#Dangerous_Crazy_Lover_💓.
#Sumaiya_Moni.
#Part-9.
আরমান শেখ কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বিদ্যুত কে যা বললো সেটা শুনে বিদ্যুতের রাগের মাত্রা ভেড়ে যায়।
রবিন পাশে দাঁড়িয়ে ভয়তে ঢোক গিলছে।
আরমান শেখ: বিদ্যুত ওই মেয়েটি তোমার কী হয় বোন? দেখতে কিন্ত বেশ সুন্দর! আমার খুব পছন্দ হয়েছে । আমি মেয়েটিকে এক দিনের জন্য চাই। তার জন্য তোমাকে মোটা অংকের টাকা দেবো। কি বল বিদ্যুত রাজি আছো আমার অফারে?……[ হেসে বললো ]
বিদ্যুত : অবশ্যই রাজি আছি? আসোন আমার সাথে। আমরা ওই রুমে গিয়ে কথা বলি। …….[ দাঁতে দাঁত চেপে রাগ কন্ট্রোল করে বললো ]
আরমান শেখ: ওহ! সিউর চল বিদ্যুত…..[ বলেই উঠে দাঁড়াল ]
বিদ্যুত রাগী ভাব নিয়ে ওই রুমে যেতে লাগলো । বিদ্যুতের পিছন পিছন আরমান শেখ ও হাঁটছে।
রবিন: যা ভাই যা …মরার জন্য রেডি হ….[ মনে মনে ]
বিদ্যুত রুমে ঢুকে গেট লাগিয়ে দিয়ে ঢয়ার খুলে গান বের করতে লাগলো । আরমান শেখ সোফায় বসে আরিয়ার বিষয় এটা ওটা বলছে। বিদ্যুতের রাগ হচ্ছে ভিশন । তারপরও গান আস্তে আস্তে লোড করছে আর আরমান শেখ এর কথা গুলো শুনে যাচ্ছে ।
আরমান শেখ: আরে বিদ্যুত ওই দিকে ফিরে কী করছো? আমি তোমার সাথে কথা বলছি আর তুমি ওইদিকে ঘুরে আছো? বিদ্যুত?
বিদ্যুত গান হাতে নিয়ে সামনের দিক ঘুরে তাকাল।এতক্ষন অরপ দিকে মুখ করে ফিরে ছিল। আরমান শেখ বিদ্যুতের হাতে গান দেখে ভয় পেয়ে যায়।
চোখ বড় বড় করে বিদ্যুতের দিকে তাকিয়ে ভয় ভয় বলতে লাগলো।
আরমান শেখ: ত..ত..তোমার হাতে গান কেন? কী করতে চাইছো তুমি?
বিদ্যুত: খুন…[ রাগী কন্ঠে ]
আরমান শেখ: কা… কাকে…..[ ভয় ভয় ]
বিদ্যুত : দেখ কাকে……।
বলেই ৩-৪টা গুলি বুক বরা বর গেথে দিল….আরমান শেহ সোফায় লুটিয়ে পড়লো। বিদ্যুত আরমান শেখ এর বুকের উপর পা রেখে বললো…?
বিদ্যুত: তুই আমার আরিয়া কে একদিনের জন্য নিবি তাই না। ওর সাথে তুই ফুর্তি করতে চাস। তোর এতো বড় সাহস …তোকে আমি……[ আরো তিনটা গুলি মুখের মধ্যে গেথে দিল ]
আরমান শেখ তার আগেই মারা যায়। বিদ্যুত রুম থেকে বেরিয়ে যায়। বাসা থেকে বের হবার আগে রবিন কে লাশ সরানোর ব্যবস্থা করতে বলে যায়।
.
.
.
আরিয়া: ওই লিলির মা, ভাঙ্গা ঢহি এদিকে আয়…[ লিলি ও রাইমার উদ্দেশ্যে বললো ]
লিলি: আরিয়া তুই এই নাম কোথা থেকে পেলি?
রাইমা: এটা আবার কেমন নাম?
আরিয়া: স্যরি! আমি এই নামেই তোমাদের ডাকবো ?আর তুই করে বলবো?
রাইমা: ডাক…যেটা ডেকে তুই সান্তি পাস….।
লিলি: আচ্ছা আরিয়া তোর কী আমাদের কথা কিছুই মনে নেই?
