মেঘের উল্টোপিঠ পর্ব -২৩

#মেঘের_উল্টোপিঠ
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
#পর্ব__২৩ (বিশেষ পর্ব.)

‘ আই হোপ এবার আর আমায় দেখে টিচার টিচার ফিলিং’স আসবে না। রিসেন্ট করা কাজটার মাধ্যমে এটলিষ্ট আমি তোমার হ্যাজবেন্ড এটা তোমার মনে থাকবে। রাইট? নাকি এখনো না? অন্য কিছু করতে হবে? ‘

শেষোক্ত শব্দফালি সন্দিহান গলায় বললেন পূর্ব। আমি আমার অধর যুগলের ওপর হতে হাত সরিয়ে লজ্জায় চুপসে গিয়ে নতজানু হই। গালের দুপাশে যে ইতিমধ্যে রক্তিম আভা তার নিজ দায়িত্বে ফুটে উঠেছে তা বুঝতে বেগ পেতে হলো না। কন্ঠনালি যেনো জমে গিয়েছে। তাই পূর্বের ফের আমার প্রতি ঝুঁকে পড়ার থেকে বারণ করতে কয়েকটা কঠিন শব্দগুচ্ছো ছুঁড়ে মারা হলো না।

পূর্ব আমার মুখোশ্রীর প্রতি কিয়ৎ পরিমাণ ঝুঁকলেন।তিনি তার হাত বাড়িয়ে আমার গালে রেখে গাল ধরে আলত টেনে বললেন,

‘ তোমার গালদুটো লজ্জা পেলে এতো কিউট লাগে। কামড় দেই? তাহলে আমায় স্বামী মনে করার তোমার ফিলিং’সটা ডিপ হবে। ‘

পূর্ব আমার গালে তার ওষ্ঠদ্বয় আনার পূর্বেই তেজী কন্ঠে কিছু বলবো তৎক্ষনাৎ নিচ থেকে অরণ্য ভাইয়া চেঁচিয়ে বললেন,

‘ এই পূর্ব! ওখানে দাঁড়িয়ে কি করিস?জলদি নিচে আয় তো একটু। গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। ‘

পূর্ব ভীষণ বিরক্তি আভাস টেনে আনলেন চেহারায়। সটান হয়ে দাঁড়িয়ে ঘাড় বাঁকালেন। আমি তার আড়ালে হওয়াতে অরণ্য ভাইয়া বা নিচ হতে অন্য কেও আমায় দেখতে পাবে না। অরণ্য ভাইয়াও আমায় দেখতে পায়নি বলে স্বস্তির শ্বাস ফেললাম। নয়তো তুমুল লজ্জা গ্রাস করে নিতো আমায়। পূর্ব উল্টোপিঠ হয়ে আমায় নিজের আড়ালে রেখেই বললেন,

‘ কি সমস্যা? ডিস্টার্ব করিস কেনো?’

‘ ডিস্টার্ব কই করলাম ব্যাটা। ফ্রীই তো আছিস দেখছি। নিচে আয়! কথা আছে। জলদি আসিস একটু। গুরুত্বপূর্ণ না হলে তো ডাকতাম না। আমি জানি তুই এখন ভালোবাসা আদান প্রদান করতে ব্যাস্ত। তোর রোমান্সে ডিস্টার্ব করার শখও নেই। ‘

লালাভ আভায় রঞ্জিত হয়ে পাশ দেখে কেটে পড়ি।এদের দু’জনের কথার মাঝে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। তবে বেলকনি থেকে রুমে আসার পর দৃশ্যমান হয় পূর্ব রুষ্ট, ক্ষুদ্ধ দৃষ্টি। তা দেখে অরণ্য ভাইয়া নিজ মুখোশ্রীতে খানিক ভীতির প্রভাব ফুটিয়ে তুলে বলল,

‘ দোস্ত! ওমনে তাকাইস না। ভয় লাগে। আমি তো মজা করতেছি। দেখ, নিচে নেমে আবার থাপ্পড় টাপ্পড় মারিস না। তোর তো কথায় কথায় থাপ্পড় মারার অভ্যাস৷ সেদিন বাসর ঘর সাজানো নিয়ে হুদাই দিলি এক থাপ্পড় তোরে না জানানোর জন্য। পিঠে এখনো আমার জ্বলতেছে জানিস?’

