের রুমে শব্দ শুনে ফারিহা পা টিপে টিপে রুমের দরজা কিছুটা ফাঁক করে দেখে তনু একটা ধাড়ালো চাইনিস ছুরি দিয়ে সামনে পড়ে থাকা লিওয়ের পঁচতে শুরু করা ডেড বডি পিস পিস করে কাটতে লাগলো৷ তনু একে একে লিও হ্যারি আর ফারিহার অজানা তিনটে মৃত মেয়েকে একই রকম ভাবে কাটতে লাগলো৷ ফারিহার সন্দেহ সত্যি হলো৷ তনু সত্যি ওদের পিট পিছে ওদেরই বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করছে ৷ কিং ফায়ার হ্যারি লিও পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পেছনে যে তনুর হাত ছিলো সেটা এখন ফারিহার কাছে একদম পরিষ্কার৷ ফারিহা তনুকে কিছু না বলে যেভাবে এসেছিলো ঠিক সেভাবে ফ্লাট থেকে বেরিয়ে যায়৷
তনু লাশের টুকরো গুলো ফ্লাটের পেছনে নিয়ে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়৷ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে৷ লাশের টুকরো গুলো পুড়তে দেখে তনু স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে বলতে লাগলো,” সব পথের কাটা উপরে ফেলা শেষ৷ এখন শুধু আরু আর মারুকে শেষ করা বাকি আছে৷ আরু মারুকে শেষ করে দলের কমান্ডার আমি হবো৷ আমার কথাই হবে দলের বেতবাক্য৷ এতোদিন ভালো মানুষির মুখোশ পড়ে থাকতে থাকতে আমি যাস্ট বিরক্ত৷ এবার থেকে আর এই ভালো মানুষির মুখোশ পড়ে থাকতে হবে না৷ এবার শুধু একটা প্লানই করবো যাতে সাপও মরে আর লাঠিও না ভাঙে৷ ” ফ্লাটের রুম গুলো ক্লিন করে তনু ফ্লাট থেকে বের হয়ে মেইন রোডে আসতেই একটা মাইক্রো এসে তনুর সামনে দাড়ায়৷ তনুর কিছু বুঝে ওঠার পূর্বে তনুর মুখে রুমাল চেপে ধরে , সাথে সাথে তনু সেন্সলেস হয়ে যায়৷ তুলে নিয়ে তনুকে সেন্সলেস অবস্থায়৷
___________
বাড়ি ফিরে ফারিহা মেঘের সাথে দেখা করার জন্য মেঘের রুমে গিয়ে মেঘ খুজে না পেয়ে নিরাশ হয়ে নিজের রুমে ফিরে আসে ফারিহা৷ ফারিহা তার বিষন্ন মন নিয়ে জানালার সামনে দাড়ায়৷ হঠাৎ পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরতে ফারিহা মানুষটার স্পর্শ পেয়ে বুঝতে পারে এটা তার একান্ত নিজের মানুষটা তার ভালোবাসা৷
অর্নিল ফারিহার গলায় চুমু দিয়ে বলে,” আমার সুইটহার্টকে এতোটা বিষন্ন কেন লাগছে হুম৷ ”
ফারিহা খানিকটা ইমোশনাল হয়ে অর্নিলের হাতদুটো শক্ত করে ধরে বলে,” জানো অর্নিল আজ নিজেকে বড্ড বেশি অসহায় লাগছে৷ আবার তার থেকে বেশি নিজের উপর রাগ, ঘৃনা হচ্ছে৷ আজ আমারই জন্য আপুর জীবনটা নষ্ট করে দিলাম৷ সাথে তনুর জীবন মনটাও শেষ করে দিয়েছি৷ জানো অর্নিল আমার জন্য তনু ওর বাবা মাকে হারিয়েছে৷ ”
অর্নিল ফারিহাকে ছেড়ে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে বলে,” মানে! তুমি কি বলছো ফারিহা? আমি সত্যি কিছুই বুঝতে পারছি না!”
