#Dangerous_Crazy_Lover_💓.
#Sumaiya_Moni.
#Part-8 .
কিন্ত বিদ্যুত এটা ভেবে খুশি ছিল আরিয়াকে ফিরে পেয়েছে এটাই ওর কাছে বেশি।
ওরা বাসায় এসে পড়ে।
আরিয়া কে বিদ্যুত হাত ধরে টেনে নামায়। আরিয়া তো আগের মতো বক বক ও গালা গালি করছে বিদ্যুত কে। বিদ্যুতের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আরিয়ার উপর । কিন্ত নিজেকে যথেষ্ট পরিমান সান্ত রাখার চেষ্টা করছে । আরিয়া কে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসিয়ে তার অপর পাশে বিদ্যুত বসলো। বিদ্যুতের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে । এতো বক বক করা মেয়ে বিদ্যুত আগে কখনোই দেখেনি।
আরিয়া: আমার কুকুর ছানা কোথায়??…..[ চিল্লিয়ে ]
বিদ্যুত : তুমি কুকুর ছানা পাবে না। আমি কুকুর লাইক করি না।…….[ কিছুটা রেগে ]
আরিয়া: আপনার লাইক দিয়ে আমার কি আসে যায়! আমাকে আমার কুকুর ছানা এনে দিন।
বিদ্যুত এবার রেগে আরিয়া কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওর ফোন বেজে উঠল।
বিদ্যুত: হ্যালো…….ঠিক আছে আমি আসছি।….[ ফোন কেঁটে দিল ] রবিন রবিন,….
রবিন: জ্বী স্যার ?
বিদ্যুত: আমাকে অফিসে যেতে হবে। তুই আরিয়ার খেয়াল রাখিস । ওর যেন কোন ক্ষতি না হয়। বেশি পাগলামি করলে আমাকে ফোন দিবি।
রবিন: জ্বী স্যার ।
বিদ্যুত চলে যায় ওর অফিসে ।
আরিয়া: ওই…এখানে আয়?….[ রবিনের উদ্দেশ্যে বললো ]
রবিন: জ্বী ম্যাম বলুন।
আরিয়া: তোর বই কোথায় ? পড়তে বসবি না?
রবিন : মানে কিসের বই? কিসের পড়া?……[ মাথা চুলকিয়ে বললো ]
আরিয়া: আচ্ছা আমি তোর কী হই?
রবিন: ম্যাম ।
আরিয়া: ম্যাম মানে কী?
রবিন: ম্যাডাম ।
আরিয়া: ম্যাডাম রা কী করে?
রবিন : ম্যাডাম রা তার ছাএ-ছাত্রী দের বই পড়ায়।
আরিয়া: তাহলে তোর বই কোথায়?
রবিন: আপনি আমার ম্যাম না তো?
আরিয়া: তাহলে একটু আগে আমাকে ম্যাম বলে কী তোর দাদা ডেকেছে?
রবিন হা করে তাকিয়ে আছে । কথাটা কে কোথা থেকে কোথায় ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিয়ে গেল সেটাই ভাবছে। .
আরিয়া: আবার যদি ম্যাম বলে ডাকিস,তাহলে তোর করুন হাল করে দেবো হুহহ….।
রবিন: তাহলে কী বলে ডাকবো?
আরিয়া: আপু বলে ডাকবি।
রবিন: আচ্ছা ম্যা…মানে আপু।
আরিয়া: হুমম!.নে এবার আমার কুকুরের ছানা এনে দে?
রবিন: কুকুরের ছানা কোথায় পাবো আপু?
আরিয়া: কানে কানে একটা কথা শোন?
রবিন আরিয়ার একটু কাছে গিয়ে কান সামনের দিকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াল ।
আরিয়া খপ করে রবিনের চুল গুলো ধরে জোরে জোরে টানতে লাগলো।
আরিয়া: কোথায় পাবি সেটা আমি কী করে বলবো? আমার কুকুরের ছানা এনে দে আর না হলে তোর মাথার চুল একটাও থাকবে না।……[ জোরে জোরে টানছে আর বলছে ]
রবিন: আহহহ…আপু আমার লাগছে,ছেড়ে দিন প্লিজ আমি আপনাকে কুকুরের ছানা এনে দেবো।
আরিয়া: এখন এনে দিবি বল?……[ চুল ধরে টেনে ]
রবিন : আচ্ছা আচ্ছা এখন এনে দিব…তারপর ও চুল ছেড়ে দিন।………[ করুন স্বুরে ]
আরিয়া: যা ছেড়ে দিলাম।
রবিন আরিয়ার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে নিজের চুল ঠিক করতে লাগলো।
আরিয়া: ওই তোর নাম কী রে?