অরণ্য ভাইয়া চোখমুখ কুঁচকে ব্যাথাতুর আভাস ফুটিয়ে তোলার তুমুল চেষ্টা করলেন। অতঃপর শেষাংশ দৃষ্টিপাত বেলকনিতে পূর্বের পানে ফেলে চটজলদি প্রস্থান করলেন। অরণ্য ভাইয়া যেতেই পূর্ব মৃদু হাসলেন! সেই হাসি শুভ্র পর্দার আড়াল হতে দেখে শিউড়ে উঠি। ছেলেদের হাসি এতোটা চমৎকার হয়? মাই গড!

সোফায় বিষ্ময় নিয়ে বসলাম। পূর্ব আসলেন তার সেকেন্ড খানেক বাদে। এসেই ধপ করে আমার পাশে বসলেন। দু’হাত টান টান করার ভঙ্গিমা করে বললেন,

‘ অরণ্য কি বলেছিলে শুনলে? আমি নাকি রোমান্সে ব্যাস্ত! এটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তা তো শুধু আমরা জানি তাই না? পুরো দুনিয়া ভাবছে আমরা ভালোবাসা আদান প্রদানে ব্যাস্ত। এতো মানুষের ভাবনা মিথ্যে প্রমাণিত করার কোনো মানে হয় দোলপাখি? আসো রোমান্স করি! ‘

আকাশ’সম চমকে ড্যাবড্যাব নেত্রে তার পানে দৃষ্টি ফেলি। পূর্বের আচার – আচরণ ঠিক হজম হচ্ছে না। হুট করে এতোটা পরিবর্তন? এতো লাগামহীন কথাবার্তা? শুধুমাত্র পূর্ব অবগত হয়েছে যখন থেকে আমি তার অন্তরালে আমার জন্য গুপ্ত প্রণয় অনুভূতি সম্পর্কে জেনে গিয়েছি বলে! আমি স্থির চাহনি ফেলে আমতা আমতা করে বলে উঠি,

‘ আপনার কি হয়েছে বলুন তো? আপনি এমন উদ্ভট ব্যাবহার কেনো করছেন? গম্ভীর ছিলেন সেই গম্ভীরতাই আপনাকে বেশ মানায়। এমন লাগামহীন কথাবার্তা তাও আপনার মুখে? আকাশ পাতাল পার্থক্যের ন্যায় লাগে! ‘

পূর্ব ঠোঁট বাঁকিয়ে বললেন, ‘ আমি যেমন তেমনটাই প্রকাশ করেছি। হোয়াটএভার, ফ্রেশ হয়ে আসো খাবার আনছি আমি। ‘

‘ আমার ক্ষুধা নেই। ‘

পূর্ব যেতে যেতে সেই আগের কন্ঠ, আগেরকার সুর, রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ তোমার ক্ষুধা নেই এটা তো আমি জানতে চাইনি।আমি খাবার আনছি তুমি খাবে। দ্যাট’স ফাইনাল!’

চারপাশে পিনপতন নীরবতা। তপ্তশ্বাস ফেলে মাথা চেপে ধরি। একজন ব্যাক্তির এতো রূপ হয় কেনো?মিনিটে, সেকেন্ডে যেই লোক আমার সাথে গম্ভীরতা ছাড়া কথা বলে না সে আজ হুট করে লাগামহীন, ঠোঁটকাটা কথা বললো? অদ্ভুত!