ফারিহা তার চোখের পানি মুছে বলতে লাগলো,” অনেক গুলো বছর পূর্বে কিং ফায়ার আপুকে একটা এসাইনমেন্ট দেয়৷ আর সেই এসাইনমেন্ট ছিলো বাংলাদেশে৷ কিং ফায়ারের টার্গেট ছিলো নিন্ম শ্রেনীর মানুষ গুলো৷ তখন আমি কিং ফায়ারের প্রিয় হয়ে ওঠার জন্য আপুর কাছ থেকে এসাইনমেন্ট টা আমি নিয়ে নি৷ আর চলে যাই বাংলাদেশে৷ বাংলাদেশে যাওয়ার দু’দিনের মাথায় ঢাকা শহরের সব ছোট বড় বস্তি গুলোতে বোম ব্লাস্ট করি৷ সেখানকার কোন এক বস্তিতে তনুর বাবা মা থাকতো৷ ওই বোম ব্লাস্টে তনুর বাবা মা মারা যায়৷ খবরটা তনুর কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌছে যায় কারণ তনুর অনেক লোকজন ছিলো বাংলাদেশে৷ সেই থেকে তনু আর পাল্টে যায় অর্নিল কিন্তু এখন তনু ক্ষমতা পাওয়ার আর প্রতিশোধের নেশায় সব করতে পারে৷ তুমি জানো অর্নিল কিং ফায়ার হ্যারি লিও কে পুলিশের হাত থেকে কে পালাতে সাহায্য করেছে? তনু! তনু সাহায্য করেছিলো৷”
” ওয়াট! তনু? তুমি ঠিক বলছো ফারিহা?”
” হ্যাঁ, আমি সত্যি বলছি ইভেন আজ নিজের চোখে দেখেছি তনু হ্যারি লিও কে মৃত অবস্থা কেটে টুকরো টুকরো করেছে৷ আমার আর আপুর বিরুদ্ধে তনু নতুন কোন এক স্বরযন্ত্র করছে অর্নিল৷ ”
অর্নিল কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে বলতে লাগলো,” ফারহা আর মেঘকে জানাতে হবে ফারিহা৷ আর তুমি মাত্র বললে লিও আর হ্যারিকে দেখেছো৷ তাহলে কিং ফায়ার কোথায়?”
” কিং ফায়ারকে তনু হয়তো আগেই মেরে ফেলেছে৷”
” ফারিহা আমাদের উচিত মেঘ ফারহাকে সবটা জানানো৷”
” জিজুকে না হয় জানালাম কিন্তু আপুকে কি ভাবে জানাবো?”
” ফারিহা আগে মেঘকে জানাও তারপর ভেবে দেখা যাবে ফারহাকে কি ভাবে জানাবো৷”
(৭৪)
মেঘ তার সিনিয়র অফিসার তারেক শেখের কেবিনের দরজায় নক করতে ভেতর থেকে তারেক বলে ওঠে,” ভেতরে এসো মেঘ৷”
মেঘ ভিতরে ঢুকতে তারেক মেঘকে বসতে বলে৷ মেঘ চেয়ারে বসতে বসতে মেঘ বলে,” স্যার এভাবে আর্জেন্ট ডেকে পাঠালেন? এভরিথিং ইজ ওকে ?”
” নো মেঘ এভরিথিং ইজ নট ওকে৷ আমার কাছে খবর আছে শহরে আজ বোম ব্লাস্ট হবে মেঘ৷ কিন্তু কোথায় হবে এটা জানা সম্ভব হয়নি৷ এখন তোমাকে বোম ব্লাস্ট হওয়া থেকে আটকাতে হবে মেঘ৷ ”
” আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট স্যার৷”
” নো মেঘ ট্রাই করলেই হবে না৷ তোমাকে শহরটা বাঁচাতে হবে৷ আর একটা কথা শহরে এখন টেরোরিস্টরা ঘুড়ে বেড়াচ্ছে তোমরা কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছো না মেঘ৷ এরা বাংলাদেশে থাকা মানে দেশের সাধারণ জনগনের জীবন বিপদে ফেলা৷ যতো দ্রুত সম্ভব দলটাকে ধরো মেঘ ৷ ”
” ওকে স্যার , আমাকে এখুনি আমাদের টিম মেম্বারদের সাথে কথা বলতে হবে৷ ”
” ওকে তাহলে তুমি এখনো যেতে পারো৷”
” থ্যঙ্কিউ স্যার৷”
মেঘ কেবিন থেকে বেরিয়ে তার টিম মেম্বারদের মেসেজ করে আসতে বলে৷ লাঞ্চ টাইম বিধায় সবাই কেন্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করছিলো৷ তখনি মেঘের মেসেজ দেখে না খেয়ে সবাই চলে যায়৷
