#i_m_mafia_lover
#part_2
#sabiha_kh
জহির- ইসান তুমি DW কম্পানির সিও। সেই সাথে আমার ছেলেও। বুঝেছো কিছু দায়িত্ব তো নিতেই পারো।।
ইসান- ওকে বাবা রাখি।।
বলে ইসান ফোন কেটে দিলো।।। ইসান আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো-
ইসান- আকাশ জনি কে ফোন দিয়ে বলো হেলিকপ্টার তৈরি রাখতে কাল আমরা(,,,,,,,,,,) শহরে যাবো।।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
”
”
”
”
পরের দিন বিকাল বেলা,,,,,,
ইসান কোর্ট প্যান্ট, হাতে রোলেক্সে ঘড়ি পরে তৈরি হলো একদম একটা জেন্টেল ম্যান এর মতো। চোখে একটা সান গ্লাস পরে হাতে বিজবেস ব্রিপকেস নিয়ে বের হয়ে নিচে গেলো।।
করিম- স্যার দেখে শুনে যাবেন।।
ইসান- thank you মিঃ করিম।
আকাশ – আসুন স্যার।।। (বলে গাড়ির দরজা খুলে দিলো)
ইসান গাড়িতে উঠে বসলো।।। এবং চলে গেলো হেলিপোর্টে।। হেলিপোর্টে এসে গাড়ি থেকে নেমে হেলিকপ্টার এ উঠলো ইসান।।। জনি ইসান কে সালাম জানালো। এবং আকাশের সাথে হাত মিলালো।। ( জনি ইসানের বাম হাত বললেই চলে) হেলিকপ্টার উরে গেলো (,,,,,,,,,) শহরের উদ্দেশ্যে।।।
প্রাই ৪৫ মনিটের পথ পারিদিয়ে তারা চলে আসলো (,,,,,,,,,) শহরে। হেলিকপ্টার ল্যান্ড করলো।। ইসান নামলো আকাশ জনি নামলো।। ইসানের ওলেকাম করার জন্য তাদের DW কম্পানির (,,,,,,,,,,,) শহরে যেই শাখা আছে তার ম্যানেজার এসে দারিয়ে ছিলো।। ম্যানেজার ইসানকে দেখে খুব অবাক হচ্ছিলো কারণ তাকে সে ছবিতেই দেখেছে সব সময়।।। আজ তাকে সামনা সামনি দেখছে। দুই পাশে দুই বডিগার্ড মাঝখানে ইসান। একটা হিরোর চেয়ে কনো অংশে কম না দেখাচ্ছে না তাকে।।
ম্যানেজার মনে মনে বললো- মনে হচ্ছে আমি কনো নায়ককে দেখছি ছবিতে যেমন দেখেছি তার থেকেও বেশি handsome মিঃ ইসান।।
ভেবে ম্যানেজার ইসানের দিকে এগিয়ে গেলো।
জনি ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- স্যার ইনি হচ্ছেন “মিনহাজ রহমান” এই শহরে DW কম্পানির যেই শাখা আছে সেটার ম্যানেজার পদে আছে।। ইনিই হসপিটালের কাজ দেখা শুনাই আছেন।।
মিনহাজ- হ্যালো স্যার।।
বলে মিনহাজ ইসানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো হ্যান্ডশেক কররার জন্য।। ইসান হ্যান্ডশেক না করে চলে গেলো।।। মিনহাজের একটু খরাপ লাগলো।।
আকাশ- মিঃ মিনহাজ স্যার এগুলো খুব একটা পছন্দ করেন।। এখন চলুন।।
ইসান গাড়িতে উঠে বসলো।। ম্যানেজার ও ইসানের পাশে আঁটোসাটো হয়ে বসলো।। জনি ড্রাইভারের সিটে বসলো তার পাশে আকাশ বসলো।।
ইসান- মিঃ মিনহাজ হসপিটাল তৈরি হওয়াতে যে বাধা দিচ্ছে উনার নাম কি?? উনার সম্পর্কে বলুন।।
মিনহাজ লোকটির সম্পর্কে যা জানে সব বললো।
ইসান- হমম বুঝেছি।।। গাড়ি থামাও।।। (জনি গাড়ি থামালো)
ইসান – মিঃ মিনহাজ আপনি এখন বাড়ি যেতে পারেন। আর হ্যা লোকটার বাড়ির ঠিকানাটা জনিকে কে বলে যান।।
মিনহাজ – ওকে স্যার।
মিনহাজ জনিকে বাড়ির ঠিকানা বুঝিয়ে বলে চলে গেলো।।।জনি সেই লোকেশান মোবাইলে বের করে সেই ঠিকানাই নিয়ে গিয়ে গাড়ি দাড়া করালো।।
ইসান- যাও লোকটাকে টেনে বাড়ির ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসো।।
আকাশ, জনি- ওকে স্যার।।।
আকাশ জনি গিয়ে লোকটির দড়জায় কলিং বেল বাজালো। একজন মেয়ে এসে দরজা খুললো। মেয়েটি দেখলো কোর্ট প্যান্ট মুখে মাস্ক পড়ে দুইজন লোক।।
– কি চায়??
