প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
[ 2nd capter ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr[ Mêhèr ]
Part: 21 + last_part……….
মানুষের জিবনের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। কারন তা সবসময় পরিবর্তনশীল। আজকে আপনি যেখানে দাড়িয়ে দুনিয়াটাকে দেখছেন। একদিন আপনার সামনের দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি আপনার জায়গায় দাড়িয়ে দুনিয়াটা দেখতে পারে। তাই কখনো কাউকে ছোট ভাবা উচিত নয়। কোনো কিছু করার আগে ভাবা উচিত সময় যদি বেইমানি করে তাহলে আপনাকেও হয়তো তার জায়গায় দাড়াতে হবে। যেমন আজ দাড়িয়েছে রাজ………
সেদিনের পর কেটে গেছে আরো সাতদিন। রাজ আইরার দেখা পায়নি না কিন্তু চেষ্টা করেনি। নিজেকে সম্পুর্ন ভাবে ঘর বন্ধি করে রেখেছে রাজ। নাওয়া খাওয়া ভুলে আইরার জন্য শুধু কাদছে। তাই আজ রাজ আইরার কাছে যায় কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এদিকে সেখান থেকে এসে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরেছে রাজ। একদিকে মানসিক দুর্বলতা অন্যদিকে শারীরিক ভাবেও নিস্তেজ হয়ে অসুস্থ হয়ে রাজ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে।
এবার আর সাদ নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। ও নিজে আরিয়ার বাড়ি যায়।
সাদ: আরিয়া মেম….
ইশাদ: সাদ তুমি! আর এভাবে চেচাচ্ছ কেন?
সাদ: আরিয়া মেম কই?
আরিয়া তখন ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে।
আরিয়া: কি হয়েছে? এত চেচামেচি কিসের?
সাদ: আপনাদের সাজা দেওয়া কি শেষ হয়েছে নাকি আরো বাকি আছে??? [ প্রচন্ড রেগে ]
ইশাদ: মানে….
সাদ: মানে…. স্যারকে আর কত শাস্তি দিলে আপনাদের ভালো লাগবে বলতে পারেন।
ইশাদ: তোমার স্যার সেটাই পাচ্ছে যেটা সে ডিজার্ভব করে …
সাদ: তাহলে তো তোমারদের ও একদিন এরকম কিছু আশা করা উচিত।
ইশাদ: মানে….
সাদ: আমি মানছি স্যার তোমাদের দুজনের সাথে অনেক খারাপ করেছে। বিয়েটা থেকে শুরু করে সবটা। তার জন্য ওনি কি অনুতপ্ত হননি। বার বার ক্ষমা চাননি আরিয়া মেমের কাছ থেকে।
আরিয়া:……
সাদ: নিজের ভুলের জন্য প্রায়োশচিত্ত করতে চাননি বলুন। কি হলো আরিয়া মেম ভুলে গেলেন। সেদিন যদি স্যার চাইত তাহলে কিন্তু ইশাদকে মেরে ফেলতে পারত। আর আপনার উপর যেটা হয়েছে সেটা রাগের বসে। আর তার জন্য স্যার আপনাকে মুক্ত করে দিয়েছিল। আর তাই সেদিন আপনি ইশাদের কাছে যেতে পেরেছেন। কি আমি মিথ্যে বলছি??? তার স্বাক্ষী আপনি নিজে।
আরিয়া:…..
সাদ: আর যদি ফিরে আসার কথাই ধরেন। তাহলে ইশাদ আমাকে একটা কথা বলত, তুমি যে স্ত্রীর জন্য পাগল ছিলে সে তোমাকে ছেড়ে আরেকজনের সাথে চলে গিয়ে আবার তোমার কাছে ফিরে আসত তুমি কি করতে??
ইশাদ:…….
সাদ: তুমি কেন যেকোনো পুরুষই সেটা করত যেটা স্যার করেছে। বরং তার চেয়েও খারাপ করত। আর স্যার তো সত্যিটা জানতেন না যে আরিয়া তোমার সাথে ছিল না। ওনি তো জানতেন……. সে যাই হোক।
ইশাদ: তুমি কি তোমার স্যারের গুনোগান করতে এসেছ???
সাদ: নাহহ। খালি এটা বলতে এসেছি। তখন যদি স্যার ভুল হয় তবে আজ তোমরাও ভুল। তোমাদের কাছে তো স্যার খারাপ ছিল তাই করেছে কিন্তু তোমরা কেন করছ…. স্যার তো তোমাদের সুখের রাস্তায় বাধা হয়ে দাড়ায়নি। ওনি শুধু ওনার মেয়েকে ফিরে পেতে চেয়েছে। একবার দেখতে চেয়েছে ওনার মেয়েকে। কিন্তু তোমরা দেখা করতে দেওনি। আমি কেন তোমাদের সাহায্য করেছি কেন জানো? কারন ভেবেছি তোমাদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আরে স্যার যদি সেলফিস হয় তাহলে তোমরাও ত সেলফিস…….
ইশাদ: মুখ সামলে কথা বলো সাদ। যা জানো না তা নিয়ে কথা বলো না তুমি… 😡
আরিয়া: নাহহ…..
