#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ২৫)
#Humayra_Khan
.
.
.
আহানঃ ওয়াট…..তুমি ফান করছ আমার সাথে তাইনা..তুমি সব রেখে সাইকেলে করে ঘুরতে চাইছো?
মেয়েরা তো সাধারণত বাইকে উঠা পছন্দ করে আর তুমি???
চারু ঃ বিকস আই এম ডিফরেনট….
আমার ছোটকাল থেকেই সাইকেলে করে ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগত…..
আর সপ্ন দেখতাম আমার সপ্নের রাজকুমারের সাথে সাইকেলে করে পুরো পৃথিবী ঘুরে বেরাব।।।।
আহানঃ পৃথিবী ঘুরবে তা আবার সাইকেলে করে…
কথাটি বলে আহান পাগলের মত হাসতে লাগল।।।
চারু ঃ অই বএিশ টা দাত দেখানোর কি হল (রেগে)
আহানঃ তোমার জোকস শুনে…আচ্ছা চড়ই পাখি পুরো পৃথিবী কেন আমি তোমাকে চাঁদের দেশ ও নিয়ে যাব সাইকেল করে….যখন আমি সাইকেল কিনব তার পর……..আজ না হয় গাড়ি বা বাইকে করে ঘুরে আসি…
চারঃ নোন নোন নোন নো….
আমরা আজই সাইকেল এ করে ঘুরব।।। যদি আজ আমায় না নিয়ে জান তো সারা জীবন আপনাকে ভাইয়া… চাচা খালু.. এইসব বলেই ডাকব( মুখ বাকা করে)
আহানঃ আল্লাহ… একে বুঝিয়ে কোন লাভ নেই…
আচ্ছা আমিও আহান খান… সহজেই হেরে যাওয়ার পাএ আমি নই……
চারু ঃ তাই নাকি৷ চাচ্চু….(হেসে)
আহানঃ হ চাচি… এক ঘন্টার মধ্যেই আমি সাইকেল এনে তোমার সামনে হাজির করব…
ইউ জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ……
কথাটি বলে আহান চলে যায় সেইখান থেকে….
চারু ঃ আমিও দেখে নিব এতো কানা রাতে আপনি কিভাবে এরেঞ্জ করেন….
আহান নিজের রুমে মধ্যে বসে পায়চারি করছে…
আহানঃ উফফ এই রাত বারো টায় তো কোন দোকানও খোলা থাকবেনা….কি যে করি…??
আইডিয়া আহান…….।।।
আমি আরাফকে কল দেই….
কথাটি বলার সাথে সাথেই আহান ওর ফ্রেন্ড কে কল দিয়ে–
আহানঃ হ্যালো দোস্ত…..
আরাফঃ হ্যালো বল আহান( ঘুমু কন্ঠে)
আহানঃ আই নিড ইউর হেল্প দোস্ত.
আরাফঃ হ্যাঁ বল কি হেল্প লাগবে????
আহানঃ দোস্ত তোর সাইকেলটা একটু দিতে পারবি আমাকে বাসায় এসে… প্লিজ দোস্ত না করিস না..
তানাহলে যে আমার সংসারটা আয়নার মতো ভেঙে যাবে।।।
আরাফঃ শালা তুই বিয়ে কবে করলি?? তুই এইটা কিভাবে করতি পারলি আহান…আমাকে রেখেই বিয়ে করে ফেললি কত সপ্ন বুনেছিলাম তোর বিয়েতে অনেক পেট ভরে খাব.. দশ বারো টা রান চাবাবো..
দূর শালা সব সপ্নের উপর এক বদনা জল ঠেলে দিলি…
আহানঃ উফ রে কি আজাইরা কথা বলছিস কোন পাগল তোকে বলেছে আমি বিয়ে করেছি??
আরাফঃ তুই তো এখন বললি আমার সংসার ভেঙে যাবে……
আহানঃ হায়রে আমার প্রেমের সংসার ভেঙে যাওয়ার কথা বলছি….
আরাফঃ উরে বাবা… আমাদের ভদ্র ছেলে দেখি এখন প্রেমও করে…
আহানঃ হুম (নিজের মাথা চুলকিয়ে)
ওগুলো বাদ দে…. প্লিজ সাইকেল টা নিয়ে আয়না আমাদের বাসায়….
আরাফঃ দুর শালা সাইকেল তো অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়ে বাইক কিনেছি….আজকালকার মেয়ে পটানোর জন্য বাইক থাকাটা অনেক জরুরি…
কারন মেয়েদের জন্য ভালোবাসার আরেক নামই বাইক……
আহানঃ বাট আমারটা ভিন্ন রে….
তাই তো সাইকেল এর জন্য বলছি তোকে..
