#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_10
কপি নিষিদ্ধ ❌
হাটতে হাটতে কিছুটা সামনে এসে দেখলো,একটা গাড়ির দরজা খোলা।
তিশা ভাবল এভাবে গাড়ির দরজা খোলা কেন তাই দ্রুত গাড়ির কাছে গিয়ে দেখল,ওয়াহিদ বুকে হাত দিয়ে বসে আছে, ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।
তিশা : আংকেল কি হয়েছে আপনার?
ওয়াহিদ : মা আমার বুকে অনেক ব্যাথা করছে।
তিশা : আপনার ড্রাইভার কোথায়?
ওয়াহিদ : আমার গাড়ি টা মাঝ রাস্তায় নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, ও আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঠিক করতে গিয়েছে, এখানো অব্দি আসেনি হয়তো রাস্তায় কোনো গাড়ি পাচ্ছে না।
তিশা : আপনি আরেকটু কষ্ট সহ্য করুন, আমি দেখছি কোনো গাড়ি পাই কিনা।
তিশা রাস্তায় একটাও খালি সিএনজি, রিক্সা পাচ্ছেনা, সব গুলোতেই যাত্রী।
অবশেষে একটা সিএনজি পেল।
তিশা ওয়াহিদের কাছে আসে,তিশা ও সিএনজির ড্রাইভার মিলে ওয়াহিদ কে সিএনজিতে উঠায়।
তিশাও ওয়াহিদের পাশে বসে।
সিএনজি চলে শুরু করে।
তিশা : আংকেল আরেকটু কষ্ট সহ্য করেন, আমরা খুব দ্রুত হসপিটালে পৌঁছে যাব।
তিশা ওসমানকে কল দিল।
ওসমান : হ্যালো।
তিশা : হ্যালো, কোথায় আপনি?
ওসমান : আমিতো হসপিটালে, তোমার গলা এমন শুনাচ্ছে কেন, কি হয়েছে?
তিশা : আপনার বাবা বুকে ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন,আমি ওনাকে হসপিটালে নিয়ে আসছি।
ওসমান : কি বলছো,তোমরা এখন কোথায়?
তিশা : হসপিটালের কাছাকাছি আছি, রাখছি।
তিশা কল কেটে দিল।
তিশা ওয়াহিদকে নিয়ে হসপিটালে পৌঁছাল, ওয়াহিদকে স্টের্চারে করে নিয়ে যাওয়া হল। ওয়াহিদের ট্রিটমেন্ট করা হল, ওয়াহিদ এখন কিছুটা সুস্থ।
তিশা ওয়াহিদের কাছে গেল,
তিশা : আংকেল এখন কেমন লাগছে?
ওয়াহিদ : একটু ভালো লাগছে। থ্যাঙ্ক ইউ মা,আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসার জন্য।
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ দিয়ে আমাকে ছোট করবেন না, আপনি এখন সুস্থ আছেন আমার কাছে এটাই অনেক।
তখনই ওসমান কেবিনে প্রবেশ করে।
ওসমান : বাবা এখন কেমন আছো?
ওয়াহিদ : ভালো আছি বাবা।
ওসমান : থ্যাঙ্ক ইউ তিশা,তুমি বাবাকে সময় মতো না নিয়ে আসলে যে কি হতো।
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ দিতে হবে না, বাবা জীবনে ঠিক কতোটা ইমপোর্টেন্ট তা আমি বুঝি, আচ্ছা আংকেল আজ আসি নিজের যত্ন নিবেন।
ওয়াহিদ : আচ্ছা মা,সাবধানে যেও।
তিশা বের হতে নিবে হঠাৎ করেই ওর মাথা চক্কর দিল পরে যেতে নিলেই ওসমান ওকে ধরে ফেলে।
তিশাকে চেয়ারে বসালো,
ওসমান : আর ইউ ওকে?
তিশা দু দিকে মাথা নারালো, যার অর্থ সে ঠিক নেই।
ওসমান : তোমার শরীর টা কি ভালো নেই,না ধরলেই তো পরে যেতে।
তিশা : কালকে রাত থেকে মাথা ব্যাথা করছে,কয়েক বার মাথা চক্কর দিয়েছে, বুঝতে পারছি না কেন এমন হচ্ছে।
ওসমান : ঔষধ ঠিক মতো খাচ্ছো তো।
তিশা : হুম।
ওয়াহিদ : বাবা মামনিকে কাল নিয়ে কিছু টেস্ট করিয়ে আনিও।
ওসমান : হ্যাঁ বাবা আমিও এটাই ভাবছি টেস্ট করালে বুঝতে পারবো কোনো প্রোবলেম হয়েছে কিনা।
ওয়াহিদ : হুম। মামনিকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসো।
ওসমান : হুম, আসি আমরা।
ওসমান তিশাকে গাড়িতে বসাল,গাড়ি স্টার্ট দিল,তিশা চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
ওসমান : খুব বেশি খারাপ লাগছে?
তিশা : হুম,অনেক মাথা ব্যাথা করছে।
ওসমান : আজকে তো সম্ভব না, নাহলে আজকেই টেস্ট করাতে নিয়ে যেতাম।
তিশা : হুম।
________________________________________________
তিশার বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করে তিশাকে নিয়ে লিফটে ওঠলে, ওসমান তিশাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছে,তিশার শরীর খুবই দুর্বল হয়ে গেছে, ওকে ছেরে দিলে পরে যাবে তাই ওসমান ধরে রেখেছে।
ওসমান : [মনে মনে]: বুঝলাম না হঠাৎ এমন অসুস্থ হল কিভাবে, এই মেয়ে তো বিন্দু মাত্র নিজের যত্ন নেয় না।
ওরা ফ্ল্যাটে প্রবেশ করলো,ওসমান তিশাকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে আয়েশাকে কল করলো।
আয়েশা : আসসালামু ওয়ালাইকুম ভাইয়া।
ওসমান : ওয়ালাইকুম আসসালাম, তুমি কি এখন বাসায় আসতে পারবে,তিশা অসুস্থ।
আয়েশা : কি হয়েছে তিশার, আমি এখুনি আসছি।
ওসমান : আচ্ছা আসো।
ওসমান কল কেটে দিল।
তিশা চোখ বন্ধ করে আছে।
কিছুক্ষণ পর দরজায় কেউ নক করে, ওসমান দরজা খুলে দেখে আয়েশা দাঁড়িয়ে আছে।
আয়েশা ভেতরে যেয়ে বলল,
তিশার কি হয়েছে ভাইয়া।
ওসমান আয়েশাকে তখনকার সব কথা বললো।
ওসমান : তুমি চিন্তা করো না, কাল টেস্ট করাতে নিয়ে যাবো, টেস্টে কিছু ধরা পরলে দ্রুত ট্রিটমেন্ট করবো।
আয়েশা : জ্বি।
ওসমান ও আয়েশা তিশার কাছে গেল।
ওসমান : ওকে একটু দেখে রেখো,আমি আজ আসি।
ওসমান চলে যেতে নিলেই তিশা আলতোভাবে ওসমানের হাত ধরলো।হাতে টান পরায় ওসমান দাঁড়িয়ে গেল।
তিশা চোখ বন্ধ রাখা অবস্থা আস্তে করে বললো,
চলে যাচ্ছেন কেন আমার পাশে একটু বসুন না।
তিশা কথা কি আর ওসমান উপেক্ষা করতে পারে।
তাই ও তিশার পাশে বসলো।
আয়েশা : আমি ফ্রেস হয়ে আসি।
আয়েশা ওর রুমে চলে গেল।
ওসমান তিশার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
তিশাও আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পরে।
একটু পর আয়েশা ওসমানের জন্য চা নাস্তা নিয়ে আসলো,
আয়েশা : ভাইয়া বেশি কিছু করতে পারলাম না।
ওসমান : এসবের কি দরকার ছিল।
আয়েশা : ভাইয়া এই প্রথম আমাদের বাসায় আসলেন খালি মুখে তো আর যেতে দিতে পারি না।
আয়েশা : ওকি ঘুমিয়ে গেছে?