সাদ: তোমরা সেইটাই করেছে যা স্যার তোমাদের সাথে করেছ। আমি প্রথমে ভেবেছি হয়ত আইরাকে নিজেদের কাছে রাখলেও আপনারা স্যারের সাথে দেখা করতে দেবেন। কিন্তু দেননি। আপনারা জানেন শুধু মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য স্যার মৃত্যু শজ্জায়ী।
তখনি আইরা আসে….৷ সাদকে দেখে খুশিতে ওকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে….
সাদ: কি হয়েছে আম্মু…..
আইরা: তুমি আমাকে সিংচেনের বাবাইয়ের কাছে নিয়ে যাবে। আমি ওনার কাছে যাব। আম্মু যেতে দেয় না।
সাদ: হুমম আম্মু আমি তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি। তুমি যাবে।
আইরা: হুমম…..
সাদ: চলো….. [ আইরাকে কোলে নিয়ে বেড়িয়ে আসতে ধরে। তখন আবার ফিরে পিছনে তাকিয়ে আরিয়ার উদ্দেশ্য বলে ] আরিয়া মেম স্যার আপনার উপর অন্যায় করলেও ভালোবাসাটা কিন্তু সত্যি ছিল। নাহলে স্যার ৫ বছর শুধু আপনার স্মৃতি আকড়ে থাকতে পারত না। আর ফিরে আসার পর আপনাকে ছেড়ে দেয়নি বরং রেগে ছিল। আর সেটা স্বাভাবিক। আর হ্যা আপনাদের বিয়ের জন্য কংগ্রেস….. [ তারপর চলে যায় ]
আরিয়া: আমার মেয়ে….. [ সাদের পিছনে যেতে চাইলে ইশাদ ওর হাত ধরে। ]
ইশাদ: এবার সত্যি বেশি হয়ে যাবে আরিয়া। আমি আগেই এটাই বলেছিলাম। কিন্তু তুই শুনিসনি। এবার অন্তত রাজের নিজের মেয়ের সাথে দেখা করতে দেওয়া উচিত। আমি খবর নিয়েছিলাম ও আসলেই অসুস্থ।
আরিয়া: আইরা রাজ ভক্ত। ও যদি আসতে না চায়।
ইশাদ: রক্তের টান তুই চাইলেও ছিড়তে পারবি না। নাহলে ভাব একটা মাসের আইরা এতটা ডিপেন্ড হত না রাজের….. বরং আমাদের উচিত রাজকে দেখে আসা। নাহলে যে সত্যি সাদের কথাই সঠিক বলে প্রমানিত হবে…….
তারপরে ওরাও রাজের কাছে যায়। আইরা রাজের রুমে গিয়ে দেখে রাজ শুয়ে আছে।
আইরা: সিংচেনের বাবাই তোমার কি হয়েছে[ ছলো ছলো চোখে৷ ]
কথাটা শোনা মাত্র রাজ দরজার দিকে তাকায়। ও দ্রুত বিছানা থেকে নেমে গিয়ে আইরাকে জড়িয়ে ধরে অজস্র চুমো দিয়ে কাদতে থাকে। আইরা রাজের চোখের পানি মুছিয়ে দেয়।
আইরা: তুমি আবার কাদছো?
রাজ: না বাবাই কাদছি না। তোমাকে দেখে অনেক খুশি তাই হয়ত পানি পরছে। [ আবার ওকে জড়িয়ে নেয়। ] আমাকে ছেড়ে যাস না। আমি নাহলে মরে যাব। [ তখনি আরিয়া সামনে এসে দাড়ায়। ও আরিয়াকে দেখে ভয়ে আইরাকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরে। মনে হয় আরিয়া ওকে নিতে এসেছে। ]
আইরা: মাম্মা এসেছ। [ রাজকে ছাড়িয়ে ] মাম্মা আমি সিংচেনের বাবাইয়ের সাথে থাকব।
আরিয়া:. ……
আইরা: আমি যাব না তোমার সাথে। তুমি পচা শুধু বকো আমাকে… [ রাজকে জড়িয়ে ধরে ]
রাজ: না মামুনি এরকম বলতে হয় না। তোমার মাম্মাম হয় না। আমার চেয়েও ওনি তোমাকে বেশি ভালবাসে তুমি তো আমাকে বলেছ।
আইরা:।।।
রাজ: আমি তো তোমার সাথে থাকব না। মাম্মামই থাকবে তাই এরকম বলবে না। তাইলে কিন্তু আমি কখনো তোমার সাথে কথা বলব না।
আইরা: আচ্ছা। কিন্তু আমি তোমার সাথে থাকব।
রাজ: তোমার যখন ভালো লাগবে তখন এসে থাকবে এখন মাম্মার কাছে যাও।
আইরা: নাহহ….
রাজ: আইরা। আমার কথাও শুনবে না।
আইরা: তাহলে প্রমিস করো আমার সাথে দেখা করতে আসবে। তুমি তো একদিন ও গেলে না। ভুলে গেছ আমাকে।
আজ আরিয়ার দিকে করুন চোখে তাকায়। তারপর মাথা নাড়িয়ে হ্যা সন্মতি দেয়। আইরা আবার জড়িয়ে ধরে রাজকে। এতক্ষনে রাজের তৃষ্ণাত্ব বুক শীতল হয়েছে।
রাজ: আরিয়া ওকে নিয়ে যেতে পারো। আর ধন্যবাদ তোমাকে আইরাকে আমার কাছে আনার জন্য। আর কিছু চাই না শুধু ওকে আমার কাছে মাঝে মাঝে আসতে দিও প্লিজ।
আরিয়া: চল আইরা….
