#Love_With_Dragon
#Episode_14
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
রিদিয়া ভাম্পায়ার রাজ্যে বন্দী আছে।ম্যাজিকেল শিকলে বাঁধা অবস্থায় বসে আছে অন্ধকার কক্ষে।কক্ষটি অনেক অন্ধকার একটা জানালও নেই।রিদিয়ার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
— কেউ আছেন।প্লিজ আমাকে এখান থেকে বের করুন।আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমায় কেউ সাহায্য করুন আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।( রিদিয়া)
রিদিয়া জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।তখনই কেউ কক্ষের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো। দরজা খুলার পর ভিতরে হালকা আলো আসল।হালকা আলোর দেখা পেয়ে রিদিয়া যেন প্রান ফিরে পেল।
— তোমার কাছে তিনটি অপশন আছে জানপাখি।যদি তুৃমি রাজি হও তোমারই ভালো। (রবিন)
— বেয়াদব রবিন তুই। তুই যত কিছুই বলিস না কেন আমি তোর কোনো কথা শুনব না।(রিদিয়া)
— বাহ্ জানপাখি দেখি অনেক রেগে আছে। আহারে খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না।আমার কথা শুনলে তোমায় আর কষ্ট পেতে হবে না।আমি তিনটি অপশন বলে দিচ্ছি রাজি হবে কিনা সেটা তোমার ব্যাপার।(রবিন)
১. আমায় বিয়ে করা….
২. ড্রাগন কিং কে শেষ করা….
৩.ড্রাগন কিংকে না মারতে চাইলে তুমি নিজেকে নিজের হাতে শেষ করতে হবে….
অপশন তিনটি তুমি কোনটা করবে ভেবে দেখ আমি চললাম। এক ঘন্টা সময় দিলাম এর মাঝে ভেবে দেখ তুমি কি করবে।(রবিন)
বলেই রবিন কক্ষ থেকে চলে গেল।
রিদিয়া কি করবে বুঝতে পারছে না।তিনটি অপশনই তার জন্য কষ্টদায়ক। ড্রাগন কিংকে মারা তার পক্ষে অসম্ভব। রবিনকে তো সে মরে গেলেও বিয়ে করবে না।আর নিজের মৃত্যু কিভাবে….. খুব ভয় লাগছে।
এক ঘন্টা পর রবিন আসলো রিদিয়ার কাছে।
— তো জানপাখি তোমার উওর জানাও……(রবিন)
— দ্বিতীয় অপশান…..(রিদিয়া)
— তুমি তো দেখছি অনেক বুদ্ধিমতী। কিন্তু তোমাকে এই কক্ষ থেকে বের করা হবে না।দ্বিতীয় অপশনটি পালন করার পর আমার আর তোমার বিয়ে।(রবিন)
🐉__________________________🐉
— রাহুল রিদিয়াকে রবিন বন্দী করে রেখেছে।(রোহিত)
— কি বলছিস এইসব তুই ভাইয়া।(রাহুল)
— হ্যাঁ কিছুক্ষণ আগেই জানতে পারলাম।ফুপিমণি আর মিহি রাজ্যে এসেছে। ওরা সবকিছু বলেছে।কিন্তু রিদিয়ার ব্যাপারটা সবটা তারা জানে না।রিদিয়াকে পাওয়া যাচ্ছে না এইটুকু জানে।ও যে ভাম্পায়ার রাজ্যে বন্দী সেটা আমি কিছুক্ষণ আগে বুঝতে পেরেছি। ভাই ওকে বাঁচাতে হবে।না জানি ওর কত কষ্ট পাচ্ছে অন্ধকারে।(রোহিত)
— ভাই আগামীকাল যুদ্ধ আর তুই এত তাড়াতাড়ি রিদিয়াকে কিভাবে খুঁজে পাবি।বললেই তো পাওয়া যাবে না।অনেক কষ্ট করতে হবে।আর আমাদের রাজ্যের কি হবে।তুই ভুলে গেছিস ভাইয়া বাবা তোর হাতে সব দায়িত্ব দিয়ে গেছে।(রাহুল)
— কিন্তু আমি আমার শ্যামবতীকে বিপদে রেখে যুদ্ধে মন দিতে পারবো না।তুই এইদিকটা সামলা আমি…..(রোহিত)
— না ভাই তুই এমনিতে অসুস্থ তোকে আমি ভাম্পায়ার রাজ্যে পাঠাতে পারবো না ওরা তোর ক্ষতি
করতে এইসব প্লানিং করছে।আমি রিদিয়াকে নিয়ে আসব তুই এইদিকটা সামলা।(রাহুল)
— কিন্তু রাহুল…..(রোহিত)
— প্লিজ ভাই আমার ওপর ছেড়ে দে আমি সামলে নিব।আমি এক্ষুণি বের হচ্ছি তুই আগামীকাল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নে।(রাহুল)
রাহুল চলে গেল রিদিয়ার খুঁজে।
____________________
— রোহিত আমার রিদিয়ার কোনো খুঁজ পেয়েছিস।(মিসেস মেহের)
— হ্যাঁ ফুপিমণি পেয়েছি। ফুপিমণি তুমি মিহিকে নিয়ে চলে যাও এখান থেকে রিদিয়াকে পেলেই তোমাদের কাছে দিয়ে আসব চিন্তা মুক্ত থাকো।(রোহিত)
— আচ্ছা আমরা যাচ্ছি তুই আর রোহিত সাবধানে থাকিস।(মিসেস মেহের)
_____________________
———————————–
