#i_m_mafia_lover
#part_10
#sabiha_kh
ইসান রেডি হয়ে বের হলো হসপিটালে যাওয়ার জন্য।।।
আকাশ- Good morning স্যার।।
ইসান- Good morning… কি ঘুম হয়নি তাইনা!!
আকাশ মাথা চুলকিয়ে আসতে বললো- না মানে,,,,
ইসান জনির দিকে তাকালো দেখে জনি হামি তুলতে তুলতে আসছে।।
জনি- Good morning স্যার।।
ইসান- Good morning… আজ তোমাদের ছুটি।। কাল অনেক রাত জেগেছো।। একটু আরাম করো।।
আকাশ উত্তেজিত সুরে বললো- কি বলছেন স্যার আরাম করবো!!! কখনোই না।। আমি যাবো আপনার সাথে।।
জনি- আমিও যাবো।। আরামের একটুও দরকার নেই।।।
ইসান রাগান্বিত সুরে বললো- দুইজনই চুপ করো। আমি একাই যেতে পারবো।। তোমাদের যেটা বলেছি সেটা করো।। বিশ্রাম নাও শরীর ভালো লাগবে।।
আকাশ- কিন্তু স্যার,,,,
বলতেই ইসান বললো- আমি তোমাদের বস।। যেটা বলছি সেটাই করবে ওকে।। জনি গাড়ির চাবি দাও।। (গম্ভীর সুরে)
জনি- কিন্তু স্যার??
ইসান- কনো কিন্তু না চাবিটা দাও।।
জনি মন খারাপ করে চাবি বের করে ইসানের হাতে দিলো।। ইসান চাবি নিয়ে গাড়ি তে উঠে বসলো।। এবং মুচকি হেসে বললো-
ইসান- দুইজন ভালো করে ঘুমাবে। ঘুম হয়ে গেলে উঠে আমাকে কল করবে।। ওকে।। (হেসে)
আকাশ, জনি- ওকে স্যার।।।( মুচকি হেসে)
ইসান গাড়ি টান দিয়ে চলে গেলো।।।
Time skip,,,
হসপিটালে ইমা রুগী দেখছে।। এমন সময় ইমার ফোনে কল আসে ইসমার স্কুল থেকে।।ইমার ফোন সাইলেন্ট থাকায় ইমা শুনতে পেলো না।।।
এদিকে ইসান গাড়ি নিয়ে হসপিটালের দিকে আসতে দেখে সামনে একটা স্কুলের সামনে দুইজন মহিলার মধ্যে একজন মহিলা একটা স্কুল ইউনিফর্ম পরা বাচ্চাকে পাতাল করে কোলে নিয়ে আছে। আর একজন লোক গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছে।।। ইসান একটু কাছে আসতেই দেখে মহিলাটির কোলে বাচ্চাটি ইসমা।। ইসানের বুকের ভিতর ধাক করে উঠে। ইসান তারাতারি সাইড করে গাড়ি থামিয়ে দ্রুত গাড়ি থেকে বের হয়ে তাদের দিকে দৌড়ে গেলো এবং উত্তেজিত সুরে বললো-
ইসান- কি হয়েছে ইসমার??
সবাই ইসান কে দেখে অবাক হয়ে গেলো।।।
ম্যাডাম- স্যার আপনি?? (অবাক চোখে)
ইসান- ইসমার কি হয়েছে??? ( কপাল কুচকে উত্তেজিত সুরে বললো)
ম্যাডম- ইসমার শ্বাস কষ্টের প্রবলেম আছে স্যার।। ওর হঠাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো।। ইসনার ক্লাসের দুইজন মেয়ে এসে বললে আমি তারাতারি যাই দেখি ইসমা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে আছে।
ইসান- ওকে ওকে ইসমাকে আমাকে দিন আমি নিয়ে যাচ্ছি।।
ম্যাডাম- স্যার আমিও যাবো আপনার সাথে।।।
স্কুলের স্যার- আমি কি আসবো??