কিন্তু এখন কি করব বল তো??
আরাফ ঃ আমার এক পরিচিত আংকেল এর সাইকেল এর দোকান আছে.…. কিন্তু এখন তো তার দোকানও বন্ধ…., তুই একটা কাজ কর কাল যেয়ে সাইকেল কিনে আনিস…
আহানঃ মোটেও না দোস্ত আমি কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবনা… আজ যদি চারুকে সাইকেল করে ঘুরতে নিয়ে না যাই তাহলে আজীবন ও আমাকে ভাইয়া.. চাচা খালু বলে ডাকবে…….
আরাফ আহানের বলা কথা শুনে জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে…….আরাফের হাসি দেখে আহানের বেশ রাগ উঠে পরে…
আহানঃ বেশি হাসা হাসি করলে কিন্তু ফোনের ভিতরে ঠুকেই তোর বএিশ টা দাত ভেঙে গুড়ো গুড়ো করে দিব…
আরাফঃ আমার তো এিশ টা দাত তুই বএিশ টা কিভাবে ভাংবি দোস্ত.(হেসে)
আহানঃ দরকার পরলে তোর গার্লফ্রেন্ড এর বাসায় গিয়ে ওর সামনের দুইটা দাত ভেঙে দিয়ে আসব।।
তাহলেই তো হয়ে যাবে বএিশ টা…
আরাফঃ আমার গার্লফ্রেন্ড তো দেখতে এমনি ভয়ানক সামনের দুইটা দাত না থাকলে তো পুরাই শাকচুন্নি দেখাবে ওকে…….
আহানঃ হুর এইসব কথা বলার জন্য সময় আছে.. দোস্ত তুই একটা কাজ কর তোর আংলের এর বাসার এড্রেস টা আমাকে দে বাকিটা আমি সামলে নিব…
আরাফঃ আর ইউ মেড তুই এতো রাতে তাদের বাসায় যাবি.. ভাই তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে তুই একগ্লাস পানি মাথায় ঠেলে ঘুমিয়ে পর….
আহানঃ উফ তুই এড্রেস টা আমাকে না দিলে আমি কিন্তু এই কল রেকর্ডিং তোর গার্লফ্রেন্ড কে সেন্ট করব..
আরাফঃ হায়রে তুই ফ্রেন্ড নাকি শএু কতো কষ্ট করে একটা গার্লফ্রেন্ড নসিব এ আসছে আর তুই কিনা..
আচ্ছা আংকেল এর বাসার ঠিকানাটা তোকে সেন্ট করছি…
আহানঃ জলদি.
কথাটি বলে ফোনটা কেটে দেয় আহান……
একটু পর ওর ফ্রেন্ড মেসেজ করে তার আংকেল এর বাসার ঠিকানাটা সেন্ট করলে…
আহান তাড়াতাড়ি করে ওর গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পরে নির্দিষট গন্তব্যে…..
বাসায় পৌছে আহান বাসার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজালে একটা ভদ্রমহিলা এসে দরজাটা খুলে দেয়…
আহানঃ আন্টি আংকেল কে একটু ডাকবেন???
মহিলাঃ এই ছেলে তোমার চোখ এ কি সম্যসা নাকি??
আমাকে কোন দিক দিয়ে আন্টি মনে হয়???
তুমি জানো এখনো হাজারো হাজারো ছেলেরা আমার পিছনে ঘুর ঘুর করে… মৌমাছির মতো …আমার মতো সুন্দরি মেয়ে নাকি তারা জীবনেও দেখেনি( ভাব নিয়ে)
আহানঃ ওয়াট ননসেনস এই পয়এিশ চল্লিশ বছর মহিলার পিছনে ছেলেরা নাকি ঘুর ঘুর করে তা আবার মৌমাছির মত…….হয়ত ওইসব ছেলেরা পাগলাঘার থেকে ছুটে আসা পাগল তাই মেয়েদের পিছনে না ঘুরে এই আন্টির পিছনে ঘুরে…(.আনমনে)
আহানঃ উফ কোন ছেলেই বা না ঘুরবে আপনার পিছনে বলুন? আপনাকে দেখে মনে হয় আপনার বয়শ মাএ বিশ….
মহিলাঃ সত্যি আমাকে এতো ইয়াং মনে হয়??
বাই দো ওয়ে আমি তো ইয়াং ই…
আহানঃ হুম ম্যাম আপনাকে দেখে আমার নায়কা মুনমুন এর কথা মনে পরে গেছে…
মহিলাটি আহানের কথা শুনে রাগি লুক নিয়ে ওর দিক এ তাকালে–
আহানঃ সরি সরি ভুলে মুনমুন এর নাম নিয়ে ফেলেছি আপনাকে দেখতে পুরাই ক্যাটরিনা কাইফ এর মত লাগে……
মহিলাটি আহানের কথা শুনে কাবিলা মার্কা হাসি দিয়ে—
মহিলা ঃ আমাকে দেখতে ক্যাটরিনা কাইফ এর মত লাগে…..সত্যি?? .