রবিন: র…রবিন ।
আরিয়া: আচ্ছা রবিন আমার কুকুর ছানা নিয়ে আয় যা ।
রবিন: আচ্ছা…..[ বলেই দৌড় ]
রাতে……
বিদ্যুত বাসায় এসে দেখে আরিয়া কুকুরের বাচ্চা নিয়ে খেলা করছে। কুকুরের বাচ্চাটি কে আদর করছে। এটা দেখে ওর রাগ চড়ম পর্যায় উঠে যায় । রাগে ফোস ফোস করে আরিয়ার কাছে গিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই রবিন বলে উঠল।
রবিন: স্যার স্যার প্লিজ কিছু বলবেন না। আরিয়া আপু অনেক জোর করছিল তাই নিয়ে এসেছি কুকুরের বাচ্চাটিকে।……[ ভয় ভয় বললো ]
বিদ্যুত রাগি ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রবিন: আর স্যার আপনাকে কিছু কথা বলার ছিল,যদি শুনতেন।
বিদ্যুত : কী বলবে বল?
রবিন: একটু সাইডে আসুন।
বিদ্যুত ও রবিন একটা দূরে গেল।
রবিন বিদ্যুত কে সব বুঝিয়ে বললো। বিদ্যুত কিছুক্ষন ভেবে বললো।
বিদ্যুত : ঠিক আছে কালকে ওদের কে এই বাসায় আনার ব্যবস্থা কর।
রবিন: ওকে স্যার ।
বিদ্যুত কিছুক্ষন আরিয়ার দিকে তাকিয়ে উপরে চলে গেল। ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আরিয়ার পাশে বসলো। বিদ্যুতের রাগ হচ্ছে আরিয়ার হাতের কুকুরের বাচ্চাকে দেখে,তারপর ও নিজেকে সান্ত রাখছে।
বিদ্যুত: আরিয়া কুকুর ছানা টির নাম কী দিবে?…..[ কিছুটা গম্ভীর গলায় ]
আরিয়া: টিংকু…..।
বিদ্যুত: এটা আবার কেমন নাম।…..[ কিছুটা রাগী কন্ঠে ]
আরিয়া: কোন সমস্যা?
বিদ্যুত: ওর নাম পাপ্পি রাখো।
আরিয়া এবার চুপ হয়ে যায় স্লো মোসনে ঘাড় ঘুরিয়ে বিদ্যুতের দিকে তাকায়।
আরিয়া: ওর নাম টিংকু তো টিংকুই। আর কোন কথা আছে। …….[ কিছুটা রেগে ]
বিদ্যুত : না।
আরিয়া: তাহলে মুড়ি খেতে থাকেন।
বিদ্যুত রেগে গেল। কিছু বলতেও পারছে না। উঠে চলে গেল ওর রুমে ।
.
.
.
রাতের ডিনার শেষ করে ঘুমতে যাবার সময় আরিয়া চিল্লিয়ে বাড়ি এক সাথ করলো।
আরিয়া: আমি আপনার….. ওই আপনার নাম কী?
বিদ্যুত: বিদ্যুত আরিয়ান চৌধুরী…[ রেগে ]
আরিয়া: আচ্ছা শুনেন উদ্যুত…..।
বিদ্যুত: বিদ্যুত! উদ্যুত না আরিয়া….[ রেগে ]
আরিয়া: বিদ্যুত আর উদ্যুত একি। যাই হোক …..আমি আপনার সাথে এক বিছানায় ঘুমাবো না।
বিদ্যুত : তুমি আমার সাথেই ঘুমাবে।
আরিয়া: কেন রে….আপনার বউ,বোন,খালা,চাচি,মামি,কাকি,ফুপি কিছুই লাগি না আমি তাহলে?
বিদ্যুত: আরিয়া স্টপ….। চুপ চাপ শুনে শুয়ে পড়। আর না হলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না। …….[ রাগী কন্ঠে ]
আরিয়া: আপনি কী খারাপের দোকান খুলে বসেছেন নাকি? যদি খুলে বসে থাকেন তাহলে বলেন। খারাপ কত প্রকার? ও কী কী? এবং দেখতে কেমন? কালো,সাদা,হলুদ,নীল,লাল,বেগুনী,গোলাপি,মদামদা কালার,বিলাতি কালার,খাই খাই কালার,নোনতা কালার কোনটা?……..[ হাতে গুনে গুনে বললো ]
বিদ্যুত চোখ বন্ধ করে রাগ কন্ট্রোল করছে। ওর মন চাইছে আরিয়ার গালে দুটো চড় বসিয়ে দিতে।
আরিয়া: চোখ বন্ধ করে কী মন্ত্র পড়ছেন? নাকি ভাবছেন খারাপ কোন রঙের?
