#লাবণ্যপ্রভা
পর্ব-৯
১৫.
আমি স্থির চোখে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে রইলাম। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। নিজেকে ধাতস্থ করতে কিছু সময় লাগলো আমার। রিভেঞ্জ অফ নেচার সম্পর্কে এতোদিন শুধু বইয়েই পড়েছিলাম। কিন্তু এরকম যে সত্যিই হতে পারে সেটা আমার ধারনায় ও ছিলো না। প্রকৃতির প্রতিশোধ তো অন্যভাবেও হতে পারতো! কিন্তু হিস্ট্রি রিপিট কেন হলো!
আর কোনো কিছু লিখলাম না আমি লাবণ্যপ্রভা কে। আমার কয়েকটা দিন শুধু এসব ভেবেই পার হচ্ছিলো। একদিকে মেয়েটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। অন্যদিকে আবার মন বলছে যে, ওটা তুনিড়ের মেয়ে লাবণ্য। সাপের বাচ্চা সব সময় সাপ ই হয়। আমি মাথা থেকে ব্যাপার টা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলাম।
কয়েকদিন গেলো এভাবেই। কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমার অস্থিরতা কমল না। আমি বারবার ব্যাপার টাকে ভুলতে চাইলেও পারছিলাম না। প্রায় প্রতিদিন ই মেয়েটার মেসেজ চেক করি। কিন্তু আর কোনো মেসেজ সে পাঠায় নি।
আমার অস্থিরতা আসিফের চোখে পড়ল। জানতে চাইলে সব খুলে বললাম। সব শুনে আসিফ বলল,
-তুমি কি চাও??
-আমি বললাম মেয়েটার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু ওর পরিচয় কি সেটা তো আর ভুলতে পারিনা! ও তুনিড় আর প্রগতির মেয়ে। দুজনেই আমার সাথে বিট্রে করেছে।
-তুনিড়ের ব্যাপার টা বুঝলাম। কিন্তু প্রগতি কি বিট্রে করেছিল??
-প্রগতির কাছে আমি সব স্বীকার করেছিলাম। আর প্রমাণ ও দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে বিশ্বাস করেনি।
-এমন ও তো হতে পারে যে পরবর্তীতে তোমার কথা বিশ্বাস করেছিল বলেই মেয়ের নাম লাবণ্যপ্রভা রেখেছে।
আর তাছাড়া লাবণ্যপ্রভা তুনিড় আর প্রগতির মেয়ে এই পরিচয় ছাড়াও কিন্তু আরও একটা পরিচয় বহন করে। সে তোমারই মতো একজন ঠকে যাওয়া নারী।
এই পরিচয়ের জন্য হলেও কি একটু সহানুভূতি সে পায় না!!
নিজের মনের সাথে অনেক লড়াই করার পর শেষমেস আমি নিজেই লাবণ্যপ্রভাকে মেসেজ পাঠালাম। কিন্তু কোনো রিপ্লাই পেলাম না। বাবা, মা ও দেশে ছিলো না তাই তাদের কাছ থেকেও কোনো খবর নিতে পারছিলাম না।
এভাবে কেটে গেল মাসখানেক। কোনোভাবেই মেয়েটার সাথে আমি যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ভিতরে ভিতরে দিন দিন অস্থিরতা বাড়তে লাগলো। মেয়েটা বেঁচে আছে তো! নাকি কিছু অঘটন ঘটিয়ে ফেলল।
হঠাৎ একদিন রাতে আবারও লাবণ্যপ্রভা মেসেজ দিলো,
“আপনি কি আমার সাথে একটু দেখা করবেন”?
আমি সেকথার উত্তর না দিয়ে বললাম, তুমি কি ঠিক আছ??
সাথে সাথে রিপ্লাই দিলো, আমি আছি। আপনাকে একটা ব্যাপার জানানো খুব প্রয়োজন। সেজন্য দেখা করার দরকার।
আমি বললাম, তুমি চাইলে ফোনে কথা বলতে পারো।
-আমার কাছে ফোন নেই। শুধু ল্যাপটপ আছে। তাও ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ফেলেছিল। তাই যোগাযোগ করতে পারিনি।
-কিন্তু আমি কিভাবে দেখা করবো তোমার সাথে??
অনেকক্ষন পর রিপ্লাই দিলো, আপনি কি বাংলাদেশে আসবেন?? আমার হাতে সময় খুব কম।
সময় খুব কম কথাটা শুনে আমি ঘাবড়ে গেলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম,
-মানে??
