#প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 01……..
.
চোখ ভরা জল নিয়ে থাপ্পড়টা মারতে গিয়েও মারল না আরিয়া। জলে ভরা ঝাপসা চোখে নিজের হাতটাকে মুঠো করে নামিয়ে নেয়। ঠোঁট জোরা প্রচন্ড কাপছে ওর। ধীরে ধীরে রাজের কাছে গিয়ে শার্টের কলার ধরে একটু নিচের দিকে নামিয়ে বলল…..
আরিয়া: You know what Mr. Raj. আপনি যেমন দুর্বল ভেবে মেয়েদের গায়ে হাত তোলেন না। আমিও তেমন দুর্বলের গায়ে হাত তুলি না।নাহলে থাপ্পড়টা আজকে আপনার গালে পরত।
রাজ মেয়েটার কথা শুনে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারন যেখানে মেয়েটার লজ্জায় মরে যাওয়ার কথা সেখানে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রাজের শার্টের কলার ধরে চোখে চোখ রেখে ওকে থাপ্পড় দেওয়ার কথা বলছে….
আরিয়া: কেন মারলামনা জানেন???? কারন আপনার মেন্টালিটি। যার মেন্টালিটি এতটা জঘন্য সে আর যাই হোক সবল কোনো মানুষ নয়। এসব মানুষ আমার কাছে দুর্বল শ্রেনির নিম্নজীব জীবের মত। যাদের সাথে কথা বলার রুচিও আমি রাখিনা।
[ কথাগুলো বলেই আরিয়া প্রচন্ড রেগে বেড়িয়ে আসে রাজের কেবিন থেকে আর রাজ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। ]
রাজ: যে মেয়ের এতটা ইগো এতটা সেল্ফ রেসপেক্ট সে কিভাবে এরকম কাজ করে……[ ভেবে পায় না রাজ ]
প্রচন্ড রেগে রাস্তা দিয়ে হাটছে আরিয়া৷ রক্তলাল চোখ দিয়ে টপটপ পানি পরছে তবে সেটা কষ্টে নয়। রাগের কারনে…………আজ পর্যন্ত যেই মেয়ের সাথে কেউ জোর গলায় কথা বলার সাহস দেখায়নি সেখানে রাজ নামের লোকটা……. ভাবতে পারছে না আরিয়া। এতটাই রাগ লাগছে ওর হাতে যদি কোনো ধারালো কিছু থাকত তাহলে হয়ত রাজ নয়ত নিজেকে শেষ করে দিত।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
কিছুক্ষন আগের ঘটনা……….
আরিয়া রাজের কেবিনে বসে ওর জন্য ওয়েট করছিল ঠিক তখনি রাজ আসে। আরিয়া হাসি মুখেই রাজের সাথে কথা বলতে যাবে তখনি রাজ বলে উঠে…..
রাজ: কত চাই তোমার……??? [ বেশ ধীর গলায় মুড নিয়ে ]
আরিয়া: Excuse me… আপনি তো আমার কোনো ডি……
রাজ: আমাকে তুমি সেরকম কোন লোক ভেবে না। যে নিজের রুপের জালে আমাকে ফাসাতে পারবে। যদিও জানি তুমি এসব বিরত হবে না তবুও কত টাকার বিনিময়ে তো তুমি চলে যাবে…….
আরিয়া: What…. মানে কি বলছেন??? আমি তো আসতে চায়নি আপনি নিজেই ডেকেছেন আমাকে…….
রাজ: yes… আমি তোমাকে ডেকেছি। টাকা নিয়ে এ শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য।
আরিয়া: [ What the hell. এই লোকের মাথায় কি সমস্যা আছে নাকি কি বলছে এসব ] আচ্ছা আপনি কি বলছেন আপনি নিজে বুঝতে পারছেন। টাকা নিয়ে চলে যাব মানে। আরে আপনার সাথে আমার তো কোনো কথাই হলো না। আর এখন টাকার কথা আসছে কিভাবে?? আর শহর ছেড়ে যাব কেন???
