#i_m_mafia_lover
#part_11
#sabiha_kh
আমি অসুস্থ একটু। তাই অল্প লিখেছি।।। 😑
ইসান হটেলে ফিরে নিজের রুমে ঢুকে ধাম করে দরজা বন্ধ করে দেয়। এবং দরজার সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে থাকে।। ইসানের বুকের ভিতর উথাল পাথাল হয়ে যাচ্ছে।।। চোখের কোনা দিয়ে পানি গোড়িয়ে আসছে।।। ইসান জোরে একটা শ্বাস ছেড়ে চোখ মুছে বললো-
ইসান- আমি সত্যি অপরাধী আজ সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো।।।
বলতেই ইসানের ফোন বেজে উঠে ইসান পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে তার বাবা।।। ইসান কন্ঠ ঠিক করে চোখে মুছে ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো।।।
ইসান- হ্যা বাবা বলো??
জহির- তুৃমি কি ব্যাস্ত??
ইসান- না বাবা।।
জহির- কাল তোমাকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে।।
ইসান- কেন কি হয়েছে???
জহির- একজন ক্লায়েন্ট আছে।। আমাদের কম্পানির সাথে ঝামেলা করেছে।। তাকে সরিয়ে দিতে হবে।।
ইসান- ঠিকাছে।। আজ রাতেই যাবো।।।
জহির- কাল গেলেও চলবে।।
ইসান- না আমি আজি যাবো।। তুমি সেই ক্লায়েন্টের ডিটেইলস পাঠিয়ে দিয়ো।।
বলে ফোন কেটে দিয়ে আকাশ কে কল করলো।।।
আকাশ- হ্যালো স্যার।।
ইসান- যেখানেই আছো দ্রুত হটেলে ফিরে আসো।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
Time skip
ইসমা- মা বন্ধু আজকেও না বলে চলে গেলো কেন???
ইমা- জানিনা।।।
ইসমা- মা জানো আজ বন্ধু আমাকে বাবার মতো মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়েছে।। মা বাবাকে আজ খুব মনে পরছে।।। (মন ভার করে)
ইমা ইসমার কথা শুনে ইসমাকে জোরিয়ে ধরলো।।
ইসমা- বাবা কথায় মা কেন আসছে না বাবা৷
ইমা- জানিনা মা কথায় তোমার বাবা?
ইমা মনে মনে বললো- অভি তুমি সেই যে গেলে আর তো ফিরলে না।। তোমার ফোন ও বন্ধ। না পেরে পুলিশকেও জানালাম পুলিশ কিছুই বলতে পারলো না।।। তাহলে আমি কি ধরে নিবো বলতো?? ( অভি ইমার হাসবেন্ড)
Time skip
আকাশ জনি ইশানের কাছে আসলো।।
ইসান- অস্ট্রেলিয়ার ৩ টা টিকিট বুকিং দাও আজ রাতের ফ্লাইটের।।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
জনি- স্যার ডাক্তার মাহিম,,,,
ইসান- হমম কিছু জানতে পেরেছো??? (কপাল কুচকে)
জনি- স্যার আজ ডাক্তার মাহিমের ব্যাংকে ১ কোটি টাকা ঢুকেছে।।। ডাক্তার মাহিম মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির ছেলে। তার বাবা ওয়াচ ম্যানের চাকরি করতো রিটায়ার্ড হয়েছে।।। আর ডাক্তার মাহিম ডাক্তার হিসেবে ভালো নাম কুরিয়েছে,,,,
বলতেই ইসান বললো-
ইসান- কিন্তু তার ব্যাংকে এতো টাকা দিলো কে???
জনি- এটা এখনো বের করতে পারিনি স্যার।। (মাথা নিচু করে)
ইসান- ব্যাপার না অস্ট্রেলিয়া থেকে ঘুরে আসি তারপর বের করবো।। তোমরা এক কাজ করো মিঃ মিনহাজের সুরক্ষার জন্য সিকিউরিটি আরেকটু বারিয়ে দাও।।
জনি- ওকে স্যার।।।
জনি আকাশ চলে গেলো।।। ইসান ফ্রিজ থেকে বীয়ারের বোতল বের করে নিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়ায় এবং বীয়ার খেতে লাগে। ইসানে ইমার বলা কথা মনে হয়ে গেলো-
ইসান – তোমার আর ইসমার পাশে লোকটা,,,,,!!
বলতেই ইমা বললো-
ইমা- উনিই আমার হাসবেন্ড।।।
ইসান এই কথা মনে করেই বীয়ারের বতোল স্ব জোরে মেঝের উপর আছাড় মারলো। বীয়ারের বতোল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এবং বীয়ার মেঝেতে ছরিয়ে পরে।।। ইসান ওখানেই আটো সাটো হয়ে মেঝেতে বসে এবং দুই হাটুর উপর দুই হাত রেখে দুই হাতের মাঝে মুখ গুজে কান্না করতে লাগে।।।
এমন সময় ইসানের ফোন বেজে উঠে।। ইসান চোখ মুছে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে অপরিচিত নাম্বার।। ইসান ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো।।।
ইসান- হ্যালো??