আরিয়া: তোদের কথা মানে?
রাইমা: তোর কী আগের কোন কথা মনে নেই আরিয়া?
আরিয়া: আগের কথা মানে?
লিলি: রাইমা চুপ থাক…কিছু না…।
আরিয়া: কিছু না মানে?
রাইমা: কিছু না মানে কিছু না..।
আরিয়া: আচ্ছা…. আরে আমার টিংকু…কোথায় ছিলা এতক্ষন ……..[ টিংকু কে কোলে নিয়ে ]
লিলি: হ টিংকু তোকে বলবে ও কোথায় ছিল এতক্ষন।
আরিয়া: তো?…..আচ্ছা টিংকু তোমার জন্য একটা গান বানিয়েছি! শুনবে গানটা?
রাইমা: জানি তো তুই কী গান বানিয়েছিস?..
আরিয়া: পাকনামি কম কর….আচ্ছা টিংকু গানটা শোনো…….সারা দিন ভাবি আমি টিংকুর কথা…হাই রে টিংকুর কথা….টিংকুরে নিয়া যাবো পুরান ঢাকা….ওহো….কেমন হয়েছে টিংকু…..[ হেসে বললো ]
টিংকু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে আরিয়ার দিকে ।
রাইমা: আল্লাহ্….. [ কঁপালে হাত দিয়ে ]
লিলি: কী গান মাইরি…..।
আরিয়া: কী বললি?
লিলি: কিছু না…।
আরিয়া: কিছু না….আচ্ছা ওয়েট…রবিন…রবিন…..[ জোরে চিল্লিয়ে ডাকছে ]
লিলি: তাকে কেন ডাকছিস?
আরিয়া: বলবো ক্যা…?
লিলি: হারাম…. [ বিড়বিড় করে ]
আরিয়া: জাদি…তুই ।
লিলি: শুনে ফেলেছে…[ মনে মনে ]
রবিন আরিয়ার সামনে এসে বললো।
রবিন: জ্বী আপু বলেন কেন ডেকেছেন?
আরিয়া: ডাকলেই কী বলা লাগবে নাকি যে কেন ডেকেছি?
রবিন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
লিলি: বিনা কারনে তাকে কেন ডাকলি?
আরিয়া: তাতে তোর কী?
লিলি: আমার কী মানে? কেন ডাকলি সেটা বল তাকে?
আরিয়া: বলবো না কী করবি?
লিলি: তুই কোন দিন ভালো হবি না আরিয়া।….[ কিছুটা রেগে ]
আরিয়া: মনে হয় না।
রবিল এতক্ষন দাঁড়িয়ে একবার আরিয়ার দিকে আরেক বার লিলি দিকে তাকিয়ে কথা শুনছিল।
রবিন: আচ্ছা আর জগড়া করার দরকার নেই… এবার আরিয়া আপু বলুন আমাকে কেন ডেকেছেন?
আরিয়া: কিছু না এটার মানে কী বল?….[ বলেই কুকুরের সাথে খেলতে লাগলো ]
রবিন বোকা বনে চলে গেল এমন প্রশ্ন শুনে ।
লিলি: ওহহহ….[ রেগে উঠে আরিয়া কে মারতে যেতে নিলে রাইমা থাকিয়ে দেয় ] রাইমা ছাড় আমাকে…আরিয়ার আজ খবর আছে । ওর বক বক আজ বের করবো আমি । ছাড় আমাকে রাইমা।….[ রাইমা কে ছাড়ানোর চেষ্টায় ]
রাইমা : মরতে চাস নাকি? বিদ্যুত যদি যানতে পারে তুই ওর গায়ে হাত দিয়েছিস তাহলে তুই শেষ…।
লিলি এটা শুনে থেমে যায়। আরিয়া খিল খিল করে হেসে দেয় ।
আরিয়া: আও আও না বেবি আও আও জিও…..[ বলেই জোরে জোরে হাসতে লাগলো ]
রবিন:ব্যাস! এবার থামেন আপনারা। আমি যাই ।
আরিয়া: যাও যাও…!
রবিন চলে গেল। আরিয়া গান গাইতে গাইতে যাচ্ছে ।
লিলি রাগে ফোস ফোস করছে।
রাতে….
