#Love_With_Dragon
#Episode_09
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
রিদিয়া চুপচাপ শুয়ে আছে।নীল আর অনিমার ওপর রেগে আছে। আসলে রিদিয়ার কিছুই হয়নি।নীল আর অনিমা যে নেকড়ে রিদিয়া ব্যাপারটা জানতে পেরে ওদের ওপর রেগে আছে।
— ওরা তো আমায় বলতে পারতো ওরা নেকড়ে। আমার জানা মতে নেকড়েরা খারাপ হয় কিন্তু তারা সম্পূর্ণ আলাদা।ভাম্পায়ারেরে থেকে আমায় বাঁচালো।(রিদিয়া)
________________________
স্পর্শিয়া – আকাশ সকালে খবর পেয়েই চলে এসেছে হসপিটালে।
আকাশ-মেঘলা,অনিমা, স্পর্শিয়া – আদর সবাই একসাথে কেবিনের বাহিরের বেঞ্চে বসে আছে। সবাই মন খারাপ করে বসে আছে।সবার ধারনা রিদিয়া সব কিছু ভুলে গেছে।
— এইখানে রোগীর বাড়ির লোক কারা…(নার্স)
নার্সের কথা শুনে সবাই একসাথে বললো আমরা।
— রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন। রোগী এখন সুস্থ।বেশি কথা বলবেন না রোগীর সাথে। ধীরে ধীরে সবকিছু মনে পরে যাবে কোনো চিন্তার প্রয়োজন নেই। (নার্স)
সবার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে নার্সের কথা শুনে।
রিদিয়াকে হসপিটাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। মিসেস মেহের আর মিহির কথা এখনো তাকে জানানো হয়নি।
_________________________
সবাই রিদিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু রিদিয়া সবার ওপর অভিমান করে আছে।
হঠাৎ সবার কথার মাঝে রিদিয়া বলে উঠে,,,,
— আম্মু আর মিহি আপু কোথায়…. (রিদিয়া)
রিদিয়ার কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
— কিছু জিজ্ঞাস করেছি আমি। আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে বলিনি….(রিদিয়া)
— রিদিয়া তার মানে তোর সব মনে আছে দোস্ত। জানিস কত টেনশনে ছিলাম।যাক বাবা মনটা ভালো হয়ে গেল… (অনিমা)
— আমার মা-বোন ছাড়া আর কারোর কথা মনে নেই। (রিদিয়া)
রিদিয়ার কথায় অনেক অভিমান জড়িয়ে আছে সবাই ভালোই বুঝতে পেরেছে।
অনিমা বসা থেকে ওঠে এসে রিদিয়াকে জড়িয়ে ধরে। রিদিয়া অনিমাকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দেয়।
— কি হয়েছে তোর রিদু আমাদের সাথে এমন বিহেভ করছিস কেন। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্লিজ দোস্ত কি হয়েছে আমাদের বল। যদি কোনো ভুল করে…. (অনিমা)
অনিমার কথার মাঝে রিদিয়া বলে……
— শুধু কি ভুল করেছিস অনেক বড় সত্যি আমার কাছ থেকে লুকিয়েছিস। আমি তো তোদের বন্ধুর মাঝে পরিনা তাই এমন করেছিস অনিমা।তোরা যে কোনো সাধারণ মানুষ না সেটা আমি জেনে গেছি।(রিদিয়া)
রিদিয়ার কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল সাথে ভয় পেল।
— এখন চুপ আছিস কেন অনিমা। তুই আর নীল নেকড়ে এই কথাটা আমার থেকে লুকালি। আর কার কি সত্যি আছে বলে দে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোরা যদি আমায় বন্ধু মনে করতি তোদের তাহলে প্রথমেই সব বলে দিতি। (রিদিয়া)
— তুই আমাদের ভুল বুঝছিস রিদিয়া। তুই যদি ভয় পাস তাই আমরা লুকিয়ে গেছি। প্লিজ রিদিয়া তোর থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে দিস না আমরা সহ্য করতে পারবো না। তুই আমাদের হৃৎপিন্ডের সাথে জড়িয়ে গেছিস।( অনিমা)
সবার চোখে পানি… সবাই ভয় পাচ্ছে রিদিয়া যদি তাদের ছেড়ে চলে যায়।
সবাই এসে রিদিয়াকে জড়িয়ে ধরলো। রিদিয়া আর অভিমান করে থাকতে পারলো না। রিদিয়া ওদের জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো ।
রিদিয়া সবাইকে ছেড়ে দিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে…..