আকাশ- মিঃ বারিক আছেন??
– জি কিন্তু আপনারা কে???
আকাশ জনি কনো কথা না বলে বাড়ির ভিতরে ঢুকলো। মেয়েটি উত্তেজিত সুরে বললো- কে আপনারা এমন বাড়ির ভিতরে ঢুকছেন কেন। বের হন বাসা থেকে। এখনি বের হন।।
বলে মেয়েটি জনির হাত টেনে ধরে ধাক্কা দিলো।। জনি রেগে রিভলবার বের করে মেয়েটার মাথায় ধরে বললো
জনি- মুখ বন্ধ ওকে।।
এমন সময় বারিক তার মেয়ের কন্ঠ শুনে রুম থেকে দ্রুত বের হয়ে এসে দেখে একজন লোক তার মেয়ের মাথায় রিভলবার ধরে আছে। বারিক চমকে যাই। এবং উত্তেজিত হয়ে বলে- আরে কে আপনারা কি করছেন??? ছাড়ুন আমার মেয়েকে??
মেয়েটা ভয়ে কাদতে লাগে।।।
আকাশ- মিঃ বারিক!!!
বারিক- হ্যা আমি বারিক!! আপনারা কেন আমার মেয়েকে ধড়েছেন? কে আপনারা???
আকাশ- শান্ত হন মিঃ বারিক।। আমার স্যার আপনার সাথে কথা বলতে চায়।। আসুন আমার সাথে।।
বারিক ভয়ে ভয়ে বললো- ঠিকাছে ঠিকাছে কিন্তু আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দিন!!
আকাশ- আপনার মেয়েকে কিছুই করবে না।।। আপনি চলুন আমার সাথে।।।
বারিক কনো পথ না পেয়ে আকাশের সাথে বাইরে গেলো দেখে বড় একটা কালো রং এর গাড়ি দাড়িয়ে আছে।। বারিক ভয়ে ভয়ে সেই গাড়ির কাছে আসলো।। আকাশ গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে বললো ভিতরে ঢুকতে।। বারিক ভয়ে একাকার অবস্থা।। গাড়ির ভিতরে ঢুকার জন্য তার মন মানছিলো না।। তবুও মেয়ের কথা ভেবে গাড়ি ভিতরে ঢুকলো।। বারিক পাশে তাকাতেই আপছা আলোতে দেখলো দেখে সুট বুট মাস্ক পরে একজন হাতে রিভলবার নিয়ে রিভলবার রুমাল দিয়ে পরিষ্কার করছে।। বারিক ভিতরে কেপে উঠলো।। ভয়ে তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। ঘাম ছুটছিলো তার না জানি আজ তার কপালে কি আছে।।
ইসান গম্ভীর সুরে বললো- DW হসপিটালের কাজে বাধা কেন দিয়েছিস???