কিন্তু তার কোনো রিপ্লাই করল না।
আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম। মেয়েটা কি সুইসাইড করার কথা ভাবছে?? সেটা ভাবা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই সিচুয়েশনে আমিও পড়েছিলাম তাই মেয়েটার মানসিক অবস্থা টা বুঝতে পারছিলাম।
অনেক ভেবে ঠিক করেছি যে আমি বাংলাদেশে যাব লাবণ্যপ্রভাকে সাহায্য করার জন্য। তাই ওকে আমি মেসেজ দিলাম যে, আমি বাংলাদেশে আসব কিন্তু একটা শর্তে।
ও জিজ্ঞেস করল, কি শর্ত??
আমি বললাম, দেখো লাবণ্যপ্রভা আমি জানি যে তুমি আমার ব্যাপার টা তোমার মায়ের ডায়েরি পড়ে জেনেছ। এর জন্য তোমার অনুশোচনা ও হয়েছে তাই তুমি আমাকে মেসেজ দিয়েছিলে তোমার খবর টা জানাতে। যেন আমি মনে মনে স্বস্তি পাই। যারা একদিন আমার সাথে খারাপ করেছে তারা যে ভালো নেই এটাই তুমি জানাতে চেয়েছিলে। কিন্তু তোমার ব্যাপার টা শুনে আমি একটুও খুশি হইনি বরং কষ্ট পেয়েছি অনেক। আমি স্বপ্নেও কখনো এরকম শাস্তি চাইনি। আমি চেয়েছিলাম যে তুনিড় শাস্তি পাক।
যাইহোক এখন আমি চাই তুমি বেঁচে থাক। কিন্তু তার জন্য তোমাকে সাহসী হতে হবে। তুমি কি সেটা পারবে??
ঘন্টাখানেক পর লাবণ্যপ্রভা রিপ্লাই দিলো, আমি বাঁচতে চাই!!
১৬.
আমি বাংলাদেশে পৌছালাম সপ্তাহ দুয়েক পর।
ঢাকায় আমি আমার খালাতো বোনের বাসায় উঠলাম নিজেদের বাড়িতে না গিয়ে। অবশ্য এখন আর সেখানে বাড়ি নেই ও। ওখানে এখন বড় এপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে।
লাবণ্যপ্রভা কে জানালাম দেশে আসার কথা। কিন্তু ওর সাথে দেখা কিভাবে করব বুঝতে পারছিলাম না। যদিও সময় অনেক পেরিয়ে গেলেও তুনিড়ের মুখোমুখি হতে একটুও ইচ্ছে করল না।
তাই আমি লাবণ্যপ্রভা কে বললাম, আমার খালাতো বোন সুমি প্রগতির বান্ধবী হয়ে তোমাকে আনতে যাবে। তুমি তার সাথে এসো।
সুমির লাবণ্যপ্রভা কে আনতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। তুনিড় কে বিশ্বাস করিয়ে তারপর অবশেষে আনতে পেরেছিল।
লাবণ্যপ্রভা যখন আমার সামনে আসলো তখন আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। ওকে আমি এর আগে ছবিতেও দেখেছিলাম। কিন্তু তবুও আবার দেখছিলাম অনেকক্ষন ধরে। অনেক বছর আগে এভাবেই দেখেছিলাম প্রগতি কে। চোখ দুটো কি বিষন্ন তবুও দেখতে কি ভালো লাগছিলো! আমার চোখে পানি এসে গেল। কেন এমন হলো সেটা আমি জানিনা। লাবণ্যপ্রভা চোখ নামিয়ে রেখেছিল। অজান্তেই মুখ থেকে বেরিয়ে গেল, কেমন আছ মা??
মেয়েটা চমকে উঠে আমার দিকে তাকালো। চোখে ছিলো বিস্ময়। অনেকদিন মনে হয় এভাবে কেউ ডাকে নি!
আমি জানিনা যে আমার কি হয়েছিল। তুনিড়ের মেয়ের জন্য কেন আমার এতো খারাপ লেগেছিল! কেন আমি ছুটে এসেছিলাম সেটাও জানিনা! হয়তো আমিও মেয়ের মা বলেই ওই মেয়েটার জন্য মায়া হয়েছিল!