আহানঃ হুম ম্যাম আপনি এতই সুন্দর যে ক্যাটরিনা ও ফেল আপনার সামনে( শুকনো একটা হাসি দিয়ে)
মহিলাঃ তুমি বাইরে কি করছ আসো ঘরে আস কিছু খেয়ে যাও(খুশি হয়)
আহানঃ না ম্যাম আমার একটা কাজ আছে আর আমাকে শুধু মাএ আংকেল ই হেল্প করতে পারবে।।।
আমার চড়ই পাখি বায়না ধরেছে যে আমার সাথে করে এখন সাইকেলে করে ঘুরবে কিন্তু আমার সাইকেল নেই।।
আর আংকেল এর ত সাইকেলের দোকান…
আংকেল যদি আমাকে একটু হেল্প করত।।।
মহিলাঃকি চড়ই পাখি সাইকেল এ করে ঘুরতে চায়…..
কি দিনকাল আসল পাখিরা দেখি আকাশে না উড়ে এখন সাইকেল করে ঘুরতে চাইচ্ছে(গালে হাত দিয়ে)
আহানঃ আরে ম্যাম … আপনি ভুল বুঝছেন..
আমি আমার গালফ্রেন্ড কে ভালোবেসে চড়ই পাখি ডাকি…গার্লফ্রেন্ড কে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি কোন পাখিকে নয়…
মহিলাঃ ওও লাভ সাভ.. কিন্তু তোমার আংকেল তো গভীর ঘুমে। হাজারো ডাক দিলে উঠবেনা….
আহানঃ আপনি জাস্ট তার কাছে আমাকে নিয়ে চলুন বাকিটা আমি সামলে নিব….
মহিলাঃ আচ্ছা আসো আমার সাথে……..
মহিলাটি আহানকে তার স্বামীর কাছে নিয়ে গেলে
আহান লোকটিকে হাজারো বার ডাক দিতে থাকে…
কিন্তু লোকটি নাক ডেকে ঘুমিয়েই যাচ্ছে যেন হাজারো দিন পর ঘুমালো সে…..
মহিলাঃ দাঁড়াও আমি পারব তাকে উঠাতে….
কথাটি বলে মহিলা জোড়ে একটা চিৎকার৷ দিয়ে বসে…..
মহিলার চিৎকারটা এত জোড়ে ছিল যে তার চিৎকার এর আওয়াজে আহানের কানের বারোটা বাজিয়ে দেয়…
কিন্তু তার স্বামী ঘুম থেকে উঠার নামই নিচ্ছেনা…….
আহান তার ঘড়ি তে খেয়াল করল এক ঘন্টা হতে আর বিশ মিনিট বাকি… তাই কোন উপায় না পেয়ে–
আহানঃ ম্যাম আপনাদের ওয়াসরুম টা কোথায়….
মহিলাঃ ঔই তো(ওয়াসরুমের দিক ইশারা করে)
আহান তাড়াতাড়ি করে ওয়াসরুমে গিয়ে একমগ পানি এনে লোকটি মুখে হাল্কা একটু পানির ছিটা দেয়..
তাতেও কোন কাজ না হলে আহান পুরো একমগ পানি লোকটার মুখে ঢেলে দেয়….
সাথে সাথে লোকটি এক লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পরে —
লোকটিঃ মা মা আমি ডুবে গেলাম ডুবে গেলাম আমি..
আহানঃ রেলেক্স আংকেল একমগ পানিতে কেউ ডুবে যায়না… আই এম সরি আমার এমন আচরনের জন্য।।
কিন্তু প্লিজ আংকেল আমাকে আজ হেল্প করতেই হবে।।
আহান অনেক আকুতি মিনতি করলে লোকটা রাজি হয় তার দোকান খুলতে …..
পরে লোকটি আর আহান ওর গাড়ি করে খুব দ্রুত লোকটির দোকান এসে পৌছায়……
লোকটি আহানকে একটা কালো কালারের সাইকেল ধরিয়ে দিলে আহান তাড়াতাড়ি করে সাইকেল টা নিজের গাড়ির মধ্যে রেখে—
লোকটাকে টাকা দিয়ে খুশিতে লোকটাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে—-
আহানঃথ্যাংকস আংকেল আপনি জানেন না কত বড় উপকার টা করলেন……..