ইমা- আমি ইমা।।। (ইসানের বুকের ভেতর কেপে উঠে ইমার নাম শুনে) ইসমা খুব জেদ করছে তোমার সাথে কথা বলার জন্য।। একটু ওর সাথে কথা বলো।।।
ইসমা- বন্ধু!!!!
ইসান- হমম মামুনি বলো??( মুচকি হেসে)
ইসমা- আজকেও দেখা না করে চলে গেলে??
ইসান- কাজ পরে গিয়েছিলো তো তাই মামুনি।।।
ইসমা- তুমি না আমার বাবার মতো কাজের কথা মনে হলেই চোখে আর কিছু দেখে না।।
ইসানের চোখে পানি চলে আসলো।
ইসান- তোমার বাবাকে তুমি খুব ভালোবাসো তাইনা??
ইসমা- হমম কিন্তু বাবা আসছেই না।। কেমন লাগে বলতো?? বাবা কে ছাড়া কারো ভালো লাগে ।। তোমাকে দেখলে আমার বাবার কথা মনে পরে।। তুমি আমাকে সেদিন বাচালে না!! বাবা থাকলে বাবাও আমাকে এভাবে বাচাতো।। কবে যে আসবে বাবা টা।।
বলতেই ইসান ফোন কেটে দিয়ে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগে।।
এদিকে ইসমা ইমার হাতে ফোন দিয়ে বললো-
ইসমা- ফোন কেটে দিলো বন্ধু!! (মন খারাপ করে)
ইমা- থাক মন খারাপ করো না।। এতো কথা কাওকে বলতে হয় না বুঝেছো!! এখন চলো ঘুমিয়ে পরবে।।
বলে ইমা ইসমাকে নিয়ে চলে গেলো রুমে।।৷
Time skip
ইসান রেডি হয়ে গিয়ে গাড়িতে বসলো এবং সোজা এয়ারপোর্টে।। এয়ারপোর্টে সব ফর্মালিটি শেষ করে প্লেনে উঠলো এবং ভিআইপি ক্যাবিনে গিয়ে বসলো তিনজন।।। ইসান ল্যাপটপ চালু করে দেখছে তার বাবা তার ক্লাইনটের ইনফরমেশন দিয়েছে কিনা৷
এদিকে ইমা ইসমাকে ঘুম পারিয়ে দিয়ে নিজের রুমে বিছানায় বসে ভাবে- ইসান কি ইসমার কথায় রাগ করে ফোন কেটে দিলো!! আমার কি ওকে ফোন দিয়ে সরি বলা উচিত?? না ফোন দিয়। বলে ইমা বিছানায় বালিশের পাশ থেকে ফোন নিয়ে কল করলো।।
ইসানের ফোন আকাশের কাছে ছিল আকাশ ফোন ইসানের দিকে ধরে বললো-
আকাশ- স্যার আপনার ফোন।।
ইসান – দেখছো তো আমি কাজ করছি।। রিসিভ করে কথা বলো।। (একটু বিরক্তি নিয়ে)
আকাশ ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।
আকাশ- হ্যালো??
ইমা- আমি ইমা।।।
আকাশ বিস্ফোরিত চোখে ইসানের দিকে তাকালো।। জনি আকাশকে ঠেলা দিয়ে ফিস ফিস করে বললো- কে??
আকাশ- ইমা ম্যাডাম।। (ফিস ফিস করে)
ইসান- দুইজন ফিস ফিস করছো কেন? কে কল করেছে?? (কপাল কুচকে)
আকাশ একটু সংকোচ নিয়ে বললো- ইমা ম্যাডাম।।
ইসান- ফোন দাও।। ( আকাশ ইসানের হাতে ফোন দিলো।।)
ইসান ফোন কানে ধরে বললো- হ্যালো??
ইমা- ইসান আসলে ইসমা ছোট মানুষ ওর কথায় কিছু মনে করো না।। ও অভিকে মানে ওর বাবাকে অনেক ভালোবাসে।।
ইসান- আমি কিছুই মনে করিনি আসলে সেই সময় ফোনে চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তাই ফোন কেটে গিয়েছে।। আচ্ছা ইমা একটা উপকার লাগবে!!
ইমা- হমম বললো।।
ইসান- আমি এখন প্লেনে অস্ট্রেলিয়ার যাবো। তুৃমি একটু নিজ দায়িত্বে মিঃ মিনহাজের খেয়াল রেখো।। উনি আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন।। আমাদের নতুন হসপিটালের তৈরির কাজে উনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো।। তাই আরকি।।
ইমা- হমম সমস্যা নাই উনি আমার পেশেন্ট আমি খেয়াল রাখবো।।
বলতেই বিমানবালা এসে বললো- স্যার আর কিছুখন পরই প্লেন টেকঅফ করবে।। প্লিজ ফোন বন্ধ করে দিন।।
ইসান- ওকে।।। ইমা এখন রাখতে হচ্ছে বাই।।
ইমা- ওকে বাই।।
ইসান ফোন কেটে দিলো।।।
আকাশ- স্যার ম্যাডাম আপনাকে ফোন দিয়েছে?? (হেসে)
ইসান- হমম কেন??