ইসান স্যারের দিকে তাকিয়ে বললো- না তার দরকার নেই আমি সামলে নিবো।। চলুন মিস।।
বলে দ্রুত ইসমাকে নিয়ে ম্যাডাম এবং ইসান গাড়িতে উঠে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে হসপিটালে আসে এবং তারাতারি গাড়ি থেকে বের হয় ম্যাডামও ইসমা কে নিয়ে বের হয়।। ইসান ম্যাডামের কোল থেকে ইসমাকে কোলে নিয়ে তারাতারি হসপিটালের ভিতরে ঢুকলে ডাক্তার রশনি খেয়াল করে ইসান একটা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ছুটে আসছে।। রশনি ইসমার চেহারা দেখতে পাই না।। রশনি দ্রুত ইসানের কাছে ছুটে আসতেই ইসান বললো-
ইসান- ডাক্তার ইমারজেন্সি।।( উত্তেজিত সুরে)
বলতেই ওয়ার্ড বয় ট্রেচার নিয়ে আসে।। ইসান ইসমাকে ট্রেচারে শুইয়ে দিতেই রশনি ইসমাকে দেখে অবাক হয়ে যাই এবং উত্তেজিত সুরে বলে – এটাতো ইসমা।।। স্যার ইসমার কি হয়েছে??
বলতেই ম্যাডাম বললো-
ম্যাডাম – ওর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো ।।হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরে যাই।।।
রশনি স্টেথিস্কপ্ দিয়ে ইসমার বুকে চেক করলো।এবং প্লাস ও চেক করে বললো-
রশনি- ইসমার এ্যাটাক এসেছে।। নার্স আমি ইসমাকে নিয়ে ২০১ নাম্বার ক্যাবিনে যাচ্ছি।। তুমি তারাতারি গিয়ে ডাক্তার ইমাকে খবর দাও।।
নার্স- ওকে ম্যাডাম।।।
রশনি, ইসান, ম্যাডাম ইসমাকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলো।।
এদিকে ইমা পেশেন্টের সাথে কথা বলছে এবং ইনজেকশন দেওয়ার জন্য ইনজেকশন রেডি করছে। এমন সময় নার্স এসে ইমাকে বললো-
নার্স- ম্যাডাম আপনি তারাতারি আসুন।। (উত্তেজিত সুরে)
ইমা- কি হয়েছে?? (কপাল কুচকে)
নার্স- আপনার মেয়ে হসপিটালে। ও অজ্ঞান হয়ে পরেছে।।
ইমা নার্সের কথা শুনে হাত থেকে ইনজেকশন পরেযাই।। ইমার মাথা যেন ভনভন করে ঘুরতে লাগে।। ইমা সব রেখে দৌড়ে ক্যাবিন থেকে বের হয়ে লিফ্টে না উঠে শিরি দিয়ে নিচে নামতে লাগে।।
নার্স- ম্যাডাম লিফ্ট,,,,,,
বলতেই দেখে ইমা অলরেডি শিরি দিয়ে নেমে চলে যাচ্ছে।। নার্স কি করবে সে ও ইমার পিছে পিছে যাই।।।
ইমা- কথায় আমার মেয়ে??? (নার্সের দিকে তাকিয়ে কান্নার সুরে )
নার্স- ২০১ নাম্বার ক্যাবিনে ম্যাডাম।।
ইমা পাগলের মতো ছুটে গেলো ২০১ নাম্বার ক্যাবিনের দিকে সবাই ইমাকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়লো।। ইমা চোখে কিছুই দেখছিলো না।। কান্না করছিলো এবং দৌড়ে যাচ্ছিলো।।
এদিকে ইসান ক্যাবিনের বাইরে দাড়িয়ে দরজায় লাগানো কাচ দিয়ে ইসমাকে দেখছে।।। রশনি ইসমার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দিলো।। এবং হাতে স্যালাইন দিয়ে দিলো।৷ ইসানের কানে দৌড়ে আসার শব্দ আসতেই ইসান করিডরের দিকে তাকায় দেখে ইমা চোখ মুছতে মুছতে দৌড়ে আসছে।।। ইসান দরজার কাছ থেকে সরে দাড়ায়।। ইমা ইসানের দিকে না তাকিয়েই ক্যাবিনের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে ইসমার মুখে অক্সিজেন হাতে স্যালাইন দেওয়া।। রশনি ইমার দিকে তাকালো দেখে ইমা হতবাক চোখে ইসমার দিকে তাকিয়ে আছে।। ইমার চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পোরছে।।।। রশনি এসে ইমার কাঁধে হাত রাখতেই ইমা রশনির দিকে তাকালো।। রশনি বললো-