বরিক ইসানের কথা শুনে চমকে উঠলো। বারিকে গলা দিয়ে যেন শব্দ বের হতে হচ্ছিলো না। ঢোক চিপে কাপা সুরে বললো- আপনি কে???
ইসান বারিকের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে বললো- আমি তোর মৃত্যু।।
বারিক ভয়ে কাপতে লাগলো।।
ইসান বারিকের মাথা থেকে রিভলবার সরিয়ে শান্ত সুরে বললো- শুনেছি তুই সরকারি লোক৷ এটাতে আমার কনো সমস্যা নাই কিন্তু অন্যের কথা শুনে নাচানাচি করা আমার একদম পছন্দ না৷৷ DW হসপিটাল হবে।। হসপিটাল হওয়ার যতো গুলো কাগজ পত্র তুই শোই করতে না বলে দিয়েছিস সেগুলো যদি কাল সকালে শোই করে জমা না দিয়েছিস তাহলে মাথায় রাখিস তুই শেষ।। তোর উপর আমার নজর থাকবে।। মাথায় রাখিস। আর হ্যা পুলিশকে জানানো বা কাওকে বলার চেষ্টা করিস তাহলে তোর পরিবার আছে না!!! সো কাওকে কিছু বলার আগে তাদের কথা একটু ভেবে নিস।।।
বারিক ভীত সুরে একটু উত্তেজিত হয়ে বললো- না,, না,,, আমি কালকেই সব শোই করে জমা দিয়ে দিবো আমার পরিবার কে কিছু করবেন না প্লিজ।।। আপনার পায়ে পরছি।। (কান্না করে)
ইসান রিভলবার বারিকের মাথায় ঠেকিয়ে কাছে এসে বললো- আমি এক কথার মানুষ।। ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম কাজ না হলে শুট করে দিবো মিঃ বারিক।। এখন বেরিয়ে যা।।।
বারিক তারাতারি গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড়ে তার বাড়ির ভিতরে ঢুকলো দেখে তার মেয়ে দাড়িয়ে কান্না করছে।। জনি বারকিকে দেখে উঠে চলে গেলো।। বারিক দৌড়ে গিয়ে তার মেয়েকে জোরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।।
মেয়ে- বাবা তুমি ঠিকাছো??? (কান্না করে)
বারিক- হ্যা মা ওই ছেলে তোকে কিছু করেনি তো??
মেয়ে- না বাবা।।। (বলে বাবা মেয়ে কান্নাই ভেঙে পরলো)
এদিকে আকাশ জনি গাড়িতে উঠে বসলো।।
ইসান- ওনার মেয়েকে কিছু করনি তো??
জনি- না স্যার।।
ইসান- ভালো।। এখন চলো।।
জনি গাড়ি স্টার্ট দিলো।। ইসান তার বাবা জহির চৌধুরী কে ফোন করলো।।
ইসান- বাবা। আমি লোকটাকে মারিনি।। তবে ভয় দেখিয়েছি।।
জহির- কাজ হবে তো??
ইসান- হমম হবে।
জহির- ওকে।। আমি একটু ব্যাস্ত আছি পরে কথা বলবো।।
বলে ফোন কেটে দিলো।। ইসান ফোন পাশে রেখে গাড়ির সিটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করো রয়লো।। কিছুদুর যেতেই হুট করে গাড়িটা এক ছোট রেস্টুরেন্টের সামনে বন্ধ হয়ে গেলো।।
ইসান চোখ খুলে বললো- কি হলো??