লাবণ্যপ্রভা কে দেখে আমার শুধু একটা কথাই মাথায় ঘুরছিল, আই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর লাবণ্যপ্রভা। তার জন্য যা কিছু করতে হয় করবো।
সারাদিন ও আমার সাথেই ছিলো। কথা কম বলছিল। অবশ্য অতবড় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছেও করেনি। আমি মেয়েটার সাথে সহজ ভাবে মিশলাম। ও মাকে কাছে পায় নি, বাবা থেকেও না থাকার মতো। তাই বন্ধুর মতোই মিশলাম।
যাওয়ার সময় ও আমাকে একটা ডায়েরি দিয়ে গেল। পুরোনো ডায়েরি দেখেই বুঝলাম যে ওটা প্রগতির। আমি ওকে পরদিন আবারও আসতে বললাম।
ও যাওয়ার পর ডায়েরি খুললাম। ডায়েরির উপরে লেখা, এটা লাবণ্যর জন্য।
কিন্তু এটা আমি নাকি প্রগতির নিজের মেয়ে সেটা বুঝলাম না। হয়তো মেয়ে নিজেও বুঝতে পারেনি তাই ডায়েরি টা আমাকে পড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে গেছিলো।
প্রগতির লেখাঃ
আমি ছোটবেলায় মাকে দেখিনি। সে আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছিল। তাই মায়ের প্রতি ছিলো তীব্র টান। আর সেই টান থেকেই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার দুর্বলতা ছিলো।
মালয়েশিয়ায় তুনিড় পড়তে আসার পর থেকেই ওর প্রতি আমার টান ছিলো। সেটা মোটেও প্রেম ছিলো না তখন। দেশের মানুষের প্রতি যে টান থাকে সেরকম ই। আমি আগ বাড়িয়ে তুনিড়ের সাথে মিশি। কি লাজুক আর অমায়িক! এরকম ও ছেলে হয় এটা ভেবেছিলাম তুনিড় কে দেখে। আমাদের বন্ধুত্ব হলো, আস্তে আস্তে প্রেমে পড়ে গেলাম। আমি নিজেই ওকে ভালোলাগার কথা বললাম। ও আমাকে রুপসার কথা সব বলল। ব্রেকাপের পর লাবণ্য মেন্টাল সাপোর্ট দিয়েছিল সেটাও বলল৷ আমি তখন মুগ্ধ হয়েছিলাম। কোনো ছেলে তার পাস্ট নিয়ে এভাবে বলে কিনা জানা ছিলো না। তুনিড় ব্যাপার গুলো আমাকে না বললেও পারতো কারন ও না বললে আমি জানতেও পারতাম না।
তুনিড়ের সরলতায় আমি আবারও মুগ্ধ হলাম। তুনিড় ও আমাকে ভালোবাসার কথা বলল। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম তারাতাড়ি বিয়ে করে ফেলব। যথারীতি বাংলাদেশে গেলাম। আমার ফ্রান্সিস পদবী নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা ছিলো না যেটা আমাকে আরো বেশী মুগ্ধ করল।
এর মধ্যে ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা। যেগুলো ঘটিয়েছে লাবণ্য। আমি প্রথম একবার বিশ্বাস করতে চাইলাম কিন্তু তুনিড়ের যুক্তির কাছে হার মানলাম। তাছাড়া নয় মাস তুনিড় কে আমি দেখেছিলাম তাতে আমার তুনিড় কে ওরকম মনে হয়নি। কিন্তু আমি জানতাম না যে কিছু মানুষ কে সারাজীবন দেখলেও চেনা যায় না।
তুনিড়ের আসল রুপ টের পেলাম আমার প্রথম বাচ্চাটা হওয়ার সময়। আমার প্রতি কেয়ারিং ছিলো হান্ড্রেড পার্সেন্ট কিন্তু কোথাও যেন একটা খটকা ছিলো।
বাচ্চাটা জন্মের পর পর ই মারা গেল। আমি তখন ডিপ্রেশনে ছিলাম কিন্তু আমার আড়ালেই তুনিড় প্রেম করছিলো অন্য মেয়ের সাথে।
ধরা পরে যাওয়ার পর স্বীকার করেনি। বলেছে মেয়েটা ওকে জোর করছিলো। আমি বিশ্বাস করলাম না। তারপর ও বহু মেয়ের সাথে ওর অ্যাফেয়ার ছিলো। এবং প্রত্যেকটা মেয়েই আমার মতো ওর দিকে এগিয়ে এসেছে আর ও এক্সেপ্ট করেছে। আমার সেদিন প্রথমবারের মতো লাবণ্যর সব কথা বিশ্বাস হলো।
এই নিয়ে তুনিড়ের সাথে ঝামেলা চলছিলো খুব। তুনিড় স্বীকার করেনা। কি অবলীলায় চোখে দেখা সত্যিগুলোকে মিথ্যে বানিয়ে ফেলতো সেটা দেখে আমি অবাক হতাম।