ওসমান : হুম একটু আগে ঘুমাল।
ওসমান কিছুক্ষণ থেকে আবারও হসপিটালে চলে যায়।
________________________________________________
পরদিন সকালে,
তিশা মাএ ঘুম থেকে উঠে দেখে ওর ফোন বাজাচ্ছে,
তিশা : আসসালামু ওয়ালাইকুম ডক্টর সাহেব।
ওসমান : ওয়ালাইকুম আসসালাম, মাএ ঘুম থেকে উঠলে?
তিশা : হুম মাএই।
ওসমান : আচ্ছা রেডি হও আমি আসছি।
তিশা : আচ্ছা।
তিশা কল কেটে রেডি হয়ে নিল, কিছুক্ষণ পর ওসমান আসলো তিশাও ওসমানের গাড়িতে উঠে বসলো।ওসমান গাড়ি স্টার্ট দিল।
ওসমান : এখনো মাথা ব্যাথা করছে?
তিশা : না, নিজে বেশ ফুরফুরে লাগছে।
ওসমান : আচ্ছা, দেখি টেস্ট করে।
তিশা : আপনি শুধু শুধু টেনশন করছেন।
ওরা হসপিটালে পৌঁছাল,তিশার কিছু টেস্ট করালো,৩ ঘন্টার পর রিপোর্ট দিল।
ওরা এখন ওসমানের কেবিনে বসে আছে,
ওসমান : তোমার কিসের এতো টেনশন বলতো আমাকে, কেন মাথায় এতে প্রেশার দিচ্ছো।
তিশা : [মনে মনে]: সব টেনশনের মূলেই তো আপনি,আপনার কর্মকান্ড গুলোই আমাকে টেনশনে ফেলে দেয়,আমি তো বুঝতেই পারছি না আপনি কি আমাকে শুধুই ফ্রেন্ড ভাবেন না কি..
ওসমান : তুমি আবারও ভাবতে বসে গেলে।
তিশা : না না কিছু ভাবছি না।
ওসমান : বোঝার চেষ্টা করো তুমি টেনশন করলে তো তোমার মাথায় বাজে প্রভাব পরবে।
তিশা : আচ্ছা ডক্টর সাহেব, আর টেনশন করবো না, হ্যাপি তো।
ওসমান : আর হ্যাপি,এই মেডিসিন গুলো ঠিক মতো খাবে, ওকে।
তিশা : ওকে।
________________________________________________
এভাবে আরো ২ দিন কেটে গেল,
তিশা : হয়েছে তোর, এখানে এতো লেট করলে শপিংমল থেকে বাসায় আসতে লেট হয়ে যাবে।
আয়েশা : হুম রেডি, চল।
ওরা শপিংমলে গেল,অনেকক্ষণ শপিং করলো।
ওরা ফুচকার দোকানে দাঁড়িয়ে আছে।
আয়েশা : তুই যে এত পরিমাণে ফুচকা খাস তোর কি পেট ব্যাথা করেনা।
তিশা : না করে না, এই নে আর চুপচাপ খা তো।
ওরা ফুচকা খাচ্ছিল,তখন ওমর আয়েশাকে কল করে।
আয়েশা : হ্যালো, ওমর বলো।
ওমর : কোথায় আছো?
আয়েশা : ফুচকার দোকানে।
ওমর : আপু সাথে? আর তোমার হাতে কি ফুচকা?
আয়েশা : হুম। কেন?
ওমর : ফুচকা টা আপু হাতে দাও।
আয়েশা দিল।
ওমর পেছন থেকে ভাউ বলায় আয়েশা ভয়ে চিৎকার দেয়,আর ওদের কাহিনি দেখে তিশা ফিক করে হেসে ফেলে।
আয়েশা : বদমাশ লোক,জানো কত ভয় পেয়েছি।
ওমর : ভীতুরডিম।
ওমর হাসতে হাসতে শেষ।
আয়েশা গাল ফুলিয়ে বসে আছে।
ওমর : সরি আর রাগ করতে হবে না।
আয়েশা : তুমি আমার উপর হাসলে।[ কাঁদো কাঁদো ভাবে]
এক কান ধরে,
ওমর : সরি।
তিশা : নে ফুচকা খেয়ে মাথা ঠান্ডা কর।
আয়েশা : ফুচকা খেয়ে মাথা ঠান্ডা হয়!
ওমর : হুম হয়তো।
ওরা ফুচকা খেতে খেতে গল্প করলো।
ফুচকা খাওয়া শেষ ওরা বাসায় চলে গেল, ওমরও হসপিটালে চলে গেল।
________________________________________________
রাতে,
তিশা কান্না করছিল। তখন তিশার ফোন বেজে উঠল, স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো “ডক্টর সাহেব” লেখা,
কান্নারত অবস্থায়
তিশা : হ্যালো।
ওসমান : কি হলো তুমি কাঁদছ কেন?
তিশা কথা বলছেনা, শুধু কান্নাই করছে।
ওসমান : এভাবে কাঁদছো কেন,বলোনা,না বললে বুঝবো কিভাবে।
কান্না কিছুটা কমার পর তিশা বলল
“Sanam teri Kasam “মুভি টা দেখছিলাম তাই ইমোশনাল হয়েগেছি।
ওসমান : তুমি মুভি দেখে এতক্ষণ কান্না করছিলে!