জনি- বুঝতে পারছি না স্যার৷ আপনি বসুন আমি দেখছি।।।
বলে জনি আকাশ গাড়ি থেকে নামলো।। ইসান গাড়ির জানালা দিয়ে সামনে তাকালো দেখে একটা রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টে সাইনবোর্ডে লিখা তনদুরি রেস্টুরেন্ট।।। রেস্টুরেন্টের নাম পরে ইসানের চোখ সাইনবোর্ডে আটকে গেলো।।। ইসানের ইমার কথা মনে হয়ে গেলো।।
৬ বছর আগে,,,,,,
ইসান ইমা কলেজের ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলো গাড়ি নিয়ে। এমন সময় খুব বৃষ্টি।। ইমা গাড়ির জানালার কাচ নামালে ইসান ইমাকে বকা দিয়ে বলে- ভিজে যাবে তো।।
ইমা মুখ ভেংচিয়ে বললো – ইসান তুমি এমন কেন?? আমার বোর লাগছে এখন।। এই চলো না বৃষ্টি তে একটু ভিজি।।
ইসান- একদমি না।। ঠান্ডা লেগে যাবে তখন বুঝবে কি হয়।।
ইমা- ছায় হবে।।
বলে ইমা সামনে তাকালো দেখে একটা রেস্টুরেন্টে যেখানে তন্দুর রুটি বানাচ্ছে।। ইমা খুশি তে পা আসতে আসতে বাড়ি দিয়ে বাচ্চা দের মতো করে ইসান কে বললো- ইসান আমি ওই খানে যাবো। ওই দেখ তন্দুর রুটি বানাচ্ছে আমি খাবো।।
ইসান- আরে না,, পেট খারাপ করবে । বাইরের ওগুলো খাবার খাওয়া হবে না।। অসুস্থ হয়ে যাবা।।
ইমা একটু রাগ করে বললো- হুর,, তুৃমি কি বুঝো।। সরো আমি একটাই যাবো।
বলে ইমা গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড়ে গেলো সেই রেস্টুরেন্টে।।
ইসান – এই মেয়েটা সত্যি পাগল। এই ইমা দাড়াও আমি আসছি।। (একটু জোরে)
বলে ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে বৃষ্টির মধ্যে দৌরে সেই রেস্টুরেন্টে গেলো।। ইমা তন্দুরের রুটির মধ্যে শিক কাবাব দিয়ে খুব মজা করে খেতে লাগলো ইসান ইমার বাচ্চা মতো করে খাওয়া দেখতে লাগলো।।
ইমা- তুমিও খাও??
ইসান- না,আমি এগুলো খাইনা। এগুলো অসাস্থথ্য কর।।
ইমা- আরে না খেয়ে দেখো। (বলে ইমা ইসানকে জোর করে খাইয়ে দিলো)
ইমা- কেমন??
ইসান- হমম ভালোই তোমার হেঠো লেগে আছে না এই জন্য আরো ভালো লাগলো।।
ইমা- তাই না শয়তান ছেলে।। ( বলে ইমা ইসানের হাতে মারলো এবং দুইজন হাসা হাসি করতে লাগলো)
বর্তমান,,,,
এমন সময় জনি গাড়ির জানালায় নক করলো। ইসান চমকে উঠে জনির দিকে তাকালো এবং গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে দিলো।
জনি- স্যার গাড়ির ইনজিন খুব গরম হয়ে গেছে। তাই এমন বন্ধ হয়ে গেছে। আমি সামনের ওই রেস্টুরেন্ট থেকে পানি নিয়ে আসছি।।
ইসান- ওকে তারাতারি করো।।।।।
ইসানের গাড়ির ভিতর বসে থাকতে একটু বিরক্তি ফিল হচ্ছিলো৷ তাই সে গাড়ি থেকে বের হয়ে বাইরে দাড়ালো।। হঠাৎ ইসান দেখলো ৬ বছরের একটা পিচ্চি মেয়ে রেস্টুরেন্টের পাশে ব্রেঞ্চে বসে বেলুন নিয়ে খেলছে।। মেয়েটার পাশে একটা লাল রং এর টেডিবিয়ার।। মেয়েটা দেখতে খুব মিষ্টি । মেয়েটার চুল গুলো অর্ধেক পিট পর্যন্ত মাথায় সাদা রং এর ব্যান্ড পরে আছে। পরণে সাদা রং এর একটা টপস এবং থ্রিকয়াটার জিন্সের প্যান্ট৷ পায়ে সাদা,জুতা।।। পিচ্ছি মেয়েটার হাসিটা খুব মিষ্টি।। ইসান একরকম মুগ্ধ হয়ে পিচ্চি মেয়েটাকে দেখছিলো৷ হঠাৎ মেয়েটার হাত থেকে বেলুনের সুতটা ছুটে যায় বেলুনটা উরতে লাগলে মেয়েটা ধরার চেষ্টা করে কিন্তু পারেনা ইসান দ্রুত গিয়ে লাফ দিয়ে বেলুনের সুতাটা ধরে ফেলে৷ পিচ্ছি মেয়ে খুব খুশি হয়।৷ ইসান মুচকি হেসে হাটু গেড়ে মেয়েটার সামনে বসে মেয়েটার হাতে বেলুনের সুতাটা ধরিয়ে দিলো।। মেয়েটা ইসানের দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো-thank you…
ইসান- তোমার হাসিটা খুব মিষ্টি। তোমার নাম কি???