লোকটিঃ উফ কি করছ কি ছাড়ো আমায়…
আহানঃ সরি…. আসলে অনেক খুশি তো তাই(মাথা নিচু করে)
লোকটিঃ কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি যাও…….
আহানঃ জ্বি আংকেল……কিন্তু আসেন আপনাকে বাসায় দিয়ে আসি…
লোকটিঃ না তুমি যাও আমি চলে যেতে পারব…তোমার লেট হয়ে যাচ্ছে……
আহানঃ থ্যাংকস আংকেল….
কথাটি বলে আহান গাড়িতে উঠে তাড়াতাড়ি চলে যায় বাড়ির উদ্দেশ্য……..
বাসায় পৌছে আহান সোজা চলে যায় চারুর রুমে……
সেড লুক নিয়ে চারুর সামনে দাড়ালে—
চারু ঃ…………
.
.#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ২৬)
#Humayra_Khan
.
.
.
আহান বাসায় পৌছেই সোজা চলে যায় চারুর রুমে–
সেড লুক নিয়ে চারু সামনে এসে দাড়ালে–
চারু আহানের সেড লুক দেখে–
চারু ঃ কি হল পারেননি তো এরেঞ্জ করতে
কথাটি বলে চারু জোড়ে জোড়ে হাসতে শুরু করে…..
আহান কোন কথা না বলে তার দুই হাত দিয়ে চারুর চোখ জোড়া বন্ধ করলে–
চারু ঃ কি হল? আমার চোখ এই ভা
বে ধরে আছেন কেন????
আহানঃ চুপ.. কোন কথা নয়…….জাস্ট আমার সাথে চলো…..
কথাটি বলে আহান চারুকে বাসার বাইরে নিয়ে যায়–
চারুর চোখ থেকে নিজের হাত জোড়া সরিয়ে—
আহানঃ সারপ্রাইজ……..
চারু সামনে তাকিয়ে দেখল একটা কালো রঙের সাইকেল আর সাইকেলের বাসকেট এ অনেক গুলো গোলাপ ফুল…….
চারু বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সাইকেল এর দিক এ……..
চারু ঃ আপনি এতো রাতে সাইকেল কিভাবে পেলেন???
আহানঃ কিভাবে পেয়েছি কি করে পেয়েছি এই গুলা বাদ দিয়ে চল সাইকেল এ করে তুমাকে পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করাই…
আহানের কথা শুনে চারু জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলে আহানও চারু হাসির সাথে তাল মিলিয়ে হাসতে শুরু করল…….
আহান ওর হাসি বন্ধ করে সাইকেলে উঠে —
আহানঃ চারু তাড়াতাড়ি সাইকেলে বসো
চারুঃ আপনি নামেন সাইকেল থেকে….
আহানঃ কেন??(অবাক হয়ে)
চারু ঃআগে নামেন তারপর বলছি…….
আহান চারুর কথামত সাইকেল থেকে নেমে পরলে চারু সাইকেলের সামনে বসে পরে–
চারু ঃনিন এবার উঠুন…
আহানঃ এই তুমি সামনে বসলা কেন???
চারু ঃ কারন সাইকেল আপনি নয় আমি চালাব..
আহানঃ ওয়াট ( অবাক হয়ে)
চারু ঃজলদি উঠুনতো….
আহান কথা না বাড়িয়ে সাইকেলে উঠে পরলে চারু সাইকেল চালাতে থাকে আপন মনে……
সাইকেল চালানোর সাথে সাথে গান গাইতে থাকে
চারু ঃ আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে…….
আহানঃ ওই এতো আসতে চালাচ্ছো কেন.??
মনে হচ্ছে ভেলগাড়ি তে উঠে বসে আছি…..
চারু ঃ তাই নাকি তাহলে দেখেন চারুর কামাল.
কথাটি বলে চারু খুব স্পিড এ সাইকেল চালাতে শুরু করে…..
আহানঃ এই করছটা কি?… তোমাকে একটু জোড়ে চালাতে বলেছি উড়োজাহাজের মত উড়ানোর কথা বলিনি.. স্পিড কমাও বলছি….
চারু ঃ অই আপনার সম্যসা কি???
একবার বলেন স্প্রিড বারাও এক বার বলেন কমাও
(পিছনের ঘুরে আহানের দিক এ তাকিয়ে…)..
আহানঃ অই তুমি আমার দিক এ না তাকিয়ে সামনে তাকাও…এক্রিডেনট হবে তো…
চারু আহানের দিক এ তাকিয়ে থাকার ফলে সাইকেলের উপর থেকে নিজের নিয়ন্রন হারিয়ে ফেলে যার ফলে সাইকেল ধপাস হয়ে পরে যায় মাটিতে….
আর চারু আহানের উপর…..