তিশা : হুম,নায়িকা যখন মারা যায় তখন নায়ক অনেক কান্না করছিল,ওনার কান্না দেখেই তো আমার কান্না চলে আসলো, আমার সামনে কেউ কাদঁলে আমিও নিজের কান্না আটকে রাখতে পারি না।
বলতে বলতে আবারও কেঁদে দিল।
ওসমান : আচ্ছা ঠিক আছে আর কান্না করতে হবে না,এতো কাঁদলে তো মাথা ব্যাথা করবে।আর এবার যদি মাথা ব্যাথায় ছটফট করেছো, তাহলে আমি তোমার মাথায় বা*রি দিব।
তিশা : [মনে মনে]: এইরে জনাব তো খেপে গেলেন।
তিশা : মাথা ব্যাথা করছে না তো, আর আপনি এখন কল করলেন,কোনো দরকার ছিল?
ওসমান : না কোনো দরকারে কল করিনি,এমনই গল্প করতে কল করেছি।
তিশা : ওহ।
ওরা অনেকক্ষণ গল্প করলো,কথা বলতে বলতে তিশা ঘুমিয়ে পরে,ওসমান কিছুক্ষণ ওর নিশ্বাসের শব্দ শুনে কল কেটে নিজেও ঘুমিয়ে গেল।
________________________________________________
আরোও এক সপ্তাহ কেটে গেল।
তিশা ও ওসমান রেস্টুরেন্টে বসে লাঞ্চ করছে,
ওসমান : পরশু দিন তো কক্সবাজার যাচ্ছো।
তিশা : হুম।
ওসমান : এক্সাইটেড না?
তিশা : কিছুটা।
তিশা : [মনে মনে]: কিভাবে এক্সাইটেড হই,আপনাকে চার দিন দেখতে পারবোনা, কতো মিস করবো,আর ঐই রিকের বাচ্চার জন্য তো আরো যাওয়ার মুড নেই ওর হাব ভাব ভালো লাগছেনা।
ওসমান : কি হলো খাচ্ছো না কেন?
তিশা : খাচ্ছি তো।
ওসমান : শপিং করা শেষ?
তিশা : হুম।
ওসমান একটা প্যাকেট তিশার দিকে বারিয়ে দিল।
ওসমান : তোমার জন্য।
তিশা : কি আছে এটাতে।
প্যাকেট টা খুলতে নিবে তখনই ওসমান বলে,
ওসমান : বাসায় যেয়ে দেখো।
তিশা : আচ্ছা,হাত টা বারান।
ওসমান হাত বারিয়ে দিল, তিশা ওসমানের হাতে একটা কালো রঙের ঘড়ি পরিয়ে দিল।
তিশা : কেমন?
ওসমান : অনেক সুন্দর, হঠাৎ ঘড়ি কেন?
তিশা : আজ আমাদের ফ্রেন্ডশীপের দু মাস হলো,তাই ভাবলাম আমার হ্যান্ডসাম ফ্রেন্ডকে কিছু গিফট দেওয়া উচিত, আপনি তো সব সময় ঘড়ি পরেন, তাই ভাবলাম আপনাকে ঘড়ি গিফট করলে ভালো হবে।
ওসমান : অনেক সুন্দর, তোমার চয়েস দারুণ।
তিশা : [মনে মনে]: হুম জানি, চয়েস সুন্দর বলেই তো আপনাকে চয়েস করেছি।
ওরা লাঞ্চ করে যার যার কাজে চলে গেল।
সন্ধ্যায় তিশা অফিস থেকে বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে, বিছানায় বসে প্যাকেট টা খুলে দেখে একটা কালো শাড়ি,কালো স্টোন বসানো শাড়িতে,খুব সুন্দর পার্টি শাড়ি,শাড়ির সাথে দু মুঠো কালো রঙের কাঁচের চুড়ি,এক জোড়া ঝুমকো,হাতে পরার দু টো ফুলের গাজরা,একজোড়া নুপুর ও একটা চিরকুট।
চিরকুটে লেখা,
“হৃদয়হরনী,
তোমাকে কালো রঙে খুব মানায় তাই শাড়িটা তোমায় দিয়েছি, তুমি চুড়ি পছন্দ করো তাই দু মুঠো চুড়ি দিয়েছি,কানে যখন ঝুমকো পরো তখন তোমার সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়,সেদিন তোমার হাতে গাজরা দুটো খুব মানিয়ে ছিল তাই তোমায় দিয়েছি,কখনো তোমার পায়ে নুপুর পরতে দেখেনি,নুপুর পরলে তোমায় কেমন লাগবে তা জানার জন্য নুপুর জোড়া দিয়েছি,
তোমাকে কাল নতুন রুপে দেখতে চাই আমি,
আসবে কি?”
চিরকুট টি পরে তিশা ভীষণ লজ্জা পেল।
তিশা : এভাবে কি কেউ আবদার করে, এতো মায়া ভরা চিরকুট কেন দিলেন,আমি তো আপনার চোখের দিকেই তাকাতে পারবোনা, আচ্ছা আপনি কি আমায় ভালোবাসেন?
ওসমান ওর রুমে বসে বসে তিশার কথা ভাবছে,
ওসমান : জানপাখি এখনও একটা কল দিল না কেন,ও কি গিফট দেখে নি? না দেখার তো কথা, চিরকুট টা কি পরেছে? পরে কি রাগ করলো,আমি তো রাগ করার মতো কোনো কথা লিখে নি,ও কি আমার সাথে আর কথা বলবে না?উফফ কি সব ভাবছি আমি।
দু দিকে দুজনের দ্বিধা দন্ডে কোনোমতে রাত টা পোহালো।
________________________________________________
ওসমান কেবিনে বসে পেশেন্টর রিপোর্ট দেখছিল।
দরজায় নক পরায় ও দরজার দিকে তাকিয়ে বলে,
কাম ইন।
একজন সুন্দরী রমণী কেবিনে প্রবেশ করল,
#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_11
কপি নিষিদ্ধ ❌
একজন সুন্দরী রমণী কেবিনে প্রবেশ করল,
ওসমান তার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, চোখই ফেরাতে পারছেনা, রমণী ধীরে ধীরে ওসমানের সামনে রাখা চেয়ারটায় বসলো, ওসমান এখনও তাকিয়ে আছে, ওকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রমণী তার সামনে তুরি বাজালো,ওসমানেরও ঘোর কাটল।
কি ডক্টর সাহেব এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
ব্রু নাচিয়ে ঠাট্টার সুরে তিশা কথা টি বলে,
ওসমান : [মনে মনে] : তোমাকে এই রুপে দেখে হার্ট অ্যাটাক যে করি নি এটাই অনেক।
তিশা : আমাকে কেমন লাগছে?
ওসমান : মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছে, আমার প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।
তিশা একটু লজ্জা পেল,
তিশা : হাতের ফুলের গাজরাটা শুকিয়ে গেছে।
ওসমান : হুম,নুপুর পরেছো?