আবারও প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলাম। আমার দিন কাটে ঘরের মধ্যে। আমাকে বিয়ে করার কারন ও ততদিনে বুঝে ফেললাম। আমার বাবা মা দুজনেই প্রচুর সম্পত্তি রেখে গেছেন যেটার কারনে তুনিড় আমার ধর্ম ও মেনে নিয়েছিল। পিএইচ ডি শেষ করার পর নিজ ইউনিভার্সিটি তে লেকচারার হিসেবে জয়েন করার সুযোগ পেলেও রাজি হলো না। বরং আমাকে ফুসলে সব সম্পত্তি বিক্রি করিয়ে সে টাকায় ব্যবসা শুরু করে।
তখন তার স্বভাবের আরও পরিবর্তন হলো। বাড়িতে আসেনা। সেক্রেটারী কে নিয়ে এদেশ ও দেশ ঘুরে বেড়ায়। বাড়িতে প্রেগন্যান্ট বউ আছে সেটা তার মনেই রইলো না। আমিও এক সময় হাপিয়ে গেছিলাম।
হঠাৎ একদিন লাবণ্যর কথা মনে হলে আমি নেটে সার্চ করলাম তখনই প্রথম ওর বইয়ের ব্যাপারে জানতে পারলাম। বই পড়ে আমি এক ধরনের অনুশোচনায় ভুগছিলাম। আমার সেদিন বিশ্বাস করা উচিত ছিলো লাবণ্য কে। লাবণ্য তো প্রমাণ ও দিতে চেয়েছিল আর আমি এতো টা অন্ধ হয়ে গেলাম যে বিশ্বাস ই করলাম না।
তুনিড়ের উপর প্রতিশোধ নিতেই মেয়ের নাম রাখলাম লাবণ্যপ্রভা। তুনিড়ের অবশ্য সেটা নিয়ে আফসোস ছিলো না। সে তখন বিভিন্ন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত ছিলো।
তুনিড়ের সমস্যা ছিলো কোনো মেয়ে যদি নিজে থেকে ওর দিকে এগিয়ে আসতো তবে তাকে ফেরাতো না। আর প্রেমের ব্যাপার টা এমন ভাবে চালিয়ে নিতো যে বোঝার উপায় ছিলো না যে সেটা মিথ্যে। তবে তার অভিনয় ক্ষমতাও ছিলো দুর্দান্ত। অকপটে মিথ্যে বলতে তার বাধত না। কোনো প্রমাণ রাখতো না সে। তবে তার লোকলজ্জার খুব ভয় ছিলো। বলা যায় এই একটি মাত্র দুর্বলতা ছাড়া তার আর কোনো দুর্বলতা নেই। তুনিড়কে শায়েস্তা করতে হলে এই দূর্বলতা কে কাজে লাগাতে হবে।
আমি বেঁচে রইলাম লাবণ্যর জন্য। মেয়েটার কি হবে এটা ভেবেই আমি সবসময় তটস্থ থাকতাম। একসময় তুনিড় সবকিছু খুইয়ে দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিলো। জুয়া খেলে সব খুইয়ে দেশে এসে আবারও বিজনেস করবে কিন্তু তার জন্য টাকা দরকার। কিছু প্রোপার্টি আমি তুনিড় কে না জানিয়ে মেয়ের জন্য রেখেছিলাম তুনিড় সেটাও জেনে গেল। সেটা নিয়ে শুরু হলো আরেক ঝামেলা। শেষ পর্যন্ত হার মেনে সব দিয়ে দিলাম। সেটা দিয়ে বিজনেস শুরু করল। বছর দুই এভাবে কাটার পর তুনিড় সিদ্ধান্ত নিলো সে আবার বিয়ে করবে। নামকরা শিল্পপতির ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করলে লাইফ টা আগের মতো হয়ে যাবে।
আমি আর পারছিলাম না। ঈশ্বরের ভরসায় মেয়েকে রেখে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলাম।
ছোট ছোট ভুলের কারনে মানুষের সারাজীবন পস্তাতে হয়। সেদিন যদি আবেগে না ভেসে ব্রেন দিয়ে প্রতিটা ব্যাপার ভাবতাম তাহলে আজ কোনো কিছুই এমন হতো না। লাবণ্যর কথা একবার যাচাই করে দেখলে হয়তো এরকম কিছু ঘটতো না। পৃথিবীতে যা কিছু খারাপ ঘটে সেটার পেছনে কোনো না কোনো কারন থাকে। আমার সাথেও হয়তো সেজন্যই ঘটেছে।
এতটুকু পড়ে আমি ডায়েরি টা বন্ধ করে ফেললাম। ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে পুরো টা খেয়ে নিজেকে ধাতস্থ করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে করেই হোক তুনিড় কে এবার শিক্ষা দিতে হবে।
(আগামীকাল শেষ টুকু)
প্রিয় পাঠক অসুস্থতার জন্য লিখতে না পারার জন্য দুঃখিত। শেষ টুকু ইনশাল্লাহ আগামীকাল পাবেন।