সেই একি কান্ড শুরু হয়ে গেল। আরিয়া বিদ্যুতের সাথে কিছুতেই ঘুমাতে চাইছে না। বিদ্যুত তো রেগে ফায়ার বক্স।
আরিয়া: দেখেন উদ্যুত….আমি পারবো তো পারবোই না।
বিদ্যুত: আরিয়া স্টপ……[ রেগে ]
আরিয়া: কিসের স্টপ ? আমি কী ডান্স করছি নাকি যে স্টপ করবো?
বিদ্যুত: কথা বলা বন্ধ কর আরিয়া।…..[ রেগে ]
আরিয়া: করবো না। আর আপনিও কেমন লোক শুনি? অচেনা অজানা একটা মেয়ের সাথে ঘুমাচ্ছের আপনার কী লজ্জা করে না? আমি আপনার জাগায় হলে মেয়েটিকে লাথি মেরে বাতি বানিয়ে দিতাম।
বিদ্যুত: স্টপ আরিয়া…[ বেশ রেগে ]
আরিয়া: আপনার এই স্টপ স্টপ বলা স্টপ করেন। আর কথায় কথায় এতো রেগে যান কেন শুনি? রাগের কি গোডাউন নিয়ে বিক্রি করতে বসেছেন নাকি হ্যাঁ? যদি বসে থাকেন তাহলে আমাকে এক কেজি রাগ দেন। আমিও রাগ কিনে রাগি হয়ে যেতে চাই। পরে সবাই আমাকে রাগিনি বলে ডাকবে। তারপর……. [ বাকিটা বলার আগেই বিদ্যুত আরিয়ার মুখ চেপে ধরলো ]
বিদ্যুত: অনেক বলে ফেলেছ আর নয়….আসো আমার সাথে।
আরিয়া কে বিদ্যুত ওর দুই বাহু ডোরে জোরে অবদ্ধ করে নিয়ে শুয়ে পড়লো। আরিয়া নড়া চড়া করতে পারছে না। কিছু বলতেও পারছে না। বিদ্যুত মুখে হাত দিয়ে রেখেছে তাই। কিছুক্ষন পর এবাবে থাকার পর আরিয়া ঘুমিয়ে গেল। বিদ্যুত আরিয়ার দিকে নেশা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । আরিয়ার প্রতি অসক্ত বিদ্যুত । আজ ওর মন চাইছে আরিয়াকে ঠোঁট ছুঁয়ে দিতে। কিছুক্ষন চোখ বন্ধ রেখে নিজের মনকে সংযত করল। চোখ মেলে আরিয়ার দিকে তাকিয়ে আলতো করে ওর কঁপাল ছুঁয়ে দিল। বিদ্যুত ও ঘুমিয়ে গেল আরিয়ার সাথে।
সকালে বিদ্যুতের ঘুম ভাংঙলো আরিয়ার চিৎকার চেচামেচিতে। তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগলো। হল রুমে এসে দেখে আরিয়া ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে। বিদ্যুতের রাগ উঠে যায় আরিয়ার চোখে পানি দেখে। রাগে হুংকার দিয়ে বললো।
বিদ্যুত: কী হয়েছে আরিয়ার? কে কী বলেছে আরিয়া কে?
