একটা বন্ধ ঘরে মেঝেতে হটু মুরে বসে আছে নীল। সমনে তার মায়া রক্তাক্ত আবস্থাতে পরে আছে। বিছনার সাদা চাদরে দাগ লেগে আছে রক্তের। তার মায়া কে সে একটু আগে বেত দিয়ে দুমুল পিটানো পিটিয়েছে। রাগটা জেন কমছিল না কিছুতেই। ৭ তম বার তার মায়া পালাতে চেষ্টা করেছে তার থেকে এটা মানতে যেন খুব কষ্ট হচ্ছিল। কষ্টের চেয়ে রাগটা বেশি ছিল। ৬ তম বার মায়া পালাতে চেষ্টা করলে ধরে এনে রুমে রেখে জাবার সময় বলে গেছিল পরের বার এমোন কিছু করলে নীলের হিংস্রতা দেখতে পাবে।
কিন্তু তার মায়া সেই ভয়টা করেনি। এটা ভেবে জেন আরো রাগ হচ্ছে। নীল এতক্ষন জেন অন্য জগতে ছিল সমনে মৃতের মতো পরে থাকা মায়াকে দেখে রাগ গুলো ভয়ে পরিনত হলো। মায়াকে হারাবার ভয়।
সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে ফোনটা বের করে ডক্টর কে ফোন দেয়।
-ডক্টার আপনি কোথায় আছেন এখনি আমার বাসায় আসুন। জাস্ট এখনি।
অপর পাশে ডক্টরের কথা না শুনে ফোনটা কেটে দেয়।
ডক্টর জানতেন কে ফোন করেছে এই মুহুর্তে না গেলে তার কি আবস্থা হবে সে এটাও জানে ফলে জলদি সে বেরিয়ে পরে।
-মায়া জান কিছু হবেনা ডক্টর এখনি চলে আসবে জান।
মায়ার হাতটা ধরে কথা গুলো বলছে নীল।
এরই মধ্যে ডক্টর চলে আসে।
-আপনি এসে গেছেন এদিকে আসুন আমার স্ত্রী কে দেখুন ও কথা বলছেনা কেন। ( কিছুটা পাগলের মতো করে কথাটা বললো নীল)
-মিস্টার নীল শান্ত হোন আমাকে দেখতে দিন।
ডক্টর মায়ার চেকাপ করে বললো
– বাচ্চা মেয়ে টাকে এভাবে কে মারলো স্যার। (করুন সুরে)
– অবশ্যই আমার স্ত্রী এর গায়ে আমি ছাড়া কেউ হাত দিবে না। (দাঁতে দাঁত চেপে)
– জী স্যার কিছু ঔষধ খাবার পর খাইয়ে দিবন আর একটি মলম খত স্থান এ লাগিয়ে দিবেন। আমি আসি।
– আসাদ ( নীলের বডিগার্ড) আপনাকে এগিয়ে দিবে।
– জী।
বলে ডক্টর চলে গেলেন।
নীল গ্লাস থেকে পানি নিয়ে মায়ার মুখে ছেটাতে কিছুটা নরে ওঠে মায়া। আস্তে আস্তে সেন্স ফিরে মায়ার। মায়া চোখ খুলতে নীলকে দেখে ভয়ে চুপসে যায় কিছু সময় আগের কথা মনে করে।
-জান তুমি ঠিক আছো। কেন আবার পালাতে গেলে বলো। না পালাতে গেলে আমার রাগ উঠতো না বলো।
মায়া কোন কথা বলছে না সুধু কেদে যাচ্ছে।
এমন সময় মেড এসে দরজায় করা নারে। নীল এগিয়ে গিয়ে খাবার নিয়ে আসে।
হাতে এক লোকমা খাবার নিয়ে মায়ার দিকে ধরে।
-নেও খেয়ে নেও।
– মা,,,,,, আ,,,পু দের কাছে যাবো। ( ভয়ে ভয়ে) ।
-মায়া আমাকে আর খারাপ হতে বাদ্ধ করোনা খাবার টা খেয়ে নাও. (ধমক দিয়ে)
মায়া ধমক সুনে না চাইতেও খাবার গুলো খেয়ে নেয় ভয়ে।
খাবার শেষে নীল মায়াকে ঔষধ খাইয়ে কপালে একটা ভালোবাসার পরস দিয়ে রুম থকে বের হয়ে যায়। বাইরে থেকে দরজা লক করে।
মায়া বিছনার এক পাশে ঘুটি সুটি মেরে বসে আছে। অঝর ধারায় বইছে তার চোখের পানি। এভাবে অমানবিক ভাবে মানুষ কোন জানোয়ারকে মারে না আর সেতো মানুষ। কেন এমন করছে উনি আমাকে কেন বাসায় জেতে দিচ্ছে না। আমি মায়ের কাছে জেতে চায়। কেন আটকে রেখেছেন কি ক্ষতি করেছি আমি তার। কিছু সময় আগেও তার জীবনে সবটা ঠিক ছিল। তাহলে এখন কেন এমন হলো।
কিছু সময় আগে……..
(পরিচয় টা দিয়ে নি আগে এতক্ষন জাদের কাহিনি পরলেন তারা হলো মায়া আর নীল। নীলের পুরো নাম আদহাম চৌধুরী নীল সবাই নীল চৌধুরী বলে। শহরের বড়ো একজন মাফিয়া। সে নিজের কাজের জন্য খুব কম বয়সে কটি কটি টাকার মালিক। কিন্তু মাফিয়া পাশা পাশি একজন সফল বিজনেসম্যান খুব কন লোকই তাকে মাফিয়া হিসাবে চিনে। তার উচ্চতা ৬ফিট একদম আনেকটা ফরসা নয় কিন্তু কমও না। চুলগুলো বড়ো বড়ো। এক কথায় প্রিন্স।
মায়া বাবা মায়ের ছেট সন্তান খুব দুষ্টু প্রকিতির মেয়ে তার বড়ো আপু আছে। বাবা বিদেশ থাকে। মায়ার মাবোন আর মায়া শহরে এসেছে পরা লিখার জন্য। মায়া কিন্তু কম সুন্দর নয় হরিণির মতো গুলো জেন মনের কথা বলে দেয় আবাক করা হাসি। হলুদ ফরসা গায়ের বরন। মায়া মাত্র ইন্টার ১ম বর্সে উঠেছে)
আজ মায়ার প্রথম ক্লস ছিল কলেজে।
সকালে………
….
চলবে.
#Addiction
Part: 1
#দ)