আইরা মাথা নাড়ায়। যাবে না।
রাজ: আইরা….
আইরা: হুমম…..
আরিয়া: চলো…. [ বেড়িয়ে আসতে ধরে ]
রাজ: আরিয়া শোন…
আরিয়া: হুমম….
রাজ: আমাকে বিয়ের দাওয়ার দিবে না।
আরিয়া বেশ ঘাবড়ে যায়।
রাজ: চিন্তা করো না খারাপ চাইব না। যেই ভুল করেছি তা নাহয় এবার শুধরে নিব। তোমাদের দুজনকে এবার এক হতে দেখব। এবার আর দিয়ে চলে আসব না।
আরিয়া আর দাড়ায় না। চলে আসে. তখনি সাদ সামনে এসে দাড়ায়…..
সাদ: একটা মানুষ অন্যায় করলে একবার হলেও তাকে ক্ষমা করতে হয়। তার ভুল শুধরানোর জন্য…..
আরিয়া:.
সাদ: আপনি যদি স্যারের সাথে থাকতে না পারেন তবে জোর করে থাকতে বলব না। অন্তত এইটুকুনি বলব এমন কিছু করবেন না যাতে ওনি কষ্ট পান। কারন যদি মনে করে থাকেন ওনি ওনার শাস্তি পাননি তাহলে ভুল বুঝছেন। বিগত ৫ বছর ওনি মরার মত বেচে ছিলেন। ওনার সাথে আমি ছিলাম তাই আমি জানি প্রতিটি রাত ওনি কিভাবে কাটিয়েছেন???
আরিয়া: সবটার শেষ সুখের হয়না। আর সুখ কখনো পরাধীনতার মাঝে সীমাবদ্ধতা থাকে না। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করা তো পরাধীনতার সামিল..
সাদ:.
আরিয়া: আজ আসি। রাজের খেয়াল রেখ। কারন আমি কখনো ফিরব না।
সাদ আরিয়ার মুখে ওর নামটা শুনে অবাক হয়।
সাদ: হুমম.
আর কথা না বাড়িয়ে চলে যায় আরিয়া।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
৩ দিন পর সকালে রাজ ওদের বাড়ি যায়। কারন আজ ওদের বিয়ে। সকালে গায়ে হলুদ। হলুদের আগেই যায়। গিয়ে দেখে আরিয়া হলুদ শাড়ি পরে তৈরি হয়েছে। তা দেখে রাজ মুচকি হাসে। একটু অবাক ও লাগে ওর বউয়ের আরেকজনের সাথে গায়ে হলুদ……
রাজ: আজ বিয়েতে তুমি ডির্বোস পেপার পেয়ে যাবে।
আরিয়া:……
ররাজ: আরেকটা কথা। পারলে সব কিছুর জন্য ক্ষমা করে দিও। তোমার নতুন জিবনের দান ভেবেই দিও। কোনোদিন কোনকিছুতে হয়ত আমি পার্রফেক্ট নই।
আরিয়া: হুমম।
রাজ: আজ তাহলে আসি….
আরিয়া: বিয়েটা দেখে যান। আমি চাই আপনি বিয়েটা দেখে যান।
রাজ: ওকে…. [ একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ]
,
,
,
,
,
,,
,
,গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ইশাদের গায়ে হলুদ দিচ্ছে। আর ইশাদ বসে বসে পাশে থাকা কাগজ ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে। কারন ওর গায়ে হলুদ আরিয়া দিচ্ছে.।।।।
আরিয়া: এই ছাগলের মত করা বন্ধ কর।
ইশাদ: সত্যি করে বল। এবারো মুগরি বানাচ্ছিস নাতো।
আরিয়া: সময় হলে দেখবি।
ইশাদ: দেখ আগে বলে দিচ্ছি আগের বারের মত ধপ মারছিস নাতো।
আরিয়া: থাপ্পড় খাবি।
ইশাদ: দেখ বইনা আমি সত্যি কইরা বলি এখনো সময় আছে রাজি হয়ে যা। আমি বিয়েটা ক্যান্সেল করি।
আরিয়া: তাহলে মায়রার কি হবে? আমি ওকে কথা দিয়েছি।
ইশাদ: আর আমার টা।
আরিয়া: মায়রা খুব ভালো মেয়ে তুই সুখী হবি।
ইশাদ: হুমম সুখী….( একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে )
তারপর আরিয়া নিজের হাতে ওর গায়ে হলুদ দিয়ে গোসল করিয়ে দেয়। চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে কিন্তু ঠোঁটের কোনে প্রশান্তির হাসি……
রাজ এসব দেখে হতবাক কারন বিয়েটা আরিয়া আর ইশাদের নয় হচ্ছে মায়রা আর ইশাদের….