তিশা : উহুম পরতে পারিনি।
ওসমান : আচ্ছা আমাকে দেও।
তিশা নুপুর জোড়া ওসমানের হাতে দিল।
ওসমান তিশার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে,
ওসমান : আমার হাঁটুতে পা রাখাে, আমি পরিয়ে দিচ্ছি।
তিশা : না না আমি কিভাবে আপনার হাঁটুতে পা রাখি।
তিশা :[মনে মনে]: উনি এসব কি বলছে,ওনাকে দেখেই তো আমার হাত পা কাপছে, আর উনি কি না তার হাঁটুতে পা রাখতে বলছে,ওহ আল্লাহ দরি দেও আমি উপরে উঠে যাই।
ওসমান : এতো কথা বলো কেন,চুপচাপ পা রাখাে।
তিশাকে বলার পরও পা না রাখায় ওসমান নিজেই ওর পা নিজের হাঁটুর উপর রাখে, পা ধরায় তিশা কিছুটা কেঁপে ওঠে, ওসমান ওর পায়ে নুপুর জোড়া পরিয়ে দিল।
ওসমান অজান্তেই আস্তে আস্তে মাথা নিচু করতে লাগল, তা দেখে তিশা খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেলে,ওসমান যখন তিশার পায়ে কিস করতে যাবে তখনই ওর কিছু মনে পরায় মাথা উঁচু করে ফেলে তিশার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখে তিশা খিঁচে চোখ বন্ধ করে আছে, পায়ে কোনো কিছু অনুভব না করায় তিশা চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে ওসমান ওর দিকে তাকিয়ে আছে, তা দেখে তিশা দ্রুত পা সরিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।
তিশার খুব অসস্তি হচ্ছে, ও বুঝতে পারেনি এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে।
ওসমান তিশাকে নরমাল করার জন্য বলল,
চলো বাহিরে যাই।
তিশা : আব, হুম।
ওরা কেবিন থেকে বের হল।
তিশা : [মনে মনে]: ইসস কি একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।আমি কি সব উল্টো পাল্টা ভাবছিলাম।
তিশা : আমি বাসায় চলে যাই।
ওসমান : কেন?
তিশা : এমনই ভালো লাগছেনা।
ওসমান : [মনে মনে]: ওকি রাগ করল, উফফ কেন যে তখন ওরকম টা করতে গেলাম, না কিছু একটা করতে হবে।
ওসমান : তুমি কি আমার মামনি সাথে দেখা করবে?
তিশা : আপনার মামনির সাথে!
ওসমান : হুম বাবার সাথে তো দেখা করেছো মামনির সাথে তো দেখা করোনি তাই বললাম যাবে মামনির কাছে?
তিশা : হুম যাবো।
ওরা গাড়িতে চড়ে খান বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিল।
কিছুক্ষণ পর ওরা খান বাড়ি পৌঁছাল।
________________________________________________
তিশা গাড়ি থেকে নেমে দেখে, বাহির থেকে অনেক সুন্দর বাড়ি টা,বাড়ির দুপাশে ফুলের বাগান করা।
ওসমান : চলো ভেতরে যাওয়া যাক।
ওসমান তিশাকে নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কলিংবেলটায় চাপ দিল, একটু পর একটা মেয়ে এসে গেট খুলল,মেয়ে ওসমানকে দেখে খুশি হয়ে গেল, জোরে জোরে অবান্তিকা ইসলামকে ডাকছিল,
আম্মা আম্মা দেইখা যান কে আইছে।
সিরি দিয়ে নামতে নামতে,
অবান্তিকা : কে এসেছে নিলু?
নিল : বড় ভাইয়া আর একটা আপু আইছে।
অবান্তিকা দ্রুত সিরি বেয়ে নিচে আসলেন,উনি ওসমানকে দেখে খুশি হয়ে গেলেন।
তিশা সামনে দিকে তাকিয়ে দেখে একজন মধ্যবয়স্ক নারী সিরি দিয়ে নিচে আসলেন, দেখতে খুব সুন্দর, কিশোরী বয়সে যে তিনি অনেক সুন্দর ছিলেন তা ওনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে, পড়নে তার জামদানী শাড়ি গায়ে স্বর্ণের অলংকার জড়ানো।
অবান্তিকা ওসমানকে জড়িয়ে ধরতে চাইলে ওসমান কিছুটা পিছিয়ে যায়, তা দেখে অবান্তিকা নিজেকে কিছুটা সামলে বলেন,
অবান্তিকা : কেমন আছো বাবা?
ওসমান : ভালো আছি।
তিশার দিকে তাকিয়ে
অবান্তিকা : ও কে?
ওসমান : আমার ফ্রেন্ড তিশা তোমার সাথে দেখা করাতে নিয়ে এসেছি।
তিশার দুগালে হাত রেখে,
অবান্তিকা : তিশা, তুমি তো ভারি মিষ্টি দেখতে একদম চাঁদের মতো সুন্দর, তোমার নাম টা ও খুব সুন্দর।
বলে তিশাকে জড়িয়ে ধরে,তিশাও ওনাকে জড়িয়ে,
অবান্তিকা তিশার প্রশংসা করায় ওসমান খুশি হয়।
অবান্তিকা : দাঁড়িয়ে আছো কেনো আসো এখানে এসে বসো।
ওসমান : আমার একটা কাজ আছে আমি একটু পর আসছি।
তিশা : কোথায় যাবেন?
ওসমান : এইতো একটু কাজ আছে, আমি কিছুক্ষণ পর চলে আসবো,তুমি গল্প করো।
অবান্তিকা বুঝতে পেরেছে ওসমান তিশার সামনে ওনাকে ইগনোর করতে চাচ্ছে না, তাই কাজের বাহানা দিয়ে যেতে চাচ্ছে।
অবান্তিকা : আচ্ছা যাও তুমি।
ওসমান বাহিরে চলে গেল।
অবান্তিকা : আসো বসে কথা বলি।
তিশা : জ্বি।
ওরা সোফায় বসে,
অবান্তিকা : নিলু চা নাস্তা নিয়ে আসো।তোমার পুরো নাম কি মা?
তিশা : তানিসা আক্তার তিশা।
অবান্তিকা : তোমার মা বাবার নাম কি?
তিশা : জানি না আন্টি।
অবান্তিকা : মানে?