চারুর এলোমেলো থাকা চুলগুলো সোজা এসে পরে আহানের মুখে…….
দুইজনেই এইভাবে বেশক্ষানিক ধরে একের অপরের দিক এ তাকিয়ে থাকে পলকহিন ভাবে…….
চারু উঠতে নিলে আহান চারুর কোমড় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে—
আহানঃ তোমাকে তো উঠে যাওয়ায় পারমিশন দেইনি আমি….
চারু ঃ সারা রাত কি আমরা এই ভাবেই রাস্তায় শুয়ে থাকব….
আহানঃ হুম আমার তো কোন সম্যসা নেই সারা রাত তোমাকে আমার বুকের মাঝে রাখতে…
চারু ঃ তাই বলে রাস্তায়???অই ছাড়ুন আমাকে…
আহানঃ আমি তো মোটেও ছারছিনা…
চারুঃ দাড়ান কিভাবে ছাড়াতে হয় আমার জানা আছে…..
চারু সাথে সাথে আহানকে একটা কিস করে বসে…
চারু এইভাবে কিস করায় আহান যেন পুরো পুরি শকড…আহান শকড হয়ে চারুর কোমড় থেকে নিজের হাতটা সরালে চারু সেই সুযোগে আহানের উপর থেকে উঠে পরে…….
চারু ঃ এই যে রাস্তায় কি ঘুমিয়ে থাকার পরিকল্পনা করছেন নাকি আপনি…
কথাটি বলে চারু পাগলের মতো হাসতে শুরু করে…
আহান ঃ ওও আমার সাথে চালাকি.. তাই তো মনে মনে বলছি হঠাৎ করে আমার জন্য এতো ভালোবাসা জাগল কিভাবে….
চারু ঃ নেন হাতটা ধরেন আর উঠুন জলদি করে….
(আহানের দিক এ হাত বাড়িয়ে)
আহান চারুর হাতটা ধরে উঠে পরে মাটি থেকে….
আহানঃ উফফ সাইকেল এর তো বারোটা বেজে গেছে বাসায় যাব কি করে…..???
চারু ঃ উড়ে উড়ে(হেসে)
আহান চারু কথা শুনে ভ্রু কুচকিয়ে ওর দিক এ তাকালে….
চারু ঃ আরে বাবা হেটে হেটে যাব……
আহানঃ হুম চল…….
কয়েকমিনিট এই ভাবে হাটার পর আহান আর চারু একটা ওয়াইট কালারের গাড়ি আসছে দেখতে পেলে –
চারু গাড়িটির সামনে হাত উচু করে ইশারা করলে গাড়িটি থেমে যায়……
গাড়িটির গ্লাস নিচু করে-
ড্রাইভার ঃডু ইউ নিড এনি হেল্প ম্যাম..??
চারু ঃ ভাইয়া আমাদের একটু…..
কথাটি পুরো পুরি বলতে পারলনা চারু এর আগেই আহান ওর হাত হ্যাচকা টান দিয়ে সেই খান থেকে সরিয়ে আনতে নিলে…
ড্রাইভারঃ ম্যাম আমার গাড়িতে আসুন আপনাদেরকে পৌছে দেই…
আহানঃ নো থ্যাংকস.. আমরা যেতে পারব…
আহানের কথা শুনে লোকটি কালো মুখ করে,তার গাড়ি নিয়ে চলে যায় সেইখান থেকে…
চারু ঃ কি করলেন এইটা???(রেগে)
ভালোয় ভালো লিফট দিচ্ছিল আর আপনি…
আহানঃ এই ভাবে কাউকে সহজেই বিশ্বাস করতেই নেই চারু….. দিনকাল অনেক খারাপ।….
যদি লোকটা খারাপ হতো??
চারু ঃ আরে লোকটার ফেস দেখে তো বুঝাই যাচ্ছিল লোকটা মোটেও খারাপ না…
আহানঃ হ মানুষ এর ফেস এ লিখা থাকে সে ভালো না খারাপ…
চারু ঃ হ সব জ্ঞান তো আপনারই আছে..
কথাটি বলে চারু জোড়ে জোড়ে হাটা শুরু করে….
আহানঃ অই কই যাও আমাকে রেখে…
আহান ও চারুর পিছনে হাটা শুরু করলে…
চারু ঃ অই আমার পিছনে পিছনে আসবেন না…
আহানঃ ওকে…
কথাটি বলে আহান চারুকে কোলে তুলে নেয়..
চারু ঃ অই ছাড়েন আমাকে….
আহানঃ মোটেও ছাড়ছিনা তোমাকে…
যত ইচ্ছা লাফালাফি করো…
চারু কোন উপায় না পেয়ে আহানের ঘাড় এ কামড় দিয়ে বসে…
কিন্তু আফসোস তাতেও কোন কাজ হয়না….