রাজ: তোমাদের মত মেয়েকে আমি খুব ভালো করে চিনি। তোমার কি মনে হয় এখানে আমি তোমার সবটা মেনে নেওয়ার জন্য ডেকেছি। You are totally wrong…. জাস্ট এটা দেখানোর জন্য যে তুমি চাইলেও কোনোদিন আমাদের বরাবরি করতে পারবে না।
আরিয়া: Enough is enough Mr. Raj. আমি আপনার কাছে এসেছি cause আপনি নিজে আমাকে এখানে আসতে বলেছিলেন। আপনার ম্যানেজার আমাকে রিকোয়েস্ট করেছিল। নাহলে আমার কোনো ইচ্ছাই ছিল না এখানে আসার। আর কিসব বলছেন আপনি??? আপনি কে বা কি তা জানার কোনো ইন্টারেস্ট আমার নেই…. [ প্রচন্ড রেগে ] আর আপনি চাইলেও আমি আপনার মত অসভ্য লোকের সাথে কথাও বলতে চাই না।
রাজ এবার প্রচন্ড রেগে যায়…..
রাজ: নেহাত তুমি মেয়ে। আর আমি কখনো দুর্বলদের গায়ে হাত তুলি না। নাহলে তোমাকে আর তোমাদের মত মেয়েদের মুখে এত বড় কথার যোগ্য জায়গা দেখিয়ে দিতাম। কারন তোমাদের মত মেয়েদের লোভ এতটাই বেশি যে তারা নিজেদের নিলাম করতেও…..
এবার আর আরিয়া নিজেকে সামলাতে পারে না। আরিয়া প্রচন্ড রেগে রাজকে মারতে যায়। কিন্তু মারে না………….
তারপরের ঘটনা আপনারা জানেন………,
,
,,
,
,
,
,
,
,
,
,এবার পরিচয়ে আসি। আরিয়ান আহমেদ রাজ। দেশের নাম করা AAR Group & Company একমাত্র Owner। দেখতে হ্যন্ডসাম। বয়স ২৭ বছর। একজন পার্রফেক্ট বিজনেসম্যান হওয়ার সুবাধে রাজ সবকিছুই বিজনেস হিসেবে পছন্দ করে। সবকিছুই একটা ডিলের মত। কোনো ঝামেলা রাজের পছন্দ নয়। এজন্য সবটা নিজের মত চায়। শান্ত স্বভাবের রাজ যখন রেগে যায় তখন ওর আসল রুপ প্রকাশ পায়…….
আরিনাত জাবিন আরিয়া। ডাকনাম আরিয়া। আরিয়া হলো ধনী বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে। একমাত্র সন্তান তাই অতিরিক্ত আদর আর ভালোবাসা আরিয়াকে বানিয়েছে জেদি আর একগুয়ে। বলতে গেলে প্রচন্ড রাগী আর ইগোষ্টিক স্বভাবের একটা অবাধ্য মেয়ে। যে নিজের জীদ পুরন করার জন্য সবকিছু করতে পারে। ও নিজের উপর ডিপেনডেন্ট পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। “স্বপ্নময়ী” ফ্যাশন হাউসের মালিক…….. ওর শুধু মাত্র একটাই দুর্বলতা……. [ সেটা পরে জানবেন ]
এবার গল্পে আসি………..
ম্যানেজার: Mey, I coming sir……
রাজ: Coming….. [ ফাইল দেখতে দেখতে কফিতে সিপ দেয় ]
ম্যানেজার: স্যার আমাদের কাজ প্রায় হয়ে গেছে। এখানে সব ডিটেইলস দেওয়া আছে। আপনি দেখে নিন…. [ তখনি রাজের পিএ সাদ আসে ]
সাদ: স্যার আপনি যে মেয়েটাকে আসতে বলেছিলেন সে এসেছে…..
রাজ: কোন মেয়েটা…. [ ফাইল দেখতে দেখতে ]
সাদ: ওই নাফসা নামের মেয়েটা। যে আপনার…..