– আমার নাম ইসমা খান।।
মেয়েটার নাম শুনে ইসানের বুকের ভিতর ধাক করে উঠলো।।।
ইসান- তুমি একা কেন এখানে???
ইসমা- আমি একা না৷ আমি আমার আম্মুর সাথে এসেছি।৷ আম্মু একটু ভিতরে গেছে আমাকে ওখানে থাকতে বলেছে।৷
ইসান- ও আচ্ছা।।
বলতেই আকাশ এসে বললো- স্যার গাড়ি ঠিক হয়েছে আসুন।।।
ইসান- তুমি যাও আমি আসছি।।। (আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো)
আকাশ চলে গেলো।।
ইসান- ইসমা তোমার সাথে পরিচয় হয়ে খুব ভালো লাগলো।। তুমি দেখতে খুব মিস্টি৷ ( মুচকি হেসে)
ইসমা- তুমি ও দেখতে খুব সুন্দর।।
ইসান- তাই।। thank you . ওকে ইসমা বাই।।
ইসমা- বাই।।।
বলে দৌড়ে চলে গেলো।। ইসান উঠে গাড়িতে গিয়ে বসলো।।
এবং পিচ্ছি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রয়লো।। মেয়েটি ইসানকে হাত নারিয়ে টাটা দিলে।। ইসান ও টাটা দিলো।। গাড়ি চলতে লাগলো। ইসান গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ইমাকে বলা কথা ভাবতে লাগলো।।
৬ বছর আগে,,,,,,,
ইসান ইমা কলেজের বারান্দায় বসে গল্প করতে করতে বললো-
ইসান- ইমা আমাদের বিয়ের পরে যেই সন্তানি হোক ছেলে বা মেয়ে আমি কিন্তু আমাদের সাথে নাম মিল করেই রাখবো। ধরো মেয়ে হলে তার নাম রাখবো ইসমা।।
ইমা- আর ছেলে হলে নাম রাখবো ইসমান।।
ইসান- ওকে ওকে আমি রাজি।।( হেসে)
ইমা- উমম ঢংগি বিয়ে কবে হবে তার ঠিক নেই আগেই বাচ্চাদের নাম ঠিক করছে।।৷ (বলে ইসানকে হাতের বাজুদিয়ে ঠেলা মারে)
ইসান- কি!! আরে আগে আগেই সব ঠিক করা ভালো পরে গিয়ে ঝামেলা হবে না। ইমু,,, (একটু ব্যাঙ্গ করে)
ইমা- তুমি আমাকে আবার ইমু বললে!!
ইসান উঠে দৌড় দিলো।৷ ইমা ও উঠে ইসানের পিছে দৌড় দিলো।৷
বর্তমান,,,,,,
ইসানের চোখের কোনায় জল চলে আসলো ইসান মুচকি হেসে মনে মনে বললো- আমার সব ইচ্ছা গুলো তুমি নষ্ট করেছো ইমা।। সব কিছু।। তবুও আমি তোমাকেই চেয়েছি। আর সারা জীবন চায়বো। আমার বিশ্বাস আমি তোমাকে খুব তারাতারি খুজে পাবো।।
,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।