রশনি- চিন্তা করো না ইমা ইসমা ঠিক আছে।। ওর এ্যাটাক এসেছিলো।।।
ইমা- এই নিয়ে তিনবার হলো।।। (কান্নার সুরে বললো)
রশনি- ওর শ্বাস কষ্টের সমস্যা ওর ব্যাগে সব সময় ইনহেলার টা রাখতে বলবে।।।
ইমা- আমি রোকসানাকে বার বার করে বলে দিয়েছিলাম ইনহেলার সব সব সময় ইমার ব্যাগে একটা করে রাখবে।। উফফ,,,
রশনি ইমার হাত ধরে বললো- চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।। আরে তুমি তো কাপছো!! (অবাক চোখে তাকিয়ো)
রশনি নার্সের দিকে তাকিয়ে বললো- নার্স ডাক্তার ইমার জন্য পানি নিয়ে আসুন।। ইমা তুমি ইসমার পাশে বসো।। (ইমার দিকে তাকিয়ে)
ইমা ইসমার পাশে বসলো এবং ইসমার হাতের উপর হাত রেখে কান্না করতে লাগে। রশনি ইমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো-
রশনি- এভাবে কান্না করো না ইমা।।
ইমা- ওর যদি কিছু হয়ে যাই আমি বাচবো না।।
রশনি- আরে কিচ্ছু হবে না।। এই একটু পরেই ইসমার জ্ঞান ফিরে আসবে।। তুমি জানো ইসমাকে কে নিয়ে এসেছে??(ইমা রশনির দিকে তাকালো) তোমার বন্ধু মিঃ ইসান । উনি বাইরে দাড়িয়ে আছেন।।( ইমা রশনির কথা শুনে অবাক হলো)
এমন সময় নার্স ইমার জন্য পানি নিয়ে আসলে রশনি পানির গ্লাস ইমার হাতে দিয়ে বলে-
রশনি- তুমি পানি খাও।। আমার এখন যেতে হবে।। (মুচকি হেসে)
ইমা- ওকে।।।
রশনি ক্যাবিন থেকে বের হলে ইসান, ম্যাডাম রশনির কাছে আসে।।
ইসান- ইসমা কেমন আছে ডাক্তার??
রশনি- ইসমা এখন ঠিকাছে স্যার।। একটু পরই ওর জ্ঞান ফিরে আসবে।। (মুচকি হেসে)
ইসান সস্থির একটা শ্বাস ছেড়ে হেসে বললো- thank you ডাক্তার।।
রশনি- most welcome… (হেসে)বলে রশনি চলে গেলো।।
ম্যাডাম ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- ওকে স্যার আমার এখন যেতে হবে।।
ইসান- ওকে। thank you মিস,,!!!!
ম্যাডাম- নুরি।।। (মুচকি হেসে)
ইসান- thank you মিস নুরি।।।
নুরি- thank you বলতে হবে না স্যার।। আসলে আমরা সত্যি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।। ইসমা আমাদের স্কুলের সব চেয়ে লক্ষী একটা মেয়ে।। ও সত্যি অনেক ভালো।। আমরা সবাই ওকে অনেক ভালোবাসি।। (হেসে)
বলতেই ইমা ক্যাবিন থেকে বের হয়ে আসে। ইসান নুরি ইমার দিকে তাকায়।।
নুরি- হ্যালো ম্যাডাম।।।
ইমা- হ্যালো মিস নুরি।। sorry আসলে আপনারা ফোন দিয়ে ছিলেন আমার ফোনটা সাইলেন্ট ছিলো। তাই বুঝতে পারিনি।।
নুরি- ti’s ok ম্যাডাম।।
ইমা- thank you আপনারা নিজ দায়িত্বে আমার মেয়েকে হসপিটালে নিয়ে এসেছেন।।
নুরি- আমাকে না আপনি মিঃ ইসান স্যার কে thank you জানান। উনি না থাকলে হয়তো আমাদের আসতে আরো দেরি হয়ে যেত।। (ইমা ইসানের দিকে তাকালো) ওকে ম্যাডাম আমার এখন যেতে হবে।।
ইমা- ওকে ।।।
নুরি- ওকে স্যার আসি।।
ইসান- ওকে। (নুরি চলে গেলো।।)
ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে আসতে করে বললো- আ,,, আসো ভিতরে আসো ।।
ইসান- ওকে চলো।।
ইমা ইসান ক্যাবিনের ভিতরে আসলো। ইসান ইসমার কাছে গিয়ে ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই ইমা বললো-
ইমা- জানিনা তোমাকে কি ভাবে thank you জানাবো।। আমার মেয়েকে দুই দুই বার বাচালে তুমি।।।।
ইসান ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো- এটাতে thank you বলার কি আছে।। it’s ok..
