অনুরক্তি অন্তরিক্ষ পর্ব -২৪+২৫

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [২৪ পর্ব]
তাসনিম তামান্না

দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি। এই থামে তো আবার শুরু হয়। সেদিন রাতে জারা চিঠি লিখে বৃষ্টি মাথায় বাসা থেকে বেড়িয়ে আসে কারোর সাথে কিছু বলে নি। সাথে করে দরকারী যা আছে সব নিয়ে বেড়িয়ে এসেছে। আর ও বাড়িতে যাবে না ঠিক করে নিয়েছে। ও বাড়ি থেকে আসার পরের দিন-ই ডিভোর্স পেপারটা ও বাড়িতে গিয়েছে।

সেই বাড়িটায় আবারও ফিরে এসেছে যে বাড়িটায় প্রতিটা কোণায় সৃতি জমে আছে। কতশত হাসি মজা, খুনসুটি, অভিমান প্রতিটা কোন জুড়ে। প্রতিটা কোণায় সেই আগের মতো জীবন্ত নেই মা নেই বাবা নেই খিলখিল করে হাসার শব্দ নেই তো জীবন্ত থাকবে কেমন করে। খুব করে জারা তার মা বাবাকে মিস করছে। এই বাড়িতে জারাকে শান্তি বেগম আসতে দিতেন না তেমন আসলেও বেশিক্ষণ থাকতো না। জারা যখন কলেজে একা যাওয়া আসা করতো তখন কলেজ বাদ দিয়ে এখানে আসত প্রায় তারপর অনেক দিন আর আডা হয় না পড়াশোনার চাপে ভুলে নি তবে আসতে মন চাই তো কিন্তু উপায় ছিল না যে। যখনি আসত কেঁদে কেটে নাজেহাল অবস্থা করে ফেলত। এখনো এই আশা পর্যন্ত সব সৃতিচারণ গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। কান্না পাচ্ছে জারার। তাই তো কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে।

প্রতি মাসে এ বাড়িটা পরিষ্কার করে বাড়ির কেয়ারটেকার কিন্তু তাও ময়লা। জারার আগেই সেই ছোট বেলার রুমে গেলো যেখানে তার সব জিনিস গুছিয়ে রাখা পুতুল গুলোর ওপরে ময়লা পড়ে কালো হয়ে গেছে। জারা খুব শখ করে রুমটা পিংক কালার করছিল পিংক কালার তার বড্ড প্রিয় ছিল। জীবনটা কত রঙিন ছিল। আর এখন সাদা কালো ছাড়া কিছু দেখতে পায় না।

জারা ভাংগা গলায় নিজে নিজে বলল

-‘ মৃত্যু কি কাছে না-কি বহু দূরে? এই ক্লান্তি নিয়ে আর পারা যাচ্ছে না সবটা বিষাদে ভরপুর একটুকরো কি সুখ মিলবে না আমার জীবনে? না-কি এভাবেই চলে যাবে বাকিটা জীবন। নতুন কিছু কি ঘটবে না? যে ঘটনায় আমার জীবনটা আবার রঙিন হয়ে উঠবে? কিছু তো ম্যাজিক হোক আমার জীবনে আর কত কষ্ট লিখে রেখেছেন আমার ভাগ্য? ‘

জারার চোখ দিয়ে টুপটাপ করে পানি গড়িয়ে পড়লো।

-‘ নিজের নিজে ছাড়া আর কেউ নেই। আচ্ছা আমি বেঁচে আছি কিসের জন্য কার জন্য? নিজের জন্য? কিন্তু মানুষ বেঁচে থাকার জন্য তো কিছু থাকে কিছু তো একটা থাকে আমার তো তা-ও কিছু নেই ‘