আরিয়া: আমাকে দেওয়া সেদিনের কথা তোকে রাখতে হবে ইশাদ। তোকে মায়রার সাথে সুখী হতে হবে। আর তোর থেকে এটাই আমার ভালোবাসার প্রতিদান।
ইশাদ: হুমম দেব।
,
,
,
,
[ জানি এখন সবার মেজাজ খারাপ হবে। 🙄🙄🙄 দয়া করে শেষটা….. পরেন… 😥😥😥]
আরিয়া একটা মুচকি হাসি দিয়ে সেখান থেকে ইশাদের থেকে নিজের চোখের পানি লুকাতে বেড়িয়ে আসে………
চলুন সেদিনের ফ্লাসব্যাক কাহিনীতে ঘুরে আসি যখন আরিয়া আর ইশাদ বাগানে বসে কথা বলছিল।
ইশাদ: আমাকে আমার আরি ফিরিয়ে দিবি।
আরিয়া অদ্ভুতভাবে ওর দিকে তাকায়।
আরিয়া: তুই জানিস ইশাদ আমার একটা মেয়ে আছে। কিভাবে বলিস।
ইশাদ: তাতে কি আরি। তোর যা কিছু তা কখনোই আমি আলাদা করে দেখনি। ৫ বছর আগে যদি তুই আমাকে এসে বলতি তখন কি তোকে ছেড়ে দিতাম আর না এখন দিব। তাছাড়া তোর মা বাবাও এটাই চায়। আর আইরাও আমাকে পছন্দ করে।
আরিয়া: এখনো কেন??
ইশাদ: জানিনা তবে চাই তোকে। দিবি আমাকে। তুই কি একটু ভাল থাকতে চাস না……
আরিয়া এবার ইশাদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়…..
আরিয়া: চাই। ভালো থাকতে চাই। আমি আমার আগের লাইফটা ফিরে পেতে চাই ইশাদ। কিন্তু তার জন্য তোকে ঠকতে হবে।
ইশাদ: তুই আমার সবচেয়ে বড় জয় আরি।
আরিয়া: এত ভালো কেন তুই? কেন এত কিছুর পরও চাস। তুই আমার চেয়েও….. [ আর বলতে দেয় না ]
ইশাদ: তোর চেয়ে কাউকে না তোকে চাই।
আরিয়া: হুমম। কিন্তু কি জানিস ইশাদ এখন আর কাউকে সঙ্গী হিসেবে চাই না। আমি এভাবেই ভাল আছি।
ইশাদ: মানে….
আরিয়া: জানিস যখন তুই ছিলিনা তখন ভেবেছিলাম তোকে ছাড়া হয়ত মরে যাব। কিন্তু না লাইফে কারো জন্য কেউ মরে না। তুই ও বেচে আছিস আর আমিও।
ইশাদ: তাহলে সবাই তো এটাই চায়।
আরিয়া: কিন্তু আমি চাই না।
ইশাদ: আরিয়া….
আরিয়া: তুই জানিস আইরা রাজের জন্য কতটা পাগল ওকে নিয়ে আসলেও ও এতদিনেও রাজের জন্য কাদে। বড় হয়ে ও যখন জানতে পারবে ওর বাবার কয়েকটা অন্যায়ের জন্য আমি ওকে শুধরানোর সুযোগ না দিয়েই ওর ছেড়ে চলে গেছি আঙুলটা ওই আমার দিকে আগে তুলবে। কেন ওর বাবাইকে একবার ক্ষমা করলাম না।
ইশাদ: তুই কি রাজের কাছে ফিরতে চাস।
আরিয়া: যদি বলি তাই।
ইশাদ: গেলে আটকাব না।
আরিয়া: আমার একটা কথা রাখবি।
ইশাদ: কি বল???
আরিয়া: তুই মায়রাকে বিয়ে কর।
ইশাদ: আরিয়া.।।। এটা সম্ভব না।
আরিয়া: তোকে করতে হবে। ও তোকে ভালোবাসে.।।।
ইশাদ: কিন্তু আমি তোকে….
আরিয়া: ভালোবাসলেই যে পেতে হবে তার কোনো মানে নেই ইশাদ। #প্রেমাধিকার মানে পাওয়া নয়৷ ভালোবেসে যাওয়া। আর সেটাই সত্যি কারের ভালোবাসা যাতে কোনো চাওয়া থাকে না। যেখানে চাওয়া থাকে তাকে ভালোবাসা বলে না। সেটা শুধু ভোগের নাম। এখন রাজের মত যদি শুধু নিজেদের কথা ভাবি ওর মাঝে আর আমাদের মাঝে তফাত কোথায়? আর আমি স্বার্থপর হতে পারব না।
ইশাদ: চুপ কর আরিয়া। আর পারছি না।
আরিয়া: এটাই সত্যি।
ইশাদ:…..
আরিয়া: ধরে নে এটাই আমার ভালোবাসার দাম। যা তোর থেকে চাইছি দিবি আমাকে।
ইশাদ: এটাই তোর চাওয়া৷
আরিয়া: হুমম….
ইশাদ: তবে তাই হবে। কিন্তু তুই ও রাজের কাছে ফিরবি।
আরিয়া: আগে তুই বিয়েটা কর….