আহানঃ ওও ফাস্ট এ কিস তারপর কামড়…
আজ দেখি অনেক ভালোবাসা জাগছে আমার উপর (ডেভিল হাসি হেসে)….
চারু ঃ হ অনেক ভালোবাসা জাগছে আপনি আমাকে নিচে নামালে আরও জেগে উঠবে…
আহানঃ কি( ভ্রু কুচকিয়ে)
চারু ঃ কি আবার ভালোবাসা …
তো প্লিজ নিচে নামান আমাকে….
আহানঃ বাসায় গিয়ে তারপর…..(হেসে)
এইভাবে আহান চারুকে কোলে করে নিয়ে হাটতে থাকে আর চারু ও আহানের কোল থেকে নামার হাজার চেষ্টা করলেও সফল হয়ে উঠে না চারু,……
বাসায় এসে পৌছালে….
চারু ঃ এখন তো নামান…
আহানঃ না আমি এইভাবে তোমাকে কোলে করে নিয়ে তোমাকে তোমার রুমে দিয়ে আসব…..৷
কথাটি বলেই আহান বাড়ির দরজার সামনে এসে দরজার দিক এ ওর চোখ পরলে
ভুতের মতো দাঁড়িয়ে থাকে আহান……
আহান এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকায়….
চারু ঃ কি হল এইভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন কেন? ভুত দেখেছেন নাকি????
আহানঃ দরজার দিক এ তাকাও চারু….
চারু আহানের কথা শুনে সামনে তাকালে-
চারু ঃ……….
.
.#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ২৭)
#Humayra_Khan
.
.
.
চারু ঃ কি হলো এই ভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন কেন???
ভুত দেখেছেন নাকি??????
আহানঃ দরজার দিক এ তাকাও চারু(ভয়ে)
চারু আহানের কথা শুনে দরজার সামনে তাকালে
খেয়াল করে ওই খানে একটা কুকুর বসে আছে খুটিসুটি মেরে….
চারু ঃ কুত্তা(ভয়ে)
আহানঃ তুমিও ভয় পাও আমার মতো????,
চারু ঃ তুমিও মানে???
আহানঃ আমি ছোটকাল থেকেই কুকুর প্রচন্ড ভয় পাই..
চারু ঃ কি একটা ছেলে হয়ে কুকুর ভয় পান লজ্জা লাগছেনা কথাটা বলতে( বিরক্তিকর স্বরে)
আহানঃ লজ্জা কেন লাগবে ছেলেরা মানুষ না???
আর ছোট কালে আমাকে একটা কুকুর কামড় দিয়েছিল এর পর থেকে কুকুর দেখলে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়(অসহায় মুখ করে)
চারু আহানের কথা শুনে জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগে.
আহানঃ অনেক হাসি পাচ্ছে যাও কুকুর এর কাছে যাও দেখো কেমন লাগে…..
চারু ঃ অই খবরদার এই রকম চিন্তা ভাবনা মোটেও করবেননা.. আর আপনার কোল থেকে আমাকে নামালে আমি বিয়ের পর আপনাকে কেকা আপ্পার রেসিপি করা খাবার খাওয়াবো…
আহানঃ উফ না নামলে এইটা তাড়াবো কি ভাবে????
চারু ঃ ও হ্যা…….
চারু আহানের কোল থেকে নেমে পরলে–
আহান কুকুরটির একটু কাছে গিয়ে….
আহানঃ ভাইয়া প্লিজ দরজা থেকে সরুন…আর আমাদের বাসায় যেতে দিন..
কুকুরটি আহানের কথা শুনে বসা থেকে উঠে জোড়ে জোড়ে ঘেউ ঘেউ করতে লাগল……..
আহানঃ উফ রে এই জল্লাদ কুকুর পারলে দেখি আমাকে মেরেই ফেলে….
চারু ঃ সরেন তো আমি হেনডেল করছি…….
আহান চারুর কথা শুনে সরে দাড়ালে-
চারু ঃ অই শালা কুকুর যাবি এই খান থেকে নাকি ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিব তোর..
চারুর কথা শুনে কুকুর টা আরও জোড়ে ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করে
আহানঃ এইটা কি করছো পাগলের মতো ( অবাক হয়ে)
চারু ঃ দেখছেন না কুকুর টা কি ঘাড় ত্যারা সরছেই না….উল্টো ঘেউ ঘেউ করে যাচ্ছে বেশি করে…
আহানঃ একটু অপেক্ষা করি হয়ত ও নিজেই চলে যাবে….
চারু ঃ হুম….