রবিন বিদ্যুতের চিৎকার শুনে ভয় ভয় বললো।
রবিন: স্যার আরিয়া আপুর টিংকু মানে কুকুর ছানা টা কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না । তাই আরিয়া আপু কান্না করছে ।
বিদ্যুত: আরিয়া কান্না থামাও…তুমি কিচ্ছু চিন্তা কর না। তুমি তোমার টিংকুকে পেয়ে যাবে।…[ আরিয়ার কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো ] রবিন হা করে দাঁড়িয়ে কী দেখছো যাও টিংকুকে খোঁজা শুরু কর।…[ চিল্লিয়ে বললো ]
আরিয়া: আমার টিংকু…..[ বলেই ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে লাগলো ]
বিদ্যুত: আরিয়া কান্না করে না। তুমি টিংকুকে পেয়ে যাবে……[ সান্তনা দিয়ে বললো ]
আরিয়া: আর যদি না পায়…তাহলে আমি কিন্ত কিচ্ছু খাবো না।…..[ ন্যাকা কন্ঠে ]
বিদ্যুত: পেয়ে যাবে তো বলেছি । এখন কান্না থামাও।….[ চোখ মুছিয়ে দিয়ে ]
আরিয়া এখনও হিচকি টেনে কান্না করছে। পাশে দাঁড়িয়ে লিলি ও রাইমা আরিয়ার ন্যাকামো দেখছে। ওরা মুখ বেকিয়ে উপরে চলে যায়।
বিদ্যুত: তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আরিয়া: হুমমম।
বিদ্যুত: একদম কান্না করবে না….ঠিক আছে।
আরিয়া: আচ্ছা ।
বিদ্যুত উপরে চলে গেল। আরিয়া সোফায় বসে রইলো । বিদ্যুত ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখে আরিয়া ঠিক আগের মতোই সোফায় বসে আছে। বিদ্যুত মুচকি হেসে নিচে নেমে আরিয়ার হাত ধরে খাবার টেবিলে নিয়ে গেল।
আরিয়া: না আমি খাবো না….টিংকুকে না পেলে আমি খাবো না ।
বিদ্যুত: পাগলামি করে না আরিয়া,রবিন টিংকুকে খুঁজে নিয়ে আসবে। তুমি খেতে বস।
আরিয়া: না আমার টিংকু লাগবে।
বিদ্যুত বলার আগেই রবিন এসে বললো ।
রবিন: স্যার সারা বাড়ির তে খুঁজলাম। কিন্ত টিংকুকে কোথাও পেলাম না।
বিদ্যুত রাগী চোখে রবিনের দিকে তালায়। রবিন ভয়তে মাথা নিচু করে ফেলে।
বিদ্যুত: গার্ডস দের বল রাস্তায় খোঁজা শুরু করতে গো….[ ধমকের স্বুরে ]
রবিন: ওকে স্যার ।
রবিন চলে যায়।
বিদ্যুত: আরিয়া তুমি খেয়ে নেও তোমাকে আবার ঔষধ খেতে হবে।…….[ নরম স্বুরে ]
আরিয়া: না খাবো না।
বিদ্যুতের এবার রাগ হচ্ছে ,তারপরও নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করে নিচ্ছে।
বিদ্যুত: আচ্ছা তাহলে তুমি কী করতে চাও বল?
আরিয়া: আমি টিংকুকে খুঁজতে বাহিরে যাবো।
বিদ্যুত: আরে বাহিরে খোঁজার জন্য লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। তাহলে তুমি কেন কষ্ট করে বাহিরে যাবে বল?
আরিয়া: আমি যাবো,আমি যাবো,আমি যাবো….।
বিদ্যুত: ওকে..তার আগে খেয়ে নেও,না হলে কিন্ত বাহিরে নিয়ে যাবো না।
আরিয়া: খাবার খেলে বাহিরে নিয়ে যাবে তো…।
বিদ্যুত: হুমমমম….।
আরিয়া: আচ্ছা আমি তাহলে খাবো।
আরিয়া খেতে শুরু করলো। বিদ্যুতও খাচ্ছে। খাওয়া শেষ করে বিদ্যুত আরিয়া কে নিয়ে টিংকুকে খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়লো। অনেক জাগাতেই টিংকুকে খুঁজেছে। কিন্ত টিংকুকে ওরা খুঁজে পায় নি।আরিয়া মন খারাপ করে বসে আছে । প্রায় দুপুর হয়ে গেছে । এখনও ওরা টিংকুকে খোঁজ করছে ।
গাড়ি জ্যাম এ আটকা পড়েছে। বিদ্যুত ফোনে কথা বলছে । কথা বলা শেষ করে পাশে ফিরতেই দেখে আরিয়া নেই। গাড়ির গেট খোলা। এটা দেখে বিদ্যুত ঘাবড়ে যায়। বাহিরে বের হয়ে আসে পাশে ভাল করে খোঁজ করতে থাকে । গাড়িতে ওরা দু জন আর ড্রাইভার ছিল। ড্রাইভার কে বকা-ঝকা করে বিদ্যুত আরিয়া কে খোঁজতে লাগলো চার দিক। বিদ্যুতের খুব চিন্তা হচ্ছে ।