তিশা : আমি এতিম,ছোট থেকেই এতিমখানায় বড় হয়েছি, আমি জানি না আমার বাবা মা কে।
তিশা চোখ ছলছল করে উঠলো।
অবান্তিকা তিশার কথা শুনে কষ্ট পেল,
অবান্তিকা : কে বলেছে তোমার বাবা মা নেই আমি তোমার মা।
তিশা অবান্তিকার দিকে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকাল,
অবান্তিকা : তুমি আমার ওসমানের বান্ধবী, আমি যেমন ওসমানের মা তেমন তোমারও মা, ওয়াহিদ যেমন ওসমানের বাবা তেমন তোমারও বাবা।
তিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
অবান্তিকা : কখনো নিজেকে এতিম বলবেনা আমি তোমার মা।
তিশা অবান্তিকাকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো,
কিছুক্ষণ পর,
অবান্তিকা : আর কাঁদেনা মা।
তিশা কান্না সামলে,
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ, আমার মা হওয়ার জন্য।
অবান্তিকা : উহুম, থ্যাঙ্ক ইউ আমার মেয়ে হওয়ার জন্য। অনেক শখ ছিল আমার একটা ফুটফুটে মেয়ে হবে, আল্লাহ দেয় নি।কিন্তু দেখো আমি আজ একটা মেয়ে পেলাম।
তিশা : আর আমি মা পেলাম।
অবান্তিকা : চলো আমার রুমে যাই।
ওরা অবান্তিকার বেডরুমে বেডে যেয়ে বসলো,অবান্তিকা একটা এ্যালবাম নিয়ে তিশার সামনে বসবো।
এ্যালবামের ছবি দেখাতে দেখাতে বলছে,
অবান্তিকা : এটা ওসমান আর এটা ওমর।
তিশা : ছোট বেলায় কত কিউট ছিল।
অবান্তিকা : হুম।
তিশা : ডক্টর ওমর ও ওসমানের সাথে এটা কে?
অবান্তিকা : ও জেসমিন, আমার বান্ধবীর মেয়ে।
তিশা : কত কিউট।
অবান্তিকা : হুম এখন অনেক সুন্দর হয়েছে।
তিশা : উনি আমার বড় হবেন।
অবান্তিকা : ও ওসমানের দু বছরের ছোট।
তিশা : ওহ।
অবান্তিকা ও তিশা অনেকক্ষণ গল্প করলো,লাঞ্চ টাইমে ওসমান এলো।
অবান্তিকা : বাবা হাত মুখ ধুয়ে এসো, একসাথে লাঞ্চ করবো।
ওসমান হাত মুখ ধুয়ে এসে টেবিলে বসলো।
অবান্তিকা : মামনি আমি তোমাকে খাইয়ে দেই।
তিশা : হুম।
অবান্তিকা তিশাকে খাইয়ে দিচ্ছে,আর তিশা মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ওসমানও খাচ্ছে আর ওদের দেখছে।
অবান্তিকা : এভাবে কি দেখছো।
তিশা : মা দেখছি।
চোখ থেকে একফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো,তা অবান্তিকা মুছে বললো,
খাওয়ার সময় কাঁদতে নেই।
বলে তিশার মাথায় চুমু দিল।
কিছুক্ষণ পর,
তিশা : আচ্ছা মামনি আজ আসি।
তিশার কপালে চুমু দিয়ে,
অবান্তিকা : আবার আসবে মা।
তিশা : নিশ্চয়ই আপনিও আমার বাসায় যাবেন।
অবান্তিকা : মাকে আপনি করে বলছো কেনো তুমি করে বলো।
তিশা : আচ্ছা মামনি তুমিও আমার বাসায় যাবে।
অবান্তিকা : অবশ্যই।
তিশা ওসমান গাড়িতে উঠে বসলো,
তিশা : ঐই ব্রিজে একটু যেতে পারবেন।
ওসমান : আচ্ছা।
ওসমান ঐই ব্রিজটায় গাড়ি থামাল।
ওরা হেটে হেটে রেলিংর সামনে যেয়ে রেলিং উপর হাত রেখে সামনের নদীর দিকে তাকাল।
ওসমান : তো কি এত গল্প করলেন ম্যাম।
তিশা ওসমানকে সব বললো।
তিশা ওসমানের দিকে কিছুক্ষণ একধ্যানে তাকিয়ে রইল।
ওসমান : কি দেখছো?
আচমকা তিশা ওসমানকে জড়িয়ে ধরল। তিশা জড়িয়ে ধরায় ওসমান অবাক হল।
জড়িয়ে ধরেই,
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ।
ওসমান : থ্যাঙ্ক ইউ কেন?
তিশা : আমার জীবনে আসার জন্য।জানেন নিজেকে সবার সামনে হ্যাপি দেখালেও আমি খুব একা।
ওসমান ওর কথা শুনল।
তিশা : জানেন আপনি আসার পর থেকে আমার মনে হচ্ছে আমি সব পেয়ে গেছি।কখনো বাবার আদর পাইনি কিন্তু আপনার বাবার আদর পেলাম,মা কি তা তো জানতামই না, আজ বুঝলাম মা কেমন, ডক্টর ওমরের মত বড় ভাই পেলাম, আপনার মতো ভালো বন্ধু পেলাম,থ্যাঙ্ক ইউ, ইউ আর মাই লাকি চ্যাম্প।
ওসমান : [মনে মনে] উহুম তুমি আমার লাকি চ্যাম্প।
ওসমানকে ছেড়ে দিয়ে,
তিশা : অনেক দেরি হয়ে গেছে বাসায় যাওয়া উচিত।
ওসমান : হুম চলো।
গাড়িতে,
ওসমান : প্যাকিং করা শেষ?
তিশা : না এখন যেয়ে গুছাবো।
ওসমান : তারাতারি ঘুমিও, খুব সকালে তো উঠতে হবে।
তিশা : হুম।
ওসমান তিশাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আসে।
________________________________________________
আয়েশা বসে বসে ওমরের সাথে কথা বলছে,
ওমর : কাল কয়টায় অফিসে যাবে?
আয়েশা : ৮ টায় যাবো, ঐখানে আমাদের জন্য বাস আনা হবে সেটায় করেই যাবো।
ওমর : তোমাকে মিস করবো।
আয়েশা : অফিস ট্রীপ না হলে তোমাকেও যেতে বলতাম।
ওমর : তুমি আমাকে মিস করবে না?
আয়েশা : আপনি কে ভাই?
ওমর : নেহি…… তুমি এভাবে বলতে পারলে।
আয়েশা : হাহা ড্রামা*বাজ।কলিংবেলের আওয়াজ পেলাম, হয়তো তিশা এসেছে, আমি পরে কথা বলি।
ওমর : আচ্ছা।
আয়েশা কল কেটে দিয়ে,দরজা খুলে দেখে তিশা দাঁড়িয়ে আছে।
আয়েশা : হায় মেরি জান, তোকে তো পুরাই আ*গু*ন লাগছে।
তিশা : কি সব বলিস।
আয়েশা : সত্যি এই সাজে অনেক সুন্দর লাগছে, হায় মে মার*জাবা।
তিশা : তাই,
আয়েশা : হুম হুম,এই শাড়ি তো আগে দেখি নি কবে কিনেছিস।
তিশা : ডক্টর সাহেব গিফট করছে।
আয়েশা : ও…….।
তিশা : ও টা এভাবে টান দিয়ে বলার কি আছে।
আয়েশা : সে তুমি বুঝবে না বালিকা, তা আজ ঘুরতে কোথায় গিয়েছিস।
তিশা অবান্তিকার সাথে কাটানো মুহূর্তের কথা আয়েশাকে বলল।
আয়েশা : উনি কত সুন্দর করে তোকে আপন করে নিল।
তিশা : হুম নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।
আয়েশা মুচকি হাসলো,
তিশা : আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
আয়েশা : হুম,এখনো প্যাকিং করা বাকি।
তিশা : হুম।
তিশা ফ্রেস হয়ে আসে,ও আর আয়েশা একসাথে প্যাকিং করে শুয়ে পরে।
এদিকে ওসমান বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে বিছানায় বসা মাএই সাজ্জাত কল করে,
ওসমান : হ্যালো।
সাজ্জাত : হ্যাঁ ব্রো কাল ১২টায় এয়ারপোর্টে চলে আসিস।
ওসমান : আচ্ছা।
সাজ্জাত : প্যাকিং করেছিস?