বিদ্যুত আরিয়ার দুই বাহু চেপে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিল ।
বিদ্যুত: আর একটা কথা বললে বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিব।…..[ রেগে ধমক দিয়ে ]
আরিয়া কিছুটা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায় ।
আরিয়ার অপর পাশে বিদ্যুত শুয়ে পড়ে।
কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে যায় ওরা।
সকালে….
আরিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে বিদ্যুত নেই। পাশে দেয়ালে টাঙালো বিদ্যুতের ছবির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । বিদ্যুত ওয়াশরুম থেমে বের হয়ে দেখে আরিয়া ঘুম থেকে উঠে ওর ছবির দিকে তাকিয়ে আছে । বিদ্যুত মুচকি হেসে বললো।
বিদ্যুত: গুড মরনিং মাই কুইন!!
আরিয়া: হু মরনিং উদ্যুত….।
বিদ্যুত নামটা শুনেই আরিয়ার দিকে রাগি চোখে তাকায়।
আরিয়া: রাগ করেনা কদ্যুতি…রাগের মাএা জানো কী? রাগ করে শুধু বিদ্যুতি…….গানটা কেমন হইছে?…[ হেসে ]
বিদ্যুত চোখ বন্ধ করে রাগ কমানোর চেষ্টায় আছে। আরিয়া বিদ্যুত কে চোখ বন্ধ করতে দেখে বললো।
আরিয়া: আচ্ছা চোখ বন্ধ করে কী এতো মন্ত্র পড়ছেন? আমাকে একটু বলুন না?
বিদ্যুত: আরিয়া সাট আপ……[ চিল্লিয়ে বললো ]
আরিয়া বিদ্যুতের চিৎকার শুনে চুপ হয়ে যায়।
বিদ্যুত: যাও ফ্রেশ হয়ে আসো…..[ নিজেকে সান্ত করে নরম স্বুরে বললো ]
আরিয়া ফ্রেশ হতে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে নিচে নামতে লাগলো । নিচে নেমে দেখে দুটো মেয়ে সোফায় বসে আছে। আরিয়া মেয়ে দুটোর সামনে গিয়ে বললো।
আরিয়া: কে?
মেয়ে দুটো ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আরিয়ার দিকে ।
আরিয়া: কে তোমরা?
–আমি লিলি আরিয়া! তুই আমাকে চিনতে পারছিস না?
–আর আমি রাইমা, ভালো করে দেখ আমাদের।
আরিয়া: আমি আপনাদের কিভাবে চিনবো?
লিলি: আমরা তোর বান্ধবি..।
রাইমা: মনে করার চেষ্টা কর।
আরিয়া: আরে কী মনে করবো হ্যাঁ?
বিদ্যুত ওর হাতের ইশারায় লিলি ও রাইমা কে থামিয়ে দিল । ওরা দুই জন বিদ্যুতের হাতের ইশারা পেয়ে থেমে যায়।
বিদ্যুত : আরিয়া খেতে আসো?….[ গম্ভীর কন্ঠে ]
আরিয়া টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়ে ।
বিদ্যুত: তোমরা দুই জনও বস?
লিলি ও রাইমা তাড়াতারি করে বসে যায় টেবিলে। লিলি ও রাইমা খাচ্ছে ওর আরিয়ার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে। আরিয়া যে ওদের চিনতে পারছে না সেটা ওরা বুঝে গিয়েছে । ওদের কাছে খুব খারাপ লাগছে। প্রিয়া বান্ধবি হয়ে আজ ওদের কে ভুলে গিয়েছে এটা ভেবে।
কিছুক্ষন আরিয়ার বাবা,মা বোন আসে বিদ্যুতের বাসায়। বিদ্যুতের প্রচন্ড রাগ হয় তাদের কে দেখে । আরিয়ার মা এসে আরিয়ার কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।
আরিয়ার আম্মু: তুই ভালো আছিস মা?
মারিয়া: কেমন আছিস আপু?
রাজু হোসেন: আমাকে চিনতে পারছিস মা।
আরিয়া তাদের কাছ থেকে কিছুটা দূরে সরে বললো।
আরিয়া: আপনারা কারা?
আরিয়ার মা এই কথা শুনে মুখে কাঁপড় চেপে কান্না করছে। নিজের মেয়ে হয়ে তার আপন বাবা,মা,বোন কে চিনতে পারছে না।
আরিয়ার: আরিয়া আমি তোর মা। আমাকে চিনতে পারছিস না তুই?
