dangerous love পর্ব -১০+১১

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_10,11
আনুশকা ভাবছে কিভাবে এখান থেকে পালাবে,,
ঠিক তখনি ওর মাথায় একটা দাড়ুন বুদ্ধি এলো ।

নিচে গিয়ে সে আগুনকে একটা সোফায় বসে লেপটপ নিয়ে কাজ করতে দেখলো ।

আগুন : কি ব্যাপার আজকে হঠাৎ নিজে থেকেই নিচে নামলে ।

এতো দিনতো তোমাকে তো টেনৈও নিচে নামানো যেতো না ।

আনুশকা : এই লোকটা কিভাবে এতো চালাক হতে পারে ।

এর মাথা কি দিয়ে বানিয়েছে সেটা মহান আল্লাহয় ভালো জানে ।

আগুন : এবার ঝটপট বলোতো তোমার হঠাৎ নিচে নামার কারণ ।

আনুশকা শাড়ির আচলটা পেচিয়ে যাচ্ছে এক নাগারে,,,

আগুন : ধমক দিয়ে বললো,, কি হলো বলছোনা কেনো কিছু ।

আনুশকা : আসলে আমি একটু বাইরে ঘুরতে যেতে চাই,,
এভাবে থাকতে আমার ভালো লাগছেনা ।

মাথা নিচু করে কথাটা বললো আনুশকা আগুনকে ।

আগুন : হঠাৎ বাইরে যাবে যে,,
নাকি ঘুরতে যাওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে পালানোর মতলব এটেছো

একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললো কথাটা ।

আনুশকা রিতিমত ভয পেয়ে গেলো,,

সে ভাবছে এই লোক এতো কিছু বোঝে কিভাবে,,,

আনুশকা : ঢোক গিলতে গিলতে বলল, এমন কিছুই না,,
আমি শুধু একটু বাইরে ঘুরতে যেতে চাই,,
আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,,

আগুন : লেপটপে কাজ করতে করতে বললো,,

ঠিক আছে ডিয়ার, তোমার কথা রাখবো ।
আর রইলো তোমার
পালানোর কথা,,
সেটা তুমি কখনো করতে পারবেনা ।

আমি বেচে থাকতে তো তুমি আমার কাছ থেকে যেতে পারবেনা ।

তাই পালানোর বৃথা চেষ্টা করোনা ডিয়ার ।

এখন যাও শপিং ব্যাগে একটা গিফট রেখিছি তোমার জন্য ।

ওটা পরে এসো,,

আনুশকা কথা বাড়ালোনা সে
তাড়াতাড়ি গিয়ে শপিং ব্যাগ থেকে গিফট বের করলো ।

আনুশকাতো পুরাই শকড,,
একটা বোরকা আর হাত মোজা পা মোজাও আছে ।

তখনি আগুন আনুশকার রুমে গিয়ে বললো ।

আগুন ‘: এখন থেকে তোমার ড্রেস এগুলো হবে ।

আমি ছাড়া তোমার সৌন্দর্য আর কেউ দেখবেনা ।

তাড়াতাড়ি পরে নিচে এসো
আমি গাড়ি বের করছি ।

আনুশকা এগুলো কখনোই পড়েনি বাট আগুনের লাল চোখ.আর ফেস দেখে পড়তে বাধ্য হলো ।

তা না হলে আগুন কামড়ে দিবে আবার ।
কামড়ের জায়গায় এখনো ব্যথা করছে ।
রেডি হয়ে আনুশকা নিচে গেলো ।
আগুন আনুশকাকে এক নজরে দেখে গাড়ির সামনের দরজা খুলে দিলো ।

আনুশকা চুপচাপ আগুনের পাশে গিয়ে বসলো ।

আগুন ড্রাইভ করছে আর আড়চোখে তার ডিয়ারকে দেখছে ।

আনুশকার বেশ অস্বস্থি লাগছে ।
আগুন একটা বিশাল রেস্টুরেন্টে গাড়ি থামালো ।

আনুশকাকে নামতে বললো ।

রেস্টুরেন্টে গিয়ে আনুশকা দেখলো রেস্টুরেন্ট পুরো খালি ।

আগুন : ভাবছো কোনো লোকজন কেনো নেই,
আসলে তোমার চাদেঁর মতো মুখটা যেনো আমি ছাড়া কেউ না দেখে তাই ফুল রেস্টুরেন্ট বুকিং দিয়েছি ।