অতঃপর ফ্রেশ হয়ে আসতেই সোফায় দৃশ্যমান হলো পূর্বকে। পায়ের ওপর পা তুলে ফোনে দৃষ্টি এলিয়ে রেখেছেন। মনোযোগী দৃষ্টিপাত। আমি সেই ফাঁকে রুম হতে কেটে পড়ার সিদ্ধান্ত নেই। পা টিপে টিপে বের হতে নিলেই হাতে আলত জোরে হেঁচকা টান পড়ে। পায়ের গতি হারিয়ে পূর্বের পাশে গিয়ে পড়ি। তিনি আমার হাত ছেড়ে বললেন,

‘ চোরের মতো পালাচ্ছো? লজ্জা হওয়া উচিত। ‘

হাত ডলে নাক কুঁচকে বললাম, ‘ আমি খাবোনা। ‘

পূর্ব তার হাতের ফোনটা রেখে দিলেন। উঠে গিয়ে ওয়াশরুম থেকে চটপট হাত ধুয়ে এসে আমার ওষ্ঠাধর সম্মুখে খাবার তুলে ধরলেন। আমি মাথা অন্যদিকে ফিরিয়ে নিতেই তিনি শক্ত কন্ঠে বললেন,

‘ ত্যাড়ামি করলে তখনকার অসম্পূর্ণ কাজটা আমি সম্পূর্ণ করবো। মনে আছে?তখন গালে..? ‘

ক্ষোভ নিভৃতে চেপে ‘ হা ‘ করতেই তিনি খাবার খাওয়াতে শুরু করেন। পূর্বের বদলে যাওয়া রূপটা আমায় অতিষ্ঠ করে তুলছে ক্ষনে ক্ষনে!

___

গোধূলি প্রহর! আকাশ এখন লাল, হলদেটে রঙে সজ্জিত হয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে মুক্ত আকাশের পাখিগুলো ডানা ঝাপটে তাড়া লাগিয়েছে নিজেদের মধ্যে নীড়ে ফেরার তাগিদে! স্বচ্ছ পানিতে আকাশের পূর্ণরূপ প্রতিবিম্ব আকারে পড়ে অসীম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে যেনো। সুইমিং পুলে আমার ডুবিয়ে রাখা পা যুগল খানিক নড়চড় করতেই অসমান্তরাল ঢেউ পুরো সুইমিং পুল জুড়ে ছেয়ে গেলো। অদ্ভুত মোহনীয় দৃশ্য!

সবাই আপাতত ঘুরতে ব্যাস্ত। আমি হোটেলে পড়ে আছি কারণটা পূর্ব। তার মতবাদ কাল রাতে হসপিটাল থেকে রিলিজ পেয়েছি আজ রেষ্ট নেয়াটা আবশ্যক! পূর্বের বন্ধুগণ! তারা নারাজ ছিলো আমায় ছাড়া যেতে কিন্তু আমি তাদের কোনো রকমে ঠেলেঠুলে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের ছুটি শেষ হওয়ার বেশি সময় নেই। এমনিতে গ্রামের কাহিনিতে ঘোরার তুমুল ইচ্ছেটা তাদের পূরণ হয়নি। এখন আমার জন্য ফের তাদের ইচ্ছে তে ঘাটতি হলে এটা আমার জন্য কষ্টজনক। পূর্ব, অরণ্য ভাইয়া এবং ভাইয়া আর অরিন এই চার জন যায়নি। তাদের কেনোকিছু বলে রাজি করানো যায়নি। হোটেলেই থেকে গেছে। তবে কিয়ৎক্ষণ আগে আমি ভাইয়া আর অরিনকে হোটেলের বাহিরে হেঁটে আসার জন্য পাঠিয়েছি। নতুন কাপল!নিজেদের মধ্যে দূরত্ব না কমালে বাকি জীবন পার করবে কিভাবে?