— এবার কে কি লুকিয়েছিলি আমার থেকে সব বল আর তোদের আসল রূপ দেখা।আমি তোদের ব্যাপারে সবকিছু জানতে চাই।(রিদিয়া)
প্রথমে মেঘলা-আকাশ ভাম্পায়ার রূপে আসল।
মেঘলা-আকাশের ভাম্পায়ার রূপ দেখে রিদিয়ার মুখ হা হয়ে গেল।
— তোরা দু-জনে ভাম্পায়ার । তাহলে নিশ্চয়ই রবিন ভাম্পায়ারকে চিনিস। আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। (রিদিয়া)
— ভালো করে চিনি রিদু।ভাম্পায়ার রাজার ছেলে রবিন।রবিন এক নাম্বারের অসভ্য ভাম্পায়ার রাজ্যের কোনো মেয়েকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। আর একা কোনো মানুষ ফেলে তাকে মেরে ফেলে। মানুষের রক্ত তার প্রিয়।একা ফেলেই জীবন গেল……(মেঘলা)
তারপর অনিমা- নীল নেকড়ের রূপ ধারণ করলো।
রিদিয়া কিছুটা ভয় পেয়ে পিছনে চলে গেল।
— ভয় পাইছ না রিদু। আমরা খারাপ নেকড়েদের মতো মানুষদের মারি না।যারা অন্যায় করে তাদের মারি। তুই তো আমাদের কলিজা দোস্ত। (অনিমা)
স্পর্শিয়া আর রিদিয়া ছাড়া সবাই মনস্টার।
— এবার বল আমার মা – বোন কোথায়……(রিদিয়া)
গেস্ট রুমে রিদিয়াকে নিয়ে গেল।
রিদিয়া মা – বোনের অবস্থা দেখে কান্না করা শুরু করে দিলো।
— কোনো উপায় নেই আমার মা – বোনের জ্ঞান ফিরানোর।(রিদিয়া)
— আছে রিদিয়া কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন। (নীল)
— যতো কঠিন কাজ হোক আমি করবো । প্লিজ বল নীল…. (রিদিয়া)
— ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ লাগবে..(নীল)
— ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ কোথায় পাবো..(রিদিয়া)
— ড্রাগন রাজ্যে….(নীল)
— সেখানে কিভাবে পৌঁছাতে পারবো আমি…(রিদিয়া)
— আমি ড্রাগন রাজ্যের গেইট পর্যন্ত তোকে দিয়ে আসতে পারবো তারপর যা করার তোকে একাই করতে হবে।(নীল)
রিদিয়া চোখের পানি মুছে,,,
— পারবো আমি।আমার মা – বোনের জন্য আমি সব পারবো।(রিদিয়া)
— আমরা সবাই তোর পাশে আছি… (অনিমা)
— এইজন্যই আমার ভয় লাগে না কোনোকিছুতে।(রিদিয়া)
_________________________
ড্রাগন রাজ্যে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেল রিদিয়া। দরকারি সব জিনিসপত্র সাথে করে নিয়ে নিল।রোহিতের ব্যাপারটা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে গেল রিদিয়া। অনেক চিন্তায় আছে রোহিতকে নিয়ে না জানি তার কিউট ড্রাগন কেমন আছে। আংটিটাও পড়ে নিল যদি কোনো কাজে এসে যায়।
— আমি তৈরি নীল। আর দেরি করতে চাইছি না আমি। তাড়াতাড়ি আমায় সেখানে নিয়ে চল। (রিদিয়া)
নীল বাহিরে গিয়ে বড় একটা নেকড়ে রূপ ধারণ করলো। তারপর রিদিয়াকে তার পিঠে বসতে বললো। নীলের কথামতো রিদিয়া নীলের পিঠে বসল। নীল রিদিয়াকে নিয়ে ড্রাগন রাজ্যের উদ্দেশ্যে চললো।
চলবে………
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
______________________
[বানানে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]