ইশাদ: ঠিক আছে.
বর্তমানে…………..
তারপর আজ ইশাদ আর মায়রার বিয়ে। খুব কষ্ট লাগলেও মনে শান্তি বিরাজ করছে আরিয়ার হ্যা ও ওর কথা রাখতে পেরেছে। দিন শেষে ওদের বিয়েটা কমপ্লিট হয়ে যায়। আরিয়া দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বাইরে গেলেই রাজের সামনে পরে যায়।
রাজ আরিয়াকে টেনে নিয়ে আড়ালে নিয়ে যায়।
রাজ: এসবের মানে কি???
আরিয়া: দেখতেই পারছেন?
রাজ: তুমি….
আরিয়া: হুমম বিয়েটা করিনি। আসলে আমি আপনার মত স্বার্থপর নই। আর কোনো দুর্বল নই যে আমার বেচে থাকার জন্য কাউকে দরকার হবে।
রাজ: মানে.।।।
আরিয়া: আমি ইশাদকে বিয়ে করিনি ঠিকি কিন্তু ভাববেন না আমি আপনার কাছে ফিরে যাব সেটাও সম্ভব না। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে থাকতে চাই। আসলে সবাই ভাবে পুরুষ ছাড়া মেয়েরা অসহায় কিন্তু আমি তা ভাবি না। তাই কাউকে চাইনা আমার। তবে চিন্তা করবেন না আপনার মেয়েকে আমি আপনার থেকে আলাদা করব না। কারন সেটা আপনার অধিকার। তবে একটা কথা কি জানেন আপনি স্বামী, মানুষ হিসেবে ভালো কিছু পাইনি। তবে হ্যা আপনি অবশ্যই একজন ভাল বাবা…. আরেকটা কথা ডির্বোস দেওয়া না দেওয়া আপনার ইচ্ছা। কারন যে বিয়ের কোনো মুল্য আমার কাছে ছিল না। তা ভাঙার জন্য ডির্বোসের দরকারো আমার নেই। যে সম্পর্ক গড়ে উঠেনি, যে সম্পর্ক ছিল না তা মানা না মানাতে কিছুই যায় আসে না।
রাজ: আমি.।।।
আরিয়া: আমার আর কিছু বলার নেই। যা বলার বলেছি। [ তারপর সেখান থেকে চলে যায় আরিয়া ]
সেদিনের পর প্রায় ২ বছর পার হয়ে যায়। আরিয়া এখন সম্পুর্নভাবে স্বাধীন সেল্ফডিপেনডেন্ট একজন নারি। ও নিজের বাবা মায়ের কাছে থাকে। আর আইরা আরিয়ার কাছেই আছে। তবে রাজ প্রতিদিন ওর মেয়ের কাছে যায়। ওদের এই সেপারেশন আইরার উপর যাতে প্রভাব না ফেলে সে ব্যাপারে সচেতন ও। তবে ওদের ডির্বোস হয়নি। আজ আইরার ৬ বছর পুরন হয়েছে। তাই ওরা সবাই একটা অনাথ আশ্রমে এসেছে……..
ইশাদ: তুই আবার আমাকে মুরগী করে দিলি। আমি জীবনেও ভুলব না😡😡
আরিয়া: হুমম। মুরগী না মোরগ করেছি। 😁😁
ইশাদ: আচ্ছা সেদিন আমাকে বিয়ে করলে কি হত। তুই তো রাজের কাছে ফিরলি না শুধু শুধু ওই শাকচুন্নিকে গলায় ঝুলিয়ে দিলি। আর বলছিস আমি সুখি থাকব।😭
মায়রা: কিছু বললে তুমি ইশাদ….
ইশাদ: ওরে নারে…. সাদ আমি আসছি তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাব। [ চলে যায় ] বাচা গেল….
মায়রা: ইশাদ…. 😡😡😡
এটা দেখে আরিয়া মুচকি হাসে….
মায়রা: কি গো আমার বর এখনো তোমার কাছে আমার নামে বিচার দেয়।
আরিয়া: ওর কথায় রাগ করো না।
মায়রা: রাগ না হিংসে হয় তোমাকে। আমার মনে কোনো ক্ষোভ নেই। তবে তুমি খুব ভাগ্যবতী। ইশাদ আমার প্রতি কোনোদিন অবহেলা করে না। কিন্তু ওর মুখে তোমার নাম। আর এমনিতেও কৃতজ্ঞ তোমার উপর তোমার জন্যই আমি ওকে পেয়েছি।
আরিয়া: ভাগ্যবতী আমি না তুমি।ওর মত মানুষ জিবনে পাওয়া সহজ নয়। ও সত্যি তোমাকে খুব সুখি রাখবে দেখ। শুধু ওকে একটু বেশি ভালবেস। ভাগ্যের দোষে আমি হারিয়েছি ওকে….
মায়রা: হুমম……..
তখনি রাজকে দেখতে পায় মায়রা। রাজ এসে দাড়াতেই মায়রা চলে যায়। হঠাৎ চলে যাওয়ার কারন ভেবে পায় না। আরিয়া তাই নিজের পিছনে ফিরে আসতে নেয় তখনি রাজের মুখোমুখি হয়ে যায়….
রাজ: কেমন আছো?