ওসমান : একটু পর করবো।
সাজ্জাত : আচ্ছা বায় কাল দেখা হবে।
ওসমান : বায়।
ওসমান ও ওমর প্যাকিং করে শুয়ে পরলো।
________________________________________________
পরদিন সকাল ৭ টায়,
তিশা রেডি হয়ে আয়েশার জন্য ওয়েট করছে,আয়েশা এখনো রেডি হতে ব্যস্ত,
তিশা : উফফ এই আয়েশার বাচ্চার জন্য সবসময় আমাকে অপেক্ষা করতে হয়।
“হলো তোর ” জোরে আয়েশাকে বললো, তিশার কথা শুনে আয়েশা উত্তরে বলল
আর ৫ মিনিট লাগবে।
তিশা ক্রিম কালারের লং ড্রেস পরেছে, সব সময়ের মতো চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া, ঠোঁটে পিংক লিপস্টিক দিয়েছে।
আয়েশা বেবি পিংক কালারের লং ড্রেস পরেছে, চুল ছেড়ে দেওয়া,ঠোঁটে পিংক কালারের লিপস্টিক দিয়েছে।
ওরা অফিসে পৌঁছাল,যেয়ে দেখে দুটো বাস আনা হয়েছে, প্রথমটায় সিট না পাওয়ায়, দ্বিতীয় টায় উঠে দেখে সেখানে আগে থেকেই
রাইসা,আহনাফ,মেঘা,তামিম,হৃদিকা,রিক,আরিশ বসে আছে সবাইকে দেখে ভালো লাগলেও, রিক কে দেখে তিশার ভালো লাগে নি।
রিক : গুড মর্নিং।
তিশা : হুম।
তিশা : [মনে মনে]: কাহেকা গুড মর্নিং তোকে দেখে আমার গুড মর্নিং বেড হয়ে গেছে।
রিক : আপনি চাইলে আমার পাশে বসতে পারেন।
তিশা : [মনে মনে]: নেও শুরু হয়ে গেল।
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ বাট আমি আয়েশার সাথে বসবো।
রিক : ওকে।
৯টায় ওদের বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওনা দিল,
ওরা গান বাজনা হৈ-হুল্লোড় করতে করতে যাচ্ছে।
১১ টায়,
ওসমান রেডি হয়ে রুম থেকে বের হল,
ওমর : চলো।
ওসমান : হুম।
১২ টায়,
এয়ারপোর্টের সামনে সাজ্জাত,ইয়াসিন,প্রিয়া,সামির,রিয়া,নিহারিকা দাঁড়িয়ে ওসমান ও ওমরের জন্য ওয়েট করছে,
একটুপর ওসমান ও ওমর এয়ারপোর্টে আসলো,
ওসমান, ওমর গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসল,
ইয়াসিন, সামির ওদের দু’জন কে জড়িয়ে ধরে,
কেমন আছিস ইয়ার?
ওসমান : আমরা ভালো আছি।
ওমর : চলো ভেতরে যাওয়া যাক।
নিহারিকা : হায় বেবি।
ওসমান : নিহা তোমাকে আমি আগেও নিষেধ করেছি আমাকে বেবি বলে ডাকবেনা।
নিহারিকা : ওহ বেবি রেগে যাচ্ছ কেন?
ওসমান : আবার।
নিহারিকা : সরি।
ওমর : [মনে মনে]: এই গরুর নেহারি এখানেও চলে এসেছে, বেবি বেবি বলে ভাইয়ার মাথা তো খাবেই সাথে আমাদের কানের ও বারোটা বাজিয়ে দেবে।
নিহারিকা : তুমি কেমন আছো ওমর।
ওমর : বিন্দাস,তুমি।
নিহারিকা : আমিও।
একটুপর,
ওরা যার যার সিটে বসে পরে,
ইয়াসিন, প্রিয়া একসাথে, সামির, রিয়া একসাথে, ওসমান,সাজ্জাত একসাথে ও ওমর, নিহারিকা একসাথে বসে।
ওমর : [মনে মনে]: সবাইকে রেখে এই গরুর নেহারির সাথের সিট পেলাম।
নিহারিকা : ওমর তুমি ওসমানের সিটে যেয়ে বসো আর ওকে আমার পাশে বসতে বলো।
ওমর : ভাইয়া সিট চেঞ্জ করবে না।
নিহারিকা : তুমি বলেই দেখো না।
ওমর : ভাইয়া তুমি আমার সিটে এসে বসো।
ওসমান : যেখানে বসেছিস সেখানেই বসে থাক।
ওমর : দেখলে।
নিহারিকা গাল ফুলিয়ে বসে রইল।
________________________________________________
লং জার্নি শেষে তিশারা হোটেলে যেয়ে পৌঁছাল,দুই জন এক রুমে থাকবে সেই সুবাদে আয়েশা আর তিশাকে এক রুম দেওয়া হল।
অপরদিকে ওসমানরাও হোটেল পৌঁছাল, তিশারা যেই হোটেল উঠেছে সেই একই হোটেলে ওরাও রুম বুক করে রেখেছিল।ওরা সবাই সবার রুমে চলে গেল।
এদিকে তিশা ফ্রেস হয়ে এসে বিছানায় বসে,
হঠাৎ,
#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_12
কপি নিষিদ্ধ ❌
এদিকে তিশা ফ্রেস হয়ে এসে বিছানায় বসে,
হঠাৎ, ওর ফোনটা বেজে উঠে,স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখে ওসমান কল করেছে।
তিশা : হ্যালো।
ওসমান : কি করো?
তিশা : বসে আছি।
ওসমান : কখন হোটেলে উঠেছিলে?
তিশা : ১ ঘন্টা আগে।
ওসমান : ওহ,একটু ঘুমাও তাহলে ভালো লাগবে।
তিশা : হুম, আয়েশাতো ফ্রেস হয়েই শুয়ে পরেছে।
ওসমান : তুমিও ঘুমাও,পরে কথা বলবো।
তিশা : আচ্ছা।
ওসমান কল কেটে দিল।
তিশার চোখে ঘুম থাকায় শোয়া মাএই ঘুম চলে আসলো।
হৃদিকা রাইসার কাছে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হয়, আর সাজ্জাতও ঐদিক দিয়ে যাচ্ছিল।
কেউ কাউকে না দেখায় লাগলো ধাক্কা।
হৃদিকা : দেখে চলতে,
সামনে দিকে তাকিয়ে,
হৃদিকা : আপনি এখানে!