আহান আর চারু বেশক্ষানিক ধরে অপেক্ষা করতে থাকে কুকুরটি যাওয়ার কিন্তু কুকুরটি দরজার সামনে থেকে সরার নামই নিচ্ছেনা
চারু ঃ দেখেছেন শালা কুত্তা কিভাবে তাকিয়ে আছে??
মনে হচ্ছে বাড়িটা ওর …
আহানঃ বাদ দাও তো।। দাড়োয়ান চাচা কেও ভুলভাল বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে তোমাকে নিয়ে বের হতে কেউ না দেখে….সে থাকলে তো কুকুরটা সড়াতে পারত।।
চারু ঃ সারা রাত কি এইভাবেই থাকব নাকি..
মশা গুলো তো আমার রক্ত খেয়ে ফেলছে…
আহানঃ একটা কাজ করি গাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকি..
কুকুরটা আজ সড়বেনা এই খান থেকে….
চারু ঃ এতো ক্ষনে বলতে হলো কথাটা… জলদি চলুন…
তারপর আহান আর চারু গাড়ি তে গিয়ে বসে থাকে..
চারু ঃ আপনার চেহারা দেখে অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছে আপনাকে……….
আহানঃ হুম অনেক ক্লান্ত লাগছে আমার…..
কথাটি বলে আহান চারুর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরে..
আহানঃ চড়ই পাখি আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও তো….
চারু আহানের কথা শুনে আহানের মাথায় ওর হাত বুলিয়ে দিলে…
আহানঃ আহহ কি শান্তি…..
চারু ওর চুল গুলা নিয়ে আহানের কানে শুড় শুড়ি দিতে থাকলে….
আহানঃ অই শান্তি মতো একটু ঘুমাতে দাও তো..
চারু আহানের কথা না শুনে আরও বেশি করে করতে লাগলে…
আহান চারুর কোল থেকে নিজের মাথাটা উঠিয়ে চারুকে শুড়শুড়ি দিতে থাকে….
চারু ঃ অই করছেন টা কি প্লিজ থামুন…(হেসে)
আহানঃ কেন এখন থামব কেন….
কথাটি বলে আহান চারুর পেট শুড়শুড়ি দিতে থাকে…
চারু ঃ প্লিজ থামুন না হলে হাসতে হাসতে আমি মারা যাব….
আহান চারু কথা শুনে থেমে যায়……
চারু ঃ উফ একটু হলেই মারা যেতাম……… অনেক ঘুম পাচ্ছে আমার…..
কথাটি বলে চারু আহানের ঘাড়ের উপর মাথা রেখে শুয়ে থাকে……
আহানঃ উফফ এই সময় টা যদি এই খানেই থেমে যেত..তাহলে কত ভালো হতো তাইনা???????
চারু আহানের কথার কোন উত্তর না দিলে-
আহান চারুর দিক এ তাকালে খেয়াল করে চারু ঘুমিয়ে গেছে……
আহানঃ আল্লাহ এই মেয়ে দেখি ডোরেমন এর নোবিতাকেও হার মানাবে….
কয়েক সেকেন্ডে এর মধ্যে ঘুমিয়ে গেল….
আহান চারু কপালে একটা চুমু দিয়ে ওর হাতটা নিজের হাত এ রেখে ঘুমিয়ে পরে…….
সকালে……………
আহানের ঘুম ভাঙলে ও খেয়াল করে চারু এখনো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।।।।।।।
আহান চারুর মুখে এসে থাকা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিয়ে চারুর কপালে আলতো করে ওর ঠোঁটের স্পর্শ ছুয়ালো……..
আহানঃ উফ সকাল হয়ে গেছে। এতক্ষনে অই কুকুরটাও চলে গেছে হয়ত…..
আহান চারুর কে গাড়িতে রেখেই বেরিয়ে পরে–
দরজার সামনে তাকালে দেখে কুকুরটা আর সেইখানে নেই…..আর বাসার দরজা টাও খোলা……
দরজার সামনে কুকুরকে দেখতে না পেয়ে সস্তির নিশ্বাস ফেলে আহান…..
আহান গাড়ির কাছে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে গাড়ি থেকে চারুকে কোলে করে নিয়ে বাসায় ভিতরে ডুকে পরে………
বাসার ভেতরে প্রবেশ করে আহান চারশ চল্লিশ বোলড এর শকড খায়….
কারন ড্রায়নিং রুমে সবাই বসে আছে সাথে একটা মধ্য বয়স্ক মহিলা আর তার সাথে মর্ডান ড্রেস পরা একটা ইসটাইলিস মেয়েও বসে আছে….
আহান আর চারুকে আহানের কোলে দেখে সবাই যেন পুরোপুরি অবাক………
সাবিনাঃ আহান এই গুলো কি….চারুকে তুই কোলে নিয়ে আছিস কেন??????