কলিংবেল বেজে উঠলো। জারা চমকালো

-‘ এখন দুপুরে আবার কে এলো? ফুডপ্যাডা থেকে খাবার আসল না-কি? ‘

জারা চশমা খুলে চোখ মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে ভালো করে মুছে নিলো। চোখ দুটো ফুলে লাল হয়ে আছে। শিরি দিয়ে দৌড়ে নেমে দরজা খুলে সেই মেয়েটা আর শানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জারার থমকে গেলো চোখমুখ শক্ত করে রইল আর যায় হোক নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করতে না রাজ জারা।

-‘ আপনারা? কি চায়? ‘

শান উত্তর না দিয়ে জারাকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে চলে গেলো। জারা বাহুতে ব্যথা পেয়ে চোখ মুখ কুচকে গেলো। মেয়েটা এখনো বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। জারা শানের পিছনে পিছনে গিয়ে চেচিয়ে উঠে বলল

-‘ কি সমস্যা কি? আপনাদের এখানে এসেছেন কেনো? ‘

শান থেমে গিয়ে পিছনে ফিরে জারা গলা চে-পে ধরে ওয়ালের সাথে লাগিয়ে বলল

-‘ একদম চেচাবি না গলা টি-পে মে-রে ফেলবো বড্ড বাড় বেড়েছে তোর ‘

জারার চোখ উল্টে যেতেই মেয়েটা এসে শানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে জারাকে আগলে রেগে বলল

-‘ কি করছিস তুই? মেয়েটা ম-রে যাবে তো ‘

জারা কাশতে কাশতে চোখে পানি চলে আসলো। জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো মেয়েটার থেকে সরে বেসিনের গিয়ে মাথায় পানি দিতে লাগলো কয়েকবার গলা টানলো। বমি করলো। মেয়েটা গিয়ে জারা চশমা খুলে মাথায় ভালো করে পানি দিয়ে দিলো। জারা ক্লান্ত হয়ে মেয়েটার গায়ে ঢলে পড়ল। শান জারাকে দেখে চমকালো। দু’দিনে মেয়েটা কেমন শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। চোখ গুলো ফোলা চোখ মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। শানের নিজের প্রতি অপরাধ বোধ কাজ করলো। মেয়েটা কষ্ট করে জারাকে সোফায় এনে বসিয়ে অন্য দিকে গেলো তোয়ালে খুজতে লাগলো। শান জারার পাশে বসে দুহাতে মুখ ধরল। জারা ক্লান্ত চোখ মেলে তাকালো। শানকে দেখে ভয় পেলো। দূরে সরে আসতে চাইল শান দিল না। জড়িয়ে ধরলো জারাকে। জারা কিছু বলতে গিয়ে দেখলো গলা দিয়ে আওয়াজ আসছে না। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ঘাড়ে গরম তরল পদার্থ অনুভব করতেই কেপে উঠল জারা বহু কষ্টে বলল

-‘ দূরে যান আমাকে মেরে ফেলতে আসছেন তাই না আমি সব জানি দূরে যান একদম আমার কাছে আসবেন না ‘

শান আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে বলল

-‘ একদম মেরে ফেলব তোকে একদম আমাকে কষ্ট দিয়ে তোর খুব ভালো লাগে তাই না? দূরে গিয়ে কি সাদ পাশ হ্যাঁ তোকে আমি কখনো দূরে যেতে দিবো না বুকে আগলে রাখবো। ভালোবাসি তবুও বুঝিস না? ‘

জারা চমকালো! থমাকলো! মেয়েটার গলা শুনতে পেলো জারা

-‘ শান ‘

জারা এতোক্ষণ শানকে দু-হাতে আগলে না নিলেও এবার দু-হাতে আগলে নিলো শানকে হারানোর ভয় জমলো বুকে তার সাথে তো কখনো ভালো হয় না। শান জড়িয়ে ধরা অবস্থাতেই মুচকি হাসলো। চোখে জল মুখে হাসি অদ্ভুত লাগছে শানকে। শান যেনো বুকে শান্তি পেলো।