বলতেই ইসমা চোখ খুলে আসতে করে আম্মু বলে ডাকে।। ইমা ইসান ইসমার দিকে তাকালো এবং
দুজনায় একসাথে ইসামাকে ধরলে ইমার হাতের উপর ইসান ভুল করে হাত রাখে।।।
ইমা ইসানের দিকে তাকায় ইসান ইমার দিকে তাকায় এবং আসতে করে হাড সরিয়ে সোজা হয়ে দাড়ায়।।
ইমা- মামুনি তুমি ঠিকাছো??( ইসমার গালে হাত দিয়ে বললো)
ইসমা হাত দিয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে বললো- হমম।। ইসমা ইসানের দিকে তাকিয়ে আংকেল বলে ডাক দিলো।।!
ইসান ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে মুচকি হেসে বললো- এখন কেমন লাগছে ইসমা??
ইসমা- ভালো।। কিন্তু তুমি সেদিন আমাকে না বলে কেন চলে গিয়ে ছিলে বলতো???
ইসান- আ,,, আমার একটু কাজ পরে গিয়েছিলো।।
ইসমা- আজকে কিন্তু আমাকে ছেড়ে যাবে না।। আমি না বলা পর্যন্ত।।।
ইমা- ইসমা এটা কেমন কথা আংকেলের কাজ থাকলে তো যেতেই হবে।।
ইসান- না সমস্যা নেই আমার আজকে কাজ নেই।। আমি তোমার কাছে থাকবো ইসমা।( মুচকি হেসে)
ইসমা মিষ্টি করে হাসি দিলো।।
এমন সময় একজন নার্স এসে বললো- ম্যাডাম আপনি কি একটু আসতে পারবেন?
ইমা- কেন কি হয়েছে??
নার্স- একটা এ্যাক্সিডেন্ট কেস এসেছে।।
ইমা- আর কেও নেই??
নার্স- মাহিম স্যার আজ আগেআগে বের হয়ে গেছে। (এই কথা শুনে ইসান একটু চমকে তাকালো নার্সের দিকে) রশনি ম্যাডাম গেছে পেশেন্টের কাছে।। আরিফ স্যার আসেন নি। রুহি ম্যাডাম আসেনি।। মেরি ম্যাডাম রুগী দেখছে।।।
ইমা- ওকে চলো।। ইসমা মামুনি একটু ঘুমানোর চেষ্টা করো আমি একটু পর আসছি। (মুচকি হেসে ইসমার কপালে চুমু দিয়ে বললো)
ইসমা- ওকে আম্মু।।। (হেসে)
ইমা ইসানের দিকে তাকালে ইসান বললো-
ইসান- আমি খেয়াল রাখবো।।
ইমা – ওকে thank you. (বলে চলে গেলো।।।)
ইসমা- আংকেল তুমি আজ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো??.
ইসান- হমম।।
ইসমা- আচ্ছা আংকেল,,,,
বলতেই ইসান মুখ একটু বেকিয়ে বললো- আচ্ছা আমাকে কি আংকলের মতো মনে হয়???
ইসমা- হমম,,,, তুমি তো আমার আংকেল হও। (হেসে)
ইসান- উমম,,, আমি তোমার আংকেল হতে চায় না। আমাকে কি তুমি বন্ধু বলে ডাকবে।। (আনন্দিত সুরে বললো)আমার সাথে বন্ধুত্ব করবে তুমি??
ইসমা হেসে বললো- তুমি তো কতো বড়!! বড়দের সাথে কেও বন্ধুত্ব করে??
ইসান- কিন্তু আমি ছোটদের সাথে বন্ধুত্ব করি।। আমি তোমার বন্ধু হতে চায়।
ইসমা- ওকে তাহলে আজ থেকে আমরা বন্ধু।। (হেসে)
ইসান- আসো তাহলে আমরা হাত মিলায়।। (হেসে ইসমার দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে বললো)
ইসমা- ওকে।। (বলে ইসানের সাথে হাত মিলালো।।)
২ ঘন্টা পর,,,,
আকাশ জনি হসপিটালে এসে ইসানকে ফোন করে।।। এদিকে ইসান ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দিচ্ছে এমন সময় ফোন আসায় ইসান তারাতারি ফোন পকেট থেকে বের করে সাইলেন্ট করে দেয়।। এবং ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।।
আকাশ- স্যার!!