মারিয়া: আপু আমি মারিয়া.. তোমার ছোট বোন। ভালো করে দেখো আমাকে।
আরিয়া মনে করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না । আরিয়ার মাথায় চাপ পরার কারনে আরিয়া অজ্ঞ্যান হয়ে পড়ে যেতে নিলে বিদ্যুত এসে আরিয়া কে ধরে ফেলে।
বিদ্যুত: গেট আউট…..বেরিয়ে যান আমার বাড়ি থেকে। আপনাদের জন্য আরিয়া অজ্ঞ্যান হয়ে গেছে । আর ভুলেও আমার বাসায় এসে এমন ফ্যামিলি ড্রামা করবেন না। আউট…….[ রেগে ]
রাজু হোসেন: আরিয়া কে আমার সাথে করে নিয়ে যাবো।
বিদ্যুত: একবার বলেছেন! দ্বিতীয় বার যেন এই কথা আপনার মুখ থেকে না শুনি। আরিয়া আমার কাছেই থাকবে। আরিয়া আমার ভালোবাসা । বেরিয়ে যান আমার বাড়ি থেকে।……..[ চিৎকার দিয়ে বললো ]
বিদ্যুত কতটা খারাপ সেটা রাজু হোসেন জানে,তাই কথা না বাড়িয়ে মনের মধ্যে চাপা কষ্ট নিয়ে বেড়িয়ে গেল। বিদ্যুত আরিয়া কে পাজরা করে উঠিয়ে উপরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল । আরিয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে কঁপালে চুমু এঁকে দিয়ে চলে যায় অফিসে। লিলি ও রাইমা আরিয়ার রুমে আসে । এসে দেখে আরিয়া অজ্ঞ্যান অবস্থায় শুয়ে আছে। লিলি ও রাইমা কে এই বাসায় নিয়ে আসার কথা রবিন বলেছে। হয়তো ওদের সাথে থাকলে পুরনো দিনের কথা বললে আরিয়ার স্মৃতি ফিরে পেতে পারে। ওরা দু জন আজ থেজে এখানেই থাকবে। লিলি আরিয়ার চেহারায় হালকা পানি ছিটিয়ে দিল। আরিয়ার জ্ঞ্যান ফিরে আসে । মাথায় হাত দিয়ে উঠে বসে।
আরিয়া: কী হয়ে ছিল আমার?
লিলি: কিছু না। আমার দিকে তাকা আরিয়া,আমাকে তুই নিচতে পারছিস না। আমি লিলি। তোর বেস্ট ফ্রেন্ড ।
আরিয়া মাথায় হাত দিল। ওর মাথায় হালকা ব্যাথা করছে।
রাইমা: লিলি চুপ…. আচ্ছা আরিয়া আমরা কী ফ্রেন্ড হতে পারি?
আরিয়া:হ্যাঁ ।
রাইমা: তাহলে আমরা আজ থেকে ফ্রেন্ড, ঠিক আছে ।
আরিয়া : হুমমম…..এখন সর আমাকে যেতে দে,টিংকুর সাথে দেখা করে আসি ।
লিলি: টিংকু কে?
আরিয়া: আমার নতুন কুকুর ছানা। আয় তোদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
রাইমা: দরকার নাই..আমি এই সব কুত্তা মুত্তা পছন্দ করি না।
আরিয়া: কুত্তা মুত্তা কই পাইলি?
রাইমা: ওই যে একটা হইলেই হইবো।
আরিয়া: হবে না…বলবি কুকুর টুকুর।
রাইমা: পার্থক্য কোথায় হল শুনি?
লিলি: ওই রাইমা এটা কিন্ত বাচালি আরিয়া তাই যত কম কথা বলবি তত ভালো। …….[ রাইমার কানে কানে বললো ]
আরিয়া: কানে কানে কী কথা হচ্ছে?
লিলি: কিছু না। ওর কানে ময়লা আছে কিনা সেটাই দেখছিলাম।
আরিয়া: আচ্ছা…. চল আমার কুকুরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
লিলি: হুমম।
.
.
.
.
পরের দিন….
আরিয়া ড্রইংরুমের বসে কুকুরের সাথে খেলছিল। তখনি বিদ্যুতের এক ক্লাইন্ট আসে ওর বাসায় আসে,নাম আরমান শেখ। বিদ্যুত কেসের বিষয় কথা বলতে শুরু করে । কিন্ত আরনাম শেখ বিদ্যুতের কথায় তেমন একটা পাওা না দিয়ে বারে বারে আরিয়ার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে। বিদ্যুতের চোখে এই বিষয়টি এড়াইনি। বিদ্যুত আরিয়ার উদ্দেশ্যে বলে উঠল।
বিদ্যুত: আরিয়া উপরে যাও….উপরে গিয়ে খেলা কর টিংকুর সাথে।….[ গম্ভীর কন্ঠে ]
আরিয়া কিছু না বলে লক্ষি মেয়ের মতো উপরে চলে এলো।
আরমান শেখ কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বিদ্যুত কে যা বললো সেটা শুনে বিদ্যুতের রাগের মাত্রা ভেড়ে যায়।
রবিন পাশে দাঁড়িয়ে ভয়তে ঢোক গিলছে।
.
.
.
.
.
.
Continue To………