-‘ বাবাহ্! এতো ভালোবাসা তাহলে দূরে আসলে কেনো? আমার জন্য? তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো জারা আমি তোমার ভালোবাসা কেড়ে নিতে আসে নি জারা এতো ভয় পাওয়ার কিছু নাই ‘

জারা চমাকালো। কি বলল মেয়েটা? ও কি ঠিক শুনলো নাকি সব স্বপ্ন? মস্তিষ্ক ফাঁকা হয়ে গেলো।
#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [২৫ পর্ব] {বোনাস}
তাসনিম তামান্না

-‘ বাবাহ্! এতো ভালোবাসা তাহলে দূরে আসলে কেনো? আমার জন্য? তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো জারা আমি তোমার ভালোবাসা কেড়ে নিতে আসে নি জারা এতো ভয় পাওয়ার কিছু নাই ‘

জারা চমাকালো। কি বলল মেয়েটা? ও কি ঠিক শুনলো নাকি সব স্বপ্ন? মস্তিষ্ক ফাঁকা হয়ে গেলো। শানের কাছ থেকে সরে এসে বলল

-‘ মানে কি বলছেন আপনি? ‘

তোয়ালেটা শানের হাতে দিয়ে বলল

-‘ তোর বউয়ের মাথা মুছে দে ‘

শান মাথা দুলিয়ে তোয়ালে হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। জারা তখনো জিজ্ঞেসাসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা হেসে বলল

-‘ আমি মিতু। মানে হলো আমি আর শান ফেন্ড বুঝলে? আর তুমি কি আমাকে উল্টো পাল্টা বুঝে দূরে সরে এলে। তোমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না…. ‘

জারা অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে রইলো। তখনি ছোট একটা মেয়ে ‘ মাম্মা ‘ বলে দৌড়ে এলো। জারার মাথায় সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। মিতু হেসে বলল

-‘ আমার মেয়ে নিতু। আমি ম্যারিড। আমি জানি না তুমি আমাদের কোথায় কিভাবে দেখছ তার জন্য তুমি এই স্টেপটা নিলে আই থিংক তুমি সেদিন বিকালে আমাদের একসাথে দেখছ। আর সেদিন ই তুমি বাসা থেকে চলে আসছ ‘

মিতু পা এগিয়ে জারাকে দেখিয়ে বলল

-‘ এই দেখো আমার পা কেটে গেছিল সেজন্য ও আমার হাতটা জাস্ট ধরছিল আর তুমি যে এতো জেলাস হবে… ‘

জারা দেখলো মিতুর আংগুলে শুভ্র রংয়ের ব্যান্ডেজ করা। জারা এবার ভিষণ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিলো। মিতু হেসে বলল

-‘ থাক লজ্জা পেতে হবে না। মাম্মা মামনিকে হাই বলো ‘

নিতু ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে বলল

-‘ হাই মামনি। তুমি মামার বউ তাই না আমি মামার ফোনে তোমাকে দেখেছি ‘

জারা হেসে নিতুকে কাছে নিয়ে গাল টেনে আদর দিয়ে বলল

-‘ তাই? ‘

-‘ হ্যাঁ তো তুমি অনেক প্রিটি ‘

-‘ তুমি ও অনেক কিউট বাচ্চা। কি খাবে তুমি চকলেট, আইসক্রিম? ‘

-‘ উহুম আমি চকলেট খায় না দাঁতে পোকা লাগবে আর আইসক্রিম খেলে গলা ব্যথা হয় ‘

-‘ ওরে গুড গার্ল তো বল কি খাবে ‘

-‘ আমরা কিছু খাবো না আমার এখনি চলে যাবো নিতুর বাবা বাসায় আসতে পারে আমাদেরকে না পেয়ে টেনশন করবে। ‘