ইসান- হমম বলো!!
আকাশ- আমরা হসপিটালে এসেছি আপনি কথায়।।
ইসান- আমি হসপিটালেই আছি।। তোমরা এখন একটা কাজ করো।। আজ আগে আগে ডাক্তার মাহিম হসপিটাল থেকে বের হয়ে গেছে।। আমার এখন পুরা সন্দেহ ঢুকে গেছে ডাক্তার মাহিমের উপর।। তোমরা ডাক্তার মাহিমের ব্যাপারে খোজ লাগাও।। ডিটেলস বের করো উনার ব্যাপারে।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
বলে আকাশ ফোন কেটে দিলো।।। ইসান ইসমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।।। এবং সন্দেহ ভাবে বললো-
ইসান- আজব ব্যাপার ইসমার বাবা একবারো আসলো না।। আর ইসমা ও তো একবারো ওর বাবার কথা বললো না।।। কতো গল্প করলো একবারো ওর বাবার কথা বলেনি।।।তাহলে কি ইমা আমাকে মিথ্যা বলেছে?? নাকি ওর হাসবেন্ড এর সাথে ওর কনো সম্পর্ক নেই!!
Time skip
বিকাল হয়ে আসলো,,,,
ইমা ইসমার ক্যাবিনে এসে দেখে ইসান ইসমার বেডের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। ইসমাও ঘুমাচ্ছে!! ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো-
ইমা- ঘুমে মানুষকে সত্যি খুব ইনোসেন্ট দেখায়।।। (মুচকি হেসে) না না এগুলো কেন বলছি?? (কপাল কুচকে) ইসান,,,, ইসান,,, (একটু জোরে)
ইসান চমকে চোখ খুলে ইসমার দিকে তাকায় তারপর ইমার দিকে।।
ইসান- ও,, ও,, I am sorry চোখ লেগে এসেছিলো।। ইসমা ঘুমাচ্ছে!!
ইমা- আসলে আমারি দেরি হলো।।।। আজকে হসপিটালে ডাক্তার কম তো তাই। ।।।
ইসান- ইমা আ,,,,, (মনে মনে – বলবো ডাক্তার মাহিমের কথা!! না থাক আবার আরেকটা বুঝে থাকবে)
ইমা- কি বলবে বলো??
ইসান- না কিছু না।। তাহলে আমি এখন উঠি।। (বলে উঠতে গেলে দেখে ইসমা তার কোর্টের হাতা ধরে আছে। হঠাৎ ইসমার ঘুম ভেঙে যাই।।)
ইসমা ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- বন্ধু তুমি কথায় যাচ্ছো???( ঘুম ঘুম কন্ঠে)
ইমা বিস্মিত চোখে ইসমার দিকে তাকিয়ে বললো- বন্ধু!!!! ইসমা তুমি আংকেলকে বন্ধু কেন বলছো???
ইসমা- কারণ আমি আর বন্ধু আজ বন্ধুত্ব করেছি।। তাই আজ থেকে আংকেল আমার বন্ধু।। (হেসে)
ইমা ইসানের দিকে তাকালো।
ইসান সংকোচ নিয়ে বললো- আ,,, আসলে,,
বলতেই ইমা একটু গম্ভীর সুরে বললো- হমম বুঝেছি It’s ok.. ইসমা বাড়ি যাবে না মামুনি?? (ইসমার দিকে তাকিয়ে)
ইসমা- বাড়িতে!! যাবো তো।।( আনন্দিত সুরে)
ইমা ইসমার হাতের স্যালাইন খুলে দিলো।।
ইসমা- বন্ধু তুমিও চলো আমার সাথে আমাদের বাড়িতে? (হেসে)
ইমা- ইসমা তোমার বন্ধুর কাজ আছে।।
বলতেই ইসান একটু জোরে বললো-
ইসান- না কাজ নেই আমি যাবো।। ( হেসে)
ইমা ইসানের দিকে একটু রাগান্বিত চোখে তাকালো।।
ইসান ইমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো- আমার সত্যিটা জানতে হবে না!!! তুমি তোমার হাসবেন্ড নিয়ে আমাকে সত্যি বলেছো কিনা!!!। এবং ইসমা আজো তোমার মেয়ে কিনা!!