পূর্ব এতক্ষণ অব্দি আমার পিছন দিকটায় ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। মিনিট খানেক হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় আমায় বলে হোটেলের ভিতর গিয়েছেন। আমি আপাতত একা। পুল সাইডে তেমন কেওই নেই সন্ধ্যাক্ষণ হওয়াতে। তবে একটু পর ভীড় হবে।

নীলচে পানির দিকটায় দৃষ্টি থাকাকালীন হটাৎ আমার ধপ করে কিছু শব্দ হওয়াতে সেদিকে তাকাই। অরণ্য ভাইয়া! মুখোশ্রীতে তার ক্লান্ততা বিদ্যমান। কিয়ৎক্ষণ পর তিনি আশপাশে দেখে বললেন,

‘ পূর্ব নেই তাও তোমার পাশে?বাপড়ে! বিশ্বাস করা কষ্টসাধ্য। এখানে আসার পর তো ছায়ার মতো লেগে থাকতো তোমার। এখন কোথায় গেলো?’

আমি নিম্নসুরে বলি, ‘ কাজ ছিলো কিছু। তাই রুমে গিয়েছে। ‘

‘ অহ! তাই বলো। তাইতো বলি পূর্ব হটাৎ ফোন করে আমায় পুল সাইডে যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছিলো কেনো এতো?এবার সব পানির মতো পরিস্কার। ‘

অরণ্য ভাইয়া থামলেন। দৃষ্টি ফেললেন আমার পায়ের দিকে। ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে বললেন,

‘ লিটল প্রিন্সেস! প্লিজ পা তুলো পানি থেকে। ঠান্ডা লেগে যাবে। পূর্ব এসে তোমায় এভাবে দেখলে আমার অবস্থা রফাদফা করে ফেলবে। ‘

আমি পা তুলে সটান হয়ে দাঁড়াই। অরণ্য ভাইয়া স্বস্তির শ্বাস ফেললেন তা দেখে। তার এ অবস্থা দেখে রীতিমতো আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি ভেবে চুপ থাকলাম। সেকেন্ড অতিবাহিত হওয়ার পর হুট করে কৌতূহল নিয়ে বলি,

‘ ভাইয়া? আমার কিছু জানার ছিলো। জিজ্ঞেস করি?’

অরণ্য ভাইয়া অন্যমনস্ক ছিলেন। আমার হটাৎ বলা কথায় তিনি হকচকিয়ে উঠে বলল,

‘ হ্যা হ্যা বলো! ‘

‘ অরণ্য ভাই, পূর্ব কি সর্বদা এমন রাশভারী থাকেন? আই মিন গম্ভীরমুখো। তাকে আমি শুরু থেকেই এমন গম্ভীর দেখে আসছি। তোমাদের সাথেও কি একই বিহেভ করে?’

‘ আরেহ্ না! কে বলেছে? ও গম্ভীর না অবশ্যই। আমাদের মতোই। তবে মেডিকেলে সর্বদা গম্ভীর থাকে। ওর বাহ্যিক দিকটা ও গাম্ভীর্যতার সাথে পেশ করে। কিন্তু আমাদের সাথে একদম নরমাল।হাসিখুশি! নাহলে কি ও আমাদের বন্ধুমহলের প্রাণ হয় নাকি? তোমার সাথে গম্ভীর থাকে বলে এমন বলছো না? আসলে এখানটায় একটা মিষ্ট্রি আছে। এটা তুমি পূর্বের থেকে জেনে নিও। ‘

কৌতূহল দমলো না। তার মানে আমি যেমনটা পূর্বকে দেখি। পূর্ব তেমন নয়? মাঝেমধ্যে হুটহাট যা বিহেভ করে সেই পূর্বটাই আসল পূর্ব? হতে পারে। কিন্তু আমার সাথে সে এমন কোন কারণে?কিসের মিষ্ট্রি? অরণ্য ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করে উত্তর পাওয়া গেলো না। সে তার কথায় অটল। পূর্বের থেকে জেনে নিতে। কিয়ৎ বাদে পূর্ব উপস্থিত হন। আমায় তাড়া দিয়ে রুমে নিয়ে এসে শপিং ব্যাগ হাতে তুলে বললেন,

‘ রেডি হয়ে থেকো। গাড়ি আসবে একটা। সেখানে অরণ্য নিয়ে যাবে তোমায়। আমি ওখানেই উপস্থিত থাকবো। ‘

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম, ‘ মানে? কোথায়?’