যুদ্ধের ময়দানে সবাই উপস্থিত। নেকড়ে – ভাম্পায়ার রাজ্যের সাথে ড্রাগন রাজ্যের যুদ্ধ।
— মাস্টার রাহুল তো এখন ও আসছে না ও ঠিক আছে তোহ্।(রোহিত)
— রাহুল না আসলেও আমাদের যুদ্ধ করতে হবে কিং।(মাস্টার)
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তুমুল যুদ্ধ চলছে। নেকড়ে – ভাম্পায়ার রাজ্যের অনেক সৈনিক নিহত হয়েছে।
ড্রাগন রাজ্যের সৈনিকদের তেমন ক্ষতি হয়নি।কিছু সৈনিক আহত হয়েছে।
— পিটাস মেয়েটাকে নিয়ে আয়।এভাবে চলতে থাকলে আমরা হেরে যাব।(হিউগো)
— নিয়ে আসতে বলেছি।এক্ষুণি চলে আসবে সৈনিক পাঠিয়েছি।(পিটাস)
— হাত ছাড়ুন আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। (রিদিয়া)
— কিং পিটাস আমাদের বলেছে আপনাকে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যেতে।(সৈনিক)
দুজন সৈনিক রিদিয়াকে কিং পিটাস ও কিং হিউগোর কাছে নিয়ে গেল।
— ওইতো চলে এসেছে ড্রাগন কিং এর প্রাণভোমরা। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের জয় নিশ্চিত। (পিটাস)
পিটাস রিদিয়াকে টেনে হিঁচড়ে রোহিতের সামনে নিয়ে গেল।
— পিটাস রিদিয়াকে ছেড়ে দে।ঝামেলা তোর সাথে আমার তুই রিদিয়াকে এর মধ্যে নিয়ে এসেছিস কেন। (রোহিত)
— তুই হার স্বীকার কর ড্রাগন কিং। নইলে মেরে ফেলবো তোর প্রাণভোমরাকে।তলোয়ার নিচে রাখ।(পিটাস)
— রিদিয়ার কিছু করিস না আমি তলোয়ার নিচে রাখছি।(রোহিত)
রোহিত তলোয়ার নিচে রাখতেই পিটাস রিদিয়াকে চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করলো রোহিতকে মারার জন্য।
রিদিয়া চাকু বের করল।রোহিত অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদিয়ার দিকে।
— রিদিয়া তুমি আমায়……. (রোহিত)
আরো কিছু বলার আগেই রিদিয়া পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিলো।
উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল।রাহুলের পুরো শরীর যেন পাথরে পরিনত হয়েছে।
রাহুল ধীরে ধীরে রিদিয়ার কাছে গেল। হাত দিয়ে রিদিয়ার মুখ স্পর্শ করলো।
(যে ম্যাজিকেল চাকুটি রবিন রিদিয়াকে দিয়েছিল রোহিতকে মারার জন্য। রিদিয়া সেই চাকু দিয়ে রোহিতকে না মেরে নিজের পেটে ঢুকিয়ে দিলো।)
রোহিত স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদিয়ার দিকে। রোহিতের দেহে প্রান থাকতেও তাকে এখন মৃত মনে হচ্ছে। রোহিতের চোখ দুটো দিয়ে যেন আগুন ঝরছে।রোহিত রিদিয়াকে বুকে চেপে ধরে অনেক জোরে চিৎকার করে। রোহিতের চিৎকারে পুরো যুদ্ধের ময়দান কেঁপে উঠল।
রোহিত রিদিয়াকে রেখে পিটাসের গলা তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেললো। রোহিত পাগলের মতো নেকড়ে – ভাম্পায়ার রাজ্যের সব সৈনিকদের মারতে শুরু করে।রোহিতকে এখন সবাই ভয় পাচ্ছে।
— কি থেকে কি হয়ে গেল কিং হিউগো পালান এখান থেকে। (রবিন)
— চলো রবিন পালিয়ে যাই। (হিউগো)
হিউগো আর রবিন পালাতে যাবে তার আগেই রোহিত তাদের ধরে ফেলে । রোহিত রবিনকে ধরে দু’তিনটা আছাড় মেরে তলোয়ার দিয়ে খন্ড খন্ড করে ফেলে পুরো শরীর। এই সুযোগে কিং হিউগো পালিয়ে যায়।
— তুই কোথায় পালিয়ে থাকবি হিউগো আমি ঠিক তোকে বাহির করে তোর উপযুক্ত সাজা দিব।তোর মৃত্যু আমার হাতেই হবে।তোদের জন্য আমার শ্যামবতী আমায় ছেড়ে চলে গেছে। সব ধ্বংস করে দিব আমি। সব ধ্বংস করে দিব।(রোহিত)
আকাশ থেকে বৃষ্টি নামতে শুরু করে।রোহিত রিদিয়াকে বুকে নিয়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। মাস্টার সহ সবার চোখে পানি।
— কিং…….. (মাস্টার)
— আমায় একা থাকতে দিন আমি আমার শ্যামবতীর সাথে একা কিছুসময় কাটাতে চাই।(রোহিত)
চলবে………..
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
_____________________
[