আরেকটু পায়ে হেঁটে এগিয়ে গিয়ে একটা এতিমখানা দেখতে পেল বিদ্যুত । এতিম খানার পাশ দিয়ে যাবার সময় বিদ্যুত আরিয়ার হাসির আওয়াজ শুনতে পায় । ঘাড় ঘুরিয়ে এতিম খানার ভিতরে তাকাতেই আরিয়া কে ছোট ছোট বাচ্চা দের সাথে খেলতে দেখতে পায়। বিদ্যুতের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আরিয়া কে ওই এতিম বাচ্চা দের সাথে দেখে। দু হাত মুঠি বদ্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। আরিয়া বিদ্যুত কে দেখে দৌড়ে এসে বিদ্যুতের হাত ধরে এতিম খানার ভিতরে নিয়ে যেতে লাগলো। বিদ্যুত আরিয়া কে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারছে না।
আরিয়া: এই যে বাচ্চা রা…একে চিনো? দাঁড়াও আমি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। এই হচ্ছে বিদ্যুত আরিয়ার চৌধুরী । আমার খুব ভালো বন্ধু । আজকে থেকে তোমাদেরও বন্ধু ঠিক আছে।
সব বাচ্চারা খুশি হয়ে “হ্যাঁ” বললো ।
বিদ্যুত আরিয়ার মুখে ওর ভালো বন্ধু কথাটা শুনে মনে মনে কিছুটা খুশি হয়। কিন্ত এই বাচ্চাদের আরিয়ার পাশে একদমি সহ্য করতে পারছে না বিদ্যুত ।
আরিয়া: চল আমরা খেলা করি। কী বল বাচ্চা রা?
সব বাচ্চারা: হ্যাঁ…. ।
বিদ্যুত: আরিয়া আমাদের এখান থেকে যেতে…..[ বাকিটা বলার আগেই আরিয়া বিদ্যুতের চোখ বেঁধে দেয় ]
আরিয়া: কোন কথা হবে না। কাঁনামাছি খেলবো । আপনি চোর,আমাদের কে ধরুন।
বিদ্যুত: আরিয়া…..।
আরিয়া বিদ্যুতের চোখ বেঁধে ছেড়ে দেয়।
আরিয়া: এবার আমাদের ধরুন….।
বিদ্যুত আরিয়ার পাগলামো গুলো একদমি সহ্য করতে পারছে না। ওর ভিশন রাগ হচ্ছে । আরিয়া এখনো অসুস্থ ভেবে আরিয়াকে কিছুই বলতে পারছে না। নিজেকে কোন রকম সান্ত করে ওদের সাথে খেলাতে মন দিল। প্রথম প্রথম বিদ্যুতের রাগ ও বিরক্ত লাগলেও এখন বিদ্যুত ওদের সাথে খেলতে মেতে উঠল। বিদ্যুত ও মন দিল খেলায়।
আরিয়া বিদ্যুত কে মাঝে মাঝে ছুঁয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে । বিদ্যুত আরিয়া কে ধরার চেষ্টায় আছে। এক পর্যায় বিদ্যুত আরিয়ার কোমড় পেচিয়ে ধরে। বিদ্যুত জোরে জোরে হাসতে আরিয়া রাগে ফুলছে।
বিদ্যুত: এখন কোথায় যাবে?…..[ চোখের বাঁধন খুলে বললো ]
আরিয়া বিদ্যুত কে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে বাচ্চাদের কাছে গিয়ে বসে। বিদ্যুত হয়রান হয়ে সেখানের একটা বেঞ্চে বসে পড়ে। বিদ্যুত আরিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে আরিয়া বাচ্চাদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। কিছুক্ষন কথার মাঝে উঁচু স্বরে হেসে উঠছে,মাঝে মাঝে বাচ্চা দের কোলে টেনে নিয়ে আদর করছে। বিদ্যুত অপলক ভাবে তাকিয়ে এই দৃশ্য দেখছে। আজ কেন জানি ওর রাগ হচ্ছে না। ওর কাছে খুব ভালো লাগছে। দুপুর হয়ে গেছে। বাচ্চারা খাবার খাচ্ছে। সাথে আরিয়াও খাচ্ছে। বিদ্যুত দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। ফোন কেঁটে ভাবছে ওর কিছু খেতে হবে, খিদে পেয়েছে ওর । হুট করেই বিদ্যুত কারো হাতে স্পর্শ পায় ওর হাতে। বিদ্যুত পিছনে ঘুরে দেখে।
.
.
.
.
.
.
Continue To……….