‘ গেলেই দেখতে পাবে। এখন রুমে থাকো আমি আসছি। ‘

___

রাত ৯ টা!
পূর্বের বলা স্থানে আসতেই অরিন সহ তারা ভাবী আমার চোখ বেঁধে দিলেন। হকচকিয়ে উঠে বলি,

‘ কি করছো তোমরা?’

‘ এটা সারপ্রাইজ! চুপ থাক মাইয়া। ‘

অরিনের প্রতুত্তর! ক্ষনিক বাদে এক জোড়া হাত আমার ডান হাত আঁকড়ে ধরলো। স্পর্শটা চেনা চেনা। কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললাম,

‘ পূর্ব? এটা কি আপনি?’

‘ আমিই এটা। আসো! ‘

পূর্বের মিহি সুর। আমার নিভৃতে জমা বিশাল কৌতূহলের ভান্ডার। কি হচ্ছে? কিছুই বোধগম্য নয়। শাড়ী পড়ে হাঁটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। হোঁচট খেয়ে পড়তে নিলেই পূর্ব সাবধানে আগলে নিচ্ছে। পূর্বের দেয়া শাড়ীটা ছিলো সাদা রঙের। শুভ্র রঙ! তবে ইউনিক বেশ। সাদা স্টোন এর কাজ করা।

কিয়ৎক্ষণ পর। চোখের বাঁধন খুলে দিতেই আমি সর্বপ্রথম পূর্বের পানে দৃষ্টি ফেলি। বিরক্ত কন্ঠে বলি,

‘ কি শুরু করেছেন? ‘

পূর্ব নিরুত্তর। সে তার নেত্রযুগল এবং আকার, ইঙ্গিত দ্বারা নির্দেশ করলেন সামনে তাকাতে। আমি ধীরে তাকাই! সামনের পরিবেশ দেখে থম মেরে রইলাম। সামনে সুইমিং পুল! তবে সেই হোটেলের সুইমিং পুলটা নয়। সুইমিং পুলে লাল, সাদা ফুল দিয়ে বেশ সুন্দর মতো লিখা রয়েছে

‘ দোলপাখি! স্নিগ্ধময়ী আমার। ভালোবাসি প্রচন্ড।’

আমি নির্বাক! প্রচন্ড অবাক হয়ে বাকশক্তি লোপ পেয়েছে আপাতত। চারপাশের মোমের হলদেটে আলো, মরিচবাতির রঙিন আলো যেনো ঝংকার তুলেছে সৌন্দর্যের। ক্ষন বাদে অনুভূত হয় পিছন হতে পূর্ব আমায় আলত হাতে জরীয়ে ধরেছেন। ঘাড়ে নিজের থুতনি তখনকার মতো নির্লিপ্তে স্থাপন করে কানের পিঠে আলত করে নিজের অধরের ছোঁয়া দিলেন। কানের নিকট হিসহিসিয়ে বললেন,

‘ শুভ্রমহলে শুভ্রারাণী,
সৌন্দর্যের মাঝে সে অপ্সরি!
স্নিগ্ধ আবেশের স্নিগ্ধময়ী আমার।
তুমি নামক আপাদমস্তকটা সম্পূর্ণ আমার।
ভালোবাসি দোলপাখি! 💛’

চলবে,

[বিশেষ পর্ব!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here