সাজ্জাত : তুমি এখানে! কার সাথে এসেছো?
হৃদিকা : আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে এসেছি।
সাজ্জাত : ওয়াট!
সাজ্জাতের রিয়েকশন দেখে হৃদিকা ফিক করে হেসে দিল।
হৃদিকা : অফিস থেকে সবাই একসাথে ট্রুরে এসেছি।
সাজ্জাত : ওহ।
হৃদিকা : আপনি একা এসেছেন?
সাজ্জাত : না ফ্রেন্ডরাও এসেছে।
হৃদিকা : ওহ।
সাজ্জাত : চলো হাটতে হাটতে কথা বলি।
হৃদিকা : হুম।
ওরা হাটছে আর কথা বলছে,হাটতে হাটতে হোটেল থেকে বের হয়ে বিচের দিকে যাচ্ছে।
আয়েশা ঘুম থেকে উঠে দেখে তিশা ঘুমাচ্ছে, ওর আর ঘুম না আসায় চোখ মুখে পানি দিয়ে রুম থেকে বের হয়।
হেটে কিছুটা সামনে যেতেই কেউ হেঁচকা টান দিয়ে একটা রুমের ভিতরে নিয়ে যায়।
আয়েশা চিৎকার দিবে তখনই সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে উঠে,
আয়েশা : তুমি!
ওমর : সারপ্রাইজ।
আয়েশা : এভাবে কেউ টান দেয়, তুমি সবসময় আমাকে ভয় দেখাও কেন।
ওমর : কারণ তুমি যখন ভয় পাও তখন তোমাকে অনেক কিউট লাগে, তাই ইচ্ছে করে ভয় দেখাই।
আয়েশা : হুহ, তা জনাব আপনি এখানে এলেন যে,সাথে করে গার্লফ্রেন্ড এনেছেন নাকি?
ওমর : তুমি থাকতে কি আর কাউকে লাগে নাকি।
[চোখ টিপ দিয়ে ]
আয়েশা : কে কে এসেছে তোমার সাথে?
ওমর : আমার কয়েকটা ফ্রেন্ড এসেছে।
আয়েশা : ওহ।
ওমর : চলো বিচে যাই।
আয়েশা : চলো।
ফোনের নোটিফিকেশনের আওয়াজে তিশার ঘুম ভেঙে গেল।ফোন হাতে নিয়ে দেখে ওসমান এসএমএস দিয়েছে,
তাতে লিখাছিলো,
ঘুম হয়েছে নাকি আরো ঘুমাবে।
তিশাও লিখলো,
আপনার জন্য মাএই ঘুম টা ভাঙলো।
তাহলে ফ্রেস হয়ে ছাদে যাও।
কেন?
আয়েশা তোমাকে যেতে বলেছে।
আয়েশা আমাকে না বলে আপনাকে কেন বলতে বললো।
সেটা আমি কি করে জানবো,যাও ছাদে যাও।
তিশা ফ্রেস হয়ে এসে ছাদে যেতে লাগল, ছাদে যেয়ে দরজা খুলে ভেতর প্রবেশ করল, একটু সামনে যেয়ে দেখে ওসমান ছাদের কোনায় হেলান দিয়ে বুকে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,
তিশা ওর কাছে যেয়ে, অবাক হয়ে বললো,
আপনি এখানে?
ওসমান : তোমাকে মিস করছিলাম তাই চলে এলাম।
[মুচকি হেসে ]
তিশা : অ্যা,
ওসমান : অ্যা নয় হ্যাঁ।
তিশা : একা এসেছেন?
ওসমান : না সাথে ফ্রেন্ডরা এসেছে।
তিশা : ওহ।
ওসমান : এখান থেকে সমুদ্র টা কতো সুন্দর লাগছে তাই না।
তিশা : হুম অনেক সুন্দর।
হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া তোদের ছুয়ে দিল।
তিশা চোখ বুঝে তা অনুভব করলো, ওসমান তিশার দিকে তাকিয়ে রইল।
নিহারিকা নিজের রুমে বসে বসে মেকআপ করছে,
নিহারিকা : বেবি তোমাকে এতোগুলো বছর দেখতে পারিনা,ছুতে পারিনি, কথা বলতে পারিনি, আমি তোমাকে যতবারই ভালোবাসার কথা বলেছি ততোবারই তুমি আমাকে এড়িয়ে চলেছো,কিন্তু এবার তা হবে না,পুরুষরা নাকি নারীর রুপে মোহিত হয়,এবার এই রুপের জালেই তোমাকে ফাঁসাবো।
বলে বাকা হাসি দিল।
আজ কেউ পানিতে নামে নি সবাই বিচে ঘুরেছে,
রাতে সবাই মিলে বারবিকিউ পার্টি করবে তাই কিছু ছেলেরা ওটার এ্যরেজমেন্ট করছে,
তিশা,রাইসা,মেঘা,আয়েশা ওদের আরো কিছু কলিগ একসাথে বসে গল্প করছে,
তখন হৃদিকা সাজ্জাতের হাত ধরে ওদের দিকে আসছে,হৃদিকা সাজ্জাতের পেছনে ওসমান,ওমর, ইয়াসিন,প্রিয়া,সামির,রিয়া,নিহারিকাও আসছে।
তিশাদের কাছে এসে,
হৃদিকা : উনি তোদের হবু দুলাভাই।
সবাই একসাথে,
কেমন আছেন দুলাভাই।
সাজ্জাত : আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোমরা কেমন আছো?
আবারও সবাই একসাথে,
আমরাও ভালো আছি।
মেঘা : দুলাভাইকে তুই আসতে বলেছিস।
হৃদিকা : না আমি বলিনি।
রাইসা : ওহহো মেঘা বুঝিস না দুলাভাই হৃদিকার টানে এতোদুর চলে এসেছেন।
সবাই একসাথে,
ও……….