আহানঃ মা আসলে ( আমতা আমতা করে)
সাবিনাঃ কি হলো আমার কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেন আহান????(চিৎকার দিয়ে)
চারু ঃ উফফ সকাল সকাল কে এমন গরুর মত চিল্লাচ্ছে একটু কি শান্তি মতো ঘুমাতেও দিবেনা আমায়।।….
আহানঃ চোখ খুলো চারু আর ঘুমাতে হবেনা।….. সামনে দেখো…..
চারু আহানের কথা শুনে ওর চোখ গুলো আসতে করে খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে সবাই বড় বড় চোখ করে ওদের দিক এ তাকিয়ে আছে……
চারু ঃ চারু আজ তুই শেষ… (আনমনে)….
চারু তাড়াতাড়ি করে আহানের কোল থেকে নেমে পরে…
আহানঃ আসলে মা… ভোর ছয়টায় আমার ঘুম ভেঙে গেলে ভাবলাম সকালে একটু হাটতে যাই বাইরে….
একা যেতে একটু বোরিং ফিল হচ্ছিল তাই ভাবলাম ভাইয়াকে নিয়ে যাই সাথে করে কিন্তু ভাইয়াকে এতো ডাক দিলাম দরজা টা খুললোই না সে।।।।।।।।
আবিরঃ আমাকে আবার কবে ডাক দিল (মাথা চুলকিয়ে)আনমনে
আহানঃ ভাইয়ার রুমের সামনে থেকে যেতে নিলে দেখলাম চারু ওর রুম থেকে বের হচ্ছে তাই উপায় না পেয়ে চারুকেই সাথে নিয়ে গেলাম..
ও অনেক মানা করছিল যেতে কিন্তু আমিই ওকে ফোর্স করি….
আর অসুস্থ শরীর নিয়ে বেশি হাটার ফলে চারু রাস্তার মধ্যেই মাথা ঘুরে পরে যায়…
তাই কোন উপায় না পেয়ে ওকে কোলে করে নিয়ে আসতে হয় আমায়….
চারু ঃ আল্লাহ দুই সেকেন্ডে এর মধ্যে কাহিনি বানিয়ে ফেললো….ইনাকে তো রাইটার হওয়া উচিত ছিল..
(আনমনে)
মিরাজ ঃ যাও চারু মা তুমি নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে থাকো…..
সাবিনাঃ আর কত ঘুমাবে… যা চারু সবার জন্য চা বানিয়ে আন……
আহান কিছু বলতে যাবে এর আগেই
চারু ঃ জ্বি কাকিমা এখনি যাচ্ছি
কথাটি বলে চারু সাথে সাথে চলে যায় রান্না ঘরে..
চারুর সাথে সাথে দিশাও চলে যায় রান্না ঘরে চারুকে হেল্প করতে….
আহানঃ আসসালামু আলাইকুম মায়া খালামনি…কেমন আছেন???
মায়াঃ ভালো আছি আহান তুই কেমন আছিস??
আহানঃ এই তো ভালো…….
হঠাৎ আহানের খালার পাশে বসে থাকা মেয়েটি আহানকে জড়িয়ে ধরে….
মেয়েটিঃ উফফ আহান বেবি তুমি কেমন আছো কত বছর পর দেখলাম তোমায়….
আহান মেয়েটি থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে–
আহানঃ রিয়া আমি ভালো আছি… আর আমি তোমার ভাইয়া হই তাই ভাইয়া বলে ডাকলে বেশি খুশি হবো..
রিয়া আহানের বলা কথা শুনে মুখটা কালো করে ফেলে–
মায়াঃ তুই তো জানিস ই আহান রিয়া তোকে কতটা আপন মনে করে… তুই অসুস্থ শুনে সাথে সাথে রাতের ফ্লাইট এর টিকেট কেটে চলে আসল আমায় নিয়ে.
আহান মায়ার বলা কথা শুনে শুকনো একটা হাসি দিয়ে
আহানঃ জ্বি খালামনি অনেক ভালো করেছেন বাসায় এসে….
হঠাৎ চারু বলে উঠে
চা রেডি…….
এক এক করে সবাইকে চা দেওয়ার পর
চারু রিয়াকে চা দিতে নিলে চারুর হাত থেকে চায়ের কাপটা পরে যায়…..
রিয়াঃ ইউ ব্লাডি হেল।।। কি করলে এইটা আমার উপর চা ফালিয়ে দিলে…
কথাটি বলার সাথে সাথে রিয়া চারুর গালে একটা থাপ্পড় মারতে নিলে—–
.
.
.
চলবে……………..
.
চলবে……………
চলবে………………