জারা মাথা নিচু করে আমতা আমতা করে বলল

-‘ আই এম সরি আপু একচুয়েলি আমি বুঝতে পারি নাই ‘

-‘ সরি তে তো কাজ হবে না ‘

-‘ তাহলে? ‘

-‘ তোমরা আর ৫/১০ টা হাসবেন্ড ওয়াইফের মতো সংসার করবে নো ঝগড়াঝাটি বুঝলে ‘

জারা চুপ করে রইলো। শান বলল

-‘ আমি খাবার ওয়াডার দিয়েছি তোরা খেয়ে তারপর যাবি আর নিহানকেও বলে দিয়েছি ‘

-‘ শুধু শুধু এসব করতে গেলি কেনো? ‘

-‘ তুই চুপ থাক বেশি বকিস না ‘

জারার অর্ডার করা পিৎজা এসেছে শান গিয়ে নিয়ে আসলো। জারা তখনো চুপ করে বসে রইলো। শান পিৎজা এনে নিতুকে দিলো। জারা মুখেও ধরলো কিন্তু জারা ১ বাইট নিয়ে আর নিলো না। মিতু হাসলো। বলল

-‘ জারা আমি কিন্তু উত্তরটা পেলাম না ‘

শান ভ্রু কুচকে বলল

-‘ কিসের উত্তর? ‘

-‘ এই যে তোরা আর ৫/১০ টা হাসবেন্ড ওয়াইফের মতো সংসার করবি নো ঝগড়াঝাটি বুঝলি ‘

জারা বলল

-‘ না আপু সেটা কখনো হয় না ‘

মিতু শান অবাক হলো জারার কথা শুনে। শান বলল

-‘ মানে? ‘

-‘ মানে বুঝেন না আপনি আমি আপনার সাথে সংসার করবো না আই ওয়ান্ট ডিভোর্স! ‘

শান আর মিতু অবাকের শীর্ষ গেলো মিতু বলল

-‘ তোমার মাথার ঠিক আছে জারা? কি বলছ এগুলা? একটা বিয়ে ছেলেখেলা নয় যে চাইলেই ডিভোর্স দিয়ে দেওয়া যায়। এটা একটা পবিত্র বন্ধ তোমরা তোমাদের সমস্যা গুলো একে অপরকে মিটিয়ে নাও। ডিভোর্স সব সম্পর্কের সমাধান নয় তোমরা ভাবো এখনো তোমরা ঠিক ভাবে সংসার করতে পারো নি। এখনি ই এই সিদ্ধান্ত? এখনো তো বাকি জীবন পড়ে আছে তোমাদের সমস্যা তোমরা মিটাবে তার থ্যার্ড পারসোনকে নামবা না তাহলে সমস্যাটা জটিল হবে ‘

জারা চুপ থেকে বলল

-‘ আচ্ছা আপু আমি সব মানলাম কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো দিন তো ওনি আমাকে পদে পদে অপমান করে, সকলের সামনে আমাকে ছোট করে, আচ্ছা ওনি আমাকে কবে থেকে ভালোবাসতে শুরু করেছে? আমি যে ওনাকে এতো বছর ধরে ভালোবেসে আসছি কই ওনি তো আমার ভালোবাসার মূল্য দেয় নি আর এখন যখন ওনি ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসলো ওনার বেলায় সাত খু-ন মাফ। ওনার বিষবাক্য গুলো আমার মনটাকে বারে বারে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় ওনার প্রতি একআকাশ সমান ঘৃণ্য জন্মায় তবুও মনের কোণে ভালোবাসা থেকেই যায়। আর জানেন এমনকি ওনি আমাকে ম-রে যেতে পর্যন্ত বলছে। তবুও আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম ওনি আমাকে ভালোবাসবে কিন্তু না ওনি বাসায় ফিরেও আমাকে সবটা সময় অপমান করে গেছে। আবার এখন এসেছে ভালোবাসার দাবি নিয়ে আচ্ছা এই ভালোবাসার রং যে বদলাবে না তার কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন আপু? ‘