হৃদিকা : কোনো টানে ফানে আসে নি উনি বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসেছেন।
সাজ্জাত : পরিচয় করিয়ে দেই আমার ফ্রেন্ড ওসমান,ওমর,নিহারিকা,ইয়াসিন,সামির। ইয়াসিনের স্ত্রী প্রিয়া আর ও সামিরের স্ত্রী রিয়া।
আহনাফ : ভাইয়া আমরা বারবিকিউ পার্টি করবো আপনারা আমাদের সাথে জয়েন হলে আমরা অনেক খুশি হবো।
সাজ্জাত : না থাক তোমরা এঞ্জয় করো আমরা আসি।
আরিশ : তা তো হবে না আপনাদেরও থাকতে হবে।
সবার জোরাজোরিতে ওসমানরাও থেকে গেল।
সবাই গোল হয়ে বসেছে,
সাজ্জাতের পাশে হৃদিকা,হৃদিকার পাশে তিশা,তিশার পাশে ওসমান, ওসমানের পাশে ইয়াসিন, ইয়াসিনের পাশে প্রিয়া,প্রিয়ার পাশে আয়েশা, আয়েশার পাশে ওমর, ওমরের পাশে নিহারিকা,এভাবে সবাই গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
নিহারিকা অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করলো,ওসমান তিশা একসাথে বসে হাসছে আর গল্প করছে।
নিহারিকার মোটেও তিশাকে ভালো লাগেনি,নিহারিকার মতে ওসমান তো ওর ভালোবাসা ও ওসমানের পাশে বসবে, এই মেয়ে কেন বসেছে,ওসমানতো ওর কথা শুনে মুগ্ধ হবে,ওসমান কেন এই মেয়ের কথা শুনছে, কেন এতো হাসাহাসি করছে,কই ওর সাথে তো কখনো হেঁসে কথা বলেনি সবসময় গম্ভীর হয়ে থাকতো, তাহলে এখন এই মেয়ের সাথে কিসের এতো গল্প,
এরকম নানা ধরনের কথা ভাবছে আর এক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
নিহারিকাকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ওমর ওর কানের কাছে যেয়ে আস্তে করে বললো,
এভাবে কি দেখছো?
নিহারিকা ওর কথা শুনে নিজেও আস্তে করে বললো,
আমি বুঝলামনা ওসমান বেবি কেন ওই মেয়েটার সাথে চিপকে আছে,দেখো কিভাবে হেসে হেসে কথা বলছে।
ওমর : ওনার সাথে হেসে কথা না বললে কার সাথে হেসে কথা বলবে।
নিহারিকা : মানে?
ওমর : মানে উনি ভাইয়ার হবু স্ত্রী।
নিহারিকা : কি!
ওমর : জ্বি কিছু দিন পর ভাইয়ার আর ভাবির এনগেজমেন্ট, ভাইয়া ভাবি কে অনেক ভালোবাসে।
নিহারিকা কথাটা শুনে তেলে বেগুনে জ্ব*লে উঠল।
ওমর : [মনে মনে] : আ*গু*নে ঠিক পরিমাণে ঘি ঢেলেছি।এক কাজ করি ওকে আরেকটু জ্বা*লাই।
ওমর : আমার ভাইয়া অনেক সুন্দর গান গাইতে পারে তোমারা কি তার গান শুনে চাও।
সবাই জোরে হ্যাঁ বলে,
ওসমান প্রথমে না করলেও পরে সবার জোরাজোরিতে রাজি হতে হয়।
ওমর নিহারিকার দিকে তাকিয়ে ওসমানকে বললো,
ভাইয়া কাউকে ডেডিকেট করে গাও।
ওমর নিহারিকার কানে আস্তে করে বলে,
ভাইয়া এখন ভাবিকে ডেডিকেট করে গাইবে।
নিহারিকা রেগে শক্ত হয়ে বসে আছে কারো সাথে কোনো প্রকার কথা বলতে সে ইচ্ছুক নয়।
ওসমান তিশার চোখের দিকে তাকিয়ে গেয়ে উঠে,
Hum tere bin ab
Reh nahi sakte
Tere bina
Kya wajood mera
(বাকিটা নিজ দ্বায়িত্বে শুনে নেবেন।)
পুরোটা গান তিশার চোখের দিকে তাকিয়ে গেয়েছে,সবার হাত তালির আওয়াজে তিশা ও ওসমানের ঘোর কাটলো।
হৃদিকা : তিশা একটা গান শুনাও।
ওমর : হুম আপু শুনাও।
তিশা এবার ওসমানের চোখের দিকে তাকিয়ে গেয়ে উঠে,
প্রাণ দিতে চাই
মন দিতে চাই
সবটুকু ধ্যান
সারাক্ষণ দিতে চাই
তোমাকে
ও…তোমাকে
স্বপ্ন সাজাই
নিজেকে হারাই
দুটি নয়নে
রোজ নিয়ে শুতে যাই
তোমাকে…
ও…তোমাকে।
(বাকিটা নিজ দ্বায়িত্ব শুনে নিবেন)
ওদের একসাথে দেখে আর এত আদিখ্যেতা নিহারিকার আর সহ্য হল না রেগে উঠে চলে গেল।
তিশা : কি হলো আপুটা চলে গেল কেন?
ওমর : থাকতে হয়তো ভালোলাগেনি তাই উঠে চলে গিয়েছে।
তিশা : কিন্তু,
ওসমান : বাদ দাও তো ওর কথা।
তিশা : ওমর ভাইয়া এবার আপনার পালা।
ওমর : অ্যা,
তিশা : অ্যা নয় হ্যাঁ, আয়েশা আর আপনি একসাথে একটা গান গেয়ে শুনান।
ওমর আয়েশা দু’জন দুজনের দিকে তাকালো,
ওমর : Is qadar tumse humein
Pyaar ho geya
Had se jyaada had se
Paar ho geya
আয়েশা : Is qadar tumse humein
Pyaar ho geya
Had se jyaada had se
Paar ho geya
ওমর : Dil teri chahatoo mein
Guzar ne lage
Dil kahe har ghadi tumse
Mil ne chale
আয়েশা : Pehlu mein hardam
Baithe rahe
Doode rahe tere
Aankhon mein
Is qadar tumse humein
Pyaar ho geya.
ওমর : Had se jyaada had se
Paar ho geya.
(বাকিটা নিজ দ্বায়িত্ব শুনে নিবেন।)
গান শেষে তালির আওয়াজ ভেসে আসলো,
ওরা সবাই এক এক করে গান গাইলো,খাওয়া দাওয়া করলো,অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর সবাই হোটেলের ভেতর চলে যেতে লাগল,
তিশা ওদের সাথে যেতে নিলেই ওসমান ওর হাত ধরে বলে,
চলনা বিচে যাই।
তিশা : এখন!
ওসমান : হুম,
বলে ওকে নিয়ে যাচ্ছে,
ওমর সাজ্জাতের সাথে যেতে নিলে আয়েশা ওর সামনে এসে দাঁড়ায়,
ওমর : কিছু বলবে?
আয়েশা : তুমি কি রুমে যেয়ে ঘুমাবে?
ওমর : হুম কেন?
আয়েশা : আমার তো ঘুম আসছেনা আমি যেয়ে কি করবো।
ওমর : তাহলে চলো বিচে যাই।
আয়েশা : হুম চলো।
ওরা অন্য দিক দিয়ে বিচের দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল।
ওসমান ও তিশা পায়ের তালে তাল মিলিয়ে হাটছে,হাটতে হাটতে তিশা বললো,
চলবে কি?
[ দ। ]