আকাশ- না এমনি।।। স্যার ম্যাডাম কি আপনাকে,,,,,
বলতেই ইসান একটু জোরে বললো-
ইসান- চুপ করো। সেটা হয়তো কখনোই আর সম্ভব না।।।
Time skip
৫ দিন পর,,,,,
অস্ট্রেলিয়ার প্লেন থেকে নামলো ইসান আকাশ জনি।। ইসানের ফোনে কল আসে আকাশ ফোন রিসিভ করে ইসানের দিকে ধরে বললো- স্যার বড় স্যারের কল।। ইসান ফোন নিয়ে কানে ধরলো।।
ইসান- হমম বাবা বলো।।
জহির- ওয়েল ডান ইসান।। আমাদের পথের আরেকটা কাটা সরলো।। আচ্ছা মিঃ বিন কে মারলে কি করে বললে না তো??
ইসান এয়ারপোর্ট থেকে বের হলো বাইরে ইসানের সিকিউরিটি এবং চারটা গাড়ি দাড়িয়ে আছে।। আকাশ গাড়ির দরজা খুলে দিলে। ইসান গাড়ির ভিতরের ঢুকে বসলো।।
ইসান- হমম বাবা অস্ট্রেলিয়া নেমেই সিডনি শহরের ভিআইপি হটেলে উঠি তারপর তুমি যেই ইনফরমেশন দিয়েছো সেটা অনুযায়ী ” ব্যামিন রই” তোমার অস্ট্রেলিয়ার অফিসের বিস্তত লোক। তাকে জিজ্ঞেস করলাম।। ব্যামিন বলল মিঃ বিন কখন অফিস থেকে বের হয়। কি কখন করে সব।। সেই মতাবেক প্লেন বানালাম।। যেদিন মেরেছি সেদিন আমি ওর গাড়ির ভিতরে ছিলাম।। জনি গাড়ির ড্রাইভার।। গাড়ির দরজা খুলেই সে ভয় পেয়ে যায়।। তার পর আকাশ পিছন থেকে মিঃ বিন কে ঠেলে ঢুকালো গাড়ির ভিতর।। আমি শুধু বললাম DW কম্পানির সাথে ঝামেলা না করলে আজ এমন দিন দেখতে হতো না। বলে শুট করলাম মাথায়।।।। তাকে কথা বলার সুযোগ,,,,,
জনি গাড়িটা থামালো।।
ইসান- কি হলো???
আকাশ- স্যার ইমা ম্যাডান ???
ইসান গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো দেখে টিভির সোরুমে টিভিতে দেখাচ্ছে। ইমাকে হসপিটাল থেকে পুলিশ হাত করা,পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।।।
ইসান- বাবা তোমার সাথে পরে কথা বলছি।।
বলে ফোন কেটে দিলো।।।
ইসান- জনি গাড়ি চালাও।। (উত্তেজিত সুরে)
ইসান ফোনে নিউজ বের করলো।।
– Rk হসপিটালের সিনিয়ার ডাক্তাট ইমা খান DW কম্পানির একজন স্টাফ যিনি DW হসপিটাল তৈরি হওয়ার দায়িত্বে ছিলেন তাকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলেছেন।।। ফরেন্সির তথ্য অনুযায়ি।। গত কাল রাতে উনাকে বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।। হসপিটালের নার্স হিমা বলেছে – গত কাল রাতে ডাক্তার ইমা তাকে বাড়িতে চলে যাতে বলেছে।। এবং বলেছেন সে একাই সব সামলে নিবে।।। সকালে যখন ডাক্তার ইমা হসপিটালে আসেন তখনি তাকে সিনিয়ার সার্জন মাইশা ইমাকে ধরে এবং তাকে জেরা করতে শুরু করে।। ডাক্তার ইমা সব শিকার করে তবে উনি যে বিষাক্ত ইনজেকশন দেয়নি সেটা বার বার বলতে থাকে।। ডাক্তার ইমার ডাক্তারি লাইসেন্স,,,,,,
বলতেই ইসান ফোনের নিউজ বন্ধ করে দিলো।।। এবং চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস ছাড়ে।।।
আকাশ- স্যার এখন ম্যাডাম কি??
ইসান- ইমা এটা করেনি??
জনি- স্যার ক্ষমা করবেন এমনো তো হতে পারে যে ম্যাডাম আপনার উপর যে রাগ ছিলো সেটার,,,
বলতেই ইসান রেগে বললো- ভেবে কথা বলো জনি।। আমি যতদুর ইমাকে চিনি এটা ইমা কখনোই করবে না।।। কিছু একটা ঘটেছে এই চার দিনের মধ্যে।। এক কাজ করো সোজা পুলিশ স্টেশন চলো।।
জনি- ওকে স্যার।।।
,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,