আনুশকা আবার শকড হলো ।
টেবিলে খাবার দেওয়া হলো,,
।আনুশকা খেতে নিলে আগুন রাগি চোখে তাকায় ।

আগুন : আমি কি খেয়েছি যে তুমি খাবে ।
আনুশকা প্রায় কাদোঁ কাদোঁ ভাব ।

আগুন একটা হাসি দিয়ে নিজের হাতে খাওয়াতৈ শুরু করলো আনুশকাকে ।

আনুশকা খাচ্ছে আর ভাবছে কিভাবে সে পালাবে এই রোমান্টিক হায়েনার কাছ থেকে ।

হঠাৎ আগৃুনের ফোনের রিংটন বেজে উঠলো,,
আগুন বসা থেকে দাড়িয় উঠলো, দাড়িয়ে দাড়িয়ে সে কথা বলতে লাগলো ।

আনুশকা সুযোগে ওয়েট না করে ব্যাগ থেকে আঠা নিয়ে চেয়ারে লাগিয়ে দিলো আগুনের ।

আগুন কথা শেষ করে চেয়ারে বসে পড়লো ।

আনুশকা মুচকি হাসলো ।

আগুন বললো আনুশকা তাকে যেনো নিজ হাতে খাইয়ে দেয় ।

আনুশকা রাজি না হলেও পরে রাজি হলো ।

আনুশকা চামচ দিয়ে আগুনের মুখে খাবার দিতে গেলে আগুন বললো

আগুন : চামচ দিয়ে তো আমি খেতৈ পারি ।
তোমার হাতে মাখানো খাইয়ে দিতে বলেছি ।

আনুশকা ভয়ে নিজের হাত দিয়ে খাইয়ে দিতে লাগলো ।

আগুন খাবারের থেকে হাত চেটে খাচ্ছে বেশি আনুশকার ।
আগুন : এবার থেকে তোমার হাত দিয়ে খাবো আমি ।

আগৃন খেয়াল করলো আনুশকার ঠোটে কিছু খাবারের ঝোল রয়েছে ।


আগুন লেট না করে আনুশকার ঠোঁট মুছে দিলো নিজের ঠোঁট দিয়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় ।

আনুশকা খুব জোরে আবার শকড পেলো ।

খাওয়া দাওয়া শেষ আগুন উঠতে লাগলো বাট উঠতে পারছেনা ,,,

আগুন : কি হলো উঠতে পারছিনা কেনো ,,প্যান্টে কিছু আটকালো নাকি ।

আনুশকা হাসছে সাথে মজাও দেখছে আর কখন কিভাবে পালাবে সেটাও ভাবছে ।

আনুশকা একটু ঝোল নিজের বোরকায় ঢেলে দিয়ে বললো ।

আনুশকা : মাথা নিচু করে, আমার বোরকায় একটু নোংরা হয়েছে ।
আমি ওয়াস রুমে যাবো ।
আপনি চাইলে যেতে পারেন আমার সাথে ।

আগুন : তুমি যাও ,পাচঁ মিনিটে কাজ শেষ করে এসো ।

২০ মিনিট হয়ে গেলো তবুও আনুশকা আসছেনা ।
এদিকে আগুন চেয়ার থেকে উঠতেও পারছেনা ।

আগুন এবার বাঘের মতো গর্জন করতে লাগলো, ,,,

চলবে ,,,
.
#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_11
_আগুন এবার গায়ের জোরো
_চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালো
_সাথে সাথেই তার প্যান্ট ছিড়ে গেলো ।