আরিয়া: সবসময় যেমন থাকি তেমনি আছি।
রাজ: হুমম তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা আইরা তো এখন তো কিছুদিন তোমার কাছে থাকবে।
আরিয়া: হুম। এমনিতে আমার চেয়ে আপনার কাছেই তো বেশি থাকে। [ চলে আসতে নেয় ]
রাজ: আরিয়া…..
আরিয়া: কিছু বলবেন???
রাজ: একটা বার কি আমাদের সম্পর্ক টা নিয়ে ভাবা যায় না।
আরিয়া: কিছু সম্পর্ক থাকে যার কোনো নাম হয় না আর কিছু সম্পর্ক থাকে যা নাম থেকেও বেনামী। আমাদের সম্পর্কটা থেকেও বেনামী।
রাজ: এভাবে সারাজিবন থাকতে পারবে। একটা মানুষ কিভাবে.।।।
আরিয়া: ভালোই তো আছি। আর আমি তো আপনাকে বলিনি একা থাকতে আপনি আপনার জীবন সাজাতেই পারেন। আমি তো মানা করিনি। নামমাত্র যে বন্ধন আছে তা চাইলে ছিড়ে ফেলতে পারেন।
রাজ: আজও তুমি বদলালে না।
আরিয়া: হুমম। আর চাই ও না। আর এমনতো না আপনার সাথে অন্যায় করেছেন। আপনি সেদিন আমার উপর নিজের অধিকার ছেড়ে দিয়েছেন যেদিন ইশাদের কাছে যেতে দিয়েছিলেন। আর যে অধিকার আমার দেওয়া দরকার ছিল আপনি যা চেয়েছেন সেটা তো আমি আপনাকে দিয়েই দিয়েছি রাজ আপনার মেয়ে….. ওকেই ত শেষবার চেয়েছিলেন।
রাজ: মানুষের চাওয়ার কি শেষ থাকে আরিয়া।
আরিয়া: ঠিক তাই মানুষের চাওয়ার শেষ থাকে না। আর তাই তা পুরন করার বৃথা চেষ্টা করতে যাব না। আমার যা দেওয়ার কথা দিয়ে দিয়েছি। আপনি কি আইরাকে পেয়ে সন্তুষ্ট নন….
রাজ: হুমম…..
আরিয়া: আমি আসছি…… [ চলে যায় ]
রাজ: হয়ত তোমাকেও চাই। আইরাকে পেয়ে আমি জীবনের কারন পেয়েছি। কিন্তু আমার বাচার স্বাদ তো তুমি আরিয়া। হয়ত কোনোদিন তোমার কাছ থেকে চাইতে পারব না। কিন্তু নিজের মনে তো করে তো তোমাকে ভাবতেই পারি…….
রাজের সামনে থেকে আসতেই আরিয়া সাদের সামনে পরে যায়……
সাদ: আরিয়া মেম…. আরিয়া মেম….
আরিয়া: হ্যা সাদ বলো…..
সাদ: মেম এভাবে একা একা আর কতদিন থাকবেন। দেখুন না আপনাদের জন্য আমি বিয়ে করতে পারছি না😥😥😥
আরিয়া: 🤣🤣 তোমার ভাগ্যে কি মেয়ে নেই। নাকি তোমার এখন স্যারের অবস্থা হয়েছে।
সাদ: আসলে স্যারের সাথে থেকে থেকে এই প্রেম ভালোবাসা আমার কেমন জানি ভয় লাগছে। না জানি যাকে বিয়ে করব সে এসে না বলে আমি অন্যকাউকে ভালোবাসি😐😐
আরিয়া: বলবে না। তুমি নিশ্চিত থাকে….
সাদ: সত্যি কি মেম স্যারকে মেনে নেওয়া যায় না। অনেক তো হলো।
আরিয়া: জানোত। আমার লাইফের একটা ব্যাক্তি দেখছি যে কখনো একদিক নিয়ে ভাবেনি। সবার স্বার্থ দেখেছে আর সে হচ্ছে তুমি। আর যদি একসাথে থাকার কথা বলো তাহলে বলব চাইলে একসাথে থাকতেই পারি। কিন্তু তাতে কি মনের দুরত্ব কম হবে। একটা কথা মনে রেখ ইশাদ সম্পর্ক থাকলে সেটা একসাথে থাকতে হবে সেটার মানে নেই
ভালোবাসা মানে একসাথে থাকা নয়। আর না বিয়ে মানে সবটা মেনে নেওয়া। সম্পর্ক পুরোটা মনের ব্যাপার…….
সাদ: হুমম…..
আরিয়া: এদিকে দেখ…. ইশাদ কিন্তু মায়রার সাথে ভালো আছে। হয়ত অতীত ঘাটলে দুএকটা দীর্ঘ শ্বাস বের হবে। আর কিছু না। আসলে কেউ কারো জন্য মরে যায় না। সবাই বেচে থাকে। আর তোমার স্যারকে যদি দেখ তাহলে সে বুঝতে পেরেছিল আমি তার কাছে ফিরব না। তাই সে নিজের মেয়েকে নিয়ে সুখী হতে চেয়েছে……..