মেঘ সবাইকে সবটা বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়ে ৷ সাথে চারটে ট্রেনিং প্রাপ্ত কুকুর সাথে নেয় মেঘ৷ বেলা বাড়ার সাথে সাথে এক এক করে বোম ব্লাস্ট হতে থাকে৷ তবে অবাক করার বিষয় হলো, এই মারাত্মক বোম ব্লাস্ট গুলো হচ্ছে শহরের নিরিবিলি দুরে অবস্থিত বড় বড় বন্ধ ফ্যাক্টরিতে৷ যেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিশেধ৷ মেঘ আর তার টিম মেম্বারগন ভেবে পাচ্ছে না এমন ভয়ংকর বোম ব্লাস্ট করার কারণ টা;
অন্যদিকে শ্রাবণ সামিরা এক সাথে লাঞ্চ করে গল্প করতে লাগলো৷ এতো দিন পর ভালোবাসার মানুষটাকে পেয়ে শ্রাবণ প্রায় বাড়ির কথা ভুলেই গেল৷ শুধুমাত্র সামিরাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করার আগে মেসেজ করে মেহরিমাকে জানিয়ে দেয় শ্রাবণ৷ শ্রাবণের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে সামিরা আর শ্রাবণ সামিরার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে আর কিছুক্ষণ পর পর সামিরার গালে চুমু খাচ্ছে৷ শ্রাবণের এমন কান্ড দেখে সামিরা হেসে কুটিকুটি ৷ শ্রাবণ সামিরার হাসি দেখে বলে,” ওভাবে হেসো না জান, ওই হাসিতে যে এই শ্রাবণ খুন হয়ে যাবে৷ ”
সামিরা হাসি না থামিয়ে বলতে লাগলো,” বেশ তো হয় হাসি নয় অস্র দ্বারা খুব সহজে তোমাদের আমি খুন করতে পারবো৷”
সামিরার কথা শুনে শ্রাবণ চোখ জোড়া ছোট করে বলল,” কি বললে সামুপাখি?”
সামিরা উঠে বসে শ্রাবণের গাল টেনে দিয়ে বলে,” যাস্ট জোকিং সুইটহার্ট ৷”
” তাই বলো সামুপাখি ৷ তোমার কথা শুনে তো আমার এখুনি হার্টফেল হয়ে যেত৷”
সামিরা বেড থেকে উঠে মুখে রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে আস্তে আস্তে বলতে লাগলো,” যাস্ট এতোটুকুতেই হার্টফেল করার কথা বলছো শ্রাবণ? এর পর যা যা দেখবে শুনবে তখন কি করবে? কিন্তু আফসোস তখন আর কিছুই তোমার হাতে থাকবে না৷ ”
সামিরাকে বিড়বিড় করতে দেখে শ্রাবণ বলে উঠলো ,” কি বিড়বিড় করছো সামুপাখি? যদি আমাকে ভালোবাসার কথা বলারই হয় তো জোড়ে জোড়ে বলো৷”
সামিরা শ্রাবণকে জড়িয়ে ধরে মুখে রহস্যময়ী হাসি নিয়ে বলল,” ভালোবাসি প্রিয় ”
_________________
” চট্রগ্রামের এক পাহাড়ি এলাকায় কাঠের উচু একতোলা বাড়িতে সিড়ি বেয়ে উঠে স্বস্থির শ্বাস ফেললো ফারহা৷ এখানে দু’দিন ওকে থাকতে হবে৷ এখানকার এলাকার একটা মেয়ে নুপূর বয়স আনুমানিক সতেরো বা আঠারো হবে৷ মেয়েটির উপর ফারহারকে দেখে রাখার দ্বায়িত্ব দিয়েছে সেই আগন্তক ৷ ফারহা চট্রগ্রামে আশার পর অব্দি মেয়েটি ফারহাকে আশে পাশের জায়গা গুলো ঘুড়িয়ে দেখিয়েছে৷ ফারহাও নুপূর মেয়েটার সাথে খুব তাড়াতাড়ি মিশে গেছে যেন আপন বোন বা বেস্টফ্রেন্ড ৷ যে কোন মানুষের সাথে মুহূর্তে মিশে যাওয়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা ফারহার আছে৷ যেটা সাধারণ ভাবে সবার মাঝে থাকে না৷ ফারহা উচু টুলে বসে নুপূর কে বলে,” আচ্ছা নুপূর তুমি এই শহরে কতো বছর ধরে আছো? আর তুমি তো স্পষ্ট পরিষ্কার ভাষায় কথা কি করে বলো?”