আগুনের রাগ এবার হায়েনার রুপ ধারণ করলো ।
_
_সে কিছুটা আন ইজিও ফিল করলো ।

_এবার সে বেশ বুঝতে পারলো এগুলো আনুশকার কারসাজি ।
_আগুন ফার্স্ট থেকে ভাবতে লাগলো,,,
আনুশকার বাইরে আসা হঠাৎ ।
তারপর চেয়ারে আটকে থাকা আগুনের ।
_তারপর খাবারের ঝোল পড়া আনুশকার বোরকায় ।
_এতক্ষণ হয়েছে অথচ ওয়াস রুম থেকে এখনো বের হচ্ছেনা
আনুশকা ।
_তার মানে আনুশকা পালিয়েছে ।
_আগুন এবার ভয়ানক ভাবে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারদের ডাক দিলো ।
_ওয়েটার : yes sir,, How can i help you??
_আগুন : আমার জন্য একটা প্যান্ট এর ব্যবস্থা করো ।
__জাস্ট তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করো ।
জোরে জোরে চিল্লিয়ে কথা গুলো
বললো আগুন ।
_ওয়েটার ভয়ে তাড়াতাড়ি করে আগুনের কথা মতো কাজ করলো ।
_আগুন নিজেকে ঠিক করে সামলিয়ে নিলো ।
_আগুন : সুইট হার্ট তুমি এমনটা না করলেও পারতে ।
_একবার তোমাকে আমি পেয়ে নিই তারপর দেখাবো কত ধানে
কত চাল ।
_ভেবেছো আমার থেকে তুমি পালিয়ে বাচতে পারবে আমাকে ছাড়াই ।
_এবার তোমাদের এমন সিচিয়েশন করবো যাতে করে
আর কখনো আমাকে ছেড়ে
যাওয়ার কথা না ভাবতে পারো ।

জাস্ট ওয়েট করো, তোমাকে নিতে আসছি ।
_এদিকে আনুশকা তার বাসায় পৌঁছে গেছে প্রায় ।
_সে ভাবতে লাগলো কিভাবে ঐ হিংস্র হায়েনাটাকে জব্দ
করে রেস্টুরেন্টের ওয়াস রুমৈর পিছনের
দরজা দিয়ে পালিয়ে এসেছে ।

আগুন রেস্টুরেন্টের কয়েকটা চেয়ার টেবিলে লাথি মেরে
নিজের রাগ কন্ট্রোল করলো ।

ইচ্ছে মতো ভাংচুর করে নিজেকে সামলিয়ে ওখান থেকে চলে এলো ।

চলে আসার সময় রেস্টুরেন্টে
কিছু টাকার বান্ডিল দিয়ে আসলো ।

_আনুশকা বাড়িতে ঢুকতেই
তাদের সার্ভেন্টরা তার বাবা
আরমান সাহেবকে ডাক দিতে লাগলো ।

আরমান সাহেব আর আনুশকার ছোট ভাই এসে আনুশকাকে দেখে জড়িয়ে ধরলো ।

_আকাশ : আপু তুমি কোথায় ছিলে??
তোমাকে মিস করেছি ।
_আনুশকা : এইতো আমি এসে পড়েছি,,
আমিও তোকে অনেক মিস করেছি ।

_আরমান সাহেব : আনুশকাকে জড়িয়ে ধরে বললো, কোথায় ছিলে তুমি??

_কারা তোমাকে নিয়ে গিয়েছিল???
_কোথায় তোমাকে রেখেছিলো???
_
আনুশকা তার বাবাকে ধরে কান্না শুরু করলো,,
_।
আনুশকা : বাবা আমি কিছু জানিনা,, একটা লোক আমাকে ধরে নিয়ে আটকে রেখেছিলো ।
_বাবা আমাকে ঐ হায়েনাটা আবার নিয়ে যাবে ।
_আমি ঐ হায়েনার সাথে যাবোনা ।
_আমাকে নিয়ে আবার বন্ধি করে রাখবে ।
_আমাকে বাচাও বাবা,,
এগুলো বলে আনুশকা জ্ঞান হাড়ালো ।
_।
_আরমান সাহেব তার রুমে নিয়ে গেলো আনুশকাকে ।
_
আর ডক্টরকেও আসতৈ বললো সাথে কমিশনারকেও আসতে বললো ।
_
কমিশনার এসেই আরমান সাহেবকে সালাম দিলো ।
_
আরমান সাহেব রাগে গজ গজ করতে বললো ।
_আপনাদের মোটা টাকা দিয়ে পালছি কেনো??
_আমাদের মতো বিসনেজ ম্যানদের সিকিউরিটি দিতৈ পারছেননা কেনো ।
_
একটা ক্রিমিনাল আমার একমাত্র মেয়েকে দুই দিন
আটকে রাখলো ।
_আপনারা কেউ তার খোঁজ নিতে পারেননি ।