সাদ: সবার লাইফে কাউকে না কাউকে প্রয়োজন মেম।
আরিয়া: হুমম…. ইশাদ মায়রার মত একটা লাইফ পার্টনার পেয়েছে যার কাছে ইশাদ ওর জিবন নয় জিবনের মানে। আমি চাইলে হয়ত ওকে এতটা সুখে রাখতে পারতাম না। কিন্তু মায়রা সেটা পেরেছে। ইশাদকে ওর পাপ্ত ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়েছে……
সাদ: তাহলে কি সারাজিবন একাই থাকবেন।
আরিয়া: একা কেন থাকব? আমার মেয়ে আইরা আছে তো। আর একটা মেয়ের বেচে থাকার জন্য একটা ছেলেকে কি বেশি দরকার। মানছি নারী পুরুষ একে অপরের পরিপুরক। কিন্তু কি জানো যখন সম্পর্ক শান্তির বদলে জীবন বিষিয়ে তোলে তখন সেটা থেকে মুক্তি পাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ……
আর কোনো কথা বাড়ায় না আরিয়া। ও চলে আসে……… তারপর চারপাশের দিকে তাকিয়ে আশেপাশে দেখতে থাকে। আজ সবাই ভালো আছে। ইশাদ মায়রাকে নিয়ে, রাজ তার মেয়েকে নিয়ে। আর আরিয়াও ভালো থাকবে। হুমম মাঝে মাঝে দীর্ঘ শ্বাসে অতীতটাকে স্মরন করবে। তবে সময়ের সাথে সাথে সবাই একদিন নিজেদের লাইফ নিয়ে বিজি হয়ে যাবে। আর এটাই নির্মম বাস্তব। কারন এখানে কারো জন্য কেউ অপেক্ষা করে ঠিকি কিন্তু কেউ মরে যায় না। সবাই বেচে থাকে।
ভালবেসে ভালোবেসে যাওয়াটাই প্রেমাধিকার। যারা নিরবে ভালোবাসে তাদের ভালোবাসাই সত্যি। প্রকাশ করে আর যাই হোক ভালোবাসা হয় না। কাউকে জোর করে চাইলে পাওয়া যায়। কিন্তু তা প্রেমাধিকার নয়। না পেয়েও প্রেমাধিকার অর্জন করা যায়। প্রেমাধিকার অর্জন করতে হয় ভালোবেসে। ভালোবাসা কোনো প্রোসেস নয় যে একজন থেকে আরেকজনের উপর সিফট হবে। আর বিয়ে কোনো খেলনা নয় যা চাইলেই শেষ করা যায়। এটা আল্লাহ তায়ালার পবিত্র সম্পর্ক।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
সমাপ্তি………..
আমি এই গল্পটা নিয়ে এতটা ফ্রাস্ট্রেটেড। যে শেষ পরবে কি না কি দিয়েছি জানিনা। তাই দয়া করে ভুল হলে মাফ করবেন। আর এইকারনেই আমার গল্প দিতে লেট হয়েছে। কারন এটার শেষ লেখার মত মানসিকতা ছিল না। বাধ্য হয়েই লিখেছি। তাই কেমন হয়েছে বলতে পারছি না।
#আজ প্রেমাধিকার শেষ। প্রেমাধিকার গল্পটা লিখতে আমি যতটা প্রবলেম ফেস করেছি এখন পর্যন্ত কোনো গল্পেই এমন হয়নি। কতবার যে ভেবেছিলাম স্টপ করে দিব হিসেব নেই। কিন্তু শেষ মেশ বেশ কিছুটা অভিমান করেই শেষ করেছি।
তবে এই গল্প থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এটা বুঝলাম যে মানুষের কত রকমের চাওয়া। কত আলাদা সবার ভাবনা। কারো কাছে যেটা ভুল আরেকজনের জনের কাছে সেটা সঠিক৷ আর প্রত্যেকের কাছে নিজের মত যুক্তি আছে নিজের কথা প্রুভ করার জন্য। আমি এই ধারনাটা আমার অন্যান্য গল্পে কাজে লাগাব। আপনাদের এক্সপেকটেশন বুঝতে কতটুকু পেরেছি জানিনা। তবে যতটুকু পেরেছি ততটুকু অনেক বকা শুনে পেরেছি। তবে রাগ করিনি। আপনারা ভুল ধরিয়েছেন তাই আমি শিখেছি।
গল্পের চরিত্র নিয়ে কিছু কথা…..