ইসমা আনন্দিত সুরে বললো- দেখেছো আম্মু বন্ধু কতো ভালো।।
ইমা- হমম দেখছি (একটু গম্ভীর সুরে ইসানের দিকে তাকিয়ে)
তারপর ইমা, ইসমা, ইসান হসপিটাল থেকে বের হলো।।
ইসান – আমি গাড়ি নিয়ে আসছি তোমরা দাড়াও।।
বলে ইসান গাড়ি নিয়ে আসলে ইমা ইসমাকে নিয়ে ইসানের পাশের সিটে বসলো।। ইসান গাড়ি স্টার্ট দিলো।। ইসমা ইমার সাথে ইসানের সাথে পুরা রাস্তা গল্প করে হাসতে হাসতে যাই।।
তারা চলে আসলো বাড়ি।। ইসান ইসমা ইমা গাড়ি থেকে নামলো।। ইসমা দৌড়ে এসে ইসানের হাত ধরে বললো-
ইসমা- চলো বন্ধু। (মিষ্টি হাসি দিয়ে)
ইসান ইমার দিকে তাকায়।
ইমা – আসো ইসান।।। ( আসতে)
বলে আগে আগে চলে গেলো ইমা।। তিনজন একসাথে লিফ্টে উঠে ৮ তলাই আসলো।। ইমা তার ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজালে রোকসানা দরজা খুলে দেয়। দেখে ইমা ইসমা সাথে আরেক জন লোক।। রোকসানা একটু অবাক হয়।। ইসমা আন্টি বলে জোরিয়ে ধরলো রোকসানাকে।।।
ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- ভিতরে এসো ইসান।।। (ইসান বাড়ির ভিতরে ঢুকলো।।। )
রোকসানা ইসমার সামনে হাটু ভেঙে বসে মন খারাপ করে বললো- I am sorry মামুনি। আমার আর এমন ভুল কখনো করবো না।। আর ম্যাডাম আমাকে ক্ষমা করবেন।।( ইমার দিকে তাকিয়ে)
ইমা- রোকসানা এমন ভুল আর কখনো করো না প্লিজ।।
রোকসানা- ওকে ম্যাডাম।।
ইসমা – আন্টি দেখো আমাদের বাসায় আমার বন্ধু।।। (হেসে ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো)
ইমা- দাড়িয়ে কেন বসো।।। (ইসানের দিকে তাকিয়ে)
ইসান- হমম বসছি।। (বলে সোফায় বসলো)
ইমা- ইসমা চলো রুমে গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করতে হবে।।।
রোকসানা – আমি করে দিচ্ছি ম্যাডাম।। আপনি বসুন।। (বলে রোকাসানা ইসমাকে নিয়ে রুমে চলে গেলো।।)
ইসান- তোমার বাড়িটা সুন্দর।। (মুচকি হেসে)
ইমা- Thank you..( মুচকি হেসে)
ইমা একটু সংকোচ বোধ নিয়ে বললো- ইসান,,, ইসমা বাচ্চা মেয়ে।। ও হয়তো একটু বেশিই তোমাকে,,,,,
বলতেই ইসান বললো-
ইসান- ইমা আমি একটু ও বিরক্ত হয়নি।। আসলে ইসমাকে দেখলে ওর সাথে কথা বললে আমার খুব আপন আপন লাগে ওকে। আসলে,,,
বলতেই ইমা বললো-
ইমা – কি খাবে চা না কফি??
ইসান- আ,, পানি খাবো।।
ইমা- ওকে আমি নিয়ে আসছি।।।
বলে ইমা উঠে গেলো।। ইসান এদিক ওদিক দেখতে দেখতে পিছনে ঘুরে তাকায় এবং চমকে উঠে দাড়ায়। ইমা পানি নিয়ে আসলে দেখে ইসান দাড়িয়ে দেওয়ালে টাঙানো ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।।
ইমা – কি হয়েছে??
ইসান ইমার দিকে তাকিয়ে আসতে করে বললো- তোমার আর ইসমার পাশে লোকটা,,,,,!!
বলতেই ইমা বললো-
ইমা- উমিই আমার হাসবেন্ড।।।
ইমার কথা শুনে ইসানের বুকটা কেমন মোচর দিয়ে উঠে।।
ইমা- এই নাও পানি,,,
বলতেই ইসান বললো।।
ইসান- না লাগবে না। ওকে আমি এখন আসি।
বলে ইসান হন হন করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেলো।।
,,,,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।