_পুলিশ কমিশনার : মাফ করবেন,
ব্যাপারটা এতো দূর গড়াবে তা ভাবতৈ পারিনি ।

এরপর আর কোনো সুযোগ দিবোনা কাউকে ।
_আপনাদের সুরুক্ষার দ্বায়িত
আমি পার্সোনালি নিলাম ।
_টেনশন নিবেননা ।
_
আরমান সাহেব : ঠিক আছে,
এবার মাফ করে দিলাম ।
_আনুশকার হঠাৎ চিল্লানো শুনে কমিশনার আর তার বাবা
তাড়াতাড়ি আনুশকার রুমে গেলো ।

_আনুশকা : বাবা আমাকে ঐ হায়েনা নিয়ে যাবে,,
_আমার ভিষন ভয় করছে ।

বাবা : চিন্তা করোনা মা, তোমাকে আর কেউ কিডনাপ করতে পারবেনা ।
_ সব ব্যাবস্থা করেছি আমি ।
_
কমিশনার : মিস আনুশকা ভয় পাবেননা,
আপনাদের পুরো বাড়ি গার্ড দিয়ে ঘিরে রেখেছি ।
_
ঐ ক্রিমিনাল আসলেই ধরা পড়বে তার পর তাকে চৌদ্দ শিকের জেলের ভেতরে ঢুকাবো ।
_
আনুশকা কিছুটা শান্ত হলো ।

_ ডক্টর : আরমান সাহেব মিস আনুশকার তেমন কিছুই হয়নি ।
_

_শুধু একটু ভয় পেয়েছেন, রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে
_ইনজেকশন দিচ্ছি ঘুমের জন্য ।

_কমিশনার : আচ্ছা মিস আপনি মনে করুনতো কে আপনাকে কিডনাপ করে ছিলো ।
_কোথায় রেখেছিলো জায়গাটা _মনে আছে?? _
_লোকটাকে চিনতে পারবেন?

_আনুশকা : আমার চোখ বাধা অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলো
_তাই জায়গাটা চিনতৈ পারবোনা ।
_
কমিশনার : লোকটাকে চিনতে পারবেন?
_আনুশকা : আগে কখনো দেখিনি, দেখলে চিনতৈ পারবো ।
_
ঐ হায়েনার ফেস ভোলার মতো না ।

_কমিশনার : আরমান সাহেব আমি বিষয়টি দেখছি ।
_
_আরমান সাহেব : কালকের মধ্যে ক্রিমিনালটাকে ট্রেস করবেন_


_আগুন আনুশকাদের বাড়িতে যা হচ্ছে তা সি সি ক্যামেরার মাধ্যমে শুনছে, দেখছেন আ হাসছে ।
_
_আগুন: আমার জন্য এতো আয়োজন ।
_সুইটহার্ট আজকের রাত শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘুমাও
_বিকোজ কাল থেকে প্রতি রাত তোমাকে আমার সাথে ঘুমাতে হবে আরো শান্তিতে ।
_কথা দিলাম কাল সকালে আমার আদর নিয়ে তোমার ঘুম ভাঙবে ।
_আগুন ফোন করল একজন অচেনাকে ।
_অচেনা : সব আপনার প্ল্যান অনুযায়ী রেডি ।
।_
আপনি বললেই কাজ শুরু করব ।

আগুন শয়তানি হাসি দিলো
_
_সকালে আনুশকার ঘুম ভাঙলো ।সে চারপিাশ খেয়াল করে দেখলো এটা তার রুম না ।

_হঠাৎ কারো পায়ের আওয়াজ পেলো।
__আগুন : গুড মর্নিং সুইটহার্ট ।
_আগুন কে দেখে ভয়ে বিছানা থেকে উঠে দাড়ালো আনুশকা ।
_তখনি আগুন আনুশকাকে একটানে বিছানায় ফেলে দিলো ।
_আগুন নিজের নাক ঘষতে শুরু করল আনুশকার ঘারে ।
__আগুন : তুমি এখন আমার হাতের মুঠোয় ।।
_এবার তোমার শাস্তির পালা।
_বলেই নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দ দিলো আনুশকার ঠোঁটে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here