আরিয়া: এই গল্পে আরিয়া অন্যতম প্রধান চরিত্র। ছোটবেলা থেকে ইশাদকে ভালোবাসে। শুধু ভালোবাসা বললে ভুল হবে ওর জিবন ছিল ইশাদ। কিন্তু রাজের কারনে না নিজের ভালোবাসা পায়। ও কখনো কিছুর সাথে আপোস করেনি। হার মানেনি কিন্তু যখন নিজের সন্তানের সমস্যা হলো তখন আরিয়ার মাতৃত্ব বাধ্য করেছে ওকে হার মানতে। নাহলে ও একাই নিজের সন্তান মানুষ করতে পারত। হয়ত কষ্ট হত। এতকিছুর পর ইশাদ ফেরে তখন ও চাইলে ওকে বিয়ে করতে পারত কিন্তু করেনি কারন ইশাদ ওর ভালোবাসা হলেও রাজ ওর স্বামী ছিল। হয়ত রাগের জন্য বুঝতে দেয়নি কিন্তু বাঙালি নারী বলে কথা। তাই রাজের অন্যায়ের কারনে রাজের সাথে থাকেনি কিন্তু ও রাজকে শাস্তি দিয়েছে কিন্তু স্বার্থপর হয়নি। ও দেখেছে রাজ যেমনি হোক একজন ভালো বাবা সে। তাই ফিরিয়ে দিয়েছে মেয়েকে। আর ইশাদের সাথে হয়ত অন্যায় করেছে ওকে মিথ্যে বলে অন্য মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে যাতে ইশাদের ভালো ছিল।
এখানে আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি মাতৃত্বের কাছে সব মেয়েরা দুর্বল হয়ে সবটা করতে পারে। কিন্তু পারে না দুর্বল হতে। কারন মেয়েরা দুর্বল, নারীরা অসহায় কিন্তু একজন মা সবসময় সবল। কারন আরেকজনের দায়িত্ব তার উপর। আর মা হবার কারনে একজন অন্যায়কারীর সাথে থাকতে হবে এটা ঠিক না। দুরত্ব সবসময় ডির্বোসে হয় না কারন সেটা একটা প্রোসেস যা মানুষের মনের দুরত্ব তৈরি করতে পারেনা।
##রাজ: একটা নেগেটিভ চরিত্র। যত অন্যায় সব ওর। কিন্তু আপনারা বলেছেন আমি ওর সার্পোট করছি। দেখুন প্রতিটি মানুষের চিন্তা ভাবনা আলাদা। আর রাজের মতটাও আমার দেওয়া উচিত নয় কি। এমন তো না ওকে কোনো কষ্ট দেয়নি। আপনারাই ভাবুন বিয়েটা যেভাবেই হোক। যখন ভালোবাসার মানুষ আরেকজনকে চায় কষ্ট কিন্তু সবাই পায়। কেউ শইতে পারে কেউ পারে না।
###ইশাদ: দেখুন ইশাদ হলো এই গল্পের আরেকজন। আপনারা হয়ত ভাবতেই পারেন ইশাদের মত মানুষ অনেক কষ্ট পেয়ে যায় সারাজিবন। কিন্তু এটা একদম ভুল। আল্লাহ সবার কাজের পুরুষ্কার দেন। জিবনের হিসেব যদি মেলান তাহলে দেখবেন এসব মানুষ প্রথমে জিবনে কষ্ট করলেও এদের লাইফ সবচেয়ে বেশি পুর্নতা পায়। কিন্তু হ্যা অতীত যখন সামনে আসে তখন কিছুটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে যায়……..
#সাদ: সাদ ছিল এই গল্পের ভালোলাগার মত একটা চরিত্র। ওই একমাত্র যেকিনা সব সময় নিরপেক্ষভাবে সবটা দেখেছে। আর আমি নিজের কথা গুলো ওর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছি। কখনো ও রাজের, কখনো ইশাদের কখনো বা আরিয়ার। একটা মিশ্র চরিত্র ছিল ওর। যে অন্যায় দেখে চুপ থেকেছে কিন্তু সেটা সহ্য করেনি কিন্তু তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা ঠিকি করেছে
শেষ কথা লাইফে ভালোবাসা পায় কয়জন। ভালোবাসা মানে যদি একসাথে থাকা হয়। তাহলে I am sorry…. আমি এরকমটা বিশ্বাস করি না। এটা একটা অনুভূতি। যেটা আপনার মনে যতদিন থাকবে ততদিন ভালোবাসা স্থায়ী…..
আর সম্পর্ক তো মানুষ তৈরি করে না। করে আল্লাহ। তবে আল্লাহ এটাও বলেছেন বিচ্ছেদের কথা। কিন্তু সেটা সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল কাজ। তাই আমি এটা করিনি। তবে মানুষের মনের উপর কারো জোর নেই।
তবে আমি যদি ইশাদের সাথে মিল দিতাম তাহলে ওরা স্বার্থপর হয়ে যেত। আর যদি রাজের সাথে দিতাম তাহলে সেটা হয়ত এক তরফা বাধ্যতা হয়ে যেত। তাই আরিয়াকে একাই রেখে দিলাম। কারন ওর বেচে থাকার জন্য ওর সম্বল আইরা আছে। আর আমি বিশ্বাস করি একটা নারীর সবচেয়ে বড় সম্বল তার সন্তান। আর যার জন্য সে সব করতে পারে। কারো সাহায্য দরকার নেই।
অনেকেই এর বিরোধিতা করতে পারেন। হুমম সেটা যার যার দৃষ্টি ভঙ্গি। আর দৃষ্টিভঙ্গী কখনো ভুল হয় না। সেটা সবার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
# এই গল্পটা লিখতে আমার সত্যি খুব বেশি কষ্ট হয়েছে। আমি এমন গল্প আরো কোনো😭😭😭😭 মাফ চাই। তাই শেষ পার্ট লিখতে এত কষ্ট হয়েছে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। যদি ভুল বলি মাফ করবেন।