রাজ: What….. [ বেশ অবাক হয়ে। ] তাহলে একটু আগে যে আমার কেবিনে ছিল……
ম্যানেজার: স্যার ওর নাম তো আরিনাত জাবিন আরিয়া। আজকে যে ” স্বপ্নময়” ফ্যাশন হাউসের সাথে সাথে একটা কন্ট্রাক হওয়ার কথা ছিল তার Ownar……
রাজ: oh my god….
ম্যানেজার: কি হয়েছে স্যার…..
রাজ: আপনি আমাকে আগে বলেননি কেন যে ওনি মিস আরিয়া।
ম্যানেজার: স্যার আমি তো আপনাকে বলেই ছিলাম যে ওনি আসবে। কেন স্যার…..???
রাজ: ওনার সাথে আমাদের ডিলের কি খবর???
ম্যানেজার: স্যার মেয়েটা খুব ট্যালেন্টেড। ওর ডিজাইন গুলো খুব ইউনিক। তাই আমি নিজে ওকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। কিন্তু মেয়েটি আমাকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে ও কারও আন্ডারে কাজ করবে না।
রাজ: what??? [ বেশ অবাক হয়ে ]
ম্যানেজার: Yes sir….. কিন্তু আমি কয়েকবার ওকে বলি। পরে ওর পিএ জানিয়েছে যদি পার্টনারশিপে ওদের সাথে কাজ করা হয় তবেই রাজি। তার পার্রসেন্টিজ কম হলেও সমস্যা নেই তবে কারো আন্ডারে করবে না।
সাদ: জি স্যার। মিস আরিয়া কখনো কারো আন্ডারে কাজ করেনি।
রাজ: Oh i see….
ম্যানেজার: কিন্তু স্যার হয়েছে কি???
রাজ: কিছুনা। কি যেন নাম বললে….
ম্যানেজার: আরিয়া….
রাজ: মিস আরিয়া সাথে আমার মিটিং ফিক্স করাও…..
ম্যানেজার: ওকে…. [ বলে বেড়িয়ে যায় ]
রাজ: মিস. আরিয়া You are most interesting lady…. খুব জলদি তোমার সাথে দেখা হবে। [ বাকা হেশে ]
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এদিকে গাড়ি থাকা সত্ত্বেও রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে আরিয়া। আর রাজের বলা তখনকার কথা গুলো ভাবছে। আরিয়ার কিছুই বুঝতে পারছে না। চোখ দিয়ে অর্নগল পানি পরছে। এতটাই রাগ লাগছে নিজের শরীরে যদি আগুন লাগিয়ে দিত তাহলে হয়ত শান্তি পেত…… এভাবে শান্তভাবে হেটে আরিয়া নিজের বাড়িতে গেল…… কলিং বেল টাপতেই ওর মা দরজা খুলে দেয়……
মা: আরিয়া কিছু হয়েছে তোকে এমন লাগছে কেন???
আরিয়া: ওকে ফোন দেও… [ চোখটা বন্ধ করে ]
মা: কিন্তু……
আরিয়া এবার ওর মায়ের দিকে তাকায়। মেয়ের অবস্থা দেখে ঘাবড়ে যায় ওনি। বুঝতে পারছে কিছু একটা হয়েছে।
মা: হুমম….
আরিয়া আর কোনো কথা না বাড়িয়ে রুমে গিয়ে দরজা লক করে দেয়। রুমে গিয়েই শুরু হয়ে যায় ওর পাগলামি। ঘরে গিয়েই রাজের কথা মনে করে আর সবকিছু ভেঙতে শুরু করে…..
আরিয়া: তোমার সাহস কি করে হয় আরিয়াকে এসব কথা বলার। কি করে হয়….
[ বলেই বিছানার চাদর উল্টিয়ে ফেলে আশেপাশের সব কিছু ছুড়ে মারে। আরিয়া এসব করতে গিয়েই খেয়াল নেই ওর।
শরীরের থেকে জায়গা জায়গা কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত পরছে। ফর্সা শরীরে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে। আরিয়ার এসব পাগলামীর জন্য ওর মা ভয় পেয়ে যায়। খুব খারাপ কিছু হবে। কারন ওনার মেয়েকে ওনি চেনে…..
আর এদিকে…… আরিয়া……
,
,
,
,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]