” আপু আমার এই শহরে জন্ম৷ আমার বাবা আর মা এখান কার স্থানীয় ৷ বাবা শুটকির ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো আর মা ক্ষেতে কাজ করতো৷ কিন্তু আমার জন্মের পর মা ক্ষেতে কাজ করা বন্ধ করে দিয়ে এখান কার এক বড়লোক বাড়িতে কাজ করতো৷ ওই বাড়ির ছেলে মেয়ে গুলো খুব ভালো ছিলো জানো আপু৷ ওরা আমাকে ওদের সাথে খেলতে নিতো ৷ ভালো ভালো জামা কাপড় দিতো৷ ওদের সাথে থাকতে থাকতে ওদের মতো কথা বলা শিখেছি ৷ ”
” বাহ! তাহলে তোমার আব্বু আম্মু কোথায় তাদের দেখছি না কেন?”
” তাদের তো দেখতে পাবেন না আপু কারণ তারা দুর আকাশের তারা হয়ে গেছে৷ পাহাড় ধসে আমি আমার বাবা মাকে হারিয়ে ফেলেছি আপু৷”
ফারহার ভিষণ খারাপ লাগছে নুপূরের কথা শুনে৷ ফারহা মনে মনে ঠিক করে নেয় চট্রগ্রাম থেকে ফেরার সময় নুপূরকে সাথে নিয়ে যাবে৷
অন্যদিকে মেঘ এবং তার টিমের বিশেষ আর কিছুই করতে হলো না৷ কারণ এই বোম বিষ্পরনে জনসাধারণের কোন প্রকার ক্ষতি হয়নি৷ কিন্তু এই বিষ্পরনের কারণটা কেউ বুঝে উঠতে পারছে না৷ অন্যদিকে সামিরার তার দ্বিতীয় ফোনটা অন করতে রিং বেজে ওঠে ৷ সামিরা শ্রাবণের আড়ালে গিয়ে ফোন কল রিসিভ করে কানে ধরতে৷ ফোনের ওপাশের মানুষটার কথা শুনে সামিরার মুখের ভাবভঙ্গি চেন্জ হয়ে গেল৷ চোখে মুখে রাগ আর চিন্তা দুটোই বিদ্যমান৷ রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো,” আমি এখুনি আসছি৷” বলে কল ডিসকানেক্ট করে এদিক ওদিক তাকিয়ে শ্রাবণকে খুজতে লাগলো৷ শ্রাবণ কিচেনে গিয়ে সামিরা আর নিজের জন্য কফি বানিয়ে রুমে এসে সামিরাকে না দেখতে পেয়ে ঘাবড়ে যায় শ্রাবণ৷ হঠাৎ বেডের সাইড টেবিলে চোখ পড়তে একটা ভাজ করা কাগজ দেখতে পেয়ে হাতে তুলে দেখে তাতে গোটা অক্ষরে লেখা,” স্যরি জান তোমাকে না বলে আমাকে বেরিয়ে আসতে হলো৷ ড্যাড ফোন করে ছিলো কোম্পানিতে মেজর কোন প্রব্লেম হয়েছে আর ড্যাড আমাকে এখুনি যেতে বলেছে ৷ তুমি কিচেনে ব্যস্ত ছিলে বিধায় তোমাকে বলে যাই নি তার জন্য স্যরি৷
আমি কাল বিকেলে তোমার সাথে দেখা করবো প্রমিস৷
ইতি
তোমার “সামুপাখি”
চিরকুটটা পড়ে শ্রাবণ কোন রিয়েক্ট না করে চিরকুটটা যথা স্থানে রেখে দিয়ে কফির মগ দুটো কিচেনে নিয়ে কফিটা বেসিংয়ে ফেলে দিয়ে নিজের ফোন নিয়ে ফ্লাট থেকে বেরিয়ে যায় শ্রাবণ৷
____________
(৭৫)
পুরো শরীরে প্রচন্ড শীত অনুভুব হতে পিটপিট করে চোখের পাতা মেলে তাকায় তনু৷ তখনকার হঠাৎ আংশিক ঘটনা বুঝতে না পারলেও এখন তনুর বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না তার সাথে কি কি ঘটেছে৷ বড় ড্রাম ভরা বরফের ভেতর বসে আছে তনু৷ তনু বরফ থেকে ওঠার চেষ্টা করতে সামনে চারটা কুকুর জোড়ে জোড়ে ঘেউঘেউ করতে লাগলো৷ তনু বরাবর কুকুর ভয় পায়৷ আর আজও ভয় পাচ্ছে৷ তখনি হঠাৎ মেইলি কন্ঠে কেউ বলে উঠলো…….
.
.
((