কথা বলতে বলতে জারার গলা ধরে এলো। শান চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে। পরিবেশটায় থমথমে গুমট ভাব চলে এলো।নমিতু কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলল

-‘ হুম। জারা ডিভোর্স ছাড়া তুমি শানকে শাস্তি দিবে আর আমি জানি শান জীবন দিয়ে হোক সেটা রক্ষা করবে তো বলো তুমি ওকে কি শাস্তি দিতে চাও? ‘

জারা চোখ মুছে নিলো শরীরটা আর পারছে না সব শক্তি ফুরিয়ে ফেলছে। খাবার আসলো মিতু গিয়ে রিসিভ করলো। শান চুপচাপ বসে আছে। কোনো কথা বলছে না। জারা খাবার নিয়ে টেবিলে সার্ভ করতে লাগল। মিতু শানের কাঁধে হাত রেখে বলল

-‘ মেয়েটা বড্ড কষ্ট পেয়েছে তোর এমনটা করা উচিত হয় নি ভালোবাসা দিয়ে সবটা জয় করা যায় তুই যদি ওকে ভালোবেসে সবটা বোঝাতি তাহলে ও নিশ্চয়ই বুঝতো ‘

শান চুপ করে রইলো মিতু একটু থেমে বলল

-‘ আয় খেতে বস দুদিন তোরা কেউ ঠিক তো খাস নি এমন করে চললে তোরা অসুস্থ হয়ে পড়বি। ‘

-‘ এতোকিছুর পরেও তোর মনে হয় আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে? ‘

-‘ সবটা দোষ তোর। ঠিক হয়ে যাবে চাপ নিস না। এতো দিনের অভিমান কষ্ট পড়তে তো সময় লাগবেই ‘

শান দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ডাইনিং টেবিলের বসলো। জারা নিতুকে খাইয়ে দিচ্ছিলো। মিতু বলল

-‘ জারা তুমি খেতে বসো আমি ওকে খাইয়ে দিচ্ছি ঠিক মতো ২ দিন খাওনি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ‘

জারা কিছু না বলে খেতে বসলো। এটা সত্যি তার শরীর আর চলছে না। বিরিয়ানি তার প্রিয় হবার সত্ত্বেও কেনো জানি খাওয়ায় রুচি খুঁজে পাচ্ছে না সব কেমন এলোমেলো লাগছে। মিতু বলল

-‘ জারা বল তুমি কি চাও ‘

-‘ আমি চায় ওনি স্বাভাবিক হোক একটা মানুষের এতো রাগ কিভাবে হয়? ওনার বিহেভিয়ার সা/ই/কো দের মতো। আই থিংক ওনার ডক্টর দেখানো উচিত। ‘

শান এবার চুপ না থেকে বলল

-‘ হোয়াট? আমাকে তোমার মানষিক রোগী মনে হয়? ‘

মিতু শানকে চোখ রাঙিয়ে জারার কথায় সহ মত পোষন করে বলল

-‘ জারা ঠিক বলছে শান আমার ও মনে হয় এটাতে এতো রিয়াক্ট করার কি আছে? আর জারা তোমার কিন্তু ওর কথাগুলো শোনা উচিত ও কেনো এগুলো করলো সেটা ‘

-‘ হ্যাঁ আমি শুনবো যে দিন ওনাকে আমার কাছে সুস্থ স্বাভাবিক মনে হবে সেদিন আমি নিজে ওনার কাছে যাবো ওনার সবটা কথা শুনবো ‘

-‘ সেটায় হবে ‘

শান থমথমে গলায় বলল

-‘ সবটা মেনে নিলাম। কিন্তু যা হবে সব ও বাড়িতে আমি তোকে এবাড়িতে একা রেখে যেতে পারবো না। ‘

জারা প্রথমে যাবে না বললেও মিতুর জোরাজোরিতে রাজি হয়ে যায